Tag: Extradition

Extradition

  • Tahawwur Rana: ভারতে আসতেই হচ্ছে! ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর রানার আর্জি খারিজ আমেরিকায়

    Tahawwur Rana: ভারতে আসতেই হচ্ছে! ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর রানার আর্জি খারিজ আমেরিকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে আসতেই হচ্ছে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। রানার ভারতে প্রত্যর্পণে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তাহাউর জানিয়েছিলেন, সে পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত মুসলিম হওয়ায় ভারতে নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। কিন্তু তাহাউর রানার সেই আশঙ্কাকে গুরুত্ব দেননি বিচারপতি। তাঁর প্রত্যর্পণের উপর কোনও স্থগিতাদেশ চাপায়নি মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণ কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল।

    মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে রানার আর্জি

    পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তাহাউর রানা (Tahawwur Rana) মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে ‘প্রত্যর্পণ স্থগিতের জরুরি আবেদন’ দাখিল করেছিলেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, তাঁর প্রত্যর্পণের অর্থ হল আন্তর্জাতিক আইন ও রাষ্ট্রসংঘের নির্যাতন-বিরোধী কনভেনশন লঙ্ঘন করা। কারণ ভারতে তাঁকে নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হতে পারে। তাঁর আবেদনে আরও বলা হয়, ‘পাকিস্তানি মুসলিম হিসেবে মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় ভারতে নির্যাতনের ঝুঁকি আরও বেশি।’ এছাড়া, তিনি তাঁর শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখিয়ে উল্লেখ করা হয়, তাহাউর একাধিক প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত। তাঁর আইনজীবীরা আদালতে জানান, তিনি একাধিক হার্ট অ্যাটাক, পার্কিনসনস ডিজিজ, ব্লাডার ক্যান্সারের আশঙ্কা, স্টেজ ৩ ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, অ্যাজমা এবং কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় জেলে বন্দি হওয়া তার জন্য ‘প্রকৃত অর্থে মৃত্যুদণ্ড’ হবে বলে তিনি দাবি করেন।

    আবেদন খারিজ

    মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রানার এই আবেদন গ্রহণ করেনি এবং ভারতীয় প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রানা পাল্টা যুক্তি দিয়েছিলেন, ‘যদি এই প্রত্যর্পণ স্থগিত করা না হয়, তাহলে মার্কিন আদালতের এক্তিয়ার থাকবে না এবং আমি শিগগিরই মারা যাব।’ এর আগে একাধিক নিম্ন আদালতে আইনি লড়াই হেরে যায় সে। স্যান ফ্রান্সিসকোতে নর্থ সার্কিট আমেরিকান কোর্ট অফ আপিলেও হেরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর দিনই তাহাউর রানার রিট পিটিশন খারিজ করে দিয়েছিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এ বার আমল দিল না তার জরুরি ভিত্তিতে করা আবেদনেও। বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছেন তিনি। শীঘ্রই তাঁকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    রানার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া

    উল্লেখ্য, ভারত ও আমেরিকা দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৭ সালে প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই আবহে ভারতের অনুরোধে আমেরিকার প্রশাসন রানাকে গ্রেফতার করেছিল। ২০১১ সালে শিকাগোর আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল রানা। তার বিরুদ্ধে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগ ছিল। প্রসঙ্গত, তাহাউর রানার বন্ধু পাকিস্তানি-আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলি। এই আবহে ২০২৩ সালের মে মাসে একটি মার্কিন আদালত পাক বংশোদ্ভূত রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে রানা আবেদন করেছিল। তারপর রানার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। তবে ২১ জানুয়ারি তাহাউর রানার প্রত্যর্পণে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকার শীর্ষ আদালত।

    ভারতের দাবিতে সিলমোহর

    প্রসঙ্গত, তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় ধরেই সওয়াল করে আসছিল নয়াদিল্লি। ভারতের দাবি, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার এই নাগরিকই হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার ঘটনায় অন্যতম চক্রী। তাই ভারতের বিচারব্যবস্থার অধীনেই তাঁর বিচার হওয়া উচিত। গত ১৬ ডিসেম্বর মার্কিন সলিসিটর জেনারেল এলিজাবেথ বি প্রিলগার মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেন, যাতে শীর্ষ আদালত রানার আবেদন খারিজ করে দেয়। এদিকে রানার আইনজীবী ২৩ ডিসেম্বর সরকারের প্রস্তাব চ্যালেঞ্জ করেন এবং সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানান, যাতে এই মামলায় রানার রিট পিটিশন গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালত রানার আবেদনের বিরুদ্ধেই রায় ঘোষণা করে দেয়।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগ

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরকালে রানার প্রত্যর্পণে অনুমোদন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ‘খুব শিগগিরই রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হবে এবং তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’ এর পরেই শুরু হয় প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া। কিন্তু ফের মার্কিন শীর্ষ আদালতে শেষ চেষ্টা করেন রানা। তবে তাঁর সেই চেষ্টায়ও জল ঢালল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের আটটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালায় পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিরা। এই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন। যাঁদের মধ্যে ছ’জন মার্কিন নাগরিকও ছিলেন। হামলা চালিয়েছিল ১০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি।

  • Extradition: বিজয় মাল্যর প্রত্যর্পণের বিষয়ে বৈঠকে ভারত-যুক্তরাজ্য

    Extradition: বিজয় মাল্যর প্রত্যর্পণের বিষয়ে বৈঠকে ভারত-যুক্তরাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অপরাধমূলক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের চার দিনব্যাপী ৯০তম সাধারণ অধিবেশন শুরু হয়েছে ১৮ অক্টোবর। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই  সম্মেলন। ইন্টারপোলের সর্বশেষ অধিবেশন ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অধিবেশন শুরুর দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লির প্রগতি ময়দানে দেন।   
     
    এই অধিবেশনেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যুক্তরাজ্যের আধিকারকদের, ভারতীয় আধিকারিকরা পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মাল্যর প্রত্যর্পণ চ্যুক্তি “দ্রুত” করার আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়াও আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ইকবাল মিরচির স্ত্রী হাজরা মেমন এবং ছেলে আসিফ এবং জুনায়েদের খুঁজে বের করার বিষয়েও কথা বলেছেন। 

    ২০২০ সালের এপ্রিলে প্রত্যর্পণের নির্দেশের বিরুদ্ধে মাল্যের আবেদন খারিজ করেছিল লন্ডন হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার যে অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি, পরবর্তীতে তাও বাতিল হয়ে যায়। হিসেব মতো ২৮ দিনের মধ্যেই প্রত্যর্পণ চ্যুক্তির মাধ্যমে মাল্যকে ভারতে ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু অজানা কারণে আড়াই বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে এই প্রত্যর্পণ চ্যুক্তি। মনে করা হচ্ছে মাল্য যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের জন্যে আবেদন করেছেন। 

    আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়-পরাজয়ের দৌড়ে কে কোথায় ?

    এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের ইন্টারপোল প্রতিনিধিদলকে বলা হয়েছিল যে যেহেতু আদালত ইতিমধ্যেই  মাল্যর প্রত্যর্পণের অনুমতি দিয়েছে, তাই ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হওয়ার জন্য তাঁকে শীঘ্রই প্রত্যর্পণ করা প্রয়োজন।     

    ভারত নীরব মোদী, সঞ্জয় ভান্ডারী সহ অন্যান্য পলাতকদের প্রত্যর্পণের বিষয়টিও উত্থাপন করেছে। উভয়টি মামলাই এখন আদালতে রয়েছে। এছাড়াও মেমন এবং আরও কিছু সাইবার অপরাধীকে খুঁজে বের করার বিষয়েও কথা বলেছে।

    এছাড়া কানাডার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও কথা হয়েছে ভারতের। গত সপ্তাহেই বেদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কানাডা প্রশাসনকে তথাকথিত ‘খালিস্থান আন্দোলন’ নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলেছিলেন। 

    এই অধিবেশনে ২২টি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠুক হয়েছে ভারতের। আমেরিকা, ইউকে, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ইউএই, বাংলাদেশ, নেপাল, ওমান, নিউজিল্যান্ট, ভুটান, নাম্বিয়া, বাহারিন, সারবিয়া, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং ইউরোপোল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share