Tag: extreme suffering

extreme suffering

  • Suicide: বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

    Suicide: বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিঃশব্দে হানা দিচ্ছে আরেকটি মহামারি, যার নাম আত্মহত্যা (Suicide)! বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও ক্রমেই বাড়ছে এই সমস্যা। অধিকাংশ সময়েই অসাবধানতার জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা বাড়ালেই সমস্যা কমতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপদ ঘটার আগে অসচেতনতার কারণে কিছুই টের পাওয়া যায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা এখনও তলানিতে। পরিবারের পাশে থাকা মানসিক রোগীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক সমস্যা হলে পরিবারকেই আগে চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবার আক্রান্তের সমস্যা বুঝতেই পারে না। তাই ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়। তাই আত্মহত্যা আরেকটি মহামারির আকার ধারণ করছে।

    ভারতের পরিস্থিতি কতখানি উদ্বেগজনক? (Suicide)

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশ জুড়ে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষত করোনা মহামারির পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ২৭ শতাংশ আত্মহত্যা বেড়েছে। অন্যান্য দেশের মতোই মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের আত্মহত্যার ঘটনা বেশি।‌ সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রতি আট মিনিটে একজন পুরুষ আত্মহত্যা করছেন। পাশপাশি, উদ্বেগজনকভাবে কিশোর-কিশোরী অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। কম বয়সী ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়তি উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন ভারতে আত্মহত্যা বেড়েছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার অন্যতম কারণ খারাপ ব্যবহার এবং একাকিত্ব। কর্মক্ষেত্রে কিংবা পরিবারের কাছের মানুষের লাগাতার খারাপ ব্যবহারের জেরেই আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। নিয়মিত হেনস্থার জেরেই সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অবসাদগ্রস্ত হলেও তাঁরা অধিকাংশ সময়, তাঁদের সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকছেন না। এর ফলে তাঁরা কোনও রকম সাহায্য পাচ্ছেন না। বরং, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

    কীভাবে চিহ্নিত করবেন? (Suicide)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অন্যান্য শারীরিক সমস্যার মতোই আত্মহত্যার প্রবণতারও কিছু উপসর্গ রয়েছে। সে সম্পর্কে সতর্ক আর সচেতন থাকলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই অভ্যাস বদলে যাওয়া, এর প্রথম লক্ষণ! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের কোনও সদস্য হঠাৎ খুব চুপচাপ হয়ে গেল। নিজের মতোই সময় কাটাচ্ছেন, পরিবারের সঙ্গে কোনও বিষয়েই কথা বলা বা আলোচনা করছেন না। তাহলে বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই ধরনের আচরণ দেখা দিলে, তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ১২-১৫ বছরের ছেলেমেয়েরা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘর বন্ধ করে নিজেদের মতো থাকে। অভিভাবকদের অবশ্যই খেয়াল রাখা জরুরি, নিজের মতো থাকার অভ্যাসে একাকিত্ব গ্রাস করছে কিনা (Suffering)!

    নানান ওষুধে অভ্যস্ত?

    পরিবারের কেউ হঠাৎ করেই নানান ওষুধে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে‌ বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া, হঠাৎ নানা রকমের ওষুধ কিনে খাওয়া শুরু করলে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বুঝতে হবে, তাঁর মধ্যে নানা রকম অ্যাংজাইটি কাজ করছে। তাই সতর্কতা জরুরি। ভীষণ রকমের উদ্বেগ থেকেই আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

    আলোচনা করা জরুরি

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা বলে, ‘আমাকে নিয়ে বেশি দিন‌ সমস্যা থাকবে না!’ কিংবা ‘এই রকম সমস্যায় তোমাদের আর পড়তে হবে না’, এই ধরনের কথা! এগুলোও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অভিভাবকদের অনেকেই এই ধরনের মন্তব্যে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সন্তান এই রকম কথা বললে, তার সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। সময় দেওয়া দরকার। তার নানান কাজ সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা দরকার। তবেই বড় বিপদ আটকানো সম্ভব হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Gangasagar Mela 2024: কয়েকদিন পরই গঙ্গাসাগর মেলা, অনিয়মিত ভেসেলে চরম দুর্ভোগ পুণ্যার্থীদের

    Gangasagar Mela 2024: কয়েকদিন পরই গঙ্গাসাগর মেলা, অনিয়মিত ভেসেলে চরম দুর্ভোগ পুণ্যার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকদিন বাকি গঙ্গাসাগর মেলার (Gangasagar Mela 2024)। সারা ভারত থেকে সাগর দ্বীপে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন তীর্থযাত্রীরা। কিন্তু অনিয়মিত ভেসেলের জন্য চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে পুণ্যার্থীদের। মেলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে কিছু নির্দেশিকা দিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেও কার্যত চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। 

    সাত ঘণ্টা ধরে বন্ধ ভেসেল (Gangasagar Mela 2024)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লট নম্বর আট ও কচুবেড়িয়া জেটিঘাটে ভাটার সময় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ধরে বন্ধ থাকছে ভেসেল পরিষেবা। দীর্ঘ সময় ধরে ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। এদিকে সামনেই মেলা, (Gangasagar Mela 2024) প্রচুর ভক্ত সমাগম হতে চলেছে। কিন্তু এর মধ্যেই যদি পারাপার বন্ধ থাকে, তা হলে বিরাট মুশকিলের ব্যাপার।

    নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন

    মুড়িগঙ্গা নদীর বুকে জেগে উঠেছে প্রচুর চর। প্রশাসন মেলার (Gangasagar Mela 2024) পরিস্থিতি ঠিক রাখতে নদীবক্ষে পলি কাটার ব্যবস্থা শুরু করেছে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত জানিয়েছেন, “যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে পলি কাটার কাজ চলছে। আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত পলি কাটার কাজ শেষ করা হবে। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও সমস্যার মধ্যে না পড়তে হয়, তার দিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে।” উল্লেখ্য এই পথে একটি ব্রিজ হওয়ার দাবি বহুদিন ধরে এলাকার মানুষের মধ্যে রয়েছে। প্রত্যেক বছর মেলায় এই সমস্যা একটি বড় সমস্যা। প্রথমে দুটি বড় মেশিন দিয়ে ড্রেজিংয়ের কাজ করা চলছিল। রবিবার থেকে আরও অতিরিক্ত একটি মেশিন লাগানো হয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে পলি কাটার কাজ শেষ না হলে সমস্যা আরও প্রবল হতে পারে। প্রশাসন এখন আরও কতটা অতিসক্রিয় হয়, তাই এখন দেখার।

    ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা

    বলা হয় সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর (Gangasagar Mela 2024) একবার। ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ মেলা হল এই সাগরদ্বীপের গঙ্গাসাগর মেলা। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে এই মেলায়। আগামী ৮ জানুয়ারি ২০২৪ এই মেলা শুরু হবে। মেলাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সাধুসন্তদের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share