Tag: Fatty Liver

Fatty Liver

  • Calcium Deficiency: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বাড়াচ্ছে ঠান্ডা পানীয় পানের ইচ্ছা! কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    Calcium Deficiency: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বাড়াচ্ছে ঠান্ডা পানীয় পানের ইচ্ছা! কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজঃ আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। আর গরমের এই আবহাওয়ায় চটজলদি আরাম পেতে অনেকের সঙ্গী হয় নরম ঠান্ডা পানীয়‌। বোতলবন্দী বা প্যাকেটজাত কার্বোনেটেড (Calcium Deficiency) ওয়াটার গরমের অস্বস্তিতে তৃপ্তি এনে দেয়।‌ অনেকের আবার বিরিয়ানি কিংবা বার্গারের সঙ্গে এই নরম পানীয়তে চুমুক না দিলে স্বাদ সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই কার্বোনেটেড ওয়াটার বা নরম পানীয়ের প্রতি অনেকেই এক ধরনের আসক্তি অনুভব করেন। যে কোনও খাবার খাওয়ার পরেই, তাদের এক গ্লাস নরম পানীয় (Cold Drinks) না হলে চলে না। আর এই আসক্তি জানান দেয়, শরীরে বাসা বাঁধছে নতুন রোগ! সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে চারটি রোগের দাপট মারাত্মক ভাবে বেড়েছে, যার পিছনে মূল কারণ মাত্রাহীন কার্বোনেটেড ওয়াটারের প্রতি আসক্তি।

    কেন নরম ঠান্ডা পানীয়তে আসক্তি বাড়ে (Calcium Deficiency)?

    আন্তর্জাতিক ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তরুণ প্রজন্মের পাশপাশি প্রৌঢ়দের মধ্যেও এই নরম পানীয়ের প্রতি আসক্তি মারাত্মক বাড়ছে। যার অন্যতম কারণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ঘটনা একে অন্যের পরিপূরক। অর্থাৎ, অতিরিক্ত নরম ঠান্ডা পানীয় খেলে হাড় ক্ষয় হয়, আবার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে নরম পানীয়ের প্রতি আসক্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত এই নরম ঠান্ডা পানীয় খান, তাদের অধিকাংশই ক্যালসিয়ামের (Calcium Deficiency) অভাবে‌ ভুগছেন। আবার তাঁরা এতটাই এই পানীয়তে (Cold Drinks) আসক্ত, যে এগুলো ছাড়া খাবার খেতেই পারছেন।

    কোন চারটি রোগের প্রকোপ বাড়াচ্ছে নরম ঠান্ডা পানীয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশ্ব জুড়ে অধিকাংশ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ, জীবন যাপনের অভ্যাস। গত এক দশকে যে সমস্ত রোগ সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সেগুলোর অধিকাংশের কারণ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন‌ যাপনের অভ্যাস। মূলত চারটি অসুখ মারাত্মক বেড়ে যাওয়ার পিছনে নরম ঠান্ডা (Cold Drinks) পানীয়কে দায়ী করছেন চিকিৎসক মহল!

    হাড়ের ক্ষয় রোগ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সী মহিলাদের মধ্যে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে। আর নরম ঠান্ডা পানীয় এই রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই কার্বোনেটেড ওয়াটারে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডা। আর এই উপাদান হাড়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।‌ সোডা হাড়কে ভিতর থেকে ফাঁপা করে দেয়। তাই নিয়মিত নরম ঠান্ডা পানীয় খেলে দেহে মারাত্মক ক্যালসিয়ামের (Calcium Deficiency) ঘাটতি দেখা দেয়। হাড়ের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এমনকি যে কোনও সময় হাড় (Cold Drinks)  ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়‌।

    ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি!

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। বিশেষত নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোল্ড ড্রিঙ্কস থেকেই এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকা নানান উপাদান লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। খুব কম বয়স থেকেই নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্কস খেলে লিভারে বাড়তি ফ্যাট জমে। যার ফলেই ফ্যাটি লিভার জাতীয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

    ওবেসিটির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোল্ড ড্রিঙ্কসে কোনও পুষ্টিগুণ নেই। বরং কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকে অতিরিক্ত চিনি এবং প্রিজারভেটিভ রাসায়নিক। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এই অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভ উপাদান এবং চিনি শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্কস খেলে তাই ওবেসিটি বা স্থূলতার (Calcium Deficiency) ঝুঁকিও বাড়ে।

    বাড়াচ্ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি!

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর এক রিপোর্টে কয়েক বছর আগে স্পষ্ট করা হয়েছিল, একাধিক নরম পানীয়তে অ্যাসপার্টেম ব্যবহার করা হয়। এই অ্যাসপার্টেম হল এক ধরনের কৃত্রিম মিষ্টি। বোতলবন্দি নরম পানীয়ের স্বাদ বাড়াতেই এই ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। আর এই অ্যাসপার্টেম শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। বিশেষত ক্যান্সারের (Calcium Deficiency) ঝুঁকি বাড়ায় এই উপকরণ। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত নরম ঠান্ডা পানীয়তে অভ্যস্থ হলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Drumstick tree: বসন্তে নিয়মিত সজনে ডাঁটা খাচ্ছেন! কোন রোগের মোকাবিলায় কার্যকর এই সবজি?

    Drumstick tree: বসন্তে নিয়মিত সজনে ডাঁটা খাচ্ছেন! কোন রোগের মোকাবিলায় কার্যকর এই সবজি?

    মাধ্যম ডেস্কঃ তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিন বাড়ছে। শুষ্ক আবহাওয়ায় অস্বস্তিও চরমে। এই সময়ে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত হালকা খাবার খাওয়া জরুরি। ঘরে তৈরি শুক্ত, হালকা সবজির তরকারি নিয়মিত খেলে শরীর ভালো থাকবে। এই সময়ে বাজারে সজনে ডাঁটা দেদার পাওয়া যাচ্ছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাঙালিরা নানা রকমের তরকারিতে সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) দেয়। এই সবজির পুষ্টিগুণ প্রচুর। বিশেষত এই আবহাওয়ায় এই সবজি খেলে শরীরের বাড়তি উপকার হয়। এখন দেখা যাক, সজনে ডাঁটা খেলে কী উপকার হবে?

    পক্সের ঝুঁকি কমবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বসন্ত (spring) ঋতুতে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ে। এই সময়েই চিকেন পক্সের মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ে। তাছাড়া সাধারণ ভাইরাস ঘটিত সর্দি-কাশি, জ্বর হয়। তাই নিয়মিত সজনে ডাঁটা খেলে এই সব রোগের ঝুঁকি কমে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর একটি সবজি। তাই এই সবজি নিয়মিত খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে, পক্সের ঝুঁকি কমে। আবার সজনে ডাঁটা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই এটি খেলে সাধারণ ভাইরাস ঘটিত সর্দি-কাশি এবং জ্বরের ভোগান্তিও কমে।

    হজমে সাহায্য করে

    মার্চ-এপ্রিল মাসে হঠাৎ করেই আবহাওয়ায় পরিবর্তন হয়। তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই বেড়ে যায়।‌ আবার পরিবেশ বেশ শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে, এই সময়ে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। পেটের অসুখে ভোগান্তিও বাড়ে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময়ে সজনে ডাঁটা খেলে হজম শক্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) আঁশ সমৃদ্ধ একটি সবজি। তাই এই খাবার খেলে পেটের সমস্যা কমে। হজম ভালো হয়।

    উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে (Drumstick tree) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সজনে ডাঁটা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তি নিয়মিত সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) খেলে তাঁর হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে রক্তচাপের ওঠানামা ও কমায়।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারী

    সজনে ডাঁটা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা নিয়মিত সজনে ডাঁটা খেলে বাড়তি উপকার পাবেন।

    শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে

    সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর সবজি। তাছাড়া সজনে ডাঁটায় অ্যান্টি অ্যালার্জি উপাদানও রয়েছে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সজনে ডাঁটা নিয়মিত খেলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বক্ষঃনালীতে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।

    শরীরের ক্লান্তি সহজেই দূর করে (spring) 

    ঋতু পরিবর্তনের সময়ে অনেকের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সারাদিন ক্লান্তি বোধ হয়। এর জেরে স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। তার ফলে নানান সমস্যাও বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যাও সমাধান করে সজনে ডাঁটা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সজনে ডাঁটা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের, ক্যালসিয়ামে ভরপুর একটি সবজি। তাই এই সবজি নিয়মিত খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। ফলে শরীরে ক্লান্তিবোধ হয় না।

    ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে যাচ্ছে। এর ফলে হজম শক্তি কমছে। মাত্রাতিরিক্ত ওজন বাড়ছে। সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) ফেলে লিভারের এই বাড়তি ফ্যাট কমবে। লিভার সুস্থ থাকবে। সজনে ডাঁটা স্থূলতা কমাতেও সাহায্য করবে।

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত পাতে থাকুক সজনে ডাঁটা। শিশু থেকে প্রবীণ সকলের জন্য উপকারি এই সবজি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Fatty liver: ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, জানেন না ৪০ শতাংশ আক্রান্তই! কোন বিপদের হাতছানি?

    Fatty liver: ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, জানেন না ৪০ শতাংশ আক্রান্তই! কোন বিপদের হাতছানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সামান্য পরিমাণ খাবার খেলেও হজম করা যাচ্ছে না। প্রায়ই বমি হচ্ছে। শরীরের ওজন ক্রমশ বাড়ছে। আর তার সঙ্গে কমছে কাজের শক্তি। শরীরকে গ্রাস করছে ক্লান্তি। কিন্তু কেন এমন সমস্যা, জানেন না অনেকেই‌। রেহাই পেতে অনেকেই মুঠো মুঠো হজমের ওষুধ খাচ্ছেন। আবার অনেকে ওজনকে রাশে আনতে খাবার খাওয়াই ছেড়ে দিচ্ছেন। আর তার জেরে বিপদ আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অসচেতনতার জেরেই রোগ (Fatty liver) নির্ণয় হচ্ছে না। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য? (Fatty liver)

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক কিংবা ক্যান্সার নিয়ে যে সামান্য সচেতনতাও রয়েছে, ফ্যাটি লিভার নিয়ে সেটাও নেই। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ফ্যাটি লিভার আক্রান্তের ৪০ শতাংশ জানেন না, এই স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতার অভাবে রোগ নির্ণয় হচ্ছে না। ফলে, আরও অনেক বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত কিনা, তা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

    ফ্যাটি লিভার কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভারে ফ্যাটের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে গেলে, ফ্যাটি লিভার হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে‌। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Fatty liver) সমস্যা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, যাঁরা মদ্যপান করেন না, তাঁদের মধ্যেও এই রোগ বাড়ছে। সাম্প্রতিক সর্বভারতীয় ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশ জুড়ে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগ উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। এমনকী শিশুদের শরীরেও এই রোগ বাসা বাঁধছে।

    কেন বাড়ছে এই রোগ? (Fatty liver)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনের ধরনের জেরেই এই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। মদ্যপান না করলেও লিভারের এই অসুখের অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস ও অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। তাই এই রোগের দাপট থেকে শিশুরাও বাদ যাচ্ছেন না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ নিয়মিত শরীর চর্চা করেন না। শিশুদের মাঠে দৌড়নো বা খেলাধুলার সময় কমছে। আর তার সঙ্গে বাড়ছে ফাস্টফুড খাওয়ার রেওয়াজ। রাসায়নিক দিয়ে ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস ভাজা খাওয়ায় এখন অনেকেই অভ্যস্ত। শিশুরাও পিৎজা, ফ্রেঞ্চফ্রাই, বার্গারের মতো খাবার নিয়মিত খাচ্ছে। বরং মোচা, পালং শাক, পটলের মতো সবজি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস কমছে। যার জেরে চাপ পড়ছে লিভারে। প্রোটিন, ফ্যাট ও ভিটামিনের মধ্যে ব্যালান্স থাকছে না। তাই দেহে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হচ্ছে। তার জেরেই দেহের ওজন বাড়ছে। আর লিভারে জমছে অতিরিক্ত ফ্যাট।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বারবার বমি, পেটে ব্যথা কিংবা ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মতো সমস্যা দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে কিনা, তা নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেই পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি‌। তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসে প্রথম থেকেই নজর দেওয়া দরকার। নিয়মিত কম তেলমশলার হালকা খাবার বাড়িতে রান্না করে খেলে এই ধরনের অসুখ (Fatty liver) এড়ানো অনেক সহজ হয়ে যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Liver Disease: ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কতটা ভয়াবহ? শিশুরা মোকাবিলা করবে কীভাবে? 

    Liver Disease: ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কতটা ভয়াবহ? শিশুরা মোকাবিলা করবে কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরিয়ে তবেই‌ দেখা দিত এই ধরনের সমস্যা। তবে, এখন কম বয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এই রোগ (Liver Disease)।‌ শুধু তরুণ প্রজন্ম নয়। স্কুল পড়ুয়ারাও কাবু হচ্ছে এই রোগে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই সতর্ক হতে না পারলে আজীবন ভোগান্তি চলবে।‌ ভারতে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণত পঞ্চাশ পেরনোর পরে এই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিত। কিন্তু গত কয়েক দশকে কম বয়সীরাও এই রোগে ভুগছে। সাম্প্রতিক এক তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ‌ বেড়েছে চিকিৎসক‌‌ মহলে।

    কী‌ বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা?

    সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। আর ভারতেও এই সমস্যা অত্যন্ত বেশি। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ওই গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ১০ শতাংশ শিশু ফ্যাটি‌ লিভারের (Liver Disease) সমস্যায় ভুগছে।‌ যা বছর দশেক আগেও‌ এত বেশি ছিল না। ফলে, আগামী দিনে শিশুদের ভোগান্তি বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কী‌ এই ফ্যাটি লিভার রোগ? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, লিভারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হলে, তাকে ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) বলা হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে বমি, পেটের সমস্যা লাগাতার হতে পারে। ফলে, হজমের সমস্যা বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে লিভারের কার্যক্ষমতা হারিয়ে যায়।

    কেন শিশুদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরন আর খাদ্যাভ্যাসের জেরেই শিশুদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, খুব কম বয়স থেকেই এখন সকলে ফাস্ট ফুডে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে। স্কুল বন্ধুদের জন্মদিন উদযাপন হোক কিংবা কোনও ঘরোয়া অনুষ্ঠান, সব জায়গায় পিৎজা, বার্গার, হটডগের‌ মতো‌ খাবার স্কুল পড়ুয়াদের পছন্দ। আর সেটাই দেদার খাওয়া চলছে।‌ পাশপাশি নানা প্যাকেট জাত খাবার যেমন চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, এগুলো খাওয়া চলছে। এর ফলে, স্থূলতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।‌ আর এটাই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ধাপ।‌ ওজন বাড়লেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে।‌ অধিকাংশ শিশুই এখন ওবেসিটি বা স্থূলতার শিকার। এর ফলে ভারতে ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যাও বাড়ছে। 
    পাশপাশি, ফাইবার, ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া কম হচ্ছে। অতিরিক্ত প্রোটিন ও‌ ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ কম বয়সীরাই আটার রুটি, সুজি, ছাতু খায় না। ফলে, ফাইবার শরীরে কম যায়। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ব্যালান্স হয় না।‌ যার জেরে ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন‌ লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। শুধু মাংস, মাছ খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। প্রয়োজন তার সঙ্গে পরিমাণ মতো রুটি, ভাত, সবজির।‌ তবেই শরীর সবরকমের উপাদান পাবে। 
    পাশপাশি স্কুল পড়ুয়াদের খেলাধুলো কিংবা শারীরিক কসরত প্রয়োজন মতো হচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ আর তার জেরেই বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা। কারণ, স্থূলতা এড়াতে পারলে তবেই ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) ঝুঁকি কমবে।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Liver Disease: শুধু মদ্যপান নয়, খাদ্যাভ্যাসও লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

    Liver Disease: শুধু মদ্যপান নয়, খাদ্যাভ্যাসও লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনের নানা অভ্যাস তৈরি করছে নানা ঝুঁকি। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। তেমনই একটা সমস্যা হল নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (Liver Disease)। সপ্তাহ জুড়ে চলছে লিভার ডিজিজ অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম! স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, শুধু মদ্যপান নয়, খাওয়ার অভ্যাসও লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মদ্যপানের জন্য লিভারের রোগের তুলনায় খাদ্যাভ্যাসের জেরে লিভারের সমস্যায় জর্জরিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত মহিলারা নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যায় বেশি ভুগছেন। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ৪০ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ, খুব কম বয়স থেকেই অনেকে এই লিভারের অসুখে কাবু হচ্ছেন। 

    ফ্যাটি লিভার কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, লিভারে ফ্যাট বা অতিরিক্ত চর্বি জমাকেই সহজ ভাষায় ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) বলা হয়। অতিরিক্ত চর্বি জমলে লিভারের কার্যশক্তি কমতে থাকে। ফলে নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। 

    কী করে বুঝবেন ফ্যাটি লিভার হয়েছে? 

    সাধারণত খুব প্রকট উপসর্গ দেখা দেয় না। তবে ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) থাকলে ওজন মারাত্মক বাড়ে অথবা কমে। তাছাড়া অনেক সময় খাবার খাওয়ার পরে বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। বারবার বমি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। তবে, ফ্যাটি লিভার থাকলে প্রায়ই পেটের যন্ত্রণা হয়। সেটাও অন্যতম উপসর্গ বলেই ধরা হয়। জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    কোন পাঁচ খাবার ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করবে? 

    আধুনিক খাদ্যাভ্যাসের জেরেই বাড়ছে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা। বিশেষত অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত ফাস্ট ফুড বিপদ বাড়াচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাদ্য তালিকায় এই পাঁচটি খাবার নিয়ম করে রাখলে বিপদ করবে। প্রথমেই চিকিৎসকদের পরামর্শ তালিকায় থাকছে, শাক-সবজি। সবুজ সবজি নিয়মিত খেতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সবুজ সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইবার। এই দুই উপাদান লিভারে ফ্যাট জমতে দেয় না। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত সবজি খেলে বিপদ কমবে। দ্বিতীয়ত, দানা শস্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা কমাতে ওটস, ডালিয়ার মতো কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। কারণ, এই ধরনের খাবারে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে, ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও কমে। তৃতীয়ত, নিয়মিত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছে থাকে ওমেগা থ্রি, যা লিভারের জন্য খুব উপকারী। যে কোনও মাছ নিয়মিত খেতে বলছেন তাঁরা। তবে, ছোট মাছের উপকার বেশি বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাই তাদের পরামর্শ, দুধ, পনির, ডিমের মতো খাবার নিয়ম করে থাকুক খাদ্য তালিকায়। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন চিকেন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, চিকেনে শুধু প্রোটিন নয়, থাকে ফাইবার। আর ফাইবার ফ্যাটি লিভার রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তবে, রেড মিট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাতে দেহে চর্বি জমে। যা শরীরে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Liver Day: কেন হয় ফ্যাটি লিভার? নিয়ন্ত্রণই বা করবেন কীভাবে?

    World Liver Day: কেন হয় ফ্যাটি লিভার? নিয়ন্ত্রণই বা করবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব লিভার দিবস। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের পাশাপাশি যতদিন যাচ্ছে বেড়েই চলেছে ফ্যাটি লিভারের (World Liver Day) সমস্যা। আগে সাধারণত বয়স্কদের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যেত, কিন্তু এখন আর সেসব বালাই নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমলেই এই রোগ হয়। লিভার মানব শরীরের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শরীরের টক্সিন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি দেখা যায়। তবে বিশেষ করে মদ্যপানের অভ্যাস যাঁদের রয়েছে তাঁদেরই এই সমস্যা বেশি হয়। তবে মদ্যপান না করলেও এই সমস্যা হতে পারে।

    কেন হয় ফ্যাটি লিভার

    অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন: বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্মব্যস্ত জীবনের একটা বাজে অভ্যেস হল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। আর এই কু-অভ্যাসই শরীরকে এই ধরনের রোগের দিকে ঠেলে দেয়।

    মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান করলে ফ্য়াটি লিভারের (World Liver Day) সমস্যা হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    অতিরিক্ত ওজন: ওজন অতিরিক্ত বাড়তে শুরু করলেই লিভারের উপর এর প্রভাব পড়ে। লিভারে ফ্য়াট (World Liver Day) জমতে শুরু করে। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

    ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে-ঘরে। আর আপনি যদি ডায়াবেটিক হন, তবে এই প্রাণঘাতী ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি রয়েছে।

    ফ্যাটি লিভারের  লক্ষণ কী কী

    ফ্যাটি লিভারের (World Liver Day) প্রাথমিক কোন লক্ষণ নেই। তবে ধীরে-ধীরে এর লক্ষণ গুলি স্পষ্ট হয়। পেটে চর্বি জমতে শুরু করে। হজমের সমস্যা হয়। খাবারে অরুচি আসে। সেই সঙ্গেই কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়, শরীর দুর্বল লাগতে শুরু করে।

    এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে কী কী করবেন

    মদ্যপান ত্যাগ করুন: মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে প্রথমেই তা ছাড়ুন। কারণ মদ্যপানের কারণে লিভারে অতিরিক্ত ফ্য়াট জমতে শুরু করে।

    নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। সুস্থ থাকতে তাই নিয়মিত শরীরচর্চার প্রয়োজন। ফ্য়াটি লিভারের (World Liver Day) সঙ্গেও লড়তে তাই রোজ শরীরচর্চা করতে হবে। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

    চর্বিযুক্ত খাবার কম খান: ঘি, মাখন, খাসির মাংসের মতো চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া চলবেনা। যতটা পারবেন তেল, মশলা ছাড়া খাবার খান।

    প্যাকেট জাতীয় খাবার নয়: বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজার চলতি প্য়াকেট জাতীয় খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট (World Liver Day) থাকে। তাই এই ধরনের খাবার একেবারে খাওয়া চলবে না।

    স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে লড়তে সবার আগে প্রয়োজন অস্বাস্থ্যকর, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে লাগাম টানা। নইলেই বিপদ।

    কফি খান: পুষ্টিবিদদের মতে, কফি লিভারের জন্য খুব উপকারি। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কফি খাওয়ার অভ্যেস করুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন! মেনে চলুন এই নিয়মগুলো

    Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন! মেনে চলুন এই নিয়মগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভারে ফ্যাট জমা হওয়ার পরিমাণ যখন বাড়তে থাকে তখন তাকে ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) বলে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তাই ফ্যাটযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান এই লো-কার্বযুক্ত সবজি

    স্বাস্থ্যবিদরা কী বলছেন?

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত পাঁচ থেকে ছ’শতাংশ চর্বি শোষণ করার ক্ষমতা রয়েছে লিভারের। এর চেয়ে বেশি চর্বি জমা হলেই তা ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) কারণ হতে পারে । ডাক্তারদের মতে, ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) ডেকে আনতে পারে ‘সিরোসিস অফ লিভার’- নামের ভয়ঙ্কর রোগকে। ওবেসিটি, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো রোগ থাকলেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। তেমন কোনও ওষুধ নেই, যা খেলেই ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) একেবারে সেরে যাবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং শারীরিক কসরত এই রোগের ক্ষেত্রে ভালো ফল দেয়। গ্রেড ১, গ্রেড ২ এবং গ্রেড ৩ ইত্যাদি বিভিন্ন পর্যায় থাকে ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver)। গ্রেড ২ বা তার বেশি পর্যায়ে যদি এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে তখন পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনেই চলতে হয়। তবে গ্রেড ১ ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) রোগ অত বিপজ্জনক নয়। জীবনের কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন এনেই এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

    ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) থেকে মুক্তি পেতে কী কী করবেন

    -ঘুমের পরিমাণ বাড়াতে হবে। দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে।

    -নিয়মিত ৩ লিটার করে জল খেতে হবে।

    -খালি পেটে থাকা যাবে না। সময়ের খুব বেশি ব্যবধান রেখে খাওয়া দাওয়াও করা যাবে না। বার বার করে খেতে হবে।

    -ঘি, মাখন, চিজ, রেড মিট— এইগুলি একেবারেই খাওয়া যাবে না। 

    – শরীরচর্চা খুব গুরুত্বপূর্ণ । দিনে অন্তত এক ঘণ্টা সময় বার করে হাঁটাহাটি করলেও উপকার পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

LinkedIn
Share