Tag: Festival of Colours

Festival of Colours

  • Holi Utsav 2025: এখানে পাঁচদিন ধরে চলে হোলি, রঙের উৎসবে মেতেছে বৃন্দাবন

    Holi Utsav 2025: এখানে পাঁচদিন ধরে চলে হোলি, রঙের উৎসবে মেতেছে বৃন্দাবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোলযাত্রা পালিত হয় ফাল্গুনী পূর্ণিমায়। দোলপূর্ণিমা তিথিতে শ্রীধাম বৃন্দাবনে শ্রীরাধিকা এবং অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই কারণে দোলপূর্ণিমার তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রীরাধার বিগ্রহ নিয়ে শোভাযাত্রা বার হয় এবং আবির খেলায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। হিন্দুদের এক বিশেষ উৎসব হোলি (Holi Utsav 2025)। ব্রজে হোলির আনন্দই আলাদা। এক সপ্তাহ আগে থেকেই হোলি উৎসব পালিত হয় বৃন্দাবনে (Vrindaban)। হোলির আগে যে একাদশী হয় আসে সেই একাদশী থেকে এই উৎসব পালন শুরু হয়।

    শুরু হয়ে গিয়েছে হোলি

    বৃন্দাবনে (Vrindaban) হোলি (Holi Utsav 2025) খেলা শুরু হয় দোলের আগে রঙ্গভরী একাদশী থেকে। বাঁকে বিহারীজির মন্দিরে একাদশী থেকে পূর্ণিমা অবধি ৫দিন হোলি পালন করা হয়। ইতিমধ্যেই হোলি উপলক্ষে বৃন্দাবনের নানা মন্দিরে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে। এখানে রঙের উৎসব হোলির আগে খেলা হয় ফুলের হোলি। বৃন্দাবনে বাঁকে বিহারী মন্দিরে ফুলের হোলি খেলা সারা ভারত বিখ্যাত। পুরোহিত মশাই বাঁকে বিহারী মন্দিরে পুজো দিয়ে তারপরে এই খেলার সূচনা করেন। এই বিশেষ দিনে এখানকার মানুষ একে অপরের মুখে আবির লাগিয়ে দেন। বড়রা ছোটদের আশীর্বাদ করেন, ছোটরা আনন্দে মেতে ওঠে এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সেই সঙ্গে থাকে নানা রকম ভক্তিমূলক গান ও ভজনের আয়োজন।

    হোলির রঙে হারিয়ে যায় ভেদাভেদ 

    হোলির (Holi Utsav 2025) সঙ্গে জড়িয়ে আছে পৌরাণিক কাহিনিও। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন কৃষ্ণ বর্ণের। তিনি চিন্তিত ছিলেন যে তিনি কৃষ্ণ বর্ণের, আর তার প্রিয় সখী সেই শ্রী রাধা ছিলেন উজ্জ্বল বর্ণের, তাই হয়তো তিনি কৃষ্ণকে পছন্দ করবেন না। তখন তাঁর মা যশোদা কৌতুকপূর্ণভাবে বলেন যে রাধা কে রং মাখিয়ে দিতে তাহলে রাধা কৃষ্ণের বর্ণের মধ্যে আর কোনও তফাৎ থাকবে না। সহজ সরল কৃষ্ণ তাই করেন, মনে করা হয় সেই থেকে এখানে প্রচলিত হয় রংয়ের উৎসব হোলি খেলা। রাধা কৃষ্ণের ঐশ্বরিক প্রেমকে সম্মান দিতে এখানে বিশেষ উৎসাহের সঙ্গে হোলি পালন করা হয়। বৃন্দাবনে (Vrindaban) এই সময়ে মানুষ ধর্ম বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে হোলি খেলায় মেতে ওঠে। এখানকার আর একটা ঐতিহ্যবাহী প্রথা হলো বিধবাদের নিয়ে হোলি খেলা। এসামাজিক নিয়ম কানুন বিধি নিষেধের চোখ রাঙানি এই সময় উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রাচীন প্রথাকে সম্মান এর সঙ্গে পালন করে আসছে বৃন্দাবনবাসি।

  • Holika Dahan: “আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া, কাল আমাদের দোল”, কেন চলে আসছে এই রীতি?

    Holika Dahan: “আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া, কাল আমাদের দোল”, কেন চলে আসছে এই রীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া, কাল আমাদের দোল, পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে বলো হরিবোল.” এই প্রবাদের সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। দোলের আগের দিন ন্যাড়া পোড়ানোর রীতি চলে আসছে বহু যুগ ধরে। যা আমাদের বাংলার বাইরে হোলিকা দহন (Holika Dahan) নামেও পরিচিত। কিন্তু কীভাবে এবং কেনই বা  এই ন্যাড়া পোড়ানোর রীতির প্রচলন হল? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই হয়তো জানেন না। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে জানব, কী এই ন্যাড়া পোড়া?

    পিছনে আছে এক পৌরাণিক কাহিনী (Holika Dahan)

    এই রীতির পিছনে আছে এক পৌরাণিক কাহিনি, যার ওপর ভিত্তি করেই আজকের ন্যাড়া পোড়া (Holika Dahan)। রাক্ষসরাজ হিরণ্যকশিপু সব সময় তাঁর প্রজাদের ওপর অত্যাচার চালাতেন। এমনকী তাদের পূজার্চনাতেও বিঘ্ন ঘটাতেন। সব সময় নিজের শক্তিকে ভুল ভাবে প্রয়োগ করতেন। এক সময় তিনি অমরত্ব লাভের জন্য ভগবান ব্রহ্মার তপস্যায় বসেন। তাঁর এই কঠোর তপস্যায় খুশি হয়ে ভগবান ব্রহ্মা তাঁকে মোট পাঁচটি বর প্রদান করেন। যে পাঁচটি বর ছিল-কোনও মানুষ বা কোনও প্রাণী তাঁকে মারতে পারবে না। ঘরের ভিতরে বা ঘরের বাইরে তাঁর মৃত্যু হবে না। তাঁর মৃত্যু দিনেও হবে না, রাতেও হবে না। অস্ত্র দ্বারাও হবে না, শস্ত্র্র দ্বারাও হবে না। হিরণ্যকশিপুর মৃত্যু জমিতেও হবে না, জলেও হবে না, শূন্যেও হবে না।  এই বর পাওয়ার পর থেকে হিরণ্যকশিপু দেবতাদের ওপর আরও অত্যাচার চালাতে শুরু করেন। 

    অশুভ শক্তিকে হারিয়ে শুভ শক্তির জয় (Holika Dahan) 

    হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ ছিল ভগবান বিষ্ণুর ভক্ত। তাই প্রহ্লাদকে হত্যা করার জন্য নিজের বোন হোলিকার সাহায্য নেন তিনি।  এই হোলিকা ভগবান ব্রহ্মার কাছ থেকে একটি বিশেষ শাল পেয়েছিলেন, যা তাকে সব সময় রক্ষা করত। হোলিকা হিরণ্যকশিপুকে জানান, তিনি প্রহ্লাদকে নিয়ে এই শাল জড়িয়ে আগুনের মধ্যে বসবেন। এতে শাল তাঁকে রক্ষা করলেও প্রহ্লাদকে পুড়িয়ে ভস্ম করে দেবে। কিন্তু যেই প্রহ্লাদকে নিয়ে হোলিকা আগুনে প্রবেশ করেন, তখনই গায়ের শালটি তাঁর কাছ থেকে প্রহ্লাদের গায়ে গিয়ে পড়ে। তাই প্রহ্লাদের কিছু না হয়ে পুড়ে ছাই হয়ে যান হোলিকা। এর পরেই ভগবান বিষ্ণু নরসিংহ রূপ নিয়ে হিরন্যকশিপুকে হত্যা করেন, যে ঘটনা সবাই জানে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আজও হোলির আগের দিন হোলিকা দহন (Holika Dahan) বা ন্যাড়া পোড়ার রীতি চলে আসছে। দোলের আগের দিন হোলিকা দহন করে মনের সব পাপ, অশুচি, লোভকে শেষ করে ফেলে এক শুভ দিনের সূচনা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Holi 2024: হোলিতে রং খেলার পর কীভাবে নিজেকে ঝকঝকে করে তুলবেন?

    Holi 2024: হোলিতে রং খেলার পর কীভাবে নিজেকে ঝকঝকে করে তুলবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্ত উৎসব বা হোলিতে (Holi 2024) অনেকেই চুটিয়ে রং খেলেন। বসন্তের আবির এবং পলাশ রঙে মেতে ওঠেন সকলে। কিন্তু এই আবহে চুল এবং ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার। রং খেলার পর নানা ভাবে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বকে জ্বালা, ক্ষয় ইত্যাদি সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। কীভাবে যত্ন নেবেন একবার জেনে নিন। দেখে নিন, কীভাবে হয়ে উঠবেন সেই আগের মতো।

    কেন রং ক্ষতিকারক? (Holi 2024)

    উত্তরাখণ্ডের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশা সাকলানি বলেছেন, “হোলিতে (Holi 2024) আবিরের সঙ্গে অনেক পরিমাণে শুকনো রং, পেইন্ট এবং ভেজা রং ব্যবহার করা হয়। আবির বা রঙে প্রচুর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দাম কম হওয়ায় বেশি পরিমাণে ব্যবহার হয় এগুলি। কিন্তু এতে বেশি পরিমাণে ক্ষতিকারক রাসায়নিক দেওয়া থাকে। ত্বক ও চুলের জন্য অনেক ক্ষতি করে।” তাই বসন্তের দোল উৎসবে (Holi 2024) রং খেলার সময় খুব সর্তকতা এবং নিয়ম মানলে ত্বককে ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যায়। তবে কোনও বিশেষ রোগ থাকলে রং না খেলাই ভালো। ভেষজ রং বা আবির ব্যবহারের দিকে নিজর রাখতে হবে।

    ময়েশ্চারাইজার মাখুন

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির ছোট থেকে বড় সকলের ময়েশ্চারাইজার মেখে দোলে (Holi 2024) রং খেলা উচিত। শুধু মুখে নয়, সারা শরীরে এটি মেখে রং খেলুন। ফলে ত্বকের মধ্যে রং বসে যাবে না এবং ক্ষতি কম করবে। তাড়াতাড়ি রং ওঠার ক্ষেত্রে ভীষণ সুবিধাজনক হবে। তবে স্টেরয়েড ধর্মী কোনও ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো।

    নারকেল তেল মাখুন

    দোলে (Holi 2024) রং খেলার আগে কোনও রকম শ্যাম্পু ব্যবহার করার দরকার নেই। এতে মাথার তালু শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। নারকেল তেল, জোজোবা অয়েল এক সঙ্গে মিশিয়ে দোলের আগের দিন রাতে চুলে ভালো করে মাখতে হবে। শুষ্ক ভাব থাকবে না এবং চুলের ক্ষতি কম হবে।  এতে রং চুলের ক্ষতি কম করবে। হোলির দিনে রং মাখার আগে শরীরে সানস্ক্রিন ভালো করে মেখে নিন। রং খেলার অন্তত দু’দিন আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

    কীভাবে রং তুলবেন?

    হোলিতে রং খেলার (Holi 2024) পর চুল থেকে তা সঠিক ভাবে পরিষ্কার করতে প্রথমে একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে চুলগুলিকে পরিষ্কার করুন। এতে লেগে থাকা শুষ্ক রং পড়ে যাবে। তারপর শুধুমাত্র হালকা গরম জল দিয়ে ভালো করে চুলগুলিকে ধুয়ে ফেলতে হবে। ফলে চুলে আটকে থাকা অতিরিক্ত রং ও ময়লা ঝরে যাবে। এরপর হালকা বা হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে। আর সম্ভব হলে চুল ধোয়ার পর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এই ভাবে আপনার চুলে ক্ষতি কম হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share