Tag: Fever

Fever

  • Climate change: তাপমাত্রার রকমফেরে ভোগান্তির শেষ নেই! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    Climate change: তাপমাত্রার রকমফেরে ভোগান্তির শেষ নেই! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শেষ নাকি বসন্তের শুরু, স্পষ্ট করে বোঝা মুশকিল। সকালে গাঢ় কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া। আবার বেলা বাড়তেই অস্বস্তি! সব মিলিয়ে আবহাওয়ার হাবভাব (Climate change) টের পাওয়া কঠিন। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে! আর তার জেরেই বাড়ছে ভোগান্তি। বিশেষত প্রবীণ ও শিশুদের নিয়ে বাড়তি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা জরুরি। না হলেই বাড়াবাড়ি হতে পারে।

    কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে? (Climate change)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। আর তার জেরেই বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ছে। সক্রিয় হচ্ছে নানান ব্যাকটেরিয়া। আর তার জেরেই নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ভাইরাস ঘটিত রোগের জেরে দেখা দিচ্ছে সর্দি-কাশি এবং জ্বর। বিশেষত শিশুদের এই সময়ে জ্বরের প্রকোপ বেশি‌ দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রবীণদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্রবীণ মানুষই‌ ফুসফুসের অসুখে কাবু। বায়ুদূষণ সহ একাধিক কারণে তাঁদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমছে। তার উপরে বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হওয়ায় শ্বাসনালী এবং ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাশি কমতে অনেকটাই সময় নিচ্ছে। অর্থাৎ সংক্রমণের দাপট অত্যন্ত বেশি। তাই ভোগান্তি বাড়ছে।
    শ্বাসনালীর সংক্রমণের জেরেও নানান ভোগান্তি দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই হাঁপানির সমস্যায় আক্রান্তদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি। তাই বছরের এই সময়ে তাঁদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি।
    তাছাড়া, এই সময়ে পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জেরে পেটের অসুখ দেখা দিচ্ছে। হজমের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।

    চিকেন পক্স

    তবে বছরের এই সময়ে চিকেন পক্স নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়েই এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই এই সময়ে যাতে সর্দি-জ্বর কাবু করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এসবের পাশপাশি বছরের এই ঋতু পরিবর্তনের সময়ে (Climate change) অনেকেই ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এই সময়ে আবহাওয়ার জেরে এক ধরনের শুষ্কতা দেখা দেয়। তার ফলেই ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Climate change)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ভোরে বা সন্ধ্যায় বাইরে থাকলে গলা ও মাথা হালকা কাপড়ে ঢেকে রাখলে ভালো। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণদের জন্য এই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা হাওয়ার জেরে অনেক সময়েই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে ইনফেকশন হয়ে যায়। আর তার থেকেই জ্বর-কাশির মতো ভোগান্তি শুরু হয়। তাই সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
    পাশপাশি রাতে ঘুমানোর সময় পাতলা চাদর অবশ্যই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাতে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমবে।
    দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীর শক্তিশালী থাকা দরকার। তাই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন। তাই এই সময়ে (Temperature variation) নিয়মিত লেবুর রস খাওয়া দরকার। কারণ লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমায়। আবার ভিটামিন সি ত্বকের জন্যও উপকারী। তাই এই লেবু, কিউই জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে ত্বকের শুষ্কতার সমস্যাও কমবে।
    পেটের অসুখ মোকাবিলায় এই সময়ে (Climate change) অতিরিক্ত পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে আবহাওয়া শুষ্ক হয়। শরীরে যাতে জলের পরিমাণ কমে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তাতে কমবে।
    সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছ-মাংস-ডিমের মতো প্রাণীজ প্রোটিন হোক কিংবা সব্জি, যেকোনও রান্না কম তেলমশলায় করতে হবে। যাতে হজম সহজেই হয়। তাহলে একাধিক অসুখ মোকাবিলা সহজ হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • HFMD: বর্ষায় বাড়ছে এইচএফএম রোগের দাপট? কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    HFMD: বর্ষায় বাড়ছে এইচএফএম রোগের দাপট? কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্কুল থেকে ফিরেই জ্বর! সঙ্গে দেখা দিচ্ছে সর্দি, হাঁচি, কাশির মতো উপসর্গ। বর্ষার মরশুমে (Monsoon) এমন সমস্যা হামেশাই হয়। সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর কিংবা গলাব্যথার মতো সমস্যায় ভোগে কমবেশি সব বয়সীরাই। কিন্তু শিশুদের এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বাড়তি সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম)। আর তার (HFMD) জেরেই ভোগান্তি বাড়ছে‌। সতর্ক না হলে ভাইরাসের দাপট বাড়বে। শিশুদের ভোগান্তিও আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসকদের একাংশ। 

    হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম) কী? (HFMD)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম) হল এক ধরনের ভাইরাস ঘটিত অসুখ। এই রোগের কোনও টিকা নেই। এই ভাইরাস খুব সহজেই একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত হাঁচি এবং কাশির মাধ্যমেই এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। তাই সচেতনতা ও সতর্কতাই পারে এই রোগের সংক্রমণ রুখতে। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে এই রোগের দাপট কম থাকে। শিশুদের ভোগান্তি বেশি হয়। তাই পরিবারের খুদে সদস্যদের নিয়েই সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 

    কেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, সাধারণ শীতের মরশুমে এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু চলতি বছরে বর্ষার মরশুমেও হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজের প্রকোপ বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দিল্লি, মহারাষ্ট্র সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যেও এই রোগ (HFMD) হচ্ছে। ২ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যেই এই রোগের প্রকোপ বেশি‌ দেখা দিচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে তাপমাত্রার রকমফের হয়। আর তার জেরেই বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়। চলতি বছরে কলকাতা ও রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় মারাত্মক গরম পড়েছিল। বর্ষার মরশুমে সেই তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে। সেই কারণেই বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম)-এর দাপট। 

    কীভাবে এই রোগ শনাক্ত হবে? (HFMD)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজে (এইচএফএম) প্রথমে সাধারণ জ্বরের মতোই লক্ষণ দেখা যায়। শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বাড়তে থাকে। তার সঙ্গে দেখা যায় সর্দি, গলাব্যথা। এরপরে শরীরের বিভিন্ন অংশে বিশেষত পায়ের পাতা, মুখের ভিতর, ঠোঁট এবং হাতে লাল ফোস্কার মতো দাগ ফুটে ওঠে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, অধিকাংশ অভিভাবকেরা অনেক সময়েই এই রোগকে চিকেন পক্স ভাবেন। কিন্তু চিকেন পক্স আর হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম) সম্পূর্ণ আলাদা। এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুর খাওয়ার ইচ্ছে সম্পূর্ণ চলে যায়। 

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন? (Monsoon)

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি। শরীরের কোথাও র ্যাশ দেখা দিচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। উপসর্গ দেখা দিলে কোনও রকম দেরি করা উচিত নয়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ানো দরকার। শিশু হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজে (এইচএফএম) আক্রান্ত (HFMD) হলে অন্তত ১৪ দিন স্কুলে পাঠানো উচিত নয়। এই রোগ খুবই সংক্রামক। আক্রান্তের থেকে বহু শিশুর দেহে এই রোগ ছড়াতে পারে। তাই এই বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকা জরুরি।‌ 
    আক্রান্তের খাবার থালা, গ্লাস যাতে পরিবারের অন্য কেউ ব্যবহার না করে, সেদিকেও‌ নজর দেওয়া জরুরি বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকলেই সন্তানের ভোগান্তি কমবে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hepatitis: প্রকোপ বাড়ছে হেপাটাইটিসের! জমা জলেই কি বিপত্তি? কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের? 

    Hepatitis: প্রকোপ বাড়ছে হেপাটাইটিসের! জমা জলেই কি বিপত্তি? কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে রাজ্য জুড়ে বাড়ছে নানা রোগের দাপট। আর তার মধ্যে সব চেয়ে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস (Hepatitis)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হেপাটাইটিসের সমস্যা বাড়ছে। লিভারের এই রোগে শিশু এবং বয়স্কদের ভোগান্তি বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি বেশ জটিল হচ্ছে। বর্ষার জমা জলের জেরেই হেপাটাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন বাড়ছে হেপাটাইটিসের প্রকোপ? (Hepatitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বর্ষার মরশুমে জল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। একটানা বৃষ্টি হলেই রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় জল জমে যায়‌। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে যায়। আর এর জেরে অনেক সময়েই পানীয় জল পরিশ্রুত থাকে না। নিকাশি নালা ফেটে যায়। কোথাও আবার পানীয় জলের পাইপও ফেটে যায়। পানীয় জল, নোংরা জলের সঙ্গে মিশে যায়। আর এই ধরনের ঘটনার জেরেই হেপাটাইটিসের মতো‌ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, চলতি মরশুমে শিশুদের মধ্যে হেপাটাইটিসের প্রকোপ বাড়ছে‌। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলে একটানা বৃষ্টির জেরে জল জমেছে (Stagnant Water)। অনেক সরকারি স্কুলে পরিশ্রুত পানীয় জল নেই। বহু শিশুকেই স্কুলে গিয়ে অপরিশ্রুত জল খেতে হচ্ছে। যার জেরে হেপাটাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

    কীভাবে চিনবেন হেপাটাইটিস?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, জ্বর, ক্লান্তি বোধের পাশপাশি হেপাটাইটিস (Hepatitis) আক্রান্ত হলে রোগীর পেটে ব্যথা হয়, হাত ও পায়ের চামড়ায় হলদে ভাব আসে। চোখের সাদা অংশেও হলুদ ছোপ দেখা যায়। আবার রোগীর বারবার বমির মতো উপসর্গ দেখা যায়। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। কোন ধরনের হেপাটাইটিসে রোগী আক্রান্ত, সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা করতে হবে? (Hepatitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, হেপাটাইটিস রুখতে টিকা জরুরি। শিশুদের হেপাটাইটিস টিকাকরণ জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, শিশুদের হেপাটাইটিসের টিকা দেওয়া হলে এই রোগের ঝুঁকি কমে। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদেরও হেপাটাইটিসের টিকা নেওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠিকমতো টিকাকরণ হলে এই রোগের দাপট যেমন কমবে, তেমনি ভোগান্তিও কমবে। এর পাশপাশি জল নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শিশুদের সুস্থ রাখতে বর্ষার মরশুমে জল ফুটিয়ে খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পানীয় জল যাতে পরিশ্রুত হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। না হলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। জল ঢেকে রাখা কিংবা যে পাত্রে জল রাখা হচ্ছে, তা নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। তবেই এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব (Stagnant Water)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Health Update: বর্ষা আসতেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, জ্বর হলেই পরীক্ষার নির্দেশ

    Health Update: বর্ষা আসতেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, জ্বর হলেই পরীক্ষার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই বর্ষাকাল। তবে জাঁকিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়নি এখনও। তা সত্ত্বেও শহরে বাড়ছে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার (Dengue and malaria) প্রকোপ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে (Health Update) জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪১। মৃত্যুর কোনও খবর এখনও নেই। এপ্রিল মাসের শেষে এ রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা  ২ হাজার ১৬৪ জন। বাংলায় মৃত্যু হয়েছে এক ম্যালেরিয়া রোগীর। ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। বিভিন্ন জেলায় দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ।

    বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা

    বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এক সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে একশোর ঘর। গত ছ’মাসে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হাজার দেড়েক। সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এর পরেই রয়েছে কলকাতা। এখানে মশা-বাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে একশোর কোঠা। মালদা, মুর্শিদাবাদ, আসানসোল এবং হুগলির ছবিটাও ভয় ধরায় মনে।

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছর জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৮। উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৭০ ছাড়িয়েছে (Health Update)। মালদায়ও সংখ্যাটা প্রায় একই। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শোর ওপরে। হুগলিতে দেড়শোর কাছাকাছি। প্রসঙ্গত, গত বছর এ রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ ভেঙে দিয়েছিল গত এক যুগের রেকর্ড।

    আরও পড়ুন: ‘‘মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলই প্রকাশ করুন’’, টেটের ৪২০০০ নিয়োগ নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এমতাবস্থায় জ্বর হলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অল্প জ্বর হলেও, ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে এই মর্মে নির্দেশও পাঠানো হয়েছে। এজন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে।

    এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, “জ্বর, মাথাব্যথা, গাঁটে-গাঁটে ব্যথা ছাড়াও, হালকা জ্বর এবং পেটে মোচড় দেওয়ার মতো উপসর্গও এবার দেখা যাচ্ছে। তাই পেট খারাপ ও অল্প জ্বর হলেও, ডেঙ্গির (Dengue and malaria) এনএস ওয়ান পরীক্ষা লিখতে হবে প্রেসক্রিপশনে (Health Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Zika virus: গর্ভবতীদের বিপদ বাড়াচ্ছে জিকা! কতখানি বিপজ্জনক এই ভাইরাস?

    Zika virus: গর্ভবতীদের বিপদ বাড়াচ্ছে জিকা! কতখানি বিপজ্জনক এই ভাইরাস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মশাবাহিত রোগের দাপটে জেরবার বঙ্গবাসী। বর্ষা শুরু হতেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই আরেক নতুন ভাইরাসের শক্তি বৃদ্ধি বাড়তি চিন্তা তৈরি করল। এমনটাই জানাচ্ছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। মহারাষ্ট্র সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে জিকা ভাইরাসের (Zika virus) দাপট। বিশেষত গর্ভবতী মহিলাদের উপরে এই ভাইরাসের বাড়তি প্রকোপ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য প্রশাসন? (Zika virus)

    সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি-র তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাঠানো নমুনায় জিকা ভাইরাসের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায়, সে দিকে এখন থেকেই কড়া নজরদারি জরুরি বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তাই জিকা-র সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও দ্রুত প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, গর্ভবতী মহিলারা এই সংক্রমণের বেশি শিকার হচ্ছেন। ইতিমধ্যে দেশের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে জিকা আক্রান্ত হয়ে গর্ভবতী মহিলাদের ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই এই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ ও বাড়ছে‌।

    জিকা সংক্রমণ কী?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিকা (Zika virus) একটি মশাবাহিত রোগ। মূলত, এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে যায়। মার্তৃগর্ভে থাকা শিশুও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এর জেরে প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটে।

    জিকা ভাইরাসের উপসর্গ কী? (Zika virus)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। রোগীর মারাত্মক মাথার যন্ত্রণা হয়। পেশিতেও ব্যথা হয়। দেহের বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি হয়। পাশপাশি কনজাংটিভাইটিসের মতোই চোখ লালচে হয়ে যায়। চোখের ভিতরে এক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। তাই এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়। আর দ্রুত রোগ নির্ণয় হলে তা নিরাময় সহজ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Zika Virus: চিকিৎসকের শরীরে মিলল জিকা ভাইরাস, আক্রান্ত কিশোরী কন্যেও

    Zika Virus: চিকিৎসকের শরীরে মিলল জিকা ভাইরাস, আক্রান্ত কিশোরী কন্যেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই উপদ্রব বাড়ছে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের। এবার প্রকাশ্যে এল জিকা ভাইরাসে (Zika Virus) আক্রান্ত হওয়ার খবর। যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি নিজেই পেশায় চিকিৎসক। মহারাষ্ট্রের পুণের এই ঘটনায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

    জিকা ভাইরাস (Zika Virus)

    জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বছর ছেচল্লিশের ওই চিকিৎসক ও তাঁর কিশোরী কন্যা। জ্বর না সারায় তাঁদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। রক্তের নমুনা পাঠানো হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় জানা যায়, জিকা ভাইরাসে (Zika Virus) আক্রান্ত পিতা-পুত্রী। যদিও তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের রক্তে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি। জিকা ভাইরাস ডিজিজ একটি মশাবাহিত রোগ। এই রোগের ভাইরাস বহন করে এডিস মশা। এই এডিস মশাই ছড়ায় ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া এবং ইয়োলো ফিভার। এই মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়।

    রোগের লক্ষণ

    এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হালকা জ্বর হবে। সারা গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দেবে। মাথাব্যথা করবে। পেশি এবং গাঁটে গাঁটে ব্যথা হবে। চোখের নীচে হবে প্রদাহ। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির স্নায়বিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। কোনও গর্ভবতী এই রোগে ভুগলে তাঁর শিশুর দেখা দিতে পারে জন্মগত ত্রুটি। পুণে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট হেল্থ অফিসার রাজেশ দিঘে বলেন, “৪৬ বছরের এক চিকিৎসক ও তাঁর কিশোরী মেয়ে যাঁরা পুণে শহরের এরান্ডওয়ান এলাকার বাসিন্দা, তাঁদের শরীরে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। দুজনকেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকের শরীরে জিকা ভাইরাসের লক্ষণ দেখে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পুণের এনআইভিতে। ২১ জুন রিপোর্ট মেলে। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদেরও নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তাতেই জানা যায়, তাঁর মেয়েও এই ভাইরাসে আক্রান্ত। যদিও পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি।”

    আর পড়ুন: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    তিনি জানান, এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে এলাকাবাসীকে তাঁদের বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, জিকা ভাইরাসের (Zika Virus) প্রথম সন্ধান মেলে ১৯৪৭ সালে, আফ্রিকার উগান্ডায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • West Nile fever: ওয়েস্ট নাইল ফিভারে কাবু কেরল! কীভাবে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? জানুন এই রোগের লক্ষণ

    West Nile fever: ওয়েস্ট নাইল ফিভারে কাবু কেরল! কীভাবে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? জানুন এই রোগের লক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এক ভাইরাল জ্বরের (West Nile fever) ভাইরাস কাবু করেছে দক্ষিণ ভারতের কেরালার বেশ কিছু মানুষজনকে। তবে মশার কামড়ে সৃষ্ট এই রোগ পরিচিত ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া নয়। জানা গিয়েছে, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস থেকে সৃষ্ট এই রোগ বিশেষত দেখা গিয়েছে কেরলের কোঝিকোড়, ত্রিশূর এবং মালাপ্পুরাম এলাকায়। 

    ইতিমধ্যেই কেরলে (Kerala) ওয়েস্ট নাইল ফিভারের (West Nile fever) একাধিক কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। এই রোগে সংক্রমিত ব্যক্তিদের পরীক্ষার নমুনাগুলি পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বর্তমানে সকলেই চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।  

    ওয়েস্ট নাইল ফিভার আসলে কী? (West Nile fever)

    ওয়েস্ট নাইল ফিভার হল ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (West Nile virus) দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। ভাইরাসটি সাধারণত আফ্রিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য,‌ উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার পাওয়া যায়। কেরালা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের মতে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মানুষের মধ্যে একটি মারাত্মক স্নায়বিক রোগের সৃষ্টি করে। বেশিরভাগ সময়ে এই রোগের কোন উপসর্গ দেখা যায় না।  

    ওয়েস্ট নাইল ফিভারের উৎপত্তি 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসটি ফ্ল্যাভিভাইরাস গোষ্ঠীর সদস্য এবং এটি ফ্ল্যাভিভিরিডি পরিবারের জাপানিজ এনসেফালাইটিস অ্যান্টিজেনিক কমপ্লেক্সের অন্তর্গত। ১৯৩৭ সালে প্রথম এই ভাইরাস উগান্ডায় পাওয়া যায়। এরপর ২০১১ সালে কেরলে (Kerala) ওয়েস্ট নাইল ফিভারের (West Nile fever)  প্রথম কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে, মালাপুররামের একটি ছয় বছর বয়সী একটি ছেলে এই রোগে মারা গিয়েছিল। ২০২২ সালে, ত্রিশুর জেলার একজন ৪৭ বছর বয়সী ব্যক্তিও এই ভাইরাস থেকে মারা গিয়েছিলেন।

    ওয়েস্ট নাইল ফিভারের লক্ষণ

    এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত বেশিরভাগ মানুষই উপসর্গবিহীন। অনেক ক্ষেত্রে সংক্রামিত মশার কামড় থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। ওয়েস্ট নাইল ফিভারের (West Nile fever) লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা, বমিভাব, মাঝে মাঝে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া। তবে এই ভাইরাসে সংক্রমণ গুরুতর হলে উচ্চ জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, কোমা, কম্পন, খিঁচুনি, পেশী দুর্বলতা এবং পক্ষাঘাতের লক্ষণ দেখা দেয়। লক্ষণগুলি সাধারণত ৩ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে স্থায়ী হয়। 

    আরও পড়ুন: জাল আধার কার্ড বানিয়ে কেরলে রয়েছে ৫০ হাজার অনুপ্রবেশকারী!

    ওয়েস্ট নাইল ফিভারের চিকিৎসা

    এই ভাইরাসে সংক্রমণ ঘটলে যে কোনও বয়সের মানুষের মধ্যে গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। বিশেষত ৫০ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই জ্বরে আক্রান্ত হলে গুরুতরভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (West Nile virus) দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের জন্য কোনও ভ্যাকসিন এখনও তৈরি হয়নি। এই রোগে হাসপাতালে ভর্তি হলে রোগীকে মূলত স্যালাইন, অক্সিজেন দিয়েই প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heatwave: তাপমাত্রা বাড়তেই গা গরম? সন্তানের শরীর জ্বরে পুড়ছে? কীভাবে সুস্থ রাখবেন? 

    Heatwave: তাপমাত্রা বাড়তেই গা গরম? সন্তানের শরীর জ্বরে পুড়ছে? কীভাবে সুস্থ রাখবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে নাজেহাল আট থেকে আশি। তাপমাত্রার পারদ বাড়তেই (Heatwave) নানান শারীরিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। বিশেষত শিশুদের একাধিক সমস্যা বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়তি সতর্ক না হলেই বিপদ বাড়বে। কলকাতায় ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। একই অবস্থা রাজ্যের অন‌্যান্য জেলাগুলোতেও। বিশেষত বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি। তাপপ্রবাহের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগামী কয়েকদিন রাজ্যের সর্বত্র গরম বাড়বে। অস্বস্তি থাকবেই। আর এই পরিস্থিতিতেই শিশুদের এক বিশেষ সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কী ধরনের জ্বর দেখা দিচ্ছে?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে শিশুদের জ্বর হচ্ছে। কিন্তু কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত কারণে এই জ্বর নয়। একে জ্বর বলতেও নারাজ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তাপমাত্রার পারদ মারাত্মক বাড়ছে‌। আর এই পরিবর্তনের সঙ্গে শরীর মানিয়ে নিতে পারছে না। বিশেষত পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের শরীর আরও বেশি মানিয়ে নিতে পারছে না। পরিবেশের তাপমাত্রার (Heatwave) সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা মানিয়ে নিতে না পারলে অনেক সময়েই এই সমস্যা দেখা যায়। তাই বাইরে গরমের জেরে অনেক শিশুর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। থার্মোমিটারে দেখা যাচ্ছে, অনেক সময়েই শরীরের তাপমাত্রা ১০০ থেকে ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একে Heat exhaustion বলা যেতে পারে। শিশুদের এই সমস্যা বেশি হচ্ছে। কারণ, পাঁচ বছরের কম বয়সি অধিকাংশ শিশুর ঘাম কম হয়। আর তার জেরেই শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন? (Heatwave) 

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই গরমে শিশুকে সুস্থ রাখতে জল বেশি পরিমাণে খাওয়ানো জরুরি। গরমে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। মূত্রত্যাগের পরিমাণ কমছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, দেড় থেকে দু’গুণ পরিমাণ জল খাওয়া বাড়াতে হবে। তবেই এই সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাবের জল খাওয়া জরুরি। তিন বছরের উর্ধ্বে শিশুদের গরমে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাবের জলে থাকে একাধিক খনিজ পদার্থ। তাই শরীরে জলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ক্লান্তি দূর করতে ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করে ডাবের জল। 
    তরমুজ জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন এই আবহাওয়ায় (Heatwave) রসালো ফল খাওয়া দরকার। তরমুজ, ড্রাগন ফ্রুটের মতো ফল শিশুরা খেলে একদিকে এনার্জির জোগান হবে আরেকদিকে শরীর ঠান্ডা থাকবে। ফলে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

    প্রাণীজ প্রোটিনে সতর্কতা

    পাশপাশি প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়া কতটা পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন শিশুকে দেওয়া হবে, সেদিকে নজরদারি জরুরি। কারণ, প্রাণীজ প্রোটিন সহজপাচ্য নয়। তাই পরিমাণের দিকে বিশেষ‌ নজরদারি জরুরি। 
    তবে, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুর শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার (Heatwave) পাশাপাশি ঝিমিয়ে থাকলে, হাত ও পায়ের পেশিতে খিঁচুনি কিংবা অত্যন্ত যন্ত্রণা অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। যাতে পরিস্থিতি বিপজ্জনক না‌ হয়, সেদিকে সতর্ক থাকা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Antibiotics: ইচ্ছেমতো ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন! বিপদ বাড়ছে না তো?

    Antibiotics: ইচ্ছেমতো ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন! বিপদ বাড়ছে না তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে এখন জ্বরের দাপট। কেউ সাধারণ সর্দি-কাশিতে ভুগছেন, কেউ ভাইরাসঘটিত জ্বরে। আবার কোথাও ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো রোগ দাপট দেখাচ্ছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা হোক কিংবা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো জটিল ভাইরাসঘটিত জ্বর, নাজেহাল আট থেকে আশি। কিন্তু এর মধ্যেই বিপদ বাড়াচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আগাম সতর্ক না হলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হবে। তাই প্রয়োজন সচেতনতার।

    কেন অ্যান্টিবায়োটিক বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সামান্য সর্দি-কাশি হোক কিংবা কোনও সাধারণ ভাইরাসঘটিত জ্বর বা ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগ, অনেকেই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন। যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। অনেক রোগীই ইচ্ছেমতো ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) কিনে খাচ্ছেন। সম্পূর্ণ কোর্স করছেন না। অর্থাৎ, যে অ্যান্টিবায়োটিক চারটি খাওয়া দরকার, নিজের অনভিজ্ঞতার জেরে দুটো খাওয়ার পরেই বন্ধ করে দিচ্ছেন। ফলে, শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

    কোন ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবায়োটিক সব রোগের নিরাময় নয়। একথা অধিকাংশ মানুষ বোঝেন না। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। এতে রোগ কমে না। বরং ভোগান্তি বাড়ে। অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক যেমন রোগ কমাতে পারে না, তেমনি শরীরকে দুর্বল করে দেয়। যার জেরে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়। রক্তচাপ ওঠানামা করে। সর্বোপরি স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ জ্বর আর সর্দি-কাশিতে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে পরবর্তীতে শ্বাসকষ্ট জাতীয় সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) ব্যবহার করলে একাধিক জটিলতা তৈরির ঝুঁকি হয় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। লিভার, কিডনির মতো অঙ্গ বিকল হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    বিশেষত শিশুদের যথেষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেই মনে করছেন অধিকাংশ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুদের একাধিকবার সর্দি-কাশি হয়। বারবার অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক দিলে, শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাবে। দীর্ঘ জীবনে নানা জটিল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি কমবে। যা পরবর্তীতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। 
    অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরির ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হল, শরীরে আর কোনও অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। এমন পরিস্থিতিতে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা এমন কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত হলে, যখন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করা জরুরি, তখন শরীর সাড়া দেয় না। ফলে রোগীর প্রাণ সংশয় তৈরি হয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, সর্দি-কাশি হোক কিংবা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো অসুখ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনই অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খাওয়া চলবে না। ওষুধের দোকান থেকে ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বিপদ বাড়ায়। কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কখন খেতে হবে, কতগুলো খেলে শরীরের জন্য ঠিক, তা একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলতে পারবেন। তাই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিলে তবেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Pneumonia: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি? 

    Pneumonia: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে! আর সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া (Pneumonia)। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ সতর্ক হতে হবে।

    কাদের ভোগান্তির (Pneumonia) আশঙ্কা বেশি? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউমোনিয়ায় (Pneumonia) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদের জন্যও নিউমোনিয়া দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। গোটা পৃথিবীর মোট নিউমোনিয়া আক্রান্তের ২৭ শতাংশ ভারতে হয়। প্রতি বছর ৩০ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া। তাই নিউমোনিয়া নিয়ে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সেই এই রোগ হতে পারে। তবে, শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। বিশেষত, ৬০ বছরের উর্ধ্বে এই রোগে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতে পারে।

    নিউমোনিয়া (Pneumonia) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া (Pneumonia) হল ফুসফুসের সংক্রমণ। ঠান্ডা লাগলে ফুসফুসে এক ধরনের জীবাণু সংক্রমণ হয়। যার জেরে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে। 

    কী কী উপসর্গ (Pneumonia) হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? 

    সাধারণ সর্দি-কাশি থেকেও নিউমোনিয়ার (Pneumonia) সমস্যা হতে পারে। তাই শিশুদের মতোই বয়স্কদের জন্য সচেতনতা জরুরি। যদি কয়েক সপ্তাহ লাগাতার কাশি-সর্দির মতো উপসর্গ থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এছাড়া, যাদের ফুসফুসের কোনও সমস্যা রয়েছে, বর্ষা বা শীত, যে কোনও ঋতু পরিবর্তনের সময় তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও তাদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়ার অন্যতম উপসর্গ হল বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। তাই সর্দি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে বাড়তি সতর্কতা দরকার। 
    অনেক সময় কাশির সঙ্গে সামান্য রক্তপাত হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটাও নিউমোনিয়ার উপসর্গ। 
    শ্বাস নেওয়ার সময় কাশি ও যন্ত্রণা অনুভব হলে তা নিউমোনিয়ার ইঙ্গিত বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি নিউমোনিয়ার (Pneumonia) ভ্যাকসিন জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়ার মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। শিশুর জন্মের ন’মাসের মধ্যে যেমন তাকে নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। যা নিউমোনিয়া মোকাবিলায় সাহায্য করে। তেমনি বয়স্কদেরও নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। আমেরিকা, ইংল্যান্ডের মতো পশ্চিমের দেশগুলোয় প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা গড়ে উঠলেও, এদেশে সেই সচেতনতার হার কম বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাই নিউমোনিয়া (Pneumonia) রুখতে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বয়স্কদের সজাগ করাও জরুরি বলে জানাচ্ছে তারা।৬০ বছরের উর্ধ্বে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিলে বিপদ অনেকটাই কমানো যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
    তবে, ভ্যাকসিনের পাশপাশি অন্যান্য সচেতনতাও জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রকম ফ্লু হলেই বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। অবহেলা বড় বিপদ আনতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীরে জলের পরিমাণ সম্পর্কে সজাগ হতে হবে। যেমন, অতিরিক্ত জল নিউমোনিয়া আক্রান্তের জন্য ক্ষতিকর। তেমনি শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে, যা প্রাণনাশের কারণ হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share