Tag: fifth-generation fighter jets

  • India Rejects F-35 Offer: ‘এফ-৩৫ লাগবে না’, ট্রাম্পকে শেষমেশ জানিয়েই দিল ভারত! শুল্ক-কাণ্ডের জের?

    India Rejects F-35 Offer: ‘এফ-৩৫ লাগবে না’, ট্রাম্পকে শেষমেশ জানিয়েই দিল ভারত! শুল্ক-কাণ্ডের জের?

    সুশান্ত দাস

     

    ভারত-আমেরিকা শুল্ক-যুদ্ধের মধ্যেই মার্কিন এফ-৩৫ প্রস্তাব ভূপতিত করল ভারত। সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের খবর, নয়াদিল্লির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের এফ-৩৫ লাগবে না। ট্রাম্পের এফ-৩৫ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা উচিত ভারতের, কেন? রইল ১০ কারণ

    ভারত-আমেরিকার রসায়নে বদল…

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে, ভারতকে ‘এফ-৩৫’ দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় পাঁচ মাস পর, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করল ভারত। এই চার মাসে অবশ্য দুই দেশের কূটনৈতিক রসায়নে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে পাক-ভূমে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকেই ভারতকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। যার সর্বশেষ সংযোজন হল বাণিজ্য-শুল্ক নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও দর-কষাকষির মাঝেই ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করা এবং ভারতীয় অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে উল্লেখ করা।

    ট্রাম্পের উস্কানিকে আমল দিচ্ছে না ভারত

    তবে, ট্রাম্পের এই শুল্ক-উস্কানি নীতিকে বেশি আমল দিতে নারাজ ভারত। সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয়াদিল্লি স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারত কোনও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা বা পাল্টা-শুল্ক চাপানোর পথে হাঁটবে না। স্রেফ জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাবে। ভারতের শীর্ষ কর্তাদের উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সোনা ও যোগাযোগ সরঞ্জাম নিয়ে যেমন আলোচনা চলছিল, তেমনই চলবে। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনকে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত এখন আমেরিকার সঙ্গে নতুন কোনও চুক্তি করবে না।

    ট্রাম্পের ট্যারিফ-যুদ্ধের জের?

    ভারতের এই ঘোষণার সময় তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ২৯ জুলাই ট্রাম্প ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি, এও জানান, ভারত যদি এর পরেও রাশিয়া থেকে তেল বা অস্ত্র কিনতে থাকে, তাহলে, নয়াদিল্লির ওপর জরিমানা থেকে শুরু করে নিষেধাজ্ঞাও চাপতে পারে। যদিও, জরিমানার অঙ্ক বা ঠিক কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা, তা খোলসা করেননি ট্রাম্প। ঠিক পরেই এফ-৩৫ না নেওয়ার কথা আমেরিকাকে জানায় ভারত। ফলে, ‘দুইয়ে-দুইয়ে চার’ করার কাজ শুরু হয়ে যায়।

    প্রযুক্তি হস্তান্তর ছাড়া চুক্তি নয়

    যদিও, ভারত এই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত জানিয়েছে, বিদেশ থেকে শুধু কেনার চেয়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতে যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চায় তারা। যা মার্কিন এফ-৩৫-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অন্যদিকে, ভারত দেশে যৌথ অংশিদারিত্বে উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে। ফলে, আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধবিমান চুক্তি করে লাভ নেই ভারতের। একইসঙ্গে, ভারত এও জানিয়েছে, বর্তমানে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের যে সামরিক ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তিগুলি আছে, তাতে কোনও হেরফের হবে না। সেগুলি থাকছে। তবে, ঠিক সময়ে সরঞ্জাম না পাওয়া নিয়ে উষ্মা গোপন রাখেননি নয়াদিল্লির কর্তারা। আমেরিকার থেকে ৬টি অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনেছে ভারত। চুক্তি হয়েছিল ২০২০ সালে। দেওয়ার কথা ২০২৪ সালে। ১৫ মাস দেরিতে ভারতে এসেছে সেই কপ্টার। তাও, ৬টা নয়, এসেছে তিনটে ইউনিট।

    জ্বলছেন ট্রাম্প, হাসছেন পুতিন!

    এদিকে, ভারত এফ-৩৫-কে প্রত্যাখ্যান করায় ভ্লাদিমির পুতিনের মুখে চওড়া হাসি। ভারতের দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান অ্যামকা পেতে এখনও ১০ বছর। এই সময়ে আপৎকালীন ভিত্তিতে তিন স্কোয়াড্রন (৫৪-৬০টি) বিদেশি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। সেক্ষেত্রে ভারতের হাতে দুটো বিকল্প ছিল। মার্কিন এই-৩৫ ও রুশ সু-৫৭। এফ-৩৫-কে পত্রপাঠ বিদায় করার পর ভারতের হাতে একটিই বিকল্প— সুখোই-৫৭ কেনা। আমেরিকা যেখানে এফ-৩৫-এর প্রযুক্তি একেবারেই হস্তান্তর করতে রাজি নয়, সেখানে রাশিয়া বিমানের সোর্স কোড সহ পুরো প্রযুক্তি হস্তান্তর, এমনকি ভারতে যৌথ উৎপাদনেও রাজি। ফলে, ভারতের কাছে এই প্রস্তাব লুফে নেওয়ার মতো। বছরের শেষ দিকে ভারত সফরে আসার কথা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের। তখন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। সেই সময় যদি সু-৫৭ চুক্তি সম্পন্ন হয়, তা হবে ‘আইসিং অন দ্য কেক’। আর সেই কারণেই তো ট্রাম্পের এত জ্বালা!

  • Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    সুশান্ত দাস

    ভারতীয় সেনায় অ্যাপাচে (Apache AH-64E) অন্তর্ভুক্তি হওয়ার দুদিন পরেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এক বিরাট খবর সামনে এল। জানা যাচ্ছে, আপৎকালীন ভিত্তিতে এবার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বা স্টেলথ ফাইটার (Stealth Fighters) জেট কেনার বিষয়ে গুরুত্ব দিয় ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে মোদি সরকার (Modi Sarkar)।

    অ্যামকা (AMCA) হাতে পেতে আরও ১০ বছর

    ভারতের নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (Fifth Generation Fighter Jets) ‘অ্যামকা’ তৈরির প্রকল্প বাস্তব রূপ পেতে ঢের দেরি। ডিআরডিও এই প্রকল্পের কাজ জোরদার চালালেও, এই যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরঞ্জাম জোগাড় করা এবং তার পর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার পরেই মাস প্রোডাকশন বা অধিক সংখ্যায় তৈরি করা হবে অ্যামকা। তার পর গিয়ে তা শেষমেশ বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। আর এসব হতে হতে অন্তত ১০ বছর সময় লাগবে। অর্থাৎ, বায়ুসেনায় অ্যামকা পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত হতে আরও এক দশক!

    পাকিস্তানকে সাজাচ্ছে চিন!

    কিন্তু, ভারতের শত্রুরা তো বসে নেই। চিন তো প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়িয়েই চলেছে। উল্টোদিকে, অপারেশন সিঁদুরের ভারতের হাতে মার খাওয়ার পর থেকেই প্রতিরক্ষাকে ঢেলে সাজাচ্ছে পাকিস্তানও। আর তাতে পাকিস্তানকে সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য করছে সব ঋতুর বন্ধু চিন। এমনও শোনা গিয়েছে, বেজিং তার নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট ইসলামাবাদকে দিতে আগ্রহী। যদি তা বাস্তব হয়, তাহলে ভারতের কাছে তা বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমতাবস্থায়, ভারত কখনই চাইবে না, তেমন দিন দেখতে। ভারতকেও অবিলম্বে এই অস্ত্র নিজের ঘরে তুলতে হবে। প্রশ্ন হল, এখন ভারত কী করবে?

    শূন্যস্থান পূরণের দাবি জোরালো…

    পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটারের শূন্যস্থান পূরণের জন্য ভারত আপৎকালীন ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক যুদ্ধবিমান কেনার ভাবনাচিন্তা করছে ভারত। যা খবর আসছে, বিদেশ থেকে ২ থেকে ৩ স্কোয়াড্রন স্টেলথ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কাছে এই মর্মে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যামকা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বায়ুসেনার অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে দুই থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন (৪০-৬০টি বিমান) কেনা হোক। বায়ুসেনা তাদের প্রস্তাব পেশ করে প্রতিরক্ষা সচিব আরকে সিং-এর নেতৃত্বাধীন একটি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির কাছে। সূত্রের খবর, বাহিনীর প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রস্তুতি বাড়ানোর জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনে উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।

    কেন্দ্রকে অভিনব ফর্মুলা বায়ুসেনার

    ইতিমধ্যে এমআরএফএ (MRFA) প্রকল্পের আওতায় ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধববিমান কেনার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে ভারত। এই প্রকল্পের আওতায় ১১৪টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা। এক্ষেত্রে, ভারতের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্সের দাসো এভিয়েশনের রাফাল যুদ্ধবিমানের এফ-৪ ভেরিয়েন্ট। বায়ুসেনার এক-একটি স্কোয়াড্রনে ১৮-২০টি বিমান থাকে। অর্থাৎ, ১১৪টি যুদ্ধবিমান হল আনুমানিক ৬টি স্কোয়াড্রনের সমান। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বায়ুসনার তরফে প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র ১১৪টা ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার জায়গায় সংখ্যাটিকে দুভাগে ভাঙতে। যেমন— ৬০টা ৪.৫ প্রজন্মের আর ৫৪টা পঞ্চম প্রজন্মের। বা উল্টোটা। অর্থাৎ, ৫৪টা যুদ্ধবিমান ৪.৫ প্রজন্মের আর ৬০টা পঞ্চম প্রজন্মের। এক কথায়, তিন স্কোয়াড্রন ৪.৫ প্রজন্মের আর বাকি তিনটে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষা সচিব সেই ফর্মুলায় সম্মত হয়েছেন।

    ভারতকে প্রস্তাব দুই দেশের

    এবার প্রশ্ন, কার থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিতে পারবে ভারত? তবে, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে দেখে নেওয়া যাক, এই মুহূর্তে স্টেলথ ফাইটার জেট রয়েছে বিশ্বের কোন কোন দেশের কাছে। অপারেশনাল পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ জেট রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের। এছাড়া, আমেরিকার এফ-৩৫ ব্যবহার করে ইজরায়েল, যুক্তরাজ্য সহ কয়েকটি দেশ। চিন ভারতের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে, রইল বাকি আমেরিকা ও রাশিয়া। এদের দুজনেই তাদের স্টেলথ বিমান বিক্রির প্রস্তাব ভারতের সামনে রেখেছে। একদিকে আমেরিকা সামনে করছে তাদের এফ-৩৫এ (F-35A) যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রস্তাবে রয়েছে সু-৫৭ (Su-57)।

    কার স্টেলথ বিমান নেবে ভারত?

    তাহলে ভারত কাদের দিকে ঝুঁকবে? মার্কিন এফ-৩৫ খাতায়-কলমে বিশ্বের সেরা হলেও, এটা কেনায় অনেক জটিলতা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে এফ-৩৫ বেচতে চাইলেও, ভারত যা চাইবে, তা পাবে না (বলা ভালো দেওয়া হবে না)। যুদ্ধবিমানের নির্মাতা লকহিড-মার্টিন কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখে। নিজেদের ‘নয়নের মণি’ বিমানের প্রযুক্তি এবং যন্ত্রাংশ— উভয়ের উপরই কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখে পেন্টাগন। এমনকি, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ভারতের হাতে ছাড়া হবে না। তার জন্য ভারতে একাধিক মার্কিন কর্মীকে মোতায়েন করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কঠোর এন্ড-ইউজার মনিটরিং ক্লজ চাপাতে পারে, যাতে ভারত সায় দেবে না। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আমেরিকা চাইলে বিমানের কার্যকারিতা সীমিত করতে পারে। উপরন্তু, এফ-৩৫ রাখা প্রায় সাদা হাতি পোষার সামিল। বিমানের দাম থেকে এর রক্ষণাবেক্ষণের খরচের ভার বিপুল। এছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে, যা ভারতের বাধা।

    রাশিয়া থেকে কেনা সহজ নয়…

    তাহলে কি ভারত পুরনো বিশ্বস্ত বন্ধু রাশিয়ার সু-৫৭ যুদ্ধবিমানই কিনতে চলেছে? এখনও এই প্রশ্নের উত্তর নেই। কারণ, ভারতের কেনার বিষয়টি পুরোটাই ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে। আরও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণ হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কমিটি। তবে, রাশিয়া থেকে কেনাও এতটা সহজ হবে না। প্রধান কারণ হল আমেরিকার তীব্র আপত্তি। এমনিতেই রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা নিয়ে ভারতকে পরোক্ষে হুমকি দিচ্ছে আমেরিকা। সর্বোপরি, রাশিয়া স্টেলথ যুদ্ধবিমানের সমস্ত প্রযুক্তিই নয়, এই বিমানের সোর্স কোড-ও ভারতকে দিতে রাজি হয়েছে। এতেই তেলে-বেগুনে ট্রাম্প! রাশিয়ার স্টেলথ বিমান কেনা থেকে ভারতকে আটকাতে নয়াদিল্লির ওপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন। হুমকি দিচ্ছে, যদি ভারত রাশিয়া থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনে, তাহলে, ভারতের ওপর ‘CAATSA’ আরোপ করা হবে। সহজ কথায়, ভারতকে আমেরিকার শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

    সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না…

    তাহলে, ভারত কী করতে পারে? ইচ্ছে থাকলেও ভারত কি কিনতে পারবে না রুশ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান? উপায় একটা আছে। তা হলে, সরাসরি না কিনে, ঘুরপথে যাওয়া। অন্তত তেমনই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কেমন সম্ভব হবে সেটা? কী সেই ঘুরপথ? ভারত যেটা করতে পারে, তা হল রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রোগ্রামের অংশীদার হয়ে যাওয়া। যা ভারত একটা সময় পর্যন্ত ছিল। ২০১১ সালে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। প্রোজেক্টের নাম ছিল ‘পিএকে-এফএ টি-৫০’। তখন সু-৫৭ দিনের আলো দেখেনি। বলা যেতে পারে, বর্তমান সু-৫৭’র পূর্বসূরি ছিল ‘টি-৫০’। কিন্তু, প্রযুক্তি হস্তান্তর সহ একাধিক বিষয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৭ সালে ওই প্রকল্পে থেকে পিছিয়ে আসে ভারত। এখন রাশিয়া যদি জানায়, তারা আবার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে স্টেলথ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তাহলে ভারত অংশীদার হতে পারে। তাতে আমেরিকার বলার কোনও জায়গা থাকবে না। সেক্ষেত্রে, ভারতের কাছে সবকিছুই থাকবে। অংশীদার হিসেবে রুশ সু-৫৭ নিতে ভারতের অসুবিধে হবে না। অর্থাৎ, সাপও মরবে, আবার লাঠিও ভাঙবে না। অন্তত, তথ্যাভিজ্ঞ মহল এমনটাই মনে করছে। বাস্তবে কী হবে, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

LinkedIn
Share