Tag: Fire

Fire

  • Fire: কাঁচরাপাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি দোকান,  ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন, আতঙ্ক

    Fire: কাঁচরাপাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি দোকান, ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বুধবার ভোরে কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভূতবাগান ঝিলপাড় নেতাজি নগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে (Fire) বেশ কয়েকটি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনের(Fire)  তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশাপাশের দোকানগুলি পুড়ে যায়। আর বাজারে অধিকাংশ দোকানই কাঠের। দোকানগুলির মধ্যে প্রচুর কাঠ মজুত থাকায় আগুন (Fire) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বাজারের মধ্যে একটি গ্যারাজ ছিল। সেখানের একাধিক বাইক রাখা ছিল। সবই পুড়ে গিয়েছে। বাজার লাগোয়া একটি বাড়ি ছিল। দোকানের পাশাপাশি সেই বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

    বাজারে  কী করে আগুন লাগল ? Fire

    ঝিলপাড় নেতাজি নগর বাজারে প্রথমে একটি কাঠের দোকানে আগুন (Fire) লাগে। দমকল আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন (Fire) লেগেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনিতেই বাজারে রাতের দিকে কেউ থাকে না। বাজার লাগোয়া একটি বাড়ি ছিল। তাদের বিষয়টি নজরে আসে। তাঁরা ফোন করে ব্যবসায়ীদের খবর দেন। স্থানীয় লোকজনও নিজেদের উদ্যোগে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।  কিন্তু, আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দ্রুত আগুন অন্য দোকানগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। প্রথমে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে কাজ শুরু করে। পরে, আরও তিনটি দমকলের ইঞ্জিন এসে এদিন দুপুর পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি ছুটে আসি। কিন্তু, ততক্ষণে আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। নেতাজি নগর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রদীপ পালিত বলেন, সব মিলিয়ে ৯ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে একটি বাড়িও পুড়ে গিয়েছে। দমকল বাহিনী এসে আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।

    এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী। তিনি বলেন, আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Fire: ঢাকায় বহুতলে আগুন, মৃত অন্তত ৪৩! অগ্নিবিধি না মানার জন্যই কি দুর্ঘটনা?

    Bangladesh Fire: ঢাকায় বহুতলে আগুন, মৃত অন্তত ৪৩! অগ্নিবিধি না মানার জন্যই কি দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় (Bangladesh Fire) একটি বহুতলে আগুন লেগে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৪০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। 

    কীভাবে ঘটল ভয়াবহ ঘটনা

    ঢাকার (Bangladesh Fire) দমকল বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেইলি রোডের একটি বহুতলে আগুন লাগে। বাড়িট সাত তলা। ওই ভবনের নিচের তলায় একটি কফির দোকান আছে। সেখান থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন সিআইডি আধিকারিক মোহাম্মদ আলী মিয়া। ওই বহুতলটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হত। সেখানে খাবারের দোকান ছাড়াও জামাকাপড়, মোবাইল এবং অন্যান্য দোকান ছিল। বহুতলটির দ্বিতলে একটি বিরিয়ানির দোকান ছিল। সেখানেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ক্রমে উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। নীচ থেকে উপরের দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বাড়িটির মধ্যেই অনেকে আটকে পড়েন। আগুন এবং ধোঁয়ার হাত থেকে বাঁচতে অনেকে ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। বহুতলটির ভিতর থেকে মোট ৭৫ জনকে জীবিত অবস্থায় বাইরে বার করে আনা গিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

    আরও পড়ুন: ভোররাত পর্যন্ত বৈঠকে মোদি, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    অগ্নিবিধি লঙ্ঘন করার ফলে বাংলাদেশের বহুতলে বা কারখানয় আগুন লাগার ঘটনা নতুন কিছু নয়। বারবার এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকে ওপার বাংলা। এদিনের এই ভয়াবহ ঘটনার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে এএফপিকে বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটি আরও বাড়তেও পারে। আহতদের চিকিৎসা চলছে।” এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের যাতে ঠিকমত চিকিৎসা হয় তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছন তিনি। এই ঘটনার কারণ জানতে ৫সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • INS Visakhapatnam: মাঝ সমুদ্রে থাকা জাহাজে মিসাইল হানা, আগুন নেভাল ভারতীয় রণতরী

    INS Visakhapatnam: মাঝ সমুদ্রে থাকা জাহাজে মিসাইল হানা, আগুন নেভাল ভারতীয় রণতরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলন্ত জাহাজ লক্ষ্য করে ছোড়া হল মিসাইল। দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল আগুন। আর্ত চিৎকার করতে থাকেন জাহাজের কর্মীরা। সাহায্যের আবেদন জানিয়ে পাঠানো হয় বার্তা। দ্রুত অকুস্থলে চলে আসে ভারতীয় নৌসেনার রণতরী আইএনএস বিখাখাপত্তনম (INS Visakhapatnam)। দ্রুত নেভায় আগুন। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বাণিজ্যিক ওই জাহাজের কর্মীরা। জাহাজটিতে ছিলেন ২২ জন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশি। “আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারব না বলে আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম”, বলছেন জাহাজটির কর্মীরা।

    হুথি হামলা!

    সম্প্রতি লোহিত সাগরে বেড়েছে হুথি হামলা। ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে অনেকে জলদস্যুও বলেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা হামলা চালিয়েছে ভারত, আমেরিকা সহ ইজরায়েলের পাশে থাকা বিভিন্ন দেশের জাহাজে (INS Visakhapatnam)। এদিনের ঘটনাটি অবশ্য লোহিত সাগরে ঘটেনি, ঘটেছে এডেন উপসাগরে। তাবে ঘটনার নেপথ্যে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীই কিনা, তা জানা যায়নি। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় নৌসেনার তরফে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে এসওএস কল পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় বাণিজ্যিক তরীটির ক্যাপ্টেন ধন্যবাদ জানাচ্ছেন রণতরীর সেনানীদের।

    কী বললেন ক্যাপ্টেন?

    বাণিজ্যিক জাহাজটির ক্যাপ্টেন অভিলাষ রাউত বলেন, “আমি ভারতীয় নৌসেনার রণতরী আইএনএস বিশাখাপত্তনমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জাহাজে লাগা আগুনের সঙ্গে লড়াইয়ের সব আশা আমরা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভারতীয় নৌসেনাকে কুর্নিশ। আগুনের সঙ্গে লড়াই করতে যার দক্ষ সেনানীরা দ্রুত চলে এসেছিলেন। আমাদের সাহায্য করতে ভারতীয় নৌসেনাই সব চেয়ে আগে এগিয়ে এসেছে।” ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ১০ জন অগ্নিযোদ্ধা ছ’ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনেন। এমভি মার্লিন লুায়ন্ডার নামের ওই বাণিজ্যিক তরীর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অগ্নিযোদ্ধার দল সফলভাবে আগুন নিভিয়েছেন। কোনও পকেটে লুকানো আগুন রয়ে গিয়েছে কিনা, তার ওপর নজর রাখছে আমাদের দল।

    নৌবাহিনীর তরফে আরও জানানো হয়েছে, মার্কিন ও ফরাসি রণতরীও এসওএস পেয়ে দ্রুত চলে এসেছে ঘটনাস্থলে। প্রসঙ্গত, ১৮ জানুয়ারি এরকমই একটি বিপদে পড়া জাহাজকে সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়েছিল আইএনএস বিশাখাপত্তনম। ওই জাহাজটিতে ড্রোন হামলা হয়েছিল। জাহাজটিতে ছিলেন ভারতীয় ক্রু-মেম্বাররা (INS Visakhapatnam)।

    আরও পড়ুুন: ‘অভিষেকের গড়ে ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • South 24 Parganas: জয়নগর যেন বগটুই, শাসকদলের আক্রোশে জ্বলছে একের পর এক বাড়ি, এলাকায় আতঙ্ক

    South 24 Parganas: জয়নগর যেন বগটুই, শাসকদলের আক্রোশে জ্বলছে একের পর এক বাড়ি, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় কর্মী খুন হওয়ার জেরে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা তাণ্ডব চালাল গ্রামে। সিপিএমের ২০-২৫টি বাড়িতে আগুন লাগানোর পাশাপাশি বামেদের মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী খুনের ঘটনা জানাজানি হতেই শাসকদলের রোষানলে পড়ে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও পুলিশ ওই মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করেনি। সোমবার সকালে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ও আতঙ্ক দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (South 24 Parganas)।

    উল্লেখ্য, এদিনই খুব ভোরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন এখানকার এক পঞ্চায়েত সদস্য। নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় তাঁকে দুষ্কৃতীরা ঘিরে ধরে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সইফুদ্দিন লস্কর নামে বছর চল্লিশের ওই তৃণমূল নেতা, যিনি একইসঙ্গে বামুনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য এবং অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ওই পঞ্চায়েতের প্রধান। এরপরই গ্রামের লোকজন তাড়া করে দু’জনকে ধরে ফেলে। এদের মধ্যেই একজনের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরই শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের আক্রোশ গিয়ে পড়ে সিপিএমের ওপর। নির্বিচারে চলে ভাঙচুর, মারধর এবং অগ্নি সংযোগ।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা? (South 24 Parganas)

    ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, রোজকার মতো সোমবার ভোরে ওই তৃণমূল নেতা নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন, ওই নেতা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

    বগটুইয়ের ছায়া?

    এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই বগটুইয়ের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। এখানেও বেছে বেছে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের (South 24 Parganas) ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে দীর্ঘক্ষণ দমকলের গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। বাড়ির পর বাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় বহু বাড়ি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kharagpur: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন! খড়্গপুরে চলন্ত বাসের জানলা ভেঙে ঝাঁপ যাত্রীদের

    Kharagpur: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন! খড়্গপুরে চলন্ত বাসের জানলা ভেঙে ঝাঁপ যাত্রীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সড়ক দিয়ে সোঁ সোঁ করে একের পর এক গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে। বাস ভর্তি যাত্রী। রাত হয়ে যাওয়ায় বাসের ভিতরে থাকা লাইট নেভানো ছিল। অনেক যাত্রী বাসের মধ্যে ঘুমোতে শুরু করেছিলেন। অন্ধকার বাসের মধ্যে আগুনের ঝলকানি দেখে যাত্রীরা বিশ্বাস করতে পারেননি। কিছুক্ষণের মধ্যেই দাউ দাউ করে বাসের ইঞ্জিন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। শুক্রবার রাত নটা নাগাদ ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন কলকাতা-ওড়িশাগামী একটি বাসের যাত্রীরা। আর ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের (Kharagpur)  কাছে মাদপুর।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Kharagpur)  

    স্থানীয় ও দমকল সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ কলকাতার বাবুঘাট থেকে রওনা দেয় বাসটি। গন্তব্য ওড়িশার পারাদ্বীপ। কিন্তু রাত ৯টা নাগাদ বাসটি যখন খড়্গপুর (Kharagpur) গ্রামীণ থানার মাদপুর এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। বাসে অনেক যাত্রী ছিলেন। প্রচুর পণ্যও ছিল। অন্যদিকে, ইঞ্জিনে আগুন লেগে যাওয়ার পর বাসের চালক চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। আর বাসের দরজা বন্ধ ছিল। কোনও রকমে দরজা খুলে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন যাত্রীরা। বেশ কয়েকজন যাত্রী জখম হন।

    জখম যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কী বক্তব্য?

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, চলন্ত বাসের মধ্যে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। আর ভিতরে থাকা যাত্রীরা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলেন। বাস চলছিল বলে আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। চোখের সামনে দেখি, কয়েক জন যাত্রী ওই বাসের জানলার কাচ ভেঙে লাফ দেন নীচে। কয়েক জন দরজা দিয়ে লাফ দেন। জখম এক যাত্রী বক্তব্য, গাড়ির চালক এবং কন্ডাক্টর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ফলে, আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। অনেকে জানলা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন। আমি কোনওরকমে দরজা খুলে লাফ মেরে রক্ষা পায়।

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?  

    জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, বাস যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  দমকল আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। বাস কর্মীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fire at Eden Gardens: সামনে বিশ্বকাপ! গভীর রাতে আগুনে পুড়ল ইডেনের ঐতিহ্যবাহী ড্রেসিং রুম

    Fire at Eden Gardens: সামনে বিশ্বকাপ! গভীর রাতে আগুনে পুড়ল ইডেনের ঐতিহ্যবাহী ড্রেসিং রুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডেনে আগুন (Fire at Eden Gardens)। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে। ইডেনের ড্রেসিং রুমে আচমকা আগুন লেগে যায়। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা চত্বর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। অনেক চেষ্টার পর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

    কখন লাগল আগুন

    দমকল সূত্রে খবর, রাত ১১টা ৫০ নাগাদ আচমকা ধোঁয়ায় ভরে যায় ইডেনের (Fire at Eden Gardens) ড্রেসিং রুম। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মীরাই দমকলে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ। দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ” সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিটের ফলে এই আগুন লেগে থাকতে পারে। তবে সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন। ড্রেসিং রুমে ফলস সিলিং থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাড়াতাড়ি আমাদের খবর দেওয়ার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সুবিধা হয়েছে।”

    আগুনে কী কী ক্ষতি

    প্রাথমিক তদন্তের পর দমকল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শর্ট-সার্কিট থেকেই আগুন (Fire at Eden Gardens) লেগেছে। দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণের ফলে বড়সড় ক্ষতি এড়ানো গেছে। তবে ড্রেসিংরুমের মধ্যে রাখা খেলোয়াড়দের কিটস আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ইডেনের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর দু’মাস। তার আগে শনিবার ইডেন পরিদর্শন করতে এসেছিল আইসিসি ও বিসিসিআই এর প্রতিনিধি দল। ইডেনের কাজকর্ম দেখে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে আগুন লাগার ঘটনায় ইডেনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

    আরও পড়ুন: অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে! হকিতে পাকিস্তানকে ৪-০ গোলে চুরমার করল ভারত

    সামনে বিশ্বকাপ

    ২০২৩-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ হবে ইডেনে। তার মধ্যে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা যেমন রয়েছে, তেমনি একটি সেমি ফাইনাল ম্যাচ হবে ইডেনে। খেলবে পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সেজে উঠছে ইডেন। ক্লাব হাউসের আপার টিয়ারে বসেছে নতুন চেয়ার। আধুনিকতার ছাপ পড়েছে প্রেস বক্স, মিডিয়া সেন্টারে। ড্রেসিং রুমের বদল হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে পুরো বদলে ফেলা হচ্ছে ইডেনের চালচিত্র। তার মধ্যে আগুন (Fire at Eden Gardens) লাগার ঘটনা সি এ বি কর্তাদের কাছে খুবই অস্বস্তির হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi AIIMS: দিল্লির এইমসে আগুন, আতঙ্ক, দ্রুত সরানো হল জরুরি বিভাগের রোগীদের

    Delhi AIIMS: দিল্লির এইমসে আগুন, আতঙ্ক, দ্রুত সরানো হল জরুরি বিভাগের রোগীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগুন লাগল দিল্লির এইমসে (Delhi AIIMS)। আজ, সোমবার দুপুরের দিকে এইমের এন্ডোস্কোপি বিভাগে আগুন দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে আসে দমকলের আটটি ইঞ্জিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয় আগুন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ জায়গায়।

    সরানো হল রোগীদের

    এন্ডোস্কোপি বিভাগটি রয়েছে দোতলায়। এই বিভাগের ঠিক নিচেই রয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। এইমস সূত্র খবর, এদিন বেলা ১২টা নাগাদ আচমকাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আগুন লাগার খবর দেওয়া হয় দমকলে। এর পাশাপাশি দ্রুত রোগীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ জায়গায়। আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছোটাছুটি শুরু করে দেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চিকিৎসকরাও। ততক্ষণে এন্ডোস্কোপি বিভাগ থেকে গলগল করে কালো বের হতে দেখা যায়। এদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসে দিল্লি (Delhi AIIMS) দমকলের ছটি ইঞ্জিন।

    আগুন নিয়ন্ত্রণে

    পরে আসে আরও দুটি ইঞ্জিন। আটটি ইঞ্জিনের মিলিত প্রচেষ্টায় আয়ত্ত্বে আসে আগুন। এইমস কর্তৃপক্ষের (Delhi AIIMS) তরফেও জানানো হয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অকুস্থল ঘুরে দেখেছেন হাসপাতালের ডিরেক্টর। ডিরেক্টর বলেন, কোনও রোগীর ক্ষতি হয়নি। সকলকেই নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দেশের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে থাকা এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কীভাবে আগুন লাগল, তা অবশ্য জানা যায়নি। দিল্লি দমকলের আধিকারিকরা জানান, আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। আগুন লাগার কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন বলে দমকল কর্তাদের অনুমান।

    আরও পড়ুুন: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিকে সাইবার হামলা হয়েছিল দিল্লির (Delhi AIIMS) এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পক্ষকালের বেশি সময় ধরে অকেজো হয়ে পড়েছিল হাসপাতালের কম্পিউটার সিস্টেম। নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বহু তথ্যও। তার পর এবার লাগল আগুন। তবে এবার অবশ্য কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: আমতায় একের পর এক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন

    Howrah: আমতায় একের পর এক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটে গেলেও এখনও পর্যন্ত জেলায় জেলায় অশান্তি থামেনি। বৃহস্পতিবারই উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যে কোনও ধরনের অশান্তি ঘটলে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই গভীর রাতে হাওড়ার (Howrah) আমতায় একের পর এক বিজেপি সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটল। গণনার পর থেকেই আমতার ওই এলাকা উত্তপ্ত ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকা আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠল। এমনকী শাসক দলের নেতারা হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ বিরোধী দলের। বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী সোমা রায় সহ ৬ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এক বৃদ্ধা অগ্নিদগ্ধ হন। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ছাড়া আর কেউ এ কাজ করতে পারে না।

    ভয়াবহ সেই ঘটনার (Howrah) বিবরণ

    আমতা (Howrah) বিধানসভার অন্তর্গত আমড়াগোড়ি অঞ্চলের কাঁকরোল গ্রামে বিজেপির গ্রামসভার প্রার্থী সোমা রায়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আতঙ্কে গ্রামছাড়া এলাকার একাধিক পরিবার। বিজেপির আরও অভিযোগ, ঘরগুলোতে বাইরে থেকে শিকল লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবশীরাই তাদের দরজার শিকল খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। এই ঘটনায় কোনওক্রমে বাড়ির বাসিন্দারা বেরোতে পারলেও আগুনে পুড়ে মরেছে হাঁস, মুরগি সহ গবাদি পশু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জয়পুর থানার পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা। অভিযোগ, ভোটে বিজেপির হয়ে দাঁড়ানোর পর থেকেই হুমকি আসছিল। তৃণমূলের নেতারা বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু তারা তৃণমূলের হুমকি উপেক্ষা করেই সেখানে বসবাস করছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল সত্যিই যে ঘরদোর জ্বালিয়ে দেবে, তাঁরা তা বুঝে উঠতে পারেননি।

    কী বলছে বিজেপি প্রার্থীর পরিবা (Howrah) ?

    ভূদেব রায় ও স্বপন রায় দুই ভাই। ভূদেবের স্ত্রী কল্পনা রায় ও স্বপনের স্ত্রী ঝুমা রায়। দুই জা বিজেপির হয়ে এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অমরাগড়ি এলাকার ৪৩ ও ৩৭ নম্বর দুটি বুথ থেকে দুজনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। স্বপন রায় বলেন, স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা আমাদের ভোটে দাঁড়াতে বারণ করেছিল। আমরা তাদের বারণ উপেক্ষা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। তারপর থেকেই আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু সত্যিই যে তারা আমাদের ঘরে (Howrah) পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেবে, তা আমরা বুঝতে পারিনি।

    তীব্র নিন্দা শুভেন্দু অধিকারীর

    হাওড়া গ্রামীণের বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেন অধিকারী বলেন, পুলিশ ওদের দলদাস। মনোনয়ন থেকে দেখছি, পুলিশ ওদের কথা মতো চলছে। বিজেপি বারবার আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কিছু করছে না। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমা রায়ের বাড়ি (Howrah) কীভাবে পুড়েছে, সেই ছবি তিনি ট্যুইটারে পোস্ট করেছেন। তাঁর দাবি, গ্রামাঞ্চলে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার কয়েক হাজার বিরোধী দলের কর্মী। তাঁদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে গ্রামছাড়া করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু।

    কী বলছে তৃণমূল?

    যদিও তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আমতা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেলিমুল আলম জানান, যে জায়গায় ঘরগুলি আগুনে পুড়ে গেছে সেই জায়গা নিয়ে আইনি জটিলতা চলছিল। আইনি জটিলতা কাটাতে ইচ্ছে করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Falaknuma Express: হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীরা

    Falaknuma Express: হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ট্রেন দুর্ঘটনা। আগুন লাগল হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনুমা এক্সপ্রেসে (Falaknuma Express)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে শর্ট সার্কিটের জেরে চলন্ত ট্রেনে আগুন লেগে যায়। তবে দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে সমস্ত রেলযাত্রীকেই নিরাপদে ট্রেন থেকে বের করে আনা গিয়েছে। যদিও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ফলকনুমা এক্সপ্রেসের চারটি কামরা। আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে ট্রেনের এসি কোচগুলিতেও।

    কীভাবে দুর্ঘটনা

    শুক্রবার তেলঙ্গানায় মুম্মইপল্লি এবং পাগিড়িপল্লির মধ্যে ট্রেনটিতে আগুন লাগে। তার পরই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছে। বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি এখনও সকলের মনে তাজা। তার মধ্যেই এই ফলকনুমা এক্সপ্রেসে (Falaknuma Express) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ফলকনুমা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। ভয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। চারটি (S4, S5, S6, S7) কামরা সম্পূর্ণরূপে জ্বলে গিয়েছে বলে খবর। দ্রুত খবর পৌঁছয় রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ট জারি করা হয়। রেল সূত্রে খবর, তড়িঘড়ি এক্সপ্রেস থেকে যাত্রীদের নিরাপদে নামানো হয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই। কী কারণে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সমস্ত যাত্রীরা সুরক্ষিত রয়েছেন। অন্য ট্রেনে করে তাঁদের হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে। ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার অরুণ কুমার জৈন।

    আরও পড়ুন: জটিলতা এড়াতে ত্রিস্তরে ৩ রঙের ব্যালট পেপার, কী কী সেই রং?

    বার বার ট্রেনে এমন বিপত্তির ঘটনায় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যাত্রীদের মধ্যে। উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৯ সালে হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে (Falaknuma Express) আগুন ধরে গিয়েছিল। সাঁতরাগাছি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার সময়েই আগুন লাগে এই এক্সপ্রেস ট্রেনে। ভস্মীভূত হয়ে যায় ট্রেনের রেক। হায়দ্রাবাদ যাওয়ার সবচেয়ে ভাল ট্রেন ফলকনুমা এক্সপ্রেস। হাওড়া স্টেশন থেকে ভোরে ছাড়ে এবং পরের দিন সকালে সেকেন্দ্রাবাদে পৌঁছে যায়। রাজ্যের একাধিক বাসিন্দা এই ট্রেনেই যান। ভরসার এই ট্রেনে হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে যাত্রীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে জ্বলছে গ্রাম, জঙ্গলে বাসিন্দারা! তল্লাশি অভিযান শুরু সেনার 

    Manipur Violence: মণিপুরে জ্বলছে গ্রাম, জঙ্গলে বাসিন্দারা! তল্লাশি অভিযান শুরু সেনার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur Violence) মন্ত্রিসভার একমাত্র মহিলা সদস্য কাংপোকপি কেন্দ্রের বিধায়ক নেমচা কিগপেনের বাড়ি জ্বালিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। বুধবারের এই ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন মন্ত্রী। সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বুধবার কাংপোকপি জেলাতে জাতিগত হিংসায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ১০। মন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই সংলগ্ন অঞ্চলে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ এবং সেনা।

    পরপর জ্বলছে ৮ টি গ্রাম 

    মঙ্গলবার থেকে মণিপুরে (Manipur) নতুন করে শুরু হয়েছে অশান্তি (Violence)। মঙ্গলবার মধ্য রাতে ইম্ফলের পূর্বে খামেনলোক গ্রামে সাধারণ মানুষের উপরে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক মহিলা সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়। খামেনলোক থেকে গোভাজাং এলাকার মাঝে ১৭ কিলোমিটার অঞ্চলে মোট ৮টি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িই পুড়িয়ে (Arson) দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। শান্তি রুখতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পাঠানো হলেও মাঝপথেই আটকে দেওয়া হয় তাদের। গ্রামের বয়স্ক মহিলাদের নেতৃত্বে ৬০০ জনের একটি দল রাস্তা আটকে দেয়। ফলে নিরাপত্তা বাহিনী ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ওই উত্তপ্ত অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারেনি। চেষ্টা করেও সেনা বাহিনীর ২০০ জওয়ান ও অসম রাইফেলসের ২৫০ জওয়ান ঘটনাস্থলগুলিতে পৌঁছতে পারেননি। 

    জঙ্গলে আশ্রয়

    যে আটটি গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর মিলেছে, সেগুলি হল গোভাজাং, সংজান, জর্ডেনফাই, থাম্বল, আইগিজিয়াং, ফিনোম, খুইপুং ও চৌলোফাই। প্রাণ বাঁচাতে এই গ্রামের বাসিন্দারা আপাতত পাহাড়ের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। প্রায় শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সব মিলিয়ে।

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি বিমানবন্দর, ১২টি মেডিক্যাল কলেজ! মোদি জমানায় এগিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত

    গত ৩ মে থেকেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে (Manipur Violence) কুকি এবং মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ এবং সংঘর্ষ চলছে। শান্তি ফেরাতে রাজ্য এবং কেন্দ্রের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হলেও এখনও সমাধানসূত্র মেলেনি। মণিপুরের উপত্যকা অঞ্চলে বাস করা মেইতেই জনগোষ্ঠী জনজাতি তকমার দাবি জানানোর পরেই তার বিরুদ্ধে সরব হয় কুকিরা। জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত কুকিদের অভিযোগ, রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পাল্টা মেইতেইদের দাবি, কুকিদের জন্য তাদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share