Tag: fish

fish

  • Fish: নিয়মিত ভাতের পাশে মাছ! কোন মাছে শরীরে উপকার, আর কোনটি বাড়াচ্ছে রোগ? 

    Fish: নিয়মিত ভাতের পাশে মাছ! কোন মাছে শরীরে উপকার, আর কোনটি বাড়াচ্ছে রোগ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অতিথি আসুক কিংবা কোনও আনন্দ উদযাপন, অথবা রোজদিনের খাবারের মেনু, বাঙালির ভাতের পাশে মাছ না হলে চলে না। বাঙালির প্রিয় খাবারের তালিকায় মাছ থাকবেই। নানান রকমের মাছ বাঙালির হেঁসেলে রান্না হয়। কিন্তু সব মাছের (Fish) পুষ্টিগুণ কি সমান! কোন ধরনের মাছ নিয়মিত খাওয়া উচিত, আর কোন মাছ বিপদ বাড়াচ্ছে, এ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা অনেকের নেই। আর তার জেরেই স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু রোগ মোকাবিলায় মাছ সাহায্য করে‌। আবার কিছু রোগ বাড়ায় মাছ! এ নিয়ে সচেতনতা থাকলে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা সহজ হবে‌ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কোন মাছ শরীরের জন্য উপকারী? (Fish)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রুই, কাতলার মতো বড় মাছ শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের মাছে ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। ফলে একাধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিশেষত হাড়ের জন্য এই মাছ বিশেষ উপকারী। তাছাড়া, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এই মাছ। রেটিনার কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে চোখের সমস্যা কমে। 
    পাশপাশি যে কোনও সামুদ্রিক মাছ শরীরে ভিটামিন ডি-র জোগান দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছেন। বিশেষত মহিলাদের হাড়ের নানান সমস্যার কারণ শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব। তাই সামুদ্রিক মাছ (Fish) খেলে শরীরে ভিটামিন ডি-র জোগান পাওয়া যাবে। ইলিশ, চিংড়ি, পমফ্লেটের মতো সামুদ্রিক মাছ খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এই ধরনের মাছে আয়োডিন বেশি থাকে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 
    লইট্যা, চিংড়ির মতো মাছে মিনারেল, জিঙ্কের মতো উপাদান আছে। ফলে শরীরে খনিজ পদার্থের চাহিদা সহজেই পূরণ করে এই মাছ। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ক্লান্তি দূর করে পেশিকে শক্তিশালী করতে এই মাছ খুবই উপকারী (Health Benefits of Fish)।

    ক্যান্সার এবং স্নায়ুর রোগেও কার্যকর

    যে কোনও মাছে থাকে সেলেনিয়াম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা শরীরের ক্যান্সার সহ একাধিক জটিল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। স্নায়ুর রোগ কমাতেও মাছ বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষত ভেটকি মাছ (Fish) স্নায়ুর রোগ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। পুঁটি, কাচকি, মৌরলার মতো ছোট মাছ শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। এই মাছে ক্যালসিয়াম, আয়রন পর্যাপ্ত থাকে। তাই নিয়মিত এই ধরনের মাছ খেলে রক্তাল্পতার মতো রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়‌। 
    তাছাড়া, রুই, কাতলা, ইংলিশ যে কোনও বড় আকারের মাছে থাকে ফসফরাস। এই উপাদান রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 

    বিপদ বাড়ায় কোন মাছ? (Fish) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাছে বিশেষ বিপদ নেই। বিপদ রয়েছে রান্নার পদ্ধতিতেই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেকোনও খাবার অতিরিক্ত খাওয়া বিপজ্জনক। তাই ইলিশ, চিংড়ি বা কাতলা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে খেলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কারণ তখন হজমের সমস্যা দেখা যায়। শরীরে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেড়ে যায়। ফলে একাধিক রোগ তৈরি হয়। তাছাড়া পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাছ (Fish) কখনোই ঠিকমতো সেদ্ধ না করে খাওয়া উচিত নয়। অর্থাৎ, কাঁচা মাছ যেন না থাকে। তাতে পেটে নানান ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধার আশঙ্কা থাকে। ফলে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। মাছ হালকা ভেজে ভালোভাবে ঝোলে ফুটিয়ে খেলে মাছের পুষ্টিগুণ শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (Health Benefits of Fish)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Child Growth: সন্তানের উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন কোন খাবার পাতে রাখলেই মিলবে উপকার?

    Child Growth: সন্তানের উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন কোন খাবার পাতে রাখলেই মিলবে উপকার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়ার সঙ্গে বিকাশের সম্পর্ক রয়েছে। শিশুর দেহের উচ্চতা ঠিকমতো না বাড়লে, অধিকাংশ অভিভাবকেরাই দুশ্চিন্তা করেন। জিনগত ও হরমোন ঘটিত একাধিক কারণ শিশুর দেহের উচ্চতা বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে‌। তবে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শৈশব থেকে বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত কিছু খাবার নিয়মিত খেলে শিশুর বিকাশে, বিশেষত উচ্চতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে (Child Growth)। এখন জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবার নিয়মিত দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা?

    নিয়মিত কলা বাড়তি সাহায্য করবে (Child Growth)

    আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়মিত কলা খেলে শিশুর বিকাশে বিশেষ সাহায্য হয়। কারণ, কলা এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে। ছোটরা খেলাধুলো করে। তাদের বাড়তি এনার্জির প্রয়োজন হয়। কলার মতো ফল সেই এনার্জির জোগান দেয়। এছাড়াও, কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন। এর ফলে শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে কলা খুবই উপকারী। এছাড়াও ফাইবার ও প্রোবায়োটিক কলায় রয়েছে। তাই কলা খেলে শিশুর সার্বিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য হয়।

    উচ্চতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে মাছ

    সন্তানের পাতে নিয়মিত মাছ দিলে শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সাহায্য হয়। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও রয়েছে আয়রন, ফসফরাস এবং সেলেনিয়ামের মতো একাধিক উপাদান। এই উপাদানগুলো শারীরিক বিকাশে (Child Growth) বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মাছ খেলে শিশুর উচ্চতা বাড়ে।

    রোজের মেনুতে দুধ কিংবা দুগ্ধজাত যে কোনও খাবার

    আন্তর্জাতিক ওই গবেষণায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, শিশুর সুষম আহারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই শিশুর বিকাশ ঠিকমতো হবে। উচ্চতা বাড়বে। অর্থাৎ, প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট সবকিছুই দেহে পর্যাপ্ত জোগান রাখতে হবে। আর তার জন্য দুধ কিংবা দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খাওয়াতেই হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দু’বেলা দুধের পাশাপাশি দই ,ছানা, পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খাওয়ানো জরুরি। তবেই দেহের উচ্চতা বাড়বে। শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন ও কার্বোহাইড্রেটের জোগান ঠিকমতো থাকবে।

    নিয়মিত ৫০ গ্রাম সোয়াবিন বাড়াবে উচ্চতা (Child Growth)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, উদ্ভিদজ প্রোটিন হিসাবে সোয়াবিন বিশেষ উপকারী।‌ তাই নিয়মিত সন্তানকে অন্তত ৫০ গ্রাম সোয়াবিন খাওয়ানো জরুরি। সোয়াবিনে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন‌ এবং প্রোটিন। তাই উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক এই খাবার‌।

    নিয়মিত একটা ডিম থাকুক মেনুতে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুধের মতোই ডিম হল সুষম খাবার। ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং একাধিক ভিটামিন। বিশেষত ভিটামিন বি ১২ ডিম থেকে পাওয়া যায়। যা শিশুর বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষত এই ভিটামিন উচ্চতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই ডিম শিশু স্বাস্থ্যে খুবই উপকারী। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত অন্তত ১টা ডিম শিশুর খাবারের তালিকায় রাখতেই হবে (Child Growth)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: সিকিম বিপর্যয়ের জের! তিস্তায় মড়ক লেগেছে মাছের, উদ্বেগ

    Jalpaiguri: সিকিম বিপর্যয়ের জের! তিস্তায় মড়ক লেগেছে মাছের, উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম বিপর্যয়ের পর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় তিস্তার পাড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পুলিশ-প্রশাসন। কারণ, সেনাবাহিনীর বহু মর্টার মজুত ছিল সেখানে। সেই মর্টার বিস্ফোরণে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছিল। পরে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে তিস্তার পাড় বিপদমুক্ত করা হয়। এরই মধ্যে তিস্তায় নতুন করে মাছের মড়ক শুরু হওয়ায় ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

    প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে মৎস্য দফতর (Jalpaiguri)

    গত ৪ অক্টোবর সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তিস্তায়। পাহাড় থেকে নদীর জলে ভেসে আসে সেনাবাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র। জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) মর্টার ফেটে একজনের মৃত্যু হয়। আহত হন একাধিকজন। এবার মাছের মড়ক শুরু হওয়ায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে তিস্তার পাড়ে। গত ৪ অক্টোবর বন্যার সময় যুদ্ধসামগ্রীর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নদীতে ভেসে আসে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল। তা থেকে জলদূষণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বাসিন্দারা। মৃত মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মৎস্য দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা। মরে ভেসে উঠছে শয়ে শয়ে নদীয়ালি মাছ। বোরোলি, দারাঙ্গি-সহ তিস্তার একাধিক প্রজাতির মাছের মড়ক লেগেছে। জলদূষণের কারণেই এই ঘটনা বলে অনুমান। ঘটনার কারণ খুঁজতে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে মৎস্য দফতর। জেলা প্রশাসন সূত্রে তা জানা গিয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    এমনিতে বোরোলি-সহ নদীয়ালি মাছগুলি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সহ উত্তরবঙ্গের অত্যন্ত জনপ্রিয়, সুস্বাদু। পর্যটক ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেও এর খুব চাহিদা। তাই মাছের মড়কের খবরে চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নদীর পাড়ে বোরোলি সহ বিভিন্ন মাছ উঠে ছটফট করতে করতে মরে যাচ্ছে। তিস্তার পাড়ে গেলে দেখা যাবে, লাইন দিয়ে মাছ মরে পড়ে রয়েছে। এখন এই মাছ খাওয়া ঠিক নয়। সকলকে এই মাছ না খাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কবে আবার প্রাণভরে এসব মাছের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা, তা নিয়েও অনিশ্চয়তায় রয়েছে সকলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fish: দিঘায় ২০০ কেজির বিশালাকৃতির কই ভোলা জালে! বিক্রির দাম কত জানেন?

    Fish: দিঘায় ২০০ কেজির বিশালাকৃতির কই ভোলা জালে! বিক্রির দাম কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারে দিঘায় ফের বিশাল আকৃতির কই ভোলা (Fish) জালে পড়েছে। এই মাছ নিয়ে বাজারে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মাছের ওজন ছিল ২০০ কেজি এবং বিক্রির দাম ছাপিয়ে গেছে লাখ টাকা। লাভবান হয়েছেন এক ওড়িশার মত্স্যজীবী। বিশাল এই মাছ দেখতে প্রচুর মানুষ জমায়েত হন বাজারে। ভোজন রসিক বাঙালির পাতে মাছ না পড়লে খাওয়া ঠিক জমে না। কই ভোলা মাছের চাহিদাও বাজারে অনেক বেশী। এই মাছের পাতুরি, ফিস ফ্রাই, ফিস ফিঙার ভোজন রসিকদের বেশ তৃপ্তি দিয়ে থাকে। সাধারণত এই মাছ সমুদ্রের গভীর জলে বসবাস করে।

    মৎস্যজীবীদের বক্তব্য (Fish)

    দিঘার মোহনার মাছ বাজারে এই বিশালাকৃতির মাছকে (Fish) ঘিরে রীতিমতো মানুষের মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা যায়। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, “এই কই ভোলা গভীর সমুদ্রে থাকে। এই মাছ শিকার করতে গেলে সমুদ্রের অনেক গভীরে যেতে হয়। তবে ঝুঁকি থাকে শিকারের কাজে। মাছটি ধরেন ওড়িশার এক মৎস্যজীবী, এরপর এশিয়ার সবথেকে বড় মাছের বাজার, দিঘা মোহনা বাজারে নিয়ে আসেন। সুজিত কর নামক এক মাছের আড়তের মালিকের দোকানে মাছটির নিলামের ডাক ওঠে। অনেক সময় ধরে দরদামের পর বেশ লাভজনক মূল্যে বিক্রি হয় কই ভোলাটি। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবরে এমনই একটি দৈত্যের মতো কই ভোলা পাওয়া গিয়েছিল। সেই মাছটির ওজন ছিল ১১০ কেজি। এবারের কই ভোলা মাছের ওজন ২০০ কেজি।

    দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য

    দিঘার ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান নবকুমার পয়ড়্যা বলেন, “প্রায় ২ কুইন্টাল ওজনের বিরাট মাছ (Fish) দিঘার মোহনা বাজারে আসে। নিলামে মাছের দাম ওঠে ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। এই মাছ যাঁদের কপালে পড়ে তাঁদের ভাগ্য বদলে যায়। এই মাছের চাহিদা বাজারে প্রচুর। বিশেষ করে বাংলাদেশে চাহিদা ব্যাপক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fish: গঙ্গায় মাছ ধরতেও তৃণমূলকে দিতে হচ্ছে তোলা! কোথায় জানেন?

    Fish: গঙ্গায় মাছ ধরতেও তৃণমূলকে দিতে হচ্ছে তোলা! কোথায় জানেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নদীর তীরে বড় করে হোর্ডিং লাগানো রয়েছে। তাতে ফরমান দেওয়া হয়েছে গঙ্গা থেকে মাছ (Fish) ধরতে গেলেই দিতে হবে টাকা। বলা ভাল তোলা। ডিসপ্লে বোর্ডে কত পরিমাণ তোলা দিতে হবে তার উল্লেখ রয়েছে। জাল হিসেবে মাছের দাম প্রতি ২০ শতাংশ হারে টাকা দিলেই মাছ (Fish)  ধরা যাবে। মালদহের মানিকচক ঘাটে এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়়েছেন মত্স্যজীবারা। কারণ, জলকরের নামে তোলা নেওয়ার অভিযোগ। তোলা না দিলে জুটছে হুমকি! শতকরা ২০ থেকে ৩০ টাকা করে তোলা নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের একাংশের মদতেই এই কারবার চলছে বলে অভিযোগ। জেলা ও ব্লক প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মানিকচকের মৎস্যজীবীরা।

    তোলা নেওয়া নিয়ে মত্স্যজীবীদের কী বক্তব্য? Fish

    ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন গঙ্গায় মাছ (Fish)  ধরতে মত্স্যজীবীদের কোনও কর দিতে হবে না। একই নির্দেশ দেয়  হাইকোর্ট। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্ট এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা  বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের ছত্রছায়াতে থাকা দালালরা অবাধে তোলাবাজি চালাচ্ছে। এই বিষয়ে মৎস্যজীবীরা ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসন থেকে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।    এক মত্স্যজীবী বলেন, গঙ্গায় জাল ফেলে প্রায় ৭ হাজার টাকার মাছ (Fish)  ধরেছিলাম। মাছ নিয়ে ঘাটে আসতেই তোলাবাজরা আমাদের থেকে টাকা দাবি করে। আমরা তা দিতে অস্বীকার করলে মাছ ও জাল সব কেড়ে নেয়। পরে, তাদের দাবি মতো টাকা দিয়ে ছাড়া পাই। মোথাবাড়ি ধীবর সমবায় সমিতির কর্মকর্তা পঞ্চানন মাহাত বলেন,  সরকারি নিলামে ১১ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৯৯ টাকায় আমি লিজ নিয়েছি। আমার কাছে জলকর আদায়ের বৈধ কাগজ আছে। সেই অনুযায়ী আমরা মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে জলকর নিচ্ছি। তবে, ২০ শতাংশ হারে নয়, ৫ শতাংশ হারে আমরা জলকর নিচ্ছি। ফলে, কোনও তোলাবাজি করছি না।

     বিজেপি নেতা গৌড় চন্দ্র মণ্ডল বলেন,  তোলা নেওয়া বন্ধ না হলে মৎস্যজীবীদের নিয়ে আন্দোলনে নামব। কারণ, যারা তোলা নিচ্ছে তাদের মাথার উপর তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে। তাই, সরকারি নির্দেশকে অমান্য করার সাহস দেখাচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, গঙ্গার উপরে মাছ (Fish)  ধরার ক্ষেত্রে কোন জলকর নেওয়া হয় না। গঙ্গা সবার। যারা ২০ টাকা, ৩০ টাকা করে জল কর আদায় করছেন তারা আইনবিরোধী কাজ করছেন। আমি ব্লক প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানাব।    এ বিষয়ে মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, গঙ্গায় মাছ (Fish)  ধরার ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের কাউকে কোনও কর দিতে হবে না। যদি কেউ নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Omega-3 In Fish: ‘মাছ খান, হৃদরোগের ঝুঁকি কমান’! দাবি গবেষকদের

    Omega-3 In Fish: ‘মাছ খান, হৃদরোগের ঝুঁকি কমান’! দাবি গবেষকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথাতেই আছে মাছে-ভাতে বাঙলি। বাঙালি হেঁশেলে মাছ-ভাত নিত্যদিনের খাবার। তবে বর্তমান প্রজন্ম কর্মব্যস্ততায় মাছের চেয়ে চিকেন বা ডিমেই স্বচ্ছন্দ। তবে জানেন মাছে রয়েছে প্রভুত পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন মাছ খেলে ত্বক ভাল থাকে, চুল পড়া বন্ধ হয়, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে, কমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। প্রতিদিন মাছ খেলে পাঁচ বছর আয়ু বেড়ে যাবে দাবি গবেষকদের।

    গবেষণায় দাবি

    আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’-এর এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, মাছের মধ্যে যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, তা মস্তিষ্ক-সহ শরীরের বিভিন্ন কোষের প্রাচীর গঠনে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও মাছের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ফসফরাস-সহ নানা পুষ্টি পাওয়া যায়। এগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এগুলো সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সাহায্য করে। 

    হার্ট ভাল রাখে

    হার্ট ভাল রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। মাছ স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। মাছের মধ্যে বেশ ভাল পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। হার্টের যে কোনও রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। অন্যদিকে, মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাঁধাকে প্রতিরোধ করে। মাছের তেল হার্টের জন্য খুব ভাল বলে মনে করা হয়। এটা রক্ত ​​জমাট বাঁধার সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারে ৮ শতাংশ বা তার বেশি ওমেগা-৩ থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এর সূচকের মাত্রা চারের নিচে হওয়া উচিত নয়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমে

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা সপ্তাহে এক দিন মাছ খান, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় ১৫% কম। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। সপ্তাহে ৭০-৭৫ গ্রাম মাছ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। পাশাপাশি বাড়বে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং উন্নত হবে স্মৃতিশক্তি। কারণ, মাছের মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এতে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও কমে।

    আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল কমায়, রক্ত চলাচল বাড়ায়! আর কী কী গুণ রয়েছে রসুনের?

    ক্যান্সারের প্রবণতা কমে

    যাঁরা নিয়মিত মাছ খান, তাঁদের ক্যান্সারের প্রবণতা কম। মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, যা ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে। এটি খেলে স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়। আপনি যদি নন-ভেজ খেতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় মাছ ব্যবহার করা আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে। 

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

    উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এখনই অন্যান্য আমিষ খাবার ত্যাগ করে মাছ খাওয়া শুরু করুন। মাছে চর্বি কম থাকে, যার কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ে না।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট। বালুরঘাট শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে আত্রেয়ী নদী। রাইখোর মাছের (Fish) জন্য বহু সুখ্যাতি ছিল এই নদীর। মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার বড় আধার ছিল এই মাছ। কারণ, নৌকা নিয়ে নদীতে নামলেই তাঁরা প্রচুর পরিমাণে রাইখোর মাছ (Fish) বাজারে নিয়ে যেতে পারতেন। বিক্রি করে ভালো টাকা মুনাফা হত। কয়েক বছর আগে বালুরঘাট শহরের তহ বাজার, সাহেবকাছারি বাজার সহ শহরের বিভিন্ন বাজারে রাইখোর মাছ (Fish) দেখা যেত। আমদানিও ভালো ছিল। শুধু জেলাবাসী নয় ভিন জেলার মানুষের চাহিদার জোগান দিত এই নদী। এক সময় এই রাইখোর মাছ (Fish) রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেত। যদিও এখন তা ইতিহাস। আত্রেয়ীর ঐতিহ্য ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। জেলায় রাইখোর মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পারছে না আত্রেয়ী নদী, যার ফলে রাইখোর মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্যপ্রেমীরা। ধীরে ধীরে বালুরঘাটের বাজার গুলিতে আর সেইভাবে দেখা মিলছে না রাইখোর মাছের।

    আত্রেয়ী থেকে কেন হারিয়ে যাচ্ছে রাইখোর মাছ? Fish

    বর্ষার পর আত্রেয়ী নদীর জল ক্রমশ কমতে থাকে। ফলে, কিছু কিছু জায়গায় নদীতে জল প্রায় শুকিয়ে যায়। এছাড়া একসময় এই নদীর গতিপথে প্রচুর বিলের সঙ্গে সংযোগ ছিল। বিলগুলিতে বাঁধ দেওয়ার কারণে নদীর সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই। আর নদীতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ এই মাছ হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে, জেলার পরিবেশপ্রেমীরা আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ যাতে পাওয়া যায় তার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগে বেশ কয়েকবার আত্রেয়ী নদীতে মাছের চারাও ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মৎস্যজীবীরা বলেন, আগের নৌকা নদীতে নামালেই ঝুড়ি ভর্তি করে রাইখোর মাছ (Fish) পেতাম। এখন সারাদিন নৌকা নিয়ে নদীতে চষে বেড়ালেও এই মাছ (Fish) পাই না। অথচ এখন এই মাছের বিশাল চাহিদা। বাজারে ৫০০ টাকা কেজি। নদীতে এই মাছের (Fish) যোগান থাকলে খুব ভাল হত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে খুব ভাল হয়।

    জেলা মৎস্য দপ্তরে আধিকারিক  অভিজিৎ সরকার বলেন, রাইখোর মাছ (Fish) মৃদু বাহিত জলে  ডিম পাড়ে। এরজন্য আত্রেয়ী নদীর তীরে যেখানে ঘাস জাতীয় উদ্ভিত থাকে, সেখানে ডিম পারে। কিন্তু, আত্রেয়ী নদী তীরে দূষনের কারণে রাইখোর মাছ আর ডিম পাড়তে পারে না। রাইখোর যাতে বিলুপ্ত না হয়, সেজন্য কৃত্রিমভাবে পুকুরে চাষ করা হলেও আত্রেয়ী নদীর মাছের মত তার স্বাদ নেই। পরিবেশপ্রেমী তুহিন শুভ্র মণ্ডল বলেন, রাইখোর মাছ আমাদের অহংকার ছিল। জেলায় রূপালি মাছ বলে পরিচিত ছিল। বাবা-ঠাকুরদা কাছে শুনেছি, দুর্গা পূজার পর পর আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ (Fish) এত যোগান হত যে নদীর জলের রঙ বোঝা যেত না। এখন এই মাছ নদীতে বিলুপ্ত। পুকুরে চাষ করা মাছের সেই স্বাদ নেই। আসলে বাংলাদেশের আত্রাই নদীর সঙ্গে আমাদের আত্রেয়ী নদী সংযোগ রয়েছে। এতে নদীর প্রবহমান ছিল। কিন্তু, বর্তমানে নদীর প্রবহমান বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে এই মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাবাদিঘি। গোঘাটের এই এলাকার মানুষের কাছে এটা শুধু দিঘি নয়, একটি সেন্টিমেন্ট। কারণ, এই ভাবাদিঘিতে মাছ চাষ করে বহু পরিবারের মুখে দুবেলা অন্ন ওঠে। এলাকার বহু পরিবার এখনও দিঘির জল ব্যবহার করেন। তাই, এই দিঘি এলাকাবাসীর কাছে অন্নদাতা মায়ের মতো। প্রস্তাবিত রেলের প্রকল্প অনুযায়ী, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল (Railline) যোগাযোগের জন্য ভাবাদিঘি দিয়ে রেলপথ নিয়ে যাওয়ার কথা। বিষয়টি জানতে পেরেই এক জোট বাসিন্দারা। দিঘি বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা পথে নামেন। দিঘি রক্ষা করার বার্তা পৌঁছে দেন রেল কর্তাদের কাছে।

    ভাবাদিঘি রক্ষা করতে কী উদ্যোগ নিলেন এলাকাবাসী? Railline

    পথে নেমে লোক দেখানো আন্দোলন নয়। রীতিমতো ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটি গড়ে গঠনমূলক আন্দোলন গড়ে তোলেন এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, রেল (Railline) প্রকল্প হোক। তবে, ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে এই প্রকল্প করতে হবে। এটাই গ্রামের একমাত্র দিঘি, এর জল‌ই ভরসা সকলের। সেইসঙ্গে এলাকার পরিবেশ ঠিক রাখতে দিঘির বিন্দুমাত্র ক্ষতি হতে দিতে রাজি নয় আমরা। ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সভাপতি সুকুমার রায় বলেন,   কমিটি গঠনের আগে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা এই এলাকায় রেল পথ তৈরির জন্য মাপজোক করা শুরু করেন। সেই সময় আমরা গুগল এ একটি ম্যাপ দেখতে পেয়েছিলাম। ভাবাদিঘি থেকে ৫০০ মিটার দূর দিয়ে রেল লাইন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে অবস্থাপন্ন পরিবার এবং রাজ্যের শাসকদলের বেশ কিছু নেতার জমি ছিল। আচমকাই রাতারাতি সেই লাইনের এলাইমেন্ট চেঞ্জ হয়ে যায়। সেই প্রস্তাবিত পথ বদলে গিয়ে একেবারে দিঘির মাঝখান দিয়ে নতুন ম্যাপ তৈরি হয়। আমাদের প্রাণ থাকতে এই দিঘির উপর দিয়ে রেললাইন (Railline) যেতে দেব না। সরকার যেখানে আইন তৈরি করেছে, সংবিধান সবাইকেই মানতে হবে। পরিবেশ রক্ষার্থে জলাশয়ের অবশ্যই দরকার। আর এই দিঘির জল আমরা গোটা গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবার ব্যবহার করি। আমরা কোনওভাবে দিঘির উপর দিয়ে রেলপথ (Railline) নিয়ে যেতে দেব না। এর শেষ দেখে ছাড়ব। বহু মানুষকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তবু, আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। আমরা রেলের বিরুদ্ধে নয়। রেলপথ হোক। তবে, এই ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে দূর দিয়ে রেল পথ তৈরি হোক। কারণ, দিঘির পাড়ে অনেক জায়গা আছে।

     ভাবাদিঘি আন্দোলনের এক সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, দিদি তো সব জায়গায় হেলিকপ্টার চড়ে যান। ভাবাদিঘিতে সব হয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি অনেক কথা বলেছেন। এখানে কী হয়েছে তিনি নিজে এসে চাক্ষুস করে যান। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার ঠিক  আগে ভাবাদিঘির বাসিন্দারা নিজেদের দাবি বজায় রাখতে আন্দোলনের পারদ চড়াচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share