Tag: floods

floods

  • Flash Floods: পাকিস্তানে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৩৫০, হাহাকার

    Flash Floods: পাকিস্তানে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৩৫০, হাহাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বিপর্যস্ত উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের (Pakistan) বিস্তীর্ণ এলাকা। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অনেক জেলা হড়পা বানে (Flash Floods) ভেসে গিয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।

    হড়পা বানের জেরে বিপর্যয় (Flash Floods)

    খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের জেলায় হড়পা বানের জেরে এই বিপর্যয়। শুক্রবার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। বুনেরের পীরবাবা, মালিকপুরার মতো গ্রাম জলের তোড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “কোথা থেকে হঠাৎ করে বন্যার জল চলে এল, আমরা জানি না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব ভেসে গেল। অনেকে বাড়ি থেকে বেরনোরই সময় পায়নি।” স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতদের অধিকাংশই শিশু এবং পুরুষ। কারণ বান আসার সময় গ্রামের মহিলারা হয় কাঠ কাঠতে, না হলে গরু চরাতে পাহাড়ে গিয়েছিলেন। স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান বলছে, শুধু চলতি সপ্তাহেই বৃষ্টিতে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং গিলগিট বালটিস্তানে ৩৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পাকিস্তানের আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত এলাকা থেকে সরিয়েছেন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে। পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন অনেক পর্যটকও। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে (Flash Floods)।

    ২০২২ সালেও বর্ষার বিধ্বংসী মরশুম দেখেছিল পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বর্ষার সব চেয়ে বিধ্বংসী মরশুম দেখেছিল পাকিস্তান। সেবার বন্যা এবং হড়পা বানে মারা গিয়েছিলেন ১৭০০-রও বেশি মানুষ। ক্ষতি হয়েছিল কয়েকশো কোটি টাকার। সেবার সবার প্রথমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। নানাভাবে সাহায্য করেছিল নয়াদিল্লি। সেই ধাক্কা পুরোপুরি সমলে ওঠার আগে ফের একবার হড়পা বানে ভাসল পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশ। চলতি মরশুমে পাকিস্তানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করেছে সে দেশের হাওয়া অফিস। পাকিস্তানের জাতীয় বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান (Pakistan) অনুযায়ী, গত ২ জুন থেকে এখনও পর্যন্ত দেশের বর্ষণজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০০ (Flash Floods)।

  • Assam Flood: ভাসছে অসম, ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৬ লক্ষ বাসিন্দা! প্রধানমন্ত্রীর ফোন, উদ্ধারে বায়ুসেনা 

    Assam Flood: ভাসছে অসম, ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৬ লক্ষ বাসিন্দা! প্রধানমন্ত্রীর ফোন, উদ্ধারে বায়ুসেনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় ভাসছে গোটা অসম (Assam Flood)। লখিমপুর, ডিব্রুগড়ের অবস্থা ভয়ঙ্কর। সব বড় রাস্তাই সেখানে জলের তলায়। বন্ধ যান চলাচল। একমাত্র উপায় নৌকা। একসময় যেখানে সরগরম থাকতো বাজার চত্বর, এখন সেখানেই বন্ধ দোকানের পর দোকান। অসমে বন্যার জেরে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ বাসিন্দা ক্ষগ্রতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিপর্যস্ত অবস্থা ২০টি জেলার। ভেসে গেছে জমির পর জমি। ধস নেমে প্রাণ কেড়েছে বহু মানুষের। গত কয়েকদিনে ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। কাজিরাঙা (Kaziranga) অভয়ারণ্য জলের তলায়।

    অরুণাচলে বৃষ্টিই বন্যার কারণ (Assam Flood)

    অরুণাচল প্রদেশে লাগাতার বর্ষণের জেরে অসমে (Assam Flood) বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদীর গ্রাসে চলে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ফুঁসছে একাধিক নদী। বিপদ বাড়াচ্ছে লাগাতার বৃষ্টি। অসমের ২০ জেলায় ৭টি রেভেনিউ সার্কেলে প্রায় ৬ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।  ১২৭৫ গ্রাম জলের তলায়। ১১টি জেলায় ৭২টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন মোট ৮ হাজার ১৪২ জন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসমের বরাক ভ্যালি। করিমগঞ্জ জেলা এবং আপার অসমের তিনসুকিয়া, লখিমপুর, ডিব্রুগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শুধু ব্রহ্মপুত্র নয় অন্যান্য নদী যেমন ডিসাং, সুবনসারি, দেখাহো, বুড়িদেহিং, বেকি এবং বরাক নদীর জলও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এদিকে বৃষ্টি থামার নাম নেই। উল্টে বর্ষণ আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    ভাসছে কাজিরাঙা (Assam Flood)

    ব্রহ্মপুত্র নদের সংলগ্ন এলাকাতেই রয়েছে অসমের সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্য কাজিরাঙা (Kaziranga)। একশৃঙ্গ গণ্ডারের জন্য কাজিরাঙা অভয়ারণ্য বিখ্যাত। ব্রহ্মপুত্রের জলে জঙ্গলের ২৬ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্য প্রাণিরা প্রাণ বাঁচাতে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বলে জানা গিয়েছে। বন্যায় বন্য প্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কাও করা হচ্ছে। তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে ২৩৩টি শিবিরের ৯৮টি ফরেস্ট ক্যাম্প বর্তমানে জলের তলায়। প্রচুর বন্যপ্রাণী ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী কার্বি আংলং পাহাড়ের দিকে চলে গিয়েছে, বলে খবর।

    প্রধানমন্ত্রীর ফোন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস (Assam Flood)

    ইতিমধ্যেই অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। অসমের (Assam Flood) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় আকাশ পথে খাবার বিলি হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন ভারতীয় সেনাবাহিনী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে এগোচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে জানিয়েছেন, প্রয়োজনে উদ্ধারকাজে রাজ্য প্রশাসনকে সাহায্য করবে ভারতীয় সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভারতীয় বায়ু সেনার তরফে ১৩ জন মৎস্যজীবীকে ডিব্রুগড় জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share