Tag: forensic audit

forensic audit

  • CBI: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    CBI: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা ফাটাল সিবিআই! নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ৩৫টি ভুয়ো সংস্থার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, প্রতিটি ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লিতে সিবিআইয়ের ফরেন্সিক বিভাগের সহযোগিতায় অ্যাকাউন্টগুলির অডিট চলছে। অডিট শেষ হলে আসল সুবিধাভোগীদের নাম সামনে আসবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।

    সিবিআইয়ের স্ক্যানারে কারা?

    জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছে ‘অনন্ত টেক্স ফ্যাব’ থেকে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সহ একাধিক সংস্থা। পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে ছিল এই কোম্পানি। ওই সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তথ্যও চলে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে (CBI)। নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা সেখানেও খেটেছে বলে অনুমান সিবিআইয়ের।

    কালো টাকা সাদা করতে ভুয়ো সংস্থা!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ভুয়ো সংস্থাগুলি তৈরি করা হয় বিভিন্ন সময়। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লেনদেন হয় কোটি কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করতে এই অ্যাকাউন্টগুলিই ব্যবহার করা হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। ফরেন্সিক অডিটের রিপোর্ট হাতে পেলেই মাথারা সামনে চলে আসবে বলে অনুমান সিবিআইয়ের। এই ভুয়ো সংস্থাগুলির মাধ্যমে কোথায়, কীভাবে এবং কাদের কাছে টাকা গিয়েছে, সেই মানি ট্রেল রাখা এবং পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্যই ফরেন্সিক অডিট করানোর সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। এর পাশাপাশি ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছেও সাহায্য চেয়েছে সিবিআই (CBI)। যেসব সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেসবই চলে আসবে এই অডিটের আওতায়।

    আরও পড়ুুন: চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যাবে অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    এদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়ও তৎপর হয়েছে সিবিআই। এই নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট পরীক্ষা করেছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এই কোম্পানিরই বিভিন্ন ঠিকানায় চলছে তল্লাশি। হাওড়ার দাশনগর ও জগাছায় এদিন তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সংস্থার দুই অংশীদার পার্থ সেন ও কৌশিক মাজির বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ভর্ৎসিত হন ইডি-সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহাও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই রাতারাতি তৎপর হয়ে উঠেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share