Tag: Forest Department

Forest Department

  • Illegal Tree Cutting: বেআইনিভাবে কাটা হয়েছে হাজার হাজার গাছ, সব দেখেও নির্বিকার প্রশাসন!

    Illegal Tree Cutting: বেআইনিভাবে কাটা হয়েছে হাজার হাজার গাছ, সব দেখেও নির্বিকার প্রশাসন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তার পাশেই পড়ে রয়েছে সারি সারি কাটা গাছ। এ ছবি দেখে বিস্মিত হবেন আপনিও। যখন তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে গোটা রাজ্যবাসী। বারে বারে বলা হচ্ছে বেশি করে গাছ লাগান। তখন এমন ছবি সত্যিই ভাবিয়ে তোলে প্রত্যেককে। এ ছবি অন্য কোথাও নয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ (Kakdwip) বিধানসভার মধুসূদন পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত নম্বর শিবকালী এলাকার ঘটনা। 

    প্রতিবাদ জানাতে গেলেই হুমকি

    রাস্তার পাশে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এইভাবে ১০০০ এরও বেশি গাছ কাটা (Illegal Tree Cutting) হয়েছে। কিন্তু কাটলো কারা? এলাকার মানুষের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশেই রাস্তা হওয়ার দোহাই দিয়ে এই ভাবেই হাজার হাজার গাছ কাটা হয়েছে। এর বেশি আর কিছুই জানে না এলাকার মানুষজন। বেশি কিছু বলতে গেলেই তাদের ওপর হুমকি আসছে বলেও জানান তারা। 

    নির্বিকার প্রশাসন (Illegal Tree Cutting) 

    তবে এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা অস্বীকার করে যান। শরীর খারাপের দোহাই দিয়ে তিনি জানান, তিনি নাকি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। অন্যদিকে এ ঘটনা এলাকার মানুষজন প্রশাসনকে জানাতে গেলে অপরাধীদের বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থীর হুঁশিয়ারি 

    তবে এই বিষয় নিয়ে শাসক দল ও প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী। তিনি বলেন, “শাসকদলের মদত ও প্রশাসনের মদত ছাড়া এমন কাজ (Illegal Tree Cutting) হতেই পারে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত অথবা প্রশাসন এই বিষয়টা কি জানতো না? সমস্তটা জেনেও টাকার লোভে চুপ করেছিল।” এই বিষয়ে দোষীরা শাস্তি না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।   
    অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনদপ্তর (Forest department) এর আধিকারিক মিলন মন্ডল কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানায় এই বিষয়ে আমাদের নজরে এসেছে আমরা পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি। 
    তবে প্রশ্ন উঠছে পদক্ষেপ নিলেও কি ফিরে পাওয়া যাবে এই হাজার হাজার গাছ? কেন সবটা জানা সত্ত্বেও প্রশাসন প্রথম থেকে পদক্ষেপ নিল না? যখন তীব্র তাপপ্রবাহে বেশি করে গাছ লাগানোর কথা বলা হচ্ছে, তখনই ১০০০ এরও বেশি গাছ নিধন (Illegal Tree Cutting) করা হলো। আগামী দিনে আরও ভয়ংকর দিন দেখতে হবে না তো মানুষকে? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bengal Tiger: বক্সায় পায়ের ছাপ মিলল বাঘ মামার! বসানো হল একাধিক ট্র্যাপ ক্যামেরা

    Bengal Tiger: বক্সায় পায়ের ছাপ মিলল বাঘ মামার! বসানো হল একাধিক ট্র্যাপ ক্যামেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে অন্য আরেকটি নতুন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের (Bengal Tiger) পায়ের ছাপ মিলেছে। আর এই পায়ের ছাপ পাওয়ার পরেই এই বনাঞ্চলে একাধিক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বন দফতর। ইতিমধ্যেই বাঘের হদিশ পেতে বন দফতরের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

    একাধিক ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে (Bengal Tiger)

    বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ রয়্যাল বেঙ্গলের (Bengal Tiger) ছবি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ক্যামেরায় এই ছবি ধরা পড়ার কয়েকদিন আগে থেকেই এই বাঘের পায়ের ছাপ পেয়েছিল বন দফতর। সেই ছাপ নিয়ে হইচইও হয়েছিল। পায়ের ছাপ দেখেই সম্ভাব্য গতিপথে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়েছিল বন দফতর। আর তার পরেই ট্র্যাপ ক্যামেরায় ২৮ ডিসেম্বর রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ধরা পড়ে। তার দুই দিন পর ৩১ ডিসেম্বর ফের ওই একই বাঘের আরেকটি ছবি ক্যামেরা বন্দি হয়। এবারও পায়ের ছাপ দেখে সম্ভাব্য গতিপথে একাধিক ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়েছে বন দফতর। সেই ক্যামেরা কোনও ভালো ফল দিতে পারে কি না এখন সেই অপেক্ষায় বক্সা বাঘ বন কর্তৃপক্ষ।

    বন দফতরের আধিকারিক কী বললেন? (Bengal Tiger)

    বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন পায়ের ছাপ যে অন্য নতুন একটি বাঘের তা পরীক্ষা করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে, এবারের নতুন বাঘের পায়ের (Bengal Tiger) ছাপ আগের বাঘের পায়ের ছাপের প্রায় একই আকারের বলে জানিয়েছেন বন দফতরের কর্তারা। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর ট্র্যাপ ক্যামেরায় বক্সাতে বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। তারপর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে দুই দিনের ব্যবধানে পর পর একই বাঘের দুটো ছবি ক্যামেরা বন্দি হয়। চলতি বছরের শুরুতেই আরও একটি নতুন বাঘের পায়ের ছাপ মেলায় বক্সাতে একাধিক বাঘের উপস্থিতি রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। রাজ্যের বন্যপ্রাণ বিভাগের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় বলেন, অন্য আরেকটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পায়ের ছাপ মিলেছে। তার পর যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার তা আমরা নিয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Tiger: ফের বক্সায় দেখা মিলল বাঘমামার! নতুন বছরে ভিড় বাড়ল পর্যটকদের

    Bengal Tiger: ফের বক্সায় দেখা মিলল বাঘমামার! নতুন বছরে ভিড় বাড়ল পর্যটকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহের মধ্যে বক্সার জঙ্গলে বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় দুবার ধরা পড়ল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের (Bengal Tiger) ছবি। গত ২৮ ডিসেম্বরের পর বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় ফের ধরা পড়েছে ৪ বছর বয়সী একটি বাঘের ছবি। বার বার বাঘ দেখতে পাওয়ার কারণে বক্সায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের মধ্যেও একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।

    বাঘ দেখতে বক্সায় ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের! (Bengal Tiger)

    নতুন বছরের শুরুতে এমনিতেই জয়ন্তী, বক্সা পাহাড় সর্বত্র পর্যটকদের ভিড় থাকে। দীর্ঘ বছর পর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘের ছবি বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। এবছর বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় বাঘের একাধিক ছবি ধরা পড়ায় এ নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে উৎসাহ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। অনেকেই বক্সার জঙ্গলে ভ্রমণে এসে বাঘের (Bengal Tiger) দর্শন মিলতে পারে বলে আশায় রয়েছেন। পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে পর্যটকদের জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে পর্যটকদের ভিড়ও বাড়ছে। যদিও বাঘের গতিবিধি নজরে আসতেই অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করেছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। যত্রতত্র জঙ্গলের ভেতরে পর্যটকদের না দাঁড়ানোর পরামর্শ দেওয়া, বাইক নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ না করা, স্থানীয় বনবস্তির বাসিন্দাদের গবাদি পশু নিয়ে জঙ্গলে না যাওয়ার পরামর্শও তাঁরা দিচ্ছেন।

    পর্যটকদের কী বক্তব্য?

    বাঘে-মানুষের সংঘাত এড়াতে বন দফতরের সতর্কতা তো থাকবেই, তাই বলে পর্যটকরা জঙ্গল ঘুরতে এসে বাঘ না দেখে ফিরে যাবেন, সেটাও তাঁরা মানতে পারছেন না। তাই, চার চাকা, নিজস্ব গাড়িতে চেপে হোক আর সাফারি করেই হোক, জঙ্গলের ভেতরে বাঘের (Bengal Tiger) বিচরণের উপরেই তীক্ষ্ণ নজর থাকছে পর্যটকদের। পর্যটকদের বক্তব্য, ‘জানালার কাচের ভেতর থেকে দূরের জঙ্গলে এক ঝলক বাঘের মুখ দর্শন করার জন্য চোখের পাতা নামাতে পারছি না।’ বাঘ দর্শনের আশায় পর্যটকরা ভিড় করলেও সেই আশা মঙ্গলবার পর্যন্ত অধরাই রয়েছে। বাঘমামার দেখা কবে মিলবে সেই আশায় রয়েছেন পর্যটকরা।

    বন দফতরের কর্তা কী বললেন?

    বক্সার জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Bengal Tiger) যে অবাধে বিচরণ করছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত বন দফতরের কর্তারাও। রাজ্য বন দফতরের পিসিসিএফ (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় বলেন, দিনের আলোয় একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি বক্সার পাওয়া গিয়েছে। কদিন আগেও যে বাঘের ছবিটি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল, দুটি ছবিই একই বাঘের হতে পারে। নতুন বছরের শুরুতে পর্যটকদের কাছে খুশির খবর। তাই, বাঘ দেখতে ভিড়ও বাড়ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: জঙ্গলে গিয়ে পিকনিক করা বন্ধ, বন দফতরের নির্দেশে ক্ষুব্ধ জেলাবাসী

    Raiganj: জঙ্গলে গিয়ে পিকনিক করা বন্ধ, বন দফতরের নির্দেশে ক্ষুব্ধ জেলাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জঙ্গলে গিয়ে পিকনিক করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করল জেলা বনদফতর। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ (Raiganj) কুলিক পক্ষীনিবাস সংলগ্ন এলাকা, হেমতাবাদের বাহারাইল ফরেস্ট এলাকা, কালিয়াগঞ্জের ধামজা ফরেস্ট সংলগ্ন এলাকায় পিকনিক করতেন সাধারণ মানুষেরা। এবছর বন বিভাগের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত পোস্টার ও নির্দেশিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার পিকনিকে উৎসাহী সাধারণ মানুষদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। শীত মানেই তো পিকনিক, তাই সাধারণ মানুষের দাবি বন দফতরের পক্ষ থেকে জঙ্গলের পরিবর্তে অন্য কোনও জায়গায় পিকনিকের ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। বনবিভাগের এই সিদ্ধান্তে মর্মাহত পরিবেশ ও পশুপ্রেমী গৌতম তান্তিয়া। তিনি বলেন, বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়টি পুনরায় বিবেচনার তিনি দাবি জানিয়েছেন।

    বন বিভাগের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সাধার মানুষ (Raiganj)

    উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ (Raiganj) শহর থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরেই রয়েছে আবদুলঘাটা, ভট্টদিঘি, সোহারই এই তিনটি মৌজার প্রায় ৩০০ একর জায়গাজুড়ে কুলিক পক্ষীনিবাস। প্রতি বছর জুন মাস থেকে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে শামুকখোল, ইগ্রেট, করমরেন্ট, নাইট হেরন সহ বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষাধিক পরিযায়ী পাখির দল এই কুলিক পক্ষীনিবাসে এসে ভিড় জমায়। যা দেখতে দূর দূরান্তের বহু পর্যটকের আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হয়ে ওঠে রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষীনিবাস। অপরদিকে শীত পড়তেই ২৫ শে, ডিসেম্বর থেকে নতুন ইংরেজি বছরের গোটা জানুয়ারি মাস পক্ষীনিবাসের কোর এরিয়া সংলগ্ন ভট্টদিঘি, শিয়ালমণি, আবদুলঘাটা, মনিপাড়া সহ বিভিন্ন স্থানে শুধু স্থানীয়রাই নয়, আশপাশের বিভিন্ন জেলা, এমনকী ভিনরাজ্য থেকেও প্রচুর মানুষ পিকনিক করতে আসেন। শুধু রায়গঞ্জই নয় হেমতাবাদ ও কালিয়াগঞ্জের বাহারাইল ও ধামজা ফরেস্ট এলাকাতেও পিকনিক করার জন্য ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। তবে, এবারে বন সংরক্ষনের লক্ষ্যে পিকনিক বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা বন বিভাগ। এই ঘটনা ক্ষুব্ধ জেলাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, এমনিতেই রায়গঞ্জ কিংবা জেলায় তেমন ঘোরার জায়গা নেই। তারমধ্যে এই সিদ্ধান্তের জেরে আমরা সকলেই অসন্তুষ্ট। পিকনিক করতে না দিলে পর্যটকের সংখ্যা কমবে। ক্ষতি হবে রাজস্বের।

    বন বিভাগের আধিকারিক কী বললেন?

    বন বিভাগের বিভাগীয় বন আধিকারিক দাওয়া সাংমু শেরপা বলেন, এবছরে উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রতিটি বনাঞ্চলে পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রায়গঞ্জের (Raiganj) কুলিক, আব্দুল ঘাটা, শিয়ালমণি, ধামজা, বাহারাইল সহ একাধিক বনাঞ্চলে পিকনিক নট অ্যালাও এর পোস্টার ঝোলানো হয়েছে। এর নেপথ্যে বন আধিকারিকের ব্যখ্যা, বর্তমানে শুষ্ক আবহাওয়া রয়েছে। এর মধ্যে বনাঞ্চলে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করলে যে কোনও মুহূর্তে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এমনিতেই এজেলায় বনভূমির পরিমাণ কম। ৬০০ হেক্টর জমিতে রয়েছে বনাঞ্চল। যে সব জায়গা ফাঁকা হয়েছে সেখানে বনসৃজন করা হয়েছে। তাই বন সংরক্ষণের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। তবে মানুষ চাইলে ঘুরতে আসতেই পারেন। কিন্তু ‘পিকনিক’ বলতে আক্ষরিক অর্থে যা বোঝাই সেই কর্মসূচি নেওয়া যাবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি! এবার বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি! এবার বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকের পর বন সহায়ক, ফের কাঠগড়ায় রাজ্যের ‘নিয়োগ’ প্রক্রিয়া। এবার বন সহায়ক নিয়োগের ‘নম্বর সহ মেধাতালিকার’ রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাথমিক, স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী,  অশিক্ষক কর্মচারী,  নবম থেকে দশম পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই জেরবার রাজ্য সরকার। সেই তালিকায় জুড়ল বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায় বন সহায়ক পদের নিয়োগের নম্বর বিভাজন সহ মেধাতালিকা (Merit List) আগামী ২০ জানুয়ারি হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

    কী নিয়ে মামলা

    প্রসঙ্গত, ২০২০-র ২২ জুলাই বন সহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের (Contractual Recruitment) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্যের বন দফতর। এই বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগে স্বজনপোষণ ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে সৈয়দ মহম্মদ আলি সহ একাধিক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেন। শুধু বন সহায়ক পদেই নয়, অন্যান্য পদে নিয়োগ নিয়েও অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় আদালতের নির্দেশে কয়েক দফায় রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। ২০২২ সালের ২২ জুলাই রাজ্য সরকার রিপোর্ট দিয়ে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানে ১৭০টি শূন্যপদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা জানানো হয়। এরপর ১৫ ডিসেম্বর রাজ্য আবারও আদালতে জানায়, মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১৬১। যদিও রাজ্যের রিপোর্টে শূন্যপদের জন্য ১৭০ জনের মেধা তালিকার উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ফের  অন্য একটি রিপোর্ট রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর। আদালত রাজ্যের এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। 

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা, শুনানি কবে জানেন?

    বিচারপতির মত

    এই মামলায় বন দফতরের ভুমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যের দু’রকম তথ্যেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়ম রয়েছে। ২ বছর ধরে চলা মামলায় অস্বস্তিতে রাজ্য বন দফতরও। মামলাকারীদের আইনজীবী শমীক চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা প্রমাণ হয়ে গেছে রাজ্যের দেওয়া দুইরকম রিপোর্ট ফারাকে। আমরা নম্বর বিভাজন-সহ মেধাতালিকার জন্য অপেক্ষা করছি। তা হাতে পেলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে বলে আমরা আশাবাদী। ’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bankura: কয়েকশো কোটি টাকার হাতির দাঁত পুড়িয়ে দিল বাঁকুড়া বন দফতর!

    Bankura: কয়েকশো কোটি টাকার হাতির দাঁত পুড়িয়ে দিল বাঁকুড়া বন দফতর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট বড় ৫৭ টি বিভিন্ন আকারের এবং ওজনের হাতির দাঁত পুড়িয়ে দিল ফেলল বাঁকুড়া বন দফতর। বিগত ১০ বছর যাবৎ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মৃত হাতির দাঁতগুলিকে সংরক্ষণ করে রেখেছিল বাঁকুড়া (Bankura) বন দফতর। কয়েকশো কোটি টাকার মূল্যের হাতির দাঁত ছিল বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, হাতির দেহ পোড়াতে যত তাপমাত্রার প্রয়োজন হয় সেই সঙ্গে দাঁত পোড়াতে আরও বেশি তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। তাই চোরাকারবারিরা হাতিকে পোড়ানোর আগেই দাঁত কেটে নিয়ে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য গত তিন দশক ধরে দলমা পাহাড় থেকে দলে দলে হাতিরা খাবারের খোঁজে বাঁকুড়ায় আসে। হাতির দলের মধ্যে অসুস্থ এবং বৃদ্ধ হাতিও থাকে প্রচুর। ফলে অনেক সময় জঙ্গলেই মারা যায় তারা। বন দফতরের নিয়ম অনুযায়ী মৃত হাতিগুলির দেহকে জঙ্গলেই পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এবার পোড়ানো হল সেই দাঁতগুলি।

    বাঁকুড়ার কোথায় পোড়ানো হল (Bankura)?

    মঙ্গলবার দুপুর বারোটা নাগাদ বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বড়জোরার একটি বেসরকারি ভস্মকারী সংস্থার মাধ্যমে এই দাঁত পোড়ানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাঁকুড়ার তিনটি বনবিভাগ যৌথ উদ্যোগে এই কাজ সম্পন্ন হয়। জেলার বন দফতরের ডিএফও নর্থের অধিকারিক উমর ইমাম, ডিএফও পাঞ্চেতের আধিকারিক অঞ্জন গুহ এবং কেন্দ্রের মুখ্য বনপাল এস কুলান ডাইভেলের তত্ত্বাবধানে এই দাঁতগুলি পুড়িয়ে ফেলা হল। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে না পারার মতো ঘটনা। প্রায় পঁচিশ কেজি ওজনের হাতির দাঁতগুলিকে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াসের চুল্লিতে। এরপর সব একদিনেই শেষ হয়ে গেল।

    বন দফতরের বক্তব্য

    এই ঘটনায় বাঁকুড়া (Bankura) বন দফতরের বিশেষ বার্তা হল, জঙ্গলের বন্যপ্রাণকে বাণিজ্যিকরণ করা যাবে না। এই দাঁত পোড়ানোর কাজ ভারতের বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এপ্রিল মাসে পাস হওয়া একটি আইন অনুযায়ী কোনও পরিস্থিতিতেই হাতির দাঁত ব্যবহার করা যাবে না। ফলে বন দফতরের সংগ্রহে থাকা দাঁতের নষ্ট করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। ঘটনায় জেলা জুড়ে বেশ শোরগোল পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ২ হাজার বন সহায়ক নিয়োগে অনিয়ম! নতুন প্যানেল তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: ২ হাজার বন সহায়ক নিয়োগে অনিয়ম! নতুন প্যানেল তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বনসহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগকে কার্যত মেনে নিল উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশ, আগামী ২ মাস পরে বর্তমান প্যানেল বাতিল ঘোষণা হবে। এবং মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে নতুন প্যানেল তৈরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীকালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, এর তদন্ত হওয়া দরকার।

    ২০২১ সালের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় পুরোনো দলে ফিরে গেলে এনিয়ে তদন্ত এগোয়নি। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, কোনও নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বরং এসএমএস করে জানানো হয়েছিল কারা পাশ করেছেন। জল গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। বুধবার সেই মামলায় বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ জানায়, আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে। নির্দেশ, আবার নতুন করে ইন্টারভিউয়ের মধ্য দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, কোনও নিয়মই মানা হয়নি। নিয়োগ তালিকার বিশদ তথ্যের জন্য তাঁরা আরটিআই করেন, সেখানে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতেও ধরা পড়ে গলদ। আরটিআইয়ে দেখা যায়, বয়স পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ করা হয়েছে ২ জনকে। যোগ্যতা বহির্ভূতভাবে চাকরি পেয়েছে ৩ জন।

    নিয়োগের খুঁটিনাটি

    জানা গেছে, বন সহায়ক কোনও স্থায়ী পদ নয়। ২০২০ সালের ২২ জুলাই রাজ্যের তরফে বন সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। প্রায় ২ হাজার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তিতে। কলকাতা, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদা, জলপাইগুড়ি- এই পাঁচটি প্রশাসনিক ডিভিশনে নিয়োগের জন্য ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। বয়সসীমা ছিল ১৮-৪০ বছর এবং সরকারি নিয়মে যেমন বয়সের ছাড় থাকে, সেটিও প্রযোজ্য ছিল। জানা গেছে, নিয়োগের মেয়াদ ছিল এক বছরের। কিন্তু পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সেই চাকরির মেয়াদ বাড়নো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share