Tag: Former us secretary

Former us secretary

  • Henry Kissinger: শতবর্ষে প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচবি হেনরি কিসিঞ্জার

    Henry Kissinger: শতবর্ষে প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচবি হেনরি কিসিঞ্জার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতবর্ষে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচবি হেনরি কিসিঞ্জার (Henry Kissinger)। কানেকটিকাটে নিজ বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে কিসিঞ্জার ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায়। ১৯৭৩ সালে বিশ্বশান্তিতে অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া মার্কিন কূটনৈতিক মহলে।

    মার্কিন নাগরিকত্ব পান কিসিঞ্জার

    কিসিঞ্জারের জন্ম ১৯২৩ সালে, জার্মানিতে। নাৎসি শাসনের ভয়ে তাঁর পরিবার চলে আসেন আমেরিকায়, ১৯৩৮ সালে। ১৯৪৩ সালে কিসিঞ্জার মার্কিন নাগরিকত্ব পান। এর তিন বছর পরে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। পরে যোগ দিয়েছিলেন গোয়েন্দা শাখায়ও। এই সময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর পিএইচডি করেন। পরে অধ্যাপনা করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৯ সালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন কিসিঞ্জার (Henry Kissinger Died)। সেই সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন নিক্সন।

    উগ্র ভারত-বিরোধী ছিলেন!

    ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় নিক্সনের দূত হয়ে ভারতে এসেছিলেন তিনি। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ইন্দিরা-কিসিঞ্জার বৈঠকও হয়। যদিও সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। কারণ তখন আমেরিকা ছিল পাকিস্তানের বন্ধু দেশ। কিসিঞ্জারের উগ্র ভারত-বিরোধিতা চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় সেই সময়। পরে অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর এই বিরোধিতা নানা মহলের চাপের পরিণতি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পর বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে শেষমেশ কিসিঞ্জার হন মার্কিন বিদেশ সচিব।

    আরও পড়ুুন: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের জমানায় বিদেশ সচিব হিসেবে কাজ করেছেন কিসিঞ্জার। বিদেশ সচিব হিসেবে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে হওয়া ইয়ম কিপ্পুরের যুদ্ধ থামাতে ১৯৭৩ সালে তাঁর ভূমিকার উল্লেখও করেন অনেকে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর প্যারিস শান্তি চুক্তিতেও তাঁর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। মানবাধিকার প্রশ্নে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পরিবেশ বজায় রাখা, চিলির মতো বেশ কিছু দেশে স্বৈরাচারী শাসকদের মদত দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ১৯৬৯ সালে কম্বোডিয়ায় সিক্রেট বম্বিং ও পরবর্তী বছর মার্কিন অভ্যুত্থানের নেপথ্যে ছিলেন তিনিই। ইজরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলি সম্পর্ক গঠনেও তাঁর অবদান স্বীকার করেন কেউ কেউ (Henry Kissinger Died)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share