Tag: g20

g20

  • G20 Summit: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ছ’টি নয়া উদ্যোগের প্রস্তাব মোদীর

    G20 Summit: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ছ’টি নয়া উদ্যোগের প্রস্তাব মোদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি২০ (G20 Summit) নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ছ’টি নয়া উদ্যোগ প্রস্তাব করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। এগুলির মধ্যে রয়েছে, গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল নলেজ রিপোজিটরি, আফ্রিকা স্কিলস মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল হেলথকেয়ার রেসপন্স টিম, ড্রাগ–টেরর নেক্সাস মোকাবিলা উদ্যোগ, ওপেন স্যাটেলাইট ডেটা পার্টনারশিপ এবং ক্রিটিক্যাল মিনারেলস সার্কুলারিটি ইনিশিয়েটিভ। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগগুলি সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নে সহায়তা করবে।” তিনি এও জানান, ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধ ভবিষ্যতের পথ নির্দেশ করতে পারে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (G20 Summit)

    জি২০ গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল নলেজ রিপোজিটরি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঐতিহ্যগত জ্ঞান যা সুদীর্ঘকাল ধরে টেকসই জীবনযাপনের পরীক্ষিত মডেল উপস্থাপন করে, তা নথিভুক্ত করা হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “ভারতের এই ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এটি আমাদের সম্মিলিত জ্ঞানকে আরও সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল অর্জনের জন্য ভবিষ্যতে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।” তিন দিনের সফরে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দিয়েছেন জি২০ (G20 Summit) শীর্ষ সম্মেলনে। সেখানেই তিনি বলেন, “আফ্রিকার উন্নয়ন বৈশ্বিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারত সব সময়ই আফ্রিকার পাশে থেকেছে। আফ্রিকা স্কিলস মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভে একটি ট্রেইন–দ্য–ট্রেইনার মডেল গ্রহণ করা হবে, যার লক্ষ্য আগামী দশকে আফ্রিকায় এক মিলিয়ন প্রশিক্ষিত ও শংসাপত্রপ্রাপ্ত ট্রেইনার তৈরি (PM Modi) করা।”

    যৌথ লক্ষ্য

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের যৌথ লক্ষ্য হল আগামী দশ বছরে আফ্রিকায় দশ লক্ষ প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত প্রশিক্ষক তৈরি করা। এই প্রশিক্ষকরাই পরে লাখ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেবেন। এই উদ্যোগ একটি ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এটি স্থানীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং আফ্রিকার দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নকে আরও শক্তিশালী করবে।”  জি২০ গ্লোবাল হেলথকেয়ার রেসপন্স টিম গঠনেরও প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, এটি স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সময় শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দিতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে আমরা এক সঙ্গে কাজ করলে আরও শক্তিশালী হই। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত জি২০ সদস্য দেশের প্রশিক্ষিত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল গঠন করা, যারা যে কোনও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দ্রুত মোতায়েন হতে প্রস্তুত থাকবে।” মাদক পাচার রোধ এবং ফেন্টানিলের মতো বিপজ্জনক পদার্থের বিস্তার বন্ধ করতে ড্রাগ-টেরর নেক্সাস মোকাবিলায় একটি জি-২০ (G20 Summit) উদ্যোগ গঠনেরও পরামর্শ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির পরামর্শ

    তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের আওতায় আমরা অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন সরঞ্জামকে একত্র করতে পারি। তবেই মাদক-সন্ত্রাস অর্থনীতিকে দুর্বল করা সম্ভব।” জি২০ ওপেন স্যাটেলাইট ডেটা পার্টনারশিপের প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি২০ মহাকাশ সংস্থাগুলির স্যাটেলাইট তথ্য উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য কৃষি, মৎস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো কাজের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করা যেতে পারে।” তিনি ক্রিটিক্যাল মিনারেলস সার্কুলারিটি ইনিশিয়েটিভ গঠনের প্রস্তাবও দেন, যা পুনর্ব্যবহার, আরবান মাইনিং, সেকেন্ড-লাইফ ব্যাটারি প্রকল্প এবং অন্যান্য উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে (PM Modi)। এই উদ্যোগের লক্ষ্যই হল সরবরাহ শৃঙ্খলা নিরাপত্তা শক্তিশালী করা এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের পথ তৈরি করা (G20)।

  • G20 Summit: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ছ’টি নয়া উদ্যোগের প্রস্তাব মোদীর

    G20 Summit: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ছ’টি নয়া উদ্যোগের প্রস্তাব মোদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি২০ (G20 Summit) নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ছ’টি নয়া উদ্যোগ প্রস্তাব করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। এগুলির মধ্যে রয়েছে, গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল নলেজ রিপোজিটরি, আফ্রিকা স্কিলস মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল হেলথকেয়ার রেসপন্স টিম, ড্রাগ–টেরর নেক্সাস মোকাবিলা উদ্যোগ, ওপেন স্যাটেলাইট ডেটা পার্টনারশিপ এবং ক্রিটিক্যাল মিনারেলস সার্কুলারিটি ইনিশিয়েটিভ। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগগুলি সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নে সহায়তা করবে।” তিনি এও জানান, ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধ ভবিষ্যতের পথ নির্দেশ করতে পারে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (G20 Summit)

    জি২০ গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল নলেজ রিপোজিটরি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঐতিহ্যগত জ্ঞান যা সুদীর্ঘকাল ধরে টেকসই জীবনযাপনের পরীক্ষিত মডেল উপস্থাপন করে, তা নথিভুক্ত করা হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “ভারতের এই ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এটি আমাদের সম্মিলিত জ্ঞানকে আরও সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল অর্জনের জন্য ভবিষ্যতে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।” তিন দিনের সফরে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দিয়েছেন জি২০ (G20 Summit) শীর্ষ সম্মেলনে। সেখানেই তিনি বলেন, “আফ্রিকার উন্নয়ন বৈশ্বিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারত সব সময়ই আফ্রিকার পাশে থেকেছে। আফ্রিকা স্কিলস মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভে একটি ট্রেইন–দ্য–ট্রেইনার মডেল গ্রহণ করা হবে, যার লক্ষ্য আগামী দশকে আফ্রিকায় এক মিলিয়ন প্রশিক্ষিত ও শংসাপত্রপ্রাপ্ত ট্রেইনার তৈরি (PM Modi) করা।”

    যৌথ লক্ষ্য

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের যৌথ লক্ষ্য হল আগামী দশ বছরে আফ্রিকায় দশ লক্ষ প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত প্রশিক্ষক তৈরি করা। এই প্রশিক্ষকরাই পরে লাখ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেবেন। এই উদ্যোগ একটি ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এটি স্থানীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং আফ্রিকার দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নকে আরও শক্তিশালী করবে।”  জি২০ গ্লোবাল হেলথকেয়ার রেসপন্স টিম গঠনেরও প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, এটি স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সময় শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দিতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে আমরা এক সঙ্গে কাজ করলে আরও শক্তিশালী হই। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত জি২০ সদস্য দেশের প্রশিক্ষিত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল গঠন করা, যারা যে কোনও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দ্রুত মোতায়েন হতে প্রস্তুত থাকবে।”

    মাদক পাচার রোধে জোর

    মাদক পাচার রোধ এবং ফেন্টানিলের মতো বিপজ্জনক পদার্থের বিস্তার বন্ধ করতে ড্রাগ-টেরর নেক্সাস মোকাবিলায় একটি জি-২০ (G20 Summit) উদ্যোগ গঠনেরও পরামর্শ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের আওতায় আমরা অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন সরঞ্জামকে একত্র করতে পারি। তবেই মাদক-সন্ত্রাস অর্থনীতিকে দুর্বল করা সম্ভব।” জি২০ ওপেন স্যাটেলাইট ডেটা পার্টনারশিপের প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি২০ মহাকাশ সংস্থাগুলির স্যাটেলাইট তথ্য উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য কৃষি, মৎস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো কাজের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করা যেতে পারে।” তিনি ক্রিটিক্যাল মিনারেলস সার্কুলারিটি ইনিশিয়েটিভ গঠনের প্রস্তাবও দেন, যা পুনর্ব্যবহার, আরবান মাইনিং, সেকেন্ড-লাইফ ব্যাটারি প্রকল্প এবং অন্যান্য উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে (PM Modi)। এই উদ্যোগের লক্ষ্যই হল সরবরাহ শৃঙ্খলা নিরাপত্তা শক্তিশালী করা এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের পথ তৈরি করা (G20)।

  • PM Modi: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী, বক্তব্য রাখবেন তিন অধিবেশনেই

    PM Modi: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী, বক্তব্য রাখবেন তিন অধিবেশনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে ভারতের এমন দৃষ্টিভঙ্গিই উপস্থাপন করব।” শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20) যোগ দিতে যাওয়ার আগে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনই তিনি তিনদিন সফরে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে রওনা দেন। জি২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ষষ্ঠ আইবিএসএ সম্মেলনেও অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি সম্মেলনে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ এবং ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ – আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করব।” দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে যোগ দেব। এই সম্মেলনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। সম্মেলনের সময় বিভিন্ন বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎও করব।”

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি সেখানে ষষ্ঠ আইবিএসএ শীর্ষ সম্মেলনেও অংশ নেবেন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ২২–২৩ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছেন। এবার ২০তম জি২০ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার সভাপতিত্বে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি একটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন হবে। কারণ এটিই হবে আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম জি২০ সম্মেলন। ২০২৩ সালে ভারতের জি২০ সভাপতিত্বকালে আফ্রিকান ইউনিয়ন জি২০-এর সদস্য হয়েছিল।” জি২০-এর সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুর্কিয়ে (পূর্বতন তুরস্ক), ব্রিটেন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন (PM Modi)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    জি২০ সম্মেলন হবে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগ। এ বছরের জি২০-এর থিম হল ‘সংহতি, সাম্য ও টেকসই উন্নয়ন’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা নয়াদিল্লি এবং ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী শীর্ষ সম্মেলনগুলির সিদ্ধান্তকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে (G20)।” তিনি এও বলেন, “সহযোগী দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার আলোচনা এবং সম্মেলনের সাইডলাইনে নির্ধারিত ষষ্ঠ আইবিএসএ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্যও আমি আগ্রহী। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী ভারতীয় সম্প্রদায় বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে অন্যতম।” এর আগে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল (PM Modi), সম্মেলনের তিনটি অধিবেশনেই বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এই অধিবেশনগুলি হল, “সমন্বিত ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি—কাউকে পিছনে না রেখে: আমাদের অর্থনীতি গঠন, বাণিজ্যের ভূমিকা, উন্নয়নের অর্থায়ন এবং ঋণের বোঝা”, “একটি সহনশীল জি২০-এর অবদান: দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন, ন্যায়সঙ্গত জ্বালানি রূপান্তর, খাদ্য ব্যবস্থা” এবং “সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও সুবিচারপূর্ণ ভবিষ্যৎ: গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।”

    জি২০

    প্রসঙ্গত, জি২০-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির প্রতিনিধিত্ব করে। এটি বিশ্ব জিডিপির ৮৫ শতাংশ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা নিয়ে গঠিত। গ্রুপটির টানা চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে গ্লোবাল সাউথে। ২০২২ সালে জি২০-এর সভাপতিত্ব করেছে ইন্দোনেশিয়া, তার পরের বছর ভারত, ২০২৪ সালে ব্রাজিল এবং চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকা। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ (G20) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্বের ২০টি বৃহত্তম অর্থনীতির এই গ্রুপের স্থায়ী সদস্য হয় (PM Modi)।

    গ্লোবাল সাউথ

    উল্লেখ্য যে, বিদেশমন্ত্রকের সচিব সুধাকর দালেলার মতে, জি২০ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম, যেখানে আগের অধিবেশনগুলিতে দেশগুলি গ্লোবাল সাউথকে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয়ে একটি ঐক্যমত্য ঘোষণা, পাইলট প্রকল্প এবং নয়া উদ্যোগ নিতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা খুব খুশি যে ব্রাজিলের সভাপতিত্বে এবং অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার নিজেদের সভাপতিত্বের জন্য নির্ধারিত চারটি ভার্টিক্যালের অধীনে এই আলোচনাগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে বছরভর বিভিন্ন ট্র্যাকজুড়ে বেশ কিছু সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাই আমরা খুব খুশি যে গ্লোবাল সাউথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে এবং তুলে ধরা হচ্ছে (PM Modi)।”

  • PM Modi: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    PM Modi: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণা, শক্তির ব্যবহার, এআই-এর প্রয়োগ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করার কথা বললেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ ও ইউকে-এর প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার। জি২০ সম্মেলনের (G20 Summit) ফাঁকে দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। দুই নেতাই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের অঙ্গীকারে আবদ্ধ হন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, এআই এবং ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (DPI) সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-ফ্রান্স সম্পর্ক আরও মজবুত করার উপর জোর দিয়েছেন মাক্রঁ।

    মোদি-মাক্রঁ বৈঠক

    জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) মঙ্গলবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দুজনেই স্পেস, শক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ফরাসি প্রেসিডেন্টকে প্যারিসে অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিক গেমস সফলভাবে আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানান। এদিন একটি পোস্টে মোদি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে দেখা করে আনন্দিত। ভারত এবং ফ্রান্স কীভাবে স্পেস, শক্তি, এআই এবং অন্যান্য খাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। দুই দেশের মানুষের মধ্যেও যাতে গভীর সম্পর্ক স্থাপন হয়, তার দিকে নজর দেব আমরা।” বিদেশমন্ত্রক মোদি-মাক্রঁ এই বৈঠকটিকে “ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত অংশীদারিত্বের অগ্রগতি” হিসেবে বর্ণনা করেছে।

    মোদি-স্টারমার সাক্ষাৎ

    জি২০ সম্মেলন চালাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। যেখানে তারা প্রযুক্তি, সবুজ শক্তি, নিরাপত্তা, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রগুলোতে একত্রে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মোদি তাঁর এক্স পোস্টে বলেছেন, “রিও ডি জেনেইরোতে প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমারের সঙ্গে আমার অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। ভারতের জন্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সামগ্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চাই।” জি২০ বৈঠকে (G20 Summit) যোগ দিতে সোমবারই ব্রাজিলে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার থেকে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে শুরু হয়েছে দু’দিনের এই বৈঠক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাজিলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, যাবেন নাইজিরিয়া, গায়নায়ও

    PM Modi: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাজিলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, যাবেন নাইজিরিয়া, গায়নায়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জি২০ (G20) শীর্ষ বৈঠক হবে ব্রাজিলে। এই বৈঠকে যোগ দিতে দু’দিনের ব্রাজিল সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ব্রাজিলই এবার জি২০-র আয়োজক দেশ। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে ১৮-১৯ নভেম্বর ব্রাজিলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে দু’দিন ধরে সফর করবেন নাইজিরিয়ায়। জি২০ শীর্ষ বৈঠক সেরে তিনি যাবেন দক্ষিণ আমেরিকার আর এক দেশ গায়নায়।

    জি২০-র বৈঠক (PM Modi)

    প্রতি বছর এক একটি দেশে আয়োজিত হয় জি২০-র বৈঠক। গত বছর আয়োজক দেশ ছিল ভারত। সেখানেই সম্মেলন শেষে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতিত্বের ‘গাভেল’ তুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই হচ্ছে জি২০-র বৈঠক। শীর্ষ বৈঠকটি হবে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোয়। বাণিজ্য ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইউক্রেন ও পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে জি২০-র শীর্ষ বৈঠকে। আর দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রী যাবেন নাইজিরিয়া ও গায়নায়।

    জি২০-র সদস্য দেশ

    জি২০-র সদস্য দেশগুলি হল আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইউরোপিয়া ইউনিয়ন। সূত্রের খবর, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হতে পারে মোদির (PM Modi)। সে ক্ষেত্রে এক মাসের মধ্যে ফের মুখোমুখি হবেন মোদি ও জিনপিং। গত ২২ অক্টোবর রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন মোদি। সেখানেই লাদাখ-সহ বিভিন্ন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় মোদি ও জিনিপিংয়ের।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    জি২০ বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে নাইজিরিয়ায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ১৭ বছর পরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নাইজিরিয়ায় যাচ্ছেন। আর ১৯৬৮ সালের পর এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন গায়না সফরে। জানা গিয়েছে, নাইজিরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, সেখানে বাণিজ্য, বিদ্যুৎ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার (G20) বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলেই বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।   

     

  • PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি তাজমহল। তবে এটাই দেশের একমাত্র পর্যটন গন্তব্য নয়। বিদেশিরা আকছার তাজমহল দেখতে আসেন। তবে ভারতে এছাড়াও আরও ছবির মতো সাজানো অনেক জায়গা রয়েছে, যেগুলি আবিষ্কারের প্রতীক্ষায় রয়েছে।” সোমবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পর্যটকদের তিনি অনুরোধ করেন, “এই সব জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, পূর্ণ করুন অদ্ভুত অভিজ্ঞতার ঝুলি। দেশের ৩৬০ ডিগ্রিই ঘুরে দেখুন।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    ভারতের যে একটা নয়া ব্র্যান্ড তৈরি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। জি২০ সামিটের সময় ভারত ও তার বৈচিত্রের প্রতি বিশ্বশক্তিকে কৌতুহলীও করে তোলা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। বলেন, “আমরা জি২০ সামিটের আয়োজন করেছিলাম। এই সম্মেলন কেবল দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে। এর একটাই উদ্দেশ্য, বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দেওয়া যে কেবল দিল্লিই ভারত নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলেই আবিষ্কার করা যাবে এই ভূমের বৈচিত্র।” তিনি বলেন, “শুধু তাজমহল দেখেই তামাম ভারতকে চেনা যায় না। এই দেশের অনেক শক্তি রয়েছে। আবিষ্কারের জন্য রয়েছে বিভিন্ন গন্তব্য।”

    জি২০ সম্মেলন

    জি২০ সম্মেলনের পরে যে ভারতে পর্যটকদের আনাগোনা আগের চেয়ে বেড়েছে, এদিন সাক্ষাৎকারে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সম্মেলন কীভাবে ভারতের পর্যটনের সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করেছিল, তাও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি২০ সম্মেলনে ২০০-র বেশি বৈঠক হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক লাখের বেশি নীতিনির্ধারক এই সব বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন অংশে হয়েছিল এই সব বৈঠক। অভ্যাগতরা কেবল ভারতের ওই সব লোকেশন আবিষ্কার করেনি, তাঁরা তাঁদের পরিবার এবং স্বদেশবাসীকেও ভারতের অতুলনীয় সৌন্দর্যের গল্প শুনিয়েছেন।”

    আর পড়ুন: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    প্রসঙ্গত, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও উনিশটি দেশ মিলে গঠিত হয়েছে জি২০। ফি বছর এই জি২০-র সম্মেলন হয় এর সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে। গত বছর এই সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। সরকার বা রাষ্ট্রের প্রধান, বিদেশমন্ত্রী, সচিব এবং অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা যোগ দেন এই সম্মেলনে। একেবারে শেষে হয় শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধান কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shah Rukh Khan: ‘‘আপনার জন্য দেশ গর্বিত’’, জি২০ সম্মেলন নিয়ে মোদি বন্দনায় শাহরুখ

    Shah Rukh Khan: ‘‘আপনার জন্য দেশ গর্বিত’’, জি২০ সম্মেলন নিয়ে মোদি বন্দনায় শাহরুখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘আপনার জন্য গোটা দেশ গর্বিত’’, জি২০ সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে এই ভাষাতেই অভিনন্দন জানালেন বলিউডের কিং খান (Shah Rukh Khan)। প্রসঙ্গত রবিবারই দিল্লির প্রগতি ময়দানে সম্পন্ন হয়েছে জি২০ সম্মেলন। বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা শুক্রবার থেকে হাজির হয়ে যান ভারতে। জি২০ সম্মেলনকে ঘিরে সারা পৃথিবীর খবরের শিরোনামে চলে আসে ভারত। ২০২৩ সালে সম্মেলনের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর তা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ভারত। যা নিয়ে বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এদিন শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) কন্ঠেও শোনা গেল সেই একই কথা।

    কী বললেন কিং খান

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন সাফল্যের সঙ্গে জি২০ সম্মেলনকে সম্পন্ন করার জন্য। এটি প্রত্যেক ভারতীয়র হৃদয়ে গর্বের অনুভূতি নিয়ে এসেছে। ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার এক ভবিষ্যৎ’। প্রসঙ্গত চলতি মাসের ৭ তারিখেই মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) অভিনীত ছবি ‘জওয়ান’ এবং তা বক্স অফিসের রমরমিয়ে ব্যবসা করছে। জানা গিয়েছে, মাত্র তিন দিনের ভিতর ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা ছাড়িয়ে গিয়েছে ‘জওয়ান’। গতকাল রবিবারেও ভালো ব্যবসা করেছে ‘জওয়ান’। 

    ‘জওয়ানের’ সঙ্গে ‘পাঠান’ এর টক্কর

    নির্মাতারা জানিয়েছেন, রবিবার ‘জওয়ান’ ব্যবসা করেছে একাশি কোটি টাকার। প্রসঙ্গত এর আগেই এক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ছবি ‘পাঠান’। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা মুক্তি পায়, এবার বর্তমানে ‘জওয়ান’-এর সঙ্গে ‘পাঠান’ এর যেন জোর টক্কর চলছে। কে কাকে পিছনে ফেলবে! বিশেষজ্ঞদের ধারনা,  ‘পাঠান’কে টক্কর দিতে চলেছে ‘জওয়ান’। এই ছবিতে একাধিক সামাজিক রাজনৈতিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে। অ্যাটলি পরিচালিত এই ছবিতে শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) বিপরীতে দেখা গিয়েছে নয়নতারাকে। অন্যদিকে সুনীল গ্রোভার, প্রিয়ামণির মতো অভিনেতাদেরও দেখা গিয়েছে এই ছবিতে। রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোনও।
     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20: যুদ্ধ শব্দে আপত্তি রাশিয়া ও চিনের! জি-২০ তে যৌথ বিবৃতি দেওয়া গেলনা

    G20: যুদ্ধ শব্দে আপত্তি রাশিয়া ও চিনের! জি-২০ তে যৌথ বিবৃতি দেওয়া গেলনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ২০টি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত জি-২০ (G20) দেশগুলির অর্থমন্ত্রীরা শনিবার যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করতে ব্যর্থ হল। এদিন বেঙ্গালুরুতে জি-২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই ধরনের বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার নিয়ম থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে তা হল না। কারণ যৌথ বিবৃতিতে অধিকাংশ দেশই ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করার পক্ষে সায় দেয়। তবে রাশিয়া ও চিন এর বিরোধিতা করে। এই আবহে শেষ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে কোনও যৌথ বিবৃতি প্রকাশই করা গেল না। অবশেষে বৈঠকের সভাপতিত্ব করা ভারত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে  বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    গত বছর ইন্দোনেশিয়াতেও জটিলতা তৈরি হয় যৌথ বিবৃতি নিয়ে

    উল্লেখ্য, এর আগে গতবছর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত জি-২০ (G20)  শীর্ষ সম্মেলনেও যৌথ বিবৃতি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। সেখানেও বিবৃতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের উল্লেখ নিয়ে আপত্তি ছিল রাশিয়ার। পরবর্তীতে ভারতের মধ্যস্থতায় বিবৃতির ‘ভাষায়’ বদল আনা হয়। তাতে সন্তুষ্ট হয়েই রাশিয়া যৌথ বিবৃতিতে সায় দিয়েছিল। তবে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত ২০টি দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরদের বৈঠকের পর কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি যৌথ বিবৃতি জটিলতা সংক্রান্ত। পাশাপাশি এর থেকে প্রকাশ্যে চলে এসেছে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এই গোষ্ঠীর ২০টি দেশের মতভেদের বিষয়টি।

    অর্থমন্ত্রী কী বলছেন

    এই আবহে অর্থমন্ত্রী জানান, এই বৈঠকের যৌথ বিবৃতিতে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দু’টি অনুচ্ছেদ ছিল। ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ সম্মেলনে যে ভাষায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, এই ক্ষেত্রেও তাই ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী জানান, সেই যৌথ বিবৃতি নিয়ে আপত্তি ছিল চিন ও রাশিয়ার। তিনি বলেন, ‘তারা (চিন ও রাশিয়া) চায়নি যে ওই দুই অনুচ্ছেদ যৌথ বিবৃতিতে থাকুক। তাঁদের বক্তব্য ছিল, অর্থমন্ত্রীদের কাজ অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। বিশ্ব রাজনীতির মধ্যে না ঢোকাই উচিত।’ 
    সূত্র মারফত জানা গেছে, যৌথ বিবৃতি নিয়ে আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করেছিল রাশিয়া। তাদের দাবি ছিল, পশ্চিমা বিশ্ব তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তার সমালোচনা করতে হবে। অর্থ মন্ত্রকের সচিব অজয় শেঠ এই বিষয়ে বলেন, ‘শুধুমাত্র যুদ্ধ শব্দটিকে বাদ দিতে বলা হয়নি রাশিয়া ও চিনের তরফে। ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত পুরো দুটো প্যারাগ্রাফ সরাতে বলে তারা। এদিকে গোষ্ঠীর বাকি ১৮টি দেশেরই মনে হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়েছে। তো যৌথ বিবৃতিতে যুদ্ধের উল্লেখ থাকা উচিত।’

     জি-২০ (G20)  এর সভাপতি হিসেবে ভারতের বিবৃতিতে কী বলা হল

    ‘বেশিরভাগ সদস্যই ইউক্রেনের যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করেছেন। প্রায় সকল সদস্যই জোর দিয়ে বলেছেন যে এই যুদ্ধের কারণে বিপুল দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আম জনতাকে। পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে তুলেছে এই যুদ্ধ। মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করেছে এই যুদ্ধ। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই যুদ্ধ। তাছাড়া সকল দেশেই আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি বেড়েছে এর কারণে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • PM Modi: “সংবিধানের দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে এই লোকসভা”, বললেন মোদি

    PM Modi: “সংবিধানের দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে এই লোকসভা”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সপ্তদশ লোকসভার এই টার্ম দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি গেমচেঞ্জার ছিল। সংবিধান মানুষকে যে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে, এই লোকসভা তা বাস্তবায়িত করেছে।” দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদের শেষ দিনে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ‘ভূস্বর্গের মানুষের ভয় কেটেছে’

    তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা লোপ পেয়েছে। ভূস্বর্গের মানুষের ভয় কেটেছে। এই কাজ আমরা করে দেখিয়েছি। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে সামাজিক ন্যায় প্রদানের প্রতিশ্রুতি রেখেছি। আজ আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। দেশমাতৃকা অনেক আতঙ্কবাদীর কারণে রক্তাক্ত হয়েছে। অনেক বীর সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। সেই সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা এই সদনেই আইন তৈরি করেছি। এতে দেশের সেনার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তিন তালাকের মতো নিকৃষ্ট বিষয় থেকে মুসলিম মহিলাদের মুক্তি দিয়েছে লোকসভার এই টার্ম। যা চিরকাল লেখা থাকবে ইতিহাসে।”

    ‘নতুন উদ্যম তৈরি হয়েছে’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিগত পাঁচ বছরে দেশে রিফর্ম, পারফর্ম ও ট্রান্সফর্ম হয়েছে। এই সপ্তদশ লোকসভায় দেশে একাধিক উন্নয়নমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার জেরে দেশে সংশোধন হয়েছে। আর এর ফলেই দেশের রূপান্তর হচ্ছে। দেশে এক নতুন উদ্যম তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রতিটি গলি, পাড়ার ছেলেমেয়েরাও বলছে আগামী পঁচিশ বছরে দেশ বিকশিত ভারত হবে। আমরা কেউ কেউ সেই বিকশিত ভারত তৈরির স্বপ্ন নিজেদের সঙ্কল্প হিসেবে তৈরি করে ফেলেছি। যাঁরা সেই সঙ্কল্পে নেই, তাঁরা নিজেদের জীবদ্দশায় সেই বিকশিত ভারতের সাফল্য অনুভব করতে পারবেন।”

    আরও পড়ুুন: “তৃতীয় দফায় আরও বড় সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি সরকার”, বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকে হয়তো একটু টেনশনে রয়েছেন ভোট নিয়ে। কিন্তু আমি আশ্বাস দিচ্ছি, এই নির্বাচনেও দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অটুট থাকবে। মজাদার আক্রমণ হয়েছে। আমি আরও আনন্দিত হয়েছি। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। লড়াইয়ের মোকাবিলা করেছি।” তিনি বলেন, “রাম মন্দির নিয়ে বক্তব্যের যে প্রস্তাব আজ এই সংসদ ভবনে রাখা হয়েছে, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচয় করতে আরও সাহায্য করবে।” এদিন প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভাষণে উঠে এসেছে জি-২০ সম্মেলনে ভারতের সাফল্য, নয়া সংসদ ভবন নির্মাণের প্রসঙ্গও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ!

    Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হচ্ছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ। আগে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তবে জানুয়ারিতে ভারতে আসতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। তার পরেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মাক্রঁকে।

    প্রজাতন্ত্র দিবসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

    এর আগে আরও পাঁচবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন ফ্রান্সের বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট। ১৯৭৬ সালে এসেছিলেন ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক। ১৯৮৮ সালেও এসেছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে এসেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভ্যালেরি গিসকার্ড ডি’ইস্টাইং। ২০০৮ সালে প্রধান অতিথির সম্মান দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে। ২০১৬ সালে এসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদে। মাক্রঁ এলে তিনি হবেন ফ্রান্সের পঞ্চম প্রেসিডেন্ট, যিনি সম্মানিত হবেন প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির পদ অলঙ্কৃত করে।  

    ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’  

    প্রসঙ্গত, নতুন বছরের গোড়ার দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। সম্ভবত সেই কারণেই ভারতে আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।জুলাই মাসে মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট। ‘বাস্তিল ডে প্যারেডে’ যোগ দিতে ফরাসি সরকারের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন ফ্রান্সে। ওই প্যারেডে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানের সুর বাজানো হয়েছিল। এই প্যারাডে ভারতীয় বায়ুসেনার এক রাফাল যোদ্ধাও অংশ নিয়েছিলেন। ফ্রান্স সফরের পরে মাক্রঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বাস্তিল দিবসের পাশাপাশি এবছর ছিল ভারত-ফ্রান্স স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্বের ২৫ বছর পূর্তি। সেই সম্পর্ক উদযাপন করতেও ফ্রান্সে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ফ্রান্স থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। অতি সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরে পরেই ফরাসি প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানোকে যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্টমহল।

    জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বর মাসেই ভারতে এসেছিলেন মাক্রঁ। সেই সময় মোদির সঙ্গে মাক্রঁও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ফি বার প্রজাতন্ত্র দিবসে কোনও না কোনও রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানায় ভারত সরকার। তবে করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ ও ২২ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কোনও রাষ্ট্রপ্রধানকে। এ বছর, প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ এল-সিসি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share