Tag: Galwan

Galwan

  • India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে ফের সেনাবল বৃদ্ধি করল ভারত। চিনের (China) সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝে ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অর্থাৎ, এলএসি (LAC) বরাবর নতুন পদাতিক ডিভিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defense Ministry Of India) সূত্রের খবর, লাদাখের (India China Border) রাজধানী লেহ্‌তে মোতায়েন ১৪ নম্বর কোরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে নবগঠিত ওই ৭২ পদাতিক ডিভিশন।

    কোথায় মোতায়েন থাকবে নয়া ডিভিশন

    কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে ধারাবাহিক আলোচনার ফলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও এখনও পূর্ব লাদাখের (India China Border) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে এলএসির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুরোদস্তুর একটি নতুন ডিভিশন গড়ছে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর যে কোনও ডিভিশনে একজন মেজর জেনারেলের নেতৃত্বে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার সৈন্য থাকে। তিন থেকে চারটি ব্রিগেড আছে যেগুলো একজন ব্রিগেডিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়। পূর্ব লাদাখে ৭২ ডিভিশনের অধীনে ইতিমধ্যেই একটি ব্রিগেড সদর দফতর খোলা হয়েছে। এখান থেকে কাজও শুরু হয়েছে। লেহ-এর ১৪ ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরের অধীনে ৭২ ডিভিশনকে স্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে, এই এলাকায় একটি কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি ইউনিট ইউনিফর্ম ফোর্স রয়েছে, যারা শীঘ্রই ৭২ ডিভিশনকে কমান্ড হস্তান্তর করবে।

    এই বাহিনী তৈরির প্রস্তুতি

    মনমোহন সিং সরকারের শেষলগ্নে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ড্রাগনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনার পৃথক ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’ তৈরি হবে। ২০১৩-য় ৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভারতীয় সেনার প্রায় ৯০ হাজার অফিসার ও জওয়ান নিয়ে ওই বাহিনী মঞ্জুর হয়। লক্ষ্য ছিল, এই বাহিনীই ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-চিন সীমান্তে ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’-র গতিবিধির উপরে নজর রাখবে। এর পর পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে গড়ে ওঠে ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের একটি ডিভিশন। পূর্ব ভারতে মাউন্টেন কোরের প্রথম ডিভিশন তৈরির পরে লাদাখকে নজরে রেখে ২০১৭-য় পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন তৈরির কাজ শুরু হয়। পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে লাদাখের জন্য পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন গঠনের কাজ শুরু হয়।

    গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফোর্স গঠনে সক্রিয়তা

    ২০২০-র এপ্রিলে পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) চিনা আগ্রাসন এবং গালওয়ানে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে দ্রুত মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সে সময় প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে উঁচু অবস্থানগুলি দখলে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল পানাগড়ের বাহিনী। ঝটিতি অভিযানে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কালা টপ, মুকপরী এবং রেজাংলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তারা। এর ফলে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে স্পাংগুর হ্রদ লাগোয়া উপত্যকায় মোতায়েন চিনা বাহিনীও চলে এসেছিল ভারতীয় সেনার ‘নাগালে’। পাশাপাশি থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরে হেলমেট টপ এলাকা থেকে রেচিন লা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাতেও ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয় ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের সৌজন্যে। এইসব ঘটনার পর ভারত বুঝতে পারে যে, পূর্ব লাদাখের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে হলে আরও শক্তিশালী ডিভিশন মোতায়েন করা দরকার।

    সম্প্রতি স্থিতিশীল সীমান্ত

    গত বছর ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এরপর ভারত এবং চিনের (India China Border) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নয়নের রাস্তায় ফেরাতে গত ২১ অক্টোবর দিল্লির তরফে জানানো হয়, ডেপসাং এবং ডেমচকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সহমত হয়েছে দুই দেশ। সীমান্ত থেকে এলএসি-তে পাঁচটি জায়গায় ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল – ডেপসাং, ডেমচোক, গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং। ২০২০ সালের পর কয়েক দফা আলোচনার পরে, উভয় দেশের সেনাবাহিনী গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং থেকে পিছু হটেছিল। তবে ডেপসাং ও ডেমচোকে সেনা মোতায়েন করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি চুক্তির পর ভারত ও চিনা সেনারা পাঁচটি স্থান থেকে সরে গিয়েছে এবং এখানে আগের মতোই টহল শুরু হয়েছে।

    নিরাপত্তা নিয়ে আপোষ নয়

    তবুও দেশের নিরাপত্তা (India China Border) নিয়ে কোনওরকম আপস করতে রাজি নয় মোদি সরকার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই পূর্ব লাদাখের এলএসিকে ‘পাখির চোখ’ করে পাঠানকোটের পরিবর্তে পার্বত্যযুদ্ধে পারদর্শী ৭২ নম্বর ডিভিশনকে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের অধীনে পূর্ব লাদাখের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়। কারণ কারাকোরাম পাসের কাছে দৌলত বেগ ওল্ডি পোস্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ের মাঝে একটি সমতল এলাকাও রয়েছে, যা সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ডেমচোক সিন্ধু নদীর কাছে পড়ে। এখানে চিনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে জল সরবরাহে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে কড়া পাহারার কথাই ভাবল কেন্দ্র, এমনই অনুমান কূটনীতিকদের।

  • Bharat Ranbhoomi Darshan: যুদ্ধক্ষেত্রে ভ্রমণের সুযোগ দেবে ভারত রণভূমি দর্শন! কার্গিল, শিয়াচেনে গিয়ে শুনবেন সেনার বীরগাথা

    Bharat Ranbhoomi Darshan: যুদ্ধক্ষেত্রে ভ্রমণের সুযোগ দেবে ভারত রণভূমি দর্শন! কার্গিল, শিয়াচেনে গিয়ে শুনবেন সেনার বীরগাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওয়্যার মেমোরিয়াল কিংবা ইতিহাসের খ্যাতনামা যুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন দেখতে দেশ-বিদেশে ছুটে যান পর্যটকরা (Tourists)। এবার ভারতেও সেই সুযোগ মিলতে চলেছে পর্যটকদের। সেই তালিকায় থাকছে সীমান্তে সদ্য ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ স্থলও। এত দিন পর্যন্ত সাধারণ পর্যটকদের জন্য কার্যত নিষিদ্ধ ছিল ওই এলাকাগুলি। দেশের সীমান্তবর্তী ঐতিহাসিক যুদ্ধক্ষেত্রগুলিকে এ বার পর্যটনক্ষেত্র (Battlefield Tourism) হিসাবে গড়ে তুলতে সক্রিয় হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই উদ্দেশ্যে বুধবার সেনা দিবসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ (Bharat Ranbhoomi Darshan) নামে একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেছেন।

    প্রতিরক্ষা ও পর্যটন মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগ

    ২০২০ সালে গালওয়ানে চিনের সেনার সঙ্গে ভারতের সেনার সংঘর্ষ। যে ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন। কিংবা ২০১৭ সালে ডোকলামে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে প্রায় দুমাস ধরে চলা উত্তেজনা। অথবা শিয়াচেনে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু জায়গায় সেনার প্রহরা। ১২০০০ ফুট উচ্চতা থেকে দুর্গম ভূমিতে সেনার আত্মত্যাগের কথা জানতে পারবেন পর্যটকরা (Battlefield Tourism)। এছাড়া ৭৫টি অন্যান্য যুদ্ধভূমিও রয়েছে সেই তালিকায়। কার্গিলে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের স্মৃতি— সবই চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা। বুধবার ৭৭তম সেনা দিবসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও পর্যটন মন্ত্রক যৌথভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে।

    বীর সেনাদের লড়াই ক্ষেত্র

    আশির দশকে সিয়াচেন হিমবাহ, নব্বইয়ের দশকে কার্গিল কিংবা হালফিলে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় আগ্রাসী শত্রুসেনার বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা যে বীরত্বের সাক্ষ্য রেখেছিল, তা দেশের মানুষকে জানার সুযোগ করে দিতেই এই পদক্ষেপ বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। ভারতীয় সেনার এক্স পোস্টে ভ্রমণার্থীদের উদ্দেশে আহ্বান— ‘‘সেই পবিত্র স্থানগুলি দর্শন করুন যেখানে আমাদের বীর সেনারা মাতৃভূমির জন্য লড়াই করেছিলেন।’’

    পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র সীমান্ত এলাকা 

    ভারতের ব্যাটলফিল্ড ট্যুরিজম (Battlefield Tourism)। পোশাকি নাম, ভারত রণভূমি দর্শন (Bharat Ranbhoomi Darshan)। এর মধ্যে রয়েছে লাদাখে কার্গিল ও গালওয়ান, রাজস্থানের লোঙ্গেওয়ালা, অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু, বুম লা, সিকিমে চো লা ক্ল্যাশ। কিংবা কার্গিলে ড্রজ ওয়ার মেমোরিয়াল দেখার সুযোগ। চিফ অফ আর্মি স্টাফ উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Chief of Army Staff, General Upendra Dwivedi) বলেন, সীমান্ত এলাকায় সামগ্রিক উন্নয়নের একটি অংশ এই উদ্যোগ। এই বিষয়ে ওয়েবসাইটে সব তথ্য পাওয়া যাবে। এই উদ্যোগ চারটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেগুলি হল পরিকাঠামো, যোগাযোগ, পরিকাঠামো, শিক্ষা। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকাকে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র করে তোলা হবে। এখানে ইতিহাসের তথ্য তুলে ধরা থাকবে। অনুমতি নেওয়া যাবে নিষিদ্ধ এলাকায় যাওয়ার জন্য, ওয়ার মেমোরিয়াল, মিউজিয়ামের বিষয়ে বিশদে জানা যাবে।

    পর্যটন বুকে তুলবেন কোন কোন জায়গা (Battlefield Tourism)

    প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রকে পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত করার কথা জানানো হয়েছে সেনার তরফে। মহাভারতের কুরুক্ষেত্র (বর্তমানে যা হরিয়ানায়) পর্যটকদের পাশাপাশি তীর্থযাত্রীদেরও যুগ যুগ ধরে আকর্ষণ করে এসেছে। মুঘল সম্রাট আকবর এবং রানা প্রতাপের ঐতিহাসিক হলদিঘাটি যুদ্ধক্ষেত্রে বহুদিন ধরেই পর্যটনস্থল (Bharat Ranbhoomi Darshan) হিসাবে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম সারিতে রয়েছে। নব্বইয়ের দশকে বলিউডের ছবি ‘বর্ডার’ জয়সলমেরের মরুভূমিতে ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে রক্তসিক্ত লোঙ্গেওয়ালাকে পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ওয়ার মেমোরিয়াল’। এবার  টলোলিং, টাইগার হিল, সালতারো রিজ, পিপি ১৪-তেও ভিড় জমাবে মানুষ।

    ভারতীয় সেনার নয়া উদ্যোগ 

    ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে যুদ্ধকালীন পর্যটন (Bharat Ranbhoomi Darshan) বিকাশের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী এই নতুন উদ্যোগ শুরু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের ৭৫টি স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব স্থান ভারতের ইতিহাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ও সংঘর্ষের সাক্ষী। এই উদ্যোগের প্রথম দিকের প্রধান স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে গালওয়ান উপত্যকা, যেখানে ২০২০ সালে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়েছিল। চিনী বাহিনী ভারতীয় সেনাদের রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাধা দেয়, এবং এই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য প্রাণ হারান, যদিও চিনা বাহিনীর ক্ষতির পরিমাণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

    সিয়াচেনের সৌন্দর্য

    ভারতীয় সেনাবাহিনী একইভাবে সিয়াচেন গ্লেসিয়ারের মতো অঞ্চলে পর্যটন বিকাশের পরিকল্পনা করছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত, যেখানে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৮৪ সাল থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। ২০২৩ সালে এটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয় (Battlefield Tourism)। এর পাশাপাশি কাকরেল, কার্গিল, এবং লোঙ্গেওয়ালা সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রও এই উদ্যোগের আওতায় আনা হয়েছে। কাকরেল, ১৯৯৯ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, এবং লোঙ্গেওয়ালা, যেখানে ১৯৭১ সালে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীকে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি সাধন করেছিল, সেগুলি এখন পর্যটকদের জন্য একটি ইতিহাসের সাক্ষী। এছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলের মতো কিবিতু, বুমলা, রেজাংলা এবং পাংগং ত্সো, যেগুলি ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল, সেগুলিও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়া, ১৯৬৭ সালের চো-লা সংঘর্ষস্থলও এই উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেখানে ভারতীয় বাহিনী চিনের উপর বড় ধরনের আঘাত হেনেছিল।

    কেন সেনার এই উদ্যোগ

    এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে চায়। এটি একটি সুযোগ, যেখানে দর্শনার্থীরা ভারতের সামরিক ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারবেন এবং দেশের জন্য সংগ্রাম করা সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, যে গত চার বছরে লাদাখ, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশে পর্যটক সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মূল কারণ উন্নত পরিকাঠামো, ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সীমান্ত পর্যটনের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ। এবার সেই পর্যটনের সঙ্গেই জড়িয়ে যাবে ভারতীয় সেনা বাহিনীর জয়ের উপাখ্যান।

    আরও পড়ুন: শত্রুর এক ঝাঁক ড্রোনকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম ভারত, পরীক্ষায় সফল মাইক্রো মিসাইল সিস্টেম ‘ভার্গবাস্ত্র’

    ভারত রণভূমি দর্শন ওয়েবসাইট

    ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ (Bharat Ranbhoomi Darshan) ওয়েবসাইটটি জনসাধারণের জন্য চালু করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে তাঁরা ভ্রমণ পরিকল্পনা সহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেয়ে যাবেন এক ক্লিকে। যার মধ্যে এই স্থানগুলির কিছু পারমিটের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে তাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিশদ বিবরণ থাকবে (Battlefield Tourism)। ভার্চুয়াল ভ্রমণ, ঐতিহাসিক আখ্যান এবং ইন্টার‌্যাক্টিভ কন্টেন্ট প্রদান করা হবে স্থানগুলি সম্পর্কে। পর্যটন মন্ত্রক এবার থেকে অতুল্য ভারত (Incredible India) প্রচারের অংশ হিসাবে এই স্থানগুলির কথাও তুলে ধরবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরে ভারত-চিন সীমান্তে (India China Border) শুধুই শোনা গিয়েছে বাক-বিতণ্ডা। এবার দীপাবলিতে ছবিটা ভিন্ন। পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখা (LAC)-র বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’-র কাজ শেষ করেছে ভারত ও চিন। আজ, বৃহস্পতিবার দীপাবলির শুভেচ্ছার নজির তৈরি করতে এলএসিতে চিন সেনাকে মিষ্টিমুখ করাল ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিক অতীতে এই খবর বিরল। তাই বাস্তবিকই এই দীপাবলি বিশেষ বার্তাবহ। চিনা দূতাবাসের তরফেও ভারতীয়দের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    সীমান্তে মিষ্টিমুখ

    বুধবারই সেনা সূত্রে জানানো হয়, “লাদাখ (India China Border) সেক্টরের ডেপসাং এবং ডেমচকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই টহলদারি শুরু হবে। সেনা প্রত্যাহার যাচাইয়ের কাজ চলছে এবং স্থানীয় কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ব্রিগেডিয়ার এবং তার নীচের স্তরের গ্রাউন্ড কমান্ডাররা আলোচনা করে টহল পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।” বৃহস্পতিবার সকালে সেনার তরফে জানানো হয়,  দীপাবলি উপলক্ষে ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্ত সীমান্ত কর্মীদের মিটিং পয়েন্টে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজির নেওয়া সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্রে স্পষ্ট, ডেপসাং ও ডেমচক এলাকায় বিভিন্ন অস্থায়ী সেনা ছাউনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ডেমচক এবং ডেপসাং-এ যাতে দুই পক্ষের আর কোনও মুখোমুখি সংঘর্ষ না হয়, তার জন্য টহলের বিষয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করা হবে। প্রতিটি টহলদারি দলে ২০ জন সৈন্যর একটি ব্যাচে থাকবে। তাদের হাতে অস্ত্রশস্ত্রও থাকবে। 

    আরও পড়ুন: গত অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষায় ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার উৎপাদন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    গত ২১ অক্টোবর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছিলেন, পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) এলএসিতে টহলদারির সীমানা (India China Border) নির্ধারণের প্রশ্নে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতেই ভারত ও চিনের সেনা ২০২০-র মে মাসের আগেকার অবস্থানে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। তার পর রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস বৈঠকের সময় এই বিষয় নিয়ে পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বার্তা দেন তাঁরা। গত বুধবার থেকে দুই পক্ষ লাদাখের এই দুই এলাকা থেকে অস্থায়ী সেনা ছাউনি ও তাঁবুগুলি এবং সৈন্যদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার মাধ্যমে লাদাখের অধিকাংশ সংঘর্ষের জায়গায় টহল দেওয়া নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত হলেও, ডেমচক এবং ডেপসাং নিয়ে বিরোধ ছিল। অবশেষে, রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের ঠিক আগে, এই দুই জায়গায় টহলের বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে এই দুই এলাকায় ভারতীয় সেনাদের টহল দিতে বাধা দিয়েছিল চিন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Galwan: বিপাকে রিচা চাড্ডা! গালওয়ান বিতর্কের জেরে অভিযোগ দায়ের, ক্ষোভ উগরে দিলেন অক্ষয়ও

    Galwan: বিপাকে রিচা চাড্ডা! গালওয়ান বিতর্কের জেরে অভিযোগ দায়ের, ক্ষোভ উগরে দিলেন অক্ষয়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেত্রী রিচা চাড্ডার ট্যুইট (Galwan) নিয়ে গতকাল থেকেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। সাধারণত রিচা চাড্ডা স্পষ্টবক্তা, আর এই জন্য তাঁকে এর আগেও অনেক মন্তব্যের জন্য ট্রোলের শিকার হতে হয়েছে। আর এবারেও ভারতীয় সেনাকে নিয়ে এক মন্তব্য করায় ফের বিতর্কে জড়ালেন অভিনেত্রী। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের জুহু পুলিশ স্টেশনে অভিযোগও দায়ের করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অশোক পণ্ডিত।

    অন্যদিকে ভারতীয় সেনাকে (Galwan) নিয়ে মন্তব্য ও উপহাস করায় তাঁর উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার। আবার নেটিজেনরা অভিনেত্রীর ক্ষমা দাবি করেছেন। এরপরই রিচা চাড্ডা তাঁর বিতর্কিত ট্যুইটের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। কিন্তু তিনি ক্ষমা চাইলেও এই বিতর্ক এখানেই থেমে যায়নি। এই মন্তব্যের জেরে একাধিক ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থানায় যাচ্ছে ও ভারতীয় সেনাকে অপমান করার জন্য তাঁর শাস্তির দাবি করছে।

    ঘটনাটি কী?

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ফের দখল নেওয়া হবে বলে দিন কয়েক আগেই বিবৃতি দিয়েছিলেন রাজনাথ সিং। এরপরেই সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি বিবৃতি দেন যে, “ভারতীয় সেনা পাকিস্তানে থাকা কাশ্মীর ফেরত নেওয়ার দেশের জন্য অপেক্ষা করছে এবং তারা প্রস্তুত। আমরা সরকারের আদেশের অপেক্ষা করছি। আমরা খুব দ্রুত অপারেশন পূরণ করব।” আর এরপরেই এনার বক্তব্যের উপর নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, ‘Galwan Says Hi’। আর এতেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া (Galwan)। তাঁর প্রতিক্রিয়া ভারতীয়দের পছন্দ হয়নি এবং নেটিজেনদের একাংশ ভারতীয় সেনাকে অপমান করার অভিযোগে তাঁর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন ও অনেকে তাঁকে নিয়ে ট্রোল করা শুরু করেছেন।

    রিচার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের অশোক পণ্ডিতের

    ভারতীয় সেনাকে অপমান করার অভিযোগে অশোক পণ্ডিত রিচার বিরুদ্ধে এফআইআর (Galwan) দায়ের করার জন্য বলেন। তিনি বলেন, “আপনি একজন সেলিব্রেটি বলেই আপনি সেনা জওয়ানদের উপহাস করতে পারেন না, তাঁদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি। তাঁরা জাতিকে রক্ষা করে। আপনি তাঁদের নিয়ে মজা করতে পারেন না। আপনি দেশকে অপমান করছেন। এটি দেশবিরোধী কাজ।” তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর মনে হয়েছে শুধুমাত্র ট্যুইটে রিচার বিরুদ্ধে রাগ দেখিয়ে লাভ নেই, এসময় একজন নাগরিক হিসাবে তাঁর সৈন্যদের পাশে দাঁড়ানো তাঁর কর্তব্য। তাই তিনি রিচার শাস্তির দাবি করেছেন।

    রিচার মন্তব্যের নিন্দা করেন অক্ষয় কুমার

    ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের (Galwan) ফলে রিচার প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন অক্ষয় কুমারও। তিনি লিখেছেন, “এটা দেখে খুব দুঃখ পেলাম। সেনা-জওয়ানদের প্রতি আমাদের কখনোই অকৃতজ্ঞ হওয়া উচিত নয়। ওঁরা আছে বলেই আমরা আছি।”

    ক্ষমা চাইলেন রিচা

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই ট্যুইট-বিতর্ক নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ার পর চাপে পড়ে অবশেষে রিচা চাড্ডা ট্যুইটারে ক্ষমা চান। অভিনেত্রী জানান যে তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে এই ভুল করেছেন রিচা তাঁর ট্যুইটে বলেন, ‌“যদিও এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না, তবে যেই তিনটে শব্দ নিয়ে এত বিতর্ক হচ্ছে তা যদি কারও মনে আঘাত করে থাকে, আমি ক্ষমা চাইছি।”

  • Xi Jinping: গদি বাঁচাতে হংকং, তাইওয়ানের পর এবার গলওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং!

    Xi Jinping: গদি বাঁচাতে হংকং, তাইওয়ানের পর এবার গলওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি বাঁচাতে খেলেছিলেন হংকং তাস। প্লে করেছিলেন তাইওয়ান তাসও। এবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) সরাসরি খেলে দিলেন ইন্দো-চিন বর্ডারের গলওয়ান (galwan) সংঘর্ষ তাস! রবিবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসে (CPC) গলওয়ান কার্ড প্লে করেন চিনের সর্বাধিনায়ক শি জিনপিং। এদিন তিনি বলেন, চিনা সেনা সব সময় ট্রেনিংয়ের মধ্যে থাকে। প্রস্তুত থাকে যুদ্ধের জন্য। জয়ের খিদেও তাদের রয়েছে। প্রসঙ্গত, সাতদিন ধরে চলবে এই পার্টি কংগ্রেস। প্রতি পাঁচ বছরে একবার বসে কংগ্রেসের এই অধিবেশন।

    শি জিনপিং (Xi Jinping) সে দেশের মিলিটারিকে একটি স্পেশাল সেকশন উৎসর্গ করেছেন। নাম অ্যাচিভিং দ্য সেন্ট্রাল গোল অফ দ্য পিএলএ অ্যান্ড ফার্দার মর্ডানাইজেশন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড মিলিটারি। ৬৩ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের জেরে ২০২০ সালের মে মাস থেকে চিন-ভারত (India) সীমান্তে বিশেষ করে পূর্ব লাদাখে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার ছাপ পড়ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। দুই দেশের মধ্যে ১৬ দফা বৈঠক হয়। অমীমাংসিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার জন্য সম্মত হয় দুই দেশই। এদিন অবশ্য বিশেষ কোনও দেশের নাম করেননি শি জিনপিং। তবে এদিন পার্টি কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন চিনা মিলিটারির কমান্ডার কুই ফাবাও। গলওয়ান উপত্যকা সংঘর্ষের সময় জখম হয়েছিলেন তিনি। চিনের সর্বাধিনায়ক বলেন, আমাদের জনগণের সশস্ত্র বাহিনী যাতে যুদ্ধ করতে পারে এবং জয়ী হতে পারে, তা দেখার জন্য আমরা সৈন্যদের প্রশিক্ষণ আরও জোরদার করব। বাড়াব যুদ্ধের প্রস্তুতিও।

    আরও পড়ুন: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    মনে রাখতে হবে, শি জিনপিং কেবল দেশের প্রেসিডেন্টই নন, তিনি সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সামগ্রিক হাইকমান্ডেরও প্রধান। তিনি বলেন, কৌশলগত প্রতিরোধের একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলব। বাড়াব কমব্যাট ক্ষমতা, মানুষ ছাড়া, বুদ্ধিমান কমব্যাট ক্ষমতাও বাড়াব। নেটওয়ার্ক ইনফর্মেশন সিস্টেমকেও আরও উন্নত করব। প্রসঙ্গত, চিনা প্রেসিডেন্টের ওপর বেজায় ক্ষিপ্ত দেশবাসীর একটা বড় অংশ। পার্টি কংগ্রেসের আগে তাঁকে বিশ্বাসঘাতক একনায়কতন্ত্র দেগে দিয়ে ব্যানার পড়েছিল দেশের বিভিন্ন অংশে। কূটনৈতিক মহলের মতে, জনরোষের সেই আগুনে জল ঢালতেই হংকং, তাইওয়ানের পর এবং গলওয়ান তাস খেললেন শি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share