Tag: gangarampur

gangarampur

  • Durga Puja 2024: জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়লেই শুরু হত সন্ধিপুজো

    Durga Puja 2024: জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়লেই শুরু হত সন্ধিপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় পরম্পরার বিচারে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গও কম যায় না। এখানেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু প্রাচীন পুজো, যেগুলি জমিদার আমল থেকে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। কোথাও হয়তো জাঁকজমক বা আতিশয্য কম। কিন্তু আন্তরিকতায় কেউ কম যায় না। উত্তরবঙ্গের এমনই এক জেলা হল দক্ষিণ দিনাজপুর। এই জেলার গঙ্গারামপুরের ফুলবাড়ি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে উদয় গ্রাম। বসতি থাকলেও গ্রামটি নিরিবিলি। গ্রামের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। শোনা যায়, সন্ধিপুজো শুরুর আগে জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়তেন। তার পর শুরু হত মায়ের পুজো (Durga Puja 2024)। জমিদার এখন নেই। নেই জমিদারি প্রথাও। তাই এখন আর সন্ধিপুজোর আগে শূন্যে ছোড়া গুলির শব্দও শোনা যায় না। তবে জমিদারের বংশধররা বছরের পর বছর নিয়মনিষ্ঠা ধরে রেখেছেন।

    পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠিত করে দুর্গাপুজো শুরু (Durga Puja 2024)

    আরও শোনা যায়, প্রজাদের মঙ্গল কামনায় জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গারামপুরের উদয় গ্রামে পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠিত করে দুর্গাপুজো শুরু করেন। মা দুর্গার আসনটি পঞ্চমুণ্ডির আসন হওয়ায় এক সময় মহিষ বলি দেওয়া হত। পুজোর পাঁচদিন পাত পেড়ে প্রজাদের খাওয়ানো হত। দুঃস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হত নতুন বস্ত্র। পুজোমণ্ডপ চত্বরে বসত যাত্রাগান ও মঙ্গলচণ্ডী গানের আসর। বসত মেলাও। জমিদারের পুজো ঘিরে কয়েকটা দিন উদয় গ্রাম জমজমাট থাকত (Sandhipujo)। তবে এখনও জমিদারের পুজোয় ১০৮টি বেলপাতা দিয়ে যজ্ঞ হয়। জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত হওয়ার পর পুজোর দায়িত্বভার একে একে কাঁধে তুলে নেন তাঁর বংশধররা। এবারে পুজোর (Durga Puja 2024) দায়িত্বে রয়েছেন জমিদারের অষ্ঠম পুরুষ স্বপন শর্মা রায়, বাবুন শর্মা রায়, দেবাশিস শর্মা রায় ও সমীর শর্মা রায়রা।

    পুজোর চারদিন সারাক্ষণ যজ্ঞের আগুন জ্বলে

    এবিষয়ে জমিদার বাড়ির বংশধররা বলেন, পুজোর (Durga Puja 2024) পুরনো রীতি আমরা এখনও ধরে রেখেছি। পুজোর চারদিন সারাক্ষণ আমাদের যজ্ঞের আগুন জ্বলে। বাবুন শর্মা রায় বলেন, ‘বাপঠাকুরদার মুখে শুনেছি আমাদের এই পুজো বহু পুরনো। তাঁর স্মৃতি হিসেবে বলি দেওয়ার খড়্গ, কাঁসার বাসনপত্র সহ বেশ কিছু জিনিস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gangarampur: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে আক্রান্ত খোদ সরকারি আধিকারিক, কেড়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল

    Gangarampur: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে আক্রান্ত খোদ সরকারি আধিকারিক, কেড়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আগামীকাল চতুর্থ দফা নির্বাচন। বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সরকারি আধিকারিক। অবৈধ বালি পাচার আটকাতে গিয়ে খোদ সরকারি অফিসারকে অপদস্তু হতে হল, কেড়ে নেওয়া হল মোবাইল। ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের গঙ্গারামপুরে (Gangarampur)। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Gangarampur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুরের (Gangarampur) পুনর্ভবা নদীর বানগড় এবং নারায়ণপুরে এলাকার বালি মাফিয়ারা দেদার বালি পাচার করছিল। এই মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন খোদ সরকারি আধিকারিক। ঘটনার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ভূমি ও ভূমি সংস্কর দফতরে। যদিও ঘটনায় বালি মাফিয়াদের সঙ্গে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বিশেষ যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জেলা বিজেপি। অপরে পাল্টা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে যান

    সংবাদ মাধ্যমে এই খবর জানাজানি হতেই এলাকার প্রশাসন ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে। গত দুই দিন আগে এই গঙ্গারামপুরে (Gangarampur) পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩টি ট্রাক্টার এবং ২টি মোটর বাইক আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য রুখতে শনিবার গঙ্গারামপুরের পশ্চিম হালদারপাড়া এলাকায় অভিযান চালাতে যায় ভূমি রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকেরা। মূলত অভিযোগ হল, অভিযান চালাতে গেলে ভূমি রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের বাধা দেওয়া হয়। একই ভাবে তাঁদেরকে হেনস্থা করা হয় এবং জোর করে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা। ঘটনায় গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার কথাও জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকেরা। ঘটনায় তদন্তের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব রকম আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: থানায় বিক্ষোভ বিজেপির, ভুয়ো ভিডিও বানাতে এসে বিধায়কের সামনেই মার খেলেন তৃণমূল কর্মী

    বিজেপির বক্তব্য

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Gangarampur) নদী থেকে বালি পাচার বন্ধ হওয়ার বিষয়ে জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেছেন, প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে এই অবৈধ বালি পাচার চলছে। অবিলম্বে এই পাচার বন্ধ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো। এই বালি পাচারের টাকা জেলার ব্লক থেকে কালীঘাট পর্যন্ত যায়। এই সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।” একই ভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেছেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ভোট ঘোষণার পরই সুকান্তর কেন্দ্রে রক্ত ঝরল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Sukanta Majumdar: ভোট ঘোষণার পরই সুকান্তর কেন্দ্রে রক্ত ঝরল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে আরও শক্তিবৃদ্ধি করল বিজেপি। শনিবারই বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত ধরে মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর সহ পাঁচ জেলার মতুয়ারা বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এরইমধ্যে শনিবার ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর শনিবার রাতেই বিজেপি করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম জয়দীপ দাস। তাঁর বাড়ি গঙ্গারামপুর ব্লকের ৩/২ বেলবাড়িতে পঞ্চায়েতের পাটন দাসপাড়া এলাকায়। বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝামেলার সূত্রপাত পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই। পাটন ১৮৫ নম্বর বুথে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিজেপি কর্মী জয়দীপ দাসের ভাইয়ের স্ত্রী মিতালি দাস। অভিযোগ তাতেই রাগে ফুঁসছিলেন এলাকার তৃণমূল কর্মী তরুণ পাল ও তাঁর দলবলেরা। পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে প্রায়ই ঝামেলা হত বলে অভিযোগ। শনিবারও বিজেপি কর্মী জয়দীপদের উদ্দেশে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে তরুণ পাল সহ তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গেলে জয়দীপকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। গঙ্গারামপুর হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। খবর পাওয়ার পরই রাতে হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), স্থানীয় বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা। হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শঙ্কর সরকার বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি কী বললেন? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, অভিযুক্ত কারা জানা গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ যদি দ্রুত পদক্ষেপ না করে তাহলে আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব। প্রসঙ্গত, হামলার ঘটনা নিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Road: রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক গ্রামবাসীদের! কোথায় জানেন?

    Road: রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক গ্রামবাসীদের! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পথশ্রী প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাজ্য জুড়ে ঝাঁ চকচকে রাস্তা (Road) তৈরি করা হচ্ছে। এমনই দাবি তৃণমূল সরকারের। কিন্তু, বাস্তবে সেই উন্নয়নের ছিঁটেফোঁটা লাগেনি দক্ষিণ দিনাজপুরের  গঙ্গারামপুর ব্লকের বেলবাড়ি 2 /১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এলাকায় বেহাল মাটির রাস্তা নিয়ে জেরবার এলাকাবাসী। জানা গিয়েছে, কার্গিল মোড় থেকে নয়াবাজার ঘাট ও নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষ্ণচূড়া মোড় থেকে পশ্চিম যাদবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত মাটির রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে  বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে।  বর্ষার সময় এই মাটির রাস্তা (Road) দিয়ে হাঁটাচলা করা দায় হয়ে দাঁড়ায়। এরফলে নয়াপাড়া, যাদববাটি ,দক্ষিণ বেলবাড়ি, মোহিনীপাড়া সহ সংলগ্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা (Road) সংস্কার করার জন্য দরবার করেছি। কিন্তু, প্রশাসনের হেলদোল নেই। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই, আমরা জোটবদ্ধ হয়ে  এই বেহাল রাস্তা (Road) সংস্কারের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছি। শুধু তাই নয় এলাকার কৃষ্ণচূড়া মোড়ে ভোট বয়কটের পোস্টারও লাগানো হয়। পোস্টারে লেখা রয়েছে, দীর্ঘদিনের বেহাল রাস্তা (Road) সংস্কার করা না হলে ভোট বয়কট করা হবে।

    কী বললেন শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরা? Road

    ভোট বয়কটের বিষয় নিয়ে বেলবাড়ি 2 /১গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্ণা কর্মকার বলেন, ইতিমধ্যেই রাস্তার (Road) টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতে চক্রান্ত করে পোষ্টার লাগিয়েছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। আমরা ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন করি। ফলে, সাধারণ মানুষ জানেন এসব পোস্টার দিয়ে বিভ্রান্ত করে কোনও লাভ হবে না। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া বলেন, নয়াবাজারের রাস্তার (Road) কাজের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি, অন্যান্য রাস্তার (Road) কাজ‌ও পঞ্চায়েত ভোটের আগে করা হবে।

    বেহাল রাস্তা নিয়ে কী বলছে বিজেপি নেতৃত্ব?

    গ্রামবাসীদের ভোট বয়কট প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কটের পোষ্টার দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের ব্যর্থতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কোন্দলের কারণে রাস্তা সংস্কারের কাজ হয়নি। তবে, ভোট বয়কট গনতান্ত্রিক পদ্ধতি নয়, মানুষের গনতান্ত্রিক উপায়ে এই বঞ্চনার জবাব দিতে হবে।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School: ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে শিক্ষকরা সামিল হওয়ার অপরাধে স্কুলে একী করল তৃণমূল?

    School: ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে শিক্ষকরা সামিল হওয়ার অপরাধে স্কুলে একী করল তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে অন্যান্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে সামিল হয়েছিলেন গঙ্গারামপুরের পর্ত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (School) শিক্ষক শিক্ষিকারা। এটাই ছিল এই স্কুলের শিক্ষকদের অপরাধ। শুধুমাত্র সেই কারণে শনিবার তাঁরা স্কুলে (School)  গিয়ে দেখেন আগে থেকেই স্কুলে তালা ঝুলছে। খোঁজ নিয়ে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানতে পারেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা এই তালা ঝুলিয়েছে। শাসক দলের নেতারা তালা লাগিয়েছে, সেই তালা ভাঙা সাহসও কারও নেই। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা একজন সিভিককে পাঠিয়ে নিজেদের দায় এড়িয়েছেন। এই বিষয়টি শুধু পর্ত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নয়, পাশের রাঘবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একই ঘটনা ঘটেছে। তালা মারার ঘটনা অন্যদের জানাতে চাইলে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

     কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা? School

     বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ও যৌথ মঞ্চের সদস্যরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। গঙ্গারামপুর পর্ত্তিপাড়া, রাঘবপুর সহ একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাও ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। শনিবার স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেখেন তালা ঝুলছে।এদিকে ঠাঁই রোদে স্কুলের সামনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি পড়ুয়ারাও দাঁড়িয়ে ছিলেন। দুপুর একটার পর তৃণমূল নেতৃত্ব তালা খুলে দেন। দুপুর একটার পর স্কুল খোলার কারণে আজ স্কুলে মিড ডে মিলও হয়নি। এবিষয়ে পর্ত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (School)  প্রধান শিক্ষিকা নূপুর সাহা বলেন, ধর্মঘটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল। পুরো বিষয়টি জানানোর পরে আমরা ধর্মঘটে সামিল যোগ দিয়েছিলাম। আমাদের এই অপরাধে স্কুলে তালা মেরে দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা স্কুলে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় আমাদের গালিগালাজ করে।ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি।

    এবিষয়ে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক শংকর ঘোষ বলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। ধর্মঘট, আন্দলোন করা এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। এই বিষয়ে সরকারকেও উদ্যোগ নেওয়া উচিত। আমরা যারা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলাম আমাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতেই পারে। এটি সম্পূর্ণ আইনি ব্যাপার। এভাবে স্কুল বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের হেনস্থা করার অধিকার কারও নেই। এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে বলুন না, উনি তো বলেছিলেন শিক্ষকরা ধর্মঘট করলে তাদের বেতন কাটা যাবে। যারা স্কুলে তালা মারল তাদেরও মাইনে কাটা উচিত। তাদের কাছ থেকে একদিনের টাকা নেওয়া উচিত। একদিনের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ল, বাচ্চাদের ক্ষতি হল তার দায় কে নেবে। তৃণমূল তো এটাই চায়। হীরক রাজাও স্কুল বন্ধ করে দিয়েছিল। এই নতুন হীরক রানি ও তাঁর দলবল স্কুল বন্ধ করে দিতে চায়। এরা যত বেশি জানে তত বেশি মানে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gangarampur: বয়স মাত্র ৬! ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম উঠল গঙ্গারামপুরের অরিজিৎ পালের, কেন?

    Gangarampur: বয়স মাত্র ৬! ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম উঠল গঙ্গারামপুরের অরিজিৎ পালের, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৩ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে স্বামী বিবেকানন্দের ৫০ টি বাণী ইংরেজিতে বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড ২০২৩ শে নাম নথিভুক্ত করে ফেললেন ছয় বছরের খুদে অরিজিৎ পাল। তার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর (Gangarampur) ব্লকের নীলডাঙ্গা এলাকায়। সে স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলে ইউকেজিতে পড়ে। অরিজিৎ খুদে বয়স থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। তার সাফল্যে খুশি এলাকাবাসী।

    নিজের সাফল্য নিয়ে কী বলল অরিজিৎ? (Gangarampur)

    সম্প্রতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড ২০২৩ এর প্রতিযোগিতায় জন্য অরিজিৎ স্বামী বিবেকানন্দের ৫০ টি বাণী ইংরেজিতে মাত্র ৩ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে রেকর্ড করে পাঠায়। অরিজিৎ দ্রুত স্বামী বিবেকানন্দের ৫০ টি বাণী বলার জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে সে নাম তোলে। এরপরেই উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অরিজিৎকে মেডেল, সার্টিফিকেট এবং উপহার পাঠানো হয়। আগামীদিনে এশিয়া বুক অফ রেকর্ড ও ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ছোট্ট অরিজিৎ। অরিজিতের সাফল্যে ভীষণ খুশি তার বাবা মা সহ গোটা গঙ্গারামপুরবাসী (Gangarampur)। এই বিষয়ে প্রতিভাবান খুদে ছাত্র অরিজিৎ পালের বক্তব্য, নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দের ৫০ টি বাণী ইংরেজিতে বলায় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে আমার নাম ওঠে। এই নাম ওঠায় আমার খুব ভালো লাগছে। আগামীদিনে এশিয়া বুক অফ রেকর্ড ও ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলার ইচ্ছে আছে। তারজন্য আমি তৈরি হচ্ছি। আমার সাফল্যের পিছনে আমার বাবা মা ও স্কুলের শিক্ষকরা অনেক সহযোগিতা করেছে।

    কী বললেন খুদে পড়ুয়ার মা?

    এই বিষয়ে অরিজিৎ এর মা অপর্ণা পাল বলেন, আমার ছেলের এই সাফল্যে খুব ভাল লাগছে। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে ও নাম নথিভুক্ত করে নিজের কাজের স্বীকৃতি পেল। আমরা চাই, জীবনে ও আরও বড় সাফল্যলাভ করুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hilsa Fish: জামাই আদর হবে কী করে? ইলিশের গা দিয়ে তো আগুন ঝরছে!

    Hilsa Fish: জামাই আদর হবে কী করে? ইলিশের গা দিয়ে তো আগুন ঝরছে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা ধরনের মাছের চাষ ও বিক্রির জন্য গোটা বাংলা জুড়ে সুপরিচিত ও বিখ্যাত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর। জামাইষষ্ঠীর আগে গঙ্গারামপুর মাছ বাজারে আগুন ইলিশের দামে। জামাইদের আদর-আপ্যায়নে কোনওরকম খামতি রাখতে নারাজ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাই এই পরিস্থিতিতে অগ্নিমূল্য বাজারদর ভাবাচ্ছে আমবাঙালিদের। কথায় আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। পাতে মাছ না পড়লে যে কোনও অনুষ্ঠানই অপূর্ণ থেকে যায় বাঙালিদের। তবে এই উৎসবে ইলিশের (Hilsa Fish) চাহিদাটাই বেশি থাকে। চলতি বছরে সেই ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত আমবাঙালি। তার প্রধান কারণ অতিরিক্ত দাম। বাজারে ইলিশ কিনতে গিয়ে হাতে ছেঁকা খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে।

    বিভিন্ন সাইজের ইলিশের (Hilsa Fish) দাম কেমন?

    মূলত, ইলিশের (Hilsa Fish) কম সরবরাহ থাকায় পাইকারি ও খুচরো বাজারে দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ইলিশের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। বাজারে এক কেজি বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৭০০-১৮০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৩০০-১৪০০ টাকা। এছাড়াও ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১২০০-১৩০০ টাকা মূল্যে। যদিও সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা বলছে, এই ধরনের অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে বিক্রেতারা বাড়তি মুনাফার লোভে নিজেরাই দাম বাড়িয়ে দেন। গঙ্গারামপুরের পাশাপাশি চিত্তরঞ্জন মাছ বাজার, পান সমিতি মাছ বাজার, কালদিঘি ও ধলদিঘি মাছ বাজার সহ বিভিন্ন জায়গাতেও ইলিশ মাছের দাম রয়েছে চড়া। এছাড়াও জামাইষষ্ঠীর আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন জিনিসেরই দাম বেড়েছে। যা কিনতে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাত পুড়ছে। তবুও জামাই আদরে খামতি রাখতে চান না কেউই। তাই কৃপণতা না করেই মিষ্টি-মন্ডামিঠাই সহ বাঙালির মাছের রাজা ইলিশ কিনতে গিয়ে সকলে যে হিমসিম খাচ্ছেন, তা বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share