Tag: Gautam Gambhir

Gautam Gambhir

  • Virat Rohit Relation With Gambhir: বিরাট-ব্যাটে মুগ্ধ সতীর্থরা, ‘রো-কো’র সঙ্গে দূরত্ব মেটাতে গম্ভীর-আগরকরদের বার্তা বোর্ডের?

    Virat Rohit Relation With Gambhir: বিরাট-ব্যাটে মুগ্ধ সতীর্থরা, ‘রো-কো’র সঙ্গে দূরত্ব মেটাতে গম্ভীর-আগরকরদের বার্তা বোর্ডের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও তাঁদের মধ্যে কতটা ক্রিকেট বাকি রাঁচিতে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা। এখনও দলকে জেতাচ্ছেন রো-কো জুটিই। মাঠে দেখে মনে হচ্ছে, সবচেয়ে তরুণ তাঁরাই। রোহিত, কোহলির হাত ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জিতেছে ভারত। একই সঙ্গে টেস্টে ডাহা ফেলের পর একদিনের ক্রিকেটের পরীক্ষায় উতরে গিয়েছেন গুরু গম্ভীর। রবিবার রাঁচিতে বিরাট কোহলির শতরান ও রোহিত শর্মার অর্ধ শতরান শুধু সমর্থকদের নয়, মুগ্ধ করেছে তাঁর সতীর্থদেরও।

    কুলদীপের কোহলি-বন্দনা

    বোর্ডের পোস্ট করা ভিডিয়োয় কুলদীপ বলেন, “বিরাট ভাই যখন অধিনায়ক তখন আমার ক্রিকেটজীবন শুরু হয়। যে ভাবে ও ব্যাট করল, দেখে মনে হল আট-ন’বছর আগের দিনে ফিরে গিয়েছে। ঠিক যে ভাবে ২০১৭, ২০১৮ বা ২০১৯-এ ব্যাট করত। অসাধারণ একটা ইনিংস খেলল। ওকে দেখে খুব আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। অসাধারণ সব শট বেরোল ওর ব্যাট থেকে।” কুলদীপ জানিয়েছেন, কোহলি পাশে থাকলে তিনি আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। কারণ, বোলিংয়ের সময় অনেক পরামর্শ দেন কোহলি। কুলদীপের কথায়, “কোহলি দলে থাকলে খুব ভালো লাগে। সব সময় কোনও না কোনও পরামর্শ পাওয়া যায়। বোলিংয়ের সময়ও ও এসে বলে যায় কী করতে হবে। ওর মতো সিনিয়রেরা পাশে থাকলে সব সময়েই ভালো। দলের মধ্যেও আলাদা শক্তি এবং স্ফূর্তি আসে। সেদিন মাঠেই সেটা দেখেছেন। ওকে পেয়ে আমরা ভাগ্যবান।”

    সামনে থেকে ওর খেলা দেখা ভাগ্যের ব্যাপার

    প্রথমবার কোহলির শতরান চোখের সামনে দেখেছেন তিলক। তাঁর বিশ্বাসই হচ্ছে না এই ইনিংস। বলেছেন, “আমরা কোহলির অন্যতম সেরা ইনিংস দেখতে পেলাম। প্রথম বার সামনে থেকে বিরাট ভাইয়ের শতরান দেখতে পেয়ে খুব খুশি। গত ১৭ বছর ধরে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছে ও। ব্যাটিং, ফিল্ডিং, সবেতে সেরা। সব সময়ে নিজেকে সকলের আগে রাখতে ভালবাসে। অনেক কিছু শিখেছি ওর থেকে। সামনে থেকে ওর খেলা দেখা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি চেষ্টা করি যতটা সম্ভব ওর সঙ্গে কথা বলে কিছু না কিছু শিখতে।”

    রোহিত-বিরাটে মুগ্ধ রাহুল

    ম্যাচের আগে রাহুল বলেছিলেন, “রোহিত ও কোহলির গুরুত্ব আমাদের দলে খুব বেশি। ওদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার সাজঘরে থাকলে সকলের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যায়। ওদের অভিজ্ঞতা দলের সকলকে অনেক সাহায্য করে। তাই ওদের পেয়ে আমি খুব খুশি।” রবিবার ম্যাচ হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, “রোহিত আর কোহলিকে এ ভাবে খেলতে দেখলে খুব মজা লাগে। ওরা যে স্বাধীনতা নিয়ে খেলে সেটা গোটা কেরিয়ার জুড়েই করেছে। নতুন কিছু নয় ওদের কাছে। অনেক দিন ধরে ওদের চোখের সামনে দেখছি। সাজঘরে ওদের দেখতে পাওয়া আমার কাছে সব সময়েই খুব মজার।”

    গম্ভীর-আগরকে তলব

    এদিকে, গম্ভীর এবং আগরকরকে জরুরি তলব করা হয় বিসিসিআই-এর তরফে। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোহলি-রোহিতের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব বা বিরোধ তৈরি হয়েছে কিনা। কারণ শোনা যাচ্ছে, গত অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় থেকে কোচের সঙ্গে বিশেষ কথা বলছেন না কোহলি। আবার এক দিনের দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর আগরকরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করেছেন রোহিত। মাঠে এবং সাজঘরের তাঁদের বিভিন্ন আচরণ দেখে সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে বলে মনে করছেন না বিসিসিআই কর্তারা। দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে এই ধরনের দূরত্ব ভালো ভাবে নিচ্ছেন না বোর্ড কর্তারা। গম্ভীর এবং আগরকরের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন কর্তারা।

    রোহিত-কোহলিকে নিয়ে বৈঠক

    ওডিআই ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ২ ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে চর্চা চলছে সমাজ মাধ্যমে। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণার পর ওডিআই সিরিজ থেকেও অধিনায়কত্ব হারান রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তাঁর বদলে দলের অধিনায়ক বানানো হয় শুভমন গিলকে (Shubman Gill)। ভাইস ক্যাপ্টেনের পদ দেওয়া হয়েছে শ্রেয়স আইয়ারকে (Shreyas Iyer)। আর এই সিদ্ধান্তের পরেই, ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে রোহিত ও কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছে। হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে সম্পর্ক নাকি তলানিতে ঠেকেছে দুই তারকা ক্রিকেটারের। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, “গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার সম্পর্ক যে জায়গায় থাকা উচিত ছিল সে জায়গাতে নেই খুব শীঘ্রই দুই তারকার সঙ্গে তাদের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে চলেছে বিসিসিআই। সম্ভাবত দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ওডিআই ম্যাচের মাঝেই মিটিংটি অনুষ্ঠিত হবে।”

    রোহিত-কোহলির গুরুত্ব

    বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর, নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকর এবং আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে নেওয়া হল যখন টিম ইন্ডিয়ার তারকা খেলোয়াড় বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছে। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে উভয় খেলোয়াড়ই নিজেদের স্কিল ফের একবার চিনিয়ে দিয়েছেন৷ বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া, যুগ্ম সচিব প্রভাতেজ সিং ভাটিয়া, প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর এবং জাতীয় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকর এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন। এই বৈঠকের আগে দলের ভিতরে রোহিত-কোহলির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় মেতেছেন ক্রিকেটাররা। বিরাট-ব্যাটে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে রাহুল-কুলদীপ-তিলকদের মধ্যে।

  • India vs South Africa: ভাঙলেন শচিনের রেকর্ড, স্ব-মহিমায় কিং কোহলি! রোহিত-বিরাটের হাত ধরেই জয়ে ফিরল ভারত

    India vs South Africa: ভাঙলেন শচিনের রেকর্ড, স্ব-মহিমায় কিং কোহলি! রোহিত-বিরাটের হাত ধরেই জয়ে ফিরল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ফের তার প্রমাণ মিলল বাইশ গজে। লাল বল থেকে সাদা বলে প্রত্যাবর্তন। সেই সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটেও ফিরল হাসি। রাঁচিতে এক দিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭ রানে হারিয়ে দিল ভারত (India vs South Africa)। দর্শকেরা যা দেখতে মাঠে এসেছিলেন, সেটা পেয়ে গেলেন। বিরাট কোহলির শতরান, রোহিত শর্মার অর্ধশতরান! আর কী চাই। কোহলি-রোহিতের হাত ধরেই জয়ে ফিরল ভারত। হাসি ফিরল গুরু গম্ভীরের মুখেও। প্রথমে ব্যাট করে ৩৪৯/৮ তুলেছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা আটকে গেল ৩৩২ রানে। একই সঙ্গে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়লেন কিং কোহলি। ছয়ের পর ছয় এল ‘রো-কো’র ব্যাট থেকে।

    শচিনকে ছাপিয়ে গেলেন

    রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে ১৩৫ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। যার সুবাদে টিম ইন্ডিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৩৪৯ রানের বিশাল স্কোর করতে সক্ষম হয়। এই ইনিংসে কোহলি ৫টি বড় রেকর্ড গড়েছেন। ছাপিয়ে গিয়েছেন মাস্টার-ব্লাস্টার শচিন তেন্ডুলকরকে। বিরাট কোহলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনও একটি ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। তিনি সচিন তেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। সচিন টেস্ট ক্রিকেটে ৫১টি সেঞ্চুরি করেছেন। কোনও ফর্ম্যাট (টি-২০, টেস্ট এবং ওয়ান ডে) -এ এর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি কারও ছিল না, কিন্তু এখন বিরাট কোহলি এগিয়ে গিয়েছেন। তিনি ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৫২টি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। বিরাট কোহলি ১৩৫ রানের এই ইনিংসে সচিন তেন্ডুলকরের আরও একটি বড় রেকর্ড ভেঙেছেন। তিনি ভারতে ওয়ানডে ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বেশি ৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। আগে এই রেকর্ড সচিন তেন্ডুলকরের নামে ছিল, যিনি ৫৮ বার এই কীর্তি গড়েছিলেন। কোহলি ৫৯ বার দেশের মাটিতে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৫০ বা তার বেশি রান করেছেন।

    রেকর্ডের পর রেকর্ড

    বিরাট কোহলি ভারতের কোনও একটি মাঠে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। রাঁচির ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বিরাট ৫ ইনিংসে ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন। বিরাট বিশাখাপত্তনম এবং পুনেতেও ৩টি করে সেঞ্চুরি করেছেন। তবে ওই দুই মাঠে যথাক্রমে সাত ও আটটি ইনিংস লেগেছে কোহলির। বিরাট কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ওয়ান ডে সেঞ্চুরি করা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। রাঁচিতে কোহলির দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ষষ্ঠ ওয়ান ডে সেঞ্চুরি ছিল। বিরাট কোহলি ৩ নম্বর পজিশনে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ছক্কা মারা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। তিনি রিকি পন্টিংয়ের রেকর্ড ভেঙেছেন, যিনি ৫৪০ ইনিংসে ২১৭টি ছক্কা মেরেছিলেন। বিরাট কোহলি তিন নম্বরে খেলে ৩২৭ ইনিংসে ২১৮টি ছক্কা মেরেছেন।

    রোহিতের পরিচিত মেজাজ

    দু’বছর আগের এক দিনের ক্রিকেট থেকে একটা ঘরানা শুরু করেছেন রোহিত শর্মা। ওপেন করতে নেমে এতটাই আগ্রাসী খেলছেন যে বাকিদের উপর চাপ কমে যাচ্ছে। তাঁকে সেই স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। রোহিতের লক্ষ্য থাকে পাওয়ার প্লে-তে যতটা সম্ভব রান তুলে নেওয়া। এর একটা উল্টো দিকও রয়েছে। চালিয়ে খেলতে গেলে আউট হওয়ার সম্ভাবনাও বহু গুণে বাড়ে। রোহিত অবশ্য কোনও দিনই সে সবের পরোয়া করেন না। সে কারণেই সাফল্য পাচ্ছেন। সিডনিতে শেষ যে ম্যাচটি খেলেছিলেন, সেখানে শতরান করে দলকে জিতিয়েছিলেন। রাঁচিতে তাঁর ব্যাট থেকে আগ্রাসী অর্ধশতরান দেখা গেল। এক রানের মাথায় ক্যাচ পড়েছে। তবু আগ্রাসনের রাস্তা থেকে সরেননি রোহিত। করবিন বশকে টানা দু’টি চার মেরেছেন। প্রেনেলান সুব্রায়েনকে পর পর দু’টি ছয় মেরেছেন। সবচেয়ে ভালো লেগেছে বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর জুটি। দু’জনের বোঝাপড়া কতটা ভাল তা এই ম্যাচেও বোঝা গিয়েছে। সিডনির পর রাঁচিতেও দু’জনের জুটি ভারতকে শক্তিশালী করেছে। ২০তম ওভারে মার্কো জানসেনকে ছয় মেরে শাহিদ আফ্রিদির নজির ভেঙে দিয়েছেন।

    ৬৮১ রানের পাহাড়

    ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) মধ্যে আয়োজিত প্রথম একদিনের ম্যাচে দুটো দল মোট ৬৮১ রান করে। এছাড়া দুই দলের হয়ে উড়ে যায় ২৮ গগনচুম্বী ছক্কা। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে এটাই সর্বাধিক রান। পাশাপাশি সর্বাধিক ছক্কা হাঁকিয়েছেন দুই দলের ব্যাটাররা। ইতিপূর্বে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ২০১৫ সালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৩৮ রান করেছিল। এরপর ভারত ব্যাট করতে নেমে ২২৪ রান করে। এই ম্যাচে দুটো দল মিলিয়ে মোট ৬৬২ রান করেছিল। আর হাঁকিয়েছিল ২৫ ছক্কা। এবার দশ বছরের পুরনো সেই রেকর্ড ভেঙে গেল।

  • Gautam Gambhir: গুরু গম্ভীরেই আস্থা বোর্ডের! শুভমনদের আরও একটু সময় দিতে চায় বিসিসিআই

    Gautam Gambhir: গুরু গম্ভীরেই আস্থা বোর্ডের! শুভমনদের আরও একটু সময় দিতে চায় বিসিসিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের পর ফের ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে অল্পের জন্য হার, আর তারপর গুয়াহাটিতে ৪০৮ রানে অসহায় আত্মসর্পণ। তবুও গুরু গম্ভীরেই (Gautam Gambhir) আস্থা রাখছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গম্ভীরকে কোচ পদ থেকে অপসারণের কোনও ইচ্ছা আপাতত বিসিসিআইয়ের নেই। তারা কোচের বিরুদ্ধে কোনও তাড়াহুড়ো করে পদক্ষেপ নেবে না, এ কথা জানিয়েছেন বোর্ডের এক কর্তা। দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হওয়ার পরে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিসিসিআই-এর উপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দিয়েছিলেন গম্ভীর। এবার তাঁর ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বিসিসিআই।

    গম্ভীরকে সময় দিতে আগ্রহী বিসিসিআই

    বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, “এখনই গম্ভীরকে সরিয়ে দেওয়ার কথা আমরা ভাবছি না। ও একটা দল তৈরি করছে। ২০২৭-এর বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর গম্ভীর এবং নির্বাচকদের সঙ্গে বৈঠক হবে বোর্ডকর্তাদের। সেখানেই গম্ভীরকে জিজ্ঞাসা করা হবে, দলের এই রূপান্তরের সময়টাকে কী ভাবে দেখছে ও।” তিনি বলেছেন, “দুম করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে নয় বিসিসিআই। দল এখন রূপান্তরের মধ্যে রয়েছে। বিশ্বকাপ সামনেই। তা ছাড়া ওঁর চুক্তি হয়েছে ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তাই এখনই গম্ভীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও কারণ নেই। বিসিসিআই নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবে।” বুধবার সিরিজ হারের পর নিজের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেছিলেন, “এটা তো বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আমি আগেও একটা কথা বলেছি, আজও বলছি। ভারতীয় ক্রিকেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমি নই। মনে রাখবেন, আমি সেই একই লোক যে ইংল্যান্ডে ভালো ফল করেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং এশিয়া কাপ জিতেছে।”

    গম্ভীর স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারের পর থেকে গৌতম গম্ভীরকে কোচের পদ থেকে সরানোর দাবি করা হচ্ছে। সমর্থক থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ গম্ভীরকে সরানোর দাবি করতে শুরু করেছেন। গম্ভীরের জমানায় ভারত সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করলেও লাল বলের ক্রিকেটে দলের ফর্ম পড়তে শুরু করেছে। গম্ভীর যখন টেস্ট দলকে পেয়েছেন তখন দলে একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, চেতেশ্বর পূজারার মতো সিনিয়র প্লেয়াররা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এই চারটে জায়গা ভরাট করার জন্য গম্ভীর তরুণদের দিকে ঝুঁকছেন। এতগুলো নতুন মুখকে তৈরি করতে যেই সময় দেওয়া দরকার সেটা নেই। অনেকে দাবি করেছেন, গম্ভীর রঞ্জি ট্রফির পারফরম্যান্স দেখে দলে না নিয়ে তিনি আইপিএল-এ পারফরম্যান্স দেখে দলে নিচ্ছেন। এবার গম্ভীরকে কোচের পদ থেকে সরানো নিয়ে মুখ খুলল বিসিসিআই। গম্ভীর জমানায় ভারত টেস্টে এমন কিছু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে যা অতীতে ছিল না। ঘরের মাঠে দুটো টেস্ট সিরিজে হার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রবেশ করতে না পারা। ঘনঘন দলের প্রথম একাদশে বদলের মতো ঘটনা ঘটেছে। যার পর প্রশ্নের মুখে গম্ভীরের স্ট্র্যাটেজি। তবে বিসিসিআই এখনই গম্ভীরকে সরাতে চাইছে না।

  • India vs South Africa: রোহিত-কোহলি-অশ্বিনের অভাব বুঝছেন গম্ভীর! দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪০৮ রানে হার ভারতের

    India vs South Africa: রোহিত-কোহলি-অশ্বিনের অভাব বুঝছেন গম্ভীর! দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪০৮ রানে হার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোহিত, কোহলি এবং অশ্বিন দীর্ঘ দিন ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। দেশের মাটিতে একের পর এক সাফল্য দিয়েছেন দলকে। এই তিন জনের অভাব যে পূরণ করা যায়নি তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) কাছে হারের পর। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে গম্ভীর বলেন, “এই হারের দায় সকলের। তবে শুরুটা আমাকে দিয়েই হবে। আসলে এটাই হল রূপান্তরের (ট্রানজিশন) শুরু। আপনাকে সময় দিতেই হবে।” উদাহরণ হিসাবে গম্ভীর তুলে ধরেছেন ওয়াশিংটন সুন্দরের কথা। তিনি বলেছেন, “আমরা ওয়াশিংটনকে যতটা বেশি সম্ভব সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আপনি যদি ভাবেন ১০০-র বেশি টেস্ট খেলা অশ্বিনের মতো খেলে দেবে ওয়াশিংটন, তা হলে তরুণ ছেলেটার উপরে অবিচার করা হবে। এটা নিয়ে আপনাদেরও ভাবা উচিত। সবে ১০-১২-১৫টা টেস্ট খেলেছে ওরা। এখনও শেখার অনেক জায়গা রয়েছে। বিভিন্ন পরিস্থিতি, বিভিন্ন পরিবেশে বল করা শিখছে।”

    ক্রিকেটারদের সময় দেওয়া দরকার

    এর পরেই গম্ভীর বলেছেন, “এত বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে একসঙ্গে হারালে সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। এই জন্যই এটাকে রূপান্তর বলছি। এই ক্রিকেটারদের সময় দেওয়া দরকার। আমার মনে হয় না আগে কখনও একই সঙ্গে ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই রূপান্তর হয়েছে বলে। আগে ব্যাটিং বিভাগ ভালো থাকত। বোলিং বিভাগে রূপান্তর হত। অথবা উল্টোটা। এই দলে পুরোটাই নতুন করে তৈরি হচ্ছে। সকলের এটা বোঝা উচিত, এই দলে যারা বসে আছে তাদের সেই যোগ্যতা এবং দক্ষতা রয়েছে। আমরা সকলেই টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা দেখতে চাই। সেটার জন্য অভিজ্ঞতা দরকার। এর পর যখন ওরা কঠিন পরিবেশে গিয়ে খেলবে, ঠিক কাজের কাজ করে দেবে।”

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকা

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকাতেও লজ্জার মুখে পড়ল ভারত। পাঁচ নম্বরে নেমে গেল ভারত। ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করে দক্ষিণ আফ্রিকা দুই নম্বরে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল। তারা চারটি টেস্ট খেলে তিনটিতেই জিতেছে। একটিতে হেরেছে। তাদের শতকরা পয়েন্ট এখন ৭৫.০০। শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। তারা চারটি টেস্ট খেলে চারটিতেই জিতেছে। তাদের শতকরা পয়েন্ট ১০০। বুধবার গুয়াহাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দ্বিতীয় টেস্টে ৪০৮ রানে হেরে গেল ভারত। গুয়াহাটি টেস্টে ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল ৫৪৯ রানের। ভারত হেরেছে ৪০৮ রানে। টেস্ট ক্রিকেটে রানের নিরিখে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ ব্যবধানে হার। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০০৪ সালের। সে বার নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৪২ রানে হেরেছিল তারা। জেসন গিলেসপি এবং গ্লেন ম্যাকগ্রার বোলিংয়ের সামনে দুই ইনিংসেই গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে সাড়ে ৩ দিনেই শেষ গম্ভীরের ভারত। ৪০৮ রানে গুয়াহাটি টেস্টে হারতে হল ভারতকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪০ রানে গুটিয়ে গেল ভারত।

  • India vs England: ভারত-ইংল্যান্ড চূড়ান্ত লড়াই, বাড়ছে উত্তেজনা! ওভালে পিচ কিউরেটরের সঙ্গে বচসায় গম্ভীর

    India vs England: ভারত-ইংল্যান্ড চূড়ান্ত লড়াই, বাড়ছে উত্তেজনা! ওভালে পিচ কিউরেটরের সঙ্গে বচসায় গম্ভীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চম তথা শেষ টেস্টের (India vs England) আর বেশি দেরি নেই। রাত পোহালেই শুরু হবে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির অন্তিম যুদ্ধ। ম্যাঞ্চেস্টারে (Manchester Test) দুর্দান্ত ড্রয়ের পর সিরিজে সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ টিম ইন্ডিয়ার (Team India) সামনে। কিন্তু তার আগেই ফের বিতর্ক। মঙ্গলবার দুপুরে ওভালের প্রধান পিচ কিউরেটর (Oval Pitch Curator) লি ফোর্টিসের (Lee Fortis) সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir)। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট নাটকীয় লড়াইয়ে ড্র হয়েছে। সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্য ওভালে নামবে গম্ভীর ব্রিগেড। সোমবারই লন্ডনে পৌঁছেছে ভারতীয় দল। মঙ্গলবার প্রথম অনুশীলন ছিল। কিন্তু জানা যাচ্ছে, মাঠের পরিষেবা নিয়ে অখুশি টিম ইন্ডিয়া। সেই নিয়ে পিচ কিউরেটর ফর্টিসের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন গম্ভীর।

    গম্ভীর-ফর্টিস বিতর্ক

    ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক বলেছেন, ‘‘মাঠে আইস বক্স রাখার সময় ফর্টিস প্রথমে চিৎকার করে আমাদের সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর বলার ধরন পছন্দ হয়নি গম্ভীরের। কোচ বিরক্ত হন। তিনি আপত্তি জানান। তা থেকেই প্রথম উত্তেজনা তৈরি হয়।’’ গম্ভীর বলেন, “আমরা কী করব, সেটা আপনি বলার কেউ নন।” জানা যাচ্ছে, ওভালের পিচ কিউরেটর ও অন্যান্য মাঠকর্মীরা গম্ভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার হুমকি দেন। যার উত্তরে গম্ভীর বলেন, “যা খুশি করুন। যেখানে অভিযোগ করতে হয় করুন। আপনি একজন মাঠকর্মীর বেশি নন।” এ প্রসঙ্গে কোটাক আরও বলেছেন, ‘‘আমরা যখন পিচ দেখছিলাম, তখন ফর্টিস এক জন মাঠকর্মীকে পাঠান। তিনি আমাদের আড়াই মিটার দূর থেকে পিচ দেখতে বলেন। মানে আমাদের প্রধান কোচকে দড়ির বাইরে থেকে পিচ দেখতে বলা হয়! আমার ক্রিকেটজীবনে এমন কখনও দেখিনি। আমরা জগার্স পরেছিলাম। রবারের স্পাইক পরে পিচের কাছে যাওয়া যায়। আমরা ভুল কিছু করিনি। ওর বক্তব্য আমাদের অদ্ভুত লেগেছে। আমরা মাঠের কোনও ক্ষতি করতে যাইনি। আমরা পিচ দেখছিলাম। প্রাচীন মূল্যবান কোনও সামগ্রী দেখছিলাম না।’’ তিনিও বলেছেন, ‘‘এটা থেকেই উত্তেজনার শুরু। গম্ভীর এমন একজন মানুষ, যে খুব বেশি কথা বলে না। কারও সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় কথাও বলে না। আমরা সব জায়গায় খেলতে যাই। সব পিচ প্রস্তুতকারকই আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। হয়তো অনেক সময় আমরা ঘাস কাটা হবে কি না জানতে চাই। তাঁরা তাঁদের মতো করে ভাল ভাবে উত্তর দেন।’’

    টেস্টে অভিষেক হতে পারে অর্শদীপের

    সিরিজে (India vs England) হার এড়াতে ওভালে জিততেই হবে শুভমন গিলদের। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনায় ফাঁক রাখতে চাইছে না ভারতীয় শিবির। সিরিজের শেষ টেস্টের প্রথম একাদশ নিয়েও ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন গৌতম গম্ভীরেরা। ভারতীয় শিবির সূত্রে খবর, ওভালে অভিষেক হতে পারে এক ক্রিকেটারের। ব্যাটিং ভাল হলেও বোলিং নিয়ে ভারতীয় শিবিরে উদ্বেগ রয়েছেই। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়া যাচ্ছে না। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, অংশুল কম্বোজ, শার্দূল ঠাকুরেরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বল হাতে। তাই অন্য একজনকে খেলানোর কথা ভাবছেন গম্ভীর। তিনি অর্শদীপ সিং। সব কিছু ঠিক থাকলে ম্যাঞ্চেস্টারেই অভিষেক হতে পারত বাঁহাতি জোরে বোলারের। অর্শদীপ বাঁহাতি হওয়ায় ভারতের বোলিং আক্রমণের বৈচিত্র্য বাড়বে। তিনি খেলতে না পারলে প্রথম একাদশে ফিরবেন আকাশদীপ। খেলবেন মহম্মদ সিরাজ। কম্বোজের জায়গায় অভিষেক হতে পারে অর্শদীপের। ভারতের ৩১৯ নম্বর ‘টেস্ট ক্যাপ’ তুলে দেওয়া হবে ২৬ বছরের বোলারের হাতে। অর্শদীপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। দেশের হয়ে এক দিনের ম্যাচও খেলেছেন।

  • India vs England: ইংল্যান্ডে লাল বলের ক্রিকেটে নামার অপেক্ষায় রোহিত-কোহলিহীন নতুন ভারত

    India vs England: ইংল্যান্ডে লাল বলের ক্রিকেটে নামার অপেক্ষায় রোহিত-কোহলিহীন নতুন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলের রেশ কাটিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের (India vs England) এবার ফরম্যাট বদলের পালা। শুক্রবার হেডিংলিতে শুরু হবে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।  অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পর অবশেষে লাল বলের ক্রিকেটে ফিরছে ভারতীয় দল। এই ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের নতুন পর্বও। এর মাঝে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাকে ছাড়া নামবে টিম ইন্ডিয়া। শুভমন গিলের নেতৃত্বে শুরু হবে এক নতুন যুগ। দুই মহাতারকার অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্রিটিশদের চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত যশস্বী-পন্থরা।

    নতুন ভারতের যাত্রা শুরু

    ইংল্যান্ডের (India vs England) পিচ ও আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে সিরিজ শুরুর ১৪ দিন আগে ইংল্যান্ডে পৌঁছেছে তরুণ ভারতীয় দল। সেখানে ১০ দিনের একটা শিবির করেছে তারা। নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে। আগে থেকে পুরো তৈরি হয়ে তার পর সিরিজ খেলতে নামতে চাইছে ভারত। নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুভমন গিলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। কোহলির আগ্রাসন ভারতীয় ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছিল। রোহিত ছিল ঠান্ডা, ধীর-স্থির, লড়াকু। ও এই দু’জনের থেকেই শিখেছে শুভমন। এবার মাঠে প্রয়োগের পালা। কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরও এই প্রথম ইংল্যান্ডে গিয়েছেন। ফলে বলা যেতে পারে, তরুণ ভারতীয় দল নামবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এখন দেখার শুরুটা কেমন করেন শুভমনেরা।

    কখন-কোথায় খেলা দেখবেন

    ইংল্যান্ড সফরে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ভারতীয় দল (India vs England)। ২০ জুন অর্থাৎ শুক্রবার প্রথম টেস্ট। লিডসের হেডিংলি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলা হবে প্রথম ম্যাচ। ভারতীয় সময় অনুযায়ী খেলা শুরু হবে বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে। ম্যাচ দেখার দুটো বিকল্প রয়েছে। টেলিভিশনে এই সিরিজ সম্প্রচার হবে সোনি স্পোর্টসে। তেমনই মোবাইলে খেলা দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপে। ইংল্যান্ড শুধুমাত্র প্রথম টেস্টের জন্যই দল ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রাথমিক ভাবে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। দলে নতুন করে ঢুকেছেন তরুণ পেসার হর্ষিত রানা।

    ভারতের স্কোয়াড- শুভমন গিল (ক্যাপ্টেন), ঋষভ পন্থ (ভাইস ক্যাপ্টেন), যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, করুণ নায়ার, নীতীশ রেড্ডি, রবীন্দ্র জাডেজা, ধ্রুব জুরেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণ, আকাশ দীপ, অর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা

    ইংল্যান্ডের স্কোয়াড- বেন স্টোকস (ক্যাপ্টেন), শোয়েব বশির, জেকব বেথেল, হ্যারি ব্রুক, ব্রাইডন কার্স, স্যাম কুক, জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, জেমি ওভার্টন, ওলি পোপ, জো রুট, জেমি স্মিথ, জশ টং, ক্রিস ওকস।

  • Gautam Gambhir: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ করায় গম্ভীরকে খুনের হুমকি আইসিসের!

    Gautam Gambhir: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ করায় গম্ভীরকে খুনের হুমকি আইসিসের!

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: খুনের হুমকি পেলেন ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে মঙ্গলবারই সমাজমাধ্যমে বার্তা লিখেছিলেন তিনি। বুধবার খুনের হুমকি পেলেন গম্ভীর। ভারতীয় দলের কোচকে ইমেলে হুমকিবার্তা পাঠিয়েছে ‘আইএসআইএস কাশ্মীর’। দু’টি হুমকিবার্তা পেয়েছেন গম্ভীর। থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন ভারতীয় দলের কোচ। বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

    থানায় অভিযোগ দায়ের

    মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা লিখেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। তারপরই খুনের হুমকি পেলেন গম্ভীর (Gautam Gambhir)। এক বার নয়, মোট ২ বার বিরাট-রোহিতদের কোচকে ইমেলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ৩টি শব্দের ছোট্ট একটি মেসেজ পাঠানো হয়েছে গম্ভীরকে। কী লেখা হয় তাতে? বুধবার (২৩ এপ্রিল) ‘আইসিস কাশ্মীর’ নামের এক সংগঠন গম্ভীরকে ‘আই কিল ইউ’ (যার অর্থ আমি তোমাকে মেরে ফেলব) লিখে দুটি ইমেল পাঠিয়েছে। প্রথম ইমেলটি আসে দুপুরে আর দ্বিতীয়টি বিকেলে যা পাওয়ার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভারতীয় টিমের হেড কোচ। রাজেন্দ্র নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই সঙ্গে দিল্লির ডিসিপিকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার কথা জানিয়েছেন পুলিশকে।

    তদন্তে পুলিশ

    গম্ভীরের (Gautam Gambhir) অভিযোগ পেয়েই দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কোথা থেকে ওই ইমেল এসেছে, কারা তা পাঠিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গম্ভীর এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলেও জানা গিয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা অভিযোগ পেয়েছে। গম্ভীর এখন দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা পান। তবে কতটা নিরাপত্তা বাড়ানো হবে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে বৈসরন উপত্যকায় ২৬ জন সাধারণ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দুদের টার্গেট করে তারা। তারপর এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা টিআরএফ। গম্ভীর সমাজমাধ্যমে এই ঘটনার নিন্দা করেছিলেন। লিখেছিলেন, “মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। যারা এই কাজের জন্য দায়ী তাদের মূল্য চোকাতেই হবে। ভারত পাল্টা আঘাত হানবেই।” প্রসঙ্গত, গৌতম গম্ভীর বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। তিনি পূর্ব দিল্লি কেন্দ্রে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। প্রথমে কেকেআর ও পরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এখন তিনি রাজনীতি থেকে একটু দূরে।

  • ICC Champions Trophy: বোলিং নিয়ে গম্ভীর-চিন্তা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নজির গড়ার পথে ভারত

    ICC Champions Trophy: বোলিং নিয়ে গম্ভীর-চিন্তা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নজির গড়ার পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। দীর্ঘ ৮ বছর পর ক্রিকেট বিশ্বের সেরা আটটি দেশকে নিয়ে আইসিসি-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হচ্ছে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরবআমিরশাহি-তে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম ম্যাচ অবশ্য বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের বিপক্ষে। রাজনৈতিক কারণে ভারত এবার পাকিস্তানে খেলতে রাজি না হওয়ায়, টুর্নামেন্টে টিম ইন্ডিয়ার সব কটি ম্যাচই হচ্ছে দুবাইয়ে। এমনকি, রোহিতরা সেমিফাইনাল ও ফাইনালে উঠলেও দুবাইয়ে খেলবেন। আর ভারত ছাড়া টুর্নামেন্টের বাকি সব কটি খেলাই হবে পাকিস্তানের তিনটি কেন্দ্রে-লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে। ভারত না উঠলে ফাইনাল হবে লাহোরে, আর টিম ইন্ডিয়া খেললে সেটি হবে দুবাইয়ে।

    বিরল নজির গড়ার সামনে ভারত

    এই টুর্নামেন্টে (ICC Champions Trophy) এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে ভারত। আর দুটো ম্যাচ জিতলে ২০টি ম্যাচ জয়ের নজির গড়বে মেন ইন ব্লু। যা অন্য কোন দলের নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের তালিকায় শীর্ষে ভারত। তাদের পিছনে রয়েছে ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা, যারা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে। এই দুই দলই ভারতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। অপরদিকে, ক্যারিবিয়ানরা, যারা একসময় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল, তারা ১৩টি জয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে, তবে তারা এই সংস্করণের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া, যারা বর্তমানে ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, অবাক করা হলেও, ১২টি জয়ে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে। পাকিস্তান, ২৩ ম্যাচে মাত্র ১১টি জয় নিয়ে আট নম্বরে রয়েছে।

    সমস্যায় ভারতের বোলিং বিভাগ

    বাবা মারা যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে দুবাই ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরেছেন ভারতীয় দলের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল। বিসিসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাবা অ্যালবার্টের মৃত্যুর খবর পান মর্কেল। এরপরেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ফের ভারতীয় দলে যোগ দিতে পারেন। তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের বোলিং কোচ দুবাইয়ে ফিরবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। চোটের জন্য আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারছেন না ভারতীয় দলের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরা। ফলে ভারতের পেস বোলিং আক্রমণের শক্তি কমে গিয়েছে। এরই মধ্যে বোলিং কোচ দেশে ফিরে যাওয়ায় ভারতের বোলিং বিভাগে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

    গ্রুপে ভারতের প্রতিপক্ষ কারা

    ২০ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ২ মার্চ গ্রুপের শেষ খেলায় নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। আপাতত প্রথম দুই ম্যাচই পাখির চোখ রোহিতদের। বাংলাদেশ ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের যাত্রা শুরু করতে চান রোহিতরা। এই দুই ম্যাচ ভারতের কাছে মর্যাদার লড়াই।

  • Abhishek Sharma: আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই লক্ষ্য গম্ভীরের, অভিষেকের আগ্রাসনেই হারিয়ে গেল ইংল্যান্ড

    Abhishek Sharma: আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই লক্ষ্য গম্ভীরের, অভিষেকের আগ্রাসনেই হারিয়ে গেল ইংল্যান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিরল সুদিন। টেস্টে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগলেও টি২০ ক্রিকেটে তাঁর চিন্তাভাবনা বরাবরই সফল। আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক। মেন্টর হিসেবেও তাঁর জাদু স্পর্শেই গতবার আইপিএল খেতাব ঘরে তুলেছে কলকাতা। তিনি গৌতম গম্ভীর। টি২০-তে তাঁর লক্ষ্য পরিষ্কার। ভারতীয় দলের কোচ হিসেবেও ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে ১০০ শতাংশ সফল গম্ভীর। তাঁর মাস্টার-মাইন্ডেই ইংল্যান্ডকে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারাল ভারত। শুধু হারাল নয়, শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে ১৫০ রানে হেরে লজ্জার মুখে ইংল্যান্ড। ইংরেজদের তৈরি বাজবলেই তাঁদের ঘায়েল করেছেন গম্ভীর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও এই টি-টোয়েন্টির মেজাজ নিয়ে খেলতে নামবে ভারত, জানিয়ে দিয়েছেন গুরু গম্ভীর।

    আগ্রাসী ক্রিকেট গম্ভীরের

    উইকেট পড়লেও কমবে না রান তোলার গতি। লক্ষ্য ২৫০ রান। সেটা করতে গিয়ে যদি ১২০ রানে দল অলআউট হয়ে যায়, তা-ও কোনও সমস্যা নেই। আপাতত এই মেজাজ নিয়ে টি-টোয়েন্টি খেলছে ভারত। শুধু টি২০ নয়, এক দিনের ক্রিকেটেও একই ধরনের মানসিকতা চান কোচ গম্ভীর। গম্ভীর জানিয়েছেন, হারের ভয় নিয়ে খেলতে নামেন না তাঁরা। তিনি বলেন, “টি২০-তে এই ক্রিকেটটাই খেলতে চাই। আমাদের হারের ভয় নেই। ঝুঁকি না নিলে পুরস্কার পাওয়া যাবে না। দলের সকলে এই মানসিকতা নিয়েই খেলে। গত ছ’মাস ধরে সকলে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে। নিঃস্বার্থ ক্রিকেট খেলছে।” গম্ভীরের কথায়, “আমরা প্রতি ম্যাচে ২৫০-২৬০ রান করতে চাই। সেটা করতে গিয়ে যদি কোনও ম্যাচে ১২০-১৩০ রানে অলআউট হয়ে যাই তাতে কোনও সমস্যা নেই। ঝুঁকি না নিলে হবে না। আমার মতে, আমরা ঠিক দিকে এগোচ্ছি। বড় প্রতিযোগিতাতেও এই একই ভাবে খেলব।” গুরু গম্ভীরের আশু লক্ষ্য যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, তা বুঝিয়ে দিলেন।

    অভিষেকের আভিজাত্য

    গুরু গম্ভীরের কথামতোই আগ্রাসী ক্রিকেট উপহার দিয়েছেন অভিষেক শর্মা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শতরান করেছেন তিনি। ৫৪ বলে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। এই ইনিংসে ৪’টি নজির গড়েছেন অভিষেক। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেছেন অভিষেক। ওয়াংখেড়েতে ১৩টি ছক্কা মেরেছেন অভিষেক। আন্তর্জাতিক টি২০-তে এক ইনিংসে ভারতীয়দের মধ্যে যা সর্বাধিক। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ৫৮ রান করেছেন অভিষেক। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে এই রান সর্বাধিক। ১০.১ ওভারের মাথায় নিজের শতরান পূর্ণ করেছেন অভিষেক। এক ইনিংসে ওভারের নিরিখে এটি দ্রুততম শতরান।

    যুবরাজকে ধন্যবাদ

    আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের জন্য নিজের মেন্টর যুবরাজ সিংকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক। তাণর কথায়, “যুবি ভাই তিন-চার বছর আগে থেকে আমাকে নিয়ে পরিশ্রম করছে। ওই একমাত্র যে আমার উপর ভরসা রেখেছিল। আমাকে বলেছিল, এক দিন আমি ভারতের হয়ে খেলব। দলকে জেতাব। সেটা এখন সত্যি। এই ইনিংসের পর তাই আমি যুবি ভাই ছাড়া আর কারও কথা মনে করতে পারছি না।”

  • BCCI: না মানলেই কড়া শাস্তি! রোহিত-বিরাটদের জন‍্য ১০ দফা নিষেধাজ্ঞা জারি বোর্ডের

    BCCI: না মানলেই কড়া শাস্তি! রোহিত-বিরাটদের জন‍্য ১০ দফা নিষেধাজ্ঞা জারি বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দলে তারকা পুজো আর হওয়ার নয়, তা আকারে ইঙ্গিতে পরিষ্কার করে দিতে চাইছে বিসিসিআই। দলে বিশৃঙ্খলতা রুখতে এবার ১০ দফা ফতোয়া জারি করল ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই ১০ দফার নিষেধাজ্ঞা না মানলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের শাস্তিও দিতে চলেছে বিসিসিআই (BCCI)। কোথাও খেলতে গেলে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি মানতে হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। এই নিয়ম চালু হলে এখন থেকে রোহিত-কোহলিদের অনেক ধরনের সুখ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। 

    ক্রিকেটারদের কী কী নির্দেশিকা বোর্ডের

    ১) ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা এ বার থেকে বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে এ বার থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেই হবে। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য এবং বার্ষিক চুক্তিতে থাকার জন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেই হবে।

    ২) কোনও সফর বা সিরিজ চলাকালীন কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার এবার থেকে আর অ্যাড (বিজ্ঞাপন) শ্যুট করতে পারবেন না। 

    ৩) কোনও সফরে স্ত্রী বা বান্ধবীদের নিয়ে যাওয়াতে ফতোয়া জারি করেছে বোর্ড। ৪৫ দিনের কোনও সফরে ১৪ দিনের বেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁদের স্ত্রী বা বান্ধবীরা থাকতে পারবেন না।

    ৪) সিরিজের মাঝপথে কোনও ক্রিকেটার আগে ভাগে ঘরে ফিরতে পারবেন না। ব্যক্তিগত জরুরি অবস্থা না হলে পুরো সিরিজ ক্রিকেটারদের দলের সঙ্গে থাকতে হবে।

    ৫) কোনও ক্রিকেটার এবার থেকে ভারতীয় দলের ডিউটিতে থাকাকালীন ব্যক্তিগত ম্যানেজার বা নিজের কোনও কর্মীকে নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন না। যদি কেউ যান ও, সেক্ষেত্রে তাঁকে আলাদা থাকতে হবে।

    ৬) কোনও সফরে অতিরিক্ত মালপত্র নিয়ে যাওয়া যাবে না। লাগেজের ওজন ১৫০ কেজির (৩টে স্যুটকেস আর ২টো কিট ব্যাগ) বেশি হলে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হবে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকেই।

    ৭) কোনও ক্রিকেটারের বাড়তি ব্যাগ নেওয়ার প্রয়োজন হলে, তা প্রথমে বেঙ্গালুরুর সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পাঠাতে হবে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে তবেই তা নিয়ে যাওয়া যাবে।

    ৮) কোনও সিরিজের আগে বা মধ্যে এবার থেকে আর অনুশীলন সেশন মিস করা চলবে না। বোর্ডের অপশনাল ট্রেনিং সেশন থাকলে বিষয়টা আলাদা।

    ৯) এ বার থেকে বোর্ডের কাজে ভারতের সকল ক্রিকেটারকে উপস্থিত থাকতেই হবে। আসলে বিসিসিআইয়ের যে আনুষ্ঠানিক শুটিং হয়, বা প্রচার হয়, তাতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের এবার থেকে হাজিরা বাধ্যতামূলক।

    ১০) কোনও সফর চলাকালীন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আর আলাদা করে ভ্রমণ করতে পারবেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সে বিষয়েও বোর্ড নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

    কেন এই নির্দেশিকা

    নতুন নিয়মগুলি আনার নেপথ্যে বোর্ডের কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। তারা চায় ক্রিকেটারেরা খেলার প্রতি আরও মনোযোগী হয়ে উঠুক। সেই সঙ্গে দলে একাগ্রতা, শৃঙ্খলা এবং ইতিবাচক মনোভাব চাইছে বোর্ড। ক্রিকেটারদের আরও পেশাদার করাই লক্ষ্য তাদের। অধিনায়ক রোহিত শর্মা, কোচ গৌতম গম্ভীর, প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকর ও বিসিসিআই সভাপতি রজার বিন্নির মধ্যে বৈঠকে ১০ দফা আচরণবিধি তৈরি হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: শীতের শেষে কলকাতা কাঁপবে ক্রিকেট জ্বরে! ইডেনে আইপিএলের উদ্বোধনী ও ফাইনাল-সহ ৯টি ম্যাচ

    আচরণবিধি না মানলে শাস্তি

    সূত্রের খবর, এই সব আচরণ বিধিগুলি কোনও ক্রিকেটার যদি না মানে তবে তা শৃঙ্খলাভঙ্গ বলেই মনে করা হবে। এর ফলে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে সেই ক্রিকেটারকে। যার ফলস্বরূপ ওই প্লেয়ারের আইপিএল খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। কাটা হতে পারে তাঁর বার্ষিক চুক্তি এবং ম্যাচ ফি-র টাকাও। সূত্রের খবর, বিসিসিআই জানিয়েছে, যদি ব্যক্তিগত বা অন্য কোনও সমস্যার কারণে এই আচরণ বিধি-র বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করতে হয় তবে সেই ব্যাপারটি আগে থেকে জানিয়ে রাখতে হবে কোচ এবং প্রধান নির্বাচককে, তবেই এড়ানো যাবে শাস্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share