Tag: GE-F414 jet engine

GE-F414 jet engine

  • Rafale-M Fighters: চলছে দর কষাকষি! রাফাল-এম চুক্তি করতে ভারতে ফরাসি দল

    Rafale-M Fighters: চলছে দর কষাকষি! রাফাল-এম চুক্তি করতে ভারতে ফরাসি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্রান্স সফরের ঠিক পরেই নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম (ফরাসি যুদ্ধবিমানের মেরিন বা নৌ-সংস্করণ) কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র (Rafale-M Fighters)। উন্নতমানের এই যুদ্ধবিমানগুলোকে ভারতের বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিরাট-এ মোতায়েন করা হবে। এবার সেই চুক্তির বিষয়বস্তু (Navy Fighter Jet Deal) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে ও তাকে বাস্তব রূপ দিতে সম্প্রতি ভারতে এসেছিল ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তার নেতৃত্বাধীন দল। 

    চুক্তি মূল্য ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার!

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ভারতে যে প্রতিনিধি দল এসেছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন ফরাসি প্রতিরক্ষা বিষয়ক দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত (এশিয়া অঞ্চল) আধিকারিক। অন্যদিকে, ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন নৌসেনার উপ-প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল জনক বেভলি। সূত্রের খবর, চুক্তি (Navy Fighter Jet Deal) সংক্রান্ত পরবর্তী ধাপগুলোর আলোচনা করতেই ভারত সফরে আসা ওই প্রতিনিধি দলের। জানা যাচ্ছে, মোট চুক্তি মূল্য হতে পারে ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। দুপক্ষের মধ্যে দর কষাকষি চলবে এখন।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌসেনায় আসছে ২৬টি ‘রাফাল এম’ যুদ্ধবিমান! ট্যুইটে ঘোষণা দাসোর

    এফ-১৮ সুপার হর্নেটকে হারিয়ে বরাত জেতে রাফাল-এম

    নৌসেনার জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান (Rafale-M Fighters) কিনতে ইচ্ছাপ্রকাশ করে ভারত। সেই মোতাবেক, একাধিক সংস্থা ভারতের এই বরাত পাওয়ার দৌড়ে অবতীর্ণ হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে, দুই বিমানের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। একটি ছিল ফরাসি সংস্থা দাসো নির্মিত রাফাল-এম। অন্যটি, মার্কিন বোয়িং নির্মিত এফ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট। শেষমেশ, ফরাসি রাফাল নির্বাচিত করে ভারত। জুলাই মাসে এই মর্মে, প্রস্তাব পাশ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (Navy Fighter Jet Deal)। 

    ভারতের প্রয়োজনতীয়তাকে গুরুত্ব ফ্রান্সের

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আলোচনায় ফরাসি দল জানিয়েছে, ভারতের প্রয়োজনতীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে তারা রাফাল (Rafale-M Fighters) উৎপাদনের সংখ্যা বর্তমানে বছরে ১৮ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ পর্যন্ত করতে পারে। অন্যদিকে, ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন যুদ্ধবিমানগুলোতে দেশীয় আকাশ-থেকে-আকাশ মাঝারি পাল্লার অস্ত্র মিসাইলকে যুক্ত করার সংস্থান থাকতে হবে। এই চুক্তি রূপায়িত হলে ভারতীয় নৌসেনার শক্তি এক লাফে কয়েকগুন বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    ভারত-ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক দীর্ঘ

    এখানে বলে দেওয়া যাক, এর আগে, ২০১৫ সালে মোদির ফ্রান্স সফরে ৩৬টি রাফাল কেনার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল। একেবারে, দুই সরকারের মধ্যে ওই চুক্তি মোতাবেক ভারত ফ্রান্সের থেকে একেবারে তৈরি অবস্থায় (ফ্লাই-অ্যাওয়ে) ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান বায়ুসেনার জন্য কেনা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ভারতে এসেছে সেই যুদ্ধবিমানগুলি। এর অনেক আগে, ১৯৮০ সালে মিরজ বিমানও কিনেছিল ভারত। এখনও সেই যুদ্ধবিমানের দুটি স্কোয়াড্রন ভারতীয় বায়ুসেনার অংশ। ২০০৫ সালে ৬টি স্করপিন ক্লাস ডিজেল সাবমেরিন ফ্রান্স থেকে এসেছিল ভারতে। আরও ২টোর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সম্প্রতি। সেই সঙ্গে আসছে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale-M Fighters)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • HAL-GE Jet Engine Deal: প্রস্তাব পাশ মার্কিন কংগ্রেসে, যৌথ উদ্যোগে ভারতেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমানের জেট ইঞ্জিন

    HAL-GE Jet Engine Deal: প্রস্তাব পাশ মার্কিন কংগ্রেসে, যৌথ উদ্যোগে ভারতেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমানের জেট ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক মার্কিন রাষ্ট্রীয় সফরকালে। ভারত-মার্কিন যুদ্ধবিমানের জেট ইঞ্জিন উৎপাদনের চুক্তিকে এবার সবুজ সঙ্কেত দিল মার্কিন কংগ্রেসও (HAL-GE Jet Engine Deal)। ফলে, দুদেশের যৌথ উদ্যোগে ভারতেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমানের জেট ইঞ্জিন।

    ভারত-মার্কিন এফ-৪১৪ জেট ইঞ্জিন চুক্তি

    গত গত জুন মাসে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সেই সময় দেশীয় যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর (HAL) সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই)। চুক্তি (HAL-GE Jet Engine Deal) অনুযায়ী, যৌথ উদ্যোগে যুদ্ধবিমানের জন্য এফ-৪১৪ জেট ইঞ্জিন (F-414 Jet Engine) তৈরি হবে। ভারতেই তৈরি হবে ইঞ্জিনগুলি। ফলে, ভারতের হাতে প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে জিই-কে। যেহেতু, এই চুক্তি দুই সরকারের মধ্যে না হয়ে দুটি সংস্থার মধ্যে ছিল, তাই বাস্তবায়নের জন্য এই চুক্তির মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার প্রয়োজন ছিল।

    বাইডেনের ভারত সফরেই চূড়ান্ত চুক্তি?

    নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তির বিষয়টি মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে মার্কিন কংগ্রেস এবং সেনেটের বিদেশ বিষয়ক কমিটিকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। প্রথা অনুযায়ী, কমিটিকে জানানোর নির্দেশিকা জারির ৩০ দিনের মধ্যে যদি কোনও কংগ্রেস সদস্য আপত্তি না জানান, তাহলে ধরে নেওয়া হয়, প্রস্তাব পাশ হয়েছে (HAL-GE Jet Engine Deal)। মার্কিন সংবাদসংস্থার খবর, এই চুক্তির প্রস্তাবে কেউ আপত্তি না জানানোয় তা আপনা-আপনি গৃহীত হয়। জি-২০ বৈঠকের জন্য সেপ্টেম্বরেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সূত্রের খবর, তখনই জেট ইঞ্জিন চুক্তি চূড়ান্ত হবে।

    আরও পড়ুন: সামরিক শক্তিকে মজবুত করতে বিশেষ ফাইটার ইঞ্জিন তৈরি হবে ভারতেই

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-এ জোর মোদি সরকারের

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসা ইস্তক, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য, বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি কমিয়ে দেশে উৎপাদন করা। কেন্দ্রের এই নীতির স্বপক্ষে ভারতে এখন বহু পণ্য উৎপাদন হচ্ছে, যা আগে বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি করা হতো। সেই তালিকায় আরও একটি নাম জুড়তে চলেছে। এবার দেশে তৈরি হবে অত্যাধুনিক ফাইটার জেট ইঞ্জিন (HAL-GE Jet Engine Deal)।

    তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত হবে এই ইঞ্জিন

    আমেরিকার আইনসভা এই চুক্তিকে ছাড়পত্র (India-US Jet Engine Deal) দেওয়ায় এবার জিই-র থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়ার পর এদেশেই এফ-৪১৪ জেট ইঞ্জিন বানাতে পারবে হ্যাল। ৮০ শতাংশ প্রযুক্তি হ্যাল-এর হাতে তুলে দেবে জেনারেল ইলেকট্রিক। যা ঐতিহাসিক বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এর আগে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এতটা প্রযুক্তি হস্তান্তর কারও সঙ্গে করেনি কোনও মার্কিন সরকার। আশা করা হচ্ছে, তিনবছরের মধ্যেই ভারতে তৈরি হয়ে যাবে প্রথম এফ-৪১৪ ইঞ্জিন (F-414 Jet Engine)। ভারতে তৈরি তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত হবে এই ইঞ্জিন।

    শক্তিশালী ইঞ্জিনের খোঁজে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনা

    বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট ‘তেজস মার্ক ১’ যুদ্ধবিমানের জন্য এই জিই সংস্থার ‘এফ-৪০৪’ ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়। সেটিও এদেশেই তৈরি হয়। কিন্তু, পূর্বসূরীর তুলনায় আরও ক্ষমতাশালী পরবর্তী প্রজন্মের বিমান হতে চলেছে ‘তেজস মার্ক ২’ (Tejas Mk2)। এটি মিডিয়াম কমব্যাট ক্যাটেগরির। এটি হতে চলেছে আধুনিক, ভারী এবং বেশি অস্ত্রবহনে সক্ষম। ফলত, ‘এফ-৪০৪’ ইঞ্জিন যথেষ্ট নয়। দীর্ঘদিন ধরেই অধিক শক্তিশালী ইঞ্জিনের খোঁজ করছিল বায়ুসেনা। এবার, তেজস মার্ক-২ পাবে অত্যাধুনিক এফ-৪১৪ ইঞ্জিন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share