Tag: General Election

General Election

  • Lok Sabha Election 2024: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    Lok Sabha Election 2024: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে মুসলিম ভোট। পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর হোক বা মহারাষ্ট্রের ধুলে লোকসভা কেন্দ্র, সেখানে মুসলমানরা প্রার্থীদের ভোট দেয় ধর্মের ভিত্তিতে। যার ফলে মুসলিম ভোটারদের একটা বড় অংশ এই লোকসভায় বিরাট ভুমিকা নিয়েছে। 

    গান্ধিজির আদর্শবাদী দৃষ্টিভঙ্গি 

    ১৯২৪ সালে ৮ অক্টোবর, গান্ধিজি তাঁর ২১ দিনের অনশন ভাঙার পর, মৌলানা মোহাম্মদ আলীকে লিখেছিলেন, “আপনি আমার কাছে ভাইয়ের চেয়েও বেশি। আপনার এবং আমার মধ্যে এই বন্ধনটি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে একটি অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে পরিণত হোক। আমাদের নিজ নিজ ধর্মের ভালো, আমাদের দেশের ভালোর জন্য এবং মানবতার ভালোর জন্য।” তবে গান্ধিজির এই ঐক্যের আদর্শবাদী দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও, মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুভূতিগুলি সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করেছিল। 

    ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান বহরমপুরে

    এবছর লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই দেখা গেল ধর্মের ভিত্তিতেই ভোট (Muslim Voting Pattern) হয়েছে বহরমপুরে। ১৩ মে হয়েছিল লোকসভার ভোটের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। এই দিন বাংলার ৭ কেন্দ্র সহ নির্বাচন হয় বহরমপুরেও। গত পাঁচ-পাঁচটি লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) অপরাজেয় ছিলেন অধীর চৌধুরী। ১৯৯৯ থেকে টানা ৫ বার এই কেন্দ্র থেকে জিতে সংসদে গিয়েছেন তিনি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে একদশক কাটিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। কিন্তু বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু এবারের ভোটের ফলাফলে প্রকাশ হল অন্য তথ্য। ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল অধীরের গড়ে ফুল ফুটিয়েছে ঘাসফুল শিবির। কারন এবছর বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের অধীরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। ফলে প্রার্থীকে দেখে এককাট্টা হয়ে সব মুসলিম ভোট পড়েছে তৃণমূলের দিকেই। 

    আরও পড়ুন: মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা হলেন নাড্ডা, কে হবেন বিজেপির পরবর্তী সভাপতি?

    একই ছবি ধুলে লোকসভা কেন্দ্রেও

    এই একই ছবি রয়েছে ধুলে লোকসভা কেন্দ্রেও। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী শোভা বাছাভ দুইবারের বিজেপি সাংসদ সুভাষ ভামরেকে হারিয়েছেন। ধুলে লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র: সিন্দাখেদা, মালেগাঁও আউটার, মালেগাঁও সেন্ট্রাল, ধুলে (গ্রামীণ), বাগলান এবং ধুলে শহর। এর মধ্যে মালেগাঁও সেন্ট্রালের মোট জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশেরও বেশি মুসলিম সম্প্রদায়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে এই ভোটের (Lok Sabha Election 2024) ফলাফলের কারন ঠিক কী। 
    এই বিস্ময়কর ফলাফলগুলি ভারতীয় রাজনীতিতে আরও একবার প্রমান করল যে মুসলমানরা প্রার্থীদের (Muslim Voting Pattern) ভোট দেয় ধর্মের ভিত্তিতেই। সে প্রার্থী যতই অনভিজ্ঞ রাজনিতিবিদ হোক না কেন! ফলে গোটা দেশ জুড়ে এই মুসলিম ভোট শক্তিশালী করছে ইন্ডি জোটকে, যার প্রভাব পড়ছে এনডিএ-র ওপর।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gopal Rai: কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়! পরবর্তী বিধানসভায় একাই লড়বে আপ, সাফ জানালেন গোপাল রাই

    Gopal Rai: কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়! পরবর্তী বিধানসভায় একাই লড়বে আপ, সাফ জানালেন গোপাল রাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪এর লোকসভা ভোটের ফলাফল। আর লোকসভা ভোট মিটতেই এবার বড় ঘোষণা করলেন আপ নেতা গোপাল রাই (Gopal Rai)। পরবর্তী বিধানসভায় কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে জোট নয়, বরং একাই লড়বে আপ (Aam Aadmi Party), বৃহস্পতিবার একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গোপাল রাই।  

    আপ নেতার মন্তব্য

    এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে দলীয় বিধায়ক ও প্রবীণ নেতাদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোপাল রাই (Gopal Rai) বলেন, ,”এটা শুরু থেকেই পরিষ্কার যে লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইন্ডি জোট (INDIA) গঠিত হয়েছিল। আমরা একসঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে লড়েছি। কিন্তু দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কোনোও জোট নেই। আমরা দিল্লির জনগণের সঙ্গে একসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন লড়ব।” 
    তিনি (Gopal Rai) আরও বলেন, “আমরা সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নির্বাচনে লড়েছি। আমাদের শীর্ষ নেতারা জেলে। সব আসনেই জয়ের ব্যবধান কমেছে। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর দলের কর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিলেও কঠিন পরিস্থিতিতেও দল ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং ‘একনায়কতন্ত্রের’ বিরুদ্ধে ভাল লড়াই করেছে। অন্যদিকে জোটের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল দিল্লিতে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান কমেছে।”

    আরও পড়ুন: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! গ্রেফতার ৩

    এছাড়াও এদিন আপ নেতা জানান, আগামী ৮ জুন তাদের  কাউন্সিলরদের সঙ্গে একটি বৈঠক হওয়ার কথা আছে এবং ১৩ জুন দিল্লির সমস্ত দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। বর্তমানে কেজরিওয়াল যেহেতু জেলে রয়েছেন, তাই তাদের লড়াই চলবে। অন্যদিকে নির্বাচনের পরে আদর্শ আচরণবিধি উঠে যাওয়ায় উন্নয়নের কাজে গতি আনতে শনি ও রবিবার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের সব বিধায়ক।  
    উল্লেখ্য, দিল্লির লোকসভা ভোটে এবারে কংগ্রেস (Congress) জোট শূন্য ড্র করেছে, অন্যদিকে বিজেপি তৃতীয়বারের জন্য সাতটি সংসদীয় আসনে ক্লিন সুইপ করেছে। আর এরই মধ্যে এবার পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে জোট ছাড়া একাই লড়ার কথা জানিয়ে দিল আপ নেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Lok sabha election: দিল্লিতে ৯০ শতাংশের বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত!

    Delhi Lok sabha election: দিল্লিতে ৯০ শতাংশের বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে লোকসভা (Delhi Lok sabha election) আসনের সংখ্যা মাত্র সাতটি। কিন্তু দেশের ক্ষমতায় থাকার জন্য রাজধানীতে নিজেদের অবস্থান ভালো রাখতে চায় যে কোনও রাজনৈতিক দলই। সে ধারাবাহিকতায় কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির (আপ) জোটকে পেছনে ফেলে এবারের লোকসভা ভোটে দিল্লির ৭ আসনেই জয়ী হল বিজেপি। দেশের বেশির ভাগ রাজ্যে ইন্ডি জোট ভালো ফল করলেও দিল্লিতে (Delhi) কিন্তু দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। ফলাফল এতটাই হতাশা জনক হয় যে ৯১ শতাংশ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। অর্থাৎ রাজধানীতে অবস্থান ধরে রাখার লড়াইয়ে এবার এগিয়ে গেল বিজেপি।  
    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি আসনের ১৬২ জনের মধ্যে ১৪৮ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত (security deposits) হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদনি চক থেকে ২৩ জন, নিউ দিল্লি থেকে ১৫ জন, দক্ষিণ দিল্লি থেকে ২০ জন, পূর্ব দিল্লি থেকে ১৮ জন, পশ্চিম দিল্লি থেকে ২২ জন, উত্তর পূর্ব দিল্লি থেকে ২৬ জন এবং উত্তর পশ্চিম দিল্লি থেকে ২৪ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।    

    কী কারনে এই সিদ্ধান্ত? (Delhi Lok sabha election)  

    নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে, একজন প্রার্থীকে তাঁর জামানত রক্ষার জন্য নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটের কমপক্ষে এক-ষষ্ঠাংশ অর্থাৎ ১৬.৬৭ শতাংশ ভোট অর্জন করতে হবে। তা না হলে সাধারণের জন্য ২৫,০০০টাকা এবং তফসিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য ১২,৫০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে। আসলে নির্বাচনী আইনে প্রার্থী হওয়াতে কোনও সংখ্যা বেঁধে দেওয়া নেই। তবে ইচ্ছামতো বা সখে প্রার্থী হওয়া আটকানোর একমাত্র উপায় হল, জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা অর্থ ফেরত না পাওয়া। এবার নির্বাচন কমিশনের সেই আইনেই দিল্লির ৯১ শতাংশ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: উত্তরে ভারী বৃষ্টি আর দক্ষিণে চরম অস্বস্তি! আবারও ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ

    সাত আসনেই জয়ের ধারা অব্যাহত বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এ বার দিল্লিতে (Delhi) ৪-৩ সমীকরণে আসন সমঝোতা হয়েছিল আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে। তা-ও আবার একেবারে শেষ মুহূর্তে। ছাড়বে না, ছাড়বে না করেও আপ শেষমেশ কংগ্রেসকে ৩টি আসন দিয়েছিল। আপ লড়েছিল ৪টি আসনে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল আপ এবং কংগ্রেস কেউই খাতা খুলতে পারল না। সবকটি আসনে (Delhi Lok sabha election) জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপিই।
    উল্লেখ্য, সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের (Delhi Lok sabha election) মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে বিজেপি, দ্বিতীয় স্থানে ইন্ডি জোট আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন বিএসপির প্রার্থীরা। ১৪ জন বিজয়ী এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের কেউই ২০,০০০ ভোটের সংখ্যা অতিক্রম করতে পারেনি। চাঁদনি চক থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অশোক কুমার গুপ্ত মাত্র ১৪০ ভোট পান, যা সাতটি আসনে ভোটের সংখ্যার মধ্যে সর্বনিম্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: অভব্যতার চূড়ান্ত নিদর্শন! জয়ের আগেই রেখা পাত্রকে তাড়া তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের

    Lok Sabha Elections 2024: অভব্যতার চূড়ান্ত নিদর্শন! জয়ের আগেই রেখা পাত্রকে তাড়া তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবে গণনার কিছু ঘণ্টা পেরিয়েছে। আর এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে থাকার খবরে বিজয় উৎসব শুরু করেছে তৃণমূল। একাধিক এলাকা থেকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠে আসছে। শুধু তাই নয় এবারের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Elections 2024) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সন্দেশখালির রেখা পাত্রকে দেখা মাত্রই তেড়ে গেলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। সাময়িকভাবে এলাকায় তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। রেখাকে তাড়া করে গণনাকেন্দ্রের পাশ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে। 

    রেখাকে দেখে তেড়ে গেলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা

    এখনও পর্যন্ত বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে কিছু ভোটে (Lok Sabha Elections 2024) পিছিয়ে রয়েছেন সন্দেশখালির রেখা পাত্র। জয়ের পথে এগিয়ে হাজি নুরুল ইসলাম। আর সেজন্যই বিজেপি প্রার্থীকে দেখে রে রে করে তেড়ে গেলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। 
    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে সন্দেশখালি জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। সন্দেশখালি আন্দোলন, নারী নির্যাতনের অভিযোগ রীতিমতো শোরগোল ফেলেছিল গোটা বাংলায়। সেসময় রেখা পাত্র বাচ্চা কোলে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে তৃণমূল নেতৃত্ব ও পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন। সেই রেখা পাত্রকেই টিকিট দেয় বিজেপি। গণনা শুরুর প্রথম দিকে রেখা এগিয়ে থাকলেও, পড়ে পিছিয়ে পড়েন তিনি। এরপর গণনাকেন্দ্র (Election Result) ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রেখার গাড়ির পেছনে কার্যত তাড়া করেন তৃণমূলের কর্মীরা। তাঁকে দেখে জয় বাংলা স্লোগানও দেওয়া শুরু হয়।

    একই ঘটনা দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও  

    অন্যদিকে এই একই ছবি দেখা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রেও। সেখানেও তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের থেকে কিছু ভোটে (Lok Sabha Elections 2024) পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। আর এদিন রাস্তায় দিলীপ ঘোষকে দেখেও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।

    আরও পড়ুন: কুকুরে খুবলে খাচ্ছে মানবখুলি! হাড় হিম করা ঘটনা মালদায়

    বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ

    অন্যদিকে ফলাফল (Election Result) প্রকাশের আগেই সন্দেশখালির সড়বেড়িয়ায় বড় আজগরা, ভাটিদহ, ঝারিপাড়া, রামপুর বাগদি পাড়া-সহ একাধিক এলাকায় অশান্তির অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে সড়বেরিয়ার বড় আজগরায় চার জন বিজেপি সমর্থকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।  
    অর্থাৎ বলা যেতে পারে রাজ্যজুড়ে চলছে একেবারে চূড়ান্ত অরাজকতার বাতাবরণ। ফলাফল ঘোষণার আগেই এভাবে বিজয় উৎসব ও বিরোধীদলের প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর একের পরে হামলার ঘটনা রাজ্য জুড়ে সৃষ্টি করছে উত্তপ্ত পরিস্থিতির। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha election results: ভোটের ফল প্রকাশের আগে নাড্ডার বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব

    Lok Sabha election results: ভোটের ফল প্রকাশের আগে নাড্ডার বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু হবে ভোট গণনা (Lok Sabha election results)। আর তার আগে সোমবার বিজেপি (BJP) সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে (BJP Meeting) বসলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এদি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ আরও একাধিক বিজেপি নেতারা। উপস্থিত ছিলেন বিনোদ তাওড়ে, মনোহরলাল খট্টর, অশ্বিনী বৈষ্ণব, তরুণ চুঘ, শিবপ্রকাশ, মনসুখ মান্ডভিয়া এবং বিএল সন্তোষের মতো নেতারা।

    রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা 

    এদিন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতারা পর্যালোচনা করেন বলে জানা গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির দ্বিতীয় সরকার বিদায়ের পথে। তার আগে বিভিন্ন এক্সিট পোলের তরফে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের বড় জয়ের (Lok Sabha election results)ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। 
    অন্যদিকে রবিবার কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া ব্লকের এক প্রতিনিধিদল কমিশনের কাছে অভিযোগ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অখণ্ডতাকে নষ্ট করা হচ্ছে। ভোট গণনার (Lok Sabha election results) সময় হিংসা ও অশান্তি রুখতে কমিশনের কাছে আর্জি জানায় বিরোধীরা। তবে এরপরেই বিজেপির তরফেও এক প্রতিনিধিদল কমিশনের সঙ্গে কথা বলে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া ব্লকের তরফে ইভিএমের ফল ঘোষণার আগে পোস্টাল ব্যালট গণনা করা এবং তার ফলফল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করা হয়। বিরোধীদের তরফে আরও দাবি করা হয়, গণনার (Election Result) ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করতে হবে এবং সেগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তাও নিশ্চিত করতে হবে।

    আরও পড়ুন: চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত গণনা কেন্দ্র ছাড়বেন না! এজেন্টদের বিশেষ বার্তা বিজেপি নেতৃত্বের

    কেন এই বৈঠক? 

    বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা উপস্থিত থাকলেও সরকারিভাবে এই বৈঠক (BJP Meeting) নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি দলের তরফে। তবে সূত্রের খবর, নির্বাচনের ফল (Lok Sabha election results) ঘোষণার পরে বিরোধীদের মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: ‘চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত…’! এজেন্টদের বিশেষ বার্তা বিজেপি নেতৃত্বের

    Loksabha Election 2024: ‘চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত…’! এজেন্টদের বিশেষ বার্তা বিজেপি নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু ভোট (Loksabha Election 2024) গণনা। আর তার আগে প্রস্তুতি চালাচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত গণনা কেন্দ্র ছাড়বেন না বলে পোলিং এজেন্টদের (Bjp Prepare Counting Agent) বার্তা দিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপি নেতৃত্বের বার্তা

    কাউন্টিং এজেন্টদের বিজেপি নেতৃত্বের বার্তা, প্রত্যেক রাউন্ডের পরে হিসাব মিলিয়ে নিতে হবে। কোনও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। গুজব শুনে গণনা (Loksabha Election 2024) কেন্দ্রের টেবিল ছাড়লে হবে না। যেমন, অমুক আসনে তৃণমূল জিতে গিয়েছে, তাই এখানেও জিতে যাবে, এখানে থেকে কী হবে?, এই ধরনের মানসিকতা যেন কোনওভাবেই না কাজ না করে। ভুয়ো কোনও খবর শুনে গণনা কেন্দ্র ছাড়া যাবে না। ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশন আধিকারিকদের জানানোর (Bjp Prepare Counting Agent) কথাও বলা হয়েছে বলে খবর। কোনও সন্দেহ হলে পুনরায় গণনার দাবি জানাতে হবে। গণনা কেন্দ্রের বাইরে কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত সময়ের সঙ্গে বাড়াতে হবে। পাশাপাশি এজেন্টদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে চলার কথাও বলা হয়েছে। কোনও এজেন্ট সমস্যায় পড়লে পাশেরজন তাঁকে সাহায্য করবেন।

    এজেন্টদের সতর্ক থাকার নির্দেশ (Bjp Prepare Counting Agent) 

    উল্লেখ্য, প্রায় সব সংস্থারই বুথ ফেরত সমীক্ষায় দাবি, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে নরেন্দ্র মোদি। বাংলাতেও বিজেপির আসন বৃদ্ধির আভাস মিলছে একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে। তবে এ প্রসঙ্গে বিজেপির বক্তব্য, এগজিট পোলে বিজেপি জিতে গিয়েছে দেখে গণনাকেন্দ্রে ফুরফুরে মেজাজে থাকলে তৃণমূল শিবির শেষবেলায় খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই এজেন্টদের বারবার সতর্ক করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই উদ্দেশ্যেই চার ধাপে ভাগ ভাগ করে রবিবার জেলা সভাপতি, প্রার্থী, কেন্দ্র ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেখানে। সোমবারও আবার গণনা কেন্দ্রের কর্মীদের এলাকা ভিত্তিক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলেছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: চুরি করতে এসে এসি ঘরে ঘুমিয়ে গেল চোর! পুলিশের ডাকে ভাঙল ঘুম 

    সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশ 

    রবিবার সুকান্ত মজুমদার-সহ রাজ্য বিজেপির তাবড় নেতারা দফায় দফায় বৈঠক সারেন দলের কাউন্টিং এজেন্টদের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মঙ্গলবার গণনা। কাউন্টিং এজেন্টদের আমরা বলেছি, এগজিট পোলে (Loksabha Election 2024)  কী দেখিয়েছে, তা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গণনাকেন্দ্রগুলিতে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে।” 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! ভোটগণনাকে ঘিরে তৎপর কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! ভোটগণনাকে ঘিরে তৎপর কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত দফায় রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষ হয়েছে। এ বার ভোটগণনার পালা। আগামী ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ। রাজ্যে বিভিন্ন দলের মোট ৫০৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে মঙ্গলবার। প্রতিবারের মতো এ বারেও গণনাকেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত (Counting Preparations) রাখছে নির্বাচন কমিশন। সিসি ক্যামেরায় ২৪ ঘণ্টা চলছে নজরদারি। গণনা কেন্দ্রগুলিতে থাকবেন মাইক্রো অবজার্ভার-সহ ২৫ হাজার গণনাকর্মী।   

    নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Counting Preparations) 

    কমিশন সূত্রে খবর, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার মধ্যে প্রথম স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। আর শেষ স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে শুধু গণনাকেন্দ্রগুলিতেই নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুন: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    পোস্টাল ব্যালটের পর ইভিএমের ভোট গণনা 

    রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে ভোট (Lok Sabha Election 2024) গণনার জন্য মোট ৫৫টি কাউন্টিং সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। ৪১৮টি গণনাকক্ষে থাকছে ৪,৯৪৪টি টেবিল। সর্বোচ্চ ২৩ রাউন্ড ভোটগণনা হতে পারে। আর সবচেয়ে কম ৯ রাউন্ড। গড়ে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ রাউন্ড করে ভোটগণনা হবে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটদাতা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। আগে পোস্টাল ব্যালটের ভোট গ‌োনার পর ইভিএমের মাধ্যমে পড়া ভোটের গণনা শুরু হবে।
    উল্লেখ্য, এবছর নির্বাচন চলাকালীন অশান্তির খবর উঠে এসেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। কিছু কিছু এলাকায় ভোটে (Lok Sabha Election 2024) কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরও রাজ্যে অশান্তি অব্যাহত। এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও উঠেছে। আর সেই আবহেই মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। তাই বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রং রুম তৈরি করে ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে। চার পাশে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majhumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    Sukanta Majhumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর একদিন। তারপর লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। আর নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে বালুরঘাটে (Balurghat) রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majhumdar)। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদার ভোট পরবর্তী রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে হুঁশিয়ারি দেন। সুকান্ত মজুমদারের মুখে উঠে আসে যোগীর সুর। 

    ভোট পরবর্তী হিংসায় সরব সুকান্ত মজুমদার

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে উত্তরপ্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট হবে। পুরো এনকাউন্টার করা হবে।” একইসঙ্গে তিনি (Sukanta Majhumdar) বলেন, “গতকাল কালীগঞ্জ থানার চাঁদপুর এলাকার বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে, কারণ ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বসিরহাট, নদীয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীকে ধমকানো চমকানো, খুন করছে তৃণমূলের গুন্ডারা। কারণ তৃণমূল বুঝে গিয়েছে তাঁদের সময় শেষ। আমি পরিষ্কার এই গুন্ডা মস্তানদের বলে দিতে চাই বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির কোনো নেতাকে ধরে বিজেপির ঝান্ডা পতাকা ধরলেও কিন্তু তারা বাচঁবেনা। উত্তরপ্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট করা হবে। পুরো এনকাউন্টার হয়ে যাবে।” 
    অন্যদিকে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় বাংলায় গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত। ম্যাট্রিজ, সিএনএক্সের সমীক্ষায় পঁচিশ থেকে ছাব্বিশটি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা পদ্ম শিবিরের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majhumdar) বলেন, “আমি বুথ ফেরত সমক্ষায় খুব একটা বিশ্বাস করিনা। আমাদের এক্সিট পোল, বিজেপি কর্মীদের যে ফিডব্যাক, সেই ফিডব্যাকের উপর বিশ্বাস করে আমি বলতে পারি, আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হবার পর একটা স্লোগান দিয়েছিলাম ‘এই বার পঁচিশ পার’। সেই স্লোগানটা আমাদের কর্মীরা আত্মবিশ্বাস করতে পারেনি। তখন দলের অবস্থা খারাপ ছিল। আজকে প্রায় আড়াই বছর পর এখন শুধু দল নয় প্রতিটি খবরের চ্যানেল বিশ্বাস করছে এইবার ২৫ পার। আমাদের টার্গেট ৩০। ৩০ পর্যন্ত যতক্ষণ না পৌঁছোচ্ছি আমাদের লড়াই চলবে। তিরিশে পৌঁছালে আমি ধরে নেবো যে আমরা জিতেছি। 

    আরও পড়ুন: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন বুথে ছাপ্পা, অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর

    তৃতীয়বার মোদিজিই ক্ষমতায় 

    তৃতীয় মোদি সরকারের ইঙ্গিত, বুথ ফেরত সমীক্ষায়। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মোদিজি ক্ষমতায় আসবেন এইটা নিয়ে কারোর দ্বিমত নেই। আমাদের বিরোধী পার্টির যারা লিডার তারাও জানে যে মোদিজি ক্ষমতায় আসবে্ন। সেই জন্য তো মমতা ব্যানার্জি এক তারিখের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গেলেননা। কেন গেলেন না? কারণ উনিও জানেন মোদি আসছে। মোদির বিকল্প কিছু নেই। মোদিজি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর জন্য শপথ নিতে চলছেন।” একইসঙ্গে তিনি জানান, এবার আরও একবারের জন্য  লাল কেল্লায় মোদিজির হাত ধরে পতাকা উঠবে।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    Loksabha Election 2024: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পর্ব মিটতেই ডায়মন্ড হারবারে উঠল পুনর্নির্বাচনের দাবি। সপ্তম দফায় ভোট (Loksabha Election 2024) ছিল ডায়মন্ড হারবারে। কিন্তু এদিন ভোটই দিতে পারেননি ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbor) বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। পাশাপাশি এদিন ভোটে ছাপ্পার অভিযোগ তুলল বিজেপি। 

    কী কারণে ভোট দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থী? 

    জানা গিয়েছে ভোটে (Loksabha Election 2024) ছাপ্পার অভিযোগ পেয়েই বুথে বুথে যাওয়া শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী এবং তখনই দফায় দফায় বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। আর তার জন্য নিজের কেন্দ্রে পৌঁছতেই সন্ধ্যা ৬টা বেজে যায়। ফলে ভোট দানের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ভোট দিতে পারলেন না ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী। আর সেই কারনেই ডায়মন্ড হারবারের ৪৭০ টি বুথে পুনর্নির্বাচনের আবেদন করেছেন তিনি। 
    অভিজিৎ দাসের বক্তব্য, “প্রচুর ছাপ্পা পড়েছে। আমি রিপোলিং চাইছি। অন্যান্য বিরোধীরাও তাই চাইবেন। এমনকি যাঁরা পুরনো তৃণমূল প্রার্থী তাঁরাও চাইবেন পুনর্নির্বাচন হোক। যদিও বাতিল না হয়, অন্তত ৪৬০টা বুথে রিপোলিং হোক।”

    পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    বিজেপির দাবি, ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbor) ও মথুরাপুর কেন্দ্রের বেশিরভাগ বুথগুলিতেই ভোটগ্রহণ (Loksabha Election 2024) স্বচ্ছ ভাবে হয়নি। অনেক বুথে অবাধে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো ভোটও পড়েছে অনেক বুথে। কোনও কোনও বুথে কারচুপি হয়েছে সিসি ক্যামেরায়। আর সেই কারণেই ওই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ওই দুই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর তরফে কমিশনে এই আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস! কোন কোন জেলায় সতর্কবার্তা? জানাল আবহাওয়া দফতর

    শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য 

    শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় তিনি বলেন, “হরিয়ানা, বিহারে এ রকম দেখা যেত। এ বার এখানে এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। আপনারা ডায়মন্ড হারবারে দেখেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোনও পদক্ষেপ করতে না দিয়ে রাজ্য পুলিশ চার ঘণ্টা ধরে আমাদের প্রার্থী অভিজিৎ দাসকে ফলতায় রাস্তার উপরে আটকে রেখেছে। যাতে তিনি অন্য কোনও বুথে যেতে না পারেন।” এর পরেই ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbor) কেন্দ্রের বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন শুভেন্দু। 
    উল্লেখ্য, বিজেপির তরফে যে বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) দাবি তোলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ফলতার সব কটি বুথ। এছাড়াও বজবজ, মহেশতলা বিধানসভা এলাকারও বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে। কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে মথুরাপুর কেন্দ্রের সাগরের একাধিক বুথেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP worker Murder: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    BJP worker Murder: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সবে শেষ হয়েছে সাত দফার ভোট। আর শেষ দফার ভোট মিটতে না মিটতেই নদিয়ায় (Nadia) খুন (BJP worker Murder) হল বিজেপি কর্মী। মৃত বিজেপি কর্মী হাফিজুল শেখ (৩৫) কালীগঞ্জের চাঁদপুরের বাসিন্দা। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছেই তাঁকে খুন করা হয়। দুষ্কৃতীরা পরপর দুটি গুলি করে খুন করার পর হাফিজুলের মাথা নৃশংসভাবে কেটে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ।

    সিবিআই তদন্তের দাবি

    জানা গিয়েছে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগে হাফিজুলের নেতৃত্বে এলাকায় সংখ্যালঘুরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনেও ওই এলাকায় বিজেপি বেশ ভালো ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল আর তার পরিণাম হিসেবেই হাফিজুল কে খুন (BJP worker Murder) করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। খুনের পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে অনেক রাত পর্যন্ত দেহ আটকে রাখেন নিহতের আত্মীয়-পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে পুলিশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অনেক রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। ইতিমধ্যেই মৃত হাফিজুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তর দাবি করা হয়েছে। একই সাথে ঘটনায় জড়িত প্রায় ১০ থেকে ১১ জনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়েছে।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ (BJP worker Murder)

    এ বিষয়ে মৃত হাফিজুল শেখের দাদা জয়েন উদ্দিন মোল্লা বলেন, “এর আগে আমরা সকলেই সিপিআইএম করতাম। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পর আমরা বিজেপিতে যোগদান করি। আর সেই কারণেই আমার ভাইকে খুন করল দুষ্কৃতীরা।” তিনি বলেন, “আমার ভাই ক্যারাম খেলছিল। সকলের সামনেই দুষ্কৃতারা এসে আমার ভাইকে পরপর দুই রাউন্ড গুলি করে। পরবর্তীকালে মাথা কেটে নিয়ে চলে যায়। শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি দুষ্কৃতীরা, এরপরে বোমাবাজি করে তারা।” এই ঘটনার পরে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনিও। 

    আরও পড়ুন: অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বানের জলে ভাসল কেরলও, মৃত্যু

    ঘটনার তীব্র নিন্দা বিজেপির

    অন্যদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নদীয়া (Nadia) উত্তরের বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, “এই এলাকায় হাফিজুল শেখ এবং তার দাদার নেতৃত্বে বিজেপির শক্তি অনেকটাই বেড়েছিল। সেই কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাফিজুল শেখ কে খুন (BJP worker Murder) করেছে। আর এই ঘটনায় রয়েছে পুলিশের মদত। আমরা অবিলম্বে যারা দোষী তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।” না হলে আগামী দিনে বড়সড়ো আন্দোলনে নামবো বলে জানান তিনি। ফলে বিজেপি কর্মীর এই খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে বলেই জানিয়েছেন অর্জুন বিশ্বাস। তবে পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। প্রাথমিক তদন্তের পরে তাদের ধারণা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই হামলা হয়েছে। তবে বর্তমানে আততায়ীদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন অমৃতা রায়

    ঘটনার খবর পেয়ে মৃত বিজেপি কর্মী হাফিজুল শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। এই খুনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “হাফিজুল দুই মাস আগে বিজেপিতে যোগদান করেছে এটুকু শুনেছিলাম। কিন্তু তার যে এই পরিণতি হবে তা বুঝতে পারিনি। আমি শুনেছি পুলিশ আগের দিন রাতে এসে সব দোকান বন্ধ রাখতে বলেছে। শুধুমাত্র একটা দোকান খোলা রাখতে বলেছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এই খুন করা হয়েছে। আমি উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি সম্পূর্ণ জানাবো।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share