Tag: geopolitics

geopolitics

  • Russia Ukraine War: কীভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছিলেন মোদি? মনে করালেন জয়শঙ্কর

    Russia Ukraine War: কীভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছিলেন মোদি? মনে করালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine War) ভারতের ভূমিকা স্মরণ করালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এই যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে যুদ্ধের ভয়াবহতা শুধু কমাননি ভারতীয় নাগরিক ও ছাত্রদের সুরক্ষিত ফিরিয়ে এনেছিলেন দেশে। যে তৎপরতার সঙ্গে ছাত্রদের ওই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় তা ছিল চ্যালেঞ্জের। কিন্তু মোদি জমানার কূটনৈতিক সাফল্যের ফল ছিল এটি”, বললেন এস জয়শঙ্কর।

    কূটনীতির পক্ষে কথা বলেন মোদি 

    প্রসঙ্গত ভ্লাদিমির পুতিন (Putin) ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে (Russia Ukraine War) সংলাপ এবং কূটনীতির পক্ষে কথা বলেন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ভারতীয়দের জন্য নিরাপদ পথ নিশ্চিত করতে তিনি পুতিন এবং ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কটে প্রধানমন্ত্রী মোদির হস্তক্ষেপের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “ খারকিভে গোলাবর্ষণ শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী রুশ রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে কথোপকথন করেছিলেন এবং তাঁকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলেছিলেন। এবিষয়ে মোদিজির স্পষ্ট বক্তব্য ছিল ভারত এই যুদ্ধে সমর্থন করছে না।  ভারতীয়দের বের না করা পর্যন্ত কিন্তু রাশিয়ান গোলাবর্ষণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।”

    প্রত্যেক ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হয় 

    কয়েক হাজার ভারতীয় ছাত্র এবং কয়েকশো ভারতীয় নাগরিক ইউক্রেনে এবং রাশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত আটকে পড়েছিলেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে ভারতীয়দের ফিরিয়ে এনেছিলেন। ভারতীয় পতাকা গর্বের সঙ্গে উঁচু করে ভারতীয় ছাত্ররা যুদ্ধের ময়দানে সুরক্ষিত স্থানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় ভারতীয় পতাকা ছিল তাদের গর্বের কারণ। ভারতীয়রা যেখানে যাচ্ছিল তাদের পথ করে দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি সেই সময় পাকিস্তানি ছাত্ররা ও ভারতীয় পতাকা নিয়ে সুরক্ষিত স্থানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। এই দৃশ্য ভারতের কূটনৈতিক জয় বলে মনে করেন বিদেশমন্ত্রী। ভারতীয়দের প্রত্যেককে সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।  

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে ভারতের শিক্ষা

    এছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভয়াবহতা কমাতে ভারত যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছিল। একইসঙ্গে এই যুদ্ধের ফলে ভারত অত্যন্ত কম দামে তেল কিন্তু সক্ষম হয়। যার প্রভাব পড়ে ভারতীয় অর্থনীতিতে। ভারত এখন কম দামে তেল কিনে দেশীয় বাজারে পেট্রোপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকেও পরিশোধিত তেল বিক্রি করে যথেষ্ট মুনাফা অর্জন করছে ভারত। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারেও বেশ কয়েকটি দেশ ভারতীয় তেল ক্রয় করছে। এর লাভ পেয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি।

    আরও পড়ুন: ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, বলছে কিরঘিজ সরকার, ভারতীয় পড়ুয়াদের ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ

    শুধু তাই নয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) থেকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীও শিক্ষা নিয়েছে। বিশেষ করে যুদ্ধগত কৌশলের ক্ষেত্রে। বর্তমানে যুদ্ধের পরিস্থিতি কীভাবে বদল হয়। যুদ্ধক্ষেত্রের রণকৌশলের আধুনিকীকরণ সহ বেশ এই যুদ্ধ থেকে কয়েকটি সামরিক বিষয়ে শিক্ষা নিয়েছে ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Information Technology: প্রযুক্তি বিশ্বে এগিয়ে চলেছে দেশ!  ‘টেকনোলজি হাব’-এর জন্য প্রস্তুত গ্রামীণ ভারতও

    Information Technology: প্রযুক্তি বিশ্বে এগিয়ে চলেছে দেশ! ‘টেকনোলজি হাব’-এর জন্য প্রস্তুত গ্রামীণ ভারতও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তি বিশ্বে (Information Technology) ভারত এখন নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালে আত্মনির্ভর ভারতের (Make in India)ডাক দিয়েছিলেন। দেশে এখন বিদেশি স্মার্টফোন যেমন আসে, তেমনই আবার স্বদেশি স্মার্টফোনও তৈরি হয়, আবার বিদেশি সংস্থাগুলিও এ দেশে নিজেদের ব্র্যান্ডের ফোন তৈরি করছে। শুধু ফোন নয়। নানাবিধ গ্যাজেটস থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি বা বাইকও তৈরি হচ্ছে দেশে। 

    গতি শক্তি-তে জোর

    ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গতি শক্তি’। অর্থাৎ, দ্রুততাই যেখানে হবে বিকাশের শক্তি। সরকারের নতুন এ ডিজিটাল পোর্টালে প্রকল্পের নকশা জমা দিতে পারবে বিনিয়োগকারী ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো। আর অনুমোদন প্রক্রিয়াও হবে মসৃণভাবে। নয়াদিল্লিতে এক সাক্ষাৎকারে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লজিস্টিক্স বিষয়ক বিশেষ সচিব অমৃত লাল মিনা বলেন, ‘সময় ও ব্যয় সীমার মধ্যে রেখে প্রকল্প বাস্তবায়নই আমাদের মিশন। বৈশ্বিক কোম্পানিগুলো যেন পণ্য প্রস্তুতের জন্য ভারতকে বেছে নেয়– সেটাই মূল লক্ষ্য’। 

    কৃত্রিম মেধার উপর ভরসা

    জিও পলিটিক্সে তথ্য-প্রযুক্তির হাত ধরে ভারত যাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যেতে পারে তার চেষ্টা করে যাচ্ছে বর্তমান কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, কৃত্রিম মেধাকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পাখির চোখ করার জন্য জোরালো সওয়াল করেছিলেন। সরকারে জোর দিয়েছে ‘ড্রোন-শক্তি’র মতো প্রকল্পে, যেখানে কৃত্রিম মেধার সাহায্যে বিভিন্ন আকারের ড্রোন ব্যবহার করা হবে দৈনন্দিন ব্যবসায়িক পরিসরে। গত ৬ বছরে, ভারতে স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলোর বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ১৫৪০০%। এর সিংহভাগেরই কেন্দ্রে রয়েছে কৃত্রিম মেধা-ভিত্তিক কোনও নতুন ব্যবসায়িক ধারণা। 

    আরও পড়ুন: নেতাজিই আদর্শ! তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ইউনেস্কো-র একটি শিক্ষা-সংক্রান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে কৃত্রিম মেধাভিত্তিক ব্যবসার বাজার এই মুহূর্তে বছরে ২০.২% চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে, এবং ২০২৫ নাগাদ এই বাজারটির অর্থমূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৭.৮ বিলিয়ন ডলার, বা প্রায় পঁয়ষট্টি হাজার কোটি টাকা। এই বাজারের মূল প্রসার মূলত তিনটি প্রয়োগক্ষেত্রকে ঘিরে— ভোগ্যপণ্য ও পাইকারি ব্যবসা, কৃষি, এবং ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা। অর্থনীতি-র পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩৫ নাগাদ কৃত্রিম মেধার ব্যবসায়িক লভ্যাংশ থেকেই আসবে ভারতের লক্ষ্য যে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি, তার প্রায় ১০%। বিশ্বের পঁচিশটি দেশকে নিয়ে গঠিত সংস্থা গ্লোবাল পার্টনারশিপ অন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা জিপিএআই-এর মূল দায়িত্ব হল সাধারণ মানুষের কল্যাণার্থে কৃত্রিম মেধার দায়িত্বশীল প্রয়োগ এবং প্রসার ঘটানো। ২০২২-২৩ সালে এই সংস্থাটির পরিচালনভার নিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে, ভারত এখন ডিজিটাল বিপ্লবের মঞ্চ তৈরি করছে। 

    ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন গ্রাম থেকেই

    তথ্য প্রযুক্তির হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন প্রজন্মের উপর ভরসা রেখেছেন। ইনোভেশনের শক্তি অনুযায়ী এখন ইউপিআই- ভীম, ডিজিটাল পেমেন্ট, ফিনটেকের বিশ্বে ভারত নিজের জায়গা করে নিয়েছে। আজ বিশ্বে রিয়েল টাইম চল্লিশ শতাংশ ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন ভারতে হয়। দেশ এখন ফাইভ জি-পর্বে পা রেখেছে। ভারতের গ্রামে গ্রামে এখন অপটিক্যাল ফাইবারের নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাচ্ছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন গ্রাম থেকেই বাস্তবায়িত করার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের চার লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠছে। গ্রামের নবীন যুবক-যুবতীরা কমন সার্ভিস সেন্টার চালাচ্ছেন। দেশ গর্ব করতে পারে যে গ্রামীণ ক্ষেত্রে চার লক্ষ ‘ডিজিটাল এন্টারপ্রেনিউর’ তৈরি হয়েছে। গ্রামীণ ভারতও এখন ‘টেকনোলজি হাব’-এর জন্য প্রস্তুত বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share