Tag: ghana

ghana

  • PM Modi in Ghana: ঘানার জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর

    PM Modi in Ghana: ঘানার জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মোদি ম্যাজিক ঘানায়। তিন দশকে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘানায় পা রেখেছেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Ghana)। সে দেশের দ্বিতীয় জাতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানও পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার পঞ্চদেশ সফরের প্রথমে ঘানা গিয়েছেন তিনি। এটি পশ্চিম আফ্রিকায় তাঁর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। আক্রার কোটোকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে ২১টি তোপধ্বনির মাধ্যমে কুর্নিশ জানানো হয়। ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেলে স্বাগত জানান ঘানার কচিকাঁচারা।

    ভারত ও ঘানার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তি

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগেই বুধবার ঘানা গিয়েছেন তিনি। এদিন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অফ ঘানা’ (Officer of the Order of the Star of Ghana) প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন,‘‘ঘানার জাতীয় সম্মানে ভূষিত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও সম্মানের বিষয়। আমি প্রেসিডেন্ট মাহামা, ঘানা সরকার এবং ঘানার জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে আমি বিনীতভাবে এই সম্মান গ্রহণ করছি। এই সম্মান আমাদের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি, আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের প্রতি এবং ভারত ও ঘানার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রতি উৎসর্গ করছি।’’ এরই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই সম্মানের ফলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেল।

    উষ্ণতার আলিঙ্গন

    আক্রায় পা রেখেই এদিন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে আলিঙ্গন করেন ঘানার প্রেসিডেন্টও। সেখানে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। স্থানীয় রীতি মেনেও অভ্যর্থনা করা হয় তাঁকে। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছতেই মোদিকে ঘিরে ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গাইতে শুরু ঘানার বাচ্চারা। হাসিমুখে তাদের গান শোনেন প্রধানমন্ত্রী, সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘানার মাটিতে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন প্রেসিডেন্টের বিমানবন্দরে আসা তাঁর জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। যৌথ বিবৃতি জারি করার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘ভারত-ঘানা বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে আমাদের ভাগ করা মূল্যবোধ, সংগ্রাম এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য স্বপ্ন। যা অন্যান্য দেশগুলিকেও অনুপ্রাণিত করেছে।’’

    গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা

    বুধবারই ঘানার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আর্থিক-প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের আদানপ্রদান নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। তিনি ঘানাকে একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্র এবং পশ্চিম আফ্রিকার “আশার আলো” হিসেবে প্রশংসা করেছেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘আজ আমরা ঘানার জন্য আইটেক (ITEC) এবং আইসিসিআর (ICCR) স্কলারশিপ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তরুণদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য একটি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা হবে। কৃষি খাতে, আমরা প্রেসিডেন্ট মহামার ফিড ঘানা কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে পেরে খুশি হব।’’ এর পাশাপাশি, জন ঔষধি কেন্দ্রের মাধ্যমে ঘানার নাগরিকদের সাশ্রয়ী মূল্যের এবং নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রস্তাব দেন মোদি। ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে জোড়

    প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।  মোদি বলেন, “ভারত শুধু ঘানার উন্নয়নের অংশীদার নয়, সহযাত্রী। ভারতীয় সংস্থাগুলি ঘানায় ৯০০টির বেশি প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। আজ আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি।” ফিনটেক (FinTech) খাতে, ঘানার সঙ্গে ভারতের ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন মোদি। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান ও খননের ক্ষেত্রেও ভারতীয় সংস্থাগুলি ঘানার সঙ্গে কাজ করবে বলে জানান তিনি। ভারতের জি২০ সভাপতিত্বকালে আফ্রিকান ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করাকে “গর্বের বিষয়” বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ঘানা, পশ্চিম আফ্রিকার দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি, ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারতের কাছে ঘানার প্রধান রফতানি পণ্য সোনা। ঘানা বর্তমানে একটি বড় অর্থনৈতিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং মোদি এই বিষয়ে ঘানাকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঘানার সহযোগিতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) বলেন যে, দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কারের ক্ষেত্রেও দুই দেশে দৃষ্টিভঙ্গি এক। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। এই প্রেক্ষাপটে আমরা সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” “ঐক্যের মাধ্যমে নিরাপত্তা” মন্ত্রে দুই দেশ এগিয়ে যাবে বলে জানান মোদি। এই খাতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সরবরাহ ও সাইবার নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়ানো হবে। ঘানা থেকে আজ, বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ, টোবাগোর উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি। আগামী শনিবার সেখান থেকে পৌঁছবেন আর্জেন্টিনায়। তারপর ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষে নামিবিয়া সফরে যাবেন তিনি।

  • PM Modi: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফরে রওনা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যাবেন ৫ দেশ

    PM Modi: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফরে রওনা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যাবেন ৫ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফরে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি মোট পাঁচটি দেশ সফর করবেন। যা শুরু হচ্ছে আজ, ২ জুলাই থেকে। আট দিনের এই সফরে প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করবেন ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে। এর পাশাপাশি তিনি ঘানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, আর্জেন্টিনা ও নামিবিয়া সফর করবেন। এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বিতীয় দীর্ঘতম বিদেশ সফর। এর আগে, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তিনি টানা আট দিনের জন্য বিদেশে ছিলেন, সেই সময় তিনি রাশিয়া ও মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ সফর করেছিলেন।

    ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন ঘানা

    ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় এবং ৩ জুলাই পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই প্রথম তিনি আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলে সফর করছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, বিগত ৩০ বছরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ঘানা সফর করেননি। ঘানার পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, যেখানে তিনি ভারত-ঘানা সম্পর্কের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বাণিজ্য এবং উন্নয়নমূলক নানা সহযোগিতা নিয়ে কথা বলবেন। এছাড়াও তিনি বৈঠক করবেন ঘানার রাষ্ট্রপতি জন মহামা-র সঙ্গে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ভারত সফরে এসে ইন্ডিয়া-আফ্রিকা ফোরাম সামিটে অংশগ্রহণ করেছিলেন জন মহামা।

    ঘানা পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ এবং সোনা রফতানিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। বর্তমানে ভারত ঘানা থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা আমদানি করে। দুই দেশের মধ্যে এই সফরে অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফর

    ৩ জুলাই মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে। এই সফর দুই দিন চলবে। ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এই দ্বীপরাষ্ট্র সফর করছেন। এই দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত, এবং তাঁরা মোদিকে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে প্রচুর ভারতীয় বংশোদ্ভূত জনগণের বাস বলে জানা যায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি অংশগ্রহণ করবেন একটি যৌথ সংসদ অধিবেশনে। এর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিশ্বেশ্বর-এর সঙ্গে।

    বৈঠকে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, ডিজিটাল পরিকাঠামো, কৃষি, দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ইত্যাদি ইস্যুতে আলোচনা হবে। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ভারতের ইউপিআই (UPI) পেমেন্ট প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছে, যা দুই দেশের ডিজিটাল সহযোগিতার নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।

    আর্জেন্টিনা সফর

    ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন আর্জেন্টিনা, যেখানে তিনি বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলায়ে-র সঙ্গে। আর্জেন্টিনা ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের অন্যতম স্তম্ভ হল পেট্রোলিয়াম পণ্য, অ্যাগ্রোকেমিক্যাল, অর্গানিক কেমিক্যাল, দুই চাকার যানবাহন এবং খনিজ সম্পদ।

    এই সফরে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে থাকবে, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, টেলিমেডিসিন, পরিকাঠামো উন্নয়ন, খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা। আর্জেন্টিনার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দক্ষিণ আমেরিকায় ভারতের অবস্থানকে আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ব্রাজিল সফরে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন

    ৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন ব্রাজিল, যেখানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন ১৭তম ব্রিকস (Brics Summit) সম্মেলনে। এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে রিও ডি জেনেইরোতে। ব্রিকস শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

    ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদি বক্তব্য রাখবেন জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কাঠামো নিয়ে। মোদি তাঁর বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও তুলে ধরবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার মতো ঘটনা ও ভারতের অপারেশন সিঁদুর উঠে আসবে তাঁর ভাষণে।

    ব্রাজিলে মোদি বৈঠক করবেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা-র সঙ্গে (Brics Summit)। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও শক্তি সম্পদের উপর আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা চলে সয়াবিন তেল, চিনি, তুলো, কাঠ, কেমিক্যাল এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য নিয়ে। এবারের ব্রাজিল সফর আরও একটি দিক দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ব্রাজিলে স্টেট ভিসিট বা রাষ্ট্রীয় সফর করবেন।

    মোদির নামিবিয়া সফর

    ৮ জুলাই সফরের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন নামিবিয়া, যেখানে তিনি বৈঠক করবেন রাষ্ট্রপতি নেতুঙ্গ নন্দি-র সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানাবেন নামিবিয়ার প্রতিষ্ঠাতা নেতা ড. স্যাম নজোমা-কে এবং বক্তব্য রাখবেন সে দেশের সংসদে। নামিবিয়া সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। নামিবিয়া থেকে ভারত সবচেয়ে বেশি হীরা (ডায়মন্ড) আমদানি করে এবং রপ্তানি করে রিফাইনড পেট্রোলিয়াম। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২২ সালে নামিবিয়া থেকে ভারতে আনা হয়েছিল আটটি চিতা, যাদের মধ্যপ্রদেশের একটি অভয়ারণ্যে ছাড়া হয়।

LinkedIn
Share