Tag: Gita Jayanti

Gita Jayanti

  • Gita Jayanti: ভগবদ গীতা হল মানব সভ্যতার জীবন্ত দলিল,  এক ঐতিহাসিক আদর্শ মানবজীবন দর্শন

    Gita Jayanti: ভগবদ গীতা হল মানব সভ্যতার জীবন্ত দলিল, এক ঐতিহাসিক আদর্শ মানবজীবন দর্শন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গীতা জয়ন্তীর (Gita Jayanti) মূল উদ্দেশ্য হল ভগবদ গীতাকে সম্মান জানানো। একটি পরিপূর্ণ এবং নৈতিক সুমার্জিত মানব জীবনের জন্য গীতার দর্শন ও আধ্যাত্মবোধের একান্ত ভাবে প্রয়োজনীয়। গীতায় মূলত ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পরম মিত্র অর্জুনের উদ্দেশে বাণী দিয়েছেন। কুরুক্ষেত্রের ধর্ম যুদ্ধে অর্জুনের মনে তৈরি হওয়া দ্বিধাকে দূর করে, ফলের আশা না করে কর্মকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন। ফলে তাতে গভীরভাবে মানব জীবনের কর্তব্যবোধ, বিশ্বদর্শন এবং মানবতাবাদকে প্রতিফলিত হয়েছে। তবে এই গীতার তত্ত্ব এবং দর্শন (Human Life Philosophy) ভারতীয় জীবন পরম্পরা এবং মূল্যবোধকে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

    জীবনের সুখ কীভাবে পরিমাপ হবে (Gita Jayanti)?

    গীতায় সুখের সাধনা কীভাবে করতে হয় এবং যথার্থ মানবজীবনের তৃপ্তি কীভাবে অর্জন করতে হয় এই তত্ত্বকথা রয়েছে। মানব জীবনের নানা অভিজ্ঞতা এবং অন্তর্ভাব থেকে উদ্ভূত হয়। আত্মসচেতনতা থেকে জীবনের উচ্চ পর্যায়ে উত্তরণ করে গীতার বাণী। পরিবর্তিত সময়ে জীবনকে নানা মাত্রায় প্রবাহিত করার মাধ্যমে এই সুখের সত্যতা অনুভব হয়। তাই ভগবদ গীতার ভগবৎ তত্ত্ব হল সম্পূর্ণ মানব জীবনের প্রকাশ মাত্র। তাই গীতা স্থান, পাত্র, কাল, বর্ণ, ধর্ম, জাতি নির্বিশেষে সকলের জন্য প্রযোজ্য।

    কেবল মাত্র ধর্মশাস্ত্র নয় গীতা

    গীতা কেবল মাত্র ধর্মশাস্ত্র নয়, এটি এমন একটি দার্শনিক গ্রন্থ যে সর্বজনীন ভাবে প্রযুক্ত। গীতা, রক্ত মাংসে গড়া মানব জীবনের নীতি কথা। কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক, কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা এই সব বিষয়ে জানতে সাহায্য করে। মানুষের আবেগ, চ্যালেঞ্জ এবং নানা আকাঙ্খাগুলিকে পথ দেখায়। তাই একে কেবল মাত্র ধর্মীয় ভাবনায় ভাবলে হবে না। মানব জীবনের রাগ, লোভ, দ্বেষ, ক্ষোভ, প্রেম, তৃপ্তি এবং জ্ঞান বিষয়েও নৈতিকতার পাঠ দেয়। কাকে দমন করে কাকে সম্প্রসারণ করতে হবে সেই শিক্ষাও দেয় গীতা। তাই শুধু মাত্র হিন্দুশাস্ত্র হিসেবে বিচার করলে গীতাকে একটি সামান্য সীমায় বেঁধে রাখা হবে। গীতার ব্যাপ্তি বিশ্বচরাচর।

    জগতের নানা প্রকার জীবের মধ্যে মানবজাতি তুলনায় অনেক বেশি জটিল জীব। মানুষের শরীর, মন, বুদ্ধি, চেতনা, অহংকার থাকে। সেই জন্য আর বাকি দশটা জীবের তুলনায় মানুষের চলন অন্যরকম। মানুষের অভিপ্রায়গুলি যদি ত্রুটি যুক্ত হয় তাহলে জীবনকে দুঃখ বা নেগেটিভ শক্তির দিকে নিয়ে যায়। তাই জীবনকে সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য গীতার দেখানো পথকে অবলম্বন করতে হবে। গীতা সবসময় রাগ, ক্রোধ, ভয়, বিস্ময়-সহ রিপুগুলিকে নিয়ন্ত্রণ এবং দমনের উপদেশ দেয়। গীতা শান্ত, ধৈর্য, উদার, বিনয়ের কথা বলে। মানুষকে পূর্ণমানব তথা ঈশ্বরজ্ঞানের দর্শন করাতে চায়। প্রেম, করুণা, প্রজ্ঞা এবং ত্যাগ ভাব দিয়ে জীবনকে (Human Life Philosophy) সিদ্ধান্ত নিতে শেখায় গীতা।

    সভ্যতার জীবন্ত দলিল গীতা

    গীতাকে (Gita Jayanti) বলা হয়েছে, গীতা হল সভ্যতার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। গীতায় তোলা অর্জুনের প্রশ্ন এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ বিশ্বমানব সভ্যতার (Human Life Philosophy) একটা দলিল। শুধুমাত্র মুখ নিঃসৃত বাণী নয়। সভ্যতার বিকাশে রাজরাজাদের গল্প, রাজত্ব-সাম্রাজ্য, যুদ্ধ, আধিপত্য, প্রজাদের প্রতি কর্তব্য, অধিকার, নীতি-নৈতিকতার পাঠ, দুর্বলকে কীভাবে সবল করতে হবে সেই দিকের ইঙ্গিত স্পষ্ট ভাবে রয়েছে। তাই গীতাকে কোনও সময়েই অপ্রাসঙ্গিক বলা যায় না। অন্যায়কে পরাজয় করতে শেষ শক্তি দিয়ে কীভাবে বিজয় প্রাপ্ত হতে হয় এই কথা কৌরব-পাণ্ডবের যুদ্ধে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘আরও দৃঢ় পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার’’, বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন রোধে বার্তা আরএসএসের

    গীতা জয়ন্তীর উদ্দেশ্য

    গীতা জয়ন্তীর (Gita Jayanti) মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্ববাসীর সামনে গীতার মাহাত্মকে আরও বেশি করে প্রচার প্রসার করা। এখানে দেওয়া উপদেশগুলির সূক্ষ্ম বিচার বিবেচনা করে জীবনের প্রতি পদে পদে ব্যবহারিক প্রয়োগ করা। গীতার জ্ঞানকে মন্থন করে ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিফলন ঘটানোই একমাত্র উদ্দেশ্য। সুখ দুঃখের সঙ্গে ক্ষণস্থায়ী আনন্দকে চিরন্তন করতে কর্ম এবং ত্যাগের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মানবজীবনের উন্নত পথ প্রদর্শক। এটি হল ভারতের একটি জ্বলন্ত প্রদীপের শিখা। যার আলোতে বিশ্বকে আলোকিত করে যাচ্ছে। মানবজীবনে (Human Life Philosophy) মূল উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gita Jayanti: ডিসেম্বরে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠান ব্রিগেডে, হাজির থাকতে পারেন রাষ্ট্রপতি

    Gita Jayanti: ডিসেম্বরে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠান ব্রিগেডে, হাজির থাকতে পারেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির উদ্যোগে চলতি বছরের ডিসেম্বরে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা থেকে আয়োজন সবেতেই সহযোগী সংগঠনের ভূমিকায় দেখা যাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে। জানা গিয়েছে, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে হতে চলা এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন দেশের দুই শংকরাচার্য সমেত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

    ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita Jayanti) অনুষ্ঠান

    ‘অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ’-এর উদ্যোগে হতে চলা এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রশাসনিক অভিভাবক হিসাবে  আমন্ত্রণ জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ২৪ ডিসেম্বর এই অনুষ্ঠান হবে। ২৪ ডিসেম্বর দিনটিকে বাছার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের মতে, ‘‘হিন্দু সংস্কৃতিতে ওই দিন গীতা জয়ন্তী পালন করা হয়ে থাকে এবং এটাও মনে করা হয় মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে গীতার (Gita Jayanti) জন্ম হয়েছিল, তাই এই দিনকে মোক্ষদা একাদশী হিসেবেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালন করা হয়।’’ হিন্দু ধর্মের কোনও কিছু অনুষ্ঠান হলেই তাতে রাজনীতির যোগ খোঁজার চেষ্টা করেন এক শ্রেণির মানুষ। তবে এর সঙ্গে যে রাজনীতির কোনও যোগ নেই, তাও স্বীকার করছেন সংগঠনের কর্তারা।

    কী বলছেন উদ্যোক্তারা?

    অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের সভাপতি প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ বলেন, ‘‘এই কর্মসূচি সকলের জন্য। কোনও রাজনীতি নয়, মানব কল্যাণের লক্ষ্য নিয়েই এই অনুষ্ঠানে আমরা কমপক্ষে এক লাখ মানুষের সমাবেশ করব। সমবেত কণ্ঠে তাঁরা গীতা (Gita Jayanti) পাঠ করবেন। এটা অতীতে বিশ্বের কোথাও কখনও হয়নি।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমরা রাজ্যে সনাতন ধর্মের যত সংগঠন, আশ্রম, স‌ংস্থা রয়েছে সকলকেই যোগদানের আবেদন জানিয়েছি। সব রাজনৈতিক দলের সাংসদ, বিধায়কদেরও জানাব। আগামী ২ নভেম্বর রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানাতে দিল্লি যাওয়া হবে। তিনি উদ্বোধন করবেন। সেটা ঠিক হয়ে গেলেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাব আমরা। তাঁকে প্রধান অতিথি হিসাবে পেতে চাই।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share