Tag: Global Warming

Global Warming

  • Heatwave Alert: ২০২৫ সালে প্রখর তাপের সম্মুখীন হতে হবে বিশ্ববাসীকে, চরম সতর্কতা

    Heatwave Alert: ২০২৫ সালে প্রখর তাপের সম্মুখীন হতে হবে বিশ্ববাসীকে, চরম সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে প্রখর তাপের (Heatwave Alert) সম্মুখীন হতে হবে বিশ্ববাসীকে। এই মর্মে সর্তকতা জারি করল বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে হতে পারে বড়সড় বিপদ। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা আগামী বছরেও অব্যাহত থাকবে। গ্রিনহাউসে গ্যাসের কারণে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে ভবিষ্যতে উষ্ণায়ন (Global Warming) ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। 

    বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে (Heatwave Alert)

    বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৪ সালে পৃথিবী রেকর্ড ব্রেকিং তাপমাত্রা (Heatwave Alert) অনুভব করেছে। ওই বছর ছিল সব থেকে উষ্ণ (Global Warming) বছর। একই সময়ে ব্রিটেনের আবহাওয়া অফিসের আশঙ্কা, ২০২৫ সালটিও তৃতীয় উষ্ণবছর হতে চলেছে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মতো ২০২৫ সালেও প্রচণ্ড গরম পড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল যুগের (১৮৫০-১৯০০) আগের তাপমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি গরম পড়বে। আগামী বছরে প্যারিস চুক্তির সীমা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপরে উঠে যাবে। প্রাক-শিল্প উৎপাদন যুগের তুলনায় বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে। জলবায়ুর স্থায়ী পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। তাই ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ রাখতে হবে ১.৫ ডিগ্রির কম। ২০২৩ সালেই বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৪৫ ডিগ্রি! ২০২৪ সালে তা ১.৫ ডিগ্রির গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।

    গত দশ বছরে রেকর্ডের শীর্ষ উষ্ণতম বছরের সাক্ষী

    রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তেনিও গুয়েতেরেস এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা এক দশক ধরে মারাত্মক তাপপ্রবাহ (Heatwave Alert) অনুভব করছি। ২০২৪ সহ গত দশ বছরে রেকর্ডের শীর্ষ উষ্ণতম বছরের সাক্ষী থেকেছি। ২০২৪ সহ গত দশ বছরের তাপমাত্রা ব্যাপক আকার ছিল। তবে ২০২৫ সালে তাপমাত্রা কী হতে চলেছে তা এখনই সুনিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং সুস্থ ভবিষ্যত তৈরি করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।” তিনি বলেন, “এ ভাবে সভ্যতা ধ্বংসের পথ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপদ পথের সন্ধান করতে হবে। একইভাবে বিকল্প পথের কথাগুলি জোর দিয়ে ভাবতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ বাড়ছে অসন্তোষ, পায়ের নীচের মাটি হারাচ্ছেন বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস?

    ২৬টিই বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় ৩,৭০০ জনেরও বেশি মৃত

    আবার ডব্লিউএমও সেক্রেটারি-জেনারেল সেলেস্তে সাওলো বলেন, “তাপমাত্রার (Heatwave Alert) সামান্য বৃদ্ধিও আবহাওয়াকে চরম বিপজ্জনক করে তুলেছে। প্রথম বছরেই আমি জলবায়ু সংক্রান্ত রেড অ্যালার্ট জারি করেছিলাম। ২০২৫ সালে ডব্লিউএমও-এর ৭৫তম বার্ষিকী। ফলে পৃথিবীকে সুরক্ষিত রাখতে সকলকেই পদক্ষেপ করতে হবে। এই দায়িত্ব আমাদের সকলের। এই বিশ্বব্যাপী দায়িত্ববোধের কথা সকলকে মনে রাখতে হবে।”

    প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন এবং ক্লাইমেট সেন্ট্রালের একটি নতুন রিপোর্টে জানা গিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের (Global Warming) কারণে ২০২৪ সালে ২৯টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ২৬টিই বিধ্বংসী আকার নিয়েছিল। মোট ৩,৭০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Illegal Tree Cutting: বেআইনিভাবে কাটা হয়েছে হাজার হাজার গাছ, সব দেখেও নির্বিকার প্রশাসন!

    Illegal Tree Cutting: বেআইনিভাবে কাটা হয়েছে হাজার হাজার গাছ, সব দেখেও নির্বিকার প্রশাসন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তার পাশেই পড়ে রয়েছে সারি সারি কাটা গাছ। এ ছবি দেখে বিস্মিত হবেন আপনিও। যখন তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে গোটা রাজ্যবাসী। বারে বারে বলা হচ্ছে বেশি করে গাছ লাগান। তখন এমন ছবি সত্যিই ভাবিয়ে তোলে প্রত্যেককে। এ ছবি অন্য কোথাও নয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ (Kakdwip) বিধানসভার মধুসূদন পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত নম্বর শিবকালী এলাকার ঘটনা। 

    প্রতিবাদ জানাতে গেলেই হুমকি

    রাস্তার পাশে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এইভাবে ১০০০ এরও বেশি গাছ কাটা (Illegal Tree Cutting) হয়েছে। কিন্তু কাটলো কারা? এলাকার মানুষের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশেই রাস্তা হওয়ার দোহাই দিয়ে এই ভাবেই হাজার হাজার গাছ কাটা হয়েছে। এর বেশি আর কিছুই জানে না এলাকার মানুষজন। বেশি কিছু বলতে গেলেই তাদের ওপর হুমকি আসছে বলেও জানান তারা। 

    নির্বিকার প্রশাসন (Illegal Tree Cutting) 

    তবে এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা অস্বীকার করে যান। শরীর খারাপের দোহাই দিয়ে তিনি জানান, তিনি নাকি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। অন্যদিকে এ ঘটনা এলাকার মানুষজন প্রশাসনকে জানাতে গেলে অপরাধীদের বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থীর হুঁশিয়ারি 

    তবে এই বিষয় নিয়ে শাসক দল ও প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী। তিনি বলেন, “শাসকদলের মদত ও প্রশাসনের মদত ছাড়া এমন কাজ (Illegal Tree Cutting) হতেই পারে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত অথবা প্রশাসন এই বিষয়টা কি জানতো না? সমস্তটা জেনেও টাকার লোভে চুপ করেছিল।” এই বিষয়ে দোষীরা শাস্তি না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।   
    অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনদপ্তর (Forest department) এর আধিকারিক মিলন মন্ডল কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানায় এই বিষয়ে আমাদের নজরে এসেছে আমরা পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি। 
    তবে প্রশ্ন উঠছে পদক্ষেপ নিলেও কি ফিরে পাওয়া যাবে এই হাজার হাজার গাছ? কেন সবটা জানা সত্ত্বেও প্রশাসন প্রথম থেকে পদক্ষেপ নিল না? যখন তীব্র তাপপ্রবাহে বেশি করে গাছ লাগানোর কথা বলা হচ্ছে, তখনই ১০০০ এরও বেশি গাছ নিধন (Illegal Tree Cutting) করা হলো। আগামী দিনে আরও ভয়ংকর দিন দেখতে হবে না তো মানুষকে? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Melting Glaciers: হিমালয়ে গলছে হিমবাহ! হ্রদ উপচে বন্যার আশঙ্কা, উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা

    Melting Glaciers: হিমালয়ে গলছে হিমবাহ! হ্রদ উপচে বন্যার আশঙ্কা, উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ক্রমেই বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। গত বছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। উষ্ণায়নের ফলে হিমালয় (Himalaya) অঞ্চলে শতাধিক হিমবাহ (Melting Glaciers) দ্রুত গলে যাচ্ছে। আর সেই বরফগলা জলে ক্রমশ বাড়ছে হ্রদের আয়তন। এর ফলে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

    বড় হ্রদগুলির প্রতি চারটির মধ্যে একটির আয়তন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে

    প্রসঙ্গত, হিমালয় অঞ্চলে ১০ হেক্টরের চেয়েও বড় হ্রদগুলির প্রতি চারটির মধ্যে একটির আয়তন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রবণতা শুরু হয়েছে ১৯৮৪ সাল থেকে। তবে সাম্প্রতিক কালে পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে। এর ফলে হিমবাহ গলা জল হ্রদের (Melting Glaciers) দুকূল ছাপিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বন্যার ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে ক্রমেই। আমরা যদি ১৯৮৪ থেকে ২০২৩ সালের তথ্য দেখি, তাহলে দেখা যাবে যে হিমালয়ে ২,৪৩১ হ্রদ রয়েছে, যেখানে ১৯৮৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৬৭৬ হ্রদ রয়েছে যার আয়তন বিস্তৃত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩০টি ভারতে রয়েছে। সিন্ধু নদীর উপর ৬৫টি হিমবাহী হ্রদ, গঙ্গার উপর ৭টি এবং ব্রহ্মপুত্রে ৫৮ টি হিমবাহী হ্রদ গঠিত হয়েছে। এই ৬৭৬ হ্রদের মধ্যে ৬০১টি আকারে দ্বিগুণেরও বেশি প্রসারিত হয়েছে।

    কেদারনাথ ও সিকিমের স্মৃতি

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ জুন রাতে সমগ্র কেদারনাথ (Kedarnath) উপত্যকা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পাহাড়ের উপরিভাগে অবস্থিত একটি হ্রদ ফেটে যাওয়ার কারণে এমন বন্যা হয়েছিল যে কিছুক্ষণের মধ্যেই সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। এই বিপর্যয়ে মারা গেছেন ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে এই দুর্ঘটনার ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন এখনও বিদ্যমান। এই ধ্বংসযজ্ঞের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল যে হিমালয় অঞ্চলের বরফ গলেই সেই বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল। বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড (GLOF) বলা হয়। সাম্প্রতিককালে, হিমবাহ ফেটে সিকিম ও উত্তরবঙ্গে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। সেই স্মৃতি আজও টাটকা।

    গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড (GLOF)

    গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড (GLOF) হল এমন একটি পরিস্থিতি যখন হিমবাহ গলনের ফলে সমতল ভূমিতে অত্যধিক জলের প্রবাহ ঘটে এবং প্রাকৃতিক বাঁধ বা হ্রদে জলের স্তর বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সহজ কথায়, একে হ্রদ ফেটে যাওয়াও (Melting Glaciers) বলা হয়। যার কারণে হ্রদ সংলগ্ন এলাকা এবং নিচু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরকে গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাডের (GLOF) জন্য সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর জম্মু-কাশ্মীরের পরেই রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখন্ড। ফলে হিমবাহ গলা জল অন্যান্য সমস্ত দেশের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ওপরেও বিরাট আকার নেবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এমন কিছু ঘটলে আবার ফিরে আসবে কেদারনাথের স্মৃতি।

    উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা

    গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা। প্রখ্যাত হিমবাহবিদ অনিল ভি কুলকার্নির আশঙ্কা, এই হ্রদ যে ভাবে বেড়ে চলেছে তা ভবিষ্যতে মানালি লে হাইওয়ে পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। তার জেরে প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা ওই অঞ্চলের জনবসতি। দিভেচা সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর বিজ্ঞানী অনিল জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেও আলোচনা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গত বছর সিকিমের (Sikkim) লোনাক হ্রদের জল (Melting Glaciers) উপচে বন্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন ওই হিমবাহবিদ। 

    হিমবাহবিদের আশঙ্কা 

    তবে প্রখ্যাত হিমবাহবিদ মিরিয়াম জ্যাকসন গত বছরেই বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানান, হিমবাহ গলে আরও বহু জলাশয় তৈরি হবে। বাড়বে বহু জলাশয়ের আয়তনও। যা ভবিষ্যতে ওই অঞ্চলে বন্যা তৈরির ইঙ্গিতবাহী। গবেষকদের মতে, আগামী দশকে মধ্য ও পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের অধিকাংশ হিমবাহ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কিছু হিমবাহ গলে যাওয়ার আশঙ্কা আরও গুরুতর হবে। যার কারণে আসন্ন বন্যায় (Melting Glaciers) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতও রয়েছে।  বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে আগামী শতাব্দীর মধ্যে হিমালয়ের  ৭৫ শতাংশ বিলীন হয়ে যেতে পারে। ফলে পরিবেশের এমন ক্ষতি হবে, যা পূরণ করা সম্ভব নয়।

    পৃথিবী জুড়ে তীব্র জল সংকট

    অন্যদিকে হিমবাহ গলে কয়েক দশক পর নদী শুকিয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে দেখা দিতে পারে পৃথিবী জুড়ে তীব্র জল সংকট। এর মূল কারণ হিসেবে বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করেছেন গবেষকরা। গত ৪ দশকে হিমালয় পর্বতমালার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ হিমবাহ বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য গলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এশিয়ায় (Asia) মূল নদীগুলির উৎপত্তি এই হিমালয় থেকেই। ফলে এশিয়ার প্রায় ৮০ কোটি মানুষের জীবনধারা এসব নদীর ওপর নির্ভরশীল। দ্বিগুণ গতিতে হিমবাহ গলতে থাকলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ঘনবসতিপূর্ণ এই অঞ্চলে একসময় তীব্র জল সংকটের (water crisis) কারণে ভয়ানক বিপর্যয় নেমে আসবে। তাই সময় থাকতেই এবার সচেতন হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NASA: চলতি বছরের জুলাই ছিল উষ্ণতম মাস, নাসার রিপোর্টে বিশ্ব জুড়ে দুশ্চিন্তা

    NASA: চলতি বছরের জুলাই ছিল উষ্ণতম মাস, নাসার রিপোর্টে বিশ্ব জুড়ে দুশ্চিন্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮৮০ সাল থেকে বিশ্ব উষ্ণায়নের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এই বছরের জুলাই ছিল সর্বকালের উষ্ণতম মাস। নাসা এ নিয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাদেরই পরিসংখ্যানে জুলাই মাসে ছিল গত ১৭৪ বছরের মধ্যে সব থেকে বেশি তাপমাত্রা। নাসার এই সতর্কবার্তায় বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে পরিবেশবিদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। অনেকে মনে করছেন, অতিরিক্ত উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হবে না তো!

    বিশ্ব উষ্ণায়ন

    ১৯৫১ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত প্রতিটি বছরের জুলাই মাসের গড় তাপমাত্রা হিসাব করে দেখা গিয়েছে, ওই বছরগুলির জুলাইয়ের তুলনায় ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ১.১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল। আবার ২০২৩ সালের জুলাই মাসে শেষ কবে এমন গরম পড়েছিল, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ পর্যবেক্ষক সংস্থা, এর আগে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে এমনই তথ্য দিয়েছিল। এবার সেই পথে গিয়ে নাসাও একই কথা জানাল। কার্যত বিশ্ব উষ্ণায়নকে ঘিরে চিন্তার কথাই প্রকাশ করল নাসা।

    নাসার বক্তব্য

    নাসার আধিকারিক বিল নেলসন বলেন, মানব সমাজ এবং ভূমণ্ডলকে বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। নাসার জিআইএসএস (GISS)-এর এক রিপোর্টে বলা হয়, ১৮৮০ সাল থেকে যে উষ্ণতার পরিসংখ্যান রাখা হয়েছে, সেখানে ২০২৩ সালের মতো উষ্ণতা কোথাও নেই। গত ১৭৪ বছরের মধ্যে এই জুলাই মাস ছিল সবথেকে বেশি উষ্ণতার মাস। বিগত কয়েক বছরের থেকে এই বছরের জুলাইয়ের উষ্ণতা ০.২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। রিপোর্টে আরও জানানো হয়, পরিসংখ্যানের বিচারে বিশ্বের গড় তাপমাত্রার পরিমাণ, সবথেকে বেশি হারে বেড়েছে শেষ পাঁচ বছরেই। এই প্রসঙ্গে নাসা আরও জানিয়েছে, দক্ষিণ অ্যামেরিকা, উত্তর আফ্রিকা, উত্তর অ্যামেরিকা, আন্টার্কটিকা দেশেও স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দেশগুলিতে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather update: ধীরে ধীরে “হিট এজ”-এর দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Weather update: ধীরে ধীরে “হিট এজ”-এর দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা এপ্রিল জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে (Weather update) জ্বলছে বাংলা। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবছর গরমের প্রকৃতি একটু আলাদাই। গরমের দাপটে নাজেহাল মানুষ এবং পশুপাখিরাও। এপ্রিল মাসেই যে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াবে, তা কেউ ধারণাও করতে পারেননি।

    হাত-পা-শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে, ফাটছে ঠোঁট! 

    অন্যান্যবার গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি উঠলেও সেটা এবার এপ্রিলের শুরুতেই হওয়ায় মানুষ একে অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন। শুধু তাই নয়, এই গরমেও মানুষের হাত-পা-শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে, এমনকি ঠোঁটও ফাটছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই গরম (Weather update) নিয়ে সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ। এমনকী অনেক জায়গায় গরমের জন্য মিনি টর্নেডোও দেখা গেছে। গত ১৬ এপ্রিল হলদিয়াতে এমনই একটি টর্নেডো দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও স্থানে প্রবল উত্তাপের কারণে উষ্ণ বাতাস হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। তখন ওই শূন্য জায়গা পূরণের জন্য চারদিকের শীতল বাতাস দ্রুত বেগে সেই এলাকায় ধাবিত হয়। তখনই টর্নেডো বা ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়।

     এবছর এত গরমের কারণ কী? কী বলছে গবেষণা?
     
    গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ একটাই “গ্লোবাল ওয়ার্মিং”। তাঁরা জানিয়েছেন, গত ১৫০ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা (Weather update) গড়ে ০.৮৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেড়েছে, যা অস্বাভাবিক। ধীরে ধীরে “হিট এজ”-এর দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী। যেমন ছিল “আইস এজ”। ২.৪ বিলিয়ন বছর আগে শুরু হয়েছিল এবং যা ১৫০০ বছর স্থায়ী ছিল। পৃথিবীর মহাদেশগুলির পারস্পরিক অবস্থান, সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর কক্ষপথ ও পৃথিবীর অক্ষরেখার দিক পরিবর্তন ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস এই আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য দায়ী। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণেই ধীরে ধীরে সেই উষ্ণ যুগের দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী, বাড়ছে দূষণ। ওজোন স্তরের ছিদ্র বাড়ছে। ফলে অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে এসে পড়ছে। বাড়ছে সমু্দ্রের জলস্তর। উপকূলবর্তী এলাকাগুলি সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে।

    শুধুই কি প্রাকৃতিক কারণ? না মানুষও দায়ী?

    না, শুধু প্রাকৃতিক কারণ নয়। মানুষের সৃষ্ট কারণের ফলেও এই গরম (Weather update) বাড়ছে, এমনটাই বেরিয়ে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। শহরজুড়ে বড় বড় কংক্রিটের বিল্ডিং, অরণ্য ছেদন, বহুল পরিমাণে এসি-র ব্যবহার, আর বাড়ছে গরম হাওয়া যা “হিট আইল্যান্ড”-এর সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “অ্যানথ্রোপোজেনিক হাইড্রোকার্বনের পরিমাণ শহরাঞ্চলে অনেক বেশি। কারখানা ও গাড়ি থেকে নির্গত দূষণের ফলে এই অ্যানথ্রোপোজেনিক হাইড্রোকার্বন নিঃসৃত হয়। শহরের ‘হিট আইল্যান্ড’-এ জলীয় বাষ্পের সঙ্গে অ্যানথ্রোপোজেনিক হাইড্রোকার্বনের সংযোগের ফলে বৃষ্টি হলেও মফস্বলে তাও হচ্ছে না। তাই কমেছে বৃষ্টি। বাড়ছে অস্বস্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Plastic Ban: ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক! নতুন নিয়ম জানেন তো?

    Plastic Ban: ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক! নতুন নিয়ম জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে’ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিকের (Single Use Plastic) ব্যবহার, কড়া নির্দেশ জারি করল কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (Central Pollution Control Board)। এর আগে, চলতি বছরের শুরুতেই প্লাস্টিক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে সতর্ক করেছিল পর্ষদ। এবার জারি করা হল নিষেধাজ্ঞা।

    নতুন নির্দেশিকার পর এবার প্লাস্টিকের তৈরি ব্যাগের পাশাপাশি, প্লাস্টিকের তৈরি ব্যানার, লজেন্স এবং আইসক্রিমে ব্যবহৃত হওয়া প্লাস্টিকের কাঠি, প্লাস্টিকের কাপ, গ্লাস এবং অন্যান্য বাসন, পাতলা প্লাস্টিকের বোতল, এমনই বিভিন্ন নিত্যদিনের ব্যবহৃত জিনিস নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত হতে চলেছে। যেহেতু এইসব জিনিস তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় অত্যন্ত পাতলা প্লাস্টিক, যার ঘনত্ব ১০০ মাইক্রনের চেয়ে কম ও তা ফের ব্যবহার করা যায় না। প্লাস্টিকগুলি পুনর্ব্যবহার করা যায় না বলেই এই ধরনের প্লাস্টিক দেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে।

    আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের ফলে ভারতীয়দের আয়ু কমবে ৫ বছর! দাবি গবেষণায়

    কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে যে, প্লাস্টিক ব্যাগের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে বিভিন্ন কাপড়ের ব্যাগ। কারণ এটি অনেকবার ব্যবহার করা যায় ও কাপড়ের ব্যাগ ইকো-ফ্রেন্ডলি। এছাড়াও প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসের জায়গায় বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

    এবারে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার নিয়ে কড়া নির্দেশ জারি তো করেছেই, এর সঙ্গে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারকারীদের জন্য ফাইন হতে পারে ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। ব্যক্তির জন্য ৫০০ টাকা এবং যে সংস্থা প্লাস্টিক ব্যাগ বানাবে বা সরবরাহ করবে তার জন্য ৫০০০ টাকা ফাইন দেওয়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি।

    আরও পড়ুন: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জেনে নিন এই দিনের তাৎপর্য

    প্লাস্টিক বর্জ্যের (Plastic wastes) পরিমাণ ক্রমশ বাড়তে থাকলেও প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার না কমিয়ে, অনেক সংস্থা এই নির্দেশে অসম্মতি জানিয়েছে ও কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছে যাতে বিভিন্ন ড্রিঙ্কস, জুস ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হওয়া প্লাস্টিকের স্ট্র ব্যবহার করতে দেয় সরকার।

    প্লাস্টিকের ব্যবহারের (Plastic Use) ফলে দূষণ বেড়েই চলেছে। কারণ প্লাস্টিক প্রাকৃতিক উপায়ে মাটিতে মেশে না (Bio-nondegradable)। ফলে বাড়তে থাকে পরিবেশ দূষণের (Environmental Pollution) হার। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming) ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে, তাই এই পরিস্থিতিতে দূষণ রোধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

  • Iraq: খরার ফলে জেগে উঠল ৩৪০০ বছরের পুরনো শহর

    Iraq: খরার ফলে জেগে উঠল ৩৪০০ বছরের পুরনো শহর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীর জল শুকিয়ে গিয়ে প্রায় ৩৪০০ বছরের পুরনো  প্রাচীন বসতির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হল ইরাক থেকে। ঘটনাটি ইরাকের কুর্দিস্তানের (Kurdistan ) কেমুন(Kemune)নামক শহরের। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বেড়েছে ,ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। এতে ইরাকের সবচেয়ে বড় নদী টাইগ্রিসের (Tigris River) জল কমে হঠাৎ জেগে উঠতে শুরু করেছে প্রাচীন এই শহর।

    আরও পড়ুন: কুঁজো, ট্যারা শুনতে শুনতেই আত্মহত্যার চেষ্টা, এখন তিনিই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সিইও

    প্রাচীন বসতির ধ্বংসাবশেষগুলি ব্রোঞ্জ যুগের বলেই ধারণা করা হয়েছে। টাইগ্রিস নদীর জল খরায় শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ব্রোঞ্জ যুগের প্রায় অনেক ধ্বংসাবশেষই এখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। জার্মান (German) ও কুর্দি (Kurdish) প্রত্নতাত্ত্বিকদের (archaeologist) একটি দল সেখানে খনন কাজ করেছে। গবেষকদের ধারণা, এটি মিত্তানি সাম্রাজ্যের  (Mittani Empire) আমলের ১৫৫০ থেকে ১৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। জার্মানির (Germany) ফ্রেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের  (University of Freiburg) প্রত্নতাত্ত্বিকরা ও অধ্যাপক ইভানা পুলজিজ (Dr Ivana Puljiz) একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান যে, শহরটি সরাসরি টাইগ্রিসের উপর অবস্থিত হওয়ায়, মিত্তানি সাম্রাজ্যের মূল অংশ বর্তমান উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার সঙ্গে এর পূর্বাঞ্চলের সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।

    এর আগেও এই অঞ্চলের খননকার্য শুরু হলেও জলাশয়ের জল বেড়ে যাওয়ায় প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেটি তখন সম্পূর্ণ করতে পারেনি। কিন্তু এবারে জলাধারের জলের স্তর অনেকটাই নেমে যায়, তারপরেই গবেষকরা এই হারিয়ে যাওয়া শহরের সন্ধান পান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানায়, প্রাচীন শহরটির সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধ্বংসাবশেষটিকে প্লাস্টিকের আবরণ দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন এবং স্থানটিকে নুড়ি দিয়ে পূর্ণ করে দিয়েছিলেন যাতে কাদামাটির দেওয়াল রক্ষা করা যায়। তবে বর্তমানে জলের স্তর ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং শহরটি এখন আবার ডুবে গেছে। আবার কবে এই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস জেগে উঠবে, তা এখন সময়ের ওপর নির্ভর করছে বলে জানাচ্ছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

    আরও পড়ুন: আল-কায়দার হুমকির জের, দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি গোয়েন্দা সংস্থার

  • Artificial Photosynthesis: আর প্রয়োজন নেই সূর্যালোকের, অন্ধকারেই হবে সালোকসংশ্লেষ! দাবি গবেষণায়

    Artificial Photosynthesis: আর প্রয়োজন নেই সূর্যালোকের, অন্ধকারেই হবে সালোকসংশ্লেষ! দাবি গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর প্রয়োজন হবে না প্রাকৃতিক সালোকসংশ্লেষ (Photosynthesis) প্রক্রিয়ার! কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ (artificial photosynthesis) প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই উৎপন্ন করা যাবে খাদ্য। সেই খাদ্যেই এবার পেট ভরাবে তামাম বিশ্ববাসী। সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে একটি গবেষণায়। সেই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে নেচারফুড (Nature Food) পত্রিকায়। প্রকাশিত গবেষণাপত্রে হইচই বিশ্বজুড়ে।

    গাছের পাতাকে বলা হয় রান্নাঘর। মূলের মাধ্যমে মাটি থেকে জল সংগ্রহ করে গাছ। পাতা দিয়ে শোষণ করে সূর্যালোক। তাকে কাজে লাগিয়ে গাছ তৈরি করে খাবার। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যাকে বলা হয়ে থাকে সালোকসংশ্লেষ। কাবর্ন ডাইঅক্সাইড (CO2) শোষণ করে গাছ বাতাসে অক্সিজেন (O2) ছাড়ে। সেই অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকে তামাম প্রাণীজগৎ।

    আরও পড়ুন : একবারও ছুঁতে পারেনি করোনা? অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা নাকি নিপাট বিজ্ঞান?

    তবে, বিজ্ঞানীদের দাবি, এবার আর কেবল এই প্রাকৃতিক সালোকসংশ্লেষের ওপর নির্ভর করতে হবে না। কারণ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই উৎপন্ন হবে মানুষের খাবার মায় অক্সিজেনও।

    কী এই কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ?

    কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষণ সিস্টেম মূলত উৎসেচক-নির্ভর রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখে। এই উৎসেচক হাইড্রোজেন শক্তি এবং জৈব রাসায়নিক ট্রান্সডুসার দ্বারা চালিত হয়। হাইড্রোজেন বা হাইড্রোজেনযুক্ত যৌগ ব্যবহার করে হাইড্রোজেন শক্তি উৎপন্ন হয়। 

    ট্রান্সডুসার হল যেকোনও মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড সিস্টেমের একটি অংশ। একটি ট্রান্সডুসার যে কোনও প্রাকৃতিক পরিমাণকে বৈদ্যুতিক সংকেতে এবং এর বিপরীতে রূপান্তর করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি, কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষণ ব্যবস্থার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে পিভি প্যানেল যা সিস্টেমের বৈদ্যুতিক চাহিদা পূরণ করে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাহায্য করে, কার্বোহাইড্রেট আকারে শুষ্ক কৃষি, তরল জ্বালানি, রাসায়নিক ফিডস্টক এবং পলিমার যা ফাইবার তৈরি করে এবং ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত হাইড্রোজেন। 

    কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষের প্রক্রিয়ায় গবেষকরা দ্বিস্তরীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড, বিদ্যুৎ ও জলের মিশ্রণের মাধ্যমে অ্যাসিটেট যৌগ তৈরি করেন। অ্যাসিটেট হল ভিনিগারের অন্যতম প্রধান উপাদান। আলোর অবর্তমানে খাদ্য-উৎপাদনকারী জীবগুলি তখন এই অ্যাসিটেটকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে বেড়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের দাবি, এর মাধ্যমে অ্যাসিটেট সমৃদ্ধ ইলেক্ট্রোলাইজারের মাধ্যমে সরাসরি অন্ধকারে বহু খাদ্য-উৎপাদনকারী জীবের প্রসার ঘটতে পারে।

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে খাদ্যের চাহিদাও। এই চাহিদা পূরণ করতে প্রয়োজন আরও খাবার উৎপাদনের। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষের ফলে পৃথিবীজুড়ে একদিকে যেমন খাদ্যসংকট (Global Food Crisis) সমস্যার সমাধান হবে, কমবে দূষণও (Pollution)। 

     

LinkedIn
Share