Tag: gold ornaments

gold ornaments

  • Anubrata Mondal: ‘কেষ্ট’ বিহনে উধাও জাঁকজমক, সোনার বদলে মায়ের গায়ে ইমিটেশনের গয়না!

    Anubrata Mondal: ‘কেষ্ট’ বিহনে উধাও জাঁকজমক, সোনার বদলে মায়ের গায়ে ইমিটেশনের গয়না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলার বেতাজ বাদশা ছিলেন তিনি (Anubrata Mondal)। ফলে তাঁর কালীপুজোয় যে কেমন জাঁকজমক হবে, তা বলাই বাহুল্য। বাস্তবে হতও তাই। আসলে পুজোটা হত বীরভূমে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে। কিন্তু জেলার লোক জানতেন, এই পুজোর সর্বেসর্বা একজনই, তিনি আর কেউ নন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, মানে ‘কেষ্টদা’। শোনা যায়, প্রায় ৩০০ ভরি সোনার গয়না দিয়ে সাজানো হত মাকে। এমনকি ২০২১ সালে নাকি মায়ের গায়ে উঠেছিল ৫৬০ ভরি সোনার গয়না, যার বাজারমূল্য ছিল আড়াই কোটি টাকার মতো। পুজোর জাঁকজমকও ছিল দেখার মতো। শুধুমাত্র মায়ের সাজ দেখতেই দলে দলে মানুষ ভিড় জমাতেন এই পুজোয়।

    গরু পাচার কাণ্ডে তিনি এখন তিহার জেলে বন্দি। স্বাভাবিকভাবে কেষ্টহীন অবস্থায় এবার পুজোয় কেমন আড়ম্বর হবে, তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা ছিল। দেখা গেল, কেষ্ট নেই, জাঁকজমকও নেই। সবচেয়ে বড় কথা, সোনার বদলে মায়ের গায়ে উঠেছে ইমিটেশনের গয়না!

    অনুব্রতর সময় কেমন ছিল পুজো(Anubrata Mondal)

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আশির দশকের শেষের দিকে কেষ্টর (Anubrata Mondal) হাত ধরে এই পুজো শুরু হয়। তবে, তখন খুব বেশি জাঁকজমক হত না। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুজোর আড়ম্বর ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। যদি দিন গিয়েছে, জেলা তথা রাজ্য রাজনীতিতে কেষ্টর জমি ততই শক্ত হয়েছে। আর ফি বছর মায়ের পুজোর জাঁকজমক তত বেড়েছে। ২০২০ সালে মাকে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, কানের দুল, গলার হার, হাতের আংটি, কোমর বিছে মিলিয়ে প্রায় ৩০০ ভরির বেশি সোনার গয়নায় সাজানো হয়েছিল। গত বছর গরু পাচার মামলায় অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে যায়। এবারও আর পুজোতে তিনি থাকতে পারবেন না। ফলে, পুজোর সেই আড়ম্বরও এবার অনেকটাই ম্লান। দলীয় কার্যালয়ে থাকা মা কালীর বিপুল পরিমাণ গয়নাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই গয়না দিয়েছিলেন যে ব্যবসায়ী, তাঁকেও আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    কী বলছেন তৃণমূলের নেতারা?

    তৃণমূল নেতারা বলছেন, এবার মায়ের গায়ে দু-একটা সোনার গয়না থাকবে, বাকিটা ইমিটেশন। তাঁরা স্বীকার করছেন, তাঁদের দাদা (Anubrata Mondal) থাকলে পুজোয় যে আমেজ থাকত, দাদাবিহীন পুজোয় তা নেই। তাছাড়া ওই সব সোনার গয়না দাদা নাকি নিজে হাতে মাকে পরিয়ে দিতেন। তাই নাকি এবার গয়নায় কাটছাঁট। তাঁরা এও বলছেন, সবার মনও নাকি ভালো নেই। যদিও বিরোধীরা আড়ালে বলতে ছাড়ছেন না, আসলে এবারও যদি মায়ের গায়ে ওই বিপুল সোনার গয়না ওঠে, তাহলে তা তদন্তকারী সংস্থার নজর এড়াবে না। সেই গয়নারও খোঁজখবর শুরু হয়ে যাবে। আরও জোরদার হবে প্রভাবশালী তত্ত্ব। অগত্যা…

    বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় একটি সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছেন, এবার মা কালীকে তাঁরা প্রায় ৭০ ভরি সোনার গয়না পরিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: শুধুই কি গয়না কিনেছেন? অনুব্রতর দেহরক্ষীর সম্পত্তিতে বিস্মিত বিচারক

    Anubrata Mondal: শুধুই কি গয়না কিনেছেন? অনুব্রতর দেহরক্ষীর সম্পত্তিতে বিস্মিত বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নিলেন গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। বুধবার আদালতে মূলত সায়গল হোসেনের সোনা-রূপোর গয়না সংক্রান্ত বিষয়েই শুনানি হয়।

    স্ত্রীর বেতনের টাকাতেই গয়না, দাবি সায়গলের আইনজীবীর

    সায়গল ও তাঁর পরিবারের কাছ থেকে যে সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই, তার মূল্য ৩৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৯ টাকা। সায়গলের (Anubrata Mondal) বাজেয়াপ্ত হওয়া গয়নার মূল্য সাড়ে ৩৬ লক্ষের বেশি, একথা তাঁকে বলেন বিচারক। এই প্রসঙ্গে সায়গলের আইনজীবী আদালতে বলেন, সায়গলের স্ত্রী ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষিকার চাকরি পান। ওই বেতন থেকেই তিনি সোনার গয়না কিনেছেন। তখন বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, এই কয়েক বছরে কি সে ৩৬ লক্ষের বেশি বেতন পেয়েছে? বিচারক এও বলেন, খাওয়া দাওয়া বা অন্যান্য খরচ না করে কেবল গয়নাই কিনেছেন? যদিও পুরনো সোনা ও রূপোর গয়না ফেরত দেওয়ার আদেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্ত্তী। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯০ হাজার টাকা।

    জামিন চাইলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)

    অন্যদিকে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) আইনজীবী আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেননি। কিন্তু ভার্চুয়াল শুনানিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রতর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। তখন অনুব্রত বলেন, আমি হাত-পায়ে ব্যালেন্স পাচ্ছি না। হাতে পায়ে যন্ত্রণা। শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। হাই সুগার, এমনকী আমার ৯ মাস হয়ে গেল। আমাকে জামিন দিন। উত্তরে বিচারক বলেন, আপনার কেস তো উচ্চ আদালতে আছে। সেখানে আপনার আইনজীবীকে জামিনের জন্য আবেদন করতে বলুন। তারপর এখানে আবেদন করুন। যদিও আদালতে অনুব্রত এবং সায়গলের জামিনের জন্য কোনও আইনজীবী আবেদন করেননি। যেহেতু জামিনের জন্য আবেদন করেননি, সেই কারণে সিবিআইয়ের আইনজীবীর পক্ষ থেকে কোনও বিরোধিতা করা হয়নি। অবশেষে দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রত মণ্ডল এবং সায়গল হোসেনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ৩০ শে জুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share