Tag: gold shop

gold shop

  • Howrah: রানিগঞ্জের পর এবার ডোমজুড়ে বন্দুক দেখিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতি!

    Howrah: রানিগঞ্জের পর এবার ডোমজুড়ে বন্দুক দেখিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানিগঞ্জের পর এবার হাওড়ার ডোমজুড়ে (Howrah) সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ চার দুষ্কৃতী প্রথমে সোনার দোকানে ঢোকে। এরপর বন্দুকের কুঁদো দিয়ে মারধর করে দোকানের কর্মচারীদের। ঠিক তার পরে পরেই সকলকে বেঁধে দোকানে চলে দেদার লুটপাট। ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ডাকাতির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    দোকানের কর্মচারীর বক্তব্য (Howrah)

    হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়ের এই সোনার দোকানের কর্মী শ্রেয়া সামন্ত বলেন, “প্রথমে ওরা দুজন দোকানের ভিতরে ঢুকেছিল। তখন আমি গয়না দেখাচ্ছিলাম। এরপর আরও দুজন দোকানে ঢোকে। ঠিক তারপরেই আচমকা হামলা শুরু হয়ে যায়। চারজনের হাতেই ছিল পিস্তল। ক্রেতা হিসাবে ঢুকে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায়। মুখে বলছিল, চুপ করে থাক, নইলে মেরে দেবো। যা যা প্রদর্শনীর জন্য গয়না রাখা হয়েছিল সব তুলে নিয়ে গিয়েছে। দাদা প্রতিবাদ করতে গেলে ব্যাপক মারধর করে। এমনকী মারে তাঁর রক্ত ঝরতে শুরু করে। সেই মুহূর্তে আমরা সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।”

    পুলিশের ভূমিকা

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে (Howrah) পুলিশ এসে পৌঁছায়। তবে ঠিক কত টাকার সোনা ছিল দোকানে, তা এখনও হিসাব করা যায়নি। ইতিমধ্যে এই ডাকাতদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং করা হয়েছে। গ্রেফতার করতে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনায় আশেপাশের মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এমনকী অনেকেই বলছেন, আইনের শাসন এবং সামজিক নিরপাত্তা-সুরক্ষা বলে কিছুই নেই রাজ্যে।

    আরও পড়ুন: বাগদায় উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই দেওয়াল লিখন শুরু বিজেপির, জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী

    আগেও হয়েছে ডাকাতি

    গত রবিবার রানিগঞ্জের একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সাতজন ডাকাত মিলে অস্ত্র দেখিয়ে দোকানের মালপত্র লুট করেছিল। কিন্তু লুট করে ফেরার পথে এক পুলিশের আধিকারিকের সামনে পড়ে যায় ডাকাতেরা। পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত হয় এক ডাকাত। বাকিরা দ্রুত পালাতে সক্ষম হয়। ইতিমধ্যে ২ জন ধরা পড়েছে। বাকীদের তল্লাশি চলছে। উল্লেখ্য এই ভাবেই মালদা, রানাঘাট এবং পুরুলিয়াতে আগেও সোনার দোকানে ডাকাতি হয়েছিল। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। আজ হাওড়ায় (Howrah) ফের হয় ডাকাতি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে সর্বস্ব লুট করল দুষ্কৃতীরা, পুলিশ কী করছে?

    Malda: স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে সর্বস্ব লুট করল দুষ্কৃতীরা, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাটে সোনার দোকানে ডাকাতি করার ঘটনা সকলের জানা। পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্যে গুলি বিনিময় হয়েছিল দুষ্কৃতীদের। এছাড়া বারাকপুর, খড়্গপুর সহ একাধিক জায়গায় সোনার দোকান হানা দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রতিটি ঘটনায় দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা গেলেও অপরাধে লাগাম টানা যাচ্ছে না। এবার মালদায় (Malda) এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়েন। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানের এক ব্যবসায়ীর থেকে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না লুট করে পালায় দুষ্কৃতীরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    জানা গিয়েছে, মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিঝট কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় কমল ঠাকুর নামে এক সোনার ব্যবসায়ীর থেকে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। কমলবাবুর দোকান বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী তেঁতুলচকে অবস্থিত। মঙ্গলবার নিজের সোনার দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ছিনতাইয়ের শিকার হন। ছিনতাইকারীরা দলে তিনজন ছিল বলে জানান ওই ব্যবসায়ী। গোটা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন কমল ঠাকুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আড়াই ভরি সোনা, ৩০ ভরি রূপো এবং নগর ৩০ হাজার টাকা।

    ব্যবসায়ী কী বললেন?

    ব্যবসায়ী  কমল ঠাকুর বলেন, “রোজের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি আসছিলাম। তখনই আমার পথ আটকায় বাইক নিয়ে আসা দুষ্কৃতীরা। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মাথায় বন্দুক ধরে যা ছিল সব নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশকে জানানো হয়েছে গোটা বিষয়টা। এখন দেখা যাক কী হয়।” প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর মালদার চাঁচল থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে একটি বড় সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। প্রচুর গয়না লুট করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তদন্তে নামে সিআইডি। এরপর হবিবপুরেও একটি গয়নার দোকানে ডাকাতি হয়। সেই ঘটনার পর তালিকায় যোগ হল এবার হরিশচন্দ্রপুরের নাম। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: রানাঘাট সেনকো গোল্ডে ডাকাতি, চার দুষ্কৃতীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা

    Dacoits: রানাঘাট সেনকো গোল্ডে ডাকাতি, চার দুষ্কৃতীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনে দুপুরে নদিয়া রানাঘাটে সেনকো গোল্ড এর শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনার দুই মাস পর অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করল আদালত। বৃহস্পতিবার রানাঘাট মহকুমা আদালতের বিচারপতি চার অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। অনাদায়ে আরও একমাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Dacoits)

    আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই মাস আগে বিকাল তিনটে নাগাদ কয়েকজনের ডাকাত (Dacoits) আচমকা সেনকো গোল্ড এর শোরুমে হানা দেয়। রিভলভার দেখিয়ে লুটপাট করতে থাকে গয়না। কিছুক্ষণের পরেই খবর পৌঁছায় রানাঘাট থানায়। রানাঘাট থানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপরই শুরু হয় প্রকাশ্যে ওই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াই। দিনের বেলায় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময়ের দৃশ্য সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে দেখেছিলেন রাজ্যবাসী। পুলিশের গুলিতে জখম হয় এক দুষ্কৃতী। বাকিরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। সোনার দোকান থেকে কয়েক কোটি টাকার গয়না হাতিয়ে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, এরপরই পুলিশ জখম ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীকালে পুলিশ তদন্তে নেমে আরও চারজনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তারা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। অভিযুক্তদের নাম নন্দন কুমার যাদব, রাজকুমার পাশওয়ান, ছোট্ট পাশওয়ান এবং রিক্কি পাসওয়ান। দীর্ঘ দুই মাস ধরে বিচার চলতে থাকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ২৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়। এই ঘটনায় বুধবার বিচারপতি অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন। বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারক ওই চার অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেন।

    আসামীপক্ষের আইনজীবী কী বললেন?

    এ বিষয়ে আসামীপক্ষের আইনজীবী বাসুদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, এর আগে আমরা দেখেছিলাম চার্জশিটে মৃত ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়েছিল। আমরা বেশকিছু বিষয় নিয়ে আসামীর হয়ে আদালতে প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু, এদিন আদালত তাদের বিরুদ্ধে এই সাজা ঘোষণা করেছে। আগামী দিনে আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাব কিনা সেটা পরবর্তীকালে আসামীপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: বারাকপুর, রানাঘাটের পর মালদা! ফের টার্গেট সোনার দোকান, ৫ মিনিটে সর্বস্ব লুট

    Dacoits: বারাকপুর, রানাঘাটের পর মালদা! ফের টার্গেট সোনার দোকান, ৫ মিনিটে সর্বস্ব লুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর, রানাঘাট, খড়্গপুরে ডাকাতির (Dacoits) পর আবারও টার্গেট সেই সোনার দোকান। এবার দুষ্কৃতীরা হানা দিল মালদার চাঁচলে। সোনার দোকানে ঢুকে পাঁচ মিনিট ৩ সেকেন্ডের মধ্যে সব কিছু লুট করে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নানা জায়গায় ডাকাতদলের খোঁজ শুরু হয়েছে। তবে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তাদের কোনও সন্ধান মেলেনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dacoits)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালদার চাঁচলে সোনার গয়নার দোকানের সামনে দুটি বাইক এসে দাঁড়ায়। প্রত্যেকের মাথায় হয় হেলমেট নয়তো হনুমান টুপি ছিল। প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে দোকানে হুড়মুড়িয়ে ঢোকে। সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছে, সময় তখন সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪৭ মিনিট। পাঁচ ডাকাত দোকানের ভিতরেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ক্যাশ মেমো ছুড়ে ফেলছে। কখনও গয়নার বাক্স, কখনও হাতে থাকা বন্দুকের বাঁট দিয়ে দোকানের কর্মচারীদের মারধর করছে। কেউ সামান্য বাধা দিলেই চলছে মার। তার মধ্যে এক ডাকাতকে দেখা যায় গয়নার শো-কেসে হামাগুড়ি দিয়ে উঠে যেতে। একের পর এক গয়নার বাক্স পেড়ে আনে সে। আর এক জন সেগুলো ঝটপট বাজারের ব্যাগে ঢোকাতে শুরু করে। স্থানীয় লাল্টু মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যবসায়ী বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা গুলিও ছোড়ে। পরে, আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল (Dacoits)। ইতিমধ্যে সিসিটিভি দেখে ডাকাতদলকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তবে তাঁদের মুখ হেলমেট আর হনুমান টুপিতে ঢাকা থাকায় অসুবিধায় পড়েছেন তদন্তকারীরা।

    স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কী বললেন?

    রাজ্য জুড়ে বার বার ডাকাতির (Dacoits) ঘটনা ঘটলেও পুলিশ তাতে লাগাম টানতে পারছে না। আর পুলিশের উদাসীনতার জন্যই বার বার ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। সোনার দোকানের কাছেই থানা। তারপরই ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে যেভাবে সোনার দোকানে লুট করে পালাল, তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এমন ডাকাতির ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, পুলিশের কড়া নজরদারি থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেঁধে রেখে পূর্ব মেদিনীপুরে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি

    Dacoits: সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেঁধে রেখে পূর্ব মেদিনীপুরে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়া, রানাঘাট এবং খড়্গপুরের পর ফের সোনার দোকানে ডাকাতি। এবার সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেঁধে রেখে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি (Dacoits)। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরের দিবাকরপুরে। দিনভর তল্লাশি করেও পুলিশ দুষ্কৃতীদের নাগাল পায়নি। ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাঁরা বাজারে নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে। ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে তল্লাশি চলছে।’

    ঠিক কী অভিযোগ? (Dacoits)

    রাত তিনটে নাগাদ চণ্ডীপুরের দিবাকরপুরে মা তারা জুয়েলার্স নামে একটি সোনার দোকানে ছ-সাত জন দুষ্কৃতী (Dacoits) হানা দেয়। দোকানের শাটার কেটে ভিতরে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। সেই সময় এলাকায় ডিউটি করছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি দুষ্কৃতীদের গতিবিধি দেখে বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে বেঁধে রাখে। তারপর দুষ্কৃতীরা ওই সোনার দোকানে ডাকাতি করে। অবাধে লুটপাট চালায়। দুষ্কৃতীদের মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। তাই তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। দোকান থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চণ্ডীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। রবিবার সকাল হতেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দোকানের মালিক। পুলিশকে তিনি দোকান থেকে লুট হওয়া টাকা ও সোনার গয়নার বিবরণ জানিয়েছেন।

    স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কী বক্তব্য?

    ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সিভিক থাকার পরও ডাকাতির (Dacoits) ঘটনা ঘটল। ফলে, দুষ্কৃতীরা সব কিছু জেনেই ডাকাতি করতে এসেছিল। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে এই এলাকায় এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে। এবার থেকে আর শুধু সিভিক নয়, বাজারে রাতে উপযুক্ত পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Robbery: রানাঘাটে সেনকো গোল্ড-এর শো-রুমে ডাকাতিকাণ্ডে বিহারের গ্যাং জড়িত, ধৃত ৫

    Robbery: রানাঘাটে সেনকো গোল্ড-এর শো-রুমে ডাকাতিকাণ্ডে বিহারের গ্যাং জড়িত, ধৃত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাটে সেনকো গোল্ডে ডাকাতির (Robbery) ঘটনায় বিহারের গ্যাংয়ের যোগ পেল পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোনার দোকানে ডাকাতি করার আগে রেইকি করেছিল দুষ্কৃতীরা। ডাকাতি করার পর কোন রাস্তা ধরে পালাবে তার রুটম্যাপও তারা তৈরি করে নিয়েছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। চেনা ছকে ডাকাতি করে যাওয়ার পথেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় চারজন। পরে, আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে, পুরুলিয়া ডাকাতিকাণ্ডে ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

    বিহার থেকে দুষ্কৃতীরা ডাকাতি (Robbery) করতে কবে এসেছিল?

    এক মাস ধরে কল্যাণীতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতো রানাঘাটের সোনার দোকানে ডাকাতি (Robbery) করা দুষ্কৃতীরা। নদিয়ার কল্যাণী থানার বি ব্লকের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল তারা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে এসেছে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিবেশীরা বলছেন, প্রায় একমাস আগে তারা এসেছিল। দুটো ঘর ভাড়া নেয়। কিন্তু, কী কাজ করতো তা আমরা কেউ জানতাম না। তারা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতো, আসা-যাওয়া করতো এবং দুটি বাইকও ছিল তাদের। কিন্তু, রানাঘাটে ডাকাতির ঘটনার পরেই এখন কল্যাণীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা রয়েছেন রীতিমতো আতঙ্কে। তবে দুষ্কৃতীদের ভাড়া নেওয়া ঘর দুটি সিল করেছে পুলিশ।

    ডাকাতি নিয়ে কী বললেন মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি?

    এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি রশিদ মুনির খান বলেন, মূলত এই ডাকাতির (Robbery) ঘটনায় মোট আটজনের একটি টিম ছিল। প্রত্যেকে বিহারের বাসিন্দা। স্থানীয় একজন বিহারী প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়। তারপর এই দুষ্কৃতী টিমকে বিহার থেকে ডেকে আনে। মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ তারা ক্রেতা সেজে শোরুমে ঢোকে। তাদের প্রত্যেকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। খবর পেয়ে কুড়ি মিনিটের মধ্যে আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ওরা গুলি ছোড়ে। তাদেরকে তাড়া করে আমাদের পুলিশও পাল্টা ফায়ারিং করা শুরু করে। এরপর দুইজনের পায়ে গুলি লাগে। তাদের কাছ থেকে মোট চারটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এক কোটি টাকা সোনার গয়না, নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা, কিছু অবৈধ বাইকের নম্বর প্লেট এবং আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ভর সন্ধ্যায় সোনার দোকানে ডাকাতি, চলল বোমা-গুলি! আতঙ্ক এলাকায়

    Malda: ভর সন্ধ্যায় সোনার দোকানে ডাকাতি, চলল বোমা-গুলি! আতঙ্ক এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার মালতীপুর (Malda) দুর্গা মন্দিরের পাশে এক সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি। আটজনের ডাকাতদল ওই সোনার দোকানে সামনে এসে বোমা ফাটায়, গুলিও ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মালিক সহ মোট তিনজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকানের মালিকের নাম গৌতম সেন। বাড়ি চাঁচলে। মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এই ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কী ভাবে ঘটনা ঘটেছে (Malda)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর সন্ধ্যায় আটজনের ডাকাতদল চারটি বাইক নিয়ে ওই সোনার দোকানের সামনে হাজির হয়। ডাকাতি করার আগে প্রথমে কয়েকটি বোমা ফাটায়। তারপর দোকান মালিককে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। গুলি লাগা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন দোকানের মালিক, একজন কর্মচারী এবং একজন ক্রেতা। এরপর দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকাপয়সা ও দোকানের সোনা, রুপোর অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয় ওই ডাকাতদল। গুলির ঘায়ে জখমদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য চাঁচল (Malda) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    ডাকাতদল ঠিক কত টাকা ও কত পরিমাণ সোনা, রুপোর অলঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানায়। খবর পেয়ে চাঁচল থানার (Malda) আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুণ্ডুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। আইসি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। চারদিকে নাকা চেকিং চলছে। খুব শীঘ্রই সোনার দোকানে ডাকাতি কাণ্ডে অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হবে বলে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে।

    আতঙ্কিত এলাকার মানুষ

    দোকানে ডাকাতির ঘটনাটি চাউর হতেই মালতীপুরে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। ভর সন্ধ্যায় ডাকাতির ঘটনায় চরম আতঙ্কিত মালতীপুরের (Malda) বাসিন্দারা। মালতীপুরের বাসিন্দা তথা কংগ্রেস নেতা আদিত্যনারায়ণ দাস বলেন, ঘটনার পর এলাকার মানুষ উদ্বিগ্ন। মালতীপুর জনবহুল এলাকা। জনগণের চোখের সামনেই ডাকাতদল প্রথমে বোমা ফাটায় এবং এরপর গুলি চালিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে। আর ঠিক এরপরেই ওই দোকানটি লুট করে চম্পট দিল ডাকাতদল। ফলে এই ঘটনায় দোকান ব্যবসায়ীরা সকলেই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাই এলাকায় জোরদার পুলিশি নিরাপত্তার দাবি করেছেন বাসিন্দারা।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: অধ্যাপিকা খুনে সাজাপ্রাপ্ত আসিফই বারাকপুর খুনকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?

    Barrackpore: অধ্যাপিকা খুনে সাজাপ্রাপ্ত আসিফই বারাকপুর খুনকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরসন্ধ্যায় বারাকপুরের (Barrackpore) আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ঢুকে মালিকের ছেলেকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম আশিস কুমার ওরফে আসিফ নামে একজন পাটনায় এক অধ্যাপিকা সহ দুজনকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল। সেই দুষ্কৃতী জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বারাকপুরে সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে। ঘটনার পর তার নাগাল পায়নি পুলিশ।

    অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে?

    ২০০৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পাটনার অভিজাত পাটলিপুত্র কলোনিতে এক আইএএস অফিসার টুকটুক ঘোষ এর বাংলোয় ডাকাতি করতে আসে আশিস কুমার সহ কয়েকজন দুষ্কৃতী। বাধা দিতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন আইএএস অফিসারের বোন পাপিয়া ঘোষ। তিনি দিল্লি ও পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপিকা ছিলেন। সেই সঙ্গে খুন হন তাঁর বৃদ্ধা পরিচারিকা মালতি দেবী। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে ৩৪ বার নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল ৫৩ বছরের পাপিয়াকে। তাঁর বাবা পাটনার আইএএস অফিসার উজ্জ্বল কুমার ঘোষও খুন হন ১৯৫৭ সালে। তার ঠিক ৫০ বছর পর নৃশংসতায় খুন হন তাঁর মেয়ে। বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ কুমার। তাঁর শিক্ষা দফতরের কাজে অন্যতম সহায়িকা ছিলেন পাপিয়া। তাঁর দিদি টুকটুক ঘোষ তখন ছিলেন লোকসভার তৎকালীন স্পিকার প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ সচিব। দেশের শিক্ষামহলে শোরগোল ফেলে দেওয়া সেই খুনে ধরা পড়েছিল আশিস কুমার নামের এক দুষ্কৃতী। ২০০৮ সালে সেই খুনে সাজা হয় আশিসের। সাজা শেষ করে গত বছরই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। সেই আশিসই নাম পাল্টে আসিফ নাম নিয়ে অপরাধ জগতে পা দেয়। বারাকপুরের (Barrackpore) স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে খুনের ঘটনায় এই আশিসের ওরফে আসিফের যোগ উঠে এসেছে তদন্তকারী গোয়েন্দাদের হাতে। আশিস ওরফে আসিফই বারাকপুরের (Barrackpore) ঘটনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এমনটাই উঠে এসেছে পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাদের হাতে।

    অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ

    পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ মে বারাকপুরের (Barrackpore) আনন্দপুরীর সোনার দোকানে যে চারজন দুষ্কৃতী ঢুকেছিল, তারমধ্যে শফি খান, জামশেদ আনসারিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আসিফ সহ দুজন পলাতক। সূত্র অনুযায়ী, আসিফের মোবাইল টাওয়ারের শেষ লোকেশন ওড়িশায় পাওয়া গিয়েছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শফি ২২ লক্ষ টাকা ডাকাতির মামলায় জেল খেটেছিল। পরে, ছাড়া পেয়ে পরিবার নিয়ে সে ঝাড়খণ্ডে চলে যায়। কিন্তু সেখান থেকে চলতি বছরের প্রথম দিকে সে রহড়ার পাতুলিয়ার একটি অভিজাত আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করে। ঘটনায় আর এক ধৃত শফির মামা জামশেদ আনসারিও একটি অপহরণের ঘটনায় বিহারের ভাগলপুর জেলে বন্দি ছিল। সেখানে আসিফের সঙ্গে তার আলাপ। জেল  থেকে বেরিয়ে ফের অপরাধ জগতে পা রাখে তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gold Shop: সোনার দোকানের ভিতরে থাকা ডাকাত ধরতে পুলিশের মাইকিং, জেলা জুড়ে শোরগোল

    Gold Shop: সোনার দোকানের ভিতরে থাকা ডাকাত ধরতে পুলিশের মাইকিং, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনার দোকানের (Gold Shop) সামনেই চলছে  পুলিশি মাইকিং। আর দোকানের ভিতরে রয়েছে একদল ডাকাত। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে আগ্নেয়াস্ত্র বাইরে ফেলে আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে রয়েছেন কয়েকশো মানুষ। বৃহস্পতিবার রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন রামপুরহাটের নিউটাউন এলাকার মানুষ। দেখে মনে হবে সিনেমার কোনও শুটিং চলছে। কিন্তু, বাস্তবে একদল ডাকাতকে হাতনাতে ধরতে পুলিশ এভাবে দোকানের বাইরে মাইকিং করার দৃশ্য এই এলাকার মানুষ আগে কখনও দেখেননি। অন্যদিকে,  ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ। ঘটনায় দুটি মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচটি গুলি ও বেশ কিছু সোনার ও রুপোর গহনা উদ্ধার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এদিন সন্ধে প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ ডাকাতের দল ওই সোনার দোকানে (Gold Shop) ঢোকে। ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাটের নিউটাউনের কাছে অবস্থিত ওই সোনার দোকানে (Gold Shop) হানা দেয় চার–পাঁচ জনের একটি ডাকাত দল। সেই সময় দোকান মালিকের তৎপরতায় এলাকার বাসিন্দারা ঘটনস্থলে পৌঁছে যায়। কিন্তু, ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা  সোনার দোকানের ভিতরে ঢুকে গিয়ে দোকান ভিতর থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর এলাকাবাসীরা দোকানের সামনে পৌঁছে দোকানটিকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেন এবং খবর দেওয়া হয় পুলিশে। টানটান উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় রামপুরহাটের ওই সোনার দোকান চত্বরে। খবর পেয়ে পুলিশের নাগাড়ে মাইকিংয়ের পরেও দোকান থেকে দুষ্কৃতীরা বের হয়নি। পরে,  ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে ডাকাত দলের গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করে পুলিশ। পুলিশ দোকান এবং বাড়ির ভিতরে ঢোকার প্রস্তুতি নেয়। ডাকাত দলের উদ্দেশে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। তারপর সবকিছু চুপচাপ হয়ে যায়। দোকানের (Gold Shop)  মালিক বেরিয়ে এসে জানান, দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    রামপুরহাটের বুকে এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। পুলিশ অনেক চেষ্টা করেছে। তাতে সন্দেহ নেই। তবে, এত চেষ্টা করার পরও যদি দুষ্কৃতীদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা সম্ভব হত, তাহলে আরও ভাল লাগত। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

    এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন জেলা পুলিশের এক আধিকারিক?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, একটি বাড়ির নীচেরতলায় সোনার দোকানটি (Gold Shop) রয়েছে। আর দোকানের পিছনে ফাঁকা মাঠ। দুষ্কৃতীরা কোনওভাবে দোকানের পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়। পরে, তারা আম গাছে উঠে পাঁচিল টপকে ফাঁক মাঠ দিয়ে পালিয়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rainganj: ফিল্মি কায়দায় দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানে সর্বস্ব লুঠ করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    Rainganj: ফিল্মি কায়দায় দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানে সর্বস্ব লুঠ করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে ফিল্মি কায়দায় দিনে দুপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতি। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার  রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের এনএস রোডের একটি সোনার দোকানে। দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এভাবে ডাকাতির ঘটনায় শহরের (Raiganj) ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনার পর পরই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। দোকানের মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কী ভাবে সোনার দোকানে ঢুকল দুষ্কৃতীরা?

    নববর্ষের জন্য সোনার দোকানে অলংকারে ঠাসা ছিল। এদিন দোকান খোলার পর পরই দুজন ক্রেতা সেজে ভিতরে ঢোকে। কিছুক্ষণ পর আরও তিনজন আসে। পরে, আগ্নেয়াস্ত্র বের করে স্বমূর্তি ধরে তারা লুঠপাট চালায়। দোকানের কর্মী জীবেশ ভৌমিক বলেন, প্রথমে দুজন ক্রেতার মতোই দোকানে আসে। ফলে, আমরা অলংকার দেখানোর জন্য তাদের জিজ্ঞাসা করি। সঙ্গে সঙ্গে  আগ্নেয়াস্ত্র বের করে আমাদের সবাইকে এক জায়গায় আসতে বলে। আমাদের কাছে থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়। তাদের সহযোগিতা করতে বলে। আমরা যদি তা না করি তবে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।  দুজনে এসব কথা বলতে বলতে আরও তিনজন ভিতরে ঢোকে। সকলেই হিন্দিতে কথা বলছিল। আর যার কাছে মোবাইল পায়, কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেয়। আমাদের সকলের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ওরা দোকানের জিনিসপত্র লুঠ করতে থাকে। আমাদের দোতলা নিয়ে গিয়ে ক্যান্টিনের মধ্যে আটকে রেখে ওরা চলে যায়। আমরা ৪৫ মিনিট সেখানে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকি। এরমধ্যে তারা সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দেয়।  ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। দোকানের কর্মীদের সঙ্গে তারা কথা বলে।

    দিনের বেলায় সোনার দোকানে ডাকাতি নিয়ে কী বললেন চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক?

     উত্তর দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শংকর কুন্ডু বলেন, শহরে (Raiganj) এই ধরনের ঘটনা এর আগে কোনওদিন ঘটেনি। আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের কাছে খুবই আতঙ্কের। দিনের বেলায় সোনার দোকানে সবকিছু লুঠ করে নিয়ে পালাল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share