Tag: good governance

good governance

  • GST Reforms: মোদি সরকারের জিএসটি সংস্কার, লাভবান হবে মধ্যবিত্ত, কোন কোন পণ্যের দাম কমতে পারে?

    GST Reforms: মোদি সরকারের জিএসটি সংস্কার, লাভবান হবে মধ্যবিত্ত, কোন কোন পণ্যের দাম কমতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আগেই জিএসটি সংস্কারের ইঙ্গিত মিলেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এক্ষত্রে উল্লেখ করা দরকার বর্তমানে জিএসটি-র (GST Reforms) পাঁচটি স্তর রয়েছে। এগুলি হল ০, ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। সূত্রের খবর, এই পাঁচ স্তর প্রধানত দু’টিতে কমিয়ে আনা হতে পারে। থাকতে পারে কেবল ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ জিএসটি। জানা যাচ্ছে, সিগারেট, পানমশলার মতো ক্ষতিকর পণ্যে ৪০ শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য হতে পারে। এই একই জিএসটি লাগু হতে পারে অনলাইন গেমিং-এর ক্ষেত্রেও। এই পদক্ষেপ সরকারের তরফে কর হারগুলিতে স্থিতিশীলতা আনতে এবং ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়েছে।বর্তমানে ১০ লক্ষেরও বেশি পণ্য জিএসটি-র আওতায় রয়েছে। নতুন এই জিএসটি সংস্কার সাধারণ মানুষের জন্য সরাসরি উপকার বয়ে আনবে।

    কোন কোন পণ্যের দাম কমতে পারে (GST Reforms)?

    বর্তমানে ছোট গাড়ি ও ২৫০ সিসি পর্যন্ত দু’চাকার গাড়ির উপর ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি বসে। নতুন প্রস্তাবে তা কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হতে পারে। এছাড়াও, এয়ার কন্ডিশনার, ৩২ ইঞ্চি পর্যন্ত টেলিভিশন, ডিশওয়াশার প্রভৃতি পণ্যের দামও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সিমেন্টের উপরও কর কমিয়ে ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনা যেতে পারে, যেখানে বর্তমানে ২৮ শতাংশ কর আরোপিত হয়। এর ফলে নির্মাণ খরচ হ্রাস পেতে পারে। স্বাস্থ্য ও জীবন বিমার প্রিমিয়ামের ওপরও জিএসটি (GST Reforms) হ্রাসের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে তা ৫ শতাংশ করা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে কর হার শূন্য করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

    ১২ শতাংশ জিএসটি নামবে ৫ শতাংশে, ২৮ শতাংশ নামবে ১৮ শতাংশে

    বর্তমানে যেসব পণ্যে ১২ শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য, সেগুলির ৯৯ শতাংশই ৫ শতাংশ করের আওতায় আসতে পারে। আর যেসব পণ্যে বর্তমানে ২৮ শতাংশ কর বসে, তার ৯০ শতাংশেই করহার কমে ১৮ শতাংশে নামবে। এর ফলে, একদিকে যেমন জিনিসপত্রের দাম কমবে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের কাছে কর কাঠামো আরও সহজবোধ্য হয়ে উঠবে। যেমন, সিমেন্ট, এসি, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনের মতো প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্য, যেগুলির উপর এখন ২৮ শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য, সেগুলি ১৮ শতাংশ করস্ল্যাবে স্থান পাবে। অর্থাৎ, এই পণ্যগুলির দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যেতে পারে (GST Reforms)।

    উদহরণস্বরূপ বলা যায়-

    • ৩৫০ টাকার সিমেন্টের ব্যাগ ২৮ টাকা সস্তা হতে পারে
    • ৮০ হাজার টাকার টিভি ৮ হাজার টাকা কমে যেতে পারে
    • ৪০ হাজার টাকার ফ্রিজ ৪ হাজার টাকা কমবে
    • প্রতি কেজি ১০০০ টাকার মিষ্টির দাম ৭০ টাকা কমে যেতে পারে

    ৭ শতাংশ পর্যন্ত সস্তা হয়ে যাবে এই সমস্ত পণ্য

    ড্রাই ফ্রুট, ব্র্যান্ডেড নোনতা খাবার, টুথ পাউডার, টুথপেস্ট, সাবান, চুলের তেল, সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক, প্রক্রিয়াজাত খাবার, হিমায়িত শাকসবজি, কনডেন্সড মিল্ক, কিছু মোবাইল ও কম্পিউটার, সেলাই মেশিন, প্রেসার কুকার, গিজার, নন-ইলেকট্রিক ওয়াটার ফিল্টার, ইলেকট্রিক ইস্ত্রি, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, এক হাজার টাকার উপরের তৈরি পোশাক, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার জুতো, বেশিরভাগ টিকা, এইচআইভি/টিবি ডায়াগনস্টিক কিট, সাইকেল, বাসনপত্র, জ্যামিতি বক্স, মানচিত্র, গ্লোব, গ্লাসড টাইলস, প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড ভবন, ভেন্ডিং মেশিন, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যানবাহন, কৃষিযন্ত্রপাতি, সোলার ওয়াটার হিটার ইত্যাদির উপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হবে। ফলে, এই সব পণ্যও গড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সস্তা হয়ে যাবে।

    ‘ক্ষতিকর’ বিভাগের পণ্য, সামাজিক নীতি মেনেই করা হয়েছে

    কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ‘ক্ষতিকর’ বিভাগে কোন কোন পণ্য থাকবে, তা দেশের সামাজিক নীতির কথা চিন্তা করে স্থির করেছে সরকার। সূত্রের খবর, অনলাইন গেমিং ছাড়াও এই বিভাগে রাখা হতে পারে পানমশলা, সিগারেট, বিলাসবহুল গাড়ি, এসইউভি-কে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, বর্তমানে অনলাইন গেম থেকে সরকার ২৮ শতাংশ শুল্ক নেয়, যা সর্বোচ্চ। অর্থাৎ নয়া নিয়ম কার্যকর হলে, অনলাইন গেমিংয়ের মাধ্যমে যাঁরা অর্থ রোজগার করেন, তাঁদের ৪০ শতাংশ কর দিতে হতে পারে।

    জিএসটি সংস্কার নিয়ে কী বলছেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, জিএসটি কাঠামো সংস্কারের উদ্দেশ্যে গত ছ’মাস ধরেই কাজ করে চলেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। জানা যাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে নতুন জিএসটি কাঠামো চালু করে দিতে পারে মোদি সরকার। নতুন নিয়ম চালু হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিস সস্তা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন (Good Governance)। তিনি গত শুক্রবার লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেছেন, ‘‘এ বারের দীপাবলি আমি আপনাদের জন্য দ্বিগুণ আনন্দের করে দিচ্ছি। এই দীপাবলিতে দেশবাসী একটি বড় উপহার পাবেন। আমরা নতুন প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার আনছি। এর ফলে সারা দেশে করের বোঝা কমবে। দীপাবলির আগে এটাই হবে উপহার (Good Governance)।” নতুন জিএসটি কাঠামোর খসড়া ইতিমধ্যে রাজ্যগুলির কাছেও পাঠিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। রাজ্য সরকারগুলিকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

  • Ahilya Bai: রানি অহল্যা বাঈয়ের শাসন ব্যবস্থা, আজও যে কোনও সরকারের কাছে মডেল

    Ahilya Bai: রানি অহল্যা বাঈয়ের শাসন ব্যবস্থা, আজও যে কোনও সরকারের কাছে মডেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী অহল্যা বাঈ (Ahilya Bai) হোলকারের ৩০০তম জন্ম বার্ষিকী চলছে। এই আবহে সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের সরকারের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠান করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল অহল্যা বাঈয়ের রাজত্বকালের সুশাসন সম্পর্কে জনগণকে জানানো। দেবী অহল্যা বাঈ-এর রাজত্বকালে রাজস্ব আদায় থেকে পঞ্চায়েতের ক্ষমতায়ন ইত্যাদি সবই দেখা যে। বর্তমানে যে কোনও সরকারের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এমন মডেল অনুসরণযোগ্য। কেমন ছিল অহল্যা বাঈ-এর আমলে তাঁর রাজ্য পরিচালনার নীতি। এ নিয়েই আমাদের প্রতিবেদনে (Good Governance)।

    রাজ্যগুলিতে দূত নিয়োগ

    এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করা হয়, তেমনই রানি অহল্যা বাঈ ভারতীয় রাজ্যগুলিতে তাঁর দূত নিয়োগ করতেন। তাঁর আমলে দূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল, ভগবন্ত রাও জগতাপ (উদয়পুর), মার্তন্দ্রাও আন্নাজি (জয়পুর), মাধব রাও লক্ষ্মণ (হায়দরাবাদ দক্ষিণ), খান্ডু জগদেব রাও (অযোধ্যা), শ্যামজি মোরেশ্বর (শিন্দে কোর্ট), অয়াজি জাখদেব (পুনে কোর্ট), বিঙ্কোজি কৃষ্ণা রাও (ভোলা), বিঙ্কোজি কৃষ্ণা রাও (বুধোয়া)। জিভাজি গিরমাজি (ভোপাল নবাব), বাপুজি আনন্দরাও (কোটা), বাহাদুর সিং (দিল্লি), বেঙ্কোজি শিবাজি (ডুঙ্গারপুর), বিনায়ক সদাশিব (প্রতাপগড়), কেশো ভিকাজি দাতার (পেশওয়া), জাস্কর মেহতা এবং দত্তরাম (মারওয়ার), বলওয়ান্তপুর গোবিন্দপুর (রামপুর) ইত্যাদি।

    যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিতে আমেরিকান কর্নেল নিয়োগ করেছিলেন অহল্যা বাঈ

    হোলকার রাজ্যের গ্রামগুলিতে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। তরবারি চালনা, বর্শা নিক্ষেপ এবং অন্যান্য যুদ্ধ কৌশল শেখানো হত। প্রতিবেশী রাজ্যগুলির আক্রমণ রুখতে অহল্যা বাঈ (Ahilya Bai) হোলকার তাঁর সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য, তিনি আমেরিকান কর্নেল জেপি বাইডকে নিয়োগ করেন। কর্নেলকে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা বেতন দিতেন তিনি।

    কর বৃদ্ধি না করেই রাজস্ব সংগ্রহ ৭৫ লক্ষ থেকে ১.২৫ কোটি করতে পেরেছিলেন তিনি

    জানা যায়,হোলকার (Ahilya Bai) রাজ্য উত্তরে রামপুরা, দক্ষিণে রাজপুতানা এবং নিমার অঞ্চলের দক্ষিণ মালভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই সমস্ত অঞ্চল থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করা হত। রাজ্যের বার্ষিক আয় ছিল ৭৫ লক্ষ টাকা। ঐতিহাসিকরা বলেন, মন্ত্রিসভা রাজ্যের ব্যয় পরিচালনার জন্য কর বৃদ্ধি করতে চাইলেও তা নাকচ করে দেন রানি। কর বৃদ্ধি না করেই রাজস্ব সংগ্রহ ১.২৫ কোটি টাকা করতে পেরেছিলেন তিনি।

    জন উন্নয়নমূলক কাজ

    পঞ্চায়েতের ক্ষমতা: সুশাসন আনতে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিকে বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

    কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করা: পঞ্চায়েতগুলি যাতে স্বৈরাচারী না হয়, সেকারণে কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে হত রাজ্যের কাছে।

    গণশুনানি: অহল্যাবাঈ সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিদিন গণ শুনানির ব্যবস্থা করতেন ।

    ব্যক্তিগতভাবেও শুনতেন মামলা: তাঁর রাজ্যের আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি কারও আপত্তি থাকলে, অহল্যাবাঈ ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের সমস্যার কথা শুনতেন।

    দেশজুড়ে মন্দির নির্মাণ ও সংস্কার

    মথুরায় বিহারি মন্দির: অহল্যা বাঈ ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরা-বৃন্দাবনে বিহারি মন্দির, চিরহরন ঘাট এবং কালিয়াদেহ ঘাট নির্মাণ করেন। হরিদ্বারে, তিনি এক কোটি টাকা ব্যয়ে হোলকার ওয়াড়া এবং ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে কুশঘাট নির্মাণ করেন।

    কাশীতে রাম মন্দির: কাশীতে, তিনি ভগবান রাম, মা সীতা, লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন এবং হনুমানের মূর্তি স্থাপন করেছিলেন।

    কাশীতে মন্দির নির্মাণ: মণিকর্ণিকা ঘাট, রামেশ্বর পঞ্চকোশী ধর্মশালা, ভগবান শিব মন্দির, দশাশ্বমেধ ঘাট, কপিল ধারা ধর্মশালা, নাগওয়া গার্ডেন, মণি কর্ণেশ্বর মন্দির, অহিলেশ্বর মন্দির এবং ঋষি অগস্ত্য কুন্ড নির্মাণ করেন।

    বিশ্বনাথ-সোমনাথ মন্দির: গুজরাটের সোমনাথ এবং বারাণসীর বিশ্বনাথ মন্দিরে আফগানিস্তান থেকে আনা চন্দন কাঠের দরজা স্থাপন করেন তিনি।

    পণ্ঢরপুরের বিঠ্ঠল মন্দির: ভগবান বিঠ্ঠলের হীরকখচিত মুকুট অহল্যা বাঈ করে দেন।

    অযোধ্যার রাম মন্দির: সরযূ নদীর দক্ষিণে শ্রী রাম মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। স্বর্গ দ্বার, সূর্য ঘাট, নাগেশ্বর মন্দির এবং ধর্মশালাও তিনি নির্মাণ করেছিলেন রামনগরীতে। অহল্যা ঘাটও নির্মাণ করেছিলেন তিনি।

    জ্যোতির্লিঙ্গ সংস্কার: উজ্জয়িনীর ভগবান মহাকালেশ্বর মন্দির সংস্কার করেছিলেন তিনি (Ahilya Bai)।

  • Modi 3.0: জুন মাসে তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি, দেশজুড়ে পদযাত্রা করবে বিজেপি

    Modi 3.0: জুন মাসে তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি, দেশজুড়ে পদযাত্রা করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় মোদি সরকারের (Modi 3.0) এক বছর পূর্তি হতে চলেছে আগামী মাসেই। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে। ২০১৯ সালে আবারও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জেতে বিজেপি। ২০২৪ সালের ৪ জুন ফলাফল প্রকাশিত হয়। তৃতীয়বারের জন্য ফের ক্ষমতায় আসে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার সামনে উড়ে যায় বিরোধী দলগুলি। ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোদি। তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বছরে অনেক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কর্মসূচি চূড়ান্ত করার জন্য বিজেপি দলীয় কর্মী এবং মন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করেছে। নরেন্দ্র মোদির জমানায় দেশে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ, এই বার্তা পৌঁছে দেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তাঁদের নিজেদের সংসদীয় এলাকায় প্রতি সপ্তাহে দুইদিন করে তাঁরা অন্তত কুড়ি কিলোমিটার পদযাত্রা করবেন।

    মোদি সরকারের (Modi 3.0) সাফল্যগাথা তুলে ধরবে বিজেপি

    এই পদযাত্রায় বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীরাও যোগ দেবেন বলে জানানো হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। ২০২৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১১ বছর পূর্ণ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi 3.0)। এই সময়ে দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য তাঁর করা একাধিক প্রকল্প তুলে ধরবেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য সম্পর্কেও জনগণকে বোঝাবেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। কীভাবে মোদির নেতৃত্বে ভারত শক্তিশালী হয়েছে এবং পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়া গিয়েছে, সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

    ৯ জুন ‘জ্ঞান ভারত মিশন’ চালু করবেন প্রধানমন্ত্রী

    একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি আগামী ৯ জুন ‘জ্ঞান ভারত মিশন’ চালু করবেন। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা এক কোটিরও বেশি পান্ডুলিপির সংরক্ষণ করা হবে ডিজিটাল মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৫৪৩টির মধ্যে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বে এনডিএ জোট যেতে ২৯৩টি আসনে। অন্যদিকে বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক জেতে ২৩৪টি আসনে। বিজেপি (BJP) একাই পায় ২৪০টি আসন। কংগ্রেস পায় ৯৯টি আসন। ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi 3.0) তৃতীয়বারের জন্য শপথ গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

  • Article 370:  ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার   

    Article 370:  ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা (Article 370)। হল তারই তিন বছর পূর্তি।  তার পর থেকে ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে ভূস্বর্গের। একদিকে উপত্যকায় যেমন কমেছে পাথর ছোড়া, জঙ্গিপনা (Terrorist Act) সহ নানা অশান্তিমূলক কাজকর্ম, তেমনি হচ্ছে উন্নয়ন (Development)। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং উপত্যকার লেফটেনেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহার (Monaj Sinha) নিরন্তর প্রচেষ্টায় নয়া রূপে সাজছে ভূস্বর্গ।

    ২০১৯ সালের ৫ তারিখে জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। তার পরেই গেল গেল রব ওঠে বিরোধী শিবিরে। তাঁদের আশঙ্কা, ফের রক্তস্নাত হবে উপত্যকা। বাড়বে জঙ্গি হানার ঘটনাও। যদিও গত তিন বছরে জম্মু-কাশ্মীরে এমন কিছুই ঘটেনি, যা নিয়ে হইচই করতে পারেন বিরোধীরা। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ইদানিং ঘটছে কাশ্মীরের কিছু জায়গায়। এখনও একেবারে বন্ধ হয়নি পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের কার্যকলাপ। সেই কারণেই ঘটছে এসব ঘটনা। গত কয়েক মাসে টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে। তার পরেও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় শান্তি নেমে এসেছে ভূস্বর্গে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবেই দেখা যাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরে ২০১৯এর আগের তুলনায় ঢের কমেছে অনুপ্রবেশের ঘটনা। বিধানসভার মর্যাদা ফেরাতে হবে নির্বাচন। শেষ হয়েছে ডিলিমিটেশনের কাজও। সেই কাজ শেষের পরে শুরু হয়েছে ভোটার লিস্টে নাম তোলার কাজও। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও। এককথায়, ভূস্বর্গের সর্বত্র স্পষ্ট সুশাসনের ছাপ।

    আরও পড়ুন : ৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকা ছাড়েননি কোনও কাশ্মীরি পণ্ডিত, জানাল সরকার

    গত ৭০ বছর ধরে কার্যত বঞ্চনার শিকার হয়েছিল উপত্যকা। এখন অবশ্য সে ছবি বদলে গিয়েছে বেবাক। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন উপত্যকার বাসিন্দারা। আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এসইএইচএটি স্কিমের সুযোগও পাচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে ফি বছর ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পাচ্ছেন কাশ্মীরবাসী।

    কেবল সরকারি সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রেই নয়, উন্নয়নের ছবি নজরে পড়ছে অন্যত্রও। ইতিমধ্যেই ১২০০ স্টার্টআপ রেজিস্টার্ড করে ফেলেছে। এর মধ্যে ফান্ডিং করে ফেলেছে ২০০। উপত্যকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়নও হয়েছে। এক লক্ষ কোটি টাকার নয়া প্রোজেক্টও অনুমোদিত হয়েছে। ২০১৯ সালের আগে ফি বছর আট থেকে ন হাজার প্রজেক্ট কমপ্লিট হত। এখন এই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজারের ওপর। যা প্রমাণ করে সরকারি কাজে গতি এসেছে, এসেছে স্বচ্ছতাও। উন্নয়নের গতি নজরে পড়ে অন্যত্রও। আগে যেখানে প্রতিদিন ছ কিলোমিটার করে রাস্তা তৈরি হত, এখন সেখানে তৈরি হয় ২০ কিলোমিটার। ব্যবসা করার জন্য দুশোরও বেশি প্রশাসনিক সংস্কার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নিরন্তর চেষ্টায় উপত্যকায় যে আক্ষরিক অর্থেই সোনা ফলেছে, তার উদাহরণ রয়েছে আরও। ইতিমধ্যেই ৫৬ হাজার কোটি লগ্নি প্রস্তাব পেয়েছে শিল্প দফতর। শিলান্যাস হয়েছে ৩৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার প্রকল্পের। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যেই হয়েছে এই শিলান্যাস। ভূস্বর্গের বাস্তুতন্ত্রের কথাও মাথায় রেখেছে প্রশাসন। সেই কারণে উপত্যকায় ব্যাপক দূষণ ছড়ায় এমন শিল্পে উৎসাহ দিচ্ছে না সরকার। এর মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট কারখানা, ইটভাটা, স্টোন ক্র্যাশার এবং আয়রণ ও স্টিল প্ল্যান্ট।

    ৩৭০ ধারা রদের পরে এভাবেই ছন্দে ফিরছে ভূস্বর্গ!

     

LinkedIn
Share