Tag: Governir Bose in Murshidabad

  • Murshidabad Unrest: ‘‘হিন্দু হওয়াটা কী অপরাধ? আমাদের বাঁচান’’, রাজ্যপালের পা ধরে প্রশ্ন জাফরাবাদের মহিলাদের

    Murshidabad Unrest: ‘‘হিন্দু হওয়াটা কী অপরাধ? আমাদের বাঁচান’’, রাজ্যপালের পা ধরে প্রশ্ন জাফরাবাদের মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু হওয়াটাই কী অপরাধ? অশান্ত মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Unrest) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে প্রশ্ন করলেন অসহায় মহিলারা। এদিন জাফরাবাদে নিহত বৃদ্ধ এবং তাঁর ছেলের বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল। বাড়়িতে রাজ্যপাল আসতেই তাঁর পা ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জাফরাবাদের সেই নিহত বৃদ্ধের স্ত্রী। কাঁদতে কাঁদতে তিনি রাজ্যপালকে বললেন, ‘‘আমার সব হারিয়েছে। আমরা ঘুমোতে পারছি না। আপনি দয়া করে কিছু করুন।’’ সব শুনে রাজ্যপাল বোসও সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। নিহতের পরিবারকে দিয়ে এলেন ‘শান্তিকক্ষ’ (পিস রুম)-এর নম্বরও।

    শান্তি ফিরিয়ে আনার বার্তা রাজ্যপালের

    এদিন জাফরাবাদে হিংসায় নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতে যান রাজ্যপাল। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ স্বজনহারাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাসও দেন বোস। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে। ফোন নম্বর দেওয়া রইল। প্রয়োজনে আপনারা সরাসরি ফোন করবেন।’’ নিহত বৃদ্ধের স্ত্রী রাজ্যপালকে জানান, তাঁরা খুবই আতঙ্কে রয়েছেন। অশান্তির সময় তাঁদের বাড়িতে লুটপাট চলেছে। তাঁদের দাবি, নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প বসানো হোক। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছেন রাজ্যপাল। সকলের অভিযোগ শোনার পর তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা যাতে সরাসরি ফোন করতে পারেন, সেই নম্বর দেওয়া হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠাই প্রধান লক্ষ্য। রাজ্য সরকারকে বলব, উপযুক্ত পদক্ষেপ করুন।’’ নিহতের বাড়িতে রাজ্যপাল যাওয়ার আগে সেখানে গিয়েছিলেন মালদার ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র।

    প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    জাফরাবাদের নিহত বৃদ্ধের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যেরাও। সব শুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। ধুলিয়ানের বেতবোনাতেও গিয়েছিলেন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানে তাঁদের পা ধরে কান্না ভেঙে পড়েছিলেন স্থানীয় মহিলাদের একাংশ। স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্পের আর্জি জানান তাঁরা। পরে কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘‘দেশবাসী ও কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের পাশে আছে। বিএসএফ আপনাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে।’’ রাজ্যপাল ধুলিয়ানেও গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই স্থানীয়দের একাংশ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের দাবি, পুলিশ রাজ্যপালকে তাঁদের কাছে আসতে দেননি। যার ফলে নিজেদের অভিযোগের কথা রাজ্যপালকে জানাতে পারেননি তাঁরা। শুক্রবারের পর শনিবারও ওয়াকফ আইন নিয়ে ঘটা হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল। তাঁকে সামনে পেয়েই স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) হিংসায় আক্রান্তরা।

LinkedIn
Share