Tag: Governor west bengal

Governor west bengal

  • Governor CV Bose: জনগণের দরজায় যাবেন রাজ্যপাল, চালু হল ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচি

    Governor CV Bose: জনগণের দরজায় যাবেন রাজ্যপাল, চালু হল ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল (Governor CV Bose) চালু করলেন ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ (Apna Bharat Jagta Bengal) কর্মসূচি। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগ নেবে রাজভবন। জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে দু’বছর পূর্ণ করবেন সিভি আনন্দ বোস। সেই উপলক্ষে একমাসব্যাপী রাজভবনের পক্ষ থেকে ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে। এনিয়ে রাজ্যপাল (Governor C V Bose) সিভি বোস বলেন, “মানুষ নিজের সমস্যার সম্পর্কে আমাকে জানাবেন। সেই কারণেই মানুষের পাশে যাচ্ছি, মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছি। আমি অন্য কারও কোনও প্রকল্পের কপি করছি না।”

    ‘‘বাংলার মানুষের কাছ থেকে আমরা অনেক ভালোবাসা পেয়েছি’’

    একইসঙ্গে রাজ্যপাল (Governor CV Bose) আরও বলেন, “আমার এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।” তিনি আরও বলেন, “শেষ দু’বছরে বাংলার মানুষের কাছ থেকে আমরা অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। আমি অনেক কিছু শিখেছি। কিন্তু দিতে পেরেছি অল্প। আমার যতটুকু করার ছিল, তার তুলনায় অল্প করেছি। এটা আমাকে আরও অনেক কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমাকে অনেক প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হওয়ার শিক্ষাও দিয়েছে।”

    ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ (Apna Bharat Jagta Bengal) কর্মসূচি –

    ১) এই কর্মসূচির মাধ্যমে ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচির অধীন রাজ্যের মোট ২৫০টি স্থান পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল (Governor CV Bose)।

    ২) রাজ্যের পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল (Governor CV Bose) এবং সেইসব এলাকার হতদরিদ্র মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাবেন তিনি।

    ৩) কর্মসূচির অধীনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কলেজ এবং স্কুল ক্যাম্পাসগুলি পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল বোস।

    ৪) এই কর্মসূচির মাধ্যমে যে কোনও জনতা বা বাসিন্দা চাইলেই রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। রাজ্যপাল তাঁর কথা শুনবেন।

    ৫) চালু হবে রাজ্যপালের গোল্ডেন গ্রুপ।

    ৬) চালু হবে রাজ্যপালের স্কলারশিপ প্রকল্প।

    ৭) চালু হবে রাজ্যপালের অ্যাওয়ার্ড স্কিম।

    ৮) এই কর্মসূচিতে ‘অভয়া প্লাস’ নামে কেবলমাত্র মেয়েদের জন্য একটি কোর্স চালু করা হয়েছে। এখানে মেয়েদের আত্মরক্ষার পাঠ পড়ানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Soumendranath Mukherjee: ‘‘আত্মসম্মান বাঁচাতেই অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ ছেড়েছি’’, বললেন সৌমেন্দ্রনাথ

    Soumendranath Mukherjee: ‘‘আত্মসম্মান বাঁচাতেই অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ ছেড়েছি’’, বললেন সৌমেন্দ্রনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনে থাকাকালীন গত ১০ নভেম্বর রাজ্যপালের কাছে ই-মেল মারফত নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছিলেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (Soumendranath Mukherjee)। দেশে ফিরে শুক্রবার তিনি সরাসরি রাজভবনে হাজির হন এবং পদত্যাগ পত্র জমা দেন সিভি আনন্দ বোসের কাছে। এদিন মমতা সরকারের অসহযোগিতা এবং তাঁর প্রতি অসম্মানের কথাই উঠ আসে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। এজির পদত্যাগ ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘আত্মসম্মান বাঁচাতেই অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ ছেড়েছি।’’

    মমতা সরকারের অসহযোগিতা

    প্রশ্ন হল, রাজ্যে ফিরেই সশরীরে সিভি আনন্দ বোসের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়া যেত কিন্তু তড়িঘড়ি করে হঠাৎ তিনি বিদেশ থেকে কেন ইমেল মারফত পদত্যাগ পত্র পাঠালেন? এর উত্তরে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (Soumendranath Mukherjee) বলেন, “অস্বস্তি অনেকদিন ধরেই ছিল। যারা আমাকে বলেছিল এই পদ নিতে, ওরা সবসময় আমার সঙ্গে দাঁড়ায়নি। কয়েকটা স্টেটমেন্ট ছিল, যা আমার ছিল না। সেই বেসিসে যখন দেখলাম সরকার এগোচ্ছে আর ওই স্টেটমেন্টগুলোকে হাতিয়ার করছে, আমার এই পদে থাকার কোনও মানেই হয় না।”

    মমতা সরকার অসম্মান করেছে

    মমতা সরকার তাঁকে অসম্মানিত করেছে। এই অভিযোগ এনে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (Soumendranath Mukherjee) বলেন, “আমারও মান-সম্মান আছে। তাই ঠিক করলাম আর একদিনও এই পদে যেন থাকতে না হয়। পলিটিকাল এস্টাবলিশমেন্টের জন্য রাজনীতি হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। মতভেদ হতেই পারে। কিন্তু যে ধরনের সাপোর্ট দরকার ছিল এই পদে থেকে, তা হয়নি। যে কারণেই হোক, আইনজীবীরা আছেন, প্যানেল বদল হয়, কোনও ক্ষেত্রেই আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। যে ধরনের প্যানেল হলে হয়ত সুবিধা হত, তা আমি পাইনি। কাজের চাপ প্রচুর ছিল।”

    দুর্নীতি ইস্যুতে কী বললেন সৌমেন্দ্রনাথ 

    রাজ্য সরকারের একাধিক নেতা-মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন। এনিয়ে নিজের অবস্থানের কথা বলতে গিয়ে সৌমেন্দ্রনাথ (Soumendranath Mukherjee) বলেন, “দুর্নীতির ব্যাপারে আমার অবস্থান স্পষ্ট ছিল। রাজ্য কোনও দুর্নীতি সমর্থন করতে পারে না। কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে, রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট থাকা দরকার যে তারা সমর্থন করছে না। রাজ্যের দেখা উচিত যারা দুর্নীতির জন্য দায়ী, তারা যেন শাস্তি পায়। আমি সে ধরনের কাউকে সমর্থন করিনি, করবও না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share