Tag: governor

governor

  • Birbhum: “মুখ্যমন্ত্রীর কাজ গভর্নর করছেন” ‘চায়ে পে চর্চা’ থেকে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

    Birbhum: “মুখ্যমন্ত্রীর কাজ গভর্নর করছেন” ‘চায়ে পে চর্চা’ থেকে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠ (Birbhum) এলাকায় “চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিলীপ ঘোষ বিজেপির কর্মী এবং প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বললেন। আর সেখান থেকেই শাসক দল তথা তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করলেন। ছাড় পাননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অন্যদিকে, এদিন রাজ্যপালের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।

    রাজ্যাপাল নিয়ে কী বললেন (Birbhum)?

    বীরভূমে (Birbhum) দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে ১২ হাজার নির্দল প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। ওরাও তো তৃণমূল! তৃণমূল দলটা চোরে ভর্তি। তাই নিজেদের মধ্যে “খুনোখুনি” করে চলেছে। আরও হত্যালীলা দেখতে পাবেন। কারণ পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে, আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দিলীপ ঘোষ রাজ্যপাল প্রসঙ্গে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কাজটা গভর্নর করছেন! নিহত ও আহতদের বাড়িতে যাচ্ছেন। এমন দিন এসেছে যে বাংলার রাস্তায় বোমা-বন্দুক পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আইএসএফ ও তৃণমূল সংর্ঘষ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ দুই দলকেই কটাক্ষ করেন।

    ছাপ্পা ভোট প্রসঙ্গে কী বললেন?

    নির্বাচনে হবে বিজেপির জয়। কিন্তু তৃণমূল ভুয়ো কাগজপত্র আর বল প্রয়োগ করে নির্বাচনে জয়ী হাওয়ার কৌশল করছে। ছাপ্পা ভোট দেওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস অতিরিক্ত ব্যালট ছাপিয়েছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারাপীঠে (Birbhum) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, বুথে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকে, তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুট করবেই। সরকারি কর্মচারীরা ভয়ে ভোট করতে যাবে না। এক্সট্রা ব্যালট যেগুলি ছাপানো হয়েছে, সেগুলি ঢোকানো হবে। আর এভাবেই জিততে চাইছে তৃণমূল।

    নির্বাচনী প্রচারে দিলীপ বীরভূমে (Birbhum)

    শনিবার বীরভূমের ভোট প্রচারে এসেছেন দিলীপ ঘোষ। সকাল থেকেই সেখানে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সকাল ন’টায় তারাপীঠ (Birbhum) কড়কড়িয়া মোড়ে চা চক্রে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্নের উত্তরে এক হাত নেন শাসকদল তৃণমূলকে। তিনি বলেন, বিজেপির কোনও দুষ্কৃতী নেই, কোনও আশ্রিত নেই। তৃণমূলের এত ভালো ছাতা থাকতে আমাদের কাছে আশ্রয় নেবে কেন? সব গুন্ডারা তৃণমূলের আশ্রয়েই আছে। তারাই আলাদা আলাদা দল হয়ে মারামারি করছে। সব জায়গায় তৃণমূল নিজেদের মধ্যেই খুনোখুনি, মারামারি করছে, ভয় দেখানো হচ্ছে সর্বত্র। ভয় না দেখিয়ে তৃণমূল জিততে পারবে না! তবে তৃণমূল এবার হারবে। তাই হারার ভয়ে লোককে ভয় দেখাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    Cooch Behar: হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? এই প্রশ্ন তুলে কোচবিহারের (Cooch Behar) সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমা সুরক্ষা বল অর্থাৎ বিএসএফের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সকাল ১১ টায় সিতাইয়ে যাওয়ার সময় ৭৫ নম্বর বিএসএফ বিওপিতে বিশেষ বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে সীমান্তের চোরাচালান, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতীদের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (Cooch Behar)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই দক্ষিণের জেলাগুলির মতো উত্তরের জেলাগুলিতেও ভোটের মনোনয়ন, মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং নির্বাচনী প্রচারকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের কথা উঠে আসে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের চোপড়া এবং দিনহাটাতে শাসকচ-বিরোধীদের সংঘর্ষে প্রাণ গেছে বেশ কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Cooch Behar) সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্যাংওয়ারেই এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের পরিচয়পত্র অনুযায়ী মৃতের নাম ছিল মহঃ আব্দুর রহমান। ফলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, চোরাকারবারীদের বিষয় এবং পঞ্চায়েত ভোটের বিষয় নিয়ে হিংসামুক্ত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে তৎপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই রাজ্যে নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনও করছেন রাজ্যের রাজ্যপাল।

    ভোট নিয়ে রাজ্যপালের অবস্থান

    শাসক দলের নেতারা বার বার অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যপাল কেবল মাত্র বিরোধীদের বাড়িতে যাচ্ছেন! কিন্তু রাজ্যপাল গীতালদহের জারি ধরলা গ্রামে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এমনকী হাসপাতালেও গিয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল কোচবিহার (Cooch Behar) সার্কিট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, হিংসার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে আইনের শাসন কার্যকর করার কথা বলেন। হাইকোর্টের আদেশকে অক্ষরে অক্ষরে পালনের কথা বলেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর কথাও বলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Governor: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    Governor: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না। একথা জানিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার কালিম্পং কলেজের একটি অনুষ্ঠানের খোলা মঞ্চ থেকে দর্শকাসনে থাকা ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে এই আহ্বান জানান রাজ্যপাল। চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার কালিম্পং সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি প্রথমে ১২ মাইলের এক বৃদ্ধাশ্রমে যান। সেখানকার আবাসিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনে উপহারও তুলে দেন। তার পর সেখান থেকে চলে যান কালিম্পং কলেজে।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor)?

    কালিম্পং কলেজের ওই অনুষ্ঠানের খোলা মঞ্চ থেকেই তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন। বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। তার পরে তিনি মঞ্চ থেকেই উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মতামত আহ্বান করেন। তার রেশ ধরে তিনি দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে তিনি (Governor) জানান। এই সফরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের ১৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করার বিষয়টিও এদিন তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। শিক্ষার পাশাপাশি সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার বার্তা এই অনুষ্ঠানে দেন রাজ্যপাল। এ ব্যাপারে উপস্থিত পড়ুয়াদের শপথও নেওয়ান তিনি।

    কী বলছে শিক্ষক সমাজ?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপক ও স্কুল শিক্ষকরা বলেন, নিয়োগ থেকে শিক্ষা, সর্বত্র দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগে কালিমালিপ্ত হয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের সংঘাত চলছে। এভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে একের পর পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এবার ব্যাট হাতে ময়দানে নেমেছেন খোদ আচার্য তথা রাজ্যপাল (Governor)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Governor: রাজ্যের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল, বাস্তব চিত্র দেখতে নিজে যাবেন এলাকায়

    Governor: রাজ্যের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল, বাস্তব চিত্র দেখতে নিজে যাবেন এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নন রাজ্যপাল? সোমবার দার্জিলিং যাওয়ার পথে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor) মন্তব্যে ওয়াকিবহাল মহলে এই প্রশ্ন উঠেছে। কেননা এদিন শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মোলনে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তাঁর কাছে যে রিপোর্ট আসছে, তা তিনি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে দেখেছেন, সব রিপোর্ট ফিল্টার হয়ে তাঁর কাছে আসছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব এলাকা অশান্ত ও হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে, সেখানকার বাস্তব চিত্র খতিয়ে দেখতে তিনি নিজে যাবেন।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor)?

    দার্জিলিং যাওয়ার পথে শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে এদিন বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যপাল (Governor)। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার কাছে যে রিপোর্ট আসছে, তাতে আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, তার সবগুলোই ফিল্টার হয়ে আসছে। তার অবজেক্টিভও ফিল্টার হওয়া। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগও উঠছে। তাই নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমি এ ধরনের এলাকাগুলি ঘুরে দেখব। বাস্তব পরিস্থিতি নিজে খতিয়ে দেখে সবটা মূল্যায়ন করতে চাই। যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের সঙ্গেও দেখা করব। আক্রান্তরা কেমন আছেন দেখব, তাদের অভিজ্ঞতার কথাও শুনব। দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দিনাজপুর জেলাতেও পরিদর্শনে যাবেন বলে এদিন জানান রাজ্যপাল।

    সাক্ষাতে সব রাজনৈতিক দলকে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল (Governor)

    বিকালে সেখান থেকে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে যান রাজ্যপাল। সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল (Governor) বলেন, পাহাড়েরও গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব। রাজনৈতিক দলগুলি আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাদের স্বাগত। এদিন দুপুরে রাজ্যপাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে এনজেপি স্টেশনে পৌঁছন। সেখান থেকে তিনি সরাসরি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানোর জন্য একদল যুবক জমায়েত করেছিল। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ হয়ে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বেরিয়েও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের এই নেত্রীকে। বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের বড়গ্রামের ঘটনা। মেজাজ হারালেন শতাব্দী! এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে (Birbhum)?

    রবিবার সকালে সিউড়িতে (Birbhum) প্রচারে বের হন তৃণমূলের এই তারকা সাংসদ। সেই সময় কয়েকজন মহিলা এসে ঘিরে একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেন তাঁকে। আবাস দুর্নীতি থেকে শুরু হয় অভিযোগের তালিকা। তারপর রাস্তা খারাপ থেকে শুরু করে পানীয় জলের সমস্যা, প্রতিটি বিষয় তাঁরা তুলে ধরেন শতাব্দীর সামনে। চলে বিক্ষোভ। অধিকাংশ মানুষ বলেন, যাঁদের ঘর রয়েছে তাঁদেরকেই আবাসের বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ত্রিপল চাইলেও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাওয়া যায় না। বৃষ্টির জল যাওয়ার জন্য নেই ড্রেন, জমা জলে এলাকায় দারুণ সমস্যা। আসছে বর্ষা, কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে জানতে চান এলাকার মানুষ।

    তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেগে গিয়ে বীরভূমের এই তৃণমূল সাংসদ (Birbhum) বলেন, বিক্ষোভ কাকে বলে? মিডিয়া জোর করে দেখাচ্ছে! বিরোধীদের কোনও প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। দিতে বাধ্য নই। এলাকার মানুষের মধ্যে এক-দুজন কিছু বললে সেটাকে বিক্ষোভ বলা যাবে না। জনজোয়ারে কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে বলতে পারবেন? সুতরাং বিরোধীরা কখনই বলবেন না শতাব্দী রায় ভালো কাজ করছে। তাই কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না আমি। পরে অবশ্য এলাকাবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন শতাব্দী। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “সরকারের নির্দিষ্ট বাজেট থাকে। একটি পরিবারের একাধিক ছেলে। তাঁদের পৃথক পৃথক বাড়ি চাওয়া হচ্ছে। সে কারণেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।”

    রাজ্যপাল সম্পর্কে মন্তব্য

    রাজ্যপাল সম্পর্কে শতাব্দী রায় (Birbhum) বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ বেশি করছেন। নিজের প্রটোকল ভেঙে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন তিনি। বিজেপির কর্মীদের মৃত্যু হলেই রাজ্যপাল পৌঁছে যাচ্ছেন। উনি মনে প্রাণে একজন বিজেপি কর্মী, এমনটাই মন্তব্য করেন শতাব্দী রায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: নাটকীয় পরিবর্তন! রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল

    Panchayat Vote: নাটকীয় পরিবর্তন! রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠাল রাজভবন। দায়িত্ব নেওয়ার পরই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণা করেন রাজীব সিনহা। তখন থেকই শুরু হয় বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজীব। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজীবই হয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলে পরে প্রতি জেলায় ১ কোম্পানি বাহিনী দেওয়ার কথা বলেন তিনি (রাজীব)। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নানা প্রশ্নের মুখে ফেলার পর দ্রুত ৮০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার যোগদান রিপোর্ট (জয়েনিং রিপোর্ট) ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এখন দেখার, রাজীব থাকেন নাকি সরতে হয় তাঁকে!

    বুধবারই হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করে রাজীবকে

    রাজীব সিনহা দায়িত্ব নেন চলতি মাসের ৭ জুন। তারপর জয়েনিং রিপোর্ট নবান্ন পাঠায় রাজভবনে। কিন্তু সই না করেই তা ফেরত পাঠিয়ে দিলেন বোস। ঘটনাচক্রে, বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত আদালতের নির্দেশ পালন করতে না চাইলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিতে পারেন। তার পরেই রাতে জানা গেল, রাজীবের যোগদান রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।

    রাজভবন-আদালতের এই জোড়া চাপের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আদৌ রাজীব সিনহা থাকবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে রাজভবনে ডাকা বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার যোগ দেননি বলে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল, এমনটাও জানা গিয়েছে।

    কী বলছে বিজেপি?

    বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই কাজের যোগ্য যে উনি নন, প্রথম দিন থেকেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রস্তুতি ছাড়াই উনি ভোট ঘোষণা করেছিলেন। তল্পিবাহক হয়ে কাজ করছেন। প্রতিদিন খুন হচ্ছে। রাজ্যপালের যা কর্তব্য মনে হয়েছে করেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Peace Room: রাজভবনে চালু হল ‘শান্তিকক্ষ’! জানানো যাবে পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির অভিযোগ

    Peace Room: রাজভবনে চালু হল ‘শান্তিকক্ষ’! জানানো যাবে পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যবাসী সাক্ষী থেকেছে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজভবনও। মনোনয়ন পর্বে রাজনৈতিক অশান্তির সাক্ষী ভাঙড় আর ক্যানিংয়ের পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করে এসেছেন তিনি। এবার হিংসা ঠেকাতে রাজভবনে চালু হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘শান্তিকক্ষ’ (পিস রুম)।

    শান্তিকক্ষের (Peace Room) হেল্পলাইন…

    রাজ্যে কোথাও অশান্তির ঘটনা ঘটলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানানো যাবে শান্তিকক্ষতে। সেই মতো রাজভবন যোগাযোগ করবে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। ফোন করে বা ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে। ‘পিস রুম’-এর ফোন নম্বর হল, 03322001641। আর ই-মেইল আইডি হল OSD2w.b.governor@gmail.com। শনিবার রাতে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে রাজভনের তরফে।

    ভাঙড় ও ক্যানিং সফর রাজ্যপালের

    বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ বেলায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভাঙড়-২ ব্লক। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ছিল, চলেছিল গুলিও। প্রাণ গিয়েছিল তিন জনের। গত সপ্তাহের শুক্রবার সেই এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। পরে সেখানে বলেছিলেন, ‘‘আমি বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করছি, এই ভোটে হিংসাই বলি হবে। হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। যারা হিংসা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান এবং আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শনিবার ক্যানিংয়ে যান রাজ্যপাল। বুধবারই, মনোনয়নের চতুর্থ দিনে ক্যানিংয়ে শাসক তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। ক্যানিংয়ের সেই হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার পর তাঁর মন্তব্য, “গণতন্ত্রে ভয়ের কোনও জায়গা নেই।”

    শনিবারই তলব করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে

    শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ করেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্ত রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তলব করেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতেই রাজভবনে তলব করা হয় রাজীবকে। ভাঙড়ের সংঘর্ষের পর বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এহেন আবহে হওয়ার কথা ছিল রাজীব-রাজ্যপাল বৈঠক। যদিও এদিন বেলার দিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্ক্রুটিনিতে ব্যস্ত থাকায় শনিবার তিনি দেখা করতে যেতে পারছেন না রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে অন্য কোনও দিন ডেকে পাঠানো হলে, তিনি যেতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Governor: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে তিন ভাইয়ের, পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যপাল

    Governor: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে তিন ভাইয়ের, পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। রাজ্যে কাজের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ছড়ানেখালির তিন ভাই হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েন অন্ধ্রপ্রদেশে যাচ্ছিলেন ধান রোয়ার কাজ করতে। ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করে টাকা পাঠাবেন পরিবারে। হাসি ফুটবে ছোট ছোট সন্তানদের মুখে। এমনটাই ভাবনা ছিল তাঁদের। কিন্তু, বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিল তিন ভাইয়ের। এখনও শোকে বিহ্বল গোটা গায়েন পরিবার। মঙ্গলবার এই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে আসেন রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি ট্রেন দুর্ঘটনায় এই গ্রামেরই সঞ্জয় হালদার এবং বিকাশ হালদার নামে দুজনের মৃত্যু হয়। এই দুই পরিবারের সঙ্গেও রাজ্যপাল কথা বলেন। এদিন রাজ্যপাল অসহায় এই পরিবারগুলির সদস্যদের হাতে চাল, ডাল, ফল তুলে দেন।

    রাজ্যপালকে (Governor) কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    এদিন রাজ্যপাল (Governor) গ্রামে আসতেই তাঁকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। মৃতের পরিবারের এক সদস্য রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। তাঁর হাত জড়িয়ে ধরে বলেন, গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। বাইরে থেকে জল কিনে খেতে হয়। এলাকায় কোনও উন্নয়ন নেই। হাতে কাজ নেই। তাই, বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ ভিন রাজ্যে কাজে যান। আর সেই কাজে যেতে গিয়ে এই দুর্ঘটনায় কবলে পড়়ে মৃত্যু হয়েছে সকলের। এলাকায় কিছু করার জন্য রাজ্যপালকে এলাকাবাসী অনুরোধ জানান।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor)?

    দুর্ঘটনায় মৃতদের শ্রাদ্ধশান্তির কাজ রাজভবনের তরফে করা হবে বলে জানান রাজ্যপাল (Governor)। প্রত্যেক নিহতের পরিবারের জনধন অ্যাকাউন্টে দশ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা অত্যন্ত বেদনার। পাশে থাকার বার্তআ দিতে এখানে এসেছি। আগামী দিনও এই পরিবারের পাশে আমরা থাকব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বর্বোচিত আক্রমণ এবং তাণ্ডব রুখতে ব্যবস্থা নিতে হবে সভ্য সমাজের গণতান্ত্রিক সরকারকে।” শুক্রবার সন্দেশখালিকাণ্ডে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V ananda Bose)। তিনি বলেন, “সরকার তার ন্যূনতম কর্তব্যপালনে ব্যর্থ হয়েছে। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে। বাংলায় নয়।”

    ‘মগের মুলুক নয়’

    তিনি বলেন, “বাংলা কোনও মগের মুলুক নয়। সরকারের উচিত তার কর্তব্য করা। যাঁরা ভাবছেন, আমি ডনের মাধ্যমে শাসন করছি, আর তাঁরা শীঘ্রই নিজেদের ‘ডন কুইকজোট’ (স্প্যানিশ মহাকাব্য) হিসেবে দেখতে পাবেন। এটা প্রাক নির্বাচনী পর্বের হিংসা। অবিলম্বে এই হিংসায় লাগাম টানা প্রয়োজন। সমাজের এই হিংসা নিহিত সরকারের সঙ্গেই। চারদিকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে।” রাজ্যপাল বলেন, “হিংসা ও গুন্ডাগিরিতে রাশ টানার সময় এসে গিয়েছে। বাংলায় হিংসার অবসান ঘটবে। অপশাসন চলবে না। সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক কাঠামোয় বর্বরতা ও নৈরাজ্যকে কঠোর হাতে দমন করা। সরকার তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সংবিধান চলবে নিজের পথে।”

    রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে তলব করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, অবিলম্বে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে রাজভবনে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে নবান্নকে। ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকেও। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যখন এই বিবৃতি দিচ্ছেন, তার কিছুক্ষণ আগেই কলকাতা হাইকোর্টে সন্দেশখালির মামলার শুনানি (C V ananda Bose) পর্বে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?”

    আরও পড়ুুন: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির গভীরে পৌঁছতে শুক্রবার সাত সকালে ইডির আধিকারিকরা যান সন্দেহখালিতে। এখানে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দোরে খিল এঁটে বসেছিলেন ওই তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা। এর পরেই দরজা ভেঙে শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন ইডির আধিকারিকরা। সেই সময় ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের কয়েকজন জওয়ানও জখম হন। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ডামাডোলের (C V ananda Bose) বাজারে গা-ঢাকা দিতে পারেন শাহজাহান। সরিয়ে ফেলা হতে পারে তাঁর বাড়িতে থাকা (যদি থাকে) কাগজপত্রও।  

     

      দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • CV Anand Bose: বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা, সাফ জানালেন রাজ্যপাল

    CV Anand Bose: বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা, সাফ জানালেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসান রাজভবন-নবান্ন বিতর্কের! উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবন যে আর নতুন করে কোনও বিতর্ক চায় না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) সম্প্রতি সল্টলেকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পরে তিনি বলেন, “উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নতুন করে আর কোনও বিতর্ক চায় না রাজভবন। এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মতি জানাবে রাজভবন।”

    চিঠিতে কী বলেছেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই রাজভবনের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আচার্য তথা রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রধান হিসেবে কোর্ট অথবা সেনেট বৈঠকে পৌরহিত্য করতে পারেন। অথবা উপাচার্যকে ওই বৈঠক ডাকার সম্মতি দিতে পারেন। ওই নির্দেশে এও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিধি ১৯৭৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিরোধী বলেই মনে করা হচ্ছে।

    ১৯৭৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইন

    এদিকে, জট কাটিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যাতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়, তা নিয়েও আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে খোলা চিঠি দিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটা। শিক্ষা মহলের মতে, ১৯৭৯ সালে আইন প্রসঙ্গে রাজভবন থেকে যা বলা হচ্ছে, তা স্থায়ী উপাচার্যদের ক্ষেত্রে (CV Anand Bose) প্রযোজ্য হলেও, অন্তবর্তী উপাচার্যদের ক্ষেত্রে নয়। তাই উচ্চ শিক্ষা দফতরের নিষেধ অগ্রাহ্য করে বৈঠক ডাকা হলে, বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা।

    আরও পড়ুুন: ললিতের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সেলফি, লোকসভাকাণ্ডে ‘প্রমাণ’ দিলেন সুকান্ত!

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালের অন্তর্বর্তী উপাচার্য কর্মসমতির বৈঠক ডেকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত পাশ করিয়ে নেয়। ছাত্র স্বার্থ রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এর পরেই রাজ্যপালের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা।

    উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে সম্প্রতি নবান্ন-রাজভবন বিবাদ চরমে পৌঁছেছিল। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। রাজ্যের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা কর্মসমিতির বৈঠক পারবেন না। রাজ্যের (CV Anand Bose) তরফে এই নির্দেশ পেয়ে কলকাতা সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা একাধিকবার বৈঠক ডেকেও পরে তা বাতিল করে দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share