Tag: GRSE

GRSE

  • Garden Reach Shipbuilders and Engineers: সমুদ্রে সফল পরীক্ষা, নৌসেনাকে শীঘ্র আরও ২ রণতরী দেবে গার্ডেনরিচ

    Garden Reach Shipbuilders and Engineers: সমুদ্রে সফল পরীক্ষা, নৌসেনাকে শীঘ্র আরও ২ রণতরী দেবে গার্ডেনরিচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) শক্তি বাড়াতে সদা সক্রিয় গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (Garden Reach Shipbuilders and Engineers)। উন্নতমানের রণতরী তৈরিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কলকাতার এই সংস্থা। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করতে একাধিক যুদ্ধজাহাজ নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে গার্ডেনরিচ। এই মুহূর্তে তারা প্রস্তুত করছে আরও দুটি রণতরী। সম্প্রতি এই যুদ্ধজাহাজগুলোর সফল সামুদ্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থাটি।

    কী দিয়ে তৈরি এই যুদ্ধ জাহাজ

    জানা গিয়েছে, গত ৩ মার্চ পরীক্ষার জন্য সমুদ্রে নামে হিমগিরি (ইয়ার্ড ৩০২২) এবং অ্যান্ড্রোথ (ইয়ার্ড ৩০৩৫) নামের যুদ্ধজাহাজ। নৌসেনার ১৭এ প্রোজেক্টের আওতায় এগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। দেখে নেওয়া হচ্ছে রণতরী দুটির কার্যকারিতা। যার মধ্যে গতি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সহনশীলতা বিশেষ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। ইতিমধ্যে আইএনএস আর্নালা (ইয়ার্ড ৩০২৯)-এরও পরীক্ষা সফল হয়েছে। শীঘ্রই এটি নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। জাহাজগুলি একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এগুলির নির্মাণ করা হয়েছে বিশেষ স্টিল দিয়ে।

    কী আছে এই যুদ্ধ জাহাজে

    এই জাহাজগুলোর সব কটিতেই রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির সরঞ্জাম, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। থাকছে বিমান, কপ্টার ও জাহাজ বিধ্বংসী প্রতিরোধ ব্যবস্থা। জাহাজের ডেকের ভেতর থেকেই ছোড়া যাবে ক্ষেপণাস্ত্র। প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে নৌসেনার (Indian Navy) জন্য চারটি নজরদারি জাহাজ বানানোর বরাত পায় গার্ডেনরিচ (Garden Reach Shipbuilders and Engineers)। এর আগে বেশ কয়েকটি নজরদারি জাহাজ (অফশোর পেট্রল ভেসেল) তৈরি করে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে গার্ডেনরিচ। যেগুলো দিয়ে চলছে ‘শত্রু’ পক্ষের উপর কড়া নজরদারি। চিনের দাদাগিরি রুখতে এখানেই তৈরি হয়েছে সাবমেরিন বিধ্বংসী রণতরী। এবার ‘নিউ জেনারেশন অফশোর পেট্রল ভেসেল’ তৈরি করেছে জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থাটি। বিপর্যয় মোকাবিলা, অনুপ্রবেশ আটকানো, জলদস্যুদের দমনের মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে নামানো হবে নতুন প্রজন্মের এই জাহাজগুলোকে। পাশাপাশি উপকূলে অতন্দ্রপ্রহরীর কাজ করবে তারা।

  • Deep Sea Research Vessel: জাহাজ নির্মাণে গার্ডেনরিচ, সমুদ্রতলে লুকিয়ে থাকা রহস্যের সন্ধানে ভারত

    Deep Sea Research Vessel: জাহাজ নির্মাণে গার্ডেনরিচ, সমুদ্রতলে লুকিয়ে থাকা রহস্যের সন্ধানে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরের অতলে লুকিয়ে রয়েছে রত্নভাণ্ডার (Oceans Mysteries)। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি বিরল খনিজ এবং ধাতুও। সমুদ্রের বুক চিরে সেই রত্নের খোঁজ দিতে তৈরি হচ্ছে ভারতের বৃহত্তম ডিপ সি রিসার্চ ভেসেল (Deep Sea Research Vessel)। সমুদ্রের অতলে গবেষণা চালাবে এই জাহাজ। জাহাজটি তৈরি করছে রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধজাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা কলকাতার গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়র্স (GRSE)। গোয়া-ভিত্তিক একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় তৈরি করা হবে অতিকায় এই জাহাজটি। বৃহস্পতিবার জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাহাজটি দৈর্ঘ্যে ৮৯.৫ মিটার। ভারতীয় শিপইয়ার্ড এ পর্যন্ত যত ধরনের ভেসেল বানিয়েছে, তার মধ্যে এটিই হবে বৃহত্তম। ভারত মহাসাগরের গভীরে অনুসন্ধান কার্য চালাবে ভারতীয় এই জাহাজটি।

    ‘ডিপ ওশেন মিশন’ (Deep Sea Research Vessel)

    গোয়ার ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশেন রিসার্চের তরফে জানানো হয়েছে, ভেসেলটি মোতায়েন করা হবে নিবিড় বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান কার্যে। সমুদ্রের অতল থেকে তুলে আনবে নমুনা। আর্থ সায়েন্স মন্ত্রকের ‘ডিপ ওশেন মিশনে’ তৈরি করা হচ্ছে এই জাহাজ। ভেসেলটি হবে সর্বংসহা। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবে দক্ষতার সঙ্গে। জাহাজটিতে এক সঙ্গে থাকতে পারবেন ৩৪ জন বৈজ্ঞানিক। ভারতের হয়ে এটি কাজ করবে আগামী তিরিশ বছর (Deep Sea Research Vessel)।

    খরচের বহর

    ভেসেলটি তৈরি করা হবে ৩৬ মাসের মধ্যে। খরচ ধরা হয়েছে ৮৩৯.৫৫ কোটি টাকা। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পেই তৈরি হচ্ছে জাহাজটি। জাহাজটির সর্বোচ্চ গতি হবে ১৪ নটিক্যাল কিলোমিটার। জাহাজের মধ্যেই থাকবে সর্বাধুনিক গবেষণাগার, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি এবং হেভি-ডিউটি ডেক মেশিনারি। জাহাজটি তৈরিতে মেনে চলা হবে ইন্ডিয়ান রেজিস্টার অফ শিপিং এবং আমেরিকান ব্যুরো অফ শিপিংয়ের মানদণ্ড। এমএআরপিওএল মান পূরণ করতে জাহাজটিতে থাকবে বিভিন্ন সমুদ্র প্রোফাইলার, সমুদ্রতলের স্যাম্পলার এবং অনবোর্ড অ্যানালিটিক্যাল সিস্টেম।

    আরও পড়ুন: সেই তৃণমূলের ‘দাদাগিরি’, বন্ধ হয়ে গেল জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কাজও!

    জাহাজটি কেবল গভীর মহাসাগরে অভিযান চালাতে সক্ষম হবে না, দক্ষিণ মহাসাগরের গবেষণায়ও যাত্রা করতে পারবে। এনসিপিও-র পরিচালক থামবান মেলোথ বলেন, “জাহাজটি গভীর সমুদ্রে খনিজ ও বিরল ধাতু অনুসন্ধানের কাজ করবে। সমুদ্রে ধাতু অনুসন্ধানের জন্য সরকার গভীর (Oceans Mysteries) সমুদ্র মিশনের অধীনে জাহাজটি নির্মাণে অর্থায়ন করেছে (Deep Sea Research Vessel)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • INS Vindhyagiri: কতটা শক্তিশালী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’? চিনে নিন এই স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটকে

    INS Vindhyagiri: কতটা শক্তিশালী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’? চিনে নিন এই স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) হাতে শুভ সূচনা হলো ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) নতুন যুদ্ধজাহাজের। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) নামের ওই স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট গোত্রের রণতরীকে নির্মাণ করেছে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। ‘প্রজেক্ট-১৭ আলফা’ বা সংক্ষেপে ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের আওতায় ৭টি স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট তৈরি হয়েছে দেশে। এর মধ্যে ৪টে নির্মিত হয়েছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডকইয়ার্ডে। বাকি তিনটির নির্মাণ হয়েছে জিআরএসই-তে। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ হলো প্রকল্পের ষষ্ঠ তথা এখানে তৈরি হওয়া বরাতের তৃতীয় তথা শেষ জাহাজ। এর আগে, এখান থেকেই উদ্বোধন হয়েছে যথাক্রমে ‘আইএনএস হিমগিরি’ ও ‘আইএনএস দুনাগিরি’। এই দুটিই এখন সমুদ্র-ট্রায়ালে রয়েছে। সম্ভবত, চলতি মাসেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ‘আইএনএস হিমগিরি’।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    জাহাজের মূল বৈশিষ্ট্য ‘স্টেলথ’

    প্রজেক্ট-১৭ আলফা-র আওতায় নির্মিত জাহাজগুলোর নকশা করেছে নৌসেনার (Indian Navy) অধীনস্থ সংস্থা ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো (পূর্বতন ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন)। ডিজেল-ইলেক্ট্রিক শক্তিচালিত এই জাহাজের মূল বৈশিষ্ট্য হল এগুলো ‘স্টেলথ’ (Stealth Missile Frigate) প্রকৃতির। অর্থাৎ, শত্রুর রেডারে এই জাহাজগুলো সহজে ধরা পড়ে না। এর প্রধান কারণ হলো, জাহাজের নকশা এমনভাবে করা হয়, যাতে ধারালো কোণ থাকে না। এই জাহাজগুলোর নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে কম্পোজিট মেটিরিয়াল। এছাড়া, এদের রঙের আস্তরণ এমন থাকে, যা রেডারের তরঙ্গ প্রতিফলিত করে না। ফলত, এই শ্রেণির জাহাজগুলোর রেডার-ক্রস সেকশন অত্যন্ত নগন্য।

    ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র ডিজেল-ইলেকট্রিক ইঞ্জিন

    ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র (INS Vindhyagiri) মূল চালিকাশক্তি হলো চারটি ইঞ্জিন। ২টি ডিজেল ও ২টি ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন চালিত এই জাহাজটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫০ মিটার। এর ওজন প্রায় ৬ হাজার ৬৭০ টন। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩২ নট। (প্রায় ৬০ কিমি/ঘণ্টা)। এই জাহাজটি ২৮ নট গতিতে একটানা ২,৫০০ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করতে সক্ষম। অন্যদিকে, ১৬-১৮ নট গতিতে এটির পাল্লা বেড়ে যায় ৫,৫০০ নটিক্যাল মাইল। জাহাজে ৩৫ অফিসার সহ ২২৬ জনের থাকার সংস্থান রয়েছে।

    যুদ্ধজাহাজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা

    জাহাজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত মজবুত। এতে রয়েছে একাধিক সেন্সর, রেডার ইডব্লিউ সুইট। ‘আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি’-তে রয়েছে অত্যাধুনিক এমএফ-স্টার আয়সা রেডার। আকাশ হোক বা ভূমি— শত্রুর যে কোনও জাহাজ, ড্রোন, বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র, তা সে যত ছোটই হোক না কেন, ৩৬০ ডিগ্রি নজরদারি চালানোর ক্ষমতাসম্পন্ন এই রেডারে সব ধরা পড়বে। ৪৫০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত যে কোনও নিশানাকে ট্র্যাক করতে সক্ষম এই বিশেষ রেডার। এছাড়া, এতে রয়েছে দ্বিতীয় সারফেস-সার্চ রেডার, যা ৪৬০ কিমি পর্যন্ত যে কোনও যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রকে ট্র্যাক করতে সক্ষম। 

    এই জাহাজে সোনার ও রেডারের ক্ষমতা কেমন?

    ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) জাহাজে রয়েছে ডিআরডিও-নির্মিত সোনার, যা জলের নিচে থাকা সাবমেরিন ও টর্পিডোকে বা আন্ডার-ওয়াটার মাইনকে ট্র্যাক ও ট্র্যাক করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি, এতে লাগানো হয়েছে অত্যাধুনিক ‘শক্তি’ ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুইট (ইডব্লিউ স্যুইট)। দেশীয় ওই বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা একদিকে যেমন যে কোনও জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চিহ্নিত করতে সক্ষম, তেমন ভাবেই প্রথাগত রেডারের সিগন্যাল জ্যাম করতে বা নিরস্ত্র করতেও পারে। শুধু তাই নয়, শত্রু যদি চায় এই জাহাজের সিগন্যাল ব্লক করতে, তখন এই ইডব্লিউ স্যুইট পাল্টা তাকে রুখে দিতে সক্ষম, যাতে জাহাজের নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

    অস্ত্রের বৈচিত্র্যে ভরপুর ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’

    এবার নজর দেওয়া যাক এই ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র অস্ত্রসম্ভারের দিকে। ‘পি-১৭এ’ ফ্রিগেটগুলোতে বিভিন্ন বিপদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র মজুত করা হয়েছে। স্থলে বা জলে (ভাসমান) যে কোনও হামলা প্রতিহত করার জন্য এতে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই জাহাজে রয়েছে ৮টি ‘ব্রহ্মোস’ জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গতি শব্দের ৩ গুণ। এছাড়া রয়েছে একটি ৭৬ এমএম ‘ওটো মেলারা’ নেভাল গান এবং ১টি ৩০ এমএম ‘একে-৬৩০’ ক্লোজ-ইন উইপন সিস্টেম (সিআইডব্লিউএস)।

    আকাশপথে হামলা প্রতিহত করার জন্য এই জাহাজে রয়েছে ৩২টি ‘বারাক-৮’ ইআর মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। ১৫০ কিমি পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র যে কোনও যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, জাহাজ-বিধ্বংসী মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করতে পারদর্শী। ইজরায়েলের এই মিসাইল বর্তমানে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতেই উৎপাদন করা হচ্ছে। 

    ভূমি ও জলের ওপরের মতোই জলের নিচে দিয়ে করা হামলার জবাব দিতেও পারদর্শী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri)। সাবমেরিন বা টর্পিডো ধ্বংস করতে এতে রয়েছে ২টি টর্পিডো লঞ্চার। এক-একটি লঞ্চারে ৩টি করে টর্পিডো তৈরি থাকে। এছাড়া রয়েছে, সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার যা ১ কিমি পর্যন্ত যে কোনও বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। 

    আত্ম-সুরক্ষা ব্যবস্থাও জোরদার

    প্রতিঘাতের পাশাপাশি ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) জাহাজে আছে অত্যাধুনিক আত্ম-সুরক্ষা ব্যবস্থা। যার মধ্যে রয়েছে ২টি ‘মারীচ’ টর্পিডো-কাউন্টার মেজার ডিকয় সিস্টেম এবং চারটি ‘কবচ’ ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ডিকয় লঞ্চার। শত্রুর টর্পিডো বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে এই মারীচ ও কবচ জাহাজের ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। তখন, শত্রু টর্পিডো-ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এদের টার্গেট ভেবে ধ্বংস করে, বেঁচে যায় জাহাজ। অন্যদিকে, এই জাহাজে ২টি হেলিকপ্টার থাকতে পারে। হ্যাঙ্গারে থাকে একটি, অন্যটি থাকতে পারে ডেকে। সম্ভবত, অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) ‘ধ্রুব মার্ক-৩’ বা ‘ওয়েস্টল্যান্ড সি-কিং’ হেলিকপ্টার থাকবে। পরবর্তীকালে, উল্লেখিত হেলিকপ্টারের জায়গায় আসবে সিকর্সকি ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ হেলিকপ্টার (Indian Navy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হলো ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এক তারকাখচিত অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সে (GRSE) নৌসেনার নতুন স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri Launch) নামের এই রণতরী ভারতীয় নৌসেনার ‘প্রজেক্ট-১৭ আলফা’ বা সংক্ষেপে ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের ষষ্ঠ জাহাজ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার সহ শীর্ষ পদাধিকারীরা। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন ভারত ক্রিকেট অধিনায়ক তথা প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।

    বোতাম টিপে রণতরীর শুভ-সূচনা

    এদিন বোতাম টিপে ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’কে (INS Vindhyagiri Launch) জলে ভাসিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর আগে, স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে, নারকেল ফাটিয়ে ও মালা পরিয়ে জাহাজের পুজো করা হয়। সেই শুভ কাজ করেন রাষ্ট্রপতি। তার পর তিনি জাহাজটিকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন এবং বোতাম টিপে জাহাজের নাম ফলক প্রকাশ করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের জলসীমার সুরক্ষিত রাখার জন্য ভারতীয় নৌসেনার প্রশংসা করেন। সময়মতো জাহাজের নির্মাণ শেষ করার জন্য জিআরএসই কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার। 

    ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের ষষ্ঠ জাহাজ ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’

    নৌসেনার ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের অধীনে সাতটি নিলগিরি-শ্রেণির (এই প্রজেক্টের প্রথম জাহাজ ‘আইএনএস নিলগিরি’-র নামে শ্রেণিভুক্ত) ৭টি স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে ৪টে নির্মিত হয়েছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডকইয়ার্ডে। বাকি তিনটির নির্মাণ হয়েছে কলকাতায় গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)-তে। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri Launch) হলো এই প্রকল্পের ষষ্ঠ তথা এখানে তৈরি হওয়া তৃতীয় তথা শেষ জাহাজ। সেই দিক থেকে কলকাতার জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা জিআরএসই-র মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। এর আগে, এখান থেকেই উদ্বোধন হয়েছে যথাক্রমে ‘আইএনএস হিমগিরি’ ও ‘আইএনএস দুনাগিরি’। এই দুটিই এখন সমুদ্র-ট্রায়ালে রয়েছে। সম্ভবত, চলতি মাসেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ‘আইএনএস হিমগিরি’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Stealth Missile Frigate: আগামী সপ্তাহে নৌসেনার স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেটের উদ্বোধন কলকাতায়

    Stealth Missile Frigate: আগামী সপ্তাহে নৌসেনার স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেটের উদ্বোধন কলকাতায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হতে চলেছে। আগামী ১৭ তারিখ, কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স ডকইয়ার্ডে উদ্বোধন হতে চলেছে নতুন যুদ্ধজাহাজের। স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট (Stealth Missile Frigate) গোত্রের এই যুদ্ধজাহাজের নাম হতে চলেছে ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri)। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে জাহাজের উদ্বোধন উপলক্ষে কলকাতায় আসতে পারেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁর ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের পরই একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু?

    নৌসেনার ‘প্রজেক্ট-১৭ আলফা’

    নৌসেনার (Indian Navy) ‘প্রজেক্ট-১৭ আলফা’ বা সংক্ষেপে ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের আওতায় নিলগিরি-শ্রেণির (এই প্রজেক্টের প্রথম জাহাজ ‘আইএনএস নিলগিরি’-র নামে শ্রেণিভুক্ত) ৭টি স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে ৪টে নির্মিত হয়েছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডকইয়ার্ডে। বাকি তিনটির নির্মাণ হয়েছে কলকাতায় গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)-র তত্ত্বাবধানে। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) হলো এখানে তৈরি হওয়া তৃতীয় তথা শেষ জাহাজ। এর আগে, এখান থেকেই উদ্বোধন হয়েছে যথাক্রমে ‘আইএনএস হিমগিরি’ ও ‘আইএনএস দুনাগিরি’। এই দুটিই এখন সমুদ্র-ট্রায়ালে রয়েছে। সম্ভবত, চলতি মাসেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ‘আইএনএস হিমগিরি’।

    বেড়েছে সংস্থার আয়-মুনাফা

    ভারতীয় নৌসেনার জন্য বহু এবং বিভিন্ন ধরনের রণতরী ও বোট তৈরি করেছে জিআরএসই। সেই তালিকায় রয়েছে ফ্রিগেট, অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার করভেট, মিসাইল করভেট, ল্যান্ডিং শিপ ট্যাঙ্ক, ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি, সার্ভে ভেসেল, ফ্লিট ট্যাঙ্কার, ফাস্ট প্যাট্রল ভেসেল, অফশোর/ইনশোর প্যাট্রল ভেসেল, ওয়াটার-জেট ফাস্ট অ্যাটাক ক্রাফ্ট এবং ফাস্ট ইন্টারসেপ্টর বোট। শুধু তাই নয়, এখানে তৈরি হওয়া যুদ্ধজাহাজ বিদেশেও পাড়ি দিয়েছে। মরিশাস ও সেশেলসের উপকূলরক্ষী বাহিনীর জন্য জাহাজ তৈরি করেছে জিআরএসই। সম্প্রতি, সংস্থার ত্রৈমাসিক আয়ের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে মোট আয় হয়েছে ৮২৭ কোটি টাকা। যা গত অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের চেয়ে ২০৬ কোটি বা ৩৩ শতাংশ বেশি। এই সদ্য সমাপ্ত হওয়া ত্রৈমাসিকে সংস্থার মোট লাভের পরিমাণ ১০২ কোটি টাকা। গত এক বছরে সংস্থার শেয়ার দর বেড়েছে ৫৩ শতাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: স্বাধীনতা দিবসের পরই একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু?

    Draupadi Murmu: স্বাধীনতা দিবসের পরই একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ঠিকঠাক চললে, স্বাধীনতা দিবসের দু’দিন পর, অর্থাৎ ১৭ অগাস্ট, রাজ্যে ফের আসতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে খবর, এক দিনের ওই ঝটিকা সফরে তিনি কলকাতায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন (President Kolkata Visit)। 

    এক দিনের ঝটিকা সরকারি সফর

    জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বিমানে করে রাষ্ট্রপতি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সাড়ে ১১ টায় কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি রাষ্ট্রপতি যাবেন গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডে (GRSE)। জানা যাচ্ছে, সেখানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর অংশগ্রহণ করার কথা। দুপুর পৌনে দুটো থেকে বিকেল ৩টে ১০ মিনিট পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানেই থাকার কথা তাঁর। এর পর, আবারও রাষ্ট্রপতির (Draupadi Murmu) কনভয় রওনা দেবে কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে। বিকেল ৪টেয় কলকাতা থেকে দিল্লি রওনা হয়ে যাবেন রাষ্ট্রপতি। 

    জিআরএসই-তে রণতরীর উদ্বোধন!

    প্রশাসন সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচে একটি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে চলেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, ভারতীয় নৌসেনার প্রোজেক্ট-১৭ আলফা বা সংক্ষেপে পি-১৭এ (P-17A) স্টেলথ ফ্রিগেট প্রকল্পের ষষ্ঠ রণতরী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র (INS Vindhyagiri) উদ্বোধন হতে চলেছে সেদিন। সূত্রের খবর, দেশের সামরিক বাহিনীর সাংবিধানিক প্রধান হওয়ার নিরিখে তিনি ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন। তবে, সবটাই রয়েছে প্রাথমিক স্তরে।

    মার্চ মাসে বঙ্গ-সফরে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি

    এর আগে, গত মার্চ মাসে দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu) হওয়ার পর সেটাই ছিল তাঁর প্রথম বঙ্গ-সফর। সে বার রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাশাপাশি, বেলুড় মঠ এবং শান্তিনিকেতনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে, রাষ্ট্রপতির এবারের সফরে (President Kolkata Visit) রাত্রিবাসের কোনও উল্লেখ নেই এখনও পর্যন্ত। এমনকী, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও পৃথক ভাবে সাক্ষাতের কোনও সূচি নেই বলেই এখনও পর্যন্ত প্রশাসন সূত্রে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    Indian Navy: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার, কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (Garden Reach Shipbuilders and Engineers) নির্মিত নৌসেনার (Indian Navy) নতুন স্টেলথ ফ্রিগেট (Stealth Frigate) শ্রেণির যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। উপস্থিত থাকবেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R. Hari Kumar) সহ নৌসেনা, প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Ministry of Defence) ও গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের শীর্ষ পদাধিকারীরা।

    প্রোজেক্ট ১৭-আলফা (Project 17-Alpha) প্রকল্পের আওতায় থাকা স্টেলথ ফ্রিগেটের নকশা করেছে নৌসেনার আওতাধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন। এই সংস্থাই দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর নকশাও করেছে। প্রোজেক্ট ১৭-আলফা প্রকল্পের প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেটের নাম ‘আইএনএস নিলগিরি’। পি ১৭-এ (P-17A) ফ্রিগেট ঘরানার এটি হতে চলেছে চতুর্থ জাহাজ। এই প্রকল্পের আওকায় মোট সাতটি জাহাজ তৈরি হচ্ছে। জাহাজগুলি নির্মাণ করছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডক লিমিটেডে (MDL) ও কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (GRSE)। 

    নৌনেসার নিয়মানুসারে, যে কোনও প্রকল্পের প্রথম জাহাজের নামকে সেই প্রকল্পের শ্রেণি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। যে কারণে, এই প্রকল্পের বাকি ৬টি জাহাজগুলিকে “নিলগিরি-শ্রেণি” ফ্রিগেট হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। আগামীকাল, যে জাহাজটির উদ্বোধন হবে, সেটি হবে গার্ডেনরিচে নির্মিত এই প্রকল্পের আওতায় থাকা দ্বিতীয় জাহাজ। এর আগে, ২০২০ সালে প্রথম জাহাজ গার্ডেনরিচে তৈরি হওয়া এই প্রকল্পের দ্বিতীয় জাহাজ ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Himgiri) স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    আগামীকালের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে, নৌসেনার ঐহিত্য অনুসারে, জাহাজের নামকরণ ও উদ্বোধন করবেন দেশের নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারের স্ত্রী শ্রমতী কলা হরি কুমার। এই জাহাজের নাম হতে চলেছে ‘আইএনএস দুনাগিরি’ (INS Dunagiri)।

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই জাহাজের বৈশিষ্ট্য—

    প্রোজেক্ট ১৭-এ প্রকল্পের আওতায় থাকা ফ্রিগেটগুলি স্টেলথ। অর্থাৎ, এক কথায় এই জাহাজের ওপর এমন আস্তরণ রয়েছে, যাতে এর রেডার সিগনেচার (Radar signature) কমে যায়। এক কথায়, শত্রুর রেডারে ধরা পড়বে না। মূলত, এই জাহাজগুলির প্রধান নকশা প্রোজেক্ট-১৭ শ্রেণি থেকে নেওয়া। তবে, তাতে অনেক আধুনীকিকরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (Surface to Air Missile)-এর ভার্টিকাল লঞ্চ সিস্টেম (VLS) বা লম্বালম্বি নিক্ষেপ-ব্যবস্থা।

    এই জাহাজগুলি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত। অ্যান্টি-সারফেস ওয়ারফেয়ার (anti-surface warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে ৮টি ব্রহ্মোস (BrahMos) জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (anti-ship cruise missiles)। এই মিসাইলের সর্বোচ্চ গতি ‘মাক ৩’, অর্থাৎ শব্দের গতির তিনগুণ। পাশাপাশি, এতে রয়েছে ৭৬ মিমি নেভাল গান (OTO Melara 76 mm naval gun)। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি নৌসেনার, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়া

    অ্যান্টি-এয়ার ওয়ারফেয়ার (anti-air warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে ৩২টি বারাক ৮ইআর (Barak 8ER) দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (LR-SAM)। এর পাল্লা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। আকাশপথে আসা শত্রুর যে কোনও বিপদ যেমন যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মানবহীন বিমান বা ড্রোন— সবকিছুকে ধ্বংস করতে জুড়িহীন এই ইজরায়েলি-জাত ক্ষেপণাস্ত্রের।

    অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার (anti-submarine warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে দুটি টর্পেডো লঞ্চার। এক-একটি থেকে তিনটি করে টর্পেডো নিক্ষেপ করা যায়। এতে রয়েছে ২টি সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার (anti-submarine rocket launchers) যার মধ্য দিয়ে রুশ নির্মিত ১ কিমি পাল্লার আরবিইউ-৬০০০ স্মার্চ-২ (RBU-6000 Smerch-2) রকেট নিক্ষেপ করা যায়। এছাড়া, শত্রুর ছোঁড়া টর্পেডোকে বিভ্রান্ত করতে এতে রয়েছে ২টি অ্যান্টি-টর্পেডো ডিকয় সিস্টেম (anti-torpedo decoy system) এবং ৪টি ডিকয় লঞ্চার (Kavach anti-missile decoy launchers)। 

    এই জাহাজের ডেক থেকে দেশীয় এএলএইচ ধ্রুব মার্ক-৩ (ALH Dhruv MK-III) জলপথ নজরদারি কপ্টার এবং ওয়েস্টল্যান্ড সি-কিং (Westland Sea King) জাহাজ ও সাবমেরিন-বিধ্বংসে পারদর্শী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা থাকবে। 

  • Rajnath Singh: এধরনের যুদ্ধজাহাজ আত্মনির্ভরতার প্রতীক, স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধনে বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: এধরনের যুদ্ধজাহাজ আত্মনির্ভরতার প্রতীক, স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধনে বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভ্যন্তরীণ হোক বা আন্তর্জাতিক— ভারত মহাসাগর অঞ্চলে যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে দেশের নৌসেনাকে। শুক্রবার কলকাতায় যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধনে এসে এমনটাই জানালেন রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বললেন, গোটা মহাসাগরীয় অঞ্চলে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। 

    গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স নির্মিত ভারতীয় নৌসেনার অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস দুনাগিরি’-র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ। তিনি বলেন, বিশ্বের পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। সেই অনুযায়ী, ভারতের পরিকাঠামো উন্নত করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমাগত প্রবর্তিত হচ্ছে। ভারত মহাসাগরীয় ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চান, দেশের জলসীমান্তকে সুরক্ষিত ও সংরক্ষিত রাখতে নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা ও পরিকাঠামো উন্নত থেকে উন্নততর করা হোক।

    আরও পড়ুন: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    রাজনাথ বলেন, এধরনের অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ভারতের আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এই জাহাজ ভারতের সক্ষমতা প্রমাণ করে। নৌসেনার শক্তি প্রদর্শন করে। তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার সংকল্প নিয়েছেন, তা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর ফলে, দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তন আসবে।  

    এদিন যে জাহাজের উদ্বোধন হল, তা প্রোজেক্ট ১৭-আলফা (Project 17-Alpha)-র অন্তর্গত। প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেটের নাম ‘আইএনএস নিলগিরি’। পি ১৭-এ (P-17A) ফ্রিগেট ঘরানার এটি হতে চলেছে চতুর্থ জাহাজ। এই প্রকল্পের আওকায় মোট সাতটি জাহাজ তৈরি হচ্ছে। জাহাজগুলি নির্মাণ করছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডক লিমিটেডে (MDL) ও কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (GRSE)। এর আগে, ২০২০ সালে প্রথম জাহাজ গার্ডেনরিচে তৈরি হওয়া এই প্রকল্পের দ্বিতীয় জাহাজ ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Himgiri) স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    রাজনাথের পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। তিনি বলেন, ভারতীয় জলসীমা সুরক্ষিত করার পাশাপাশি ভারতীয় নৌসেনার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হল দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করা। তিনি মনে করিয়ে দেন, এই যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৩ হাজার স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। 

LinkedIn
Share