Tag: Guinness World Record

Guinness World Record

  • Ayodhya Deepotsav: ২৬ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত সরযূ! দীপাবলিতে গিনেস বুকে জোড়া রেকর্ড অযোধ্যার

    Ayodhya Deepotsav: ২৬ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত সরযূ! দীপাবলিতে গিনেস বুকে জোড়া রেকর্ড অযোধ্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আলোয় আলোকিত অযোধ্যা (Ayodhya Deepotsav)। উত্তরপ্রদেশের পবিত্র শহর ইতিহাস গড়ল বিশ্বমঞ্চে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে অযোধ্যার দীপোৎসবে তৈরি হল এক নয়, দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। সরযূ নদীর দুই তীর সেজে উঠল ২৬ লক্ষ প্রদীপে। একসঙ্গে ২ হাজারেও বেশি মানুষ আরতি করলেন। দীপাবলিতে আগেও রেকর্ড গড়েছে উত্তর প্রদেশ। অযোধ্যায় সরযূ নদীর তীরে ধুমধাম করে পালিত হয় দীপোৎসব। জ্বালানো হয় লাখ লাখ প্রদীপ। গত বছরও গিনেস বুকে নাম তুলেছিল অযোধ্যা। এবার সেই রেকর্ড ভাঙল তারাই।

    গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ফের অযোধ্যা

    প্রতি বছরের মতো এবারও দেশ ও বিশ্বের নজর ছিল সরযূ নদীর তীরে। দীপ উৎসব (Deepotsav 2025) উপলক্ষে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রামকথা পার্কের মঞ্চে রামের প্রতীকী রাজ্যাভিষেক করেন। এরপর, রাম মন্দির পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম তলায় রাম দরবারের সামনে মাথা নত করে আশীর্বাদ গ্রহণ ও রামলালার পুজোর পর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী কমপ্লেক্সের প্রধান প্রবেশপথের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপোৎসবের উদ্বোধন করেন। দীপোৎসব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অযোধ্যার মানুষ ৫৬টি ঘাটে ২৬,১৭,২১৫টি প্রদীপ জ্বালিয়ে রেকর্ড গড়া হয়। প্রথম রেকর্ডটি ‘সবচেয়ে বেশি মানুষ একসঙ্গে প্রদীপ ঘোরানোর’ জন্য। দ্বিতীয়টি ‘সবচেয়ে বড় প্রদীপ প্রজ্বলন প্রদর্শনী’র জন্য। মাত্র ১৫ মিনিটে এতগুলি প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠে রামভূমির। এই ঐতিহাসিক আয়োজনের দায়িত্বে ছিল উত্তরপ্রদেশ পর্যটন দফতর, অযোধ্যা জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার।

    ভারতের আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতীক

    গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর অফিসিয়াল প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে এই অসাধারণ মুহূর্তের সাক্ষী থাকেন। তাঁরা রেকর্ডের প্রমাণ যাচাই করে উত্তরপ্রদেশ সরকারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি সার্টিফিকেট তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, “অযোধ্যা আজ শুধু আলোয় নয়, ভক্তিতে ও ঐতিহ্যে উজ্জ্বল। এটি ভারতের আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতীক।” এদিন সরযূ ঘাটে দাঁড়িয়ে লাখো দর্শক দেখেছেন এক অনন্য দৃশ্য যতদূর চোখ যায়, ততদূর পর্যন্ত সারি সারি প্রদীপ। এই দীপোৎসবে অংশ নেয় হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী, স্থানীয় বাসিন্দা, ছাত্রছাত্রী এবং তীর্থযাত্রী।

    ড্রোন শো থেকে আতশবাজির প্রদর্শনী, কড়া নিরাপত্তা

    সরযূ নদীর তীরে ২,১২৮ জন বেদাচার্যের উপস্থিতিতে মহাআরতির পরই মুখ্যমন্ত্রী যোগীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশ্বরেকর্ডের শংসাপত্র। তার আগে, অযোধ্যায় একটি ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১,১০০টি ড্রোনের মাধ্যমে আকাশে রামের প্রতিচ্ছবি তৈরি করা হয়। রাম কি পৌড়িতে আয়োজিত লেজার এবং ড্রোন শো ছিল দেখার মতো। চলে আতশবাজির প্রদর্শনী। অসাধারণ সেই দৃশ্য উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান রাস্তায়। রামায়ণ অভিনয় করে দেখানো হয়। রামলীলা অভিনয় করতে ৫টি দেশ থেকে শিল্পীরা এসেছিলেন। কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। অযোধ্যাকে ১৮টি জোন এবং ৪২টি সেক্টরে ভাগ করে ১০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয় ওই অঞ্চলে। পিএসি, আরএএফ, এটিএস, বিডিএস এবং স্থানীয় পুলিশ ছিল সর্বত্র। রাম কি পৌড়ি এবং রামপথের পাশের বাড়িগুলির ছাদে মোতায়েন করা হয় সশস্ত্র সেনা। অ্যান্টি-মাইন দল, ব্যাগেজ স্ক্যানার এবং ফায়ার ব্রিগেডও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

    বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রেও উজ্জ্বল অযোধ্যা

    উত্তরপ্রদেশ পর্যটন বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য অযোধ্যাকে বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রে আরও উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরা। তাদের মতে, দীপোৎসব আজ শুধুমাত্র এক ধর্মীয় আচার নয় এটি হয়ে উঠেছে এক বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। বিশেষজ্ঞদের মতে, অযোধ্যার দীপোৎসব এখন কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি ভারতের ‘সফট পাওয়ার’-এর প্রতীক যা বিশ্বে ভারতের ঐতিহ্য, ঐক্য ও ভক্তির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেন, “রাম রাজ্যের আদর্শে আমরা এগিয়ে চলেছি। এই দীপোৎসব বিশ্বকে দেখিয়েছে যে, বিশ্বাস ও ঐতিহ্য একসঙ্গে থাকলে ইতিহাস তৈরি হয়।”

  • Ladakh: বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরচালিত সড়ক নির্মাণে নিজেরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস তৈরি করল বিআরও

    Ladakh: বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরচালিত সড়ক নির্মাণে নিজেরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস তৈরি করল বিআরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের (বিআরও) ‘প্রজেক্ট হিমাংক’ আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করল। বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরচালিত সড়ক নির্মাণে নিজেরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (Guinness World Record) ভেঙে তৈরি করেছে এই ইতিহাস (Ladakh)। সংস্থার বিবৃতি অনুযায়ী, লেহ জেলার লিকারু-মিগ লা-ফুকচে সড়কপথে ১৯ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত মিগ লা পাসে সফলভাবে পৌঁছেছে বিআরওর দল, যা এর আগে উমলিং লা-এ থাকা ১৯ হাজার ০২৪ ফুটের রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    মিগ লা পাসে উড়ল তিরঙ্গা (Ladakh)

    উল্লেখ্য, স্থানীয় লাদাখি ভাষায় ‘লা’ শব্দের অর্থ ‘পাহাড়ি গিরিপথ’। লাদাখের প্রেক্ষাপটে “লা” শব্দটি তিব্বতি ভাষা থেকে এসেছে, যা স্থানীয় লাদাখিদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। “লাদাখ” নামটিও এসেছে এই “লা” (গিরিপথ) এবং “দাখ” (দেশ বা ভূমি)-এর সংমিশ্রণ থেকে, যার অর্থ দাঁড়ায় “উচ্চ গিরিপথের দেশ”। এই ঐতিহাসিক সাফল্যের খবর এল বুধবার, যখন প্রজেক্ট হিমাংকের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডিয়ার বিশাল শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন বিআরও দল মিগ লা পাসে পৌঁছে জাতীয় পতাকা এবং বিআরওর পতাকা উত্তোলন করেন।

    কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

    লিকারু থেকে মিগ লা পাস হয়ে ফুকচে গ্রাম পর্যন্ত এই সংযোগ কৌশলগত ও পরিকাঠামোগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি হানলে সেক্টর থেকে ইন্দো-চিন সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত ফুকচে সীমান্ত গ্রাম পর্যন্ত তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ হিসেবে কাজ করবে (Ladakh)। উল্লেখ্য, হানলে এমন একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার যেখানে নানান বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালিত হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কিছুদিন আগে এটি পরিদর্শন করেছিলেন।

    বিআরও বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতগিরিপথগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটিকে সংযুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বের ১৪টি সর্বোচ্চ মোটরচালিত গিরিপথের মধ্যে ১১টিই তাদের দ্বারা নির্মিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

    কৌশলগত গুরুত্বের বাইরে মিগ লা গিরিপথ লাদাখের পর্যটনে বড় ধরনের উন্নতি সাধন করবে বলেই আশা কর্তৃপক্ষের। বিআরও জানিয়েছে, সিন্ধু উপত্যকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপট ও পাস পর্যন্ত রোমাঞ্চকর যাত্রা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য অনন্য এক অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দেয়। যদিও এই পথ ভ্রমণকারীদের জন্য ভয়াবহ (Guinness World Record) চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি করে। এটি একইসঙ্গে অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দুঃসাহসিক অভিযানের অভিজ্ঞতা দেয় (Ladakh)।

  • Pariksha Pe Charcha: পরীক্ষা চাপ নয়, উৎসব! গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘পরীক্ষা পে চর্চা’

    Pariksha Pe Charcha: পরীক্ষা চাপ নয়, উৎসব! গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘পরীক্ষা পে চর্চা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র (Pariksha Pe Charcha) মুকুটে নতুন পালক। রেকর্ড সংখ্যক নাম নথিভুক্ত করিয়ে গিনেস বুকে নাম তুলে নিয়েছে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিকপ্রসূত এই উদ্যোগ শুরু হয় ২০১৮ সালে। চলতি বছর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র জন্য সাড়ে ৩ কোটির বেশি নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এই কারণেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ নাম উঠেছে এই উদ্যোগের। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর তরফে দিল্লিতে এই কথা ঘোষনা করেন ঋষি নাথ।

    মানসিক চাপ সরিয়ে পরীক্ষা শিক্ষার উৎসাহ

    কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র অষ্টম সংস্করণে এক মাসের মধেই ৩ কোটি ৫৩ লক্ষ নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩ কোটি ৫৩ লক্ষ নাম নথিভুক্ত হয়েছে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’-র জন্য। এছাড়াও টেলিভিশনের পর্দায় তা দেখেছেন ২১ কোটির বেশি মানুষ। এই অনুষ্ঠান পরীক্ষার মানসিক চাপ সরিয়ে পরীক্ষাকে শিক্ষার উৎসাহে পরিণত করেছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও চাপ ছাড়াই পরীক্ষায় বসতে পারে, তার জন্য এই পরীক্ষা পে চর্চা শুরু হয়। এখন তা দেশজুড়ে উৎসবের আকার নিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরীক্ষা পে চর্চাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড টিমকেও ধন্যবাদ জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।

    অভিনন্দন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    এই উদ্যোগের সফলতার জন্য পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবক, শিক্ষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি লেখেন, ‘এটি একটি রেকর্ড-ব্রেকিং কৃতিত্ব যা বিশ্বব্যাপী পড়ুয়াদের জন্য পরীক্ষার চাপ কমানোর ভূমিকা রেখেছে। এই জাতীয় একটি কর্মসূচি মানব সম্পদকে আরও উন্নত করার পথকে ত্বরান্বিত করে। এটি ভারতের জন্য সত্যিই গর্বের একটি দুর্দান্ত মুহূর্ত।’

    পরীক্ষা প্রেরণার উৎস

    প্রসঙ্গত, পরীক্ষা পে চর্চায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি পড়ুয়া, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব পরীক্ষা পে চর্চাকে একটি অনন্য উদ্যোগ বলে অভিহিত করেন যা শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের একত্রিত করে সুস্থতা এবং চাপমুক্ত শিক্ষার প্রচার করে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র অষ্টম সংস্করণটি অনেকগুলো ভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন, ছয় বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বক্সার মেরি কম এবং আধ্যাত্মিক নেতা সদগুরুর মতো ব্যক্তিত্বরা যোগ দিয়েছিলেন। শুনিয়েছিলেন তাঁদের লড়াইয়ের কথা, যা প্রেরণা দিয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের।

  • Mahakumbh: মহাকুম্ভে একসঙ্গে মহাস্বচ্ছতা অভিযান ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর, তৈরি হল বিশ্বরেকর্ড

    Mahakumbh: মহাকুম্ভে একসঙ্গে মহাস্বচ্ছতা অভিযান ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর, তৈরি হল বিশ্বরেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। মহা শিবরাত্রি পর্যন্ত ৬০ কোটি মানুষ এখানে পবিত্র স্নানে অংশগ্রহণ করবেন বলে অনুমান উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের। ঢেলে সাজানো হয়েছে কুম্ভ মেলার নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সমস্ত রকম ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে ঘন ঘন মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন করেছেন যোগী সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ১৪৪ বছর পরে সম্পন্ন হওয়া মহাকুম্ভ প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। যেমন গত সোমবারে মহাকুম্ভ স্পর্শ করে এক নয়া রেকর্ড। সোমবার, ১৫ হাজার সাফাই কর্মী একসঙ্গে মহাকুম্ভস্থল পরিষ্কার করতে মাঠে নামেন। আর এই ইভেন্টই নাম তুলে ফেলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। জানা গিয়েছে এর আগে এক সঙ্গে এত সাফাই কর্মীর স্বচ্ছ অভিযানের রেকর্ড (Guinness World Record) ছিল কুম্ভমেলারই। ২০১৯ সালে যে অর্ধ কুম্ভ হয়েছিল, তখন একসঙ্গে ১০ হাজার সাফাই কর্মী স্বচ্ছতা অভিযানে নামেন।

    লন্ডন থেকে এসেছিলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তারা

    এ নিয়ে প্রয়াগরাজের মেয়র গণেশ কেসারওয়ানি, মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আকাঙ্খা রানা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেন। প্রসঙ্গত, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তরফ থেকে লন্ডন থেকে পাঠানো হয় ঋষি নাথকে এবং তিনি এই মহাকুম্ভের ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর একসঙ্গে স্বচ্ছতা অভিযানকে খতিয়ে দেখেন।

    চারটি জায়গায় হয় স্বচ্ছতা অভিযান (Mahakumbh)

    প্রসঙ্গত, স্বচ্ছ মহাকুম্ভ অভিযান যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন সরকারের এক বড় পদক্ষেপ। এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতা অভিযান হিসেবে উঠে এল। এই স্বচ্ছতা অভিযানে (Mahakumbh) সাফাই কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদেরকে নির্দেশ দিতে দেখা যায় গঙ্গা সেবা দূত এবং সেক্টর এর দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের। সাফাই কর্মীদের এই স্বচ্ছতা অভিযান চলে মহাকুম্ভের দুই নম্বর সেক্টরের হেলিপ্যাডে, সালোরি নাগবাসুকি ক্ষেত্র, আড়াইল এবং ঝুন্সি ক্ষেত্রে।

    কী জানালেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী

    এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের শহর পরিকল্পনা ও শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী একে শর্মা জানিয়েছেন যে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) ইতিমধ্যে পরিণত হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্টে। এই এত বড় কর্মযজ্ঞের পিছনে আসল হিরো হলেন সাফাই কর্মীরা। তাঁরাই এবার সফল হলেন গিনেস ওয়ার্ল্ডে নাম তুলে।

  • Guinness World Record: ৩২ নয়, ৩৮টি দাঁতের অধিকারিণী হয়ে গিনেস রেকর্ডে ভারতীয় মহিলা

    Guinness World Record: ৩২ নয়, ৩৮টি দাঁতের অধিকারিণী হয়ে গিনেস রেকর্ডে ভারতীয় মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৮টি দাঁত নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে (Guinness World Record) নাম তুললেন এক ভারতীয় মহিলা। অনেকের মুখে অতিরিক্ত দু-একটা দাঁত থাকে। মেডিক্যালের ভাষায় একে হাইপারডোনটিয়া বা পলিডোনটিয়া বলা হয়। তাই বলে অতিরিক্ত ৬টি দাঁত! এ যেন এক অবাক করা কাণ্ড। বিশ্বের মোট ৩.৮ শতাংশ মানুষের অতিরক্ত দাঁতের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। দাঁতের গোঁড়ায় অঙ্কুর দাঁত থেকে অতিরিক্ত দাঁতের জন্ম হয় বলে জানা যায়।

    কে এই মহিলা (Guinness World Record)?

    সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মুখে ৩২টি দাঁত থাকে। কিন্তু ২৬ বছরের এই ভারতীয় মহিলার দাঁত অতিরিক্ত ৬টি দাঁত আরও ওঠায় মোট দাঁতের সংখ্যায় দাঁড়িয়েছে মোট ৩৮। সব থেকে বেশি দাঁতের অধিকারিণী হয়ে গিনেস বিশ্ব রেকর্ড (Guinness World Record) গড়েছেন তিনি। এই ভারতীয় মহিলার নাম কল্পনা বালান।

    ছোট বেলা থেকেই দাঁত উঠেছে

    গিনেস বিশ্ব রেকর্ড (Guinness World Record) অনুসারে সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্পনার মুখের ভিতরে নিচের চোয়ালে চারটি অতিরিক্ত দাঁত এবং উপরের চোয়ালে দুটি দাঁত অতিরক্ত দাঁত রয়েছে। তাঁর ছোটবেলা থেকেই দাঁত ওঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এরপর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দাঁতেরও বৃদ্ধি হতে থাকে। এই অতিরিক্ত দাঁতের কারণে তাঁর কোনও যন্ত্রণা বা ব্যথ্যার প্রকোপ নেই কিন্তু খাবর খওয়ার পর দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে যাওয়ার একটা সমস্যার রয়েছে। কল্পনা জানান, যখন তাঁর বাবা-মা এই দাঁতের বিষয়ে জানতে পেরেছিলেন, সেই সময় অবাকই হয়েছিলেন। অতিরিক্ত দাঁতগুলি তুলে ফেলার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু রাজি হননি কল্পনা। তবে ডাক্তার দাঁত তোলার বিষয়ে আরও সময় অপেক্ষার করার পরামর্শ দিয়ে ছিলেন। যদিও কল্পনা পরবর্তী সময়ে দাঁতগুলি পরিণত হওয়ার পরও তোলার বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাননি।

    কল্পনার বক্তব্য

    কল্পনা বালান নিজের দাঁত নিয়ে গিনেস বুকে (Guinness World Record) নাম তুলে বলেন, “আমি খুব আনন্দিত আমার এই দাঁতের জন্য। বিশ্ব রেকর্ডে নাম তোলাটা আমার কাছে সারা জীবনের একটি পুরস্কার স্বরূপ। তবে এখনও আরও দুটি দাঁত অপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যদি সেগুলি পরিপূর্ণতা পায় তাহলের রেকর্ডে দাঁতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।” 

    উল্লেখ্য, পুরুষদের মধ্যে অতিরিক্ত দাঁতের রেকর্ডে কানাডার ইভানো মেলোন নামে এক ব্যাক্তি ৪১টি দাঁত নিয়ে বিশ্ব গিনেসে নাম তুলেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NHAI Guinness Record: ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি মাত্র ১০৫ ঘণ্টায়! গিনেস বুকে নাম তুলল NHAI

    NHAI Guinness Record: ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি মাত্র ১০৫ ঘণ্টায়! গিনেস বুকে নাম তুলল NHAI

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গিনেস বুকে (Guinness World Records) নাম উঠল ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (National Highway Authority of India) বা সংক্ষেপে এনএইচএআই (NHAI)। পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে মাত্র ১০৫ ঘণ্টা। পাঁচ দিনেরও কম সময়ে ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি করে ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’— এ নাম উঠল NHAI-এর। এত কম সময়ে এই দীর্ঘ হাইওয়ে তৈরি করেছে বলেই রেকর্ড গড়েছে।

    দীর্ঘ ৭৫ কিমি হাইওয়ে তৈরির কাজ সফল হওয়ার কথা প্রথম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। তিনি বলেন, অমরাবতী (Amaravati) থেকে আকোলা (Akola) জেলার মধ্যে ৫৩ নম্বর জাতীয় সড়কে বিটুমিনাস কংক্রিটের (Bituminous concrete) ৭৫ কিলোমিটার রাস্তা ১০৫ ঘণ্টা এবং ৩৩ মিনিটে তৈরি করে গিনেস (Guinness) বুকে নাম উঠেছে NHAI-এর।  

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত হাইওয়ে তৈরির কাজ শেষ করার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড রয়েছে কাতারের (Qatar)। ১০ দিনে ২৫.২৭৫ কিলোমিটার একটি রাস্তা তৈরির রেকর্ড রয়েছে তাদের। সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর স্মরণে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) কর্তৃক ঘোষিত ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের’ (Azadi ka Amrut Mahotsav) তত্ত্বাবধানে এটি তৈরি করা হয়েছে।

    রাস্তা তৈরির কাজটি ৩ জুন সকাল ৭টা ২৭ মিনিটে শুরু হয়েছিল, যা ৭ জুন বিকেল ৫টায় শেষ হয়েছে। বিটুমিনাস কংক্রিট দিয়ে নির্মিত ৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এক-লেন বিশিষ্ট রাস্তাটি দুই লেন বিশিষ্ট ৩৭.৫ কিমি রাস্তার সমান। এর নির্মাণে প্রায় ১৫২০ জন কর্মীকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। গড়কড়ির মতে, এই রাস্তাটি কলকাতা, রায়পুর, নাগপুর, আকোলা, ধুলে, সুরাট শহরগুলিকে একত্রিত করবে। তিনি অবশেষে NHAI-এর ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার সংস্থা ও কর্মীদের প্রশংসা করেছেন এত বড় সাফল্যের জন্য।

    আরও পড়ুন:স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে কয়েনের বিশেষ সিরিজ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

LinkedIn
Share