Tag: Gujarat

Gujarat

  • West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শিল্প ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগামী রাজ্য (West Bengal Trade) ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু গত এক দশকে রাজ্য থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির ধারাবাহিক প্রস্থান (Companies exit from Bengal) এখন এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দশ বছরে ৬,৬৮৮টি সংস্থা তাদের রেজিস্টার্ড অফিস পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়েছে। চুপচাপ বড় বড় সংস্থা নিজেদের অফিস সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় কোনও প্রতিবাদও হয়নি তৃণমূল-শাসিত বাংলায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলি নিজেদের অফিস সরে নিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে। উদ্যোগপতিদের কথায়, ওই রাজ্যগুলিতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এবং নীতির স্থিতিশীলতা স্পষ্ট।

    ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো

    রাজ্যে (West Bengal Trade) পালা বদলের পর ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রহ সরকারের ক্ষমতায় আসার সময় থেকে শুরু হয় শিল্পপতির ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি। কিন্তু ২০১৫–১৬ থেকে ২০১৭–১৮ পর্যন্ত সময়টা হল সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এই তিন বছরে ২,৮১৪টি কোম্পানি রাজ্য ছেড়েছে। যা রাজ্য ত্যাগের মোট সংস্থার প্রায় ৪২ শতাংশ। ২০১৭–১৮ সালে সর্বাধিক ১,০২৭টি কোম্পানি রাজ্যছাড়া হয়, যা ছিল ইঙ্গিতবহ। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক দিক হল, ১০০-রও বেশি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যারা স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড, তারাও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ে। এরা কেবলমাত্র আর্থিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বহু মানুষের চাকরি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে জড়িত। এই সরে যাওয়া দেশের বিনিয়োগ-বাজারে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

    বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই ‘প্রেফার্ড ডেস্টিনেশন’

    পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যে সব সংস্থা (Companies exit from Bengal) চলে গিয়েছে, দেখা যায় তাদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই। মহারাষ্ট্র (১,৩০৮টি), দিল্লি (১,২৯৭টি) ও উত্তরপ্রদেশে(৮৭৯টি) সরে যায় সংস্থাগুলি। মোট ৩,৪৮৪টি কোম্পানি, প্রায় ৫২ শতাংশ, এই তিন রাজ্যেই সরে গিয়েছে। ছত্তিশগড়, গুজরাট, রাজস্থান, অসমের মতো রাজ্যগুলিও তালিকায় রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে শিল্পনীতির মধ্যে স্পষ্টতা, স্থায়িত্ব এবং বাস্তবায়নের ইচ্ছা রয়েছে। বিপরীতে, কংগ্রেস বা তৃণমূল-শাসিত রাজ্যগুলি বিনিয়োগের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ, বলেই মনে করছেন উদ্যোগপতিরা।

    প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তবতা

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি আসে। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ₹৩৯,১৩৩ কোটির বিনিয়োগে চতুর্থ স্থানে ছিল (IEM Part A), সেখানে বাস্তবায়িত বিনিয়োগে (IEM Part B) মাত্র ₹৩,৭৩৫ কোটি টাকা রাজ্যে এসেছে। এক বছরে আরও কমেছে—২০২৩ সালে যা ছিল ₹৪,৯৩০ কোটি। এই ব্যাপক ফারাক বিনিয়োগকারীদের (Companies exit from Bengal) আস্থাহীনতার স্পষ্ট প্রতিফলন। কথা আর কাজে বিরাট ব্যবধান শিল্পপতিদের দ্বিধাগ্রস্ত করছে।

    শিল্পোন্নয়ন-পরিকাঠামোয় পিছিয়ে পড়া রাজ্য

    পশ্চিমবঙ্গ এখনও ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ড ব্যাঙ্কের (India Industrial Land Bank) অংশ নয়, যেখানে দেশের ২,৮৮৪টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের তথ্য রয়েছে। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক অনীহা ও স্বচ্ছতার অভাবকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। এমনকি এফডিআই (বিদেশি বিনিয়োগ) ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য হয়েও ১১তম স্থানে রয়েছে, যা এক অদ্ভুত বৈপরীত্য তুলে ধরে।

    নীতির অস্পষ্টতা মূল সমস্যা

    শিল্পোন্নয়ন ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল সিঙ্গুর আন্দোলনের উত্তরাধিকার। টাটার ন্যানো কারখানা আটকে যাওয়ার পরে, তৃণমূল সরকার ‘হ্যান্ডস-অফ’ ভূমি নীতি গ্রহণ করে। ফলে রাজ্য (West Bengal Trade) শিল্পের জন্য জমি দিতে অস্বীকার করে এবং কোম্পানিগুলিকে হাজার হাজার জমির মালিকের সঙ্গে নিজেরা চুক্তি করতে হয়—যা বড় শিল্পপ্রকল্পের ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে ওঠে। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের এপ্রিলে, রাজ্য সরকার হঠাৎ করেই ১৯৯৩ সাল থেকে চালু থাকা আটটি শিল্প ভর্তুকি প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। ডালমিয়া ভারত ও বিরলা কর্পোরেশনের মতো কোম্পানি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৪৩০ কোটি টাকার বেশি দাবি আটকে গেছে।

    রাজনৈতিক ভাষণ দিয়ে উন্নয়ন হয় না

    রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থানের (Companies exit from Bengal) ঘাটতি বাড়ছে। দক্ষ পেশাজীবীরা রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপি (GSDP)-তে জাতীয় জিডিপি (GDP)-র অংশীদারিত্ব ১৯৬০–৬১ সালের ১০.৫% থেকে কমে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পতন কেবলমাত্র পরিসংখ্যান নয়, একটি বড় আঞ্চলিক অসাম্যের চিত্র। ৬,৬৮৮টি কোম্পানির রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। আজকের বিশ্বে শুধুমাত্র রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা দিয়ে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। বিনিয়োগের জন্য চাই স্থিতিশীল নীতি, জমির স্বচ্ছতা, এবং প্রশাসনিক সদিচ্ছা। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal Trade) অবস্থা থেকে বোঝা যায়, শাসনব্যবস্থা উন্নয়নবান্ধব না হলে, শিল্প আসবে না, কর্মসংস্থান হবে না, আর রাজ্য দীর্ঘমেয়াদে কেন্দ্রনির্ভর হয়ে পড়বে।

  • Al Qaeda: গুজরাটে গ্রেফতার আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত চার জঙ্গি

    Al Qaeda: গুজরাটে গ্রেফতার আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত চার জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে গ্রেফতার চার জঙ্গি। জানা গিয়েছে, এই চারজনই আল কায়েদার (Al Qaeda) সঙ্গে যুক্ত। জাল টাকা চালানোর কারবারের সঙ্গেও এরা জড়িত। বৈশ্বিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার মতাদর্শ ছড়ানোর কাজে লিপ্ত ছিল এই চারজন। গুজরাট (Gujarat) অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) তাদের গ্রেফতার করে। এটিএস জানিয়েছে, তিনজনকে গুজরাট থেকে গ্রেফতার করা হলেও, একজনকে ধরা হয়েছে অন্য রাজ্য থেকে।

    গুজরাটে ধৃত ৪ জঙ্গি (Al Qaeda)

    ধৃতেরা হল মহম্মদ ফায়েক, মহম্মদ ফারদিন, সেফুল্লাহ কুরেশি এবং জিশান আলি। সূত্রের খবর, ধৃতেরা সোশ্যাল মিডিয়া এবং সন্দেহজনক কিছু অ্যাপের মাধ্যমে আল কায়েদার মতাদর্শ প্রচার করছিল। তারা ব্যবহার করত ‘অটো-ডিলিট’ অ্যাপ। তাই তারা যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত কিংবা যেসব বিষয়ে কথাবার্তা বলাবলি করত, তার কোনও প্রমাণ থাকত না। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতে আল কায়েদার জাল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। গুজরাট এটিএসের কর্তারা জানিয়েছেন, এই চার অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত। তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এই চারজনের কথাবার্তায় রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপের ইঙ্গিত পাওয়ার পরই তারা নজরে পড়ে এটিএসের। গুজরাট এটিএস জানিয়েছে, তারা এখন অভিযুক্তদের চ্যাট ও সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে।

    গ্রেফতার হয়েছিল ৩ বাঙালিও

    প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে (Al Qaeda) এই গুজরাটেই আল কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল বাংলার তিন যুবককে। রাজকোটের সোনিবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের। গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা গ্রেফতার করেছিল তাদের। ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল এবং ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এই তিনজনও ইসলামপন্থী। এদের মধ্যে আবদুল শুকার আলি শেখ এবং সইফ নওয়াজ বর্ধমানের বাসিন্দা। আর আমন মালিকের বাড়ির হুগলির তারকেশ্বরে। সূত্রের খবর, বাংলার ওই তিন যুবক আট মাস ধরে রাজকোটের সোনি বাজারে থাকত। স্থানীয় যুবকদের মগজ ধোলাই করার চেষ্টা করত তারা।

    ২০২১ সালে মধ্যপ্রদেশে ধরা পড়ে আল কায়েদার জঙ্গি মডিউল। বাংলার ওই তিনজন সেই মডিউলের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি করেছিল গুজরাট পুলিশ। বাংলাদেশ থেকে গ্রেফতার (Gujarat) করা হয় আবু তালহা নামের এক হ্যান্ডলারকে। তাকে জেরা করেই বাংলার ওই তিনজনের হদিশ পায় গুজরাট পুলিশ (Al Qaeda)।

  • Indian Air Force: জারি নোটাম, গুজরাটে পাক সীমান্তের কাছে ফের শক্তি প্রদর্শন ভারতীয় বায়ুসেনার

    Indian Air Force: জারি নোটাম, গুজরাটে পাক সীমান্তের কাছে ফের শক্তি প্রদর্শন ভারতীয় বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে, আরব সাগর অঞ্চলে বড়সড় বিমান মহড়া পরিচালনা করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এই মহড়ার জন্য নোটাম (Notice to Airmen) জারি করা হয়েছে। এই মহড়া আজ, ২০ জুন ২০২৫ সকাল ১০:৩০ টায় শুরু হবে এবং শনিবার (২১ জুন) দুপুর ১২:৩০ পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য সামরিক বিমান সক্রিয়ভাবে উড়বে। করাচি আকাশসীমা এবং পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে এর প্রতিধ্বনি অনুভূত হতে পারে।

    কেন এই মহড়া?

    কেউ সুরক্ষিত নয়। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের আবহ। কয়েকদিন আগেই যুদ্ধ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকেও। সীমান্তের ওপার থেকে লাগাতার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করেছে ভারত। সংঘর্ষ বিরতি হলেও প্রতিরক্ষা শিথিল করছে না সরকার। বরং নিরাপত্তা আরও মজবুত করতেই বড় সিদ্ধান্ত। যুদ্ধ আবহের মাঝেই ফের বড় অ্যাকশনে নামছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বড়সড় বিমান মহড়া হচ্ছে পাকিস্তানের গা ঘেঁষেই। জানা গিয়েছে, গুজরাটে বায়ুসেনা বড় মাপের মহড়া চালানো হচ্ছে বিভিন্ন যুদ্ধবিমান নিয়ে। একেবারে পাকিস্তানের সীমান্ত ঘেষেই উড়ছে সুখোই, রাফালের মতো যুদ্ধবিমানগুলি। এই মহড়ার জন্য ইতিমধ্যেই নোটাম জারি করা হয়েছে।

    নোটাম (NOTAM) কী?

    নোটাম (NOTAM) হল একটি নোটিস যা পাইলট, বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক এবং বিমানের সাথে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের বিমান (Indian Air Force) ভ্রমণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। NOTAM এর উদ্দেশ্য হল বিমান ভ্রমণকে নিরাপদ করা। এর মাধ্যমে, বিমানবন্দর, আকাশসীমা বা অন্যান্য বিমান চলাচলের সুবিধাগুলিতে যেকোনো অস্থায়ী পরিবর্তন বা বিপদ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়। যখন বায়ুসেনার মহড়া চলবে, তখন ওই আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে না অন্য কোনও বিমান। এই তথ্য জানাতেই জারি করা হয়েছে নোটাম। এই তথ্য টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে দেওয়া হয় যাতে ফ্লাইট পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিকভাবে এটি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাদের ফ্লাইট পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে পারেন। এটি রিয়েল-টাইম ডেটা সংগ্রহ করে বিমানবন্দর অপারেশন বা এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC) কে দেয়। উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর একাধিকবার এমন মহড়া দিয়েছে বায়ুসেনা। কখনও রাজস্থানের সীমান্ত, কখনও জম্মু-কাশ্মীর। এবার গুজরাটের সীমান্তবর্তী এলাকায় মহড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বায়ুসেনা।

  • Smart City: ভুয়ো কোম্পানি খুলে ২,৬৭৬ কোটি টাকার প্রতারণা, দুই ভাইয়ের খোঁজে হন্যে পুলিশ

    Smart City: ভুয়ো কোম্পানি খুলে ২,৬৭৬ কোটি টাকার প্রতারণা, দুই ভাইয়ের খোঁজে হন্যে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেক্সা এভারগ্রিনকাণ্ডে ২ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। স্বল্প বিনিয়োগে বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ এবং ফ্ল্যাটের টোপ দিয়ে ৭০ হাজার মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ (Smart City) রাজস্থানের (Rajasthan) সুভাষ বিজারানি এবং রণবীর বিজারানির বিরুদ্ধে। এই দুই ভাইয়ের খোঁজে হন্যে পুলিশ।

    ভুয়ো সংস্থা (Smart City)

    জানা গিয়েছে, নেক্সা এভারগ্রিন নামে একটি ভুয়ো সংস্থা খোলে বিজারানি ভ্রাতৃদ্বয়। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলা রুজু করেছিল রাজস্থান পুলিশ। তার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি গুজরাট ও রাজস্থানের ২৪টি জায়গায় এক সঙ্গে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। তার পরেই ফাঁস হয়ে যায় বিজারানি ভাইদের কীর্তিকলাপ। জানা গিয়েছে, বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ ও গুজরাটের ঢোলেরা শহরে স্মার্ট সিটি প্রজেক্টে জমি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লগ্নিকারী ও আমানতকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন বিজারানি ভ্রাতৃদ্বয় ও তাদের শাগরেদরা। কয়েক বছর আগে সীকর জেলার বাসিন্দা ওই দুই ভাই ভুয়ো কোম্পানিটি খোলেন। তার পরেই পাতা হয় ফাঁদ। যে ফাঁদে ধরা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন ৭০ হাজার মানুষ। অভিযোগ, অন্যের হাউসিং প্রজেক্টের ছবি দেখিয়ে বিজারানি ভাইয়েরা দাবি করে, এগুলিই তাদের আগামী দিনের প্রকল্প।

    ফ্ল্যাট এবং জমির টোপ

    তুলনামূলকভাবে সস্তায় ভালো মানের ফ্ল্যাট এবং জমির লোভে প্রচুর মানুষ বিনিয়োগ করতে থাকেন এই দুই ভাইয়ের সংস্থায়। শুধু জমি-বাড়িই নয়, স্বল্প বিনিয়োগে বড় লভ্যাংশের টোপও দেওয়া হয়েছিল বিনিয়োগকারীদের। অভিযোগ (Smart City), এভাবে এজেন্টদের দিয়ে ২ হাজার ৬৭৬ কোটি তোলে ওই সংস্থা। এজেন্টদের কমিশন বাবদ দেওয়া হয় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। এরপর প্রতারণার অর্থে অভিযুক্ত সহোদররা কেনে ১৩০০ বিঘে জমি। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা গত কয়েক বছরে দামি দামি গাড়ি কিনেছে। রাজস্থানে হোটেল করেছে। আমেদাবাদ এবং গোয়ায় অন্তত ২৫টি রিসর্ট গড়েছে। নগদে নেওয়া ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানিতে। তার পর আচমকাই ঝাঁপ ফেলে দেওয়া হয় নেক্সা এভারগ্রিনের।

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও গুজরাট সরকার যৌথভাবে তৈরি করছে ঢোলেরা স্মার্ট সিটি। এই প্রকল্পটি (Rajasthan) হতে চলেছে ভারতের বৃহত্তম গ্রিনফিল্ড স্মার্ট সিটি (Smart City)।

  • Air India Plane Crash: ‘‘ঈশ্বরই রেখেছেন, নইলে…’’! বিশ্বাসই হচ্ছে না বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রীর

    Air India Plane Crash: ‘‘ঈশ্বরই রেখেছেন, নইলে…’’! বিশ্বাসই হচ্ছে না বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাখে হরি মারে কে! এই কথা ফের একবার সত্য প্রমাণিত হল আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় (Air India Plane Crash)। বিশ্বাসকুমার রমেশ, এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত এআই১৭১ বিমানের একমাত্র যাত্রী, যিনি বেঁচে রয়েছেন। প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বাসকুমার রমেশ নামে ওই যাত্রী জানালেন, এয়ার বিমানটি ওড়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে। একটা জোরালো শব্দ হয়। তার পরেই বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, বিমান দুর্ঘটনায় সম্ভবত সকল আরোহীই নিহত। কিন্তু পরে আমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএ মালিক জানান, এক জন জীবিত রয়েছেন। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পেয়েছে। ১১এ আসনের ওই যাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    চারপাশে শুধুই মৃতদেহ

    বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ, গুজরাটের মেঘানিনগরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানটি (Air India Plane Crash)। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টেক অফের ৪ মিনিটের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। ১.২৫ লক্ষ লিটারেরও বেশি জ্বালানি ছিল তখন বিমানে। বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ার পরই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে জ্বলে যান সকলে। বছর চল্লিশের রমেশ লন্ডনেই থাকেন। গুজরাটে এসেছিলেন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। গতকাল দাদা অজয় কুমার রমেশের সঙ্গে তিনি লন্ডনে ফিরে যাচ্ছিলেন। সেই যাওয়া আর হয়নি। রমেশ বসেছিলেন জানলার ধারে ১১এ সিটে। ইমার্জেন্সি এক্সিটের ঠিক পাশেই বসায়, বিমানটি ভেঙে পড়তেই ছিটকে বেরিয়ে যান বিশ্বাস। তাতেই রক্ষা পান। রক্ষা পাননি দাদা। তবে ২৪২ জনের মধ্যে একমাত্র তিনিই বেঁচে, এ কথা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। হাসপাতালের বিছানা থেকে শুয়ে দুর্ঘটনার পরের মুহূর্ত বর্ণনা করে তিনি বলেন, “আমার চারপাশে শুধু মৃতদেহ ছিল। বিমান টুকরো টুকরো হয়ে আমার চারিদিকে পড়েছিল। হঠাৎ কেউ একজন আমায় টেনে তুলল আর অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে গেল।”

    ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম

    গুজরাটের সিভিল হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রমেশ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর বুক, চোখ ও পায়ে আঘাত রয়েছে। এমন বিপর্যয় ঘটতে চলেছে, তা কি বিমানে বসে আঁচ করতে পেরেছিলেন রমেশ? উত্তরে তিনি বলেন, “টেক অফের ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে জোরে একটা শব্দ হয়। তারপরই প্লেন (Air India Plane Crash) ক্র্যাশ হয়ে গেল। সব কিছু এত তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। বুঝতেই পারিনি। যখন জ্ঞান ফেরে, উঠে দেখি, চারদিকে ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে রয়েছে লাশ। ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। উঠে দাঁড়ানোর পরেই পালাতে শুরু করেছিলাম আমি। সেই সময় কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেন। তার পর ওই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”

    ডিএনএ নমুনার প্রয়োজন

    বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু। তিনি জানিয়েছিলেন, বিমানের সকল আরোহীই নিহত দুর্ঘটনায় (Air India Plane Crash)। ঠিক তার পরেই সংবাদ সংস্থা এএনআই আমেদাবাদের সিপিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গোটা ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন এক জনই। সিপি বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। যে হেতু লোকালয়ে বিমান ভেঙে পড়েছে, তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’’ বিমানটি যে বহুতলে ভেঙে পড়েছে, সেটি ছিল বিজে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের হস্টেল। স্থানীয়দের দাবি, ওই হস্টেলে থাকেন ৫০ জন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ায় ওই হস্টেলের পাঁচ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া গোটা বিমানের ভিতরে থাকা যাত্রীদের দেহের এতটাই খারাপ অবস্থা যে শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনার প্রয়োজন। তাই যাত্রীদের পরিবারের কাছে ডিএনএ নমুনা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

  • PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে ফের একবার দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে এমনটা আমাদের করতেই হবে।’’ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন গুজরাটের গান্ধীনগরে। সেখানে একটি সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর শক্তি প্রতিফলিত হয়েছে অপারেশন সিঁদুরে। এখন সময় এসেছে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করার।’’ প্রতিটি নাগরিককে জাতির উন্নয়নে অংশীদার হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমরা যদি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে চাই এবং আমাদের অর্থনীতিকে বিশ্বের চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে বিদেশি পণ্যের ওপর আমরা নির্ভর করব না।’’ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘এভাবেই গ্রামের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে হবে যে তাঁরা যেন বিদেশি পণ্য বিক্রি না করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের গণেশ মূর্তিও বিদেশ থেকে আসে। হোলির রং-ও আমাদের বাইরে থেকে আসে।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘একজন নাগরিক হিসেবে আপনারা তালিকা তৈরি করুন। নিজেদের বাড়িতে যান এবং ২৪ ঘণ্টায় আপনি কতগুলি বিদেশি পণ্য ব্যবহার করেন, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন যে চুলের কাঁটা থেকে চিরুনি সবটাই বিদেশে তৈরি।’’

    এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য (Indian Made Goods)

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি ভারতকে আত্মনির্ভরভাবে গড়ে তুলতে চাই, ভারতকে উন্নত করতে চাই, তাহলে এটা কেবল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব নয়। এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘ওয়ান ডিসট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট, ভোকাল ফর লোকাল-এই সরকারি কর্মসূচিগুলো দেশীয় পণ্যের ব্যবহারকেও বৃদ্ধি করবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, মেড ইন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ডের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই গর্ব হওয়া উচিত।’’

  • PM Modi: ‘‘শান্তিতে দিন কাটাও, রুটি খাও, নয়তো আমার গুলি তো আছেই’’! পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    PM Modi: ‘‘শান্তিতে দিন কাটাও, রুটি খাও, নয়তো আমার গুলি তো আছেই’’! পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ফের এক বার পাকিস্তানকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিন কয়েক আগেই রাজস্থানের বিকানের থেকে পাকিস্তানকে (India Pakistan) নিশানা করেছিলেন মোদি। এবার গুজরাটের (Gujarat) ভুজ। প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাতে সে দেশের জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে! পাকিস্তানকে হয় শান্তি বেছে নিতে হবে, নয়তো তাঁর ‘গুলি’ প্রস্তুত রয়েছে। সোমবার গুজরাটে ‘রোড শো’ থেকে জনসভা— একাধিক কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    ভারত পর্যটনে বিশ্বাসী, পাকিস্তানে সন্ত্রাসই ব্যবসা

    ভুজের (Bhuj) জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘ভারত পর্যটনে বিশ্বাস করে। কিন্তু পাকিস্তান (India Pakistan) সন্ত্রাসবাদকেই পর্যটন হিসাবে বিবেচনা করে, যা বিশ্বের জন্য খুবই বিপজ্জনক। আমি পাকিস্তানের জনগণের কাছে জানতে চাই, কী অর্জন করেছে তাঁদের দেশ? আজ ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। সেখানে আপনাদের (পাকিস্তান) অবস্থা কোথায়?’’ পাক নাগরিকদের উদ্দেশে মোদির বার্তা, ‘‘যারা সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ দিচ্ছে, তারাই আপনাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিয়েছে!’’ পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদ আর পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে হামলার পর আমি ১৫ দিন অপেক্ষা করেছিলাম। আমি আশা করেছিলাম, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান। কিন্তু সব দেখে মনে হচ্ছে, সন্ত্রাসই তাদের রুটিরুজি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) ছিল সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাতেই।’’ সাম্প্রতিক সময়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার সামরিক অস্থিরতার প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘৯ মে রাতে পাকিস্তান যখন ভারতের নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল, তখন আমাদের সেনাবাহিনী দ্বিগুণ শক্তি দিয়ে তার জবাব দেয়। ধ্বংস করে ওদের (পাকিস্তান) বিমানঘাঁটি।’’

    পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম দায়িত্বশীল হোক

    শুধু ভুজ নয়, গুজরাটের দাহোদের জনসভা থেকেও সন্ত্রাসবাদ এবং পাকিস্তান নিয়ে মুখ খোলেন মোদি। পাকিস্তানকে (India Pakistan) সন্ত্রাসবাদীদের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে সে দেশের জনগণের দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। মোদির হুঁশিয়ারি, ‘‘সন্ত্রাসবাদের মতো রোগ থেকে পাকিস্তানকে মুক্ত করতে, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সে দেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। শান্তিতে জীবন কাটাও, রুটি খাও। নয়তো আমার গুলি তো আছেই। যারা সিঁদুর মুছে দিতে আসবে, তাদেরও মুছে যেতে হবে, এটা নিশ্চিত। যারা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে, তারা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি, মোদির সঙ্গে মোকাবিলা করা কতটা কঠিন!’’

  • PM Modi: “আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দিলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত,” গুজরাটে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দিলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত,” গুজরাটে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি কেউ আমাদের বোনেদের সিঁদুর (Operation Sindoor) মুছে দেয়, তাহলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত।” সোমবার গুজরাটে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর এই প্রথম নিজের রাজ্য গুজরাটে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দাহোদের জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি খানিকক্ষণ হাঁটলেন স্মৃতির সরণী বেয়ে। গুজরাটবাসীকে অভিবাদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ২৬ মে। ২০১৪ সালে এই দিনেই আমি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করি। প্রথমে গুজরাটের মানুষ আমায় আশীর্বাদ করেন, তারপর কোটি কোটি ভারতীয় আমায় আশীর্বাদ করেন।”

    গুজরাট সফরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    দু’দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সফর শুরু হয়েছে রোড-শো দিয়ে। এক কিলোমিটার পথ রোড-শো করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে দেখতে ঢল নামে জনতার। গুজরাটবাসী অভিবাদন জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। প্রতিনমস্কার জানান তিনিও। এই ভিড়ের মধ্যেই ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশির পরিবারও। প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে আপ্লুত তাঁরা। কুরেশি ভাদোদরার বাসিন্দা। এদিনের রোড-শোয়ে উপস্থিত ছিলেন সোফিয়ার বাবা-মা, ভাই মহম্মদ সঞ্জয় কুরেশি এবং বোন শায়না সুনসারাও। সোফিয়ার মা হালিমা কুরেশি বলেন, “আমরা তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছি। সবাই এক সঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানাতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। তিনি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানানো আমাদের কর্তব্য।” তিনি বলেন, “সোফিয়া কেবল আমাদের মেয়ে নয়, ও আমাদের দেশের মেয়ে (PM Modi)।”

    অপারেশন সিঁদুর কেন?  

    এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চিন্তা করুন, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, তারপর কী আর ভারত চুপ করে বসে থাকতে পারে? কী, মোদি কি চুপ করে বসে থাকতে পারে?” এর পরেই তিনি বলেন, “যদি কেউ আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দেয়, তাহলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত। তাই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) শুধুমাত্র একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি ভারতীয়দের সংস্কৃতি এবং আমাদের অনুভূতির প্রকাশ। সন্ত্রাসবাদীরা ১৪০ কোটি ভারতীয়কে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তাই মোদি সেটাই করেছে, যার জন্য দেশবাসী আমায় প্রধান সেবকের দায়িত্ব দিয়েছে।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশ এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অকল্পনীয় ও অভূতপূর্ব। দেশ কয়েক দশকের পুরানো শৃঙ্খল ভেঙে দিয়েছে। ১৪০ কোটি ভারতীয় বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন (PM Modi)।”

  • Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Gujarat Man Arrested) অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক। পড়শি দেশে পাকিস্তানের চরের জাল যে সর্বত্র বিছানো, তার প্রমাণ মিলল ফের। শনিবার গুজরাটের কচ্ছ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Pakistan) স্থানীয় যুবক সহদেব সিং গিলকে। এটিএসের (সন্ত্রাস দমন) হাতে ধৃত সহদেব পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।

    মহিলাকে তথ্য পাচার করত ওই স্বাস্থ্যকর্মী! (Gujarat Man Arrested)

    আরও অভিযোগ, এক তরুণী চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার গোপন তথ্য পাচার করত সে। গুজরাট এটিএসের এসপি কে সিদ্ধার্থ জানান, পাক চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার বিষয়ে সংবেদনশীল তথ্য পাচারের জন্য ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ মে সহদেবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে জানিয়েছিল ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাস নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে সে জানতে পেরেছিল ওই মহিলা আদতে পাকিস্তানি গুপ্তচর। তার পরেও তার সঙ্গে সে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল

    জেরায় সহদেব দাবি করেছে, বিএসএফ এবং নৌসেনার ঘাঁটি, অন্যান্য নির্মাণের ছবি, ভিডিও তুলে তাকে পাঠাতে বলেছিল অদিতি, বিশেষত নতুন তৈরি হওয়া বা নির্মীয়মাণ ঘাঁটির ছবি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সে অদিতিকে ওই সব ছবি, ভিডিও পাঠাত। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে নিজের আধার কার্ডের নথি দিয়ে মোবাইলের একটি সিমকার্ড কিনেছিল সহদেব। পরে হোয়াটসঅ্যাপও চালু করেছিল (Gujarat Man Arrested)। সেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই সে অদিতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ। পাঠাত ছবি, ভিডিও-ও। অপরিচিত একজনের কাছ থেকে এজন্য সে ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল। সহদেবকে কে টাকা দিয়েছিল, তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সহদেবের মোবাইল।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে (Pakistan)। এদের বেশিরভাগই হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল গুজরাটের নামও (Gujarat Man Arrested)।

  • Amit Shah: গান্ধীনগরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: গান্ধীনগরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচিত হয়েছেন গুজরাটের (Gujarat) গান্ধীনগর থেকে। সেই গান্ধীনগরে বস্তুত উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার তিনি গান্ধীনগর শহর ও জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। প্রকল্পগুলির মোট মূল্য ৭০৮ কোটি টাকারও বেশি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।

    কী বলছে সরকারি বিবৃতি? (Amit Shah)

    সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, গান্ধীনগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন একাই ২০০.৯৪ কোটি টাকার নাগরিক ও পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে। নতুন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে ৩৫২.৭৬ কোটি টাকার। গান্ধীনগর জেলা প্রশাসন সম্পন্ন করেছে ৪৫.৭০ কোটি টাকার কাজ। গান্ধীনগর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজ করেছে ১০৭.৮৫ কোটি টাকার। এদিন উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বাসান, পালাজ ও পোর অঞ্চলে আরসিসি এবং সিসি রোড, ভাভোল ও পেঠাপুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সিএইচ-০ থেকে জিএইচ-০ মিউনিসিপ্যাল করিডরে ল্যান্ডস্কেপিং ইত্যাদি।

    গুচ্ছ প্রকল্প

    অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে ছিল বরিজ ও কোলাভাদা-সহ বিভিন্ন এলাকায় পয়ঃপ্রণালী নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ পাইপলাইন স্থাপন, টাউন প্ল্যানিং এরিয়া উন্নয়নমূলক কাজ যার মূল্য ৭৫.০৮ কোটি টাকা, ভাট এলাকায় একটি পয়ঃশোধনাগার স্থাপন এবং সেক্টর ২১ ও ২২-এর মধ্যে একটি সড়ক আন্ডারপাস নির্মাণ। অতিরিক্ত পরিকাঠামোর মধ্যে রয়েছে সৌর প্যানেল ও রাস্তার আলোর ব্যবস্থা, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ও পরীক্ষাগার উন্নয়ন (Amit Shah)।

    যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে, সেগুলি হল খোরাজ, কোবা, রান্ধেজা এবং সরগাসনে রাস্তা নির্মাণের কাজ, সেক্টর ৭, ২১, ২২ ও ঢোলাকুয়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ, নবহোই ও ডাভোলে জল ও ড্রেনেজ লাইনের কাজ এবং কোলাভাদা রায়সান ও নবহোইতে তিনটি নয়া পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ। পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল দুটি নয়া জোনাল অফিস নির্মাণ, অঙ্গনওয়াড়ি সংস্কার, শহরজুড়ে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, কুদাসন ও আমিয়াপুরে কমিউনিটি হল, ইন্দ্রোডায় গুজরাট দর্শন পার্ক, রিচার্জ ও টিউবওয়েল স্থাপন, টিপি-০৯ এলাকায় একটি নয়া ইলেকট্রিক বাস ডিপো (Gujarat) এবং বিভিন্ন সেক্টরে ক্রিকেট বক্স স্থাপন ও কাম্পাউন্ড ওয়াল নির্মাণ (Amit Shah)।

LinkedIn
Share