মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রঙের বদলে বারুদ দিয়ে হোলি খেলার রীতি রয়েছে রাজস্থানের (Rajasthan) এই গ্রামে। ৫০০ বছর ধরে এমন ঐতিহ্য চলে আসছে রাজস্থানের উদয়পুর জেলার মেনার গ্রামে। রঙ দিয়ে নয় বরং আতশবাজি, কামানের গোলা এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে উদযাপন করা হয় হোলি। এই হোলি বারুদ হোলি (Gunpowder Holi) নামে পরিচিত। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মুঘলদের পরাজিত করার পর গ্রামের মানুষজন এভাবেই তাঁদের জয়ের আনন্দে মেতেছিলেন।
কী বলছেন গবেষক?
এনিয়ে গবেষক চন্দ্রশেখর শর্মা বলেন, ‘‘মহারাণা প্রতাপ মুঘল বাহিনীর বিরুদ্ধে হলদিঘাটির যুদ্ধ শুরু করেন। সেইসময় তিনি মেওয়ারের প্রতিটি মানুষকে আত্মসম্মান ও সাহসিকতা শিক্ষা দিয়েছিলেন। এর পরে, মহারাণা প্রতাপের পুত্র অমর সিংহের নেতৃত্বে চলে মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই। সেসময় মেনারের কাছে একটি মুঘল শিবির (Rajasthan) ছিল। গ্রামবাসীরা সেখানে আক্রমণ করে এবং মুঘল সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে। তারপর থেকেই এভাবেই পালিত হয়ে আসছে হোলি। রঙ নয় বারুদের হোলি।’’
বীরত্বের গানের মধ্য দিয়েই পালিত হয় এই উৎসব (Rajasthan)
হোলির (Rajasthan) এক সপ্তাহ আগে থেকেই এই গ্রামে শুরু হয়ে যায় উৎসব। হোলির আর কয়েকদিন বাকি। এখন থেকেই সারারাত গ্রামে কামান, আতশবাজি এবং আগ্নেয়াস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছে।এনিয়ে গবেষক চন্দ্রশেখর শর্মা বলেন, ‘‘মেনার গ্রামের মানুষ এই উৎসবের জন্য সারাবছর অপেক্ষা করে থাকে। আশেপাশের প্রচুর মানুষজন এখানে হোলির উদযাপন দেখতে আসেন।’’ সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও জানান, বীরত্বের গানের মধ্য দিয়েই পালিত হয় এই উৎসব।
উদয়পুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল এই গ্রাম
উদয়পুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল এই মেনার গ্রাম। হোলির সাতদিন আগে থেকেই রাত ৯টার পর, সমস্ত গ্রামবাসী প্রাচীন ভারতীয় সৈন্যদের পোশাক এবং ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানী পোশাক পরেন। এরপরেই শুরু হয় শোভা যাত্রা (Rajasthan)। প্রথা অনুযায়ী থাকে সঙ্গে থাকে বন্দুক এবং তরোয়ারি।