Tag: Guru

  • Guru Purnima 2025: আজ গুরুপূর্ণিমা, জানেন দিনটির তাৎপর্য? পালনই বা করেন কারা?

    Guru Purnima 2025: আজ গুরুপূর্ণিমা, জানেন দিনটির তাৎপর্য? পালনই বা করেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার, গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025)। ফি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিটি গুরুপূর্ণিমা হিসেবে পালিত (Rituals) হয়। সংস্কৃতে ‘গু’ শব্দের অর্থ ‘অন্ধকার’। ‘রু’ শব্দের অর্থ দূর করা। তাই ‘গুরু’ শব্দের অর্থ হল, ‘যিনি আমাদের মনের অন্ধকার দূর করেন’। গুরু আমাদের আত্মোপলব্ধি করতে সাহায্য করেন। এক অর্থে তাই গুরুপূর্ণিমা আসলে নিজেকে চেনার দিন। কেবল হিন্দুধর্ম নয়, বৌদ্ধধর্ম এবং জৈনধর্মেও গুরুপূর্ণিমার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। বিশ্বের যে প্রান্তেই এই তিন ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকজন রয়েছেন, তাঁরাই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন দিনটি। গুরুপূর্ণিমা পালন করেন শিখেরাও।

    গুরুপূর্ণিমার তিথি (Guru Purnima 2025)

    হিন্দুদের একটি অংশ আদিগুরু মানেন মহর্ষি বেদব্যাসকে। এই তিথিতেই জন্ম হয়েছিল তাঁর। তাই গুরুপূর্ণিমাকে অনেকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলেন। এই ব্যাসদেব মহাভারতের রচয়িতা। বৈদিক জ্ঞানকে তিনিই ঋক, সাম, যর্জু এবং অথর্ববেদের চারটি খণ্ডে লিপিবদ্ধ করেন। এ বছর গুরুপূর্ণিমার তিথি শুরু হবে ১০ জুলাই, রাত ১টা ৩৬ মিনিটে, পূর্ণিমা ছাড়বে ১১ জুলাই রাত ২টো ৬ মিনিটে। হিন্দুদের বিশ্বাস, গুরুপূর্ণিমার দিনটি যে কোনও বিশেষ কাজ শুরু করার জন্য শুভ। এদিন বাড়িতে যে কোনও শুভ কর্ম করলে গৃহের উন্নতি হয়। ধর্মীয় কাজের জন্যও দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    শিবের দক্ষিণামূর্তি রূপ গুরুমূর্তি

    হিন্দুদের আর একটি মতে, শিবের দক্ষিণামূর্তি রূপকে গুরুমূর্তি বলা হয়। ব্রহ্মা-বিষ্ণু এবং সপ্তঋষি এই দিনটিতে মহাদেবের কাছ থেকে পরম জ্ঞান লাভ করেন। তাই শিবই হলেন আদি গুরু। হিন্দুদের পাশাপাশি দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন বৌদ্ধরাও। কথিত আছে, বুদ্ধদেব নৈরঞ্জনা নদীর তীরে বোধিবৃক্ষের নীচে বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পাঁচ সপ্তাহ পরে বুদ্ধগয়া থেকে সারনাথে চলে যান। সেখানে তিনি তাঁর পাঁচ পুরানো সঙ্গীকে প্রথম তাঁর বাণী প্রদান করেন। কারণ, বুদ্ধদেবের মনে হয়েছিল, ওই পাঁচজন তাঁর ধর্মের বাণী সহজে বুঝতে এবং আত্মস্থ করতে পারবেন। এই দিনটিতেই তিনি তাঁদের সেই জ্ঞান দিয়েছিলেন। তার ফলে ওই পাঁচজনও বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হন গুরুপূর্ণিমা তিথিতেই। বৌদ্ধরা অষ্টাঙ্গিক মার্গ পালন করেন। এই দিনে তাঁরা বিপাসনা পদ্ধতির মাধ্যমে সাধনা করেন গুরু নির্দেশিত পথে। নেপালে এই দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। এই দিনটি সে দেশে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। এদিন শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের উপাদেয় খাবার, মালা এবং দেশীয় কাপড় দিয়ে তৈরি টপি নামক এক বিশেষ টুপি দিয়ে শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানান (Rituals)।

    গুরুপূর্ণিমা পালন করেন জৈনরাও

    গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025) মর্যাদার সঙ্গে পালন করেন জৈনরাও। তাঁরা এই দিনটিকে পালন করেন ট্রিনোক গুহ পূর্ণিমা হিসেবে। জৈন ঐতিহ্য অনুসারে এই দিনে চতুর্মার শুরুতে চার মাসের বর্ষাকালের পশ্চাদপসরণে ভগবান মহাবীর চব্বিশতম তীর্থঙ্কর কৈবল্য প্রাপ্তির পর ইন্দ্রভূতি গৌতমকে, পরে গৌতম স্বামী নামে পরিচিত, একজন গণধরা, তাঁর প্রথম শিষ্য, এভাবেই তিনি নিজেই একজন ট্রিনোক গুহ হয়ে ওঠেন।

    ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন সিংহলিরা

    সিংহলিরা এই  দিন থেকে ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন, তাঁদের ক্যালেন্ডারে যখন বর্ষা আসে সেই অনুযায়ী। আর তাইল্যান্ডের বৌদ্ধরা একে বলেন ফানসা। জুলাই থেকে অক্টোবর অবধি শ্রদ্ধার সঙ্গে ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন তাঁরা। ভিয়েতনাম, তিব্বত এবং কোরিয়ার বেশ কিছু বৌদ্ধ গোষ্ঠী এই সময় এক স্থান থেকে অন্যত্র যান না। মায়ানমারেও অনেকেই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন গুরু পূর্ণিমা।

    গুরুপূর্ণিমা পালন করেন শিখেরাও

    গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025) পালন করেন শিখ ধর্মাবলম্বীরাও। এটি গুরু বা শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন। শিখ ধর্মে গুরু বা শিক্ষককে ঈশ্বরের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গুরু পূর্ণিমার দিন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এদিন গুরুদের কাছ থেকে জ্ঞান ও নির্দেশনা লাভের জন্য প্রার্থনা করা হয় (Rituals)। শিখদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হল গুরুপূর্ণিমা। এদিন থেকেই গুরুদের দেখানো পথে চলতে প্রাণিত হন শিখেরা। গুরু পূর্ণিমা শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধির একটি উপলক্ষ। এই দিনে শিখেরা এক সঙ্গে মিলিত হয়ে গুরুদের পূজা করে এবং তাঁদের শিক্ষাগুলি স্মরণ করে। গুরু পূর্ণিমার দিনে শিখেরা তাঁদের ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব পাঠ করেন। গুরুদের জীবনী আলোচনা করেন এবং তাঁদের আদর্শে জীবন যাপন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। গুরুপূর্ণিমা শিখদের জন্য একটি পবিত্র দিন (Rituals), যা তাদের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতির জন্য উৎসর্গীকৃত (Guru Purnima 2025)।

  • Swami Sivananda: ১২৯ বছর বয়সে প্রয়াত যোগগুরু স্বামী শিবানন্দ বাবা

    Swami Sivananda: ১২৯ বছর বয়সে প্রয়াত যোগগুরু স্বামী শিবানন্দ বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত যোগগুরু স্বামী শিবানন্দ বাবা (Swami Sivananda)। শনিবার রাতে ১২৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ (Yoga Guru) করেন তিনি। ভুগছিলেন নিউমোনিয়ায়। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও ছিল। গত কয়েকদিন ধরে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সেখানেই রাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে তিনি মারা যান বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। সোমবার হতে পারে তাঁর শেষকৃত্য।

    ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন স্বামী শিবানন্দ (Swami Sivananda)

    দেশে তো বটেই, বিদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন স্বামী শিবানন্দ। সূত্রের খবর, তাঁর পার্থিব শরীর রেখে দেওয়া হবে দুর্গাকুণ্ডের আশ্রমে। ভক্তরা যাতে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা। বয়স ১২৯ হলেও, শেষ জীবনেও যথেষ্ট সক্ষম ছিলেন স্বামী শিবানন্দ। প্রতিদিন ভোরে কয়েক ঘণ্টা ধরে যোগব্যায়াম করতেন তিনি। এটাই তাঁর সুদীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি।

    শিবানন্দের জীবনকথা

    সরকারি নথি অনুযায়ী, ১৮৯৬ সালের ৮ অগাস্ট জন্ম হয় শিবানন্দের। অবিভক্ত ভারতের সিলেটে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সংসার চালাতে তাঁর মা-বাবা ভিক্ষে করতেন। মাত্র ছ’বছর বয়সে একই মাসে মা-বাবা এবং বোনকে হারান শিবানন্দ। বেড়ে ওঠেন আত্মীয়-স্বজনের কাছে। পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপেও কাটিয়েছেন বেশ কয়েক বছর। ছিলেন বৃন্দাবনেও। ১৯৭৯ সালে চলে আসেন বারাণসীতে। যোগ শিক্ষা লাভ করেন গুরু ওঁকারনন্দের কাছে। সেখানকার দুর্গাকুণ্ডেই আশ্রম রয়েছে শিবানন্দের। গত একশো বছর ধরে প্রয়াগরাজ, নাসিক, উজ্জ্বয়ন এবং হরিদ্বারের কুম্ভমেলায় অংশ নিতেন তিনি। ২০২২ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন তিনি। তাঁর হাতে সম্মননা তুলে দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যোগরত্ন, বসুন্ধরারত্ন পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।

    স্বামী শিবানন্দের (Swami Sivananda) শিষ্য সঞ্জয় সর্বজ্ঞ জানান, শনিবার রাত ৯টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যোগগুরু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সঙ্গে অন্যান্য সমস্যাও ছিল। ৩০ এপ্রিল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। গত তিন দিন ধরে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তার পরেই আর ফেরানো যায়নি শিবানন্দকে।

    দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা শিবানন্দ নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন দরিদ্রদের সেবায়। কুষ্ঠরোগীদের সেবায়ও নিজেকে উৎসর্গ (Yoga Guru) করেছিলেন তিনি। পুরীর প্রায় ৫০০ কুষ্ঠরোগীর সেবা করতেন স্বামী শিবানন্দ (Swami Sivananda)।

LinkedIn
Share