Tag: Gyanvapi mosque

Gyanvapi mosque

  • Gyanvapi Mosque: “জ্ঞানবাপী মসজিদ নয়, স্বয়ং ভগবান বিশ্বনাথ”, দাবি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের

    Gyanvapi Mosque: “জ্ঞানবাপী মসজিদ নয়, স্বয়ং ভগবান বিশ্বনাথ”, দাবি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জ্ঞানবাপী, যাকে কিছু লোক মসজিদ (Gyanvapi Mosque) বলে দাবি করছে, তা আসলে নিজেই ভগবান বিশ্বনাথ।” শনিবার কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিন তিনি দীন দয়াল উপাধ্যায় গোরখপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নাথপন্থের অবদান ও একটি সামাঞ্জস্যপূর্ণ সমাজের সৃজন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেন। সেখানেই তিনি দাবি করেন, ‘জ্ঞানবাপী মসজিদ নয়, স্বয়ং বিশ্বনাথ’। প্রসঙ্গত, আদিত্যনাথ নিজেও নাথ সম্প্রদায়ের। গোরখনাথ মঠের প্রধান পুরোহিতও তিনিই।

    কী বললেন যোগী (Gyanvapi Mosque)

    তাঁর বক্তৃতায় উঠে এসেছে সাধু-সন্ন্যাসী ও ঋষিদের অবদানের কথা। প্রসঙ্গক্রমে এসেছেন আদি শঙ্করাচার্যও, যিনি দেশের চারটি জায়গায় চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যখন আদি শঙ্করাচার্য কাশীতে পৌঁছলেন, ভগবান বিশ্বনাথ তাঁকে পরীক্ষা করতে চাইলেন। শঙ্করাচার্য ব্রাহ্ম মুহূর্তে গঙ্গায় স্নান করতে গেলে ভগবান বিশ্বনাথ ছদ্মবেশ ধারণ করে অস্পৃশ্য হয়ে তাঁর সামনে উপস্থিত হলেন। শঙ্করাচার্য তাঁকে পথ ছাড়তে বললে ভগবান বিশ্বনাথ বললেন, যদি তুমি সত্যই অদ্বৈত জ্ঞান পূর্ণ হও, তাহলে কেবল শরীর দেখো না। যদি ব্রহ্মই চূড়ান্ত সত্য হয়, তাহলে আমার মধ্যেও সেই ব্রহ্মই আছে, যে ব্রহ্ম রয়েছে তোমার মধ্যেও।” আদিত্যনাথ বলেন, “যে জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi Mosque) সাধনা আপনি করে চলেছেন, সেই জ্ঞানবাপী সরাসরি বিশ্বনাথই। যার উপাসনার জন্য তুমি এখানে এসেছ, আমি সে-ই।” তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, এই জ্ঞানবাপীকেই কিছু লোক মসজিদ বলে উল্লেখ করেন।”

    অস্পৃশ্যতা প্রতিবন্ধকতা

    আদিত্যনাথ বলেন, “আমাদের দেশের সাধু-সন্তরা বলেন, অস্পৃশ্যতা শুধু আধ্যাত্মিক চর্চার একটা বাধা নয়, বরং জাতীয় ঐক্য ও অখণ্ডতার প্রতিবন্ধকতা।” তিনি বলেন, “যদি অস্পৃশ্যতা দূরীকরণে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া হত, তাহলে হয়তো দেশ কখনওই দসত্বের শৃঙ্খলে বন্দি হত না।” তিনি বলেন, “সাধুদের ঐতিহ্য কখনওই সমাজের মধ্যে অস্পৃশ্যতাকে অগ্রাধিকার দেয়নি। এটি নাথপন্থের মূল ভাবনা। নাথপন্থীরা সব জাতি, সম্প্রদায়, ধর্ম এবং অঞ্চলকে সম্মান করে, সবাইকে একত্রিত করার চেষ্টা করে (Gyanvapi Mosque)।”

    আরও পড়ুন: পরিবারের নতুন সদস্য ‘দীপজ্যোতি’র সঙ্গে খুনসুটি মোদির, মজলেন নেটিজেনরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque Case: এবার ‘বিদেশ থেকে’ প্রাণনাশের হুমকি-ফোন জ্ঞানবাপী মামলার বিচারককে

    Gyanvapi Mosque Case: এবার ‘বিদেশ থেকে’ প্রাণনাশের হুমকি-ফোন জ্ঞানবাপী মামলার বিচারককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রাণনাশের হুমকি জ্ঞানবাপী মামলার (Gyanvapi Mosque Case) বিচারককে। জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় বির্তকে ইতি টানতে অতিরিক্ত দায়রা বিচারক রবি কুমার দিবাকর ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগকে বিতর্কিত কাঠামোর পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    হুমকি-ফোন (Gyanvapi Mosque Case)

    তাঁর অভিযোগ, একটি আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। চলতি সপ্তাহে এসএসপি সুশীল চন্দ্রভান ঘুলেকে লেখা চিঠিতে দিবাকর লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে বিদ্বেষপূর্ণ ফোন পাচ্ছেন তিনি। দেওয়া হচ্ছে হত্যার হুমকিও। এটা খুবই উদ্বেগজনক।’ এর আগেও একবার দিবাকরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় এলাহাবাদ হাইকোর্ট দিবাকরের জন্য ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল। পরে তা নামিয়ে আনা হয় এক্স ক্যাটেগরিতে। তার পরেই ফের এল হুমকি-ফোন (Gyanvapi Mosque Case)।

    নিরাপত্তা অপর্যাপ্ত

    বর্তমানে দিবাকরের নিরাপত্তায় রয়েছেন দু’জন নিরাপত্তারক্ষী। হুমকি ফোন আসার পরে তাঁদেরই একজন জানিয়েছেন, দিবাকরের নিরাপত্তা অপর্যাপ্ত। কারণ জঙ্গি হামলার মোকাবিলায় অত্যাধুনিক যেসব অস্ত্রশস্ত্রের প্রয়োজন, তা তাঁদের নেই। ২০২২ সালে জ্ঞানবাপী মামলায় বিতর্কিত কাঠামোর পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন দিবাকর। তার পরেই এসেছিল হুমকি-ফোন। সেই সময় দিবাকর বলেছিলেন, ‘এই সিভিল কেসকে এক্সট্রাঅর্ডিনারি কেসে পরিণত করতে একটা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। ভয়ের বাতাবরণ এমনই যে, আমার নিরাপত্তা নিয়ে আমার পরিবার উদ্বিগ্ন। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমিও উদ্বিগ্ন। আমি যখনই বাড়ির বাইরে যাই আমার স্ত্রী বারংবার আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।’

    আরও পড়ুুন: “মমতা রোহিঙ্গা নন তো?” মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিজিৎ

    দিবাকরের স্ত্রীর উদ্বেগ যে নিছক কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মিলেছিল গত বছরই। সেবার দিবাকরের লখনউয়ের বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার এক সদস্যকে। সেই সময় শাহাজাহানপুরের এসএসপি অশোক কুমার মিনা দিবাকরের ভাইয়ের বাড়ি প্রহরায় একজন বন্দুকধারী পুলিশ কর্মী নিয়োগ করেছিলেন। দিবাকরের ভাইও অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ। লোকসভা নির্বাচনের মুখে সেই পুলিশ কর্মীকেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বেরিলিতে। এই দিবাকরই ২০১৮ সালে বেরিলি হিংসা মামলায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। মূল চক্রী বলে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন প্রবীণ ধর্মগুরু তাকির রাজাকে (Gyanvapi Mosque Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Gyanvapi Case: জ্ঞানবাপী চত্বরে পুজো-আরতি চলবে, মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Gyanvapi Case: জ্ঞানবাপী চত্বরে পুজো-আরতি চলবে, মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী ইস্যুতে মুসলিম পক্ষ ফের বড় ধাক্কা খেল সুপ্রিম কোর্টে। বারাণসীর জ্ঞানবাপী (Gyanvapi Case) ‘ব্যাসজি কা তহখানা’য় পুজো এবং আরতি চালিয়ে যেতে পারবে হিন্দু সমাজ, সোমবার এমনই নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, বারাণসী জেলা আদালতের ৩১ জানুয়ারির নির্দেশ এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২৬ ফেব্রুয়ারি যে রায় দিয়েছিল তাতেই সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে সোমবারের নির্দেশের বিষয়ে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের মত জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। পাঠানো হয়েছে নোটিশও।

    মুসলিম পক্ষের আর্জি খারিজ

    ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’-র তরফে প্রথমে বারাণসী জেলা আদালত ও পরে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পূজা-আরতির অনুমতি সংক্রান্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ (Gyanvapi Case) করে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয় এদিন। পুজো-আরতিতে কোনও রকম স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, আপাতত ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় থাকবে ওই চত্বরে। অর্থাৎ, হিন্দুপক্ষের পুজোর পাশাপাশি, মুসলিমরাও জ্ঞানবাপীতে নমাজের অনুষ্ঠান করবেন।

    ১৮ ডিসেম্বর বারাণসী জেলা আদালতে রিপোর্ট পেশ করে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বারাণসী জেলা আদালতে রিপোর্ট পেশ করে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)। ওই রিপোর্টে বলা হয়, জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi Case) কাঠামোর নীচে ‘বড় হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব’ ছিল। তার পরেই সেখানে পুজোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক বিশ্বেস। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায় মসজিদ কমিটি। তারা যুক্তি দেয়, ১৯৩৭ সালে জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত বিবাদের রায় মুসলিমদের পক্ষেই গিয়েছিল, তাই এএসআই-কে দিয়ে নতুন করে সমীক্ষা করানো যায় না। কিন্তু জ্ঞানবাপী কমিটির যুক্তি খারিজ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়ালের একক বেঞ্চ জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের দক্ষিণ দিকে ‘ব্যাসজি কা তহখানা’য় হিন্দুদের পুজো, আরতি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল।

    মূল মামলা দায়ের হয় ২০২১ সালে

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগাস্ট মাস নাগাদ পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা) এবং মসজিদের ভিতরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করেন। তাঁরা পূজার্চনার অনুমতিও চান। মামলার জল গড়ায় কোর্টে (Gyanvapi Case)। সেটিই মূল মামলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi structure: জ্ঞানব্যাপীর পরিকাঠামো হিন্দুদের হাতে দেওয়া হোক, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Gyanvapi structure: জ্ঞানব্যাপীর পরিকাঠামো হিন্দুদের হাতে দেওয়া হোক, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানব্যাপীর পরিকাঠামো (Gyanvapi structure) হিন্দুদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি জানালো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। প্রসঙ্গত, দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের রিপোর্টে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে যে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের নিচে রয়েছে একটি বড় হিন্দু মন্দিরের পরিকাঠামো। প্রসঙ্গত, জ্ঞানব্যাপীর মসজিদ নিয়ে গত ডিসেম্বর মাসেই মুখ বন্ধ খামে আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। দিন কয়েক আগেই এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার দাবি জানালেন, যেখানে মসজিদ রয়েছে সেই পরিকাঠামো অন্য কোথাও নির্মাণ করতে এবং ওই স্থান হিন্দুদের হস্তান্তর করতে।

    কী বলছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি

    প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি আরও বলেন, ‘‘জ্ঞানব্যাপী মসজিদের (Gyanvapi structure) ওজুখানাতে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে এতেই প্রমাণ হয় যে সেটি কোনওভাবেই মসজিদের পরিকাঠামো নয়। এর পাশাপাশি সেই স্থান থেকে জনার্দন, রুদ্র, উমাশ্বর, এই সমস্ত নামের লিপিও উদ্ধার হয়েছে যা যথেষ্ট এটা প্রমাণ করতে যে ওই স্থানে কখনও বড় মন্দির ছিল।’’ এদিন নিজের বিবৃতিতে, উপাসনা আইন ১৯৯১ এরও ব্যাখ্যা করেন অলোক কুমার। তিনি বলেন, ‘‘এই আইনের ৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ওই পরিকাঠামো অবিলম্বে হিন্দু মন্দির হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।’’

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি

    এর পাশাপাশি দুটি দাবিও রেখেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। প্রথমটি হল, হিন্দুদেরকে অনুমতি দেওয়া হোক শিবলিঙ্গের আরাধনা করার জন্য। পাশাপাশি মসজিদ কমিটি যেন শ্রদ্ধা পূর্ণভাবে জ্ঞানব্যাপী মসজিদকে (Gyanvapi structure) অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে যায় এবং ওই স্থান কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সমিতির হাতে দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ অগাস্ট থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ জ্ঞানব্যাপী প্রাঙ্গণে তারা কাজ শুরু করে। তাদের রিপোর্ট ৩ নভেম্বর জমা পড়ে মুখবন্ধ খামে।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট, ইলেকশন ইন-চার্জ ঘোষণা নাড্ডার, বাংলার দায়িত্বে কে?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque Case: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, কী বলল হাইকোর্ট?

    Gyanvapi Mosque Case: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, কী বলল হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় (Gyanvapi Mosque Case) ধাক্কা খেল অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। মঙ্গলবার মসজিদ কমিটির সব আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ছ’মাসের মধ্যে মামলাটি শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণকে পুরো মসজিদে সমীক্ষার কাজ চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটা অংশে মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ গড়া হয়েছিল বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের। ঔরঙ্গজেবের আমলে মন্দিরের একাংশ ভেঙে মসজিদ হয়েছিল বলে দাবি তাদের। এনিয়ে বারাণসী জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। মসজিদের (Gyanvapi Mosque Case) দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে দাবি করে পুজোর অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন পাঁচ হিন্দু মহিলা। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির আবেদন খারিজ করার জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। এদিন সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, ১৬৬৯ সালে মন্দিরের একাংশ ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করেন ঔরঙ্গজেব। গত বছর মসজিদের ওজুখানায় ভিডিওগ্রাফি হয় আদালতের নির্দেশে। ভিডিওগ্রাফির কাজ শেষ হওয়ার পরে ওই বছরেরই ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পেয়েছিল বারাণসী জেলা আদালত।

    বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি

    হিন্দু পক্ষের আবেদন মেনে চলতি বছরের ২১ জুলাই বারাণসী জেলা আদালত ওই মসজিদের সিল করা এলাকার বাইরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি দিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ কমিটি। ২৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ আটচল্লিশ ঘণ্টার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে।

    আরও পড়ুুন: বাংলা সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল! বলছে গবেষণা

    মসজিদ কমিটির (Gyanvapi Mosque Case) আবেদন খারিজ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এএসআইয়ের নেতৃত্বে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় ছাড়পত্র দিয়েছিল। এর পর মসজিদ চত্বরের সিল করা এলাকার বাইরে সমীক্ষার কাজ শুরু করে এএসআই। সোমবার সেই সমীক্ষারই রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া হয় আদালতে। এদিন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে মসজিদ কমিটির পাঁচটি পিটিশনই। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বারাণসী আদালতে দায়ের করা মূল মামলার রক্ষণাবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করেছিল অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া কমিটি ও ইউপি সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় মধ্যরাতে পুজো হিন্দু পক্ষের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় মধ্যরাতে পুজো হিন্দু পক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ বছর বাদে পুজো পেলেন ব্যাসজি। বুধবার মধ্যরাতে কড়া নিরাপত্তায় পুজো হল বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ‘ব্যাস কা তেহখানা’য়। এদিন দুপুরেই পুজোর অনুমতি দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তার পরেই পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে মধ্য রাতে হয় পুজো।

    পুজো শুরু 

    পুজো করেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের সদস্য গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। হয় মঙ্গল আরতিও। পুজোর সময় উপস্থিত ছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন ও বর্তমান কর্তারা। বারাণসীর জেলাশাসক কৌশল রাজ শর্মাও উপস্থিত ছিলেন। পুজোর আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় পুজোস্থল। সরানো হয় ব্যারিকেড। তার পরেই নিয়ম মেনে হয় পুজো। পুজোর আগে রাত ১২টা নাগাদ বৈঠকে বসেন বারাণসীর জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার। চলে ঘণ্টা দুয়েক ধরে। কাশী বিশ্বনাথ ধামের একটা হলে হয় এই বৈঠক। তার পরেই হয় মঙ্গল আরতি, পুজোপাঠ।

    ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় প্রবেশ

    রাত ১টা নাগাদ মসজিদের নীচে ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় প্রবেশ (Gyanvapi Mosque) করেন হিন্দু পক্ষের মামলাকারীরা। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পুজারি সহ মোট পাঁচজন। ওম প্রকাশ মিশ্র নামক এক পুরোহিতকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গর্ভগৃহে পুজোর। পুজোর পর তেহখানা থেকে বেরিয়ে হিন্দু পক্ষের মামলাকারী সোহন লাল আর্য ও লক্ষ্মী দেবী বলেন, “আমরা তেহখানায় অবস্থিত ব্যাসজির দর্শন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। আশা করছি, শীঘ্রই সাধারণ হিন্দু ভক্তদেরও পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘১০ বছরেই নয়া উচ্চতায় দেশের অর্থনীতি’’, বাজেট বক্তৃতায় বললেন নির্মলা

    প্রসঙ্গত, বুধবারই জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) অন্দরে সিল করা বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তার পরেই হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেছিলেন, “আগামী সাত দিনের মধ্যে জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো শুরু হবে। সব হিন্দুরাই সেখানে পুজোর অনুমতি পাবেন।” হিন্দুরা যাতে নির্বিঘ্নে এই চত্বরে পুজো করতে পারেন, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করার নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টকে জ্ঞানবাপী মসজিদের ওই অংশে পুজোর জন্য একজন পূজারির নামও সুপারিশ করতে বলা হয়েছিল। ব্যারিকেড সরানো থেকে পুজোর স্থান পরিষ্কার সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছিল প্রশাসনকে। সেসব করেই এদিন হয়েছে পুজো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) অন্দরে সিল করা বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বুধবার এই অনুমতি দিয়েছে আদালত। সিল করা বেসমন্টকে বলা হচ্ছে ব্যস কা তয়খানা।

    পুজোর অনুমতি

    হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, “আগামী সাত দিনের মধ্যে জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো শুরু হবে। সব হিন্দুরাই সেখানে পুজোর অনুমতি পাবেন।” হিন্দুরা যাতে নির্বিঘ্নে এই চত্বরে পুজো করতে পারেন, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টকে জ্ঞানবাপী মসজিদের ওই অংশে পুজোর জন্য একজন পূজারির নামও সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। ব্যারিকেড সরানো থেকে পুজোর স্থান পরিষ্কার সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে প্রশাসনকে।

    হিন্দু পক্ষের দাবি

    ৩১ জানুয়ারি কর্মজীবনের শেষ দিন ছিল বিচারপতি কৃষ্ণমোহন পাণ্ডের। তিনিই মসজিদের সিল করা ওই বেসমেন্ট পুজোর অনুমতি দেন হিন্দুদের। প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের তালা খোলা ও সেখানে পুজোর অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি পাণ্ডেই। এএসআইয়ের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার রিপোর্ট তুলে (Gyanvapi Mosque) ধরে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী জৈন। তাঁর দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব মিলেছে। মন্দিরের কাঠামো পরিবর্তন করে ও তার ওপর প্লাস্টার করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু মন্দিরের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে ৩৪টি শিলালিপিও।

    আরও পড়ুুন: ‘নিখোঁজ’, ‘বেপাত্তা’ শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদন এবার বারাসত আদালতে!

    এএসআইয়ের সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই মসজিদের এই অংশ হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এর পরেই পুজোর অনুমতি চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় হিন্দু পক্ষ। মসজিদের ওজুখানা খোলা ও ফের এএসআই সার্ভের দাবিও জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। মসজিদের সিল করা বেসমেন্টে পুজোর অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেদব্যাস পীঠের আচার্য শৈলেন্দ্র কুমার পাঠক। তিনি চেয়েছিলেন হিন্দুরা যাতে মসজিদের সিল করা বেসমেন্ট চত্বরে শৃঙ্গার গৌরীর সুযোগ পায়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই পুজোর (Gyanvapi Mosque) অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে আট সপ্তাহ সময় চাইল এএসআই

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে আট সপ্তাহ সময় চাইল এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) চত্বরে  করা সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করতে আদালতের কাছে আরও আট সপ্তাহ সময় চাইল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই। তাই এএসআইয়ের সমীক্ষায় কী মিলল, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও মাসখানেক। শনিবার বারাণসী জেলা আদালতে আবেদন জানিয়ে সময় চেয়ে নেয় এএসআই।

    এএসআই

    প্রসঙ্গত, শনিবারই আদালতে সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল এএসআইয়ের। এএসআই আবেদনপত্র জমা করলেও, এদিন এনিয়ে শুনানি হয়নি আদালতে। সূত্রের খবর, শীঘ্রই এনিয়ে আলোচনা হবে। আবেদনপত্রে এএসআইয়ের তরফে বলা হয়েছে, আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল সাইটে সায়েন্টিফিক তদন্ত করবে এএসআই, সেই অনুযায়ী আর্কিওলজিস্টে, আর্কিওলজিক্যাল কেমিস্টস, এপিগ্রাফিস্টস, সার্ভেয়রস, ফোটোগ্রাফার্স এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল স্টাফ এই সায়েন্টিফিক তদন্ত এবং তথ্যচিত্র নির্মাণে ব্যস্ত রয়েছেন।

    ডেটা বিশ্লেষণ

    হায়দ্রাবাদের জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটও জিপিআর সার্ভে করছে। সংগৃহীত ডেটাও বিশ্লেষণ করছে তারা। আদালতে পেশ করা আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, মসজিদের (Gyanvapi Mosque) সেলারে প্রচুর ধ্বংসস্তূপ দেখা গিয়েছে। এগুলো প্রকৃত কাঠামোকে ঢেকে রেখেছে। পরীক্ষার জন্য এই ধ্বংসস্তূপগুলো সরানোর কাজ চলছে। যেহেতু আদালত মাটির নীচে থাকা সেলারগুলির সায়েন্টিফিক তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে, তাই ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে খুব সাবধানে। এটি একটি ধীর গতির কাজ। এজন্য আরও সময় প্রয়োজন।

    আরও পড়ুুন: “উন্নত ভারতে দুর্নীতি, জাতিভেদ প্রথা এবং সাম্প্রদায়িকতাবাদ থাকবে না”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI)। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ছাড়পত্র পাওয়ায় কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই শুরু হয়েছে সমীক্ষার কাজ। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে এএসআই-এর পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে ঢুকে কাজ শুরু করেছেন। সপ্তদশ শতকে তৈরি মসজিদটি কোনও হিন্দু মন্দির ভেঙে গড়া হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখবেন প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা। বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেসের নির্দেশ অনুযায়ী, দিন কয়েক আগেই সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের।

    কিন্তু আইনি লড়াই পেরিয়ে যেহেতু দিন কয়েক আগেই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে, তাই কবে ওই রিপোর্ট জেলা আদালতে জমা পড়বে তা নিয়ে মুখ খুলতে চেয়েছিলেন না সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা এএসআই আধিকারিকরা। এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মুসলিম পক্ষ। মুসলিম পক্ষের দাবি, এই সমীক্ষা (Gyanvapi Mosque) আইন বিরুদ্ধ এবং এতে মসজিদের ক্ষতি হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: কঠোর নিরাপত্তা! জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে এএসআই-এর ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ শুরু

    Gyanvapi Mosque: কঠোর নিরাপত্তা! জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে এএসআই-এর ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque Survey) বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার কাজ শুরু করল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI)। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ছাড়পত্র পাওয়ায় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই শুরু হয়েছে সমীক্ষার কাজ। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে এএসআই-এর পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জ্ঞানবাপী চত্বরে ঢুকে কাজ শুরু করেছেন। সপ্তদশ শতকে তৈরি মসজিদটি কোনও হিন্দু মন্দির ভেঙে গড়া হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখবেন প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা। এএসআই-এর দলের সঙ্গে  হিন্দু পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন আইনজীবী সুধাকর ত্রিপাঠী। বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার কাজ বয়কট করেছে মসজিদ কমিটি। ফলে তাদের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত নেই। 

    সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মসজিদ কমিটি

    বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেসের নির্দেশ অনুযায়ী, এদিনই সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের। কিন্তু আইনি লড়াই পেরিয়ে যেহেতু এদিনই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে, তাই কবে ওই রিপোর্ট জেলা আদালতে জমা পড়বে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা এএসআই আধিকারিকরা। এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মুসলিম পক্ষ। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জরুরি ভিত্তিতে আবেদন শুনবেন। মুসলিম পক্ষের দাবি, এই জরিপ (Gyanvapi Mosque Survey) আইন বিরুদ্ধ এবং এতে মসজিদের ক্ষতি হতে পারে। যদিও এলাহাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবারের রায়ে স্পষ্ট বলেছে, জরিপের সময় কোনও ধরনের খনন কাজ করা যাবে না। মসজিদের একটি ইটও সরানো যাবে না।

    আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! পুলিশকর্তার হত্যা, অস্ত্রাগার লুঠ বিক্ষোভকারীদের

    কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় এবং জরিপ ঘিরে বারাণসীতে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Vishwanath Temple) এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque Survey) পরিসরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৭ অগাস্ট সোমবার পর্যন্ত। জ্ঞানবাপী মসজিদটি বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত। মন্দির ভেঙে মসজিদটি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করে মামলা করে হিন্দু সংগঠন। মসজিদের স্থানে আগে হিন্দু মন্দির ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা দাবি ওঠে। সেই থেকেই শুরু বিতর্ক। মসজিদ চত্বরের পাশ থেকেই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডরে প্রবেশ করেন শয়ে শয়ে ভক্ত। কোনওভাবে যাতে তাঁরা এই এএসআই-এর সার্ভে ক্যামেরাবন্দি না করে বসেন, তা আটকাতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ৭ অগাস্ট পর্যন্ত এএসআই-এর সার্ভে চলাকালীন জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। আপাতত বিশ্বনাথ করিডরের গঙ্গাদ্বার পর্যন্ত মোবাইল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে ভক্তদের। কিন্তু, তার বেশি মোবাইল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলে আটকাবে বারাণসী পুলিশ। শহরে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জরিপ চলাকালে জ্ঞানবাপীতে জুম্মার নমাজ চলবে। শহরের অন্য মসজিদ, মন্দিরেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share