Tag: Haldia

Haldia

  • Suvendu Adhikari: বিজেপি ক্ষমতায় এলে মহিলারা মাসে পাবেন ৩ হাজার, বড় ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিজেপি ক্ষমতায় এলে মহিলারা মাসে পাবেন ৩ হাজার, বড় ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি (Bengal BJP) ক্ষমতায় এলে মহিলাদের মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। রবিবার হলদিয়াতে এমনই আশ্বাস দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এছাড়াও ২০০ ইউনিট ফ্রি বিদ্যুত্‍ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। প্রসঙ্গত, বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে মহিলাদের মাসে ভাতা দেওয়ার প্রকল্প চালু রয়েছে। সেটাকেই কাজে লাগাতে চায় বিজেপি। এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, ‘‘২০২৬ সালে বাংলায় ক্ষমতায় এলে মায়েদের – দিদিদের – বোনেদের ১ হাজার টাকা নয়, ৩ হাজার টাকা দেবে বিজেপি।’’

    প্রতিবছরই হবে নিয়োগ ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    সম্প্রতি, তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। রবিবার হলদিয়াতেই জনসভা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখান থেকেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, ক্ষমতায় এলে তাঁরা কী কী করতে চান। একইসঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে হাতে-পায়ে ধরে টাটাকে রাজ্যে ফেরানো হবে বলেও ঘোষণা করেন শুভেন্দু। এর পাশাপাশি, নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘২০০ ইউনিট বিদ্যুত ফ্রি দেওয়া হবে। এক লক্ষ নয়, তিন লক্ষ বাড়ি দেবে বিজেপি সরকার। প্রতি বছরই এসএসসি নিয়োগ হবে। সব জেলাতেই প্রাইমারি পরীক্ষা হবে।’’

    হিন্দুরা শুধু বাড়ি থেকে বের হন

    এর পাশাপাশি, এদিন বিরোধী দলনেতা (Bengal BJP) আবারও জোর দেন হিন্দু ভোটের দিকে। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাফ কথা, হিন্দুরা একটু দয়া করলেই রাজ্যে সরকার বদলে যাবে। আবার সব হিন্দু ভোট দিতে যান না বলেও আক্ষেপ শোনা যায়  বিরোধী দলনেতার গলায়। এদিন তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম লড়ছে। কিন্তু পারছে না। ৩০ শতাংশ হিন্দু ভোট দিতে যায় না। ৬৫ থেকে ৬৮ শতাংশ হিন্দু ভোট দিতে যায়। আপনারা শুধু বাড়ি থেকে বেরোবেন। তারপর কী করতে হয়, আপনারা জানেন। একটু দয়া করবেন, উল্টে দেব আমরা।’’

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও সনাতনী মমতাকে ভোট দিতে পারে না’’, হলদিয়ায় তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও সনাতনী মমতাকে ভোট দিতে পারে না’’, হলদিয়ায় তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবদল করেছেন বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। এই আবহে হলদিয়াতে গিয়ে হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘কোনও সনাতনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে পারে না, পারে না, পারে না….সরস্বতী পুজো, মহকুম্ভকে মৃত্যু কুম্ভ বলার পর কেউ ভোট দেবে না। মানুষ প্রস্তুত এই রাজ্য মোদীজির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।’’ শুভেন্দ অধিকারী বলেন, ‘‘ক্ষমতায় এলে বিজেপি মায়েদের ৩০০০ টাকা দেবে। যার মধ্যে ২০০ ইউনিট বিদ্যুত ফ্রি। এক লক্ষ টাকার নয় বরং তিন লক্ষের বাড়ি দেবে। প্রতিবছর এসএসসি হবে, সব জেলাতেই প্রাইমারি পরীক্ষা হবে। হাতে পায়ে ধরে টাটাকে ফিরিয়ে আনা হবে।’’

    এই বাংলাও বাংলাদেশ হবে

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কণ্ঠে এদিন উঠে আসে বাংলাদেশ ইস্যু। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। এখনও যদি ঐক্যবদ্ধ না হন তাহলে এই বাংলাও বাংলাদেশ হবে। ২৬-এ যদি তৃণমূল যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের লোভ দেখিয়ে, মুসলিমদের জুটিয়ে আমাদের কিছু হিন্দুকে এদিক-ওদিক করে জিতে যায়। তাহলে একই অবস্থা এই অবস্থা হবে। জাত-পাত-রাজনীতি দূরে সরিয়ে রাখো।’’

    ঝাঁটা গেছে একেও ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে

    মমতাকে তো দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘অরবিন্দ কেজরিবাল যেমন দিল্লিতে একটার সঙ্গে একটা মদ ফ্রি করেন। তেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারের লাইসেন্স দিয়ে মদময় করেছেন মমতা। মদের প্রভাব যদি কারও উপর পড়ে তাহলে নারীদের উপর। ঝাঁটা গেছে একেও ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। আমরা পুরো সাংগঠনিক জেলা ডাকিনি (Haldia)। আজ প্রচুর মানুষ এসেছেন। সবাই একাট্টা হয়েছেন।’’

    শুধু বাড়ি থেকে বের হবেন

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,‘‘২০১৯-এ ভোট পড়েছে ৬১ শতাংশ। এবার পড়েছে ৬৬ শতাংশ। দিল্লিতে ১০ শতাংশ লোক বাড়তি বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। তাতেই ঝাঁটা সাফ। শুধু বাড়ি থেকে বেরবেন। তারপর কী করতে হয় আপনারা জানেন। আমার বলার দরকার নেই। শুধু ডায়মন্ড হারবারেই ১০ লক্ষ ছাপ্পা আছে। কেশপুরেও ছাপ্পা আছে। এখানেও আছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছাপ্পা আছে। এখানে অভিজিৎবাবুকে ঢুকতে দেয়নি। একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক।’’

  • Nandakumar: রথের দিন থেকেই গমগম করছে ‘মিনি চিৎপুর’, সামাজিক যাত্রাপালার বুকিং তুঙ্গে

    Nandakumar: রথের দিন থেকেই গমগম করছে ‘মিনি চিৎপুর’, সামাজিক যাত্রাপালার বুকিং তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার যাত্রাপাড়া হিসেবে বহুল পরিচিত কলকাতার চিৎপুর। একের পর এক নামজাদা যাত্রাদল রয়েছে এই এলাকায়। বহু নামজাদা অভিনেতা-অভিনেত্রী এই যাত্রাদলগুলির সঙ্গে যুক্ত। তবে, কলকাতার পর যাত্রাদলের বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার (Nandakumar) বাজার। এখানে জাতীয় সড়কের ওপর গোল চৌকি রাস্তার পূর্ব পাড়ে রয়েছে একাধিক যাত্রা বুকিংয়ের অফিস। পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নন্দকুমারে ছুটে আসেন যাত্রাপ্রেমীরা। যে কারণে এই জায়গা ‘মিনি চিৎপুর’ নামে পরিচিত। প্রতি বছর রথের দিন থেকে যাত্রাপালা বুকিংয়ের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।

    কয়েক ঘণ্টাতেই বুকিংয়ের সংখ্যা ৫০ পেরিয়েছে (Nandakumar)

    করোনার সময় থেকে যাত্রাপালা বুকিংয়ে ভাটা পড়েছিল। গত কয়েক বছর সেভাবে বুকিং পায়নি পূর্ব মেদিনীপুরের এই ‘মিনি চিৎপুর’ (Nandakumar)। এবার রথ উৎসবের দিন থেকে চিত্রটাই বদলে গিয়েছে। নন্দকুমারে যাত্রার বুকিং করতে এলে অনেকেই পরিচিত এজেন্টদের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। তেমনই এক এজেন্ট বলেন, “প্রতি বছরের মতো এ বারও রথের দিন সকাল থেকে আমরা অফিস সাজিয়ে বসেছিলাম। অন্যান্য বছর বেলা ১২টা থেকে বুকিংয়ের জন্য বিভিন্ন মেলা কমিটি এবং আয়োজকরা আসেন। এ বার সকাল ৭টা থেকে আয়োজকদের ভিড়ে উপচে পড়েছে অফিস। কয়েক ঘণ্টায় একটি অফিসে ১৬টি বুকিং পেয়েছি। বেশ কয়েকটি বুকিং অফিস মিলিয়ে রথের দিনের প্রথম কয়েক ঘণ্টাতেই বুকিংয়ের সংখ্যা ৫০ পেরিয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    সামাজিক যাত্রাপালায় আগ্রহ বেশি

    এখন পালাগান বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সামাজিক যাত্রাপালার বিষয়ে বেশি আগ্রহী আয়োজকদের। রাজনীতির কচকচানি অথবা পৌরাণিক ঘটনা নিয়ে পালাগানে সে ভাবে আর আকৃষ্ট হচ্ছেন না দর্শক। ইন্টারনেটের যুগেও যে যাত্রাশিল্প হারিয়ে যায়নি, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন বুকিং এজেন্টরা। হলদিয়ার একটি কালীপুজো কমিটির সদস্য সুদীপ্ত মণ্ডল বুকিংয়ের জন্য এসেছিলেন নন্দকুমার (Nandakumar)। তিনি বলেন, “এখনও সাধারণ মানুষের কাছে যাত্রার বিপুল চাহিদা রয়েছে। অন্যান্য অনুষ্ঠানের তুলনায় যাত্রা দেখতে অনেক বেশি মানুষ ভিড় জমান। তাঁদের দাবি মতো আমরা এ বারেও যাত্রা বুকিং করে এসেছি।”

    প্রথমদিনেই ২২টি বুকিং!

    জয়গুরু নাট্য কোম্পানির মালিক অভিনেত্রী জয়া ভট্টাচার্য বলেন, “আমি প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে যাত্রা করেছি। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েছি আমরা। মাঝে একটা সময়ে যাত্রাশিল্পে (Yatra) চরম দুর্দশা তৈরি হয়েছিল। তারপর তিনবছর হল আমরা নিজেরাই দল গড়েছি। প্রথম বছর ১৭৫টি শো করেছিলাম। গত বছর ১৬১টি যাত্রাপালা (Yatra) করেছি। এ বার প্রথম দিনেই ২২টি বুকিং পেয়েছি। আশা করছি, গত ২ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Civic Volunteer: পুলিশের সার্টিফিকেট জাল করে ধৃত দুই গুণধর সিভিক ভলন্টিয়ার

    Civic Volunteer: পুলিশের সার্টিফিকেট জাল করে ধৃত দুই গুণধর সিভিক ভলন্টিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে জাল পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট গছিয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে (civic volunteer) গ্রেফতার করল দুর্গাচক থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন সঞ্জয় মান্না ও অনির্বাণ দাস। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় (Haldia)।

    কী অভিযোগ

    পুলিশ সূত্রে খবর কারখানায় কাজের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন ছিল বাহাদুর চন্দ্র দাসের। সেই মত তিনি দুর্গাচক (Durgachak) থানায় পৌঁছে যান। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর তাদেরকে জাল সার্টিফিকেট গছিয়ে দেয়। পুলিশের জাল শংসাপত্র (Fake certificate) দেওয়ার পাশাপাশি নকল স্ট্যাম্প ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। সার্টিফিকেট জাল বুঝে বাহাদুর চন্দ্র দাস থানার দ্বারস্থ হন। দুই গুণধর সঞ্জয় মান্না ও অনির্বাণ দাসের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপর ওই দুই গুণধরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: বাইরে তাপপ্রবাহ! সুস্থ থাকতে কী করবেন, কী করবেন না, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে হলদিয়ায় কোন কারখানায় কাজ করতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সার্টিফিকেটের জন্যই কুমার চকের বাসিন্দা বাহাদুর বাবু দুর্গাচক থানায় গিয়েছিলেন। তার দাবি সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় মান্না আধার কার্ডের জেরক্স, দুটি ছবি ও ৫০০ টাকা দাবি করে। এরপর তাকে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। ওই মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি। সঞ্জয় তাকে যে সার্টিফিকেট দেয় যাতে দুর্গাচক থানার স্ট্যাম্প ও আধিকারিকের সই ছিল। কিন্তু থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন তাকে যে সার্টিফিকেট গছিয়ে দিয়েছে থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার তা জাল। তিনি সঞ্জয় মান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। অনির্বাণের জড়িত থাকার ঘটনা জানতে পারে পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে কোথা থেকে এই জাল সার্টিফিকেট এবং ভুয়া স্টাম্প তৈরি করা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • TMC: চাকরির নামে আর্থিক দুর্নীতি ও প্রতারণা! অভিযুক্ত আরও এক শাহজাহান, চেনেন তৃণমূল নেতাকে?

    TMC: চাকরির নামে আর্থিক দুর্নীতি ও প্রতারণা! অভিযুক্ত আরও এক শাহজাহান, চেনেন তৃণমূল নেতাকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির শাহজাহানের মতো এবার পূর্ব মেদিনীপুরের আরেক তৃণমূল (TMC) নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। দুই জনের নামের যেমন মিল তেমনি রাজনৈতিক দলও এক। এই তৃণমূল নেতার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে স্পষ্ট বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমার ২০০০ টাকা লাগবে।” তবে ভিডিও কয়েক বছরের পুরাতন হলেও লোকসভার আগে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ (TMC)

    শিল্পাঞ্চল হলদিয়ার একটি বাড়িতে ভিডিও রেকর্ড করা হয় বলে জানা গেছে। সেখানকার এক বাড়ির মালিক শেখ ইব্রাহিম আলি বলেছেন, “আমার এক আত্মীয়ের সরকারি চাকরির জন্য তৃণমূল নেতা (TMC) শেখ শাহজাহানকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। তিনি আমার বাড়িতে এসে বলেন, দুই হাজার টাকা গাড়িভাড়া হিসাবে অতিরিক্ত দিতে হবে। বাকি পুরো টাকাটা সরকারি আধিকারিককে দিতে হবে। কিন্তু টাকা দেওয়ার ৩ থেকে ৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও চাকরির খোঁজ নেই। আমি আমার টাকাও ফেরত পেলাম না।”

    টাকা নিয়ের চাকরির প্রতারণা (TMC)

    এলাকার প্রতারণার শিকার আরও এক ব্যক্তি সমরেশ সামন্ত বলেন, “তৃণমূল (TMC) নেতা শাহজাহান আমাকে বলেছিলেন খাদ্য দফতরের চাকরি করে দেবেন। সেই জন্য ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু আজও কাজ মেলেনি।” আবার শেখ কামরুল আলম অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে সরকারি চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল। আরও ৫ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু দিতে পারব না বলে জানিয়েছিলাম। কিছু টাকা ফেরত পেলেও এখনও অনেক টাকা বাকি।” এলাকার মানুষ ডায়মণ্ডহারবারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে।

    পুলিশের বক্তব্য

    ভোটের মুখে সেই ভিডিও ভাইরাল হলে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ নিতে চায়নি। এরপর হলদিয়া এসডিপিওকে সংবাদ মধ্যম ফোন করলে তিনি বলেন, “২০২০ সালের ঘটনা। এই বিষয়ে এখন কিছু বলার নেই। তবে এই তৃণমূল নেতার (TMC) বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিলে পুলিশ তদন্ত করবে।”

    শাহজাহানের বক্তব্য

    এই বিষয়ে শাহজাহান নিজের আর্থিক লেনদেনের কথা স্বীকার করে বলেন, “আমি কাউকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেইনি। যার বাড়িতে টাকা নেওয়া হয়েছে সেখানে আমাকে সাক্ষী হিসাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি মাত্র ২০০০ টাকা নিয়েছিলাম। এর থেকে বেশী টাকা আমি চাইনি।” এইবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা শেখ শাহানুল্লাহ খান বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে সত্যতা এখনও জানিনা। অনুসন্ধান করে বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Haldia: পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র এলাকা

    Haldia: পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানীয় জলের সমস্যাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার (Haldia) বিষ্ণুরামচক এলাকা। গোষ্ঠীকোন্দলে জড়াল তৃণমূল। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে চলল হামলা. পাল্টা হামলা। গ্রামের একাধিক বাড়িঘরেও চলে ভাঙচুর। তৃণমূলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন একাধিক। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। একাদশীর দিনেই শিল্পতালুক হলদিয়াতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Haldia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার (Haldia) বিষ্ণুরামচক এলাকায় পানীয় জলের টিউবওয়েলে কেউ বা কারা নোংরা আবর্জনা ফেলে দেন। তা থেকে ঘটনার সূত্রপাত। এলাকায় বেশ কয়েকটি কল এই পরিস্থিতির শিকার হওয়াতে বিপাকে পড়েন মানুষ। এলাকার নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে পুরসভার পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হলেও সেই গাড়ি কার জায়গা দিয়ে যাবে তা নিয়েই শুরু হয় বচসা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল বাধে। মূলত প্রাক্তন জেলা সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডলের সঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলার বর্তমান জেলা যুব সভাপতি অজগর আলির অনুগামীদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একে অপরের বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। অনুগামীদের মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। ইতিমধ্যে সমগ্র ঘটনা শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হয়। গ্রামে পুলিশ টহল দিচ্ছে। তবে, অষ্টমীতেও গ্রামের একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠছে। সমগ্ৰ ঘটনার কথা জানিয়ে হলদিয়া থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই বিষ্ণুরামচক এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য তৃণমূলের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা খুব চেষ্টা করেছিলেন এবং বিদ্যুৎ পৌঁছেও যায়। কিন্তু, সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্বের একাংশ জানিয়েছেন, ওই এলাকায় এখন ক্ষমতা দখলের লড়াই জারি রয়েছে। আর তার জেরেই সামান্য পানীয় জলের সমস্যাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “জিতলে হলদিয়ার কারখানা থেকে তৃণমূলকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উৎখাত করব” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “জিতলে হলদিয়ার কারখানা থেকে তৃণমূলকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উৎখাত করব” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটে বিজেপি জয়ী হলে, তৃণমূলকে হলদিয়ার কারখানা থেকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পূর্ব মেদিনীপুরের টাটা স্টিল এবং টাটা পাওয়ার মজদুর সঙ্ঘের শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে ঠিক এইভাবে রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব মেদিনীপুরে আজ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “লোকসভার ভোটে বিজেপি জয়ী হবে। হলদিয়া এবং কাঁথিতে কয়েক লাখ ভোটে জয়ী হব। তমলুকে তৃণমূল হারবে। আর তৃণমূল হারলেই মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে হলদিয়ার কারখানার গেট থেকে শাসক দলকে উৎখাত করবো”। এছাড়াও পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো লোকসভার ভোট হবে না। লোকসভার ভোটে তৃণমূল ভোট লুট করতে পারবে না”। এদিন বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক সভাপতি ও হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, আনন্দময় অধিকারী, সোমানাথ ভুঁইয়া সহ আরও অনেক মজদুর সঙ্ঘের নেতারা।

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, কলকাতার মানুষ হালদিয়ায় এসে মাতব্বরি করবে আর এই এলাকার মানুষ তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে, এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই জেলার অনেক মানুষকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছি। পড়ুয়াদের শিক্ষার সামগ্রী, দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্য, রাস্তাঘাট এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপর অনেক কাজ করেছি। এছাড়াও এলাকায় অনেক গাছ লাগিয়েছি। হলদিয়া পুরসভার নির্বাচন হলে তৃণমূলের পরাজয় সুনিশ্চিত। তাই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে আমাদের সকলকে আরও একত্রিত হতে হবে।

    উল্লেখ্য, তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে এই উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ইস্তফা দেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Haldia: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Haldia: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সময় দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রের কাছে বড় অঙ্কের বকেয়া দাবি করে বঞ্চনার রজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন বার বার। সেই প্রেক্ষাপটে ওই বৈঠকে বকেয়া নিয়েই আলোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। তার আগে এই বৈঠক নিয়ে মমতাকে কটাক্ষবাণে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার হলদিয়ার (Haldia) এক সভা থেকে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, মমতার আশা আদৌ পূরণ হবে না। তিনি সরাসরি আক্রমণ হেনে বলেন, “মোদিজির পায়ে ধরে লাভ নেই। কিছুই পাবেন না।” শুভেন্দুর সংযোজন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও মুখ্যমন্ত্রী সময় চাইলে উনি দেবেন, এটাই সৌজন্য। কিন্তু এভাবে দরবার করে কোনও আর্থিক সাহায্য মিলবে না।

    টাকা ফেরত পাবেন, আশ্বাস শুভেন্দুর (Haldia)

    শুভেন্দু এদিনের সভা থেকে আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করেন। তৃণমূলের ক্যাডাররা যেভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে মানুষকে বঞ্চিত করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে, তা নিয়ে সরব হন তিনি। বলেন, “সব চোর জেলে যাবে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল, জনগণের টাকা যারা মেরেছে, তাদের জেলে পোরা।” বঞ্চিত এবং হতাশ মানুষকে আশার কথাও শুনিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, “আপনারা সব কাগজ গুছিয়ে রাখবেন। সব টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করব। আবাস যোজনায় চোরেদের নাম কেটে প্রকৃত উপভোক্তার নাম ঢোকাতে হবে।” এদিন তিনি ঘোষণা করেন, আগামী ২০ ডিসেম্বরও শাসক দলের অন্যায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। উল্লেখ্য, সতীশ সামন্তর জন্ম বার্ষিকীতে এদিন দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল হলদিয়ায় (Haldia)।

    তৃণমূলকে সরিয়ে দিল পুলিশ (Haldia)

    এদিনই আর একটি উলট পুরাণের সাক্ষী থাকল হলদিয়া (Haldia)। বিজেপির সভামঞ্চের কাছেই দু’দিন ধরে ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিল তৃণমূল। শুক্রবার আচমকাই তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এই ধর্নার জন্য পুলিশের কোনও অনুমতি ছিল না বলে প্রশাসনের বক্তব্য। যদিও এই বিষয় নিয়ে এদিন শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোটে। তাই কি আদালতের তিরস্কার আটকাতেই আগেভাগে অতি সক্রিয়তা দেখালো পুলিশ? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের এই নজিরবিহীন পদক্ষেপে আদালত অবশ্য সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছেন, এই ধরনের সমস্যায় পুলিশকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বহু বছর পর তিনি দেখলেন, তারা এই ধরনের ব্যাবস্থা নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lakshman Seth: ৭৭ বছর বয়সে বিয়ে করলেন লক্ষ্মণ শেঠ, পাত্রী ৪১ বছরের মানসী!

    Lakshman Seth: ৭৭ বছর বয়সে বিয়ে করলেন লক্ষ্মণ শেঠ, পাত্রী ৪১ বছরের মানসী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখীর প্রেম কাহিনী এক সময় রাজ্যজুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বয়স যে সংখ্যা মাত্র, শোভন-বৈশাখী জুটি তা প্রমাণ করে দিয়েছিল। তাঁদের প্রেম কাহিনী নিয়ে নেট দুনিয়া তোলপাড় হয়েছিল। হালফিল বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী ৬১ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করলেন। তাঁর বিয়ে নিয়েও নেট দুনিয়ায় ব্যাপক চর্চা হয়েছে। এবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ৭৭ বছরের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth)। জীবন সায়াহ্নে এসে তাঁর এই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা নিয়ে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, গোটা রাজ্যজুড়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পাত্রী কে?

    ২০১৬ সালে লক্ষ্মণ শেঠের (Lakshman Seth) প্রথম স্ত্রী তমালিকা পন্ডা শেঠের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি রাজনৈতিক জীবনেও অনেক টানাপোড়েন চলে তাঁর। একাকিত্বে কাটছিল তাঁর জীবন। ৭৭ বছর বয়সে এসে একাকিত্ব দূর করতে আবার নতুন করে কাউকে পাশে পেতে চাইলেন তিনি। কোনও এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় কলকাতার মেয়ে মানসী দে নামে ৪১ বছরের এক মহিলার সঙ্গে। তিনি বহুজাতিক হোটেল সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তা। তাঁরও আগে বিয়ে হয়েছিল। তবে, তাঁর স্বামী আর বেঁচে নেই। তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। সে একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। মানসীর সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। পরে, তাঁরা দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়েছে। এখন শুধু সাতপাকে বাঁধা পড়ার অপেক্ষা। সম্ভাব্য ২৮ জুন চার হাত এক হতে চলেছে। কলকাতায় বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, হলদিয়া একসময় প্রাক্তন সাংসদের খাসতালুক ছিল। তাই, সেখানে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

    ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের ঘটনার পর সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হন লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth)। নিজে প্রথমে দল গঠন করেন। পরে, তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। সেখানেও দলের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয় তাঁর। দীর্ঘ কয়েক বছর এভাবেই কেটে যায়। তারপর রাজনীতির দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয় কংগ্রেসে যোগ দিয়ে। এখন তিনি রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সহ সভাপতি। ৭৭ বছর বয়সে এসে ব্যক্তিগত জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁদের নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নেট দুনিয়ায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: হলদিয়ায় মাল্টিমোডাল টার্মিনালের উদ্বোধন, দিঘায় কমিউনিটি জেটির শিলান্যাস প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: হলদিয়ায় মাল্টিমোডাল টার্মিনালের উদ্বোধন, দিঘায় কমিউনিটি জেটির শিলান্যাস প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীতে গঙ্গা বিলাসের মতো বিলাসবহুল প্রমোদতরণীর উদ্বোধনের পাশাপাশি শুক্রবার ভার্চুয়ালি হলদিয়া (Haldia) বন্দরে মাল্টিমোডাল টার্মিনালের (Multi Modal Terminal) উদ্বোধনও করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। হুগলি নদীতে তৈরি এই টার্মিনালের মাধ্যমে প্রতি বছর ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য ওঠানো নামানো সম্ভব হবে। টার্মিনালের বার্থে ঢুকতে পারবে ৩০০০ টন ওজন বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন বার্জ বা ছোট জাহাজ।

    জল মার্গ বিকাশ…

    বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় কেন্দ্রীয় সরকারের জল মার্গ বিকাশ প্রকল্পের অধীনে এই টার্মিনাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল হলদিয়া থেকে বারাণসীর মধ্যে ১৩৯০ কিলোমিটার নদীপথের মাধ্যমে পণ্য ও যাত্রী চলাচলের ব্যবস্থা করা। একই সঙ্গে নদীপথে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশ ও অসমের সংযুক্তিকরণ। এর ফলে হলদিয়া থেকে বাংলাদেশে ফ্লাই অ্যাশ সহ অন্যান্য পণ্য পাঠানো যাবে। প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) দফতরের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় কেন্দ্রীয় সরকারের জলমার্গ বিকাশ প্রকল্পের অধীনে এই টার্মিনাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বছরে তিন লক্ষ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডেলিং করতে পারবে। বার্থগুলি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে সেগুলি প্রায় তিন হাজার ডেডওয়েট টন পর্যন্ত ভেসেল হ্যান্ডেল করতে পারবে।

    আরও পড়ুুন: জেলে মৌলবাদ ভাবাদর্শ প্রচার করা বন্দিদের আলাদা রাখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    এদিন প্রধানমন্ত্রী চারটি ফ্লোটিং কমিউনিটি জেটিরও উদ্বোধন করেন। এই জেটিগুলি রয়েছে উত্তর প্রদেশের গাজিপুর জেলার সইদপুর, চকচকাপুর ও জামানিয়া এবং বালিয়া জেলার কানসপুরে। এদিন পাঁচটি কমিউনিটি জেটিরও শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলি হল দিঘা, নাকটা দিয়ারা, বারহ এবং বিহারের পানাপুরে। বিহারের সমস্তিপুরের হাসানপুরেও হবে একটি।

    প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) দফতরের তরফে জারি করা বিবৃতি থেকে এও জানা গিয়েছে, গঙ্গা নদীতে সব মিলিয়ে ৬০টির বেশি কমিউনিটি জেটি তৈরি করা হচ্ছে। এগুলি হচ্ছে উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গে। অর্থনৈতিক কাজকর্ম উন্নতির পাশাপাশি স্থানীয়দের জীবন জীবিকার উন্নতি ঘটাতেই হচ্ছে এই কমিউনিটি জেটিগুলি। ছোট কৃষক, মৎস্যজীবী, অসংগঠিত কৃষিজাত পণ্য, ফুল ব্যবসায়ীদের জন্য পণ্য সরবরাহের সুবিধা দেবে এই কমিউনিটি জেটিগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share