Tag: Hall of Fame

Hall of Fame

  • MS Dhoni: আইসিসির হল অফ ফেমে জায়গা করে নিলেন ধোনি, তালিকায় আর কোন কোন ভারতীয়?

    MS Dhoni: আইসিসির হল অফ ফেমে জায়গা করে নিলেন ধোনি, তালিকায় আর কোন কোন ভারতীয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে (MS Dhoni) আইসিসি হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC Hall of Fame)। ধোনি হলেন একাদশতম ভারতীয় ক্রিকেটার, যিনি এই সম্মানে ভূষিত হলেন। ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের মধ্যে অন্যতম মহেন্দ্র সিং ধোনি। টি-২০ বিশ্বকাপ, একদিনের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-সবই জিতেছেন। অবসর নেওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যেই আইসিসির হল অফ ফেমে স্থান পেলেন ক্যাপ্টেন কুল। ধোনির সঙ্গেই আইসিসি-র ‘হল অফ ফেম’-এ জায়গা পেয়েছেন ম্যাথু হেডেন, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, হাশিম আমলা, গ্রেম স্মিথ, সানা মির এবং সারা টেলর।

    অসাধারণ অনুভূতি, বললেন মাহি

    ২০০৪ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল ধোনির (MS Dhoni)। তিন বছর পর টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পান। এর পর টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে সফল ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এক দিনের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন। ভারতকে দু’বার এশিয়া কাপ জিতিয়েছেন। এক দিনের ফরম্যাটে দু’বার আইসিসি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতের হয়ে ৩৫০টি এক দিনের ম্যাচ খেলে ১০,৭৭৩ রান করেছেন ধোনি। ৯০টি টেস্টে করেছেন ৪৮৭৬ রান। আইসিসি-র ওয়েবসাইটে ধোনি বলেছেন, “হল অফ ফেমে সুযোগ পেয়ে আমি আপ্লুত। গোটা বিশ্বে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্রিকেটারেরা যে অবদান রাখে, তার স্বীকৃতি জানানো হয় এই সম্মানের মাধ্যমে। সর্বকালের সেরাদের পাশে নিজের নাম দেখতে পাওয়া অসাধারণ অনুভূতি। সারাজীবন এই সম্মান মনে রাখব।”

    হল অফ ফেমে যে ভারতীয়রা (ICC Hall of Fame)

    সুনীল গাভাসকর: আইসিসির হল অফ ফেমে স্থান পাওয়া প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। লিটল মাস্টার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে টেস্টে ১০ হাজার রানের গণ্ডি পেরিয়েছিলেন।

    বিষেণ সিং বেদী: গাভাসকরের সঙ্গেই ২০০৯ সালে হল অফ ফেমে জায়গা পেয়েছিলেন বিষেণ সিং বেদী। কিংবদন্তি বাঁহাতি স্পিনার ৬৭টি টেস্ট খেলে ২৬৬ উইকেট পেয়েছিলেন।

    কপিল দেব: প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেবকে ২০১০ সালে আইসিসি হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিজের সময়ের সেরা অলরাউন্ডার ১৩১টি টেস্ট এবং ২২৫টি ওয়ানডে খেলেছেন।

    অনিল কুম্বলে: এক ইনিংসে ১০ উইকেট। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপকদের তালিকায় চতুর্থ। কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলেকে ২০১৫ সালে আইসিসি হল অফ ফেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    রাহুল দ্রাবিড়: ‘দ্য ওয়াল’ রাহুল দ্রাবিড়কে ২০১৮ সালে হল অফ ফেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি।

    সচিন তেণ্ডুলকর: ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেণ্ডুলকরকে ২০১৯ সালে হল অফ ফেম সম্মান দেয় আইসিসি। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে ২০০ টেস্ট খেলা, ১০০ সেঞ্চুরি হাঁকানো-হাজারো রেকর্ডের মালিক শচীন।

    বিনু মানকড়: ভারতের অন্য়তম সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে জ্বলজ্বল করে বিনু মানকড়ের নাম। দেশের হয়ে ৪৪টি টেস্ট খেলেছেন, ২১০৯ রান এবং ১৬২টি উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

    বীরেন্দ্র শেহওয়াগ: ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। ১৪ বছরের কেরিয়ারে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন তারকা ওপেনার। সবচেয়ে বেশিবার ট্রিপল সেঞ্চুরির নজিরও রয়েছে তাঁর দখলে।

    ডায়ানা এডুলজি: ১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ডায়ানা এডুলজি। তিনবার বিশ্বকাপ খেলেছেন, তার মধ্যে দু’বার নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। ভারতের মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম কিংবদন্তি হিসেবে ডায়ানাকে মনে করে ক্রীড়ামহল।

    নীতু ডেভিড: দেশের হয়ে ১০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ভারতীয় স্পিনার নীতু ডেভিড। ১৮২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। চার বছর মহিলা দলের নির্বাচক প্রধানও ছিলেন।

  • Ethical Hacker: পেয়েছেন নাসার ‘হল অফ ফেম’ স্বীকৃতি, এথিক্যাল হ্যাকিংকেই পেশা করেছেন কাশ্মীরের মুনীব

    Ethical Hacker: পেয়েছেন নাসার ‘হল অফ ফেম’ স্বীকৃতি, এথিক্যাল হ্যাকিংকেই পেশা করেছেন কাশ্মীরের মুনীব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফটওয়্যার ডেভেলপার নয়, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে সব চেয়ে বেশি চাহিদা হ্যাকারদের। কিন্তু এই হ্যাকারদের অপরাধী নয়, বরং গোয়েন্দা বলা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হ্যাকিং শব্দটির সঙ্গে সাইবার অপরাধীরা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কিন্তু হ্যাকারদের শায়েস্তা করতেও হ্যাকিং জানতে হয়। সেই কৌশলকে বলে ‘এথিক্যাল হ্যাকিং’ (Ethical Hacker) অর্থাৎ যেখানে নৈতিকতা থাকে। আর এই এথিক্যাল হ্যাকিং-এর দুনিয়ায় নয়া পালক যোগ করল দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার জুঙ্গালপোরা গ্রামের বাসিন্দা মুনীব আমিন।

    কে এই মুনীব?  

    মুনীব হলেন একজন কাশ্মীরি প্রযুক্তিবিদ, যিনি সম্প্রতি এথিক্যাল হ্যাকিং-এর দুনিয়ায় তার কাজের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে। একজন এথিক্যাল হ্যাকার হিসেবে ’ (Ethical Hacker) কাজের ক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA)-এর ‘হল অফ ফেম’-এ বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। মুনীবের কৃতিত্ব সাইবার নিরাপত্তা জগতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং আজকের ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপে সংবেদনশীল তথ্য রক্ষায় তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে তিনি ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি (IGNOU) থেকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতক (BCA) ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করছেন। 
    আসলে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে ভাবে তথ্য চুরি ও সাইবার হানা বাড়ছে তা ঠেকাতেও এই এথিক্যাল হ্যাকারদের ’ (Ethical Hacker)  প্রয়োজন। তাই সাইবার জগতে মুনীবের এই কৃতিত্ব একটি অনুপ্রেরণা হিসাবে রয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে মুনীব বলেছিল, “আজকের ডিজিটাল যুগে, কিছুই সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। একটি সংস্থা যত বড়ই হোক না কেন, যদি এটি কোনও নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকে তবে এটি হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা থেকেই যায়।”  

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    এথিক্যাল হ্যাকিং এর ভবিষ্যৎ ’ (Ethical Hacker)  

    আর ঠিক এই কারণেই সাইবার সিকিউরিটি (Cybersecurity Expert) এবং এথিক্যাল হ্যাকিং বর্তমান সময়ে একটি ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র হিসেবে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে ভারত এবং বিদেশে এই কাজের জন্য একাধিক চাকরির পরিসর রয়েছে। আর এই এথিক্যাল হ্যাকিং দুনিয়ায় প্রবেশ করতে সাধারন ডিগ্রির চেয়েও বেশি প্রয়োজন হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে স্ব-শিক্ষা এবং জ্ঞান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share