Tag: Hamas

Hamas

  • Israel Hamas Conflict: যুদ্ধবিরতিতে সায় ইজরায়েলের মন্ত্রিসভার, সোম থেকেই শুরু প্রথম পর্ব

    Israel Hamas Conflict: যুদ্ধবিরতিতে সায় ইজরায়েলের মন্ত্রিসভার, সোম থেকেই শুরু প্রথম পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বিরতি পড়তে চলেছে টানা পনের মাস ধরে চলা যুদ্ধে (Israel Hamas Conflict)। শনিবার ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) চুক্তি অনুমোদন করেছে। যুদ্ধবিরতি চলবে প্রায় দেড় মাস। শুরু হবে, ১৯ জানুয়ারি, রবিরার থেকে। এদিনের বৈঠকে কয়েকজন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তা সত্ত্বেও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা সায় দেয় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে। জানা গিয়েছে, চুক্তিটির মধ্যস্থতা করেছিলেন কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা। কয়েকজন মার্কিন কর্তারাও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। এই চুক্তির লক্ষ্য হল, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে আকস্মিক হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

    যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব (Israel Hamas Conflict)

    যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ ৪২ দিন স্থায়ী হবে। এর মাধ্যমে গাজায় হামাসের হাতে আটক ৩৩জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল-থানি বলেন, “মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে থাকবেন বেসামরিক মহিলা এবং মহিলা সেনাসদস্য, সেই সঙ্গে শিশু, প্রবীণ ব্যক্তি, অসুস্থ বেসামরিক ব্যক্তি এবং আহত ব্যক্তিরা”। সূত্রের খবর, তিনজন ইসরায়েলি নারী সেনাসদস্য রবিবার সন্ধ্যায় প্রথমে মুক্তি পাবেন। ইজরায়েলের বিচারমন্ত্রক জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে ৭৩৭ জন বন্দি এবং আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা রয়েছে। ইজরায়েল অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার আগে কাউকে মুক্তি দেবে না (Israel Hamas Conflict)।

    আরও পড়ুন: একদিনে ৬৫ লাখের বেশি সম্পত্তি কার্ড বিলি, অভিনব রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা

    জানা গিয়েছে, বন্দিদের প্রথমে নিয়ে আসা হবে গাজা সীমান্তে। সেখানে চিকিৎসক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তাঁদের পরীক্ষা করবেন। পরে তাঁদের হেলিকপ্টার বা গাড়ির মাধ্যমে ইসরায়েলের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। যুদ্ধবিরতি পর্ব চলাকালীন সময়ে ইজরায়েলি সেনারা গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে আসবে। ইসরায়েলি সেনা গাজার নির্দিষ্ট স্থান এবং রুট থেকে সরে এলেও, গাজার বাসিন্দাদের ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতি থাকা এলাকা বা ইসরায়েল-গাজার সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।

    প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায়, ইসরায়েল প্রথম ধাপে গাজার ভেতরে একটি বাফার জোন বজায় রাখবে। যদিও “সমস্ত বন্দি না ফেরানো পর্যন্ত” ইজরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে না (Israel Hamas Conflict)। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার ১৬ দিনের মাথায় শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রস্তুতি (Ceasefire)।

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas Conflict: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে, যুদ্ধবিরতি ইজরায়েল-হামাসের

    Israel Hamas Conflict: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে, যুদ্ধবিরতি ইজরায়েল-হামাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে। দীর্ঘ পনের মাস ধরে চলা যুদ্ধে ইতি (Ceasefire) টানল ইজরায়েল ও হামাস (Israel Hamas Conflict)। যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে দুপক্ষই। তবে শর্ত সাপেক্ষে। শর্ত অনুযায়ী, হামাসের হাতে যাঁরা বন্দি রয়েছেন, তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। আর ইজরায়েলকে মুক্তি দিতে হবে জেলবন্দি প্যালেস্তাইনিদের।

    যুদ্ধবিরতি ঘোষণা (Israel Hamas Conflict)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ বিরতির যাবতীয় কৃতিত্ব ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সূত্রের খবর, আপাতত ছ’সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ইজরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে। ইজরায়েলের হাতে আটক প্যালেস্তানীয় বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। ইজরায়েল ও কাতারের দুই কর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির চুক্তি প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবে খসড়া রূপরেখাটি এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। তবে হামাসের পক্ষ আগের চেয়ে এখন অনেকটাই সুর নরম করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান এই নেতা ক্ষমতায় এলেই বদলে যাবে আন্তর্জাতিক সমীকরণ। তাই তার আগেই ইজায়েলের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চাইছে হামাস।

    ট্রাম্পকে ধন্যবাদ

    যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন তিনি। ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি বলেন, “ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যস্থতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও বড় ভূমিকা রয়েছে।” যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ট্রাম্পের দলের সঙ্গে কাজ করেছে তাঁর প্রশাসনও। ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতরও। নেতানিয়াহু অবশ্য জানিয়েছেন, এখনও যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়নি। বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বাকি রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সব মহলেরই আশা, দ্রুত সম্পন্ন হয়ে যাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রথম ইজরায়েলি সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালিয়েছিল হামাস (Israel Hamas Conflict)। ইজরায়েল ইহুদি রাষ্ট্র। আর হামাসরা মুসলমান। সেদিন এই হামাসরাই ইজরায়েলে ঢুকে হত্যা করেছিল ১২০০ সাধারণ মানুষ ও সেনাকে। অপহরণ করেছিল ২৫০জনকে। এর পরেই প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েল। হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয় হামলা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিসর বাড়তে থাকে যুদ্ধের। হামাসের পাশে দাঁড়ায় মুসলিম রাষ্ট্র লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া এবং ইরান। সেই যুদ্ধেই (Ceasefire) আপাতত দাঁড়ি পড়ল বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (Israel Hamas Conflict)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Israel: ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড কুখ্যাত হামাস কমান্ডারকে খতম করার দাবি ইজরায়েলের

    Israel: ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড কুখ্যাত হামাস কমান্ডারকে খতম করার দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন এই হামাস (Hamas) নেতা। এবার তাঁকে নিকেশ করল ইজরায়েল (Israel)। সেদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, গাজায় একটি আশ্রয় শিবিরে আত্মগোপন করে ছিলেন জঙ্গিনেতা আব্দ আল-হাদি সাবা (Abd al-Hadi Sabah)। এখান থেকেই সমস্ত নাশকতামূলক কাজের পরিচালনা করতেন তিনি। এবার এই ঘাতক হামলাকারীকে হত্যা করল ইহুদি সেনা।

    কুখ্যাত জঙ্গিকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিল ইজরায়েল (Israel)

    ইজরায়েল (Israel) সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামাসের এলিট বাহিনীর নুখবা-র অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন আব্দ আল-হাদি। গাজায় ইজরায়েলি বায়ুসেনার অভিযানে (Hamas) ওই হামাস জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলের কিবুৎজ নির ওজে হামলার দায়িত্ব ছিলেন সাবা। একাধিক হত্যা এবং অপহরণের মামলায় জড়িত ছিলেন তিনি। ইহুদি সেনার দাবি, গাজার খান ইউনিসের মানবাধিকার অঞ্চলের একটি আশ্রয় শিবিরে লুকিয়ে ছিলেন। এখান থেকেই দলের কাজকর্ম পরিচালনা করতেন এই হামাস নেতা। আবার এই কুখ্যাত জঙ্গিকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিল ইজরায়েল।

    অক্টোবরে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকেও হত্যা করা হয়েছে

    উল্লেখ্য, আগে গাজায় হামলায় নিহত হয়েছিলেন নুখবা-র আর এক কমান্ডার বিলাল আল কেদরা। ইহুদি (Israel) সেনার দাবি, এই জঙ্গি কিবুৎজ নিরিম ও নির ওজে হামলার দায়িত্বে ছিলেন। এই অক্টোবর মাসে নিহত হয়েছেন হামাস (Hamas) গোষ্ঠীর প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারও। হামাসের হামলার পর থাকেই ইজরায়েলি সেনার হাতে প্রাণ গিয়েছে একের পর এক শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতার। তবে কিছুদিন আগেই হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথাও স্বীকার করে নিয়েছে ইজরায়েল। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইজারায়েলের দিকে কেউ হাত ওঠালে তা কেটে ফেলা হবে।

    প্রায় ১২০০ জন ইহুদিকে খুন করে হামাস

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইহুদিদের (Israel) বাৎসরিক উৎসবের দিনে হামাস (Hamas), হিজবুল্লা সহ একাধিক সংগঠন আচমকা হামলা করে। বোমা, রকেট হামলায় কেঁপে ওঠে ইজরায়েল। প্রায় ১২০০ জনকে ওই রাতে খুন করা হয়। ২৫০ জনকে অপহরণ করে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এই পাশবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ায় ভারত। এই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে মরিয়া হয়ে একে একে হামাস নেতাকে খুঁজে খুঁজে খতম করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক সেজে থাকা ইসলামিক জেহাদি জঙ্গিদের, দাবি ইজরায়েলের

    Israel: হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক সেজে থাকা ইসলামিক জেহাদি জঙ্গিদের, দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়নি। হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক সেজে থাকা ইসলামিক জেহাদি জঙ্গিদের (Terrorists)। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করেছে ইজরায়েল (Israel) ডিফেন্স ফোর্সেস। এক্স হ্যান্ডেলে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস লিখেছে, “গত রাতে আইডিএফ এবং আইএসএ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইএএফ নুসাইরাত এলাকায় একটি যানবাহনের ভেতরে থাকা ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি দলের ওপর নির্ভুল হামলা চালায়। এই হামলায় বেশ কয়েকজন ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি নিহত হয়েছে।”

    সাংবাদিকের ছদ্মবেশে ইসলামিক জঙ্গি (Israel)

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, এই ব্যক্তিরা ইসলামিক জিহাদ সদস্য যারা সাংবাদিক সেজেছিল। একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্রও মিলেছিল যা আইডিএফ গাজায় অভিযানের সময় আবিষ্কার করেছিল। যে চারজন নিহত হয়েছিল, তারা ইসলামিক জিহাদ সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য। প্রসঙ্গত, ঠিক একদিন আগে, সিএনএন একটি হাসপাতাল ও তাদের সংবাদ মাধ্যমের বিবৃতি উল্লেখ করে জানিয়েছিল, গাজায় একটি ইজরায়েলি হামলায় পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছিলেন।

    ইসলামিক জিহাদ গ্রুপ

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, আল-কুদস টুডে টেলিভিশনের একটি গাড়ি আল-আওদা হাসপাতালের বাইরে পার্ক করা ছিল। তখনই এর ওপর আঘাত করা হয়। গাজাভিত্তিক এই টেলিভিশন চ্যানেলটি প্যালেস্তাইন ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের সঙ্গে (Israel) যুক্ত। ঘটনাস্থলে থাকা অন্য সাংবাদিকরা জানান, আইমান আল-জাদি, ফয়সাল আবু আল-কুমসান, মোহাম্মদ আল-লাদা, ইব্রাহিম আল-শেখ আলি এবং ফাদি হাসুনা ওই গাড়ির ভেতরে ঘুমাচ্ছিল। তখনই হামলাটি হয়।

    আরও পড়ুন: মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণ, সাতদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা কেন্দ্রের

    ঘটনার পরবর্তী অবস্থার ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে গাড়িগুলি জ্বলন্ত অবস্থায় রয়েছে এবং পিছনের দরজাগুলিতে বড় অক্ষরে টিভি এবং প্রেস লেখা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। আর একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে গাড়িটি সম্পূর্ণ আগুনে পুড়ে গিয়েছে। আল-কুদস টুডে টেলিভিশন হামলার নিন্দা করেছে। তাদের বক্তব্য, ওই পাঁচ জন তাদের (Israel) সাংবাদিকতা ও মানবিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন (Terrorists)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Hezbollah Ceasefire: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    Israel Hezbollah Ceasefire: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক স্বস্তি পশ্চিম এশিয়ায়। হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি (Israel Hezbollah Ceasefire) ঘোষণা করল ইজরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ১৪ মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিল ইজরায়েল ও লেবানন সমর্থিত হিজবুল্লা৷ মঙ্গলবার এই বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ যদিও হামাসও একই পথে হাঁটবে কি না, সেই প্রসঙ্গে কোনও কথা উল্লেখ নেই এই চুক্তিপত্রে৷

    যুদ্ধবিরতির ঘোষণা

    প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বুধবার, ২৭ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। আপাতত হিজবুল্লার উপরে হামলা (Israel Hezbollah Ceasefire) চালাবে না ইজরায়েল। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সিকিউরিটি ক্যাবিনেট দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কতদিন এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে, তা নির্ভর করছে লেবাননে কী হচ্ছে, তার উপরে। যদি যুদ্ধবিরতি কোনওভাবে লঙ্ঘিত হয়, তবে ইজরায়েল সর্বশক্তি দিয়ে তার জবাব দেবে। লেবাননের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতির চুক্তির পিছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ মধ্যস্থতা করেছেন। যুদ্ধবিরতিতে একাধিক শর্ত রেখেছে ইজরায়েল। 

    কেন যুদ্ধবিরতি

    হঠাৎ যুদ্ধবিরতি (Israel Hezbollah Ceasefire) ঘোষণার পিছনে তিনটি কারণ ব্যাখা করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। প্রথমত, ইরানের হুমকিতে মনোনিবেশ করা। দ্বিতীয়ত, ইজরায়েলি সেনাবাহিনীকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এবং অস্ত্রশস্ত্র মজুত করার জন্য সময় দেওয়া এবং তৃতীয়ত, বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে হামাসকে বিচ্ছিন্ন করা। নেতানিয়াহুর দাবি, যুদ্ধের দ্বিতীয় দিন থেকেই হামাস হিজবুল্লার উপরে নির্ভর করেছে। হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে হামাসকে সম্পূর্ণ একা করে দেওয়াই লক্ষ্য ইজরায়েলের। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইজরায়েলের শীর্ষকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ লেবানন থেকে ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। লেবাননের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা বাও হাবিব জানিয়েছেন, ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর দক্ষিণ লেবাননে অন্তত পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন থাকবে। ইজরায়েলের হামলায় ধ্বংস হওয়া পরিকাঠামোগুলি পুনর্গঠনে আমেরিকা সাহায্য করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি বায়ুসেনার, ১৩ শিশু-সহ মৃত ৩০! উদ্বেগ মধ্যপ্রাচ্যে

    Israel: গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি বায়ুসেনার, ১৩ শিশু-সহ মৃত ৩০! উদ্বেগ মধ্যপ্রাচ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকাল থেকে গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি (Israel) বায়ুসেনার। এখনও পর্যন্ত জাবালিয়া অঞ্চলে ১৩ জন শিশু-সহ মৃত ৩০। খোঁজ মিলছে না বহু মানুষের। গাজা (Gaza) প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেবল উত্তর গাজাই নয়, পূর্ব এবং দক্ষিণ গাজাতেও হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েল। এই এলাকার তাফায় স্কুলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। ঘটনায় ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।

    উদ্ধারের জন্য পৌঁছানো যাচ্ছে না (Israel)

    জানা গিয়েছে ইজরায়েলের (Israel) বিমান হামলার পাশাপাশি উত্তর গাজার (Gaza) বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইহুদি সেনা। গাজা প্রশাসনের উদ্ধারকারী বাহিনীর দাবি, বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিবারগুলির কাছে সাহায্য বা উদ্ধারের জন্য পৌঁছানো যাচ্ছে না। প্রচুর বাড়ি-ঘর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রত্যেকদিন বেড়ে চলেছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শনিবারও দুটি পৃথক হামলার ঘটনায় শিশু এবং মহিলা-সহ ১৩ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পরপর রবিবার ভোর থেকেই ফের ইজরায়েলি বায়ুসেনা নতুন করে হামলার ধারা অব্যাহত রেখে চলেছে। খান ইউনিসে একটি আশ্রয় শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ইহুদি বাহিনীর বিরুদ্ধে।

    হামাস গোপন ডেরা বানিয়ে রেখেছে

    আবার ইজরায়েলি (Israel) সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার টার্গেট করা হয়েছে জাবালিয়াকে। ওই এলাকায় হামাস জঙ্গিরা গোপন ডেরা বানিয়ে রেখে নাশকতামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। সঠিক খবর মিলতেই গাজার (Gaza) জাবালিয়াতে আক্রমণ শুরু করে বায়ু সেনা। তবে উত্তর গাজায় কোনও রকম ভাবেই উদ্ধারকারী বাহিনী কাজ চালাতে পারছে না। উদ্ধারকারী বাহিনীদের বক্তব্য, লাগাতার আক্রমণের ফলে উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তবে এই হামলা শুধু উত্তর গাজাতেই নয়, পূর্ব এবং দক্ষিণ গাজাতেও হামলা জারি রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    আলোচনা চালানো সম্ভব নয়

    উল্লেখ্য ইজরায়েল (Israel) এবং গাজার (Gaza) মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল কাতারে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ থামাতে কোনও রকম সদিচ্ছা দেখা যায়নি উভয় পক্ষের। ১০ দিন আগেই দু’পক্ষকে বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছিল কাতারের পক্ষ থেকে। কিন্তু আপাতত সেই দিকে কোনও সদর্থক মনোভাবের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে না। তবে কাতারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষ যদি সংঘর্ষ থামাতে সদিচ্ছা প্রকাশ না করে, তাহলে আলোচনা চালানো সম্ভব নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wikipedia: ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলির সমর্থনে ব্যবহার করা হচ্ছে উইকিপিডিয়াকে, দাবি মার্কিন সংস্থার

    Wikipedia: ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলির সমর্থনে ব্যবহার করা হচ্ছে উইকিপিডিয়াকে, দাবি মার্কিন সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলির সমর্থনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে উইকিপিডিয়াকে (Wikipedia), এমনই গুরুতর অভিযোগ আনল মার্কিন দেশের একটি সংবাদ সংস্থা পাইরেট ওয়্যারস। মার্কিন দেশের ঐ সংস্থার দাবি হামাসপন্থী এবং হিজবুল্লাপন্থী সাংবাদিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে প্যালেস্তাইন-ইজরায়েল যুদ্ধকে বিকৃত করে উপস্থাপন করার কাজে। শুধু তাই নয়, ইহুদিদের বিরুদ্ধে লাগাতার ঘৃণার প্রচারও চালাচ্ছে ওই সাংবাদিকরা। পাইরেট ওয়্যারসের (Pirate Wires) আরও দাবি, অন্তত ৪০ জন হামাস ও হিজবুল্লাপন্থী সাংবাদিককে এভাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে উইকিপিডিয়াতে তথ্য বিকৃত করার কাজে।

    ইহুদি বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে (Wikipedia) 

    গত বছরের সাত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে থাকা ধারণাকে (Wikipedia) পরিবর্তন  করতেই তারা এই কাজ করছে। অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে তারা হামাস ও হিজবুল্লাকে হিরো বানিয়ে, ইজরায়েলকে ভিলেন বানাতে চাইছে। অনলাইন যুদ্ধে এভাবেই তারা ইহুদি বিরোধী একটা মহল তৈরি করতে চাইছে।

    ২০ লক্ষ বার সম্পাদনা (Wikipedia) করা হয়েছে বিভিন্ন আর্টিকেল 

    পাইরেট ওয়্যারস (Pirate Wires) আরও জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের প্রবন্ধে প্রায় কুড়ি লক্ষবার সম্পাদনা করা হয়েছে এবং প্রতিক্ষেত্রেই হামাস এবং হিজবুল্লার সমর্থনে কথা বলা হয়েছে। প্রতিবারই ইহুদিদের বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আরও তথ্য উঠে এসেছে, টেক ফর প্যালেস্টাইন নামের একটি ৮,০০০ সদস্যের ডিসকর্ড গ্রুপ এভাবেই অনলাইন যুদ্ধ চালাচ্ছে। পাইরেট ওয়্যারসের মতে, ‘নাবলেজি’ নামে একজন টিএফপি সদস্য হিজবুল্লার সমর্থক বলেই নিজের পরিচয় দেন। তিনি অসংখ্যবার হামাস-হিজবুল্লা বিরোধী লেখা মুছে সেখানে ইহুদি বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Iran Conflict: প্রত্যাঘাত ইজরায়েলের! নিশানায় ইরানের সামরিক ঘাঁটিগুলি, হামলা সিরিয়াতেও

    Israel Iran Conflict: প্রত্যাঘাত ইজরায়েলের! নিশানায় ইরানের সামরিক ঘাঁটিগুলি, হামলা সিরিয়াতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ইরানে প্রত্যাঘাত হানল ইজরায়েল (Israel Iran Conflict)। শনিবার সকাল থেকে ইরানের রাজধানী তেহরানে আকাশপথে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি (Israel) সেনা। ইরানে হামলার কথা স্বীকারও করেছে তেল আভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী)। তারা জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ইরানের সামরিক ঘাঁটি।

    ইজরায়েলের প্রত্যাঘাত (Israel Iran Conflict)

    গত কয়েক মাস ধরে চলা ইরানের লাগাতার হামলার জবাব দিতে শুরু করল ইজরায়েল। ইরানের পাশাপাশি সিরিয়াতেও হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। ইজরায়েলি সেনার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইরান থেকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে মাসের পর মাস ধরে অনবরত যে আক্রমণ আসছে, তার জবাবে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী এখন ইরানের কিছু সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নির্দিষ্ট হামলা চালাচ্ছে।” এদিনই ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, এদিন ভোর রাত থেকে তেহরান ও সংলগ্ন এলাকায় আকাশপথে অন্তত দুটি হামলা হয়েছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতরের তরফে জারি করা এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আমাদের দেশকে নিরাপদে রাখতেই এই পদক্ষেপ।”

    বিস্ফোরণের আওয়াজে ঘুম ভাঙল তেহরানের

    এদিন ভারতীয় সময় ভোর ৪টে নাগাদ তেহরান ও কারাজ শহরে পর পর বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। পরে জানা যায়, ১ অক্টোবর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিয়েছে তেল আভিভ। ইজরায়েলি সেনার (Israel Iran Conflict) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাঘারি ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভবিষ্যতে ফের কোনও ভুল করলে এভাবেই তার জবাব দেওয়া হবে।”

    ১ অক্টোবর ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। তেল আভিভ লক্ষ্য করে অন্তত ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। ওই সময় লেবাননে গ্রাউন্ড অপারেশন শুরু করেছিল ইজরায়েলি সেনা। তারই জবাবে ইজরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করে ইরান। এদিন ভোরে তারই জবাব দিল নেতানিয়াহুর দেশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘অফিসের মাথায় জাতীয় পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগান’’, এসডিপিওকে তোপ সুকান্তর

    ইজরায়েল-ইরানের এই যুদ্ধে যুযুধান দু’পক্ষের কাছেই অস্ত্র সংবরণের আবেদন জানিয়েছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। এদিকে, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প ইজারায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলে খবর। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে (Israel) হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তার পর থেকে ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে যুদ্ধের পরিসর (Israel Iran Conflict)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Israel Defence Forces: আল জাজিরার ছয়জন সাংবাদিকের হামাস যোগ! প্রমাণ রয়েছে দাবি ইজরায়েলের

    Israel Defence Forces: আল জাজিরার ছয়জন সাংবাদিকের হামাস যোগ! প্রমাণ রয়েছে দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল জাজিরার (Al Jazeera) ছয় জন সাংবাদিককে জঙ্গি সংগঠন হামাসের সদস্য বলে দাবি করল ইজরায়েল (Israel Defence Forces)। এরা প্যালেস্টাইনের ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি ইজারায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF)। আইডিএফ দাবি করে, গাজায় পাওয়া গোয়েন্দা নথি থেকে এর প্রমাণ মেলে। প্রাপ্ত নথিগুলি প্রমাণ করে এই ছয় সাংবাদিকের সঙ্গে হামাসের সামরিক সম্পর্ক রয়েছে। ইজরায়েলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা।

    আইডিএফের অভিমত

    আইডিএফ (Israel Defence Forces) ট্যুইট বার্তায় জানায়, “গাজায় পাওয়া নথির মধ্যে রয়েছে হামাস কর্মীদের তালিকা, প্রশিক্ষণ কোর্সের তালিকা, ফোন ডিরেক্টরি এবং সন্ত্রাসীদের জন্য বেতন সংক্রান্ত নথি। এই নথিগুলি হামাসের জঙ্গিদের সঙ্গে কাতারি আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের যুক্ত থাকার প্রমাণ।” ছয় সাংবাদিকদের পরিচয়ও প্রকাশ করেছে ইজরায়েল। এরা হলেন, আনাস জামাল মাহমুদ আল-শরিফ, আলা আব্দুল আজিজ মহম্মদ সালামা, হোসাম বাসেল আবদুল করিম শাবাত, আশরাফ সামি আহসৌর সারাজ, ইসমাইল ফরিদ মহম্মদ আবু আমর, এবং তালাল মাহমুদ আবদুল রহমান আরুকি।

    সাংবাদিকদের জঙ্গি-যোগ

    আইডিএফ (Israel Defence Forces) আরও জানায় যে আনাস আল-শরিফ ছিলেন হামাসের নুসাইরাত ব্যাটালিয়নের নুখবা ফোর্স কোম্পানির একজন রকেট লঞ্চিং স্কোয়াড প্রধান। আলা সালামা ছিলেন ইসলামিক জিহাদের শাবুরা ব্যাটালিয়নের প্রচার ইউনিটের ডেপুটি প্রধান। শাবাত ছিলেন হামাসের বেইত হানুন ব্যাটালিয়নের একজন স্নাইপার, আশরাফ সারাজ ছিলেন ইসলামিক জিহাদের বুরেইজ ব্যাটালিয়নের সদস্য। আবু আমর ছিলেন ইস্ট খান ইউনিস ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ কোম্পানির কমান্ডার, এবং আবদুল রহমান আরুকি ছিলেন নুসাইরাত ব্যাটালিয়নের একজন টিম কমান্ডার। ইসমাইল আবু আমর এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইজরায়েলের একটি অভিযানে আহত হন। তখনও আল জাজিরা তার জঙ্গি সংযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছিল। 

    অভিযোগ অস্বীকার

    ইজরায়েলের (Israel Defence Forces) এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে আল জাজিরা (Al Jazeera)। এই মিডিয়া নেটওয়ার্কের তরফে বলা হয়, যুদ্ধের বাস্তবাতাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে ইজরায়েল, তাই এই অভিযোগ। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে আল জাজিরা হামাসপন্থী প্রচার চালাচ্ছে এই অভিযোগে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার ইজরায়েলে এই মিডিয়া নেটওয়ার্কের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়। এরপর সেপ্টেম্বরে ইজরায়েল সরকার রামাল্লার পশ্চিম তীরে অবস্থিত আল জাজিরা ব্যুরোও বন্ধ করে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Yahya Sinwar: ভাঙা হয় দাঁত, কাটা হয় তর্জনী! সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করাই লক্ষ্য ছিল ইজরায়েলের

    Yahya Sinwar: ভাঙা হয় দাঁত, কাটা হয় তর্জনী! সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করাই লক্ষ্য ছিল ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথায় গুলি লেগেই মৃত্যু হয়েছিল হামাস প্রধান (Hamas leader death) ইয়াহিয়া সিনওয়ারের (Yahya Sinwar)। ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর ৮২৮ ব্রিগেড অভিযান চালাচ্ছিল তেল আল সুলতান নামে একটি অঞ্চলে। সেই অভিযান চালানোর সময়েই তাঁরা দেখতে পান সিনওয়ারের দেহ পড়ে রয়েছে। মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করে সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় ইজরায়েলের তরফে। 

    ডিএনএ পরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত করাই লক্ষ্য

    সিএনএন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মাথায় গুলি করে হামাস প্রধানকে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর ডান হাতের একটি আঙুলও কেটে নেওয়া হয়। সিনওয়ারের (Yahya Sinwar) দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ময়নাতদন্তকারী এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকলেও মাথায় গুলি লাগার কারণেই সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথার খুলির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ছাড়া, ট্যাঙ্ক শেলের আঘাতেও গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃতদেহের ডান হাতের তর্জনী ছিল না। মৃত্যুর পরেই তা কাটা হয়েছে। হামলার পর ইজরায়েলি (Israel) সেনা সিনওয়ারের মৃতদেহ থেকে ওই আঙুল কেটে নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্যই আঙুল কাটা হয়।

    আরও পড়ুন: উচ্ছ্বাস ইজরায়েলে, হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত ডিএনএ পরীক্ষায়

    ভাঙা দাঁত দিয়ে ডিএনএ মেলানোর চেষ্টা

    প্রায় দু’দশক ধরে ইজরায়েলের জেলে বন্দি ছিলেন সিনওয়ার (Yahya Sinwar)। ২০১১ সালে ছাড়া পান তিনি। ইজরায়েলের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ফরেন্সিক মেডিসিনের চিফ প্যাথোলজিস্ট চেন কাগেল জানিয়েছেন, সিনওয়ার জেলে থাকাকালীন তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে প্রোফাইল ছিল, তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় কাটা আঙুলের প্রোফাইল। তবেই ইজরায়েল নিশ্চিত হয়। জানা গিয়েছে, দাঁতও ভেঙে নেওয়া হয়েছিল। ভাঙা দাঁত দিয়ে ডিএনএ মেলানোর চেষ্টা করেছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না বলে জানিয়েছেন ওই প্যাথোলজিস্ট। তাই আঙুল কেটে নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সিনওয়ারের মৃত্যুর পর ইতিমধ্যেই নেতৃত্ব সঙ্কট তৈরি হয়েছে হামাসের অন্দরে। এক জন রাজনৈতিক নেতার সন্ধান করছে তারা, যিনি গাজার বাইরে থেকে সংগঠন পরিচালনা করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর পর হামাসকে (Hamas) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share