Tag: Hamas

Hamas

  • Kerala Blast: কেরল বিস্ফোরণের নেপথ্যে হামাসের উসকানি! তদন্ত দাবি বিজেপির  

    Kerala Blast: কেরল বিস্ফোরণের নেপথ্যে হামাসের উসকানি! তদন্ত দাবি বিজেপির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছিলেন প্রাক্তন হামাস নেতা খালেদ মাশাল। তার আগে আগেই কেরলের মলপ্পুরমে মিছিল বের হয় প্যালেস্তাইনের সমর্থনে (Kerala Blast)। মিছিলের আয়োজক জামাত-ই-ইসলামির যুব সংগঠন। পরে আয়োজন হয় সভার। সেই সভায়ই ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন খালেদ।

    খালেদের বক্তব্যের সঙ্গে বিস্ফোরণের যোগ!

    সেখানে প্যালেস্তিনীয় যোদ্ধাদের পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে বলা হয় শ্রোতাদের। ইহুদি সন্ত্রাসের হাত থেকে আল আকসা মসজিদ উদ্ধারের কথা বলেন এই মুসলমান নেতা। এর ঠিক দুদিন পরে রবিবার করলের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রার্থনা সভায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। প্রার্থনা সভাটিতে অংশ নিয়েছিলেন খ্রিষ্টানদের একটি সম্প্রদায়। খালেদের বক্তব্যের সঙ্গে এই বিস্ফোরণের যোগ রয়েছে কিনা, তা জানতে চেয়ে তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামেরা।

    প্যালেস্তাইনে হামলা হামাসের 

    ৭ অক্টোবর ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলে হামলা চালায় মুসলমানের দেশ প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Kerala Blast)। ইহুদিদের ধরে ধরে কার্যত কচুকাটা করে হামাসের জঙ্গিরা। এর পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। তেল আভিভের পাশে দাঁড়ায় ভারত, আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের বহু দেশ। ইজরায়েলের হামলায় আক্ষরিক অর্থেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে হামাসের জঙ্গিরা। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, তাই চলছে হামাসের পক্ষে সমর্থন জোগাড়ের কাজ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাই-ভাইপো, বাড়ির কুকুর-বিড়াল দুর্নীতিতে যুক্ত’’, মমতাকে নিশানা দিলীপের

    শুক্রবার কেরলে যে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল, তার আয়োজক ছিলেন জামাত-ই-ইসলামি সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সদস্য আবুসালেম আহমেদ। প্যালেস্তাইনে বর্ণবিদ্বেষী শক্তি সংগঠিতভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় সভায়। ভারতও ওই সংগঠিত শক্তির অংশ বলেও দাবি করা হয়। এর পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। সভা ও মিছিলের অনুমতি দিয়ে বিপাকে পড়ে কেরলের বাম সরকার। কেরলের বিজেপি সহ সভাপতি ভিটি রেমা বলেন, “ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা নিজেদের আসল চেহারা দেখাচ্ছে। সবাই জানে, হামাসই প্রথম ইজরায়েলকে আক্রমণ করেছিল।” কেরল বিজেপির সভাপতি কে সুরেন্দ্রণ বলেন, “মলপ্পুরমের সভায় হামাস নেতা খালেদ মাশালের ভাষণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পিনারাই বিজয়নের কেরল পুলিশ কোথায়? প্যালেস্তাইন বাঁচাওয়ের নামে সন্ত্রাসীদের যোদ্ধা হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।” পুরো ঘটনায় (Kerala Blast) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সুরেন্দ্রণ।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ঘটনাটিকে কংগ্রেস এবং সিপিএমের তুষ্টিকরণের রাজনীতি বলে অভিহিত করেছেন। কেরলে হিংসা এবং জিহাদ ছড়ানোর জন্য ইন্ডি জোট ভারতে হামাস জঙ্গিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “মিছিল হয়েছিল কেরলে। আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করবে বক্তৃতাটি লাইভ না রেকর্ড করা। রেকর্ড করা হলে কে এবং কীভাবে ভিডিওটি পেল তা তদন্ত করা হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Israel Hamas War: গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ জাল, হামাসকে রুখতে স্পঞ্জ বোমা বানাচ্ছে ইজরায়েল!

    Israel Hamas War: গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ জাল, হামাসকে রুখতে স্পঞ্জ বোমা বানাচ্ছে ইজরায়েল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলকে ঘায়েল করতে গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Israel Hamas War)। সেই সুড়ঙ্গ-জাল ধরেই ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হামাসের নৃশংস জঙ্গিরা। হামাসের তৈরি এই সুড়ঙ্গ জালই এবার ছিঁড়ে ফেলতে চাইছে ইজরায়েল। তেল আভিভের মতে, হামাসের তৈরি এই সুড়ঙ্গ জাল অবরুদ্ধ করতে পারলেই কেল্লাফতে। সেই কারণেই এবার গাজার সুড়ঙ্গে স্পঞ্জ বোমা নিক্ষেপ করতে চলেছে ইজরায়েল। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জোরকদমে স্পঞ্জ বোমা তৈরি করতে শুরু করেছে ইজরায়েল।

    স্পঞ্জ বোমা কী?

    প্রশ্ন হল, স্পঞ্জ বোমা কী? স্পঞ্জ বোমা দেখতে খানিকটা ফেনার মতো। প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে এটি কোনও রাসায়নিকের ফেনা। কিন্তু নিক্ষিপ্ত হওয়ার পরেই ফেনা পরিণত হয় কঠিন পদার্থে। আসলে দুটি তরল দিয়ে তৈরি এই ফেনা। রাখা থাকে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটের মধ্যে। লোহার প্রতিবন্ধক দিয়ে প্যাকেটের মধ্যে আলাদা করে রাখা হয় তরল দুটি। নিক্ষিপ্ত হওয়ার পর ঘটে বিস্ফোরণ। তখনই প্লাস্টিকের প্যাকেট ছিন্ন করে মিশে যায় তরল দুটি। তৈরি হয় ফোম। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই ফোম। বাতাসের সংস্পর্শে এসে জমাটও বাঁধতে থাকে দ্রুত। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় সুড়ঙ্গ কিংবা গুহামুখ।

    রাসায়নিক গ্রেনেডের পরীক্ষা

    গাজা স্ট্রিপে হামাসের (Israel Hamas War) তৈরি সুড়ঙ্গের মুখ এই স্পঞ্জ বোমা দিয়েই অবরুদ্ধ করে দিতে চাইছে ইজরায়েল। সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করতে রাসায়নিক গ্রেনেডের পরীক্ষাও করছে ইজরায়েল। এই জাতীয় গ্রেনেডে কোনও বিস্ফোরক নেই। তবে সুড়ঙ্গ কিংবা গুহামুখ বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয় এই ধরনের বোমা। বছর দুই আগেও গাজা স্ট্রিপ সীমান্তে থাকা কিছু সুড়ঙ্গমুখ বন্ধ করতে পরীক্ষামূলকভাবে এই জাতীয় গ্রেনেড ব্যবহার করেছিল ইজরায়েল।

    আরও পড়ুুন: আগেই ইডিকে তোপ! পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বালুকে দেখে কি আতঙ্কিত সুজিত?

    ইজরায়েলকে পরাস্ত করতে নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে গাজায় এই সুড়ঙ্গ তৈরির ছক কষে হামাস। ২০০৫ সালে যখন ইজরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় এবং তার পরের বছর নির্বাচনে জয়ী হয় হামাস, তার পরেই শুরু হয় সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। এই সুড়ঙ্গগুলিতে রয়েছে বাঙ্কার, স্টোরেজ এবং নানা ধরনের ফাঁদ। সূত্রের খবর, কয়েকশো কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এই সুড়ঙ্গ (Israel Hamas War)। গভীরতা ৮০ মিটারের কাছাকাছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Israel Hamas War: উল্লেখ নেই হামাসের, রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত ভারত, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খারিজ ইজরায়েলেরও

    Israel Hamas War: উল্লেখ নেই হামাসের, রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত ভারত, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খারিজ ইজরায়েলেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে গাজা সংক্রান্ত (Israel Hamas War) প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত রইল ভারত। এই প্রস্তাবে হামাসের উল্লেখ ছিল না। কূটনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, সেই কারণেই ভোটদানে বিরত রইল নয়াদিল্লি। তবে রাষ্ট্রসংঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১২০টি দেশের প্রতিনিধিরা ভোট দেওয়ায় সাধারণ সভায় পাশ হয়ে গিয়েছে প্রস্তাবটি। ঘটনাটিকে ‘মানবতার কালো অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছে ইজরায়েল।

    ইজরায়েলে হামলা হামাসের

    ২৪ দিন আগে ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলে হামালা চালায় মুসলমানদের দেশ প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। হামাসের নৃশংস আক্রমণে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন ইজরায়েলের বহু মানুষ। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। গাজা স্ট্রিপের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে আঘাত হানে তেল আভিভ। জঙ্গিদের উচিত শিক্ষা দিতে গাজা স্ট্রিপ সীমান্তে অবরোধ করে ইজরায়েল। তার জেরে ওষুধ থেকে শুরু করে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সেখানে পাঠানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় প্রস্তাবটি আনে জর্ডন। প্রস্তাবে হামাসের উল্লেখ না থাকায় ভারত ভোটদানের বিরত ছিল বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। কেবল ভারত নয়, এই প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ইংল্যান্ড, ইউক্রেন, কানাডা এবং জাপানের মতো ৪৫টি দেশও।

    কানাডার প্রস্তাব

    প্রস্তাব পেশের সময় কানাডা জানায়, প্রস্তাবের একটি অংশে হামাসের হামলার নিন্দা করা হোক। এর পক্ষে মত দেয় ভারত সহ ৮৭টি দেশ। রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, দুই তৃতীয়াংশ সদস্য পক্ষে না থাকলে সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হয় না। এ ক্ষেত্রে সংশোধনী ছাড়াই পেশ হয় প্রস্তাবটি। এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের যুদ্ধ বিরতির (Israel Hamas War) প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল ইজরায়েল। তাদের দাবি, ইজরায়েল হামাসকে বিশ্ব থেকে মুছে ফেলতে চায়, যেমনভাবে নাৎসী এবং আইসিসকে খতম করা হয়েছিল।

    শুক্রবার ইউএনএর তরফে যুদ্ধ বিরতির পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্স হ্যান্ডেল থেকে রাষ্ট্রসংঘের এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রসংঘে ইজরায়েলের পক্ষ থেকে স্থায়ী সদস্য জানান, এই সভায় সত্যের কোনও গুরুত্ব নেই। আজকের অধিকাংশ সম্প্রদায়ই দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা আইন মেনে চলা ইজরায়েলকে নয়, বরং নাৎসী বাহিনীর সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করছে। যারা সত্যিকারের হিংসা রুখতে আগ্রহী তারা যেন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন না জানায়। তিনি জানান, ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য হামাসকে (Israel Hamas War) নির্মূল করা হবে।

    আরও পড়ুুন: সময় দেওয়া হল মহুয়াকে, তবে ২ নভেম্বর হাজিরার চিঠি ধরাল এথিক্স কমিটি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Israel Hamas War: মিসাইল হামলায় উড়ল গাজার হাসপাতাল, হত অন্তত ৫০০, কাঠগড়ায় প্যালেস্তাইন

    Israel Hamas War: মিসাইল হামলায় উড়ল গাজার হাসপাতাল, হত অন্তত ৫০০, কাঠগড়ায় প্যালেস্তাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিসাইলের হামলায় উড়ে গেল আস্ত একটা হাসপাতাল। চোখের পলকে অকালে প্রয়াত হলেন অন্তত পাঁচশো জন মানুষ। সুস্থ হতে কিংবা রোগীর আত্মীয়-পরিজন হিসেবে যাঁরা এসেছিলেন হাসপাতালে। যুদ্ধের সঙ্গে যাঁদের পরোক্ষভাবেও কোনও সম্পর্কই নেই। গাজার (Israel Hamas War) স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে। হামাসের অভিযোগ, ইজরায়েলের ছোড়া মিসাইলেই ভেঙে পড়েছে আস্ত হাসপাতালটি।

    অভিযোগ অস্বীকার ইজরায়েলের

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। তাদের দাবি, প্যালেস্তাইনের ছোড়া রকেটের আঘাতেই এই বিপর্যয়। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই খুলে গেল অপপ্রচারের মুখোশ। ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে ইজরায়েল জানায়, গাজার হাসপাতালে যে রকেট আছড়ে পড়ে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তা হামাসের ছোড়া। মিসফায়ার করে ওই রকেট হাসপাতালে গিয়ে পড়ে। দোষ চাপানোর চেষ্টা হয় ইজরায়েলের ওপর।  

    হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ

    দিন দশেকেরও বেশি সময় ধরে চলছে হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ (Israel Hamas War)। ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলকে শিক্ষা দিতে হামলা চালায় মুসলমানের দেশ প্যালেস্তাইন। এই প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গি হামাসরাই প্রথম হামলা চালায়। প্রতিরোধ গড়ে তোলে তেল আভিভ। তার জেরে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

    ইজরায়েল-হামাসের এই সংঘর্ষ থেকে গাজার আল আহলি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন শতাধিক সাধারণ মানুষ। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কিছু রোগীও। তাঁদের দেখতে এসেছিলেন তাঁদের পরিজনেরা। আচমকাই আছড়ে পড়ে একটি মিসাইল। ভেঙে পড়ে হাসপাতালের একটি বড় অংশ। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। গাজা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, মিসাইলের ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫০০ জনের। এর পরেই শুরু হয়েছে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের (Israel Hamas War) মধ্যে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের পালা। ইজরায়েলের দাবি, যে সময় হাসপাতালটি ভেঙে পড়ে, সেই সময় প্যালেস্তাইনের জিহাদি সংগঠন রকেট হামলা চালিয়েছিল। কোনও একটি রকেটের উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়। সেটিই আছড়ে পড়ে গাজার ওই হাসপাতালের ওপর।

    রয়েল ডিফেন্স ফোর্সের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাসপাতালে রকেট হামলার জন্য ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি সংগঠনই দায়ী। আইডিএফের অপারেশনাল সিস্টেমের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, একগুচ্ছ রকেট ইজরায়েল লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। তা ওই হাসপাতালের ওপর দিয়েই গিয়েছিল। কোনও একটি রকেট আছড়ে পড়েই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।” আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জেনেছি, ইসলামিক জিহাদির এজন্য দায়ি। রকেট হামলা ব্যর্থ হওয়ায়ই ঘটেছে এই বিপর্যয়।”

    আরও পড়ুুন: “গ্রিন প্ল্যানেটের জন্য ব্লু ইকনমিকের দিকে যাচ্ছি”, মেরিটাইম সামিটে বললেন মোদি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     

  • Hamas Israel War: ইজরায়েলের হানায় হত নুখবার শীর্ষ কমান্ডার, এবার হামাসের ঘরে ঢুকে জঙ্গি নিধন!  

    Hamas Israel War: ইজরায়েলের হানায় হত নুখবার শীর্ষ কমান্ডার, এবার হামাসের ঘরে ঢুকে জঙ্গি নিধন!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলি বায়ুসেনার হামলায় হত হামাসের (Hamas Israel War) এলিট বাহিনী নুখবার শীর্ষ কমান্ডার। মৃতের নাম বিলাল আল কেদরা। শনিবার রাতে গাজা ভূখণ্ডে থাকা হামাসের ডেরাগুলিতে লাগাতার বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। তেল আভিভের দাবি, সেই হানায়ই মৃত্যু হয়েছে নুখবার শীর্ষ কমান্ডারের। কেবল কেদরা নয়, ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে আরও কয়েকজন জঙ্গির।

    গাজা সীমান্তে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

    এদিকে, এদিনই সেনার সঙ্গে গাজা সীমান্তে এসেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সব দিক থেকে সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, নুখবা বাহিনীর কমান্ডার দক্ষিণ ইজরায়েলের কিবুৎজ নিরিম ও নির ওজে হামলার দায়িত্বে ছিল। মুসলমানদের দেশ প্যালেস্তাইনের হামাস অধিকৃত গাজা ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের শনিবারের মধ্যে শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়েছিল ইজরায়েলের তরফে। এর পর প্রচুর মানুষ গাজা ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। এর পরেই গাজায় ঘরে ঢুকে হামাস জঙ্গিদের খতম করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স।

    সীমান্তে ১০ হাজার সেনা

    জানা (Hamas Israel War) গিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এবার সেখানে স্থল, জল এবং আকাশ – তিন পথেই হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। ইজরায়েলের (Hamas Israel War) এই বাহিনীর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চারদিক থেকে গাজায় হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গাজা সীমান্তে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। জড়ো করা হয়েছে ট্যাঙ্ক। নির্দেশ পেলেই হামাস ধ্বংস-যজ্ঞে নামবে ইজরায়েলি বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: অপারেশন অজয়, চতুর্থ দফায় ইজরায়েল থেকে ফিরলেন ২৭৪ জন ভারতীয়

    ইজরায়েলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, হামাস তাদের শক্তি দেখাচ্ছে। এ বার ইজরায়েল দেখাবে তাদের ক্ষমতা। এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও ঠাঁই নেই। তাই হামাসকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কাজ শুরু হবে দ্রুত। হামাসকে দুরমুশ করতে ইজরায়েলের (Hamas Israel War) পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। তারা আগেই একটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয় রণতরীটিও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠানোর তোড়জোড় করছে জো বাইডেনের দেশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hamas Israel War: ইজরায়েলের পাশাপাশি প্যালেস্তাইনেও ফোন বাইডেনের, কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    Hamas Israel War: ইজরায়েলের পাশাপাশি প্যালেস্তাইনেও ফোন বাইডেনের, কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ (Hamas Israel War)। এখনও বাতাসে গোলা-বারুদের গন্ধ। যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে মৃতদেহ। কোথাও শিশুর লাশ, তো কোথাও মায়ের, কোথাও আবার বাবা-ছেলের দেহ পড়ে রয়েছে পাশাপাশি। গত শনিবার ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় মুসলমানের দেশ প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। এই যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা।

    প্যালেস্তাইনে ফোন বাইডেনের 

    তবে বাইডেন প্রশাসন যে প্যালেস্তাইনের নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়েও চিন্তিত, তাও হয়ে গেল স্পষ্ট। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ড জো বাইডেন ফোন করেন প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে। হামাসের দখলে থাকা গাজা ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের জন্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন। এদিন হোয়াইট হাউসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেন একই দিনে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের (Hamas Israel War) সঙ্গে কথা বলেছেন। যুদ্ধের কারণে প্যালেস্তাইনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাইডেন।

    ইজরায়েলে ফোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের 

    প্যালেস্তাইন প্রেসিডেন্টকে সে দেশের বাসিন্দাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় যে কোনও সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা শহরের বাসিন্দাদের সাহায্যের কথা বলেছেন বাইডেন। প্রসঙ্গত, এই গাজা ভূখণ্ড থেকেই ইজরায়েলে আক্রমণ শানাচ্ছে হামাসরা। ইজরায়েলেরও পাখির চোখ গাজায় হামাসের ডেরাগুলি। প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও কথা বলেছেন বাইডেন। ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এলাকায় শান্তি ফেরানো, যুদ্ধের পরিধি পকেটের মধ্যেই সীমাবন্ধ রাখার বিষয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইজরায়েলকে যুদ্ধাস্ত্র দিয়েও সাহায্য করছে আমেরিকা।

    আরও পড়ুুন: মোদি জমানায় অতীত মাও আতঙ্ক, প্রথমবার ভোট দেবে ছত্তিশগড়ের বস্তার

    এদিকে, দ্বিতীয় এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে ইস্টার্ন মেডিটেরিয়ান সমুদ্রে পাঠাল আমেরিকা। ইজরায়েলের ওপর হামাসের (Hamas Israel War) আক্রমণ প্রতিহত করতেই এটা পাঠানো হয়েছে বলে শনিবার জানান মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। এদিকে, রবিবার প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গাজা ভূখণ্ড ও ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৮৩ জন। এর মধ্যে কেবল গাজায়ই মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩২৯ জন। সব মিলিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার ৮১৪ জন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: ‘‘অন্তঃসত্ত্বার পেট ফালা ফালা করা, পাশে পড়ে গর্ভস্থ শিশু’’! প্রকাশ্যে হামাস জঙ্গিদের বর্বরোচিত হামলা

    Israel Hamas War: ‘‘অন্তঃসত্ত্বার পেট ফালা ফালা করা, পাশে পড়ে গর্ভস্থ শিশু’’! প্রকাশ্যে হামাস জঙ্গিদের বর্বরোচিত হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই দাঁত-নখ বের করছে প্যালেস্তাইনি (Israel Hamas War) জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। কখনও তারা খুন করছে অসহায় শিশুদের। কখনও আবার আচরণ করছে বর্বরোচিত। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন আশদোদের বাসিন্দা ইয়োসি ল্যান্ডাও। ইজরায়েলের এই বাসিন্দা কয়েক দশক ধরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করছেন মৃতদেহ উদ্ধারের। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের সময়ও তিনি উদ্ধার করে চলেছেন লাশ।

    ভয়ঙ্কর দৃশ্য

    বছর পঞ্চান্নর ইয়োসি জানান, প্রতিদিন সাইরেনের শব্দে ঘুম ভাঙে তাঁর। তার পরেই বেরিয়ে পড়েন দেহ উদ্ধারের কাজে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে গিয়ে খুঁজে বেড়ান লাশ। ইয়োসি বলেন, “আমি গাড়ি উল্টে পড়ে থাকতে দেখেছি। রাস্তায় কত মানুষের দেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। সেই দৃশ্য ভয়ঙ্কর। সীমান্তের কাছাকাছি সেডেরো শহরে অনেক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন।” কয়েক দশক ধরে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ করলেও, এবারই ভয়ঙ্করতম ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ইয়োসি। বলেন, “একটা রাস্তায় এত দেহ পড়েছিল যে ১৫ মিনিটের রাস্তা পেরোতে আমাদের সময় লেগেছিল ১১ ঘণ্টা। কারণ আমরা ব্যাগে করে দেহগুলি তুলছিলাম।”

    বর্বরোচিত অভিজ্ঞতার সাক্ষী ইয়োসি

    তবে ইয়োসির বুকে গেঁথে রয়েছে (Israel Hamas War) এক নৃশংশ খুনের ছবি। তিনি বলেন, “একটি বাড়িতে দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখি, ছুরি দিয়ে পেট ফালাফালা করে দেওয়া হয়েছে এক মহিলার। সেখানে একটি শিশুও ছিল। মায়ের নাড়ির সঙ্গে তখনও যুক্ত ছিল শিশুটি। শিশুটিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। দৃশ্যটি দেখে আমি ঠিক থাকতে পারিনি।” এই যুদ্ধের আবহে ইজরায়েলের অনেক মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলেও দাবি ইয়োসির। ইয়োসি বলেন, “আমার কেবলই মনে হচ্ছিল, আমিও বুঝি ছিন্নভিন্ন হয়ে যাব। শুধু আমিই নয়, আমার সঙ্গীরাও।” তিনি বলেন, “দেখলাম, কয়েকজনকে বিষ দেওয়া হয়েছে এবং যৌন হেনস্থা করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: রক্তাক্ত শিশুর লাশের পাশেই অর্ধদগ্ধ একরত্তির দেহ, হামাস হামলার নৃশংস ছবি প্রকাশ্যে

    গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ। ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলে প্রথম হামলা চালায় শিয়া মুসলমানের দেশ প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। ইহুদিদের সবংশে ধ্বংস করতে মরিয়া হামাস। সেই কারণেই তারা এমন বর্বরোচিত আচরণ করছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Israel Hamas War: রক্তাক্ত শিশুর লাশের পাশেই অর্ধদগ্ধ একরত্তির দেহ, হামাস হামলার নৃশংস ছবি প্রকাশ্যে

    Israel Hamas War: রক্তাক্ত শিশুর লাশের পাশেই অর্ধদগ্ধ একরত্তির দেহ, হামাস হামলার নৃশংস ছবি প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তার এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে লাশ। এর মধ্যে যেমন তরুণ-তরুণী রয়েছেন, তেমনি রয়েছে মাস কয়েকের শিশুর দেহও। রক্তাক্ত শিশুর লাশের (Israel Hamas War) পাশেই হয়তো কোথাও পড়ে রয়েছে আধপোড়া শিশুর দেহ। এই সব দেহ উদ্ধার করে সৎকারের ব্যবস্থা করছে ইজরায়েলি সেনা। গত কয়েক দিন ধরে প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ড থেকে ইজরায়েলের ওপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে হামাসরা। এমনই কিছু মৃত শিশুর বিকৃত দেহের ছবি পোস্ট করা হয়েছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে। যে ছবি দেখে স্তম্ভিত তামাম বিশ্ব।

    আচমকা হামলা চালায় হামাসরা

    গত শনিবার ইহুদিদের উৎসবের দিনেই আচমকা হামলা চালায় হামাসরা। কোথাও নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে কোনও শিশুর পিতাকে। কোথাও (Israel Hamas War) আবার খুন করা হয়েছে তার মাকে। আবার কোথাও তরোয়াল দিয়ে চিরে দেওয়া হয়েছে গর্ভবতী মায়ের পেট। ছুরিকাঘাতে বিদ্ধ করা হয়েছে ভ্রুনটিকেও। হামাসদের এই নৃশংস হামলার নিন্দা করেছে বিশ্বের বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলির একটা বড় অংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় মর্মান্তিক ছবিগুলি প্রকাশ করে নেতানিয়াহুর কার্যালয় লিখেছে, “প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে যে ছবিগুলি দেখিয়েছিলেন, তার কয়েকটি এখানে রয়েছে। সতর্কতা: এগুলি হামাস দানবদের খুন করা এবং পুড়িয়ে ফেলা শিশুদের ভয়ঙ্কর ছবি। হামাস অমানবিক। হামাস আর আইএসআইএসে কোনও পার্থক্য নেই।”

    “হামাস আইএসআইএসের থেকেও খারাপ”

    বৃহস্পতিবারই নেতানিয়াহু একটি রক্তমাখা শিশুর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “হামাস আইএসআইএসের থেকেও খারাপ।” এদিকে, নেতানিয়াহু-ব্লিঙ্কেন বৈঠকের পর হয় যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানে ব্লিঙ্কেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইজরায়েল শক্তিশালী দেশ হলেও, মার্কিন শক্তি তাদের পাশে রয়েছে। সর্বদা সাহায্য করে। হামাসরা চাইলে মার্কিন সরকার কথাবার্তা বলতে রাজি বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, হামাসরা প্যালেস্তানীয়দের প্রতিনিধিত্ব করে না। প্যালেস্তাইনের যে সব মানুষ (Israel Hamas War) শান্তি চান, মার্কিন প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে সকলেরই।

    আরও পড়ুুন: সন্ত্রাস-হামলার নেপথ্যে এরাই! হামাসের কুখ্যাত ‘নুখবা’ কমান্ডোদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ইজরায়েল

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Operation Ajay: ‘অপারেশন অজয়’-এর প্রথম উড়ানে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে ফিরলেন ২১২ জন ভারতীয়

    Operation Ajay: ‘অপারেশন অজয়’-এর প্রথম উড়ানে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে ফিরলেন ২১২ জন ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল (Israel Hamas Conflict) থেকে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছল ‘অপারেশন অজয়’-এর (Operation Ajay) প্রথম চার্টার উড়ান। প্রথম দফায় ২১২ জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হল। দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। বিমানবন্দরে তাঁদের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও বলেন তিনি।

    নিরাপদেই ফিরলেন দেশে

    বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা বেজে ১৪ মিনিটে, তেল আভিভের বেন গুরিও বিমানবন্দর থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের নিয়ে ছাড়ে বিমান। তাতে ২১১ জন প্রাপ্ত বয়স্ক ও এক শিশু ছিল। বিমানটি নয়া দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরই, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিমানের ভিতর থাকা যাত্রীদের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সঙ্গে ক্যআপশনে লেখেন, “চলছে অপারেশন অজয়। নয়াদিল্লির পথে রওনা দিলেন ফ্লাইটে থাকা ২১২ জন নাগরিক।” 

    ইজরায়েলের (Israel Hamas Conflict) ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে, “২১২ জন ভারতীয় নাগরিককে নিয়ে অপারেশন অজয়ের প্রথম উড়ানটি, তেল আবিব থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ইজরায়েলের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা কামনা করা হচ্ছে।” 

    প্রথম দফায় কারা ফিরলেন দেশে

    এর আগে, ইজরায়েলের (Israel Hamas Conflict) ভারতীয়দের দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ভারতীয় নাগরিকদের নাম নিবন্ধন করা হয়। যারা আগে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের আগে ফেরার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে, প্রথম বিমানে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, সেই দেশে আটকে পড়া ৭ অক্টোবরের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের যাত্রীদের।

    শনিবার থেকে ইজরায়েলে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হামাস। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইজরায়েলও। যার জেরে ইতিমধ্যেই আড়াই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েল বসবাসকারী বিদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। একে তো দেশ থেকে এত দূরে, তার উপর এই পরিস্থিতি। এমন একটা সময়ে ভারতীয়দের দেশের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: হিংসার আগুনের মাঝে জীবনের জয়গান! ইজরায়েলে ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার যমজ শিশু

    Israel Hamas War: হিংসার আগুনের মাঝে জীবনের জয়গান! ইজরায়েলে ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার যমজ শিশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধ্বংস যজ্ঞের মধ্যেও প্রাণের স্পন্দন! এ ছবি যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েলের। দিন পাঁচেক ধরে কার্যত যুদ্ধ চলছে ইজরায়েল এবং হামাসের (Israel Hamas War)। প্যালেস্তাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসই প্রথম গাজা ভূখণ্ড থেকে হামলা চালায় ইজরায়েলে। পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে তেল আভিভ। হামাসের হামলায় ইজরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজারের কাছাকাছি। ইজরায়েলের বাতাসে বারুদের গন্ধ। যত্রতত্র ছড়িয়ে মৃতদেহ। এরই মধ্যে শোনা গেল জীবনের জয়গান।

    শেল্টার হাউসে লুকিয়ে রাখেন যমজ সন্তান

    ঘটনাটি তাহলে খুলেই বলা যাক। হামাসরা ইজরায়েলে হামলা চালাতেই মাস দশেকের যমজ সন্তানকে একটি শেল্টার হাউসে লুকিয়ে রাখেন ইজরায়েলের এক তরুণ দম্পতি। এর পরপরই হামাস জঙ্গি বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ওই দম্পতির। হামাসের ছোড়া গোলায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে তাঁদের বাড়িটিও। হামাসের ডেরা গাজার পূর্বে মাইল তিনেক দূরের ওই এলাকায় কার্যত তাণ্ডব চালিয়ে ফিরে যায় হামাস জঙ্গিরা। হিংসার আগুন কিছুটা স্তিমিত হলে প্রাণের খোঁজে এলাকা চষে ফেলে ইজরায়েলি সেনা। তখনই শেল্টার হাউস থেকে ভেসে আসে কান্নার শব্দ। তারাই উদ্ধার করে (Israel Hamas War) যমজ ওই শিশু দুটিকে।

    উদ্ধার অনাথ দু’টি শিশু 

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই দম্পতির ছবি পোস্ট করে সাইপ্রাসে ইজরায়েলের ডেপুটি অ্যাম্বাসাডর রোতেম সেগেভ লিখেছেন, “বছর তিরিশের ইটালি ও হাদার বেরডিচেভস্কি একটি শেল্টার হাউসে তাঁদের দশ মাসের যমজ বাচ্চাকে লুকিয়ে রেখেছিল। জঙ্গিরা ইটালি ও হাদারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। যদিও জঙ্গিদের সঙ্গে শেষতক লড়েছিল ওই দম্পতি।” সেগেভ জানান, বাচ্চা দু’টি ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওই শেল্টার হাউসে পড়েছিল। পরে ইজরায়েলি বাহিনী তাদের উদ্ধার করে।

    আরও পড়ুুন: বাটলা হাউস এনকাউন্টারে দোষী সাব্যস্ত আরিজ খানের ফাঁসির সাজা রদ

    মাইক্রোব্লগিং সাইটে তিনি লিখেছেন, “কল্পনা করুন ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্যের। ভীত-সন্ত্রস্ত সেই দম্পতি তাঁদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত চেষ্টা করেছিল সন্তান দুটিকে রক্ষা করতে। এই শিশু দু’টি এখন অনাথ হয়ে পড়ল। তাদের এই স্মৃতি যেন আশীর্বাদ হয়ে ঝরে পড়ে।” জানা গিয়েছে, বর্তমানে শিশু দু’টি সুস্থ রয়েছে। তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের ঠাকুমার হাতে (Israel Hamas War)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share