Tag: hanumanji

hanumanji

  • Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবনপুত্র ও রামভক্ত বজরঙ্গবলির আরাধনা করার বিশেষ দিন হল মঙ্গলবার। প্রতিদিনকার জীবন সংগ্রামে আমরা সবাই যোদ্ধা। মাঝে মাঝে জীবনে এমন সঙ্কট আসে, যেখান থেকে বের হওয়া খুব কঠিন বলে মনে হয় আমাদের। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট দূর করতে সাহায্য করেন রামভক্ত হনুমানজি। তাই মঙ্গলবারে হনুমানজির (Hanuman) আরাধনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকে। হনুমানজিকে জাগ্রত দেবতা মনে করা হয়। বজরঙ্গবলিকে খুব অল্পতেই প্রসন্নও করা যায়। বজরঙ্গবলির সাধনা জীবনের সঙ্কট দূর করে, আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। ভক্তদের বিশ্বাস, বজরঙ্গবলির সাধনা করলে বল, বুদ্ধি ও বিদ্যা লাভ করা যায়। যে বাড়িতে বজরঙ্গবলির ছবি থাকে এবং নিয়মিত তাঁর পুজো করা হয়, সেখানে শনিদোষ, পিতৃদোষ ও ভূত-পিশাচের ভয় ও দোষ থাকে না। বাড়িতে সর্বদাই শান্তি বিরাজ করে। বজরঙ্গবলির অনেক ধরনের ছবিই আমরা দেখি। বাড়িতে কোথায় এবং ক,ভাবে কোন ধরনের বজরঙ্গবলির (Hanuman) ছবি লাগানো উচিত, তারও কিছু নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে সবদিক থেকে সুফল মেলে। 

    নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে

    বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি যে বাড়িতে থাকে, সেখানে উন্নতির পথে সমস্ত বাধা দূর হয় এবং ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়, বাস্তুদোষ কেটে যায়। এর ফলে পরিবার শত্রু বাধা, অসুস্থতা ও বিবাদ থেকে মুক্তি পায়। জ্যোতিষীরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি লাগানো উচিত। মনে করা হয়, হনুমানজি এই পৃথিবীতেই থাকেন। তাই তাঁকে ডাকলে সহজেই আবির্ভূত হন তিনি। ভক্তদের সমস্ত কষ্ট দূর করেন তিনি। এই কারণেই তাঁকে সঙ্কটমোচনও বলা হয়। হনুমানের আরাধনা করলে সব কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় জীবনে। পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি সব দিক থেকে আসা নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে ভক্তের সঙ্কটমোচন করেন বলেই বিশ্বাস। ভক্তদের বিশ্বাস, ঘরে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে পরিবারের সকলের সমস্যা দূর হয়। বজরঙ্গবলিকে স্মরণ করলেই সকল প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শাস্ত্র বিশারদদের মতে, গৃহস্থের কল্যাণের জন্য ঘরে রাখা দরকার হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি। 

    হনুমানজির পঞ্চমুখী (Panchmukhi Hanuman) ছবির গুরুত্ব

    বাড়িতে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে ঘরের সমস্ত সমস্যা দূর হয় এবং নেতিবাচক শক্তি চলে যায়। এর পাশাপাশি বাড়ির চতুর্দিকে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চমুখী হনুমানের পাঁচটি মুখের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। পঞ্চমুখী হনুমানজির প্রতিকৃতিতে সকল মুখ ভিন্ন ভিন্ন দিকে রয়েছে। পূর্ব দিকে ভগবান হনুমানের বানরের মুখ রয়েছে যা শত্রুদের উপর বিজয় প্রদান করে। পশ্চিম দিকে ঈশ্বরের গরুড় মুখ, যা জীবনের বাধা এবং ঝামেলা দূর করে। উত্তর দিকে রয়েছে ভগবান হনুমানের বরাহা মুখ, যা খ্যাতি এবং শক্তির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। হনুমানজির সিংহ মুখ দক্ষিণ দিকে, যা জীবন থেকে ভয় একেবারে চিরতরে দূর করে। আকাশের দিকে ভগবানের একটি ঘোড়া মুখ রয়েছে যা ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ করে বলেই বিশ্বাস ভক্তদের।

    পঞ্চমুখী হনুমানের (Panchmukhi Hanuman) ছবি বসানোর সঠিক দিক

    বাস্তুবিদরা বলছেন, পঞ্চমুখী হনুমানজির (Panchmukhi Hanuman) ছবি বাড়িতে বসানোর সময় সঠিক দিকটি মাথায় রাখা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে, শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখা সবচেয়ে শুভ। এই স্থানে ছবি রাখলে যে কোনও  ধরনের অশুভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। নেতিবাচক শক্তি ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ বাস্তু অনুসারে, বেশিরভাগ নেতিবাচক শক্তি দক্ষিণ দিক থেকে আসে। এই দিকে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এর পাশাপাশি বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখলে সব ধরনের বাস্তু দোষ দূর হয় বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    ভগবান হনুমান কেন পঞ্চমুখী অবতার নিলেন? জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, যখন ভগবান রাম ও রাবণের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল, তখন রাবণ নিজের পরাজয় সামনে দেখে, ভাই অহিরাবণের কাছে সাহায্য চান। রাবণের ভ্রাতা অহিরাবণ ছিলেন মা ভবানীর একজন একনিষ্ঠ ভক্ত ও তন্ত্রবিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী। অহিরাবণ মায়া করে রামের বাহিনীকে ঘুম পাড়িয়ে দেন এবং রাম-লক্ষ্মণকে অপহরণ করে পাতালে নিয়ে চলে যান। অহিরাবণ ছিলেন দেবী ভবানীর পরম ভক্ত, তাই তিনি মা ভবানীর নামে পাঁচটি দিকে পাঁচটি প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। অহিরাবণকে বধ করা খুব সহজ ছিল না। তাঁকে তখনই বধ করা সম্ভব হত, যদি কেউ এই পাঁচ প্রদীপ এক সঙ্গে নিভিয়ে দিতে পারতেন। রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধারের জন্য তাই অহিরাবণকে পরাজিত করতে হনুমানজি পঞ্চমুখীরূপ (Panchmukhi Hanuman) ধারণ করেছিলেন বলে জানা যায়। হনুমানজি পাঁচটি মুখের সাহায্যে  একসঙ্গে পাঁচ দিকের প্রদীপ নিভিয়ে দেন এবং অহিরাবণকে হত্যা করে রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধার করেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Canada: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    Canada: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের জেরে ঘটেছিল ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি। তবে সম্পর্কে সুসময় বোধহয় ফিরছে। খুব শীঘ্রই কানাডায় (Canada) বসতে চলেছে ৫৫ ফুট উঁচু হনুমানজির মূর্তি। আগামী বছরের এপ্রিলে ওই মূর্তি বসবে। রাজস্থানের ভাস্কর নরেশ কুমায়ত তৈরি করছেন মূর্তিটি। খরচ জোগাবে স্থানীয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। কানাডার ব্রাম্পটনে রয়েছে হিন্দু সভা মন্দির। ২৩ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী। এদিনই একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হবে নরেশের হাতে গড়া ওই মূর্তির।

    খালিস্তানপন্থী কার্যকলাপ

    ব্রাম্পটন এলাকাটি গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার অন্তর্ভুক্ত। এলাকাটি সম্প্রতি পরিচিতি পেয়েছে খালিস্তানপন্থীদের কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ায়। দীপাবলি পালনকে কেন্দ্র করে দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে খালিস্তানপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনাও ছড়িয়েছিল (Canada)। তার আগে ভারত মাতা মন্দির চত্বরে ভারতীয় কূটনীতিক ও গৌরী শঙ্কর মন্দিরের গায়ে ভারত বিরোধী স্লোগান লেখাকে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কানাডার এই হনুমানজির মূর্তিই শুধু নয়, রাজস্থানের নরেশের রয়েছে আরও একাধিক উল্লেখযোগ্য কীর্তি। বিশ্বের ৮০টি দেশে ২০০-র বেশি স্থাপত্যকীর্তি ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর।

    নরেশের কীর্তি 

    কানাডারই ‘ভয়েস অফ বেদাস’ মন্দিরে রয়েছে নরেশেরই গড়া ৫০ ফুটের হনুমানজির একটি স্ট্যাচু। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টে দিল্লিতে ৭৫ ফুট উঁচু সমুদ্র মন্থনের যে ম্যুরাল রয়েছে, সেটিও নরেশেরই তৈরি। স্বামী বিবেকানন্দ, ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইন্দিরা গান্ধী, মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং এবং নেলসন ম্যান্ডেলার মূর্তিও তৈরি করেছেন রাজস্থানের এই শিল্পী। রাজস্থানের নাথওয়াড়ায় শোভা পাচ্ছে তাঁর তৈরি ৩৬৯ ফুটের শিবের স্ট্যাচু। এই মূর্তির নাম লেখা হয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। হিমাচল প্রদেশের সোলানের ১৫৬ ফুটের হনমানজির মূর্তিটিও তৈরি নরেশের হাতে।

    আরও পড়ুুন: সংসদের বাইরে গায়ে আগুন লাগানোর ছক কষেছিল লোকসভাকাণ্ডে ধৃত সাগর!

    লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে ঠাঁই করে নিয়েছে নরেশের এই কীর্তি। শিমলার জাকু মন্দিরে রয়েছে নরেশেরই হাতে গড়া ১০৮ ফুটের হনুমানজির মূর্তি। কেবল স্বদেশ নয়, রাজস্থানের এই শিল্পীর ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, সিসিলিস, মরিশাস, দুবাই, ওমান এবং রাশিয়ায়ও। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকুলামে রয়েছে ১৮০ ফুট হনুমানজির মূর্তি। এটিরও (Canada) রূপদান করেছেন নরেশ। প্রসঙ্গত, কানাডায় খুন হন নিজ্জর। অভিযোগের আঙুল ওঠে ভারতের দিকে। তার পরেই অবনতি হয় ভারত-কানাডা সম্পর্কে।

    ভারত-কানাডা তলিয়ে যাওয়া সম্পর্কে সুদিন ফিরছে নরেশের হাত ধরে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share