Tag: Har Ghar Tironga

Har Ghar Tironga

  • Bengaluru Idgah Maidan: স্বাধীনতা দিবসে ইতিহাস, ইদগাহ ময়দানে উড়ল তেরঙা  

    Bengaluru Idgah Maidan: স্বাধীনতা দিবসে ইতিহাস, ইদগাহ ময়দানে উড়ল তেরঙা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হল স্বাধীনতার (Independence) পঁচাত্তর বছর পূর্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ডাকে পালিত হয়েছে হর ঘর তিরঙ্গা (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচিও। স্বাধীনতা দিবসে সর্বত্রই উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা (National Flag)। ছোট জনপদেও পালিত হয়েছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব (Azadi Ka Amrit Mahotsav)। স্বাধীনতার ৭৬ তম বর্ষে সৃষ্টি হল আরও একটি ইতিহাসের। সেটি হল, এই প্রথম জাতীয় পতাকা উড়ল কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর ইদগাহ ময়দানে (Idgah Maidan)। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এখানেও স্বাড়ম্বরে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস।

    স্বাধীনতা দিবসে দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা উড়লেও, এতদিন এই পতাকা ওড়ানো হত না বেঙ্গালুরুর এই ইদগাহ ময়দানে। কারণ এই ময়দানের দখলদারি নিয়ে বিতর্ক থাকায় এতদিন এখানে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হত না। ছামারাজপতের এই ইদগাহ ময়দানের মালিকানা কার, তা নিয়ে ছিল বিতর্ক। তাই স্বাধীনতা দিবসে অতি ছোট মহল্লায় জাতীয় পতাকা উড়লেও, এই ময়দানে উড়ত না। এতদিন এ নিয়ে কেউ কোনও উচ্চবাচ্য না করলেও, সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকটি গোষ্ঠী ঘোষণা করে, স্বাধীনতা দিবসে এই ইদগাহ ময়দানে উড়বে জাতীয় পতাকা। মর্যাদার সঙ্গে পালিত হবে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস। ঠিক হয়, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন রাজস্ব দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পর্যায়ের কোনও আধিকারিক। সেই মতো স্বাধীনতা দিসবের আগেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা তল্লাট। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে মোতায়েন করা হয় র‌্যাফ, সিটি আর্মড রিজার্ভ এবং কর্নাটক স্টেট রিজার্ভ পুলিশ। তার পরেই ওড়ে তেরঙা পতাকা।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও প্রাসঙ্গিক শ্রী অরবিন্দর জীবনদর্শন! আজ তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    কেন এতদিন এই ময়দানে উত্তোলন করা হত না জাতীয় পতাকা? জানা গিয়েছে, কর্নাটক স্টেট ওয়াকফ বোর্ড ১৯৬৫ সালের একটি গেজেট নোটিফিকেশন দেখিয়ে দাবি করে, জমিটি ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি। যদিও ১৯৭৪ সালের সিটি সার্ভে রেকর্ড এবং অন্যান্য সিভিক রেকর্ড অনুযায়ী দেখা যায়, জমিটি একটি খেলার মাঠ। সম্প্রতি কর্নাটক স্টেট ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে দেয় সিটি সিভিক বডি বৃহৎ  বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে (Brihat Bengaluru Mahanagara Palike)। তারা জানিয়ে দেয়, জমিটি কর্নাটক সরকারের রাজস্ব দফতরের। তার পরেই অবসান হয় কয়েক দশক ধরে চলা বিতর্কের। পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস।

    আরও পড়ুন :ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

  • RSS: সব ভাষাই জাতীয় ভাষা, সব মানুষই আমার, ঘোষণা মোহন ভাগবতের

    RSS: সব ভাষাই জাতীয় ভাষা, সব মানুষই আমার, ঘোষণা মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ভাষাই জাতীয় ভাষা। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষও আমারই। রবিবার স্বাধীনতা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে এই কথা স্মরণ করিয়ে দেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, এই জগৎ বৈপরীত্যে ভরপুর। এর মধ্যে বিভিন্ন মতামত, আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গিকে একসঙ্গে সামলানোর (Managing Dualities) ক্ষমতা একমাত্র রয়েছে ভারতের। বৈচিত্র্যকে কীভাবে সঠিকভাবে পরিচালন করা যায়, কীভাবে তার মধ্যেও একতাকে অটূট রাখা যায়, সেই কৌশল শেখার জন্য ভারতের দিকেই তাকিয়ে তামাম বিশ্ব। কারণ সেখানেই বিরাজ করছে বৈচিত্রের সহাবস্থান।

    আরএসএ প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, এমন অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে, যেগুলি আমাদের কখনওই বলা হয়নি। ঠিকঠাক ভাবে শেখানোও হয়নি। তিনি বলেন, আমরা ভুলে গিয়েছি আমাদের নিজস্ব প্রজ্ঞা এবং জ্ঞান। দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশে বৈদেশিক শক্তির আক্রমণের কথা বলা হয়েছে ইতিহাসে। এই শক্তি মূলত এসেছিল উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল থেকে। আরএসএস প্রধান বলেন, আমরা অযথা সম্প্রদায় এবং এই জাতীয় বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিই। এগুলি মানুষে মানুষে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।

    আরও পড়ুন : ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত

    ভাগবত বলেন, মানুষে মানুষে ভাষা, পোশাক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে ছোট ছোট পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু তাঁদের একটা বড় মন থাকতে হবে, যাতে এই পার্থক্যগুলি আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে। এর পরেই সংঘ প্রধান মনে করিয়ে দেন, এই দেশের সব ভাষাই জাতীয় ভাষা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষই আমার। আমাদের এমন ভালবাসাই প্রয়োজন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শনিবার ভাগবত নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে তেরঙা উত্তোলন করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিলেন। তারই অঙ্গ হিসেবে এদিন তোলা হয় তেরঙা।

    প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত আরএসএসের সদর দফতরে উড়ত কেবলই গেরুয়া পতাকা। সম্ভবত এবারই প্রথম উড়ল তেরঙা। এর ঠিক একদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ার ডিপিতেও গেরুয়ার বদলে তেরঙার ছবি দিয়েছিল আরএসএস। বদলেছিল সংঘ প্রধানের ডিপির ছবিও। এদিন আরএসএসের সদর দফতরে যান নাগপুর জেলা কালেক্টর আর বিমলা (R Vimla)। ভাগবতকে তিনি উপহার দেন একটি জাতীয় পতাকা।

    আরও পড়ুন : দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত

LinkedIn
Share