Tag: Hardeep Singh Nijjar

Hardeep Singh Nijjar

  • Canada: সাইবার হামলার হুমকি দিচ্ছে ভারত! ফের এক নতুন অভিযোগ কানাডার, কী প্রতিক্রিয়া দিল্লির?

    Canada: সাইবার হামলার হুমকি দিচ্ছে ভারত! ফের এক নতুন অভিযোগ কানাডার, কী প্রতিক্রিয়া দিল্লির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চড়ছে ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্ক। কানাডায় সাইবার হামলার হুমকি দিচ্ছে ভারত। এমনই দাবি কানাডার সাইবার সিকিউরিটি সংস্থার। কানাডার সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার দ্বারা প্রস্তুত করা “ন্যাশনাল সাইবার থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট ২০২৫-২০২৬” প্রতিবেদনে ভারতকে “রাষ্ট্রীয় প্রতিপক্ষদের সাইবার হুমকি” শীর্ষক অংশে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চিন, রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়া।

    কানাডার অভিযোগ

    ভারত নাকি সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে কানাডায় বসবাসকারী খলিস্তানিদের চিহ্নিত করছে। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে কানাডার গুপ্তচর সংস্থা। এই আবহে ভারতকে সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে খলিস্তানিদের ‘ট্র্যাক’ করতে বারণ করেছে কানাডা সরকার। এর আগে কানাডা সরকার দাবি করেছিল, ভ্যানকুভারে শিখদের ওপর হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন ভারতের এক শীর্ষকর্তা। আর এবার ভারতের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ করল কানাডা। প্রসঙ্গত, কানাডার কমিউনিকেশনস সিকিউরিটি এস্ট্যাবলিশমেন্ট সম্প্রতি বলে, বিদেশে বসবাসকারী বিক্ষুব্ধদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে ভারত। এদিকে কানাডার সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর সাইবার হামলাও নাকি করছে ভারত। 

    আরও পড়ুন: উপত্যকায় দফায় দফায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ! অনন্তনাগে নিহত ২ জঙ্গি, শ্রীনগরে চলছে অভিযান

    অভিযোগ অস্বীকার দিল্লির

    উল্লেখ্য, ভ্যানকুভারেই ২০২৩ সালে খুন হয়েছিল খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আসছে কানাডা। তবে দিল্লিও দাবি করে এসেছে, এই মামলায় দিল্লির হাতে কোনও প্রমাণ তুলে দেয়নি জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এবার কানাডা সরকারের নতুন অভিযোগ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সাইবার কর্মসূচি তৈরি করছে যা কানাডার জন্য ভিন্নমাত্রার হুমকি উপস্থাপন করছে। কানাডার সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার-এর দাবি, ভারত তার জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সাইবার কর্মসূচি ব্যবহার করে, যার মধ্যে গোপন তথ্য সংগ্রহ, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম এবং ভারতের বৈশ্বিক অবস্থান উন্নীত করার প্রচেষ্টা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর জন্য ভারত এমন এক জাল বিস্তার করেছে যা কানাডাবাসীর পক্ষে ঠিক নয়। এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Relation: খালিস্তানি জঙ্গিরা কানাডার গুপ্তচর! বিস্ফোরক দাবি ভারতীয় হাই কমিশনারের

    India-Canada Relation: খালিস্তানি জঙ্গিরা কানাডার গুপ্তচর! বিস্ফোরক দাবি ভারতীয় হাই কমিশনারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় থাকা খালিস্তানি জঙ্গিরা আদতে কানাডা সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের গোপন এজেন্ট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় ভার্মা। তাঁর বিরুদ্ধে কানাডা সরকারের আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সঞ্জয় দাবি করেন, প্রথম থেকেই কানাডায় খালিস্তানি কট্টরপন্থীদের প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতির জন্যও দায়ী ট্রুডো সরকার। তিনি জানান, খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কানাডা ভারতকে কোনও প্রমাণ দেখায়নি। অভিযোগগুলো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।

    খালিস্থানপন্থীদের সঙ্গে কানাডা-যোগ

    সম্প্রতি কানাডার এক সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেন, ‘আমি জানি বেশ কয়েকজন খালিস্থানপন্থী জঙ্গি সিএসআইএস-এর ডিপ অ্যাসেট। এটা আমার অভিযোগ। অবশ্য আমি এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রমাণ দিচ্ছি না এখন।’ এদিকে নিজ্জরের খুন নিয়ে সঞ্জয় বলেন,  ‘‘যে কোনও খুনই দুর্ভাগ্যজনক এবং জঘন্য। আমি এই খুনের নিন্দা জানাচ্ছি। আমি এর আগেও বলেছি, এই ঘটনার মূলে যেতে হবে আমাদের।’’ ভারতীয় কূটনীতিবিদ আরও বলেন,  ‘‘আমরা চাই, কানাডার বর্তমন সরকার এমন কারও সঙ্গে মাখামাখি না করুক, যারা ভারতের অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। আমরা চাই যাতে কানাডা সরকার আমাদের সমস্যাটা বোঝে।’’

    আরও পড়ুন: কঠোর পদক্ষেপ! জঙ্গি তালিকায় কানাডার পুলিশ আধিকারিকের নাম জুড়ল ভারত

    কোনও বৈধ প্রমাণ ভারতকে দেওয়া হয়নি

    নিজ্জর খুন প্রসঙ্গে সঞ্জয় বলেন, ‘‘কানাডার পক্ষ থেকে কোনও বৈধ প্রমাণ ভারতকে দেওয়া হয়নি, যা ভারতীয় আইনের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। ভারত সরকার তদন্তের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত, কিন্তু কানাডা এখনও কোনও প্রমাণ দেয়নি। প্রমাণ ছাড়া কোনও বিষয় নিয়ে এগনো যায় না।’’ সঞ্জয় আরও বলেন, ‘‘ভারত আইন মেনে চলা দেশ। কানাডার আদালতে যদি কোনও প্রমাণ গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে তা ভারতের আদালতেও গ্রহণযোগ্য হবে। তবে কানাডার আধিকারিকরা তো আমাদের সেই ক্ষেত্রে সাহায্য করেননি।’’ দাবি করা হয়, গত ৮ অক্টোবর কানাডার অফিসাররা ভারতে আসতে চেয়েছিলেন নিজ্জর খুনের ‘প্রমাণ’ তুলে ধরার জন্যে। এই নিয়ে সঞ্জয় ভার্মা বলেন, ‘‘এই সব ক্ষেত্রে ডেলিগেশনের ভিসা অ্যাফিক্স করতে হয়। এই ধরনের সরকারি দলকে অন্য দেশে যেতে হলে একটি অ্যাজেন্ডা থাকতে হয়। তারা এমন সময়ে আমাদের অ্যাজেন্ডা জানায়, যখন তাদের বিমান টেকঅফ করে চলে গিয়েছে। আমার মনে হয়, ইচ্ছে করেই তারা এটা করেছে। তারা জানত যে এভাবে আধ ঘণ্টা, এক ঘণ্টায় ভিসা ইস্যু করা যায় না। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আমার মনে হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Relation:কঠোর পদক্ষেপ! জঙ্গি তালিকায় কানাডার পুলিশ আধিকারিকের নাম জুড়ল ভারত

    India-Canada Relation:কঠোর পদক্ষেপ! জঙ্গি তালিকায় কানাডার পুলিশ আধিকারিকের নাম জুড়ল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও কানাডার কুটনৈতিক সম্পর্কে (India-Canada Relation) ফাটল ক্রমশ বড় হচ্ছে। এবার শিখ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় কানাডার এক পুলিশ আধিকারিকের নাম যোগ করল ভারত। কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিস এজেন্সিজ-এ কর্মরত এই যুবকের নাম সন্দীপ সিং সিন্ধু। ভারতের দাবি, সিন্ধু নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের সদস্য। পাঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদের প্রসারে এই সংগঠন কাজ করে চলেছে।

    সন্দীপের সঙ্গে পাক যোগ

    রিপোর্ট অনুযায়ী, কানাডিয়ান (India-Canada Relation) বর্ডার পুলিশের আধিকারিক সন্দীপ সিং সিন্ধুকে পলাতক সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় যুক্ত করেছে ভারত। কানাডায় খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে বিগত কয়েক মাসে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী সিন্ধুর সঙ্গে পাকিস্তানের বাসিন্দা খলিস্তানি নেতা লখবীর সিং রোডে এবং কয়েক জন আইএসআই কর্তার যোগাযোগ আছে। এরাই ২০২০ সালে খলিস্তানি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে শৌর্যচক্র পাওয়া সেনা অফিসার বলবিন্দর সিং সান্ধুকে হত্যা করেছিল। তাই সন্দীপ সিংকে প্রত্যর্পণের দাবি জানাল দিল্লি।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই বাংলায় উপনির্বাচন, সব বুথে হবে ওয়েব কাস্টিংও

    সম্প্রতি,  সন্দীপকে সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে প্রোমোশন দিয়েছে কানাডার (India-Canada Relation) জাস্টিন ট্রুডো সরকার। ট্রুডো সরকারের খলিস্তানি প্রীতি নিয়ে সে দেশের বিরোধীরাও সরব হয়েছে। ভারতের সঙ্গে এত দিনের বন্ধুত্বের সম্পর্কে চিড় ধরার জন্য বিরোধী নেতারা প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে দুষছেন। তাঁদের দাবি খলিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনাবশ্যক উত্তেজনা তৈরি করে ট্রুডো সরকার অন্য বিষয়ে তাদের অকর্মণ্যতাকে আড়াল করতে চাইছে। কানাডার পিপলস পার্টির নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ারের কথায় নিজ্জর এক জন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। কানাডা সরকারের উচিত এক জন জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে এত জটিলতা তৈরি না করে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে মতভেদ মিটিয়ে ফেলা। কারণ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি কানাডার পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Relation: ভারতের সঙ্গে সু-সম্পর্কের দাবি, কানাডার অভ্যন্তরে চড়ছে ট্রুডো-বিরোধী সুর

    India-Canada Relation: ভারতের সঙ্গে সু-সম্পর্কের দাবি, কানাডার অভ্যন্তরে চড়ছে ট্রুডো-বিরোধী সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরে (India-Canada Relation) তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারতের সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। এই আবহে ট্রুডোর বিপক্ষে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়ের পোয়ালিয়েভ্রে। তাঁর দাবি, চিনের সহায়তায় দুটি নির্বাচন জিতেছেন ট্রুডো। ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে বিভ্রান্তিকর প্রচার করছেন কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

    চিনের সঙ্গে ট্রুডোর সম্পর্ক

    সম্প্রতি ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন যে, কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদরা বিদেশি শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। এই অভিযোগের জবাবে পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম, কোন কোন এমপি বিদেশি শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন, প্রকাশ করতে। কিন্তু উনি তাঁদের নাম বলতে পারেননি। মিথ্যা প্রচার করাই ওনার লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাস্তবে লিবারেল পার্টি তথা ট্রুডোর দল সর্বদা চিনের সহায়তা নিয়ে চলে। তাঁরা চিনের সাহায্যেই দুটো নির্বাচন জিতেছে। এইবিষয়টি সামনে আসতেই নানা রকম মিথ্যা দাবি করছেন ট্রুডো।”

    ভারতের বিরুদ্ধে প্রমাণ কই?

    পোয়ালিয়েভ্রে আরও জানান নিজ্জর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ভারতের যুক্ত থাকার যে দাবি ট্রুডো এনেছিলেন তারও কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। প্রসঙ্গত, বুধবার তদন্ত কমিশনের কাছে জমা দেওয়া বিবৃতিতে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজেই জানিয়েছিলেন, গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলার সময়ে তাঁর কাছে শুধুমাত্র গোয়েন্দাসূত্রে পাওয়া খবর ছিল, হাতে-কলমে কোনও তথ্যপ্রমাণ ছিল না। পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “আমি ১৪ অক্টোবর ন্যাশনাল সিকিউরিটি এবং ইন্টেলিজেন্স উপদেষ্টা নাথালি ড্রুইন, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার ডেপুটি মন্ত্রী ডেভিড মরিসন, এবং সিএসআইএস পরিচালক ড্যানিয়েল রজার্সের কাছ থেকে ব্রিফিং পেয়েছিলাম ভারতের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে। কিন্তু ট্রুডোর দল তখনও কোনও বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেনি।” পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “যদি ট্রুডোর কাছে ভারতের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকে, তবে তিনি তা জনসমক্ষে প্রকাশ করুন। কিন্তু তিনি তা করবেন না, কারণ তিনি এগুলো তৈরি করছেন।”

    ট্রুডো সরকারের অপপ্রচার

    পোয়ালিয়েভ্রে ছাড়াও পিপলস পার্টি অব কানাডার নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বৃহস্পতিবার বলেছেন, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (RCMP) এবং লিবারেল সরকার ভারতের (India-Canada Relation) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর। কিন্তু ভারতীয় কূটনীতিকদের বিপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ট্রুডোর সরকার। আসলে ট্রুডো এবং লিবারেল পার্টি তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ থেকে নজর ঘোরাতেই এই সব মিথ্যা দাবি তুলছেন। বার্নিয়ার আরও দাবি করেন যে, গত বছর নিহত খলিস্তানি সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জর কানাডিয়ান ছিলেন না। বার্নিয়ার বলেন, “একটি ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়া উচিত। সত্য হল, এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর আসলে একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। যিনি ১৯৯৭ সাল থেকে একাধিকবার ভুয়া নথি ব্যবহার করে কানাডায় আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তাঁর আবেদনগুলি প্রত্যাখ্যাত হলেও, তাকে এই দেশে থাকতে দেওয়া হয়েছিল এবং ২০০৭ সালে তাঁকে কোনওভাবে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।”

    ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক কাম্য

    বার্নিয়ার বলেন, এই পরিস্থিতি কানাডার দীর্ঘদিনের ভুলের ফল, যেখানে বিদেশিদের এবং তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি ভারতের (India-Canada Relation) সঙ্গে ফের সু-সম্পর্ক স্থাপন করার আহ্বান জানান। বার্নিয়ার দাবি করেন, গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা উচিত নয়। এই পরিস্থিতির সমাধান খুঁজতে ভারতের সরকারের সঙ্গে শীঘ্রই কথা বলা উচিত। বিশ্বের একটি ক্রমবর্ধমান শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা কখনওই কাম্য নয়।

    আরও পড়ুন: উচ্ছ্বাস ইজরায়েলে, হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত ডিএনএ পরীক্ষায়

    দিল্লির দাবি

    ইতিমধ্যেই নিজ্জর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ট্রুডো সরকারের অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতকে অপমান করার একটি ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার’ বলে জানিয়েছে সাউথ ব্লক। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ, কানাডার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থী খলিস্তানি গোষ্ঠীগুলির সমর্থন পাওয়ার জন্য ট্রুডো সরকার নতুন করে নিজ্জর বিতর্ক সামনে নিয়ে আসছে। খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। এর পরে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো।  তার পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: যত নষ্টের গোড়া ট্রুডো! নিজ্জর খুনে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা ভারতের

    Justin Trudeau: যত নষ্টের গোড়া ট্রুডো! নিজ্জর খুনে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে (Justin Trudeau) নিশানা ভারতের। বুধবার ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল, এতদিন ধরে নয়াদিল্লি যে কথাটা বলে আসছে, শেষমেশ (Hardeep Singh Nijjar) সেটাই স্বীকার করে নিলেন ট্রুডো। তাঁর দাম্ভিক আচরণের কারণেই ভারত ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।

    ট্রুডোর ‘স্বীকারোক্তি’ (Justin Trudeau)

    ঘঠনার সূত্রপাত বুধবার। এদিন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো স্বীকার করে নেন, গত বছর খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় ভারতের যোগ থাকতে পারে বলে যে অভিযোগ তিনি তুলেছিলেন, সেই সময় তাঁর কাছে কোনও প্রমাণই ছিল না। কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর এহেন স্বীকারোক্তির পরেই তাঁকে নিশানা করে ভারত।

    বিদেশমন্ত্রকের তোপ 

    জারি করা বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আজ যেটা শুনতে পেলাম, সেটা আমরা এতদিন ধরে লাগাতারভাবে বলে আসছি। ভারত ও ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে যে গুরুতর অভিযোগ কানাডা তুলেছিল, তার স্বপক্ষে আমাদের ছিটেফোঁটা কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।” তিনি বলেন, “এই দাম্ভিক ব্যবহারের কারণেই ভারত ও কানাডার সম্পর্কে যে ক্ষতি হয়েছে, তার দায় একমাত্র বর্তায় ট্রুডোর ওপরই।”

    এদিন কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হয়ে ট্রুডো বলেন, “ভারতকে সহযোগিতা করতে বলেছে কানাডা। ভারত প্রমাণ চেয়েছিল। আমরা বলেছিলাম, ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থাগুলি তদন্ত করুক এবং আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করুক। কারণ, এক সময় আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল।” যদিও কোনও প্রমাণ ছিল না বলেই কবুল করেন কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী। কোনও প্রমাণ ছাড়াই কীভাবে ভারতের বিরুদ্ধে নিজ্জর হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: এনএসজির বদলে এবার ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবে সিআরপিএফের বিশেষ দল

    গত বছর ১৮ জুন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জরকে প্রকাশ্যে খুন করে আততায়ীরা। সেই সময় তিনি ছিলেন কানাডার (Justin Trudeau) একটি গুরুদ্বারের সামনে। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন ট্রুডো। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে প্রমাণ দিতে বলে ভারত। প্রমাণ দিতে না পারলেও, লাগাতার অভিযোগ করে যেতে থাকেন (Hardeep Singh Nijjar) কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ঘটনার জেরে তলানিতে ঠেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক (Justin Trudeau)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorist: নিজ্জর খুনে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ, রাজনৈতিক কারণেই কি ভারতকে নিশানা ট্রুডোর?

    Khalistani Terrorist: নিজ্জর খুনে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ, রাজনৈতিক কারণেই কি ভারতকে নিশানা ট্রুডোর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় খুন হয়েছেন খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্সে’র প্রধান হরদীপ সিং নিজ্জর। জুন মাসের ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে জাস্টিন ট্রুডোর দেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা খালিস্তানপন্থীরা। খালিস্তানিদের সুরে সুর মিলিয়ে ভারতকে দুষছে কানাডার ট্রুডো সরকারও।

    প্রমাণ চাইল ভারত

    নিজ্জর খুনে যে ভারতের হাত রয়েছে, এবার ট্রুডো সরকারের সেই অভিযোগের প্রমাণ চাইল ভারত। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে কানাডা প্রশাসনকে তদন্তে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। যদিও সে ব্যাপারে টুঁ শব্দটি করেনি ট্রুডো সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমরা কানাডা সরকারকে নির্দিষ্ট তথ্য (নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে) দিতে (Khalistani Terrorist) বলেছিলাম। এখনও কোনও নির্দিষ্ট তথ্য তারা দেয়নি।” তিনি বলেন, “কানাডার মাটিতে ভারত বিরোধী যেসব জঙ্গি কার্যকলাপ হচ্ছে, তার প্রমাণ আমরা কানাডা সরকারকে শেয়ার করেছি। কিন্তু কানাডা তা করছে না। তারা অভিযোগ করছে, তার ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থাও নিচ্ছে। অথচ প্রমাণ দিতে পারছে না। কানাডা সরকারের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণেই বোধহয় এটা হচ্ছে।”

    কানাডার রাজনীতিতে শিখদের ভূমিকা 

    প্রসঙ্গত, কানাডায় শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ রয়েছেন দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ। ট্রুডো সরকার গঠনে এঁদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। সে দেশের ‘হাউস অফ কমনসে’ শিখ সাংসদ রয়েছেন ১৮ জন। তাই কানাডার কোনও রাজনৈতিক দলই শিখদের ক্ষোভের কারণ হতে পারে, এমন পদক্ষেপ করে না। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছে খালিস্তানপন্থীরা। সেই কারণেই কানাডায় গিয়ে ঘাঁটি গাড়ছে একের পর এক খালিস্তানি জঙ্গি। ইন্ধন জোগাচ্ছে ভারত বিরোধী আন্দোলনে। যে কারণে মাঝে মধ্যেই ভারতের পঞ্জাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্তানি আন্দোলন।

    আরও পড়ুুন: পান্নুর হুমকি হিন্দুদের, খালিস্তানি জঙ্গি দমনের সাহস দেখাতে পারবেন কি ট্রুডো?

    বুধবার (Khalistani Terrorist) এনআইএ-র তরফে কানাডা সরকারকে ৪৩ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর নাম পাঠানো হয়। অভিযোগ, তার পরেই নয়াদিল্লির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে ট্রুডো সরকার। এর প্রেক্ষিতে দিন কয়েক আগে অরিন্দম  বাগচি এক ট্যুইট-বার্তায় বলেছিলেন, “এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী ও উগ্রপন্থীদের ওপর থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা। যারা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি একটা হুমকি, তাদের কানাডায় আশ্রয় দেওয়া চলছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Relations: মোদি-জয়শঙ্কর বৈঠক! ভারতীয়দের কানাডা যাত্রা নিয়ে পরামর্শ নয়াদিল্লির

    India-Canada Relations: মোদি-জয়শঙ্কর বৈঠক! ভারতীয়দের কানাডা যাত্রা নিয়ে পরামর্শ নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের (India-Canada Relations) অবনতি। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এবার ভারতীয় নাগরিকদের কানাডা যাত্রার ক্ষেত্রে বিশেষ অ্যাডভাইজরি জারি করল নয়াদিল্লি। একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্য নাগরিকদের জন্য কানাডা যাত্রার ক্ষেত্রে একটি অ্যাডভাইসরি জারি করেছে বিদেশ মন্ত্রক। কূটনৈতিক সংঘাতের এই আবহে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা হয় জয়শঙ্করের। 

    প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে সতর্কবার্তা

    বুধবার দিল্লির তরফে কানাডাবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘কানাডায় এই মুহূর্তে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং রাজনৈতিক মদতপুষ্ট হিংসা এবং অপরাধের বৃদ্ধি চোখে পড়ছে। যে সমস্ত ভারতীয় ওখানে রয়েছেন অথবা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় কূটনীতিক এবং কিছু সম্প্রদায়ের মানুষকে বেছে বেছে নিশানা করা হয়েছে,যাঁরা ভারতবিরোধী কার্যকলাপের সমর্থক নন। তাই ভারতীয়দের এই মুহূর্ত কানাডা যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত’। কানাডার যে অংশগুলিতে ভারতীয়দের উপর হিংসা বা হামলা হচ্ছে, সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে পরামর্শ

    কানাডা নিবাসী ভারতীয়দের জন্যও সাবধানবাণী দিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের অ্যাডভাইসরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন এবং কনসুলেট জেনারেল সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে। তাঁদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে ভারত তৎপর।’ কানাডায় পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের সতর্ক থাকতে বলেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি উপদ্রুত এলাকায় আশপাশের পরিস্থিতিতে নজর রাখতে বলা হচ্ছে।কানাডা নিবাসী ভারতীয় পড়ুয়াদের অবিলম্বে কানাডায় ভারতীয় হাইকমিশনে তাঁদের নাম, ফোন নম্বর রেজিস্টার করতে বলা হয়েছে। ওটাওয়ায় ভারতীয় হাইকমিশন, টরন্টো এবং ভ্যানকুভারে কনসুলেট জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাম নথিভুক্ত করতে বলা হচ্ছে পড়ুয়াদের।

    আরও পড়ুুন: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    কানাডার সতর্কবার্তা

    ভারতে থাকা নিজেদের নাগরিকদের উদ্দেশেও সতর্কবার্তা জারি করেছে কানাডা সরকার। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় সে দেশের নাগরিকদের জন্য। তাতে বলা হয়, ‘ভারতে থাকলে এই মুহূর্তে সতর্ক হয়ে যান, কারণ দেশজুড়ে সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। সর্বদা সতর্ক থাকুন। খবরে চোখ রাখুন, প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলুন।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • San Francisco: সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় দূতাবাসে আগুন ধরানোর চেষ্টা খলিস্তানিদের 

    San Francisco: সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় দূতাবাসে আগুন ধরানোর চেষ্টা খলিস্তানিদের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হামলা খলিস্তানিদের। আবারও নিশানায় আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোতে (San Francisco) ভারতীয় দূতাবাস। এবার সেখানে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। পাঁচ মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানো হল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা নিভিয়ে ফেলা হয় সানফ্রান্সিসকো অগ্নিনির্বাপনের তরফে। আটকানো গেছে বড়সড় দুর্ঘটনা। এই ধরনের ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট বা মার্কিন বিদেশ দফতর। 

    হতাহতের খবর নেই 

    সান ফ্রান্সিসকোর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে (স্থানীয় সময় ১.৩০ থেকে ২.৩০) ভারতীয় দূতাবাসের সামনে জড়ো হন কয়েক জন দুষ্কৃতী। তাঁরা দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। জ্বলে ওঠে দূতাবাস ভবনের একাংশ। আগুন লাগার খবর পেয়ে সান ফ্রান্সিসকো ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মী এবং ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিভিয়ে ফেলা হয়। অভিযোগ, খলিস্তানপন্থীরা (Khalistanis attacked Indian Consulate) দূতাবাসে আগুন ধরিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন! তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের

    ঘটনার তীব্র নিন্দা

    এই ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। দফতরের মুখপাত্র এক ট্যুইট বার্তায় লেখেন, ‘শনিবার সান ফ্রান্সিসকোতে (San Francisco) ভারতীয় কনস্যুলেটে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টার তীব্র নিন্দা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই দেশে কূটনৈতিক ভবন বা বিদেশি কূটনীতিকদের হামলা বা সহিংসতা একটি ফৌজদারি অপরাধ।’ 

    দ্বিতীয় হামলা

     ভারতীয় কনস্যুলেটের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়, এর আগে লন্ডনে ভারতীয় কনস্যুলেটে ঢুকে জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় খালিস্তান পন্থীদের তরফে। এছাড়া কানাডাতেও এই ধরনের সমস্যায় মধ্যে পড়েছে সেখানে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেট। উল্লেখ্য, এর কয়েক মাস আগেও সান ফ্রান্সিসকোর (San Francisco) ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালিয়েছিল খলিস্তনিরা। মিছিল করে এসে ভারতীয় দূতাবাসের ওপর চড়াও হয়েছিল তারা। ব্যারিকেড ভেঙে কনস্যুলেট চত্বরে ঢুকে দু’টি খলিস্তানি পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। পরে তা সরিয়ে নেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistan: কানাডায় গুলিতে খতম মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জার

    Khalistan: কানাডায় গুলিতে খতম মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুলি করে খুন করা হল খালিস্তানি (Khalistan) জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জারকে (Hardeep Singh Nijjar)। ভারত সরকারের তরফে তাকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয়েছিল। মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা। পাঞ্জাবের জলন্ধরের বাসিন্দা হরদীপ বর্তমানে কানাডায় (Canada) ছিল। কানাডিয়ান শিখ সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের সঙ্গে যুক্ত ছিল হরদীপ। সম্প্রতি ভারত সরকার ৪১ জন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে হরদীপেরও।

    খালিস্তানপন্থীদের ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ

    বছর কয়েক ধরে কানাডায় বসবাস করছিল হরদীপ। সেখান থেকে খালিস্তানপন্থীদের ইন্ধন জোগাচ্ছিল সে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অপারেটরদের রসদ এবং অর্থ সরবরাহও করতে শুরু করেছিল হরদীপ। সম্প্রতি তাকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করে ভারত সরকার। সম্প্রতি ফিলিপিন্স ও মালয়েশিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় হরদীপের দুই সাগরেদকে।

    পুরোহিত হত্যার অভিযোগ

    হরদীপের (Hardeep Singh Nijjar) বিরুদ্ধে ২০২২ সালে জলন্ধরে পুরোহিত হত্যার অভিযোগও ওঠে। এনআইএর দাবি, ওই পুরোহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল খালিস্তান টাইগার ফোর্স। এই ফোর্সের প্রধান ছিল হরদীপ। এনআইএর তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে সন্ত্রাসবাদকে ছড়িয়ে দিতে খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তৈরি করেছিল হরদীপ। এ জন্য সদস্য সংগ্রহ, তাদের প্রশিক্ষণ, অর্থের জোগান সব কিছুর সঙ্গেই সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল সে। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে উসকানিমূলক এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গেও জড়িত ছিল হরদীপ। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা।

    হরদীপের (Khalistan) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কানাডা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভারত। পঞ্জাব পুলিশ হরদীপকে ভারতে ফেরানোর জন্য দাবি জানিয়েছিল কানাডার কাছে। রাজ্যে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ায় তাকে ওয়ান্টেড ঘোষণা করেছিল পঞ্জাব পুলিশ। ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার জারি করেছিল পুলিশ।পরের বছর জারি করা হয় রেড কর্নার নোটিশ। ২০২০ সালে হরদীপকে ইন্ডিভিজুয়াল টেরোরিস্ট ঘোষণা করে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুুন: আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন মোদি

    জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের সারে শহরের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের পার্কিং লটে হরদীপ যখন তার বাইকে বসছিল, সেই সময় অজ্ঞাতপরিচয় দুই বন্দুকধারী এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে তাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোস্ট ওয়ান্টেড (Khalistan) এই জঙ্গির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share