Tag: Hari Krishna Dwivedi

Hari Krishna Dwivedi

  • Suvendu Adhikari: হরিকৃষ্ণকে সরকারি বাংলোয় রাখতে ঘরছাড়া ৩ মন্ত্রী, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: হরিকৃষ্ণকে সরকারি বাংলোয় রাখতে ঘরছাড়া ৩ মন্ত্রী, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি বাংলো নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একটি সরকারি বাংলোতে রাজ্য়ের নয়া অর্থ উপদেষ্টা ও প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে রাখার জন্য় তা কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি, ওই বাংলোয় বর্তমানে রাজ্য়ের যে তিন মন্ত্রী থাকতেন, তাঁদেরকে সরানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    কী অভিযোগ শুভেন্দুর?

    শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, কলকাতায় কোয়েস্ট মলের কাছেই, প্রাসাদোপম সরকারি বাংলোতে প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে রাখার বন্দোবস্ত করছে রাজ্য। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, যে বাংলোতে বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জনাব আখরুজ্জামান, বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা এবং সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন থাকতেন সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে একজন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিককে রাখা হচ্ছে।

    শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল প্রকৃতি। মুসলিম নেতারা নিছক মুখ, টিএমসি পার্টির ধর্মনিরপেক্ষ চেহারাকে উজ্জ্বল করতে এবং মুসলিম ভোটকে আকর্ষণ করার জন্য প্রয়োজন। ক্যামেরা বন্ধ থাকলে তাঁদের সঙ্গে অসম্মান করা হয়।’’

    বাংলো সাজানোয় বিপুল খরচ

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও অভিযোগ, সরকারি বাংলোটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সুসজ্জিত করে তোলার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, ৭০০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে থাকা এই বাংলো সাজাতে প্রায় ২ কোটি টাকা মতো খরচ করা হচ্ছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন শুধুমাত্র একজন কলঙ্কিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বসানোর জন্য এই মুসলিম মন্ত্রী ও বিধায়কদের  বের করে দেওয়া হবে?’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Vigilance Commission: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    Central Vigilance Commission: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব। অভিযোগ, অনৈতিকভাবে তিনি বাড়িভাড়া ভাতা নিয়েছেন। হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর (Hari Krishna Dwivedi) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (Central Vigilance Commission) কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চিঠি পাঠানো হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি। ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু জানান, সেই অভিযোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন। কমিশনের তরফে তাঁকে পাঠানো ই-মেইলও প্রকাশ্যে এনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাতে বলা হয়েছে, তাঁর করা অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন (Central Vigilance Commission)…

    শুভেন্দুর দাবি যে নিছক অমূলক নয়, তার প্রমাণ মিলেছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (Central Vigilance Commission) পোর্টালেও। এমন কোনও অভিযোগ গ্রহণ করা হলে, অভিযোগকারীকে সেই বার্তা ই-মেইল করে জানানো হয়। শুভেন্দুকেও তেমনই বার্তা মেইল করে পাঠানো হয়েছে। ওই মেইলে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী শুভেন্দুর অভিযোগপত্র খতিয়ে দেখে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। তবে তারা তদন্ত শুরু করবে নাকি রাজ্য সরকারকে সুপারিশ করবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

    শুভেন্দুর উদ্দেশে পাঠানো মেইল-বার্তায় বলা হয়েছে, আপনার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেই বার্তা প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, আমার অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ করেছিলাম। যিনি রাজ্য সরকারের বাংলোয় থেকেও নিয়ম ভেঙে ১৬.৪ লক্ষ টাকা হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স নিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মুখ্যসচিবের দায়িত্ব নেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আলিপুরের আট কামরার সরকারি বাংলোয় থাকেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তার পরেও তিনি বেআইনিভাবে বাড়িভাড়া ভাতা বাবদ টাকা নিয়েছেন। এর ফলে ইল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুল ভেঙেছেন দ্বিবেদী। শুভেন্দুর দাবি, এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, দ্বিবেদী এখন আর বাড়িভাড়া বাবদ ভাতা নিচ্ছেন না।

    প্রসঙ্গত, আইএএস কিংবা আইপিএস আধিকারিকদের নিয়োগপত্র কেন্দ্র দিলেও, তাঁরা যখন কোনও রাজ্যে কর্মরত থাকেন, তখন তাঁদের কারও বিরুদ্ধে সার্ভিস রুল লঙ্ঘনের (Central Vigilance Commission) অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখায় লিখিতভাবে জানাতে হয়। তাই শুভেন্দুর অভিযোগ কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন খতিয়ে দেখলেও, এই অভিযোগের তদন্তের এক্তিয়ার রয়েছে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার হাতেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Awas Yojana: ৯০ দিনে বানাতে হবে সাড়ে ১১ লক্ষ বাড়ি! কেন্দ্রের চাপে আবাস-নির্দেশ রাজ্যের

    PM Awas Yojana: ৯০ দিনে বানাতে হবে সাড়ে ১১ লক্ষ বাড়ি! কেন্দ্রের চাপে আবাস-নির্দেশ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন আসতেই আবাস যোজনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল রাজ্য। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আর এরই মাঝে আবাস যোজনা নিয়ে আজ বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। অন্যদিকে কেন্দ্রের চাপ তো রয়েছেই। ফলে আজই ঘোষণা করা হল, ৯০ দিনের মধ্যেই আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবাস যোজনা নিয়ে সরকার সবথেকে বেশি যে গুরুত্ব দিতে চলেছে, তা সোমবার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করে স্পষ্টভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্য সচিব। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে আবাস যোজনায় প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি হবে বাংলায়।

    আবাস যোজনা নিয়ে বৈঠক রাজ্যের মুখ্য সচিবের

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘিরে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক গণ্ডগোল। আর এই আবাস যোজনা নিয়ে এবার কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwivedi)। নবান্ন সূত্রে খবর, এদিন প্রায় দু’ঘণ্টা বিভিন্ন জেলাশাসক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন মুখ্য সচিব। এই বৈঠকেই জানানো হয়, আগামী তিন মাসের মধ্যেই সব বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিল নবান্ন। মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়েছেন, ৩১ মার্চ তথা বর্তমান আর্থিক বছরের মধ্যেই ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি বানানোর কাজ সেরে ফেলতে হবে। যদিও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ১০ লক্ষ ১৯ হাজার জনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর এই ৮৯% এরও বেশি বাড়ি অনুমোদন করার জন্য বিভিন্ন জেলাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্য সচিব।

    গতকাল বৈঠকে জানানো হয়েছে, প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে বাড়ির জানলা পর্যন্ত নির্মাণ করতে হবে। পরবর্তী কিস্তির ৩৫ দিনের মধ্যে কাজ হবে ‘লিন্টেল’ বা জানলার উপরিভাগ পর্যন্ত। তার পরের কিস্তির ১৫ দিনের মধ্যে ঢালাই-সহ বাড়ি তৈরির সামগ্রিক কাজ শেষ করতেই হবে।

    এবার কেন্দ্রের চাপেই আবাস যোজনা নিয়ে তৎপর রাজ্য। কারণ, কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে উপভোক্তা বাড়ি না-বানালে শেষ পর্যন্ত সমস্যায় পড়তে হতে পারে রাজ্যকেই। কেন্দ্রের থেকেও টাকা আসতেও হতে পারে সমস্যা। এছাড়াও সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, ফলে রাজ্য তার আগেই আবাস যোজনা নিয়ে সতর্ক হয়ে পড়ছে। 

    আবার এদিন কোন কোন জেলার কেমন পারফরম্যান্স সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও জেলাশাসকদের সামনে তুলে দেন মুখ্য সচিব। সেই তথ্য অনুসারে, ৮০ শতাংশের নীচে অনুমোদন হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে অনুমোদন হয়েছে কোচবিহার, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, আলিপুরদুয়ার, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। ৯১ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে অনুমোদন হয়েছে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলায়। সর্বাধিক আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি অনুমোদন করা হয়েছে হাওড়ায়।

    কী কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?

    প্রতিটি ব্লকে কন্ট্রোল রুম রাখতে হবে। আবাস যোজনার উপভোক্তাদের সহায়তার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে একটি হেল্পলাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিমাসে ‘আবাস সপ্তাহ’ আয়োজন করতে হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ব্লকের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচের টার্গেট দিতে হবে ও সেগুলো ব্যয় সংক্রান্ত সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। পাশাপাশি স্টেক হোল্ডারদের ই-প্রশিক্ষণ, ইট প্রস্তুতকারক এবং যারা সরবরাহ করবেন, তাদের সঙ্গেও দিনকয়েকের মধ্যে বৈঠক করে রূপরেখা সাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে প্রত্যেক মুহূর্তের আপডেট নবান্ন কে দিতে হবে বলেও এদিনের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে। 

LinkedIn
Share