Tag: headache

headache

  • Dengue: শীতেও দাপট কমেনি ডেঙ্গির! কাদের ঝুঁকি বেশি? কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    Dengue: শীতেও দাপট কমেনি ডেঙ্গির! কাদের ঝুঁকি বেশি? কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষায় প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু তাপমাত্রার পারদ নামলে শক্তি ক্ষয় হয়, দাপটও কমে। এমনটাই গত কয়েক বছর হয়ে এসেছে। কিন্তু এই বছরের ছবি বেশ ব্যতিক্রম। রাজ্যে শীত জাঁকিয়ে বসছে। কিন্তু তারপরেও কমছে না ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ। বরং ডেঙ্গি সংক্রমণের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন সপ্তাহে শুধু কলকাতাতেই প্রায় ৩৫০ জনের ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। নদীয়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলার পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। চলতি বছরে রাজ্যের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত জেলা মুর্শিদাবাদ। ওই জেলার সর্বশেষ রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলাতেই প্রায় পাঁচশোর বেশি মানুষ ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরে মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। নদীয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলির পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল। সূত্রের খবর, শীতেও রাজ্যের সর্বত্র ডেঙ্গির মারাত্মক প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। চলতি বছরে রাজ্যে কয়েক লাখ মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। চলছে মৃত্যু মিছিল। অন্যান্য বছরে শীতে ডেঙ্গির দাপট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু চলতি বছরে ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত।

    কাদের ঝুঁকি বাড়ছে? (Dengue)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ডেঙ্গি আক্রান্ত উপসর্গহীন হচ্ছেন‌। আর তার ফলেই বিপদ বাড়ছে। প্রথম থেকেই জ্বর কিংবা গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা বা বমির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না। সামান্য সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু তারপরেই হঠাৎ বমি বা রক্তক্ষরণের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তাই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের জন্য এই ধরনের উপসর্গহীন ডেঙ্গি আরও ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    শীতেও (Winter) মশার দাপট চলছে। তাই ডেঙ্গির প্রকোপ অব্যাহত। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশা নিধনে সক্রিয়তা না থাকলে ডেঙ্গির প্রকোপ কমানো যাবে না। তাই দরকার সচেতনতা।‌ পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখাই ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলার প্রথম ও প্রধান অস্ত্র। নিজের বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা জরুরি। জমা জল একেবারেই রাখা চলবে না। আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। এলাকার বাগান কিংবা পার্ক থাকলে, সেগুলো পরিষ্কারে বাড়তি নজর দিতে হবে‌। পাশপাশি স্কুল কিংবা অফিস চত্বর পরিষ্কার রাখার দিকেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় হতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মশা নিধন স্প্রে দেওয়া জরুরি। নিকাশি ব্যবস্থাও পরিষ্কার থাকা দরকার। মশা বাহিত রোগ মোকাবিলার জন্য দরকার সতর্কতা। তবে সাধারণ সর্দিকাশির উপসর্গের আড়ালেও হানা দিচ্ছে ডেঙ্গি। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা দ্রুত করা দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ রোগ প্রথমেই চিহ্নিত করতে পারলে বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে। পাশপাশি সংক্রমণ রুখতেও সুবিধা হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ কেন‌ বাড়ছে? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ কেন‌ বাড়ছে? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফি-বছর বর্ষাকালে রাজ্যের মানুষের ভোগান্তি বাড়ায় ডেঙ্গি। মশাবাহিত এই রোগে নাজেহাল সকলেই। কয়েক হাজার মানুষ মারাও যান। লাখখানেক মানুষ আক্রান্ত হন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, সচেতনতার অভাব এই রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে! আসুন, এক নজরে দেখে নিই এই মারণ রোগের খুঁটিনাটি।

    ডেঙ্গি কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি একটা ভাইরাস, যা মশার মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেক জনের রক্তে সংক্রমিত হয়। মূলত স্ত্রী এডিস মশা ডেঙ্গির ভাইরাস বহন করে।

    কীভাবে চিনবেন এই রোগ? (Dengue)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে জ্বর হয়। দেহের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। তার সঙ্গে গোটা শরীরে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব হয়। বিশেষত হাত ও পায়ের জয়েন্টে যন্ত্রণা বেশি হয়। মাথার যন্ত্রণা হয়। এর পাশপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে গোল দাগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে মাথা ঘোরা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, দেহের যে কোনও অংশ থেকে রক্তপাত শুরু হলে, বুঝতে হবে পরিস্থিতি বেশ জটিল। তাই আরও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

    কেন ডেঙ্গি বিপজ্জনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি ভাইরাস সংক্রমণ (Virus Infection) হলে আক্রান্তের রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ কমতে থাকে। আর তা হলেই রক্ত সঞ্চালন থমকে যায়। তার ফলে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি, মস্তিষ্ক সহ একাধিক অঙ্গের কার্যকারিতা বাধা পায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহও কমে যায়। মস্তিষ্ক কাজ করতে পারে না। ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ হলে মাল্টি অরগ্যান ফেলিওরের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই ডেঙ্গি বিপজ্জনক বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কাদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে ডেঙ্গি? (Dengue)

    প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু না করলে ডেঙ্গি সংক্রমণ যে কোনও সময় বিপজ্জনক হতে পারে। তবে শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ডেঙ্গি মারাত্মক জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিশু ও গর্ভবতী মহিলারা ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে দ্রুত পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। মৃত্যুহার খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অন্যদের তুলনায় বেশি। 
    তবে একবার ডেঙ্গি আক্রান্ত আরেকবার ভিন্ন প্রজাতির ডেঙ্গিতে সংক্রামিত হলে বিপদ আরও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে ডেঙ্গির মূলত চারটি প্রজাতি রয়েছে। এক প্রজাতির ভাইরাস এক ব্যক্তির দেহে একাধিক বার সংক্রমিত হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হয় না। কারণ সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু এক ব্যক্তিকে বারবার এক ভাইরাসের ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি সংক্রমিত করলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। তখন আক্রান্তের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তলানিতে গিয়ে ঠেকে। একাধিক অঙ্গের ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই একবার ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে, তাকে আরও সতর্ক ভাবে থাকতে হবে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি (Dengue) মশাবাহিত রোগ। তাই মশার দাপট রুখতে পারলেই ডেঙ্গির মোকাবিলা সহজ‌‌ হবে। নিয়মিত মশারি টাঙিয়ে ঘুমনোর পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর পাশপাশি বাড়ির আশপাশ ও এলাকা পরিষ্কারের দিকে নজরদারি জরুরি। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার, যে কোনও জায়গায় জল জমতে না দেওয়ার দিকে নজর রাখতে হবে। এলাকার বিভিন্ন পার্ক ও বাগানে নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিতে হবে। তাছাড়া, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রয়েছে কিনা সেটাও নজরদারি জরুরি‌। এলাকার কেউ জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হলে কিংবা ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকা দরকার। তবেই দ্রুত চিকিৎসা মাধ্যমে সুস্থ থাকা যাবে। আক্রান্তকে‌ আলাদা ভাবে রাখতে হবে। এলাকায় কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত (Virus Infection) হলে বাকিদের আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা! প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবে বাড়ছে উদ্বেগ

    Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা! প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবে বাড়ছে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা বৃষ্টি! তার পরে কয়েক দিনের রোদ! এই আবহাওয়া এখন উদ্বেগজনক। কিন্তু চলতি সপ্তাহে এমনই আবহাওয়ার জেরে রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট আরও বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। চলতি বছরে ডেঙ্গি বঙ্গবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়াবে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসনের একাংশ। কিন্তু সেই তুলনায় প্রশাসনের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলেই বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। মানুষের তিক্ত অভিজ্ঞতা হল, সরকারের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে এই মারণ রোগ মোকাবিলায় কোনও সমন্বয়ই নেই। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে।

    উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোন জেলা? (Dengue)

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দফতরের বৈঠকে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, এবারে আক্রান্তের নিরিখে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা। ইতিমধ্যেই ওই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে। শুধুমাত্র জুলাই মাসের শেষ দুই সপ্তাহে উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে ৫০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। উত্তর ২৪ পরগনার পরেই নদিয়া। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, নদিয়া জেলায় গত মাসে ৪০০-র বেশি মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া কলকাতা ও হাওড়ার পরিস্থিতিও নজরে রাখা হয়েছে বলে প্রশাসনিক (State Administration) সূত্রে দাবি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, গত বছরের মতোই চলতি বছরেও জুন মাস থেকেই কলকাতা ও হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কলকাতায় ডেঙ্গির (Dengue) পাশপাশি ম্যালেরিয়ার দাপটও যথেষ্ট। মশার এই জোড়া আক্রমণে নাজেহাল কলকাতা তথা বঙ্গবাসী।

    কী পরিকল্পনা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকা পরিদর্শনের পাশপাশি স্কুল, কলেজ, হাসপাতালেও পরিদর্শন জরুরি। এমনই নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। কর্তারা জানাচ্ছেন, একটানা বৃষ্টির জেরে স্কুল, কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে বহু জায়গায় জল জমে আগাছা জন্মাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। আর তার জেরেই মশার বাড়বাড়ন্ত। তাই স্কুল, কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শন জরুরি। পাশপাশি হাসপাতাল চত্বরে যাতে জল না জমে, সে নিয়েও নজরদারি জরুরি। এক স্বাস্থ্যকর্তার (State Administration) কথায়, “ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ব্যাপারে নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তাদেরও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।” 
    তবে, স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ জানাচ্ছে, গতানুগতিক ভাবে শুধু পরিকল্পনা যথেষ্ট নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। অনেক সময়েই তা নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। ডেঙ্গি যে ভাবে বাড়ছে, সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য কর্তাদেরই একাংশ।‌ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lung cancer: কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সার! নেপথ্যে কি সেই ধূমপান?

    Lung cancer: কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সার! নেপথ্যে কি সেই ধূমপান?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের রোগ (Lung cancer) বাড়ছে‌। বিভিন্ন সংক্রমণের জেরে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমছে। আর তার ফলে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছে শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। পরিবেশে দূষণের জেরে বাড়ছে নানান ভাইরাসের দাপট। আবার লাগামহীন বায়ুদূষণ বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়াচ্ছে। ফুসফুসের অসুখের সেটাও আরেকটা কারণ। তবে এর পাশপাশি জীবন যাপনের ধরন ক্যান্সার আক্রান্ত বাড়ার অন্যতম কারণ বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। ১ অগাস্ট ওয়ার্ল্ড লাং ক্যান্সার ডে! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লাগাতার সচেতনতা কমাতে পারে ক্যান্সারের প্রকোপ। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য জরুরি সতর্কতা।

    ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রকোপ কতখানি? (Lung cancer)

    বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও বাড়ছে ক্যান্সারের দাপট। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-র তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রকোপ প্রতি বছর বাড়ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের দাপট বেশি। তবে বাদ নেই মহিলারাও। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত দু’বছরে মহারাষ্ট্র, কেরল, মিজোরামের মতো রাজ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ বেড়েছে। আবার, দেশ জুড়ে দেখা গিয়েছে, ৯০ শতাংশ নতুন ভাবে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী ক্যান্সারের তৃতীয় পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন। ফলে, চিকিৎসা শুরু করতেই অনেকটা দেরি হয়ে যাচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় পুরুষদের মুখ ও গলার ক্যান্সারের পরেই দেখা যাচ্ছে ফুসফুসের ক্যান্সারের জেরে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। ভারতীয় মহিলাদের ক্ষেত্রে ক্যান্সার আক্রান্তের নিরিখে স্তন ক্যান্সার এবং জরায়ুর ক্যান্সারের পরেই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। দেশ জুড়ে ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    ফুসফুসের ক্যান্সার বৃদ্ধির নেপথ্যে কি ধূমপান?

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মোট ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্তের ২০ শতাংশ রোগী দেখা গিয়েছে, ধূমপান (Smoking) করেন না। কিন্তু ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রোগী দীর্ঘদিন ধূমপানে অভ্যস্ত। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ধূমপানের অভ্যাস বাড়াচ্ছে ফুসফুসের বিপদ(Lung cancer)। সিগারেট কিংবা বিড়ির ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজ, হাঁপানি সহ একাধিক ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তেমনি এই তামাক সেবনের অভ্যাস ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব বয়স থেকেই অনেকেই এখন ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারাও ধূমপান করছে। এমনকী শহরের বিভিন্ন নামী রেস্তোরাঁয় নানান রকমের ধূমপানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অনেকেই সেখানে ধূমপান করছেন।‌ আবার যাঁরা সরাসরি ধূমপান করেন না, কিন্তু আশপাশের মানুষ করছেন, তাঁরাও কিন্তু ধূমপানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের শরীরে পরোক্ষভাবে তামাকের ধোঁয়া প্রবেশ করছে। ফলে তাঁদের ফুসফুস ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Lung cancer)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, লাগাতার সচেতনতা জরুরি। স্কুল পর্যায় থেকেই ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। ইন্টারনেটের যুগে স্কুল পড়ুয়ারা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে। তাই স্কুল থেকেই শুরু হোক কর্মশালা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধূমপান ক্ষতিকারক। এই ধরনের অভ্যাস থাকলে পড়ুয়ারা ‘কুল’ হবে না। বরং তাদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করবে। আর সেই ক্ষতি কতখানি ভয়ানক হতে পারে, সে সম্পর্কে সতর্ক করা জরুরি। এই সচেতনতার হার বাড়াতে পারলে ধূমপানের অভ্যাস কমবে। আবার রেস্তোরাঁ বা বিভিন্ন হোটেলে যে অবাধে নানান রকম ধূমপানের সুযোগ থাকে, সেটাও বন্ধ করা জরুরি। সে ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    তবে, এই সবের পাশাপাশি মাস্ক পরে বাইরে যাওয়ার অভ্যাস‌ থাকা দরকার। চিকিৎসকদের মতে, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়ছে। নানান দূষিত উপাদানও বাড়ছে। ফুসফুস সুস্থ রাখতে মাস্ক কিছুটা সাহায্য করবে (Smoking)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue Fever: বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গি‌ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ! কোন জেলার পরিস্থিতি বিপজ্জনক?

    Dengue Fever: বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গি‌ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ! কোন জেলার পরিস্থিতি বিপজ্জনক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে এ বছরেও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গি (Dengue Fever) সংক্রমণ উদ্বেগজনক। যদিও কলকাতা পুরসভার তরফে বারবার বলা হচ্ছে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত বছরের মতোই এবছরেও রাজ্যবাসীর ভোগান্তির কারণ হবে ডেঙ্গি। পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য কর্তারা।

    কোন জেলা চিন্তা বাড়াচ্ছে? (Dengue Fever)

    স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, চলতি বছরে ডেঙ্গি নিয়ে সব চেয়ে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরভর কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হচ্ছিল। কিন্তু জুন মাস থেকে সংক্রমণ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। কলকাতায় চলতি মাসে শতাধিক মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতার পাশপাশি উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং হুগলি নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন। ২০২৩ সালে নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ছিল ভয়ানক। এই দুই জেলার প্রায় পনেরো হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি বছরেও সংক্রমণ যথেষ্ট ছিল। তবে গত দেড় মাসে এই দুই জেলায় সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক‌ভাবে‌ বেড়েছে।

    বাড়তি দুশ্চিন্তা ম্যালেরিয়া?

    স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, ডেঙ্গি (Dengue Fever) নিয়ে নাজেহাল রাজ্য প্রশাসন। প্রত্যেক বছরেই সংক্রমণ, আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যায়। এবছরে তার সঙ্গে বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ ম্যালেরিয়া। কারণ, বর্ষার মরশুম (Rainy Season) শুরু হওয়ার আগেই কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় ম্যালেরিয়ার দাপট জারি ছিল। প্রত্যেক মাসে শতাধিক মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্ষার মরশুমে সেই সংক্রমণ কয়েক গুণ বেড়েছে। 
    একদিকে ডেঙ্গি, আরেক দিকে ম্যালেরিয়া, মশাবাহিত এই দুই জোড়া সংক্রমণ রুখতে আরও সক্রিয়তা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেক এলাকা পরিষ্কারের দিকে এই সময়ে বাড়তি নজর দিতে হবে। স্কুল, কলেজ, পার্ক এই সব জায়গায় যাতে জল জমে না থাকে, আগাছা না জন্মায় সেটা দেখা জরুরি। বাড়িতে গিয়ে পরিদর্শন আরও বাড়াতে হবে। মশার আঁতুরঘর ভাঙতে পারলেই রাজ্যবাসীর ভোগান্তি কমবে। তবে সাধারণ মানুষকেও‌ সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।

    পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করবেন? (Dengue Fever)

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের সমস্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয় না বাড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। পুরসভা, পঞ্চায়েত, পুর্ত দফতর সবাইকেই একযোগে কাজ করতে হবে। এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, “ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়া কীভাবে নিয়ন্ত্রত করতে হয়, এটা এখন সকলেই জানেন। শুধু সক্রিয়তা বাড়াতে হবে। পুরসভা আর পঞ্চায়েতকে আরও সক্রিয় হতে হবে। আর স্বাস্থ্য দফতরেও ঠিকমতো রিপোর্ট পাঠাতে হবে। নিজেদের মতো যা খুশি করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ মুশকিল (Rainy Season)।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Zika virus: গর্ভবতীদের বিপদ বাড়াচ্ছে জিকা! কতখানি বিপজ্জনক এই ভাইরাস?

    Zika virus: গর্ভবতীদের বিপদ বাড়াচ্ছে জিকা! কতখানি বিপজ্জনক এই ভাইরাস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মশাবাহিত রোগের দাপটে জেরবার বঙ্গবাসী। বর্ষা শুরু হতেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই আরেক নতুন ভাইরাসের শক্তি বৃদ্ধি বাড়তি চিন্তা তৈরি করল। এমনটাই জানাচ্ছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। মহারাষ্ট্র সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে জিকা ভাইরাসের (Zika virus) দাপট। বিশেষত গর্ভবতী মহিলাদের উপরে এই ভাইরাসের বাড়তি প্রকোপ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য প্রশাসন? (Zika virus)

    সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি-র তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাঠানো নমুনায় জিকা ভাইরাসের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায়, সে দিকে এখন থেকেই কড়া নজরদারি জরুরি বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তাই জিকা-র সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও দ্রুত প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, গর্ভবতী মহিলারা এই সংক্রমণের বেশি শিকার হচ্ছেন। ইতিমধ্যে দেশের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে জিকা আক্রান্ত হয়ে গর্ভবতী মহিলাদের ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই এই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ ও বাড়ছে‌।

    জিকা সংক্রমণ কী?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিকা (Zika virus) একটি মশাবাহিত রোগ। মূলত, এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে যায়। মার্তৃগর্ভে থাকা শিশুও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এর জেরে প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটে।

    জিকা ভাইরাসের উপসর্গ কী? (Zika virus)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। রোগীর মারাত্মক মাথার যন্ত্রণা হয়। পেশিতেও ব্যথা হয়। দেহের বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি হয়। পাশপাশি কনজাংটিভাইটিসের মতোই চোখ লালচে হয়ে যায়। চোখের ভিতরে এক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। তাই এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়। আর দ্রুত রোগ নির্ণয় হলে তা নিরাময় সহজ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Iron deficiency: শহরের মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি! ঘটতে পারে বড় বিপদ

    Iron deficiency: শহরের মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি! ঘটতে পারে বড় বিপদ

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের আয়রন ঘাটতি বেশি। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একাধিক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের স্বাস্থ্য প্রশাসন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, শরীরে আয়রনের ঘাটতি (Iron deficiency) তৈরি হচ্ছে। আর স্বাস্থ্যে তার গভীর প্রভাব পড়ছে‌। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আয়রনের ঘাটতি রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার মতো রোগ তৈরি করে। রক্তে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তকণিকা তৈরিতে বাধা হবে‌। রক্তকণিকা দেহের সব অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে। ফলে দেহের বিভিন্ন অংশের কার্যক্ষমতায় তার প্রভাব পড়ে‌। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে ক্লান্তি বোধ তৈরি হয়। ফলে কোনও কাজ ঠিকমতো করা যায় না। হরমোনের ভারসাম্যেও প্রভাব পড়ে। তাছাড়া, ত্বক, চুল, নখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আয়রনের ঘাটতির দিকে নজরদারি জরুরি। এই সমস্যা থাকলে বড় বিপদ ঘটতে পারে।

    কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা? (Iron deficiency)

    সাম্প্রতিক এক সর্বভারতীয় সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের দেহে আয়রনের ঘাটতি বেশি। ১২ থেকে ২১ বছর বয়সী প্রায় চার হাজার মেয়ের উপরে এই সমীক্ষা চালানো হয়‌। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওই চার হাজার মেয়েদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ মেয়ের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই তথ্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ এত কম বয়স থেকেই শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় নানান জটিলতাও দেখা দিতে পারে‌। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, শহরের প্রতি ৫ জন মেয়ের মধ্যে ৩ জনের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। গ্রামে কিন্তু প্রতি পাঁচ জন পিছু ২ জনের আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি গ্রামের তুলনায় শহরের মেয়েদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি বেশি হচ্ছে।

    কেন শহরের মেয়েরা আয়রনের অভাবে ভুগছে? (Iron deficiency)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শহরের বাসিন্দাদের খাদ্যাভ্যাস আয়রনের ঘাটতি বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি। এগুলো অধিকাংশ জীবন যাপন সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সমস্যা। রক্তাল্পতার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কম বয়সী মেয়েদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি তৈরি করছে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা মোচা, থোর, ডুমুর, কাচকলার মতো সবজি নিয়মিত খান না। কিন্তু এই সবজিগুলির পুষ্টিগুণ অনেক। বিশেষত শরীরে আয়রনের জোগান দিতে এগুলি খুবই উপকারী। শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা সকাল কিংবা সন্ধ্যায় চটজলদি খাবার পছন্দ করেন। ন্যুডলস, হটডগের মতো খাবারে একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং নানান রাসায়নিক দিয়ে প্রিজারবেটিভ খাবার শরীরে নানান রোগের (Anemia) কারণ হয়ে ওঠে। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত নানান ধরনের সবজি খাওয়া জরুরি। পাশাপাশি, কলা, বেদানা, আপেলের মতো ফল নিয়মিত খাওয়া দরকার। কারণ এই ফলে আয়রন রয়েছে। তাছাড়া, বারো পেরোনোর পরে মেয়েদের আয়রনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে‌। তাই মেনুতে রোজ মাছ থাকা জরুরি‌। দুপুর অথবা রাতের মেনুতে রোজ মাছ রাখতেই হবে। মাছে থাকে আয়রন। এই ধরনের খাবারে অভ্যস্ত হলে আয়রনের ঘাটতি কমবে। রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌ (Iron deficiency)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Nile virus: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    West Nile virus: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আতঙ্কের নতুন নাম ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস। এই ভাইরাসঘটিত (West Nile virus) জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে সাত থেকে সত্তর, সব বয়সের মানুষ। আফ্রিকার নীল নদের আশপাশের এলাকা থেকে এই জ্বরের উদ্ভব। কিন্তু সেই জ্বর এখন কেরলে প্রভাব বিস্তার করছে। তবে সংক্রমণের বিস্তার শুধু কেরলে নয়। এই সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এর আগেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এ দেশে। তাই বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাই সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

    কীভাবে আটকানো‌ যাবে এই রোগ? (West Nile virus)

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মশাবাহিত রোগ। কিউলেক্স মশা থেকে এই রোগ মানুষের শরীরে আসে। আফ্রিকা, ইউরোপ, নর্থ আমেরিকা এবং মধ্য এশিয়ায় এই রোগের প্রকোপ বেশি‌। তবে পাখির মাধ্যমে এই রোগ মশার শরীরে আসে‌। আর সেখান থেকেই এই রোগ মানুষের শরীরে ছড়ায়। তাই ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়ার মতো সরাসরি ভাইরাস মশা থেকে মানুষের শরীরে আসে না। বরং মাধ্যম হিসাবে মশা মানুষের শরীরে এই রোগ আনে। কিউলেক্স মশা এনসেফেলাইটিসর মতো একাধিক রোগের জীবাণু বহন করে। ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস রুখতেও তাই জরুরি মশার দমন। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ (West Nile virus) রুখতে প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। মশার বংশবিস্তার রুখতে পারলেই এই রোগের প্রকোপ আটকানো সম্ভব।

    কখন বিপদ বাড়ায় ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? (West Nile virus)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মস্তিষ্কে প্রকোপ ছড়ালে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের আলাদা বিশেষ কোনও উপসর্গ নেই। সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি এবং মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যাবে। তবে গোটা শরীরে র‍্যাশ দেখা দিলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কিন্তু অনেক সময়েই ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে‌। এর জেরে মেরুদণ্ডের কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়‌। স্নায়ুতন্ত্র কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। তখন প্রাণসংশয় দেখা দেয়। তবে এই রোগের নির্দিষ্ট ওষুধ এবং টিকা নেই। তাই এই রোগ (West Nile virus) মোকাবিলা কঠিন‌। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই তাঁদের পরামর্শ, প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রোগ আটকানোর জন্য যেমন মশার বংশবিস্তার রুখতে হবে, তেমনি জ্বর হলে বা দেহে কোনও লাল রঙের দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাতে দেহের তাপমাত্রা না বাড়ে।

    কাদের জন্য এই রোগ বাড়তি বিপজ্জনক? (West Nile virus)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে এই রোগ বিপদ বাড়ায়। কারণ এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্তদের হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। তাই ওয়েস্ট নাইল রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া ডায়াবেটিস আক্রান্তদের স্নায়ুর সমস্যা হতে পারে। এই ভাইরাসও স্নায়ুর কার্যকারিতা নষ্ট করে। তাই এই রোগ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি করে। তাছাড়া, রোগ প্রতিরোধ শক্তি যাদের কম, তাদের জন্য এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই তাদেরও বাড়তি সাবধানতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (West Nile virus)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Migraine: মাইগ্রেনে অতিষ্ঠ জীবন! যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত?

    Migraine: মাইগ্রেনে অতিষ্ঠ জীবন! যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বছর ২৯-এর যুবক। মাথার যন্ত্রণায় কাতর। শেষ পর্যন্ত নিলেন চরম সিদ্ধান্ত! মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ! সম্প্রতি হাওড়ার টিকিয়াপাড়া এলাকার এক যুবকের মৃত্যুর কারণ শুনে হতবাক হচ্ছেন অনেকেই। তবে, এই ঘটনাকে ব্যতিক্রম বলছেন না চিকিৎসকরা। আগেও একাধিকবার মাইগ্রেনের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বহু রোগী! তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ক্রনিক রোগের দীর্ঘকালীন চিকিৎসা করলে সুস্থ থাকা সম্ভব।

    মাইগ্রেনের সমস্যা কী? 

    মাইগ্রেন একধরনের স্নায়ুঘটিত সমস্যা। একে নিউরোভাস্কুলার ডিসঅর্ডার বলা যায়। মাথার মাঝখানে কিংবা যে কোনও একটা পাশে এই যন্ত্রণা হয়। ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা একটানা এই ধরনের যন্ত্রণা থাকে। মাসে একাধিকবার মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। তথ্য বলছে, বিশ্বের প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন মানুষ মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন। পুরুষের তুলনায় মহিলারাই এই সমস্যায় বেশি ভোগেন।

    কীভাবে বুঝবেন আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা হচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতি মাসে একাধিকবার মাথার যন্ত্রণা হলে বুঝতে হবে, তা মাইগ্রেনের লক্ষণ। বমি, মাথা ঝিমঝিম, মানসিক অস্থিরতার মতো উপসর্গও দেখা যায়। যন্ত্রণার সময় অনেকেই অনেক কিছু অবাস্তব কল্পনা করেন। তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মাইগ্রেন ঔরা (aura) বলা হয়। যেমন, অনেকেই ভাবেন, তাকে কেউ হয়তো খুন করবে কিংবা তার চরম কোনও ক্ষতি করা হবে। এমন নানারকম আশঙ্কায় রোগী ভোগেন। খাবারের প্রতিও অনীহা তৈরি হয়।

    কীভাবে কমাবেন মাইগ্রেনের সমস্যা? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মাইগ্রেনের সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়। অনেকেই প্রথমে সাধারণ মাথার যন্ত্রণা বলে মাইগ্রেনকে অবহেলা করেন। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে বিপদ কমে। কারণ, চিকিৎসক নানান শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারেন, মাইগ্রেন চরম নাকি মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। সেইমতো চিকিৎসা করলে রোগী সুস্থ থাকতে পারে। শুধুমাত্র ব্যথা কমার ওষুধ নয়। স্নায়ুঘটিত নানান ওষুধের প্রয়োজন হয়। তাই যন্ত্রণা কমাতে নিজেই ওষুধের দোকান থেকে ইচ্ছেমতো পেনকিলার খাওয়ার অভ্যাস বিপদ বাড়ায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, জীবনযাপনের বদল মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। অতিরিক্ত আওয়াজ বা অতিরিক্ত গরম মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ায়। তাই সেরকম পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। সহজে হজম হয়, এমন খাবার খেতে হবে। হজমের অসুবিধা হলে মাইগ্রেনের ভোগান্তি বাড়তে পারে। 
    মানসিক চাপ মাইগ্রেনের জন্য অত্যন্ত খারাপ। তাই যাঁরা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। মানসিক চাপ যাতে তৈরি না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে নিয়মিত শারীরিক কসরত করারও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share