Tag: Health News

Health News

  • Saline Incident: স্যালাইনের দোসর অক্সিটোসিন! রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যু ঘটাচ্ছে ব্যাপক হারে, কেন চুপ সরকার?

    Saline Incident: স্যালাইনের দোসর অক্সিটোসিন! রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যু ঘটাচ্ছে ব্যাপক হারে, কেন চুপ সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু স্য়ালাইন (Saline Incident) নয়, দোসর অক্সিটোসিনও। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির অবস্থা যে কতটা শোচনীয় তা ফের একবার প্রমাণ করেছে মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা। এই ছবি, রাজ্যের আরও বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজেরও বলে দাবি চিকিৎসকদের একাংশের। বিষাক্ত স্যালাইনে তিন প্রসূতির অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। সংক্রমণের কারণে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধছে না। ঠিক মতো কাজ করছে না ফুসফুস-কিডনিও। এসএসকেএম হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রয়েছেন নাসরিন খাতুন ও মাম্পি সিং। প্রসূতিদের এই পরিস্থিতির জন্য এবার দায়ী করা হল অক্সিটোসিনকে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবনে সাড়ে পাঁচ পাতার রিপোর্ট জমা পড়েছে। 

    অক্সিটোসিন কী?

    প্রসবের সময় তীব্র রক্তক্ষরণ হয়। সেই রক্তক্ষরণে বন্ধ করে অক্সিটোসিন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে অনেক প্রসূতির মৃত্যু পর্যন্ত হয়। সেই মৃত্যু রোধ করতেই দেওয়া হয়ে থাকে অক্সিটোসিন।

    কীভাবে দায়ী অক্সিটোসিন

    স্বাস্থ্য ভবনের তৈরি করে দেওয়া তদন্ত বোর্ডের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হচ্ছিল রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনের কারণে মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক সেই কারণেই। কিন্তু ফাইনাল রিপোর্ট জমা পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়াল। শুধু বিষাক্ত স্যালাইন নয় দোসর অক্সিটোসিনও। এই অক্সিটোসিনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ওই সাড়ে পাঁচ পাতার রিপোর্টে এও নাকি বলা হচ্ছে যে, কোনও প্রোটোকল না মেনেই পাঁচ রোগীকে অক্সিটোসিনের হাই ডোজ দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত ১০ ইউনিটের বদলে সবাইকে ১৫ থেকে ২৫ ইউনিট অক্সিটোসিন দেওয়া হয়। যার কারণে হু হু করে রোগীদের রক্তচাপ কমে যায়।

    চিকিৎসকদের দাবি

    স্যালাইনের গুণগত মান (Saline Incident) নিয়ে ইতিমধ্যেই সারা রাজ্য উত্তাল। এর মধ্যেই চিকিৎসকমহলে প্রশ্ন উঠেছে অক্সিটোসিন নিয়েও। অক্সিটোসিনের গুণগত মানের জেরে সুস্থ মায়েরও মৃত্যু হয় বলে দাবি সরকারি হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। তাদের দাবি, অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজে সাপ্লাই করা অক্সিটোসিনের গুণমান যথেষ্ট খারাপ। এতটাই যে, কিছু হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের বাইরে থেকে অক্সিটোসিন কিনে আনতে বলা হয়। ঘটনাটি বেশ কয়েক মাস আগে স্বাস্থ্যসচিবের নজরে আনার চেষ্টা করেছিলেন কিছু চিকিৎসক। বৈঠকের জন্য সময় চাওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যসচিব সময় দিতে পারেননি।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যসচিব?

    স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, এই ধরনের মৃত্যু তাঁর কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করা হয়। কিন্তু কোন ডাক্তাররা কবে কথা বলতে চেয়েছেন, তা তাঁর পক্ষে মনে রাখা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বা স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারতেন বলেও জানান স্বাস্থ্যসচিব।

    স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতি

    সংক্রমিত স্যালাইন (Saline Incident) ব্যবহারের জেরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে আগে থেকেই ওই সংস্থার একাধিক পণ্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর পরও একাধিক হাসপাতালে নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল নামে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করে নভেম্বর মাসে কর্নাটকে কয়েকজন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। এর পর ওই সংস্থার কারখানা পরিদর্শন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এর পর ওই সংস্থার ১৪টি পণ্য তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। সঙ্গে রাজ্যের হাসপাতালগুলি যাতে ওই সংস্থাকে কোনও পণ্যের বরাত দিতে না পারে সেজন্য সরকারি পোর্টালে পণ্যগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তাও সেই সংস্থার স্যালাইনেই এবার প্রসূতি মৃত্যু হল রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতরের এই গাফিলতি কেন প্রশ্ন উঠছে সব মহলেই?

    আরও পড়ুন: বন্দিদের মধ্যে মোবাইলের রমরমা! কেন্দ্রের পরামর্শে রাজ্যের জেলগুলিতে বসছে ৫জি জ্যামার

    প্রসূতি মৃত্যুর পরিসংখ্যান

    সুস্থ সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন সুস্থ মা। কিন্তু এর পরেই একাধিক অঙ্গ বিকল। যার জেরে কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু (Saline Incident)। চমকে ওঠার মতো মৃত্যুর পরিসংখ্য়ান। দৃশ্যটি শুধু যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের তা নয়। অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৮ বছর বয়সের কমবয়সি প্রসূতিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রসূতিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১২ শতাংশ। গত কয়েক মাসে শহর এবং প্রত্যেক জেলার কোনও না কোনও মেডিক্যাল কলেজ বা জেলা সদর হাসপাতালে সিজারের পরে অনেক প্রসূতির অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছে এবং মৃত্যুও ঘটছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dandruff: শীত পড়তেই বাড়ছে খুসকি! কেন‌ হয় এই সমস্যা? কোন ঘরোয়া উপাদানে হবে মুশকিল আসান? 

    Dandruff: শীত পড়তেই বাড়ছে খুসকি! কেন‌ হয় এই সমস্যা? কোন ঘরোয়া উপাদানে হবে মুশকিল আসান? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়ির একরত্তি সদস্য হোক কিংবা পরিবারের সবচেয়ে প্রবীণ, শীতের আমেজ শুরু হতেই এক অদ্ভুত সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কত বয়স, ছেলে না মেয়ে-এই পরিচয় আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সমস্যার জেরে নাজেহাল আট থেকে আশি। তাপমাত্রার পারদ নামতেই অনেকেই খুসকির (Dandruff) সমস্যায় কাবু। ঘন ঘন মাথা চুলকানো, অস্বস্তিবোধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যার সহজ সমাধান রয়েছে। নিয়মিত কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করলেই হবে মুশকিল আসান।

    কেন শীতের শুরুতে বাড়ে খুসকি? (Dandruff)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের চামড়ার অপরিচ্ছন্নতা থেকেই খুসকির সমস্যা তৈরি হয়। অনেকেই নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না। আর ধুলো ও দূষণের জেরে মস্তিষ্কের চামড়া অর্থাৎ চুলের ভিতরের অংশ অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। তার জেরেই তৈরি হয় খুসকির সমস্যা। তবে, এই সমস্যাকে আরও জটিল করে শুষ্ক ত্বক। ত্বক শুষ্ক হলে খুসকির সমস্যা বাড়ে। আর শীতের শুরুতে ত্বকের শুষ্কতা এমনিতেই বাড়ে। আরেক দিকে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই শীতের শুরুতে ভোগান্তি বাড়ায় খুসকি। তাছাড়া, অনেকের নানা ধরনের অ্যালার্জি থাকে। যার জেরেও খুসকির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতের প্রথমে অনেক সময়েই তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করার জেরে রক্তে অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে তৈরি হয় নানান ছত্রাকের সংক্রমণ। এর জেরে খুসকির মতো সমস্যাও বাড়তে থাকে। কিন্তু কীভাবে মুশকিল আসান হবে? বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে সহজেই কমতে পারে খুসকির ভোগান্তি।

    রাতভর ভেজানো নিমপাতার মিশ্রণ

    খুসকির সমস্যা কমাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে নিমপাতা। নিমপাতা শরীরের একাধিক রোগ‌ মোকাবিলায় সাহায্য করে। খুসকি কমাতেও বিশেষ উপকারী এই নিমপাতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১০ থেকে ১৫টা নিমপাতা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে সেই ভেজানো নিমপাতা বেটে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। সেই মিশ্রণ মাথায় মাখলে খুসকির (Dandruff) সমস্যা অনেকটাই কমবে‌।

    মেথি বীজ এবং পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চামড়ায় লাগানো (Dandruff)

    মস্তিষ্কের চামড়ায় অর্থাৎ চুলের ফাঁকে ভালো ভাবে মেথির বীজ এবং পাতিলেবুর রসের মিশ্রণ লাগালে দ্রুত খুসকির সমস্যা কমে‌। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সারা রাত মেথির বীজ ভিজিয়ে রেখে তাকে মসৃণ ভাবে বেটে নিতে হবে। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে লেবুর রস। পাতিলেবুর রস মেশানো সেই মেথির বীজের মিশ্রন মাথায় সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন মাখলেই কমবে খুসকির (Dandruff) সমস্যা।

    তুলসী পাতা এবং আমলার ব্যবহার

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত তুলসী পাতা এবং আমলা একসঙ্গে বেটে মাথায় মাখলে খুসকি দ্রুত কমে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমলা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে‌। দশ থেকে বারোটা তুলসী পাতা ভিজিয়ে বেটে নিতে হবে। আমলার গুঁড়ো এবং তুলসী পাতা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে মাথায় মেখে অন্তত তিরিশ মিনিট রাখতে হবে। নিয়মিত এটা ব্যবহার করলেই খুসকির সমস্যা কমবে। 

    তবে এই সব ঘরোয়া উপাদান‌ (Domestic ingredients) ব্যবহারের পাশাপাশি নিয়মিত ভালোভাবে স্নান করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চুল পরিষ্কার থাকলে, মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকলে খুসকির সমস্যা সহজেই কমানো যায়। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dry skin: শীতের শিরশিরানি শুরু! ত্বকের শুষ্কতা কাটাতে কোন ঘরোয়া উপাদানে করতে পারেন বাজিমাত?

    Dry skin: শীতের শিরশিরানি শুরু! ত্বকের শুষ্কতা কাটাতে কোন ঘরোয়া উপাদানে করতে পারেন বাজিমাত?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাতাসে ঠান্ডার আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছে। একটানা ফ্যানের হাওয়া এখন আর আরাম দিচ্ছে না। বরং একটা শিরশিরানি ভাব হচ্ছে। সন্ধ্যার পরে বেশ আরাম দেওয়া আবহাওয়া। সব মিলিয়ে পরিবেশ জানান দিচ্ছে, শীতের শুরু হবে শিগগিরই! কয়েক বছর ধরেই বাঙালির হেমন্ত ঋতু চোখের নিমিষেই মিলিয়ে যায়। বর্ষার পরে একেবারে শীতের দাপট। তবে এ বছরে দুর্গাপুজোর পরে আবহাওয়ায় হেমন্তের টের পাওয়া যাচ্ছে। দীপাবলির এখনও দিন কয়েক বাকি। কিন্তু তার আগেই পরিবেশে বেশ শীতের আমেজ। কিন্তু বছরের এই সময় থেকেই ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। শীতকাল শুষ্ক। তাই ত্বকেও শুষ্কতা (Dry skin) দেখা যায়। বিশেষত, যাদের ত্বক অতিরিক্ত সেনসেটিভ, তাদের এই সময় থেকেই বিশেষ যত্ন না নিলে শীতে ত্বকের নানান রোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে‌। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশেষত, শিশুদের ত্বক অতিরিক্ত সেনসেটিভ হয়। তাই শিশুত্বকের বিশেষ‌ যত্ন নেওয়া জরুরি। তবে অতিরিক্ত কৃত্রিম জিনিস নয়, বরং ঘরোয়া কিছু উপাদান করবে বাজিমাত। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু ঘরোয়া উপাদান (Household ingredients) ব্যবহার করলেই শীতের শুষ্কতা সহ একাধিক ত্বকের সমস্যাকে কাবু করা যাবে‌। এবার দেখা যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান মুশকিল আসান করবে?

    নিয়মিত লেবুর ব্যবহার (Dry skin)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ থাকলেই ত্বক ভালো থাকবে। শরীরে ভিটামিন সি-র জোগান ঠিকমতো থাকলে ত্বক মসৃণ এবং ময়েশ্চারাইজার পর্যাপ্ত থাকবে। তাই শীতের শুরু থেকেই দরকার নিয়মিত লেবু খাওয়া। যে কোনও লেবু জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন‌ সি পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই ত্বক ভালো থাকে।

    জল পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি

    ত্বকের শুষ্কতা (Dry skin) হোক কিংবা ব্রণ, যে কোনও রোগের মোকাবিলা সহজেই করে জল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই শীতে জল খুব কম পরিমাণে খান। আর এর জেরেই নানান ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত পাঁচ থেকে ছয় লিটার জল খাওয়া দরকার। শিশুদের প্রয়োজন অন্তত দেড় থেকে দু লিটার জল। তবেই ত্বক ভালো থাকবে। ত্বকের একাধিক সমস্যা কমবে।

    প্রতি সপ্তাহে মধু ত্বকে লাগালে শুষ্কতা কমবে (Dry skin)

    শীতের সবচেয়ে বড় সমস্যা ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখা। অনেকের ত্বকের শুষ্কতা মারাত্মক বেড়ে যায়। এর ফলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সপ্তাহে অন্তত একদিন ত্বকে মধু লাগালো দরকার। মধু প্রাকৃতিকভাবেই ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে টক দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাখলে বাড়তি গুণ পাওয়া যায়। এতে ত্বকের একাধিক সমস্যা কমে।

    এক টুকরো কাঁচা হলুদ

    শীতে ত্বকে নানান ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দেখা যায়। ত্বকের সংক্রমণ রুখতে নিয়মিত কাঁচা হলুদ (Household ingredients) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন হলুদ অ্যান্টিসেপটিক। নিয়মিত সকালে এক টুকরো কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।‌ এতে ত্বক ভালো থাকে।

    অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবারে রাশ

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ত্বক ভালো রাখার জন্য অন্ত্র ভালো রাখা জরুরি। হজমের গোলমাল ত্বকের সমস্যাও বাড়িয়ে দেয়। উৎসবের মরশুমে অনেকেই খাবারে রাশ টানেন না। অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার নিয়মিত খান। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে ত্বকের নানান সমস্যা (Dry skin) বাড়তে পারে। তাই স্বাস্থ‌্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Global Handwashing Day: হাত ধুলেই মুশকিল আসান! হাত পরিষ্কার করলে কোন রোগ থেকে মিলবে রেহাই?

    Global Handwashing Day: হাত ধুলেই মুশকিল আসান! হাত পরিষ্কার করলে কোন রোগ থেকে মিলবে রেহাই?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    খেতে বসার আগে কিংবা বাইরে থেকে বাড়িতে ফেরার পরেই প্রথম কাজ হতে হবে হাত পরিষ্কার করা। বছর কয়েক আগে করোনা আবহে হাত পরিষ্কার নিয়ে বাড়তি সতর্কতা তৈরি হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, করোনা রুখতে সব চেয়ে বড় হাতিয়ার হাত পরিষ্কার করা। কারণ হাত থেকেই করোনা ভাইরাস নাকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে‌। তাই সাবান দিয়ে বারবার হাত পরিষ্কার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুধু মহামারি রুখতেই নয়, একাধিক রোগ রুখতে পারে পরিষ্কার হাত। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। গ্লোবাল হ্যান্ড ওয়াশিং ডে (Global Handwashing Day) উপলক্ষে তাই বিশেষজ্ঞেরা একাধিক কর্মশালারও আয়োজন করেছেন‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠিকমতো নিয়মিত হাত পরিষ্কার করলে একাধিক রোগ ঠেকানো সহজ হয়। সুস্থ থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল নিয়মিত হাত পরিষ্কার করা।

    কোন রোগ ঠেকাতে বিশেষ সাহায্য করে? (Clean hands)

    পেটের অসুখ কমাতে সব চেয়ে বড় হাতিয়ার হাত পরিষ্কার করা। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়ারিয়া, কলেরার মতো অসুখ রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। স্বাস্থ্যবিধির প্রথম শর্ত হাত পরিষ্কার রাখা। খাওয়ার আগে নিয়মিত সাবান দিয়ে পরিশ্রুত জলে হাত পরিষ্কার করলে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। এর ফলে পেটের অসুখের ঝুঁকিও কমে। কলেরা, ডায়ারিয়ার মতো রোগের প্রকোপ সামলানোও সহজ হয়।

    ভাইরাস ঘটিত অসুখের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে পরিষ্কার হাত (Global Handwashing Day)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বাইরে থেকে বাড়িতে ফেরার পরে হাত পরিষ্কার করা জরুরি। বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় থাকে। বাইরে দূষণের জেরে ভাইরাসের দাপট বেশি। হাত থেকেই শরীরের ভিতরে একাধিক ভাইরাস প্রবেশ করে। তাই প্রথমেই বাড়ি ফেরার পরে হাত পরিষ্কার করা দরকার। এতে যে কোনও ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রকোপ কমবে।

    শিশুদের একাধিক রোগ সংক্রমণ রুখতে পরিষ্কার হাত বিশেষ সাহায্য করে। এমনই জানাচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরের বিভিন্ন সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে শিশুরা নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখে কাবু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় স্কুল থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এমনকী হ্যান্ড-ফুট-মাউথের মতো রোগের সংক্রমণও ছড়ায়। এগুলি রুখতে পরিষ্কার হাত বিশেষ সাহায্য করে। স্কুলের টিফিন খাওয়ার আগে কিংবা ক্লাসের পরে নির্দিষ্ট সময় অন্তর হাত ধোয়ায় অভ্যস্ত থাকলে এই ধরনের ভাইরাসের দাপট আটকানো সহজ হয়‌।

    কীভাবে হাত পরিষ্কার করা দরকার? (Global Handwashing Day) 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। দুই হাতের মাঝে সাবান নিয়ে অন্তত ৭ থেকে ১০ সেকেন্ড ঘষতে হবে। তারপরে পরিশ্রুত জলে হাত ধুয়ে নিতে হবে। তবেই জীবাণু ধ্বংস হবে।

    সমস্যা কোথায়?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, পরিশ্রুত জল আর সাবানের ব্যবস্থা সব জায়গায় নেই। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। করোনা কালেও ইউনিসেফের তরফে জানানো হয়েছিল, রাজ্যের সমস্ত স্কুলে হাত পরিষ্কার করার মতো পরিশ্রুত জলের অভাব রয়েছে। গত কয়েক বছরেও পরিস্থিতির বিশেষ বদল হয়নি বলেই জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, স্কুলস্তর থেকেই হাত পরিষ্কারের মতো স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব পাঠ করানো জরুরি। পাশাপাশি হাত পরিষ্কার করার অভ্যাস (Global Handwashing Day) তৈরি করাও জরুরি। তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির দিকে দ্রুত নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Inactive Life: ভারতে ক্রমেই বাড়ছে ‘নিষ্ক্রিয় মানুষে’র সংখ্যা, বলছে সমীক্ষা

    Inactive Life: ভারতে ক্রমেই বাড়ছে ‘নিষ্ক্রিয় মানুষে’র সংখ্যা, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ক্রমেই বাড়ছে নিষ্ক্রিয় মানুষের সংখ্যা (Inactive Life)। এ দেশে ২০ কোটিরও বেশি মানুষ আন্তর্জাতিক মান অনুসারে নিষ্ক্রিয়। এই নিষ্ক্রিয়দের সিংহভাগই (Alarming Situation) মহিলা, বাস করেন শহরাঞ্চলে। সাম্প্রতিক জাতীয় সমীক্ষায়ই এই তথ্য মিলেছে। সমীক্ষাটি করেছে ডালবার্গ অ্যাডভাইজার্স এবং অ্যাক্সিলারেটর। ভারতবাসীর মধ্যে শারীরিক কার্যকলাপের উল্লেখযোগ্য ফাঁকগুলি তুলে ধরেছে এই সমীক্ষা।

    কী বলছে হু? (Inactive Life)

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু প্রাপ্তবয়স্কদের ফি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট শারীরিক ক্রিয়াকলাপের পরামর্শ দিয়েছে। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের প্রতিদিন এক ঘণ্টা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করা প্রয়োজন। সমীক্ষায় প্রকাশ, অনেক ভারতীয় এই মানদণ্ড পূরণ করতে পারেন না। সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন অভিভাবক মনে করেন, তাদের সন্তানের উচিত খেলার সময় অধ্যয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

    ভাঙতে হবে মিথ

    ডালবার্গ অ্যাডভাইজার্সের আঞ্চলিক ডিরেক্টর স্বেথা টোটাপালি দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে অঙ্গীভূত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন (Inactive Life)। তিনি বলেন, “আমাদের বড় যে মিথগুলো ভাঙতে হবে, তার মধ্যে একটি হল শারীরিক কার্যকলাপ আমাদের শিক্ষার পথে বাধার সৃষ্টি করে, যখন বাস্তবে এটি শিক্ষাগত সাফল্যকে পরিপূরক ও উন্নত করে।”  

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, মোদির পর শান্তির বার্তা নিয়ে মস্কো যাচ্ছেন ডোভাল

    তিনি বলেন, “শারীরিক কার্যকলাপ উন্নত মেজাজ, স্ট্যামিনা এবং কগনিটিভ ফাংশানের দিকে পরিচালিত করে। এর ফলে আদতে উপকৃত হতে পারে জাতীয় অর্থনৈতিক ফলগুলি।” সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, যাঁরা নিষ্ক্রিয়, তাঁদের সিংহভাগই মহিলা, বিশেষত শহুরে মহিলা। মিথগুলো শারীরিক কার্যকলাপকে নিরুৎসাহিত করে। স্পোর্টস অ্যান্ড সোসাইটির অ্যাক্সিলারেটরের সহ প্রতিষ্ঠাতা দেশ গৌরব সেখরি বলেন, “ভারতে আমরা খেলাধুলোর সঙ্গে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিগুলোকে গুলিয়ে ফেলি।” তিনি বলেন, “ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিগুলোর উচিত স্বাস্থ্যের ওপর ফোকাস করা এবং শরীরের কল্যাণে প্রয়োগ করা। এগুলোকে স্রেফ কম্পিটিশন এবং এক্সেলেন্স হিসেবে না দেখাই শ্রেয়। কৈশোরে পড়লে মেয়েরা আবার বাড়তি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সাংসারিক দায়িত্ব ও নিরাপত্তার কারণেও তারা বঞ্চিত হয় ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটির সুযোগ থেকে।” সমীক্ষায় এও জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকার তুলনায় শহরাঞ্চলে নিষ্ক্রিয়তার হার প্রায় দ্বিগুণ। দেশের ২১ শতাংশ স্কুলে খেলার মাঠ নেই। ক্রীড়া সরঞ্জামের অভাব রয়েছে ৬৭ শতাংশ ক্ষেত্রে। সর্বোপরি রয়েছে লিঙ্গ বৈষম্য। সব মিলিয়ে (Alarming Situation) বাড়ছে নিষ্ক্রিয়তা (Inactive Life)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Monsoon Diseases: হাজির বর্ষা, সঙ্গে এসেছে হরেক ব্যাধিও, কী কী রোগ হতে পারে জানেন?

    Monsoon Diseases: হাজির বর্ষা, সঙ্গে এসেছে হরেক ব্যাধিও, কী কী রোগ হতে পারে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গে এসে গিয়েছে বর্ষা। বর্ষা এসেছে গোটা দেশেও। সঙ্গে এসেছে বর্ষার বিভিন্ন রোগ্য-ব্যাধি (Monsoon Diseases)। গ্রীষ্মের খরতাপে পুড়েছে দেশ। তার পর স্বস্তির বৃষ্টি এনেছে বর্ষা। তবে স্বস্তির পাশাপাশি সঙ্গে নিয়ে এসেছে অস্বস্তিও। কারণ রোগ-বালাইয়ের (Infections And Diseases) জ্বালায় অস্থির দেশবাসী। বর্ষার মরশুমের এই রোগগুলির মধ্যে কয়েকটি আবার প্রাণঘাতীও। ঠিক সময় চিকিৎসা শুরু না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে রোগী কিংবা রোগিণীর।

    বর্ষার রোগবালাই (Monsoon Diseases)

    এই রোগগুলির কয়েকটির বাহক মশা। বর্ষায় বৃষ্টির জল জমে যত্রতত্র। সেই জমা জলে জন্মায় মশা। পরবর্তীকালে সে-ই হয়ে দাঁড়ায় প্রাণঘাতী নানা রোগের বাহক। মশা-বাহিত রোগের পাশাপাশি বর্ষাকালে উপদ্রব বাড়ে ভাইরাসেরও। তাই এই সময় ভাইরাসঘটিত রোগবালাইয়েও ভোগেন মানুষ। ছত্রাকের সংক্রমণ তো ফি বর্ষার রুটিনের মধ্যেই পড়ে। তাই বর্ষার সময় একটু বেশিই সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। একমাত্র সাবধানতা অবলম্বন করলেই জমিয়ে উপভোগ করা যাবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি-ঋতুর সৌন্দর্য। এবার জেনে নেওয়া যাক, বর্ষায় কী কী রোগ হতে পারে।

    পেটের রোগ

    ফি বর্ষায় ভারতে যে রোগটি খুবই কমন (Monsoon Diseases), সেটি হল পেটের রোগ। ডায়েরিয়া, তলপেটে খিঁচুনি, বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে, বমিও হতে পারে। জলের মাধ্যমে ছড়ায় ডায়েরিয়া। সামান্য জ্বরও হতে পারে। হতে পারে গাঁটে ব্যথাও। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে হতে পারে শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি। ডিহাইড্রেশন, ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স মায় কিডনি ফেলিওরও হতে পারে। ডায়েরিয়ার কোনও লক্ষণ দেখা গেলেই দ্রুত ওআরএস খাওয়াতে হবে রোগীকে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে শুরু করতে হবে যথাযথ চিকিৎসাও।

    ডেঙ্গি

    বর্ষার আর একটি ভয়ঙ্কর রোগ হল ডেঙ্গি। মশা-বাহিত এই রোগে প্রতি বছর মৃত্যু হয় অনেকের। ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালে ভারতে নথিভুক্ত হয়েছিল ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এক লাখ রোগীর নাম। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ব্যক্তি ভুগবেন প্রচণ্ড জ্বরে। মাথাব্যথায় কাতর হবেন রোগী। যন্ত্রণা হতে পারে চোখের পিছনেও। শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে যন্ত্রণাও হতে পারে। ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে ত্বকে। ডেঙ্গি থেকেই হতে পারে ডেঙ্গি হেমোরাজিক ফিভার। এক্ষেত্রে রোগীর শরীর থেকে রক্তপাত হতে থাকবে। বিকল হতে পারে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। মৃত্যুও হতে পারে রোগীর। যেসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে বিপদের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

    আর পড়ুন: ইলিশ কেনা থেকে শিষ্যদের ব্যাকরণ পড়ানো, প্রয়াণের দিনে কী কী করেছিলেন স্বামীজি?

    ম্যালেরিয়া

    ডেঙ্গির পাশাপাশি বর্ষার আর একটি উপদ্রব হল মশা-বাহিত রোগ ম্যালেরিয়া। জমা জলে দ্রুত ((Monsoon Diseases)) বংশবৃদ্ধি করে অ্যানোফিলিস মশা। এই মশাই ম্যালেরিয়ার বাহক। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রার পারদ বাড়তে থাকে দ্রুত। রোগী ভুগতে থাকেন প্রচণ্ড জ্বরে। ঘনঘন জ্বর আসবে। রোগীর খুব ঘাম হবে। মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং পেশিতেও ব্যথা হবে। হঠাৎ হঠাৎ জ্বর আসবে। ফ্লুয়ের মতো লক্ষণও দেখা দেয়। জ্বর আসে কাঁপুনি দিয়ে। ম্যালেরিয়ার দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে অ্যানিমিয়া, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে। সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া হলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন, মৃত্যুও হতে পারে।

    কলেরা

    প্রতি বছর বর্ষায় কলেরা ভয়ঙ্কর আকার (Infections And Diseases) ধারণ করে ভারতে। জলবাহিত এই রোগে অনেকের মৃত্যুও হয়। জলের মতো পাতলা পায়খানা হতে পারে রোগীর। বমি করতে থাকেন। শরীর থেকে জল বেরিয়ে যেতে থাকবে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাবে। রোগীর চোখ গর্তে ঢুকে যেতে পারে। ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্সও দেখা দিতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং জল থেকে এই রোগ ছড়ায়। এক্ষেত্রেও রোগীকে দ্রুত ওআরএস খাওয়ানো প্রয়োজন। রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরে পরেই রোগীকে নিয়ে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে।

    টাইফয়েড

    বর্ষায় ভারতের বিভিন্ন অংশে টাইফয়েডের উপদ্রবও দেখা (Monsoon Diseases) যায়। এক্ষেত্রেও রোগীর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় অনেকখানি। মাথাব্যথা, তলপেটে যন্ত্রণা এবং দুর্বলতা গ্রাস করে রোগীকে। এক্ষেত্রে জ্বর বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে, রোগীর খিদে কমে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ডায়েরিয়াও দেখা যায়। বুকে গোলাপি ছোপ ছোপ দেখা যায়। টাইফয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তির দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে রোগীর জীবনহানি পর্যন্ত হতে পারে। রোগী আক্রান্ত হতে পারেন সেপ্টিসেমিয়ায়ও।

    ফ্লু

    বর্ষার আর একটি অতি পরিচিত রোগ হল ফ্লু। ঠান্ডা লাগা, নাক এঁটে যাওয়া, নাক দিয়ে জল গড়ানো এবং মাথাব্যথা এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। এ থেকেই রোগী আক্রান্ত হতে পারেন নিউমোনিয়ায়। শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যায়ও ভুগতে পারেন রোগী। জন-ঘন-পূর্ণ এলাকায় দ্রুত ছড়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস। এই রোগে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে বয়স্ক ব্যক্তি এবং শিশুদের।

    লেপ্টোস্পাইরোসিস

    বর্ষায় আর একটি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এটি হল লেপ্টোস্পাইরোসিস। এই রোগ মূলত দেখা যায় বানভাসি এলাকায়। এক্ষেত্রেও ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ দেখা দেবে, রোগী বমি করতে থাকবেন, চোখ হয়ে উঠবে জবাফুলের মতো টকটকে লাল। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে রোগীর লিভার এবং কিডনি ড্যামেজ হতে পারে। মেনিনজাইটিস এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

    ছত্রাক-ঘটিত রোগ

    বর্ষায় ছত্রাক ঘটিত রোগের প্রাদুর্ভাব অতি পরিচিত একটি ঘটনা। দাদ-হাজা-চুলকুনির সমস্যা দেখা দেয়। নখকুনির সমস্যাও হয় এই সময়। এসব ক্ষেত্রে গা-হাত-পা চুলকোতে (Infections And Diseases) শুরু করবে, চামড়া কুঁচকে যেতে পারে, শরীরে ফোস্কার মতো দেখা দিতে পারে, ছাল উঠতে পারে। অবহেলা করলে চামড়ার স্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে (Monsoon Diseases)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • International No Diet Day 2024: কম ক্যালোরির চেয়ে পুষ্টি বেশি জরুরি, বলছেন চিকিৎসকরা

    International No Diet Day 2024: কম ক্যালোরির চেয়ে পুষ্টি বেশি জরুরি, বলছেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার খেয়াল খুশি মত খাওয়ার দিন। এই দিনটি সারা বিশ্বে ‘নো ডায়েট ডে’ (International No Diet Day 2024) হিসেবে পরিচিত। স্বাস্থ্য সচেতন যুগে অনেকেই ডায়েটের নামে শীর্ণকায় শরীরে অবতীর্ণ হচ্ছে। তাঁদের জন্য আজ পেট পুরে খাওয়ার দিন। কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে টিভির পর্দা খুললেই দেখা যায় কীভাবে ওজন ঝরাতে হবে তার আইডিয়ায় ভর্তি। আমাদের মস্তিষ্ক ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে কঠিন ডায়েট পরিশ্রম ও ব্যায়াম, ক্যালরি কমানোর (Balanced Diet Chart) হরেক রকম আইডিয়া দিয়ে। দিনের পর দিন ক্যালোরি ও ভিটামিন কম নিয়ে আমরা নিজের শরীরকে রোগা করার তুলনায় বেশি অসুস্থ করে ফেলি। নো ডায়েট দিবসে জেনে নিন ক্যালোরি কমানো দরকার নাকি সঠিক পরিমাণে সুষম খাবার খাওয়া দরকার।

    ক্যালোরি কম বনাম সুষম খাদ্য

    আজকাল অনেক ক্ষেত্রেই পুষ্টিবিদরা বলেন, সঠিক পরিমানে ক্যালোরি (Calorie) নেওয়া দরকার। তাঁরা ডায়েট চার্ট (Diet Chart) দিয়ে থাকেন। ক্যালোরির দিকে না ঝুঁকে সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন। তাতে সঠিক ক্যালোরি এমনিতেই দেহে পৌঁছবে। ক্যালোরির চিন্তা না করে সঠিক সময়ে ও সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর (Balanced Diet Chart) খাবার খাওয়া দরকার। তাতে শরীর ভালো থাকবে।

    উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    শরীরেরও জ্বালানি প্রয়োজন

    গাড়ি যেভাবে চার্জ কিংবা জ্বালানি ছাড়া চলতে পারে না। একই ভাবে শরীরের জ্বালানি হল খাবার। ওজন বৃদ্ধি বা ওজন কমের জন্য শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া (Balanced Diet Chart) দায়ী থাকে না। অনেকগুলি কারণ রয়েছে যার ফলে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় কিংবা ওজন কমে যায়। কিছু ক্ষেত্রে রোগের কারণে ওজন বাড়ে-কমে। আবার প্রয়োজন রয়েছে সঠিক পরিমাণে পরিশ্রম করার। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করা খুবই জরুরি। অল্প খেলেও শুয়ে বসে থাকলে ওজন বাড়তে পারে। সঠিক পরিমাণে পরিশ্রম করলে শরীরে এক ধরনের হরমোন বের হয় যাকে বলা হয় ‘হাঙ্গার হরমোন’ খিদে পেলে খাবার খাওয়া দরকার। এর ফলে আমরা মেটাবলিজম ভালো রাখতে পারি।

    পেশি নির্মাণ বনাম চর্বি কমানো

    সুষম খাদ্য ও পুষ্টি (Balanced Diet Chart) শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড না খেয়ে এবং কম চর্বি জাতীয় খাবার কম খেয়ে আমরা আমাদের শরীর ঠিক রাখতে পারি। তবে শরীরে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি ভিটামিন সবকিছুরই প্রয়োজন আছে। চর্বি একেবারে বাদ দিলেও শরীরের ক্ষতি হতে পারে। অন্যদিকে সুষম খাদ্য গ্রহণ করে আমরা দীর্ঘস্থায়ীভাবে সুস্থ থাকতে পারি। অনেকে মনে করেন পেশি নির্মাণ সুস্থতার লক্ষণ। পেশি নির্মাণের সঙ্গে সুস্থতার কোন সম্পর্ক নেই। সুঠাম শরীর দেখতে ভাল লাগতেই পারে। কিন্তু অতিরিক্ত পেশি নির্মাণও নানান ধরনের সমস্যা বয়ে নিয়ে আসতে পারে। অতিরিক্ত পেশি নির্মাণ করে পরে ব্যায়াম ছেড়ে দিলে শরীর আবার স্থুল হয়ে পড়তে পারে। ফলে আপনি আপনার প্রয়োজন বুঝে রোগা থাকবেন নাকি পেশি নির্মাণ করবেন সেটি নির্ণয় আপনাকেই করতে হবে। তবে একটি দিন চিন্তা ভুলে খেয়ে নিন।

    ইতিহাস

    আন্তর্জাতিক নো ডায়েট দিবস (International No Diet Day 2024) প্রথম পালিত হয় ব্রিটেনে। ব্রিটিশ নাগরিক মেরি ইভান্স ইয়াংকে এই আন্দোলন শুরু করার কৃতিত্ব দেওয়া হয়। প্রথম নো ডায়েট দিবসটি ৫ মে ১০১২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। লন্ডনের হাইড পার্কে এক ডজন মহিলা পিকনিক করে এই দিন উদযাপন করেছিলেন।  সকলেই একটি স্টিকার পরতেন তাতে লেখা ছিল ” ডিচ দ্যাট ডায়েট”। তিনি এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক ছুটির দিন (International No Diet Day 2024) করার চেষ্টা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Health Insurance: এবার ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বেও করানো যাবে স্বাস্থ্যবিমা!

    Health Insurance: এবার ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বেও করানো যাবে স্বাস্থ্যবিমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রসারিত হল স্বাস্থ্যবিমার (Health Insurance) পরিসর। স্বাস্থ্যবিমা করার ক্ষেত্রে কাটল বয়সের গেরো। এবার পঁয়ষট্টি বছরের ঊর্ধ্বেও করানো যাবে স্বাস্থ্যবিমা। এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া। চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এতদিন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমা করার বয়স সীমাবদ্ধ ছিল ৬৫ বছর পর্যন্ত।

    স্বাস্থ্যবিমা করাতে পারবেন কারা? (Health Insurance)

    নয়া বিধি অনুযায়ী, বয়সের কোনও সীমাবদ্ধতা ছাড়াই যে কেউই স্বাস্থ্যবিমা কিনতে পারবেন। বিমার ক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয় আইআরডিএআই। তারা জানিয়েছে, যাঁরা বিমা করাবেন, তাঁরা যে কোনও বয়সের মানুষেরই স্বাস্থ্যবিমা করাতে পারবেন (Health Insurance)। তাঁরা সিনিয়র সিটিজেন, পড়ুয়া, শিশু, মাতৃত্ব এবং অন্য যে কোনও বয়সের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যবিমা করাতে পারবেন। বিমা নিয়ামক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিমাকারী সংস্থাগুলি বয়সের কারণ দেখিয়ে আর কাউকে স্বাস্থ্যবিমা করানোয় বাধা দিতে পারবে না।

    নয়া সিদ্ধান্ত কেন জানেন?

    দেশের সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় আরও সংযুক্ত করতে এবং বয়স্কদেরও বিমার আওতায় আনতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞরা। পঁয়ষট্টি বছরের ঊর্ধ্বে মানুষকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাকে স্বাগত জানাই।

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই,” বিস্ফোরক রাজনাথ সিং

    কেবল বয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা চালুই নয়, স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে আরও একটি নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। জটিল বা দূরারোগ্য কোনও রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিমা করানোর ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হত। অনেক রোগের ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা মিলত না। বিমা নিয়ামক সংস্থার নেওয়া সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের জেরে এবার থেকে গুরুতর অসুস্থ বা জটিল কোনও রোগ, যেমন ক্যান্সার, হার্ট ফেলিওর, রেনাল ফেলিওর কিংবা এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও বিমা করাতে পারবেন।

    এতদিন স্বাস্থ্যবিমার ওয়েটিং পিরিয়ড ছিল ৪৮ মাস। তা কমিয়ে ৩৬ মাস করা হয়েছে। যার অর্থ হল, এখন থেকে স্বাস্থ্যবিমা করানোর তিন বছরের পর থেকেই চিকিৎসায় বিমা কভারেজ পাওয়া যাবে। আগে থেকে শরীরে থাকা কোনও রোগের চিকিৎসাও অন্তর্ভুক্ত হবে কভারেজের (Health Insurance)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Anger: মেজাজ সব সময়েই খিটখিটে? অতিরিক্ত রাগ? কেন হচ্ছে? কীভাবে কমাবেন? 

    Anger: মেজাজ সব সময়েই খিটখিটে? অতিরিক্ত রাগ? কেন হচ্ছে? কীভাবে কমাবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আনন্দ, দুঃখের মতো রাগও মানুষের স্বাভাবিক এক অনুভূতি। কিন্তু অনেক সময়েই রাগ (Anger) সীমাহীন হয়ে যায়। এর ফলে মানুষ অনেক রকম বিপদের সম্মুখীন হন। বড় ক্ষতিও হয়ে যায়। অনেকেরই দিনের অধিকাংশ সময় মেজাজ খিটখিটে থাকে। অকারণেও রাগারাগি করেন। এতে আশপাশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। আবার নিজের স্বাস্থ্যের পক্ষেও এটা ক্ষতিকারক। তাই নিজের বা কাছের মানুষের অতিরিক্ত রাগ হলে সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন অতিরিক্ত রাগের সমস্যা হতে পারে? (Anger)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাগ, দুঃখ, আনন্দ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ হয় হরমোনের দ্বারা। তাই কেউ অতিরিক্ত রাগ করলে কিংবা সব সময়েই খিটখিটে মেজাজ থাকলে, বুঝতে হবে দেহের হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যা হচ্ছে। ঠিক তেমন, মহিলারা গর্ভবতী হলে কিংবা সদ্য মা হওয়ার পরে, অনেক সময়েই অকারণে রেগে যান। কারণ, তখন দেহের একাধিক হরমোন ঘটিত পরিবর্তন হয়। মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানসিক চাপ কিংবা অবসাদ থেকেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। তাছাড়া অবসাদগ্রস্থ হলেও অতিরিক্ত রাগ হতে পারে। তাই কেউ অতিরিক্ত রাগারাগি করলে এই ধরনের মানসিক সমস্যা আছে কিনা, সেদিকেও নজর রাখা জরুরি। 
    উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ কিংবা থাইরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হলেও অতিরিক্ত রাগ (Anger) হতে পারে। কারণ এই ধরনের রোগে শরীরের একাধিক প্রতিক্রিয়া হয়।

    কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে মেজাজ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সুস্থ জীবনযাপন জরুরি। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের অতিরিক্ত রাগের (Anger) সমস্যা রয়েছে, তাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। তাই শরীর ক্লান্ত থাকে। যার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতাতেও ব্যাঘাত ঘটে। ফলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই নিয়মিত অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। নিয়মিত যোগাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাস শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করে‌। পাশপাশি শক্তি সঞ্চয়ে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে রাগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    খাবারে সতর্কতা

    খাবারের ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গোলাপের পাপড়ি, তুলসি পাতা মেশানো ভেষজ চা দিনে অন্তত একবার খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এর জেরে রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাগ (Anger) নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারে ম্যাগনেশিয়াম থাকলেও রাগ সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই আখরোট, সবুজ সব্জি এবং মাছ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Medicine: ঠিক নেই ৫৯ ধরনের ওষুধের গুণমান, রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র   

    Medicine: ঠিক নেই ৫৯ ধরনের ওষুধের গুণমান, রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজারে রয়েছে ওষুধ (Medicine)। আমজনতা তা কিনেও খাচ্ছেন। তবে তার গুণগত মান ঠিক রয়েছে কিনা, তা জানেন না তাঁরা। জানার কথাও নয়। তবে এখন যখন জানা গিয়েছে, তখন চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। জানা গিয়েছে, সুগার, হৃদরোগ, শিশুদের ওষুধ এবং অ্যান্টি বায়োটিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ৫৯ ধরনের ওষুধের গুণমান ঠিক নেই। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এই মর্মে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে সব রাজ্যকে।

    রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগকে সতর্ক

    সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তরফে সারা বছর বিভিন্ন ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হয় এমন ৫৯টি ওষুধ, যেগুলির গুণমান ঠিক নয়। এই তথ্য হাতের আসের পরেই দেশের সব রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগকে সতর্ক করা হয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তরফে। এই অর্গানাইজনের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি ১ হাজার ১০৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল (Medicine)। এর মধ্যে ৫৯ ধরনের ওষুধের গুণমান ঠিক নয়। এই তালিকায় রয়েছে সুগার, হৃদরোগ, শিশুদের ওষুধ এবং অ্যান্টি বায়োটিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। যে ব্যাচগুলি থেকে সংশ্লিষ্ট ৫৯ ধরনের ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেই ব্যাচ নম্বর ধরে সতর্ক করা হয়েছে সব রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগকে।

    এসএসকেএমে রোবোটিক সার্জারি 

    এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যামক্সিলিন, পটাশিয়াম ক্লেভালনেট অ্যান্ড ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাসিলাস ট্যাবলেট, রাবেপ্রাজল সোডিয়াম অ্যান্ড ডমপেরিডোন ক্যাপসুলস, ডাইক্লোফেনেক সোডিয়াম ট্যাবলেটস আইপি ৫০ এমজির মতো ওষুধও। এদিকে, এসএসকেএম হাসপাতালে এবার চালু হতে চলেছে রোবোটিক সার্জারি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নতুন আউটডোর ভবনের একটি তলে বিশেষ অপারেশন থিয়েটার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখানেই হবে রোবোটিক সার্জারি।

    আরও পড়ুুন: মথুরার শাহি মসজিদে সমীক্ষায় সায় আদালতের, হদিশ মিলবে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের?

    নতুন বছরের গোড়ায়ই চালু হয়ে যাবে এই সার্জারি। তবে কোন কোম্পানির তৈরি যন্ত্রে ওই সার্জারি হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। এজন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে টেন্ডার প্রক্রিয়া। চিকিৎসকদের মতে, রোবোটিক সার্জারি প্রযুক্তিতে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা। জানা গিয়েছে, নামে রোবোটিক সার্জারি হলেও, আদতে চিকিৎসা করবেন রোবটের নিয়ন্ত্রক শল্য চিকিৎসকরাই। কম্পিউটার স্টেশনে বসে রোবোটিক হাতের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করবেন তাঁরাই (Medicine)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share