Tag: health problem

health problem

  • Pneumonia: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি? 

    Pneumonia: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে! আর সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া (Pneumonia)। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ সতর্ক হতে হবে।

    কাদের ভোগান্তির (Pneumonia) আশঙ্কা বেশি? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউমোনিয়ায় (Pneumonia) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদের জন্যও নিউমোনিয়া দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। গোটা পৃথিবীর মোট নিউমোনিয়া আক্রান্তের ২৭ শতাংশ ভারতে হয়। প্রতি বছর ৩০ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া। তাই নিউমোনিয়া নিয়ে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সেই এই রোগ হতে পারে। তবে, শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। বিশেষত, ৬০ বছরের উর্ধ্বে এই রোগে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতে পারে।

    নিউমোনিয়া (Pneumonia) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া (Pneumonia) হল ফুসফুসের সংক্রমণ। ঠান্ডা লাগলে ফুসফুসে এক ধরনের জীবাণু সংক্রমণ হয়। যার জেরে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে। 

    কী কী উপসর্গ (Pneumonia) হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? 

    সাধারণ সর্দি-কাশি থেকেও নিউমোনিয়ার (Pneumonia) সমস্যা হতে পারে। তাই শিশুদের মতোই বয়স্কদের জন্য সচেতনতা জরুরি। যদি কয়েক সপ্তাহ লাগাতার কাশি-সর্দির মতো উপসর্গ থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এছাড়া, যাদের ফুসফুসের কোনও সমস্যা রয়েছে, বর্ষা বা শীত, যে কোনও ঋতু পরিবর্তনের সময় তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও তাদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়ার অন্যতম উপসর্গ হল বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। তাই সর্দি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে বাড়তি সতর্কতা দরকার। 
    অনেক সময় কাশির সঙ্গে সামান্য রক্তপাত হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটাও নিউমোনিয়ার উপসর্গ। 
    শ্বাস নেওয়ার সময় কাশি ও যন্ত্রণা অনুভব হলে তা নিউমোনিয়ার ইঙ্গিত বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি নিউমোনিয়ার (Pneumonia) ভ্যাকসিন জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়ার মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। শিশুর জন্মের ন’মাসের মধ্যে যেমন তাকে নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। যা নিউমোনিয়া মোকাবিলায় সাহায্য করে। তেমনি বয়স্কদেরও নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। আমেরিকা, ইংল্যান্ডের মতো পশ্চিমের দেশগুলোয় প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা গড়ে উঠলেও, এদেশে সেই সচেতনতার হার কম বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাই নিউমোনিয়া (Pneumonia) রুখতে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বয়স্কদের সজাগ করাও জরুরি বলে জানাচ্ছে তারা।৬০ বছরের উর্ধ্বে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিলে বিপদ অনেকটাই কমানো যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
    তবে, ভ্যাকসিনের পাশপাশি অন্যান্য সচেতনতাও জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রকম ফ্লু হলেই বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। অবহেলা বড় বিপদ আনতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীরে জলের পরিমাণ সম্পর্কে সজাগ হতে হবে। যেমন, অতিরিক্ত জল নিউমোনিয়া আক্রান্তের জন্য ক্ষতিকর। তেমনি শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে, যা প্রাণনাশের কারণ হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Water Borne Diseases: বর্ষাকালে জলবাহিত রোগ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    Water Borne Diseases: বর্ষাকালে জলবাহিত রোগ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বৃষ্টি চলছে দিনভর! তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে। কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে লাগাতার বৃষ্টি! কারণ, বর্ষাকালে তিন জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়তে থাকে। যার জেরে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কাও হতে পারে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কোন তিন রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়ে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়ে। যেহেতু বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকে, নর্দমা ভরে যায়, অনেক সময়ই খাওয়ার জলের বিশুদ্ধতা বজায় থাকে না। ফলে, সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই এই সময় ডায়রিয়া, কলেরা এবং জন্ডিসের প্রকোপ বাড়ে। তাই জলবাহিত এই তিন রোগ থেকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কীভাবে সতর্ক হবেন (Water Borne Diseases)? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হলেই বড় বিপদ এড়ানো যায়। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই চিকিৎসা শুরু করলে প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকিও কমে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চোখ ও দেহের চামড়া হলুদ হয়ে যাওয়া জন্ডিসের অন্যতম বড় লক্ষণ। তাই গায়ের রং বদল হলে, সতর্ক হতে হবে। এছাড়াও সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বরের মতোই কাশি, সর্দি, জ্বরের উপসর্গ (Water Borne Diseases) থাকে। তবে, তল পেটে যন্ত্রণা, প্রস্রাবের রং বদলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে, সজাগ হওয়া জরুরি। কারণ এগুলো জন্ডিসের লক্ষণ বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    ডায়ারিয়া হলেও জ্বর, পেটব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায় বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তবে, বার বার বমি, পেটে খিঁচুনি ভাব অনুভব করা ডায়ারিয়ার অন্যতম উপসর্গ। তার সঙ্গে একাধিকবার তরল মলত্যাগ ডায়ারিয়ার অন্যতম উপসর্গ। তাই এই রকম লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডায়ারিয়ার মতোই কলেরার উপসর্গ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, কলেরা হলে ঝিমঝিম ভাব, অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ হয় বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন (Water Borne Diseases)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সচেতনতাই পারবে এই বিপদের (Water Borne Diseases) মোকাবিলা করতে। তাঁদের পরামর্শ, শিশুদের বাড়তি নজরদারিতে রাখা দরকার। কারণ বর্ষায় শিশুদের নানান ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তাই তাদের বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। পাঁচ বছরের কম বয়সিদের বর্ষায় ফোটানো বিশুদ্ধ জল খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, জলবাহিত রোগ এড়াতে পানীয় জলের ব্যাপারে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। তাছাড়া, লাগাতার জ্বর, কাশি, পেটব্যথার মতো সমস্যা থাকলে, তা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। বিশেষত বয়স্ক ও শিশুদের বাড়তি নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, সহজে হজম হয়, এমন খাবার এই সময়ে খাওয়া উচিত। যাতে পেটের সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weight Loss: দ্রুত ওজন কমছে! শরীরে বাসা বাঁধছে কোন রোগ? সতর্ক হবেন কীভাবে? 

    Weight Loss: দ্রুত ওজন কমছে! শরীরে বাসা বাঁধছে কোন রোগ? সতর্ক হবেন কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। জিমে গিয়ে শরীর চর্চাও করা হয়ে ওঠে না। তা সত্ত্বেও কমছে ওজন (Weight Loss)! এরকম হলে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত যদি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে শরীরের ওজন ৫ শতাংশের বেশি কমে, তাহলে সতর্ক হওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, দ্রুত এই ওজন কমার পিছনে থাকতে পারে নানা জটিল রোগ!

    কোন কোন রোগের জেরে দ্রুত ওজন কমে (Weight Loss)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরে নানা রোগের কারণ যেমন স্থূলতা, তেমনি বিভিন্ন রোগের জেরে দ্রুত ওজন কমতেও পারে। আর তার জন্য নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। তাই ওজনের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস থাকলেও ওজন কমতে পারে। তাই দ্রুত ওজন কমলে ডায়বেটিসের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও ওজন কমে। থাইরয়েডের অন্যতম লক্ষণ দ্রুত ওজন কমা (Weight Loss) এবং ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যাওয়া। তাই ওজন দ্রুত হ্রাস হলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া দরকার। আবার এইচআইভি সংক্রমণের জেরেও দ্রুত ওজন কমতে পারে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গেও ওজনের সম্পর্ক রয়েছে। অবসাদ, মানসিক চাপের জেরে যেমন অনেক সময় স্থূলতার সমস্যা দেখা যায়, তেমনি ওজন হ্রাসের ঘটনাও ঘটে।্যেহেতু মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ না থাকলে ঠিকমতো খাওয়া হয় না। অনেক সময় অবসাদের জেরে রোগী অতিরিক্ত খাবার খান, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার খান। ফলে, স্থূলতার সমস্যা তৈরি হয়। আবার অনেক সময় মানসিক অবসাদগ্রস্ত রোগী খাওয়া ছেড়ে দেন। ফলে, ওজন কমতে থাকে। 
    তাছাড়া, দ্রুত ওজন কমার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন মদ্যপানের কথা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে দেহের ওজন দ্রুত কমে। কারণ, মদ জিরো ক্যালোরি। আর মদ খেলে খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। ফলে, নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপান করলে দেহে প্রয়োজনীয় খাবার যায় না। ফলে, দ্রুত ওজন কমতে থাকে।

    দ্রুত ওজন কমলে (Weight Loss) কোন কোন ঝুঁকি বাড়ে? 

    স্থূলতা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তেমনি দ্রুত ওজন হ্রাস (Weight Loss) একাধিক শারীরিক ও মানসিক সঙ্কট তৈরি করে। 
    চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দ্রুত ওজন হ্রাস দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে, যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই দ্রুত ওজন হ্রাস শরীরের জন্য বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ শরীরকে গ্রাস করে। ফলে, যে কোনও কাজ ঠিকমতো হয় না। জড়তা তৈরি হয়। 
    তাছাড়া, থাইরয়েড, ডায়বেটিসের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই সতর্ক হওয়া জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    অতিরিক্ত ওজন হ্রাস হলে দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে, নানা শারীরিক জটিলতা তৈরির আশঙ্কা থাকে। 
    মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতেও অসুবিধা হতে পারে। দ্রুত ওজন হ্রাসের ফলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার জেরে চিন্তা করার শক্তি কমে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে। ফলে, মানসিক স্থিতাবস্থা নষ্ট হতে পারে।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সতর্ক হলেই এই সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব। ওজন দ্রুত কমলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা ও অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা করে, ওজন কমার Weight Loss কারণ সম্পর্কে জানা জরুরি। 
    তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বাড়তি নজর জরুরি। প্রয়োজনীয় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন যুক্ত খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। বিশেষত ডিম, দুধ, সবজি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় থাকা জরুরি। তবেই সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bladder Problem: ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডারের সমস্যা? ঘরবন্দি থাকাই একমাত্র সমাধান নয়

    Bladder Problem: ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডারের সমস্যা? ঘরবন্দি থাকাই একমাত্র সমাধান নয়

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানা ভিজে যায়! শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয় বার বার। এমনকী বাইরে বেশিক্ষণ থাকলেই অসুবিধা হয়। কারণ, বেশিক্ষণ মূত্রত্যাগ করতে না পারলেই সমস্যা হয়। আর এই সব সমস্যার জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপন অনেকটাই ব্যাহত হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডারের সমস্যা (Bladder Problem) অনেকেই লুকিয়ে রাখেন। যার জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপনে সমস্যা হয়। তেমনি আবার আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। তাই তৈরি হয় জড়তা।

    ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সমস্যা কী? 

    স্নায়ু্র সমস্যার জন্য মূত্রনালির সক্রিয়তা বেড়ে যায়। যার জেরে বার বার বাথরুমে যেতে হয়। অনেক সময়ই মূত্রত্যাগ হয়ে যায়। আর এই সমস্যাকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রম (Bladder Problem)।

    এই সমস্যায় ভোগান্তি কতখানি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রম-এর (Bladder Problem) জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন মানুষের ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রম থাকলে ১৬.৫ শতাংশ স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়। ৪০ বছরের বেশি মহিলা ও পুরুষদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। প্রতি ৬ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রমে ভোগেন। তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র প্রৌঢ় বয়সেই এই সমস্যা দেখা যায়, এমন নয়। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষত মহিলাদের প্রসব পরবর্তী সময়ে এই ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রম দেখা দেয়।

    ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রমের উপসর্গ কী? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রমের (Bladder Problem) সব চেয়ে বড় উপসর্গ হল, বার বার মূত্রত্যাগ করা। শৌচালয়ে বার বার যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা। ইউরিন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। আবার অনেক সময় মূত্রত্যাগ না হলেও তার অনুভব হয়। এছাড়াও অনেক সময়েই মূত্রনালিতে এক ধরনের যন্ত্রণা অনুভব হয়, যা ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রমের লক্ষণ বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    সমাধানের উপায় কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীরা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। অস্বস্তি এড়াতে বাইরে যেতে চান না। যার ফলে, তাঁদের জড়তা বেড়ে যায়। মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ, ঘরবন্দি থেকে এই সমস্যা এড়ানো যাবে না। বরং জীবন যাপনে পরিবর্তন বদলে দিতে পারে পরিস্থিতি। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রমের (Bladder Problem) উপসর্গ দেখা দিলেই তা চিকিৎসককে জানানো দরকার। এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই এই রোগ গোপন করা হয়। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। ফলে, ভোগান্তি বাড়ে। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার কমাতে ওজন কমানো জরুরি। স্থূলতার সমস্যা থাকলে মূত্রনালির উপরে চাপ বেশি পড়ে। ফলে, তার সক্রিয়তা বেড়ে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। 
    এছাড়া কফি ও অ্যালকোহল এই দুই পানীয়ের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। কারণ এগুলি মূত্রনালির সক্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে। 
    নির্দিষ্ট কিছু যোগাভ্যাস রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সেগুলো নিয়ম করে করলে পেশি শক্তি ফিরে আসে। স্নায়ু সচল থাকে। ফলে, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 
    এছাড়াও রয়েছে ব্লাডার ট্রেনিং। অর্থাৎ, প্রতি আধ ঘণ্টা অন্তর শৌচাগারে যেতে হবে। ধীরে ধীরে শৌচালয়ে যাওয়ার সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হবে। এই প্রক্রিয়ায় ব্লাডার সক্রিয়তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 
    নিয়মিত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো চললে স্বাভাবিক জীবন ফিরে যাওয়া সম্ভব বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cancer: রাজ্যে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সার! কোন তিন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি?

    Cancer: রাজ্যে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সার! কোন তিন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে! দেশ জুড়ে ক্যান্সার অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। এ রাজ্যে বিশেষত মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। মহিলাদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে! আর তার জেরেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। অধিকাংশ সময়ই খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের ধরন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আর তার উপরে রয়েছে অসচেতনতা। যার জেরেও বিপদ বাড়ছে। আক্রান্তের (Cancer) রোগ নির্ণয় থেকে চিকিৎসা, সবটাই অনেক দেরিতে হচ্ছে!

    কী জানাচ্ছে সমীক্ষার (Cancer) রিপোর্ট? 

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর (আইসিএমআর) সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ক্যান্সার (Cancer) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। শহরের পাশপাশি গ্রামেও মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত তিনটি ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার এবং ওভারিয়ান ক্যান্সার। আইসিএমআর-এর পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যে মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের হার ২৪.৮%, জরায়ু ক্যান্সারের হার ৯.৯% এবং ওভারির ক্যান্সারের হার ৭.৬%।

    ক্যান্সার (Cancer) আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কী? 

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জীবনযাপনের ধরনে বড় বদল হয়েছে। খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আধুনিক ব্যস্ত জীবন অনেক ক্ষেত্রেই সুস্বাস্থ্যের পক্ষে নয়। ফলে, ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের (Cancer) প্রকোপ বাড়ছে। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র এখন ফাস্ট ফুডে অভ্যস্ত মানুষ। খুব কম বয়স থেকেই সকলে পিৎজা, বার্গার থেকে বিরিয়ানির মতো খাবারে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছেন। এই ধরনের খাবার শরীরে স্থূলতার সমস্যা ডেকে আনে। যা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা তৈরি করে। এগুলোই অনেক সময় ওভারি, জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অধিকাংশ মানুষ এখন নিয়মিত যোগাভ্যাস করেন না। নিয়ম করে হাঁটাচলা করেন না। ফলে শরীরে নানা পেশির কার্যকারিতা কমে। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার জেরে জরায়ু, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

    দেরিতে রোগ (Cancer) নির্ণয় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ! 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যের অধিকাংশ ক্যান্সার আক্রান্তের অনেক দেরিতে রোগ নির্ণয় হয়। বিশেষত মহিলাদের রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু হতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। যার ফলে চিকিৎসার সুযোগ কমে যায়। প্রাণনাশের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপসর্গ দেখা দিলেও তাকে অবহেলা করা হয়। রোগীর অসচেতনতা এর সবচেয়ে বড় কারণ। ক্যান্সার (Cancer) চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঋতুস্রাবের পরেও রক্তপাত, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, পেট ফুলে যাওয়া, পেটে যন্ত্রণা, স্তন থেকে রক্তপাত বা দেহের কোনও অংশ অতিরিক্ত মাংসপিণ্ড পাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে কোনও ভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই রোগী এইসব উপসর্গ অবহেলা করেন। তাই রোগ নির্ণয়ে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়।

    সরকারি তরফে পদক্ষেপ কতখানি? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, ক্যান্সার (Cancer) নিয়ে গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র সচেতনতা জরুরি। যে হারে রাজ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, তাতে সর্বত্র সচেতনতা কর্মশালা করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। স্কুল স্তর থেকেই ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি জরুরি। তবে, সরকারকেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদিও স্বাস্থ্য কর্তারা এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারছেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করলে ক্যান্সার আক্রান্তও সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারেন। তাই সরকারি উদ্যোগ একান্ত জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anemia: হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, অল্পেই ক্লান্তি বোধ! কারণ কি অ্যানিমিয়া?

    Anemia: হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, অল্পেই ক্লান্তি বোধ! কারণ কি অ্যানিমিয়া?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অ্যানিমিয়া এ দেশের অন্যতম বড় সমস্যা। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই অধিকাংশ মেয়ে রক্তাল্পতার (Anemia) এই সমস্যায় ভোগে। আর তার জেরে পরবর্তীতে তাদের নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই অ্যানিমিয়া নিয়ে সতর্ক থাকলে ঝুঁকি কমে। কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতিই কমাতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যা।

    কী বলছে সমীক্ষা (Anemia)? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৫ বছরের কম বয়সি ৪৫ শতাংশ মেয়ে দেশে অ্যানিমিয়ার (Anemia) শিকার। আর ১৫ বছরের বেশি মহিলাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন। অর্থাৎ, দেশের অর্ধেকের বেশি মহিলা এই সমস্যায় ভুগছেন। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলারা একা নন, সংখ্যায় কম হলেও পুরুষরাও অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। তাই দেশের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হল রক্তাল্পতা।

    কীভাবে বুঝবেন অ্যানিমিয়ার (Anemia) সমস্যায় আক্রান্ত?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়ায় (Anemia) আক্রান্তের অন্যতম লক্ষণ হাত-পা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। চামড়ার রং পরিবর্তন হয়। এছাড়া আরও কয়েকটি লক্ষণ স্পষ্ট। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়া থাকলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া হতে পারে ক্লান্তি বোধ। খুব সহজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। হাঁটাচলা বা যে কোনও ভারী কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। অ্যানিমিয়ায় আক্রান্তদের হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে না। এটা এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।

    কোন ঘরোয়া পদ্ধতি কমাতে পারে এই সমস্যা (Anemia)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়ার (Anemia) সমস্যা বেশি হলে অর্থাৎ, দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুব কমে গেলে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে। কিন্তু কিছু ঘরোয়া খাবার ও পদ্ধতি প্রথম থেকেই মেনে চললে সমস্যা কমানো সম্ভব। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিসমিস জাতীয় ড্রাই ফ্রূটস খেতে হবে। কারণ, এগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। দেহে রক্ত সঞ্চালন ও লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে এগুলো খুব সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া দরকার। 
    এছাড়া, আপেল, আঙুর, বেদানা, কলা জাতীয় ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সব ফলে থাকে আয়রন ও ক্যালসিয়াম। যার ফলে, একদিকে রক্তাল্পতার সমস্যা কমে, আবার হাড় মজবুত হয়। তাই এই ধরনের যে কোনও একটি ফল নিয়মিত খাওয়া দরকার। 
    নিয়মিত মাছ অথবা মাংস খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, এগুলোতে পর্যাপ্ত আয়রন শরীরে যায়। দেহে আয়রন ঘাটতি হলেই অ্যানিমিয়ার সমস্যা বাড়বে। তাই যে সব খাবারে আয়রন আছে, তা নিয়মিত খাওয়া জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Brain Tumor: কীভাবে বোঝা যায় ব্রেন টিউমার? দেরিতে চিকিৎসায় কি বাড়ছে বিপদ?

    Brain Tumor: কীভাবে বোঝা যায় ব্রেন টিউমার? দেরিতে চিকিৎসায় কি বাড়ছে বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    যে কোনও বয়সেই হানা দিতে পারে এই রোগ। তবে, ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে এড়ানো যেতে পারে বড় বিপদ। তাই প্রয়োজন সচেতনতার। ৮ জুন ওয়ার্ল্ড ব্রেন টিউমার অ্যাওয়ারনেস ডে। এই উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে একাধিক কর্মশালা। আর চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অযথা আতঙ্কিত হয়ে সময় নষ্ট নয়। বরং সময় মতো চিকিৎসা সারিয়ে তুলতে পারে ব্রেন টিউমারকেও (Brain Tumor)! 

    ব্রেন টিউমার কী? ভারতে ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) কত সংখ্যক হয়?  

    চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, মস্তিষ্কের ভিতরে তৈরি হওয়া কিছু অতিরিক্ত কোষ হল ব্রেন টিউমার (Brain Tumor)। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যানসার রেজিস্ট্রেশন-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর ২৮ হাজার মানুষ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হন। আর প্রতি বছর ২৪ হাজার রোগী মারা যান। 

    ব্রেন টিউমারের (Brain Tumor) উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরের নানা লক্ষণ খেয়াল করলেই সজাগ হওয়া যায়। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগী সেসব উপসর্গকে গুরুত্ব দেয় না। ফলে, রোগ নির্ণয়ের কাজ শুরু হয় অনেক দেরিতে। তাই বিপদ আরও বাড়ে। ব্রেন টিউমারের (Brain Tumor) সব চেয়ে বড় উপসর্গ হল মাথার যন্ত্রণা। নিয়মিত মাথার যন্ত্রণা হলে কখনই পেন কিলারের সাহায্যে তা ধামাচাপা দেওয়া উচিত নয়। গোটা মাথা বা মাথার নির্দিষ্ট কোনও অংশে নিয়মিত যন্ত্রণা হলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানানো উচিত। তবে, শুধু মাথার যন্ত্রণা নয়, ব্রেন টিউমারের আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে, যা খেয়াল রাখা জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। যেমন, হাত-পায়ে দূর্বলতা, পেশির জোর কমে যাওয়া বা শরীরের কোনও একটি অংশ দুর্বল হয়ে যাওয়া। বারবার বমি হওয়া বা সব সময় গা গুলিয়ে ওঠার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ঘুম, অপরের কথা বুঝতে না পারা, যে কোনও চেনা জিনিস মনে রাখতে না পারা বা লাগাতার যে কোনও বস্তুকে উল্টোদিকে দেখা অর্থাৎ, দৃষ্টির সমস্যাও কিন্তু ব্রেন টিউমারের উপসর্গ। 

    ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) থেকে কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) মানেই জীবন শেষ, এই ধারণা ভুল। কারণ, সময় মতো চিকিৎসা শুরু হলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সম্ভব। কোন বয়সে রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কিংবা টিউমারের ধরন কেমন, কত দ্রুত টিউমার বড় হচ্ছে, এই সব কিছুর উপর সুস্থ হয়ে ওঠার হার নির্ভর করে। তাই আগেই রোগের নাম শুনে ভয় পাওয়া উচিত নয় বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। পাশাপশি, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ব্রেন টিউমার মানেই মস্তিষ্কে ক্যানসার নয়। সব টিউমার ক্যানসার হয় না। এ বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। সময় মতো সঠিক চিকিৎসা হলে ব্রেন টিউমারের রোগীও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skin Cancer: দেশে বাড়ছে স্কিন ক্যানসার! কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    Skin Cancer: দেশে বাড়ছে স্কিন ক্যানসার! কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি কম ছিল ভারতে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞ মহলের। বিশ্বের প্রথম সারির বিভিন্ন দেশ বিশেষত ইউরোপীয় দেশগুলির অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা ত্বকের ক্যানসার (Skin Cancer), যা এখন ভারতীয়দের জন্যও বেশ চিন্তা বাড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মে মাসকে স্কিন ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস মান্থ হিসাবে ঘোষণা করেছে। ভারতীয় ক্যানসার বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, আমাদেরও সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। তাই মে মাস জুড়ে চলছে নানান সচেতনতা কর্মসূচি। 

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    ক্যানসার নিয়ে কাজ করা এক সর্বভারতীয় সংস্থা সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ভারতে বাড়ছে ত্বকের ক্যানসার (Skin Cancer)। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মোট ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ শতাংশ। কিন্তু গত এক বছরে তা বেড়ে হয়েছে, ৩.৫ শতাংশ।

    ভারতে কোন রাজ্যে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে? 

    ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব ভারতে, বিশেষত নাগাল্যান্ডে স্কিন ক্যানসারের (Skin Cancer) ঝুঁকি বাড়ছে। ভারতে যে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে, তার মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে নাগাল্যান্ড। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, ওই অঞ্চলের আবহাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপনের ধরন স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 

    কীভাবে বুঝবেন স্কিন ক্যানসার? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চামড়ার রংয়ের পরিবর্তন স্কিন ক্যানসারের (Skin Cancer) প্রথম উপসর্গ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের যেসব জায়গা জামাকাপড়ে ঢাকা থাকে না, সূর্যের স্পর্শ পায়, সেখানে যদি চামড়ার রং দ্রুত বদলে যায়, আরও বাদামি বা কালো হতে থাকে, তাহলে তা স্কিন ক্যানসারের উপসর্গ বলা যেতে পারে। তার উপর যদি সাদা রঙের একাধিক শক্ত কিছু অনুভব হয়, তাহলে সেটাকেও চিকিৎসকরা উপসর্গ বলেই জানাচ্ছেন। আসলে, ওই শক্ত সাদা অংশ হল চামড়ার ভিতরের কোষগুলো কার্যহীন হয়ে পড়া। সেটা স্কিন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চামড়ার রং পরিবর্তন ছাড়াও স্কিন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ হল, তিলের চেহারা বদল। দেহের কোনও অংশে তিল থাকলে, হঠাৎ তার আকার আর রং বদলে গেলে, সেটা স্কিন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। তাই সতর্কতা জরুরি। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, স্কিন ক্যানসারের (Skin Cancer) চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু এ দেশে এই সম্পর্কে সচেতনতা খুব কম। অনেক সময়ই চিকিৎসা ঠিক সময়ে শুরু করা হয় না। ফলে, দেরি হয়ে যায়। প্রথম ধাপেই চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। তাই দেরি না করে, চামড়ায় কোনও রকম দাগ বা কোনও রকম বাড়তি মাংসপিণ্ড দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share