Tag: Heart Health

Heart Health

  • International Day of Yoga: শ্বাসকষ্ট থেকে স্থূলতা, মুশকিল আসান করতে পারে নিয়মিত যোগাভ্যাস!

    International Day of Yoga: শ্বাসকষ্ট থেকে স্থূলতা, মুশকিল আসান করতে পারে নিয়মিত যোগাভ্যাস!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবন যাপনে বদলে যাচ্ছে স্বাস্থ্যের সমস্যাও। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো নানান সমস্যা বাড়ছে। আর এই সবই জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগ ডেকে আনছে হৃদরোগ, কিডনির সমস্যার মতো নানান জটিল অসুখ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খুব কম বয়স থেকেই এখন ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজ, হৃদ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের অভ্যাসের জেরেই শারীরিক নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই যোগাভ্যাস জরুরি। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের আগে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (International Day of Yoga) থাকলে একাধিক জটিল রোগ মোকাবিলা করা যায়। এবার এক নজরে দেখে নিন, কোন কোন রোগের মোকাবিলা সহজ করে যোগাভ্যাস?

    হাঁটুর ব্যথা কমাবে যোগাভ্যাস (International Day of Yoga)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হাড় ও পেশির সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত ক্যালসিয়ামের অভাবেই নানান হাড়ের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কম বয়সিরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশেষত মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। আর এর জেরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে হাঁটুতে। খুব কম বয়স থেকেই হাঁটুর রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, উত্থানপদাসন কিংবা পেলভিস ব্রিজের মতো যোগাভ্যাস নিয়মিত করলে হাঁটুর ব্যথা কমবে। চিৎ হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে উপরের দিকে তোলার মতো এই যোগাভ্যাস নিয়মিত করলে হাঁটুর সমস্যা কমবে‌। হাঁটুর কার্যকারিতা বাড়বে‌।

    শ্বাসকষ্ট কমাবে যোগাভ্যাস

    বায়ুদূষণের জেরে বাড়ছে ফুসফুসের রোগ। শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সেই দেখা দিচ্ছে নানান ফুসফুসের রোগ। তার উপরে ধূমপানের অভ্যাস ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ছাড়ার পাশপাশি কিছু যোগভ্যাস (International Day of Yoga) নিয়মিত করলে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কমবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ভোরে সিদ্ধাসনের মতো অভ্যাস তৈরি করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মেরুদণ্ড সোজা রেখে পদ্ধাসনে বসে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়ার মতো আসন করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়বে।

    স্থূলতার মোকাবিলা করবে যোগাভ্যাস (International Day of Yoga)

    হৃদরোগ থেকে কোমরের সমস্যা, একাধিক রোগের কারণ স্থূলতা। এর জেরে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধছে। তরুণ প্রজন্মের একাংশ এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতাকে সহজেই মোকাবিলা করে যোগাভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাসন করলে ক্যালরি ক্ষয় হয়। তার সঙ্গে নিয়মিত অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটা জরুরি। এতে দেহে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। পেটের চর্বি কমে‌। ফলে স্থূলতার মোকাবিলা সহজ হয়।

    হজমের গোলমাল কমাবে যোগাভ্যাস

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অন্ত্র এবং পাকস্থলীর রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এর জেরে‌ ভোগান্তিও বাড়ছে। অনিয়মিত খাবারের অভ্যাস তরুণ প্রজন্মের একাংশের রয়েছে। আর তার জেরেই এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। ঠিক সময়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কিছু যোগাভ্যাস (International Day of Yoga) নিয়মিত করলে অন্ত্র, পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়বে। হজমের সমস্যা কমবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত বজ্রাসন কিংবা পবনমুক্তাসনের মতো যোগাভ্যাস করলে হজমের গোলমাল কমে‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Spices: মশলাতেই রয়েছে জটিল রোগমুক্তির পথ! জেনে নিন কোন মশলায় কোন রোগ সারতে পারে

    Spices: মশলাতেই রয়েছে জটিল রোগমুক্তির পথ! জেনে নিন কোন মশলায় কোন রোগ সারতে পারে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘরোয়া উপাদানেই বাজিমাত। বাঙালির রান্নাঘরেই রয়েছে অব্যর্থ নিরাময়। জটিল রোগের মোকাবিলা করবে রান্নাঘরের মশলা (Spices)। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোজদিনের রান্নায় এমন কিছু মশলার ব্যবহার করা হয়, যাতে একাধিক জটিল রোগ মোকাবিলা সম্ভব। কিন্তু কোন‌ মশলায় কোন‌ রোগের মোকাবিলা হবে?

    এলাচে কমবে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি

    সাম্প্রতিক এক‌ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এলাচ বিশেষত ছোট এলাচ ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারী। পায়েস থেকে মাংস, সব রকমের রান্নায় সুগন্ধের জন্য এলাচের ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এলাচ খেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। তাই বয়স্ক ও শিশুদের রান্নায় এলাচ ব্যবহার করলে‌ বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময়ে নানান ভাইরাস ঘটিত জ্বরে অনেকেই কাবু হন। বয়স্ক ও শিশুদের ঝুঁকি বেশি‌ থাকে। ভাইরাসের দাপটে ফুসফুসে নানান সংক্রমণ দেখা দেয়। নিয়মিত এলাচ খেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। তাই এলাচ বিশেষ উপকারী।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের উপকার দেবে দারুচিনি (Spices) 

    সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দারুচিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা রান্নার পাশাপাশি চায়ে দারুচিনি দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দারুচিনি রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে ও বিশেষ সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকাও জরুরি। কারণ হৃদরোগ কিংবা কিডনির সমস্যা এড়াতে জরুরি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। তাই দারুচিনি বিশেষ সাহায্য করবে।

    হৃদরোগ কিংবা হাড়ের সমস্যা কাবু হবে ধনে গুঁড়োয়

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনে অন্তত যে কোনও একটা রান্নায় ধনে গুঁড়ো ব্যবহার করলে‌ একাধিক শারীরিক উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধনে গুঁড়োয় থাকে পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ফলিক এসিড। তাই এই মশলা (Spices) রান্নায় ব্যবহার করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কারণ পটাশিয়াম রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। পাশাপাশি ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে। ফলে হাড়ের রোগের ঝুঁকিও কমায়।

    রক্তাল্পতা এড়াতে নিয়মিত জিরে গুঁড়ো জরুরি

    জিরে গুঁড়োয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই রক্তাল্পতার সমস্যা এড়াতে নিয়মিত জিরে গুঁড়ো রান্নায় ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, জিরে গুঁড়ো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ সাহায্য করে। এছাড়াও জিরের উপাদান লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়। হজম শক্তি বাড়ায়। ফলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ভালোভাবে হয়।

    ক্যান্সার সহ একাধিক রোগের প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় লবঙ্গ (Spices)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত লবঙ্গ খেলে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগেরও মোকাবিলা সম্ভব। তাঁরা জানাচ্ছেন, লবঙ্গে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। যেমন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন। এগুলো‌ দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। পাশপাশি ভিটামিন কে, ভিটামিন এ সহ‌ একাধিক ভিটামিনের‌ জোগান দেয় লবঙ্গ। তাই যে কোনও সংক্রামক রোগের মোকাবিলা করতে বাড়তি শক্তি জোগায় লবঙ্গ। এছাড়াও দেহের প্রতিরোধ‌ শক্তি বাড়ায়।

    পেটের রোগ থেকে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে মেথি

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেথির গুণ প্রচুর। তাই রান্নায় মেথির ব্যবহার করলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে। পেটের যে কোনও সমস্যায় মেথি বিশেষ উপকার করে। কারণ মেথি লিভার ও পাকস্থলীর জন্য বিশেষ উপকারী। এছাড়াও মেথির উপাদানগুলো দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে (Spices)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prawns: জলের পোকা বলে শুধুই ‘বদনাম’! কোন‌ শারীরিক সমস্যার সহজে মোকাবিলা করে চিংড়ি?

    Prawns: জলের পোকা বলে শুধুই ‘বদনাম’! কোন‌ শারীরিক সমস্যার সহজে মোকাবিলা করে চিংড়ি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    খাদ্য রসিকদের অনেকেরই পছন্দের পদ! তবুও জলের পোকা বলে বদনাম তার আছেই! চিংড়ি (Prawns) নিয়ে তাই নানা লোকের নানা মত! অনেকেই মনে করেন, চিংড়ি খেলেই পেটের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, চিংড়ির উপকার একাধিক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক শারীরিক সমস্যা চিংড়ি খেলে সহজেই মোকাবিলা করা যায়। অ্যালার্জির সমস্যা না থাকলে, চিংড়ির পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। দেখা যাক, কোন ধরনের শারীরিক সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে চিংড়ি?

    সহজে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে, তাই পেশির সমস্যা কমে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই চিংড়ি খেলে দেহের প্রোটিনের চাহিদা সহজেই‌ পূরণ হয়। দেহের ৪২ শতাংশ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম চিংড়ি। দেহে প্রোটিনের চাহিদা ঠিকমতো সহজে পূরণ হলে একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। বিশেষত পেশির সমস্যা সহজেই কমানো‌ যায়। প্রোটিনের ঘাটতি থেকেই পেশিতে ব্যথা ও দুর্বলতা তৈরি হয়। চিংড়ি (Prawns) প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করায় সহজেই পেশির সমস্যা কমে।

    মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়িতে (Prawns) রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং আয়োডিন। এই দুই উপাদান মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আয়োডিন স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। তাই কম বয়সি থেকে বয়স্ক, অনেকেই এখন স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যায় ভুগছেন। চিংড়ি খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে। ফলে স্মৃতিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যাও কমবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    হাড়ের শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে (Prawns)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি মাছে ক্যালসিয়াম, ওমেগা থ্রি এবং ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে আছে। এই উপাদানগুলো হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী। দেশজুড়ে মহিলাদের হাড় ক্ষয়ের সমস্যা বাড়ছে। তাই চিংড়ি মাছ খেলে হাড় মজবুত হবে। হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমবে। এমনই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    রক্তাল্পতার সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে (Prawns)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২, মিনারেল। এই উপাদানগুলো শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করে। ফলে রক্তাল্পতার সমস্যা দূর হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Omega-3 In Fish: ‘মাছ খান, হৃদরোগের ঝুঁকি কমান’! দাবি গবেষকদের

    Omega-3 In Fish: ‘মাছ খান, হৃদরোগের ঝুঁকি কমান’! দাবি গবেষকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথাতেই আছে মাছে-ভাতে বাঙলি। বাঙালি হেঁশেলে মাছ-ভাত নিত্যদিনের খাবার। তবে বর্তমান প্রজন্ম কর্মব্যস্ততায় মাছের চেয়ে চিকেন বা ডিমেই স্বচ্ছন্দ। তবে জানেন মাছে রয়েছে প্রভুত পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন মাছ খেলে ত্বক ভাল থাকে, চুল পড়া বন্ধ হয়, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে, কমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। প্রতিদিন মাছ খেলে পাঁচ বছর আয়ু বেড়ে যাবে দাবি গবেষকদের।

    গবেষণায় দাবি

    আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’-এর এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, মাছের মধ্যে যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, তা মস্তিষ্ক-সহ শরীরের বিভিন্ন কোষের প্রাচীর গঠনে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও মাছের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ফসফরাস-সহ নানা পুষ্টি পাওয়া যায়। এগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এগুলো সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সাহায্য করে। 

    হার্ট ভাল রাখে

    হার্ট ভাল রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। মাছ স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। মাছের মধ্যে বেশ ভাল পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। হার্টের যে কোনও রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। অন্যদিকে, মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাঁধাকে প্রতিরোধ করে। মাছের তেল হার্টের জন্য খুব ভাল বলে মনে করা হয়। এটা রক্ত ​​জমাট বাঁধার সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারে ৮ শতাংশ বা তার বেশি ওমেগা-৩ থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এর সূচকের মাত্রা চারের নিচে হওয়া উচিত নয়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমে

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা সপ্তাহে এক দিন মাছ খান, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় ১৫% কম। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। সপ্তাহে ৭০-৭৫ গ্রাম মাছ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। পাশাপাশি বাড়বে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং উন্নত হবে স্মৃতিশক্তি। কারণ, মাছের মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এতে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও কমে।

    আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল কমায়, রক্ত চলাচল বাড়ায়! আর কী কী গুণ রয়েছে রসুনের?

    ক্যান্সারের প্রবণতা কমে

    যাঁরা নিয়মিত মাছ খান, তাঁদের ক্যান্সারের প্রবণতা কম। মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, যা ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে। এটি খেলে স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়। আপনি যদি নন-ভেজ খেতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় মাছ ব্যবহার করা আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে। 

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

    উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এখনই অন্যান্য আমিষ খাবার ত্যাগ করে মাছ খাওয়া শুরু করুন। মাছে চর্বি কম থাকে, যার কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ে না।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Heart Day: প্রতি বছর ১৫ লাখ ভারতীয় হৃদরোগে মারা যাচ্ছেন, কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    World Heart Day: প্রতি বছর ১৫ লাখ ভারতীয় হৃদরোগে মারা যাচ্ছেন, কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেড মিলে দৌড়নোর সময়ে আচমকা জ্ঞান হারান ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Saurav Ganguly)। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাক্তন খেলোয়াড় স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখেন, তিনি স্থুল নন। তারপরেও তার আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় হতবাক হয়েছেন অনেকেই। যদিও স্টেন বসিয়ে আপাতত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন বাঙালির আইকন।

    তবে, সৌরভের মতো হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগও পাননি অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা। বিগ বস ১৩ বিজয়ী সিদ্ধার্থ শুক্লার বয়স হয়েছিল পঞ্চাশ বছর। নিয়মিত জিমে যেতেন। স্বাস্থ্য চর্চা করতেন। কিন্তু বাড়িতেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বছর পঞ্চাশের অভিনেতা।

    ভারতে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি বছর ৩০ লাখ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ১৫ লাখ মানুষ প্রতি বছর ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। যার মধ্যে ১৫ শতাংশ হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ ও পান না।

    আজ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে (World Heart Day)। হৃদযন্ত্রের খেয়াল রাখতে তাই আজ বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞেরা।

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ব্যস্ত জীবন যাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ফাস্টফুডে অভ্যস্থ হয়ে যাওয়াই বিপদ বাড়াচ্ছে। তার উপরে বাড়ছে হাইপারটেনশন, অবসাদের মতো মানসিক রোগ, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই তিরিশের কোঠায় পৌঁছলেই বাড়তি সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, হৃদরোগের বংশানুক্রমিক ইতিহাস থাকলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিবারে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। তাই যাদের পরিবারে আগেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তারা বাড়তি সতর্ক হন।

    আরও পড়ুন: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খান এই চার ধরণের খাবার

    খাদ্যাভাসে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানাচ্ছেন, দৈনন্দিন ব্যস্ততার জেরে অনেকেই নির্দিষ্ট সময় খাবার খান না। দীর্ঘদিন খাওয়ার অনিয়ম হৃদরোগ ডেকে আনে। সকালের জলখাবার কখনওই বাদ দেওয়া যাবে না। তাদের পরামর্শ, সকালে ভারি জলখাবার জরুরি। দুপুরে হালকা খাবার। সন্ধ্যায় একটু ভারি খাবার। রাতের মেনু অবশ্যই হালকা হতে হবে। অনেক রাতে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেলে হজমে অসুবিধা হয়। দিনের পর দিন অসময়ে খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

    সময় মতো খাবার খাওয়ার পাশপাশি কী খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর দেওয়াও অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার একেবারেই তালিকায় রাখা উচিত নয়। তাছাড়া চর্বি জাতীয় খাবার ও কম খাওয়া দরকার। তেলমশলা যুক্ত চর্বি জাতীয় খাবার দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর স্থুলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। পাশপাশি, বিরিয়ানি, চপ-কাটলেট, বার্গার, পিৎজার মতো খাবারগুলোকে নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের তালিকা থেকে বাদ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এগুলোর পুষ্টিগুণ বিশেষ নেই। বরং এগুলো ওবেসিটি ডেকে আনে।

    তবে, খাবারের পাশপাশি নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। তবে, শারীরিক কসরত বলতে শুধুই জিমে যাওয়া বোঝাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছেন, নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে ভালো অভ্যাস। শরীর ওজন বাড়তে দেয় না। হজমে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে ফি-দিন অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    তবে, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, মানসিক চাপ থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভারতে অবসাদ ও হাইপারটেনশন মহামারির আকার ধারণ করছে। অধিকাংশ মানুষ মানসিক চাপের শিকার। তাই নিয়মিত সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা জরুরি।

    চিকিৎসকেরা পরামর্শ, সতর্ক থাকার পাশপাশি দরকার নিয়মিত চেক আপ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে বড় বিপদ এড়ানো যায়। যদি উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। নিয়ম মাফিক ওষুধ ও খেতে হবে। তবেই হৃদরোগের বড় বিপদ এড়ানো যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share