Tag: Heavy Rain

Heavy Rain

  • Heavy Rain: প্রবল বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত মুম্বই, ইঁদুর জ্বরের সতর্কতা, ভাসল গুজরাটও

    Heavy Rain: প্রবল বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত মুম্বই, ইঁদুর জ্বরের সতর্কতা, ভাসল গুজরাটও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার প্রবল বর্ষণের (Heavy Rain) পর রবিবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে মুম্বইয়ে। সেই কারণে এদিনের জন্য মৌসম ভবনের তরফে কমলা সতর্কতা থেকে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লাল সতর্কতা থেকে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে ঠানে এবং পালঘরে। তবে রাইগাড জেলায় জারি রয়েছে কমলা সতর্কতা।

    শোচনীয় পরিস্থিতি গুজরাটে

    এদিকে, শোচনীয় পরিস্থিতি গুজরাটের। রাজ্যের দক্ষিণ অংশ এবং সৌরাষ্ট্রে শনিবারও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে শহরাঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জলস্তর বেড়েছে বিভিন্ন নদীর। কয়েকটি নদীর জল বইছে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে। মহারাষ্ট্রের থানের গ্রাম (Heavy Rain) ভিওন্ডি, শাহাপুর এবং ভাসাই তালুক এলাকায় বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার তানসা জলাধারে জল উপচে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির বিরাম নেই মহারাষ্ট্রে। রাজ্যের এহেন পরিস্থিতিতে বৃহন্মুম্বই পুরসভা লেপ্টোসপিরোসিস (ইঁদুর জ্বর) সম্পর্কে শহরবাসীকে সতর্ক করে জারি করেছে নির্দেশিকা।

    ধসে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

    এদিকে, শনিবার নদীতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বছর উনিশের এক তরুণের। মৃতের নাম দীপক কুমার পাশোয়ান। উত্তর প্রদেশ থেকে আসা এই তরুণ একটি মিডিয়া কোম্পানিতে কাজ করতেন। রাইগাড প্রশাসন (Heavy Rain) ইরসালওয়াদি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

    ধসের কারণে এই এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। ২৩ জুলাই জারি হওয়া এই ধারা বহাল থাকবে অগাস্টের ৬ তারিখ পর্যন্ত। প্রবল ধারাপাতের জেরে বিপর্যস্ত গুজরাটের নবসারি এলাকাও। জাতীয় সড়কে পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ি। পরে আহমেদাবাদ ও মুম্বই যাওয়ার রাস্তার মুখ খুলে দেওয়া হয়। তার পরেই জ্যাম কিছুটা কমতে শুরু করে।

    আরও পড়ুুন: মালদাকাণ্ডে রাজ্যে আসছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল

    প্রবল বৃষ্টির জেরে নবসারি এলাকায় ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কেও ব্যাপক ট্রাফিক জ্যাম। সৌরাষ্ট্র ও কুটজ এলাকায় ২৪ জুলাই পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ হতে পারে। সেই কারণেই জুনাগড়, জামনগর, দেবভূমি দ্বারকা, কুটজ, সুরাট, ভালসাদ ও নবসারি এলাকায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। নবসারি এলাকায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন এক ব্যক্তি ও তাঁর ছেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: টানা বর্ষণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি, জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দেবভূমি  

    Uttarakhand: টানা বর্ষণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি, জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দেবভূমি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বর্ষণ, তার ওপর আবার  মেঘভাঙা বৃষ্টি। জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দেবভূমি (Uttarakhand)। ভাঙন দেখা দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন নদীতে। ধসের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু এলাকা। দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। প্রবল জলের তোড়ে একটি সড়কের ১৫০ মিটার এলাকা ভেসে গিয়েছে। এই সড়ক ধরেই বঙ্গপানি থকে জরাজিবালি যাওয়া যায়। এদিকে, শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের সাতটি জেলায় ২৪ ঘণ্টার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার বিকেল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে হরিদ্বার, উত্তরকাশী, তেহরি, পাউরি, দেরাদুন, পিথোরগড়, বাগেশ্বর এবং চম্পাওয়ায়। প্রবল বর্ষণের জেরে উত্তরকাশীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বারকোটের কাছে রাজতার গাংনানী এলাকায় বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকাটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত, তা জানা যায়নি।

    বন্ধ বদ্রীনাথ ধাম যাত্রা

    প্রবল ধারাপাতের (Uttarakhand) জেরে ধস নেমেছে বদ্রীনাথ ধামে যাওয়ার রাস্তায়। তার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বদ্রীনাথ ধাম যাত্রা। চামোলি জেলার কাছে ধস নামায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়ক। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার দিনভর ভারী বৃষ্টির জেরে চামোলি জেলার কালিমতির কাছে ১০৯ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় ১৫ মিটার অংশ ভেঙে গিয়েছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কর্ণপ্রয়াগ ও নৈনিতাল।

    বিপর্যয়-প্রবণ

    এদিকে, এদিন রাজ্যের (Uttarakhand) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। হরিদ্বারে উদ্ধার ও ত্রাণকাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। জলমগ্ন এলাকাগুলিকে বিপর্যয়-প্রবণ বলে ঘোষণা করা হয়। সরকারের তরফে আগামী তিন মাসের জন্য বিদ্যুতের বিল, জলের বিল সহ অন্য সরকারি পরিষেবার জন্য প্রদত্ত বকেয়া বিল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে বন্যা রুখতে নদীগুলির গতিপথ পরিষ্কার ও অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করা হবে। স্থায়ী ত্রাণ শিবিরও তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ এএসআইকে, কোন শর্তে জানেন?

    ভারী বর্ষণের জেরে উত্তরকাশী জেলার কস্তুরবা ইন্টার কলেজ স্কুল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রেসিডেন্সিয়াল এই স্কুল থেকে পড়ুয়াদের উদ্ধারের কাজ করছে স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের লোকজন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই স্কুলটির সব পড়ুয়াকেই উদ্ধার করা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, স্কুলটিতে আটকে পড়েছিলেন ১৫০ পড়ুয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Delhi Flood: ভাসছে দিল্লি, বাড়ছে যমুনার জলস্তর, অমিত শাহকে চিঠি কেজরিওয়ালের 

    Delhi Flood: ভাসছে দিল্লি, বাড়ছে যমুনার জলস্তর, অমিত শাহকে চিঠি কেজরিওয়ালের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যার আশঙ্কায় প্রহর গুনছে দিল্লিবাসী (Delhi Flood)। অতি বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে যমুনা নদী। দিল্লিতে ৪৫ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল যমুনার জলস্তর। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয় ২০৮.৪৬ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় জলস্তরের রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে। ওই সময় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয়েছিল ২০৭.৪৯ মিটার। তবে এই জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার চিঠিতে বলেছেন-হাথনিকুন্ড থেকে সীমিত পরিমাণে জল ছাড়তে হবে, যাতে যমুনার জলস্তর আরও না বাড়ে। 

    বিপদের মুখে রাজধানী

    আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বন্যাপ্রবণ (Delhi Flood) এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। বড় বিপদের মুখে রাজধানী। বিপদ বাড়িয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য় হরিয়ানা। সে রাজ্য় থেকে জল ছাড়তেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে যমুনা নদী। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে নদীর জল রাস্তায় উঠে এসেছে। নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করায় শহরের ভিতরেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মনাস্ট্রি মার্কেট, কাশ্মীরি গেট, রিং রোডে বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। রিং রোডে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য বড় বড় গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হওয়ায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 

    ভাসছে নীচু এলাকা

    জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে তাই দিল্লিতে বন্যা (Delhi Flood) হলে তা বিশ্বের কাছে ভালো বার্তা যাবে না, বলে মনে করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কোজরিওয়াল। বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন যে যমুনা নদীর পাড়ে নীচু এলাকাগুলিতে যারা বসবাস করেন, তারা যেন দ্রুত এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় অস্থায়ী তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেই সাধারণ মানুষকে আশ্রয় নিতে অনুরোধ করেন কেজরিওয়াল। জমা জলের কারণে ব্য়াপক যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে দিল্লির রাজপথে। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ফুঁসছে মন্দাকিনী ও অলকানন্দা, অতি ভারী বৃষ্টির কারণে বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: নাগাড়ে বৃষ্টি, বিপর্যস্ত উত্তর ভারত, মৃতের সংখ্যা শতাধিক

    Heavy Rain: নাগাড়ে বৃষ্টি, বিপর্যস্ত উত্তর ভারত, মৃতের সংখ্যা শতাধিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত (India)। টানা চার দিন ধরে বৃষ্টি চলছে হিমাচল প্রদেশে (Heavy Rain)। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডে। শোচনীয় অবস্থা হিমাচল প্রদেশে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে মৃতের সংখ্যা ৮০। ধস, হড়পা বান, জলের তোড়ে জাতীয় সড়ক এবং সেতুও ভেসে গিয়েছে এ রাজ্যে।

    শোচনীয় অবস্থা হিমাচলের

    গোটা হিমাচলের মধ্যে সব চেয়ে করুণ দশা উনা, মান্ডি, হামিরপুর, বিলাসপুর, চম্বা, কাংড়া, কুলু, সিমমুর, কিন্নৌর এবং শিমলার। ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ইরাবতী, শতদ্রু, বিতস্তা এবং চন্দ্রভাগা নদী। রাজ্যের অন্য (Heavy Rain) নদীগুলির জলও বইছে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে। অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পরে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে সোলান উপত্যকায়। কেবল রবিবারই সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৫ মিলিমিটার। রাজ্যের ২৯টি জায়গায় হয়েছে হড়পা বান। ধস নেমেছে ৪১টি জায়গায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে হিমাচলের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে রয়েছেন ৩০০ পর্যটক।

    মৌসম ভবনের পূর্বাভাস

    দিল্লির মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, হিমাচল প্রদেশে সামান্য কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বিহার, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশে। এদিকে, পঞ্জাবের সাঙ্গরুরে ঘর্ঘরা নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে আট জনের। হরিয়ানায় মৃতের সংখ্যা ৭। হিমাচল প্রদেশের (Heavy Rain) পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় ধস নেমেছে উত্তরাখণ্ডের বহু জায়গায়। আজ, বুধবার নৈনিতাল, চম্পাবৎ, পৌড়ি এবং উধম সিংহ নগরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। দুর্যোগের জেরে ফের স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে কেদারনাথ যাত্রা। প্রবল ধারাপাতের জেরে বহু দর্শনার্থী আটকে পড়েছন সোনপ্রয়াগ ও গৌরীকুণ্ডে।

    আরও পড়ুুন: গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, চলল গুলি, মৃত তিন আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক

    শোচনীয় অবস্থা দিল্লিরও। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে যমুনা নদীর জল। হরিয়ানার হাতিকুণ্ড বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় প্লাবিত হয়েছে দিল্লির নিচু এলাকাগুলি। বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির জেরে এ রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। বন্যা পরিস্থিতি ও যমুনার জলস্তরের ওপর নজরদারি করতে ১৬টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ বিলির জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৫০টি মোটরবোট। প্রয়োজনীয় ওষুষ সহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে ডুবুরি এবং মেডিক্যাল টিম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Forecast: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত দেশ, হিমাচল প্রদেশে মৃত ৯, রাজস্থানে ৪

    Weather Forecast: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত দেশ, হিমাচল প্রদেশে মৃত ৯, রাজস্থানে ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেরিতে এসেও দাপট দেখাচ্ছে বর্ষা (Weather Forecast)। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষণ (Heavy Rain)। তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, দিল্লি, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং অসম সহ উত্তর পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে ধারাপাত। প্রবল বর্ষণের জেরে ধস নামতে শুরু করেছে হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। জায়গায় জায়গায় খবর মিলেছে হড়পা বানের। আরও কয়েক দিন প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, গোয়া এবং গুজরাট সহ বিভিন্ন রাজ্যে হবে প্রবল বর্ষণ। অসম, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশে ব্যাপক বৃষ্টি হবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। আজ, বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কেরলে। ৩০ জুন পর্যন্ত ধারাবর্ষণ হবে গুজরাট, কর্নাটক এবং মধ্য মহারাষ্ট্রে।   

    বজ্রপাতে মৃত্যু

    রাজস্থানে বজ্রপাতের (Weather Forecast) পৃথক ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এর মধ্যে এক নাবালিকাও রয়েছে। আগেই বানভাসি হয়েছিল অসম। রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ খানিক কমলে নামতে শুরু করে জলস্তর। তবে এখনও রাজ্যের বহু গ্রামে বুক সমান জল। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বারপেটা, বক্সা, ডারাং, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, লখিমপুর, উড়ালগুড়ি এবং নলবাড়ি জেলা। বিভিন্ন এলাকায় নেমেছে ধস। বন্যার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাজ্যের বহু এলাকা।

    বিপাকে পর্যটকরা

    ভারী বৃষ্টির কারণে হিমাচল প্রদেশে বন্ধ রয়েছে ৩০১টি রাস্তা। মান্ডি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধস নেমেছে। প্রবল বর্ষণের জেরে মান্ডিতে বিপাশা নদীর জল বাড়ছে। জোরালো বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্থলা পঞ্চায়েতের কমিউনিটি হল। বেড়াতে গিয়ে চরম ভোগান্তির মুখে পর্যটকরা। 

    আরও পড়ুুন: ‘ভোট এলেই কেন পায়ে আঘাত মুখ্যমন্ত্রীর?’ প্রশ্ন সুকান্তর

    ভারী বৃষ্টির (Weather Forecast) সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে। হড়পা বান, ভূমিধসের জেরে বিপর্যস্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ বাহিনী। অমরনাথের পথেও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত এনডিআরএফ, এসডিআরএফ বাহিনী। দেরাদুন সহ সমগ্র উত্তরাখণ্ডের জন্য জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। গত ২৪ ঘণ্টায় হিমাচলে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে গোয়ার পানাজির বেশিরভাগ এলাকা।

    প্রবল বৃষ্টির জেরে মহারাষ্ট্রের (Weather Forecast) থানেতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে প্রয়াত অভিনেত্রী নূতনের বাংলোর একটি অংশ। বাংলোটি খালি থাকায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। হাওয়া অফিসের তরফে মুম্বইয়ে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Himachal Pradesh: খালি নেই হোটেল, গাড়িতেই আটকে ২০০ পর্যটক! ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হিমাচল

    Himachal Pradesh: খালি নেই হোটেল, গাড়িতেই আটকে ২০০ পর্যটক! ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হিমাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের বেশ কিছু এলাকা। সোমবারই ধসের কারণে একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ভারী বর্ষণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। মঙ্গলের সকাল থেকেই দেখা বৃষ্টিপাতের কারণে  প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে (Highway) সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে একের পর এক গাড়ি। এর জেরে চরম বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরা। জানা গিয়েছে, কোনও হোটেলে একটিও রুম ফাঁকা নেই। রবিবার দুপুর থেকে সোমবার বিকেল হয়ে গেলেও মাঝরাস্তায় গাড়ির মধ্যেই আটকে রয়েছেন কমপক্ষে ২০০ পর্যটক (Tourists)। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডে গাড়ির মধ্যে আটকে থাকা অবস্থাতেই রবিবার মৃত্যু হয় অনিল বিস্ত নামের একজনের। তাঁর গাড়ির ওপর ধসের জেরে ভারী পাথর এসে পড়ে। এরফলে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। 

    কী বলছে প্রশাসন?

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী বর্ষণের জেরে রবিবার সন্ধ্যায় মান্ডির কাছে বড়সড় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে কিরাতপুর থেকে মানালি চার লেনের হাইওয়েতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। চার থেকে পাঁচ হাজারের মতো যানবাহন মহাসড়কের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে খবর। বিস্ফোরক দিয়ে পাথর ফাটিয়ে ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা চলছে বলেও জানা গিয়েছে প্রশাসনের তরফে। আগামী ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যেই হাইওয়ে থেকে বোল্ডার সরিয়ে যান চলাচল শুরু করা যাবে বলেও আশ্বাসও দিয়েছে প্রশাসন। হিমাচল প্রদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে ভারী বৃষ্টি ও ধসের ফলে রাজ্যের প্রায় ৮৩টি রাস্তা ও দু’টি জাতীয় সড়ক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। 

    প্রশাসনের ফেসবুক পেজ ফলো করার আবেদন 

    পর্যটকরা বাইরে যাওয়ার আগে যেন জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজের প্রতি ঘণ্টার আপডেটগুলি অনুসরণ করেন, এমনই আবেদন কুলু পুলিশের। আবহবিদরা জানিয়েছেন, গত ২৪ জুন হিমাচলে প্রদেশে (Himachal Pradesh) প্রবেশ করে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এরপরেই শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টিতে একজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর মিলেছে। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ভারী বৃষ্টির জেরে কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে প্লাবন পরিস্থিতি। হড়পাবানের সতর্কতাও জারি করেছে প্রশাসন। আবহবিদরা বলছেন, আগামী বেশ কয়েক দিন ধরেই চলবে ভারী বৃষ্টি। সারা রাজ্যে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। 

    উত্তরাখণ্ডেও একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে

    ভারী বৃষ্টির কারণে রবিবারই রুদ্রপ্রয়াগের জেলা শাসক কেদারনাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছিলেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে গিয়ে পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। জেলায় জেলায় ত্রাণ শিবির খোলার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। চারধাম যাত্রার তীর্থ যাত্রীদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয় উত্তরাখণ্ড সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Forecast: কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় তুমুল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, বাড়বে ট্রাফিকজনিত সমস্যা

    Weather Forecast: কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় তুমুল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, বাড়বে ট্রাফিকজনিত সমস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সকাল থেকেই তিলোত্তমার আকাশের মুখ ভার। সঙ্গে রয়েছে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি। সারাদিন এমনটাই থাকবে আকাশ। কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে তুমুল বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস (Weather Department)। জল জমে বাড়তে পারে ট্রাফিকজনিত সমস্যা। জানতে পারা গিয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তৃত এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে ৷ চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কম, দক্ষিণবঙ্গে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হবে। 

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সাধারণ মানুষকে বজ্রপাতের সময় নিরাপদ স্থানে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। 

    এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ২৫ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং-এ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টিপাত হবে। আপাততউত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

    আরও পড়ুন: ভারতের হাতে আসছে আমেরিকার হানাদার ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’! জানেন এর ক্ষমতা?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ২৫ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।   

    গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি কিংবা কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ।

       

  • Weather Forecast: উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা দক্ষিণবঙ্গে

    Weather Forecast: উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই কম-বেশি বৃষ্টিতেই কেটেছে দক্ষিণবঙ্গবাসীর (South Bengal)। শেষ দুদিন ফের সূর্যের মুখ দেখা গিয়েছে বটে। কিন্তু বর্ষা বিদায় নিচ্ছে না এখনই। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। রবিবার থেকেই ফের বদলাবে আবহাওয়া। নেপথ্যে নিম্নচাপ (Depression)। শনিবার বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কথা। এরফলেই রবিবার থেকে দুই বঙ্গে বাড়বে বৃষ্টিপাত। 

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! জঙ্গিদের গুলিতে খুন বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক

    এবছর এখন অবধি সেভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের মুখ দেখেনি দক্ষিণবঙ্গ। ফলে বৃষ্টিপাতের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি মধ্য বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। সেই নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত (Heavy Rain) হতে পারে বলে জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Department)। কিন্তু পরবর্তীতে সেই নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে ফেলে। ফলে বৃষ্টিপাত থেকে বঞ্চিত হয় দক্ষিণবঙ্গ। তবে নতুন করে উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। শনিবার এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। এই নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর শক্তি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের 
     
    প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, উপকূলের জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। শনিবারও দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের কারণে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডেও বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। যদিও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার বিশেষ বদল হবে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অস্বস্তি বাড়বে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। 

    সকাল থেকেই শহর কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। এদিন শহরে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এদিন শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি এবং শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪.৫ মিলিমিটার। শনিবার দিনভর শহরের আকাশ থাকবে মেঘলাই। রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত পেতে পারে কলকাতা। 

    সকাল থেকেই তিলোত্তমার আকাশ আংশিক মেঘলা। এদিন শহরে অল্প বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিন মহানগরীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪.৫ মিলিমিটার। শনিবার দিনভর শহরের আকাশ মেঘলাই থাকবে। রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত পেতে পারে শহর। 

  • Assam floods: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, ২০টি জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    Assam floods: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, ২০টি জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বর্ষণে আসামে (Assam)বন্যা (Flood)পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার নিয়েছে। টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি (Heavy Rain) চলছে। আসামে ৬ মে থেকে ৫৪৫.৬৬ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জাতীয়সড়ক এবং পাঁচটি রাজ্যসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ নেই। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামের পর গ্রাম। আসামের ২০টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত লাখ দুয়েক বাসিন্দা। প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরগুলিতে (Relief Camps) আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিটি এলাকা এক-একটা দ্বীপের চেহারা নিয়েছে। জেলাসদর হাফলঙের সঙ্গে মাইবাঙের যোগাযোগ নেই। কারণ ধসের পর ধস নেমেছে আসামের ওই পাহাড়ি জেলায়। এমনকি শহরতলি জাটিঙ্গায়ও যাওয়া-আসা বন্ধ। বহু জায়গায় রেল ট্র্যাক মাটির তলায়,সড়কের ওপর দিয়ে বইছে জলস্রোত।

    জেলার প্রতিটি রেলস্টেশনের চেহারা বদলে গিয়েছে। হাফলঙ স্টেশনে হাঁটুসমান কাদা। একটি ফাঁকা ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে। পাহাড় ভেঙে জল-কাদা গড়িয়ে যাওয়ার সময় এর পাঁচ-ছয়টি কামরাকে সরিয়ে দিয়েছে। সেগুলি কাত হয়ে দূরে পড়ে আছে। সেখানে অনেকটা জায়গা জুড়ে ট্র্যাক নিশ্চিহ্ন। আরও বহু জায়গায় ট্র্যাকের নীচে থেকে মাটি সরে গিয়েছে। দাওতুহাজা ও ফাইডিংয়ের মধ্যবর্তী তিনশো মিটার এলাকা রেললাইন ঝুলন্ত সেতুর চেহারা নিয়েছে। নিউ হাফলঙে টানা বর্ষণের রেললাইনে ধসের জেরে ট্রেনের মধ্যেই আটকে পড়েছিলেন প্রায় ২৮০০ যাত্রী। কোনওরকমে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। বায়ুসেনার কপ্টারে করে অধিকাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দিমা হাসাও জেলায় লুমডিং শাখায় দুটি ট্রেন আটকে পড়েছিল। ওই দুটি ট্রেনের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। বন্যা পরিস্থিতি ও ধসের জেরে প্রাণ হাতে নিয়ে কার্যত আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন তাঁরা। শেষমেশ তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

     এই পরিস্থিতিতে ২৫ জোড়া ট্রেন বাতিল করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। আসামের Dima Hasao এলাকায় ভূমিধসের কারণে ত্রিপুরা, মিজোরাম ও দক্ষিণ অসমের এলাকায় চলাচলকারী ওই ট্রেনগুলিকে বাতিল করেছে Northeast Frontier Railway। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে রেললাইন মেরামতির কাজ। যে সমস্ত ট্রেন বাতিল ও আংশিক বাতিল করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে আছে Agartala–Anand Vihar Tejas Rajdhani এক্সপ্রেস, Bangalore Cant –Agartala এক্সপ্রেস, Agartala – Secunderabad এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-আগরতলা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। 

    [tw]


    damaged because of the heavy-rain induced flash flood and landslide.#AssamFloods #AssamFloodUpdates #AssamNews #haflongflood @RailNf @RailMinIndia pic.twitter.com/PatgR9U0eC— Farhan Ahmed (@farhan_assam) May 16, 2022

    [/tw]

    আসামের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (Assam Disaster Management Department) তরফে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে কাছাড় (Kachar) এলাকা। ওই জেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ। কাছাড়ের সাড়ে ছ’শোরও বেশি গ্রাম বন্যার কবলে। বাড়ছে বন্যার জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা। করিমগঞ্জ জেলায়ও নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।  বন্যা পরিস্থিতিতে অসমে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কয়েকজন নিখোঁজ বলেও জানা গিয়েছে। প্রায় ৬৬ হাজার ৬৭১ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১৬ হাজার হেক্টর জমি জলে ডুবে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। জলের তোড়ে তমালপুর জেলায় বোরোলিয়া নদীতে ভেসে গিয়েছে বাঁশের সেতু। অসমের জোরহাট (Jorhat), নওগাঁ (Naugaon ) জেলার পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগের। নগাঁও জেলায় কপিলি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ব্রহ্মপুত্রের জলও বিপদসীমার উপরে। এর মধ্যে জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ নেই। বিঘ্নিত হচ্ছে জল সরবরাহ। মিলছে না ইন্টারনেট পরিষেবাও।

    আরও পড়ুন : সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকল আন্দামানে, রাজ্যেও বৃষ্টির পূর্বাভাস

LinkedIn
Share