Tag: Heavy Rainfall in Kolkata

  • Kolkata Waterlogging: শহরের বিভিন্ন রাস্তা এখনও জলমগ্ন! কলকাতার আকাশে কখনও রোদ, কখনও মেঘ, পঞ্চমীতে ফের বৃষ্টি?

    Kolkata Waterlogging: শহরের বিভিন্ন রাস্তা এখনও জলমগ্ন! কলকাতার আকাশে কখনও রোদ, কখনও মেঘ, পঞ্চমীতে ফের বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের শুরুতেই বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা। শহরের কোণায় কোণায় জলযন্ত্রণার ছবি চোখে পড়েছে মঙ্গলবার। বুধবার সকাল থেকে শরতের আকাশে চলছে রৌদ্র-ছায়ার লুকোচুরি। আকাশ কখনও পরিষ্কার, কখনও মেঘলা। তবে বৃষ্টি এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু এখনও শহরের বহু রাস্তা জলের তলায়। অলি-গলির ভিতর জল জমে রয়েছে। গতকাল জলমগ্ন শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও জলে ডুবে ১১ জনের মৃত্যু হয়। আজ আবহাওয়া কেমন থাকে তার ওপর নির্ভর করবে শহরের জলছবি।

    শহরের কোথায় কোথায় এখনও জল

    রোদ উঠেছে কলকাতার আকাশে। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে নতুন করে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি কলকাতা এবং শহরতলিতে। তবে রাতেও জল জমেছিল কলকাতার বহু অঞ্চলে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একটি অংশে এখনও রয়েছে জল। গতকাল পার্ক সার্কাসের রাস্তায় জল থইথই করছিল। পার্ক সার্কাসের একটা অংশে জল এখনও নামেনি। এদিকে পাটুলিতেও জল রয়েছে রাস্তায়। এছাড়া মুকুন্দপুরের চিত্রটাও প্রায় এক। গতকাল মিন্টো পার্ক অঞ্চলে এজেসি বোস রোড জলের তলায় চলে গিয়েছিল। সেখানে কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। আজও সেখানে জল পুরোপুরি নামেনি সকালের দিকে। এদিকে চিংড়িঘাটা বা সল্টলেকের বেশ কিছু জায়গায় জল নেমেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। উত্তরের শহরতলিতেও বেশ কিছু জায়গায় রাস্তায় জল জমেছিল গতকাল। সেই জল নেমেছে। এদিকে অঘটন এড়াতে জল না-নামা পর্যন্ত বিধাননগর পুর এলাকায় পথবাতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল গতকাল। এছাড়া স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রেবোর্ন রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ (এমজি রোড ক্রসিং থেকে গিরিশ পার্ক), বিবেকানন্দ রোড, এপিসি রোড, জেএম অ্যাভিনিউতে জল নেমেছে বলে জানিয়েছে পুরসভা।

    জল না নামায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ

    বুধবার সকালেও পাটুলিতে দেখা গেল, হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট গুটিয়ে জল ডিঙিয়ে হেঁটে চলেছেন বাসিন্দারা। জল কতক্ষণে নামবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। কলকাতা পৌরনিগম জানায়, দিনরাত কাজ করছেন পৌরনিগমের কর্মীরা। পাম্পের সাহায্যে জল নামানোর কাজ চলছে জলমগ্ন এলাকাগুলিতে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এমন জলযন্ত্রণার ছবি তাঁরা আগে দেখেননি। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরও জল না কমায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। পুজোর মুখে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। আজ ফের বৃষ্টি হলে শহরের পরিস্থিতি কী হবে, তা ভেবেই শঙ্কায় শহরবাসী।

    পুজোর আগে আবার বৃষ্টি

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় বুধবার ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা অবশ্য সেই পাঁচ জেলার মধ্যে নেই। কলকাতায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। শনিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে বাঁকুড়া পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে কলকাতাতেও। প্রায় ৪৭ বছর আগে, ১৯৭৮ সালের এই সেপ্টেম্বর মাসেই ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় প্রায় ৩৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল।তার জেরে ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একটা বড় অংশে । ১৯৮৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় প্রায় ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় হওয়া বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৭৪.৪ মিলিমিটার। আর সোমবার রাতে বৃষ্টির পরিমাণ ২৫১.৪ মিলিমিটার।

    শহরবাসীর মনে এখন একটাই প্রশ্ন দুর্গাপুজোর মুখে অসুররূপী বৃষ্টি কি সব আনন্দ মাটি করে দেবে?

  • Heavy Rainfall in Kolkata: রাতভর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ডুবল কলকাতা! পুজোর মুখে চরম ভোগান্তি, বিপর্যস্ত ট্রেন-মেট্রো চলাচলও

    Heavy Rainfall in Kolkata: রাতভর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ডুবল কলকাতা! পুজোর মুখে চরম ভোগান্তি, বিপর্যস্ত ট্রেন-মেট্রো চলাচলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতভর নিরবচ্ছিন্ন অতিবৃষ্টিতে (Rain) বিপর্যস্ত কলকাতা (Kolkata Heavy Rain)। একটানা পাঁচ ঘণ্টা বৃষ্টি! শেষ কবে এরকম দেখেছিল, ভাবছে কলকাতাবাসী। এক ধাক্কায় শহরের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে গলি, চত্বর, সব জায়গায় হাঁটুজল (Kolkata Flooded)। কলকাতা ও সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। বহু বাড়ির একতলা ভেসে গিয়েছে জলে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। কোথাও মণ্ডপ ভেঙে পড়েছে, কোথাও ভেসে গিয়েছে সাজসজ্জার সামগ্রী। অনেকেই বলছেন, সাম্প্রতিক কালে এমন দুর্যোগের সাক্ষী হননি তাঁরা। ফলে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে কি না (Kolkata Weather), তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।

    রাতভর তুমুল বৃষ্টি

    রাতভর টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা এবং শহরতলির স্বাভাবিক জনজীবন। শহরের বহু জায়গা জলের তলায়। ব্যাহত যান চলাচল। অধিকাংশ রাস্তায় যানজটে ভোগান্তি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারও বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের জেরে এই বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, ষষ্ঠীর দু’দিন আগে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরে পুজোয় বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ তৃতীয়া থেকেই সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রযেছে। তার আগেই সোমবার রাতভর অতিভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল শহরবাসী। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এক রাতে কলকাতায় প্রায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দুর্গাপুজোর আগে এই বৃষ্টি দেখে আতঙ্কিত শহরবাসী। সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও মধ্যরাতের পর তীব্রতা বেড়ে যায়। টানা বৃষ্টিতে দ্রুতই নীচু এলাকাগুলি ডুবে যায়।

    জেলায় জেলায় বৃষ্টি

    হাওয়া অফিস তরফে আরও জানা গিয়েছে, এদিনের বৃষ্টির মূল প্রভাব পড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সেই সংলগ্ন জেলায়। প্রভাব পড়েছিল হাওড়া, হুগলিতেও। এছাড়াও দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের আর জেলাগুলিতে জারি হয়েছে হলদু সতর্কতা। এদিকে আজও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার) হতে পারে। তাই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলিতে ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে। তাই ওই সাতটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    দক্ষিণে বেশি বৃষ্টি

    পুর প্রশাসনের হিসাবে, দক্ষিণ কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে উত্তর কলকাতার তুলনায় বেশি। তাই দক্ষিণ শহরতলির জীবনযাত্রা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। মঙ্গলবারও সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে বলেই অনুমান। তবে ভারী বৃষ্টি নামলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে কলকাতার মানুষের। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। গত তিন ঘণ্টায় কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় দেখা গিয়েছে মেঘভাঙা বৃষ্টিপাত। সঙ্গী হয়েছে প্রবল বজ্রবিদুৎ। তার সঙ্গে আবার ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বয়েছে দমকা হাওয়াও। পুরসভার একটি সূত্রের বক্তব্য, ভোর ৪টে থেকে লকগেট খোলা হয়েছে। তাতে জল নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পুরসভাস লকগেটগুলি বন্ধ থাকবে গঙ্গায় জোয়ার আসার কারণে। ওই সময়ে আবার এমন ভারী বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

    ব্যাহত রেল-মেট্রো পরিষেবা

    রেললাইনে জল জমায় ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। লাইনে জল জমে থাকার কারণে চক্ররেলের আপ এবং ডাউন লাইনের পরিষেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ট্রেন পরিষেবা। একই ভাবে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন হাওড়া ডিভিশনের যাত্রীরাও। ভারী বৃষ্টির জেরে হাওড়াতেও বেশি রাতের দিকে বেশ কিছু জায়গায় রেল লাইনে জল জমে গিয়েছে। কলকাতার মেট্রো পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে। কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে মহানায়ক উত্তম কুমার এবং রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনের মাঝে জল জমে গিয়েছে। সেই কারণে আপাতত শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে ময়দান পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ভাঙাপথে দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করছে।

    শহরের নিকাশিব‍্যবস্থা নিয়ে আলোচনা

    সকালের আলো ফোটার পরে বৃষ্টির বেগ কমেছে। কিন্তু বৃষ্টি একেবারে থেমে যায়নি। আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে যে এলাকাগুলি ইতিমধ্যেই বানভাসি, সেখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পুর-প্রশাসন ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় পাম্প চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা শুরু করেছে। কিন্তু জমা জলের পরিমাণ এত বেশি যে, পাম্প চালিয়েও দ্রুত সে জল নামানোর পরিস্থিতি নেই। সময় লাগবে বলে পুর প্রশাসকেরাই জানাচ্ছেন। ফলে বৃষ্টি একেবারে না থামলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনেককেই অতীতের বন্যার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। অনেকেই ১৯৭৮ সালের ভয়াবহ বানভাসি পরিস্থিতির সঙ্গে সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে নাজেহাল শহরের তুলনাও করতে শুরু করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, কলকাতার অনেক এলাকায় সেই বন্যার সময়েও জল জমেনি। এ বার জমেছে। যার প্রেক্ষিতে আবার শহরের নিকাশিব‍্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

    ভোর ৫টা পর্যন্ত শহরের কোথায় কত বৃষ্টি হয়েছে  

    কামডহরি(গড়িয়া)- ৩৩২ মিলিমিটারে

    যোধপুর পার্ক- ২৮৫ মিলিমিটার

    কালিঘাট- ২৮০.২ মিলিমিটার

    তপসিয়া- ২৭৫ লিমিমিটার

    বালিগঞ্জ- ২৬৪ মিলিমিটার

    চেতলা- ২৬২ মিলিমিটার

    মোমিনপুর- ২৩৪ মিলিমিটার

    চিংড়িহাটা- ২৩৭ মিলিমিটার

    পামার বাজার- ২১৭ মিলিমিটার

    ধাপা- ২১২ মিলিমিটার

    সিপিটি ক্যানেল- ২০৯.৪ মি.মি

    উল্টোডাঙ্গা- ২০৭ মিলিমিটার

    কুদঘাট- ২০৩.৪ মিলিমিটার

    পাগলাডাঙ্গা‌ (ট্যাংরা)- ২০১ মি. মি

    কুলিয়া (ট্যাংরা)- ১৯৬মি.মি

    ঠনঠনিয়া- ১৯৫ মিলিমিটার

LinkedIn
Share