Tag: heavy rains

heavy rains

  • Jaisalmer Fort: প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    Jaisalmer Fort: প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়সলমেরে প্রবল বৃষ্টিতে (Heavy Rains) দ্বাদশ শতকের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’র (Jaisalmer Fort) দেওয়াল ধসে পড়েছে। একে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে ছিল। তবে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরানো দেওয়ালগুলি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। আর অতিভারী বর্ষণে তা ভেঙে পড়েছে।

    দেওয়ালের পাথর ধসে রাস্তায় স্তূপ (Jaisalmer Fort)

    জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতের (Heavy Rains) কারণে শহরের একাধিক এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা দিয়েছে ধস-জনিত সমস্যা। এই কারণেই দূর্গের প্রাচীরের একাংশে ফাটল দেখা দেয় এবং তা ধসে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে, প্রায় ১১টার দিকে এই কেল্লার শিব রোডের দেওয়ালটি ভেঙে পড়ে। দুর্গের দেওয়ালের পাথর ধসে রাস্তায় স্তূপ হয়ে রয়েছে। কিন্তু এই দেওয়ালে ধসজনিত ভাঙন প্রথম নয়। আগেও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) থেকে বেশ কয়েকবার মেরামত করা হয়েছিল। এই বর্ষায় প্রাচীরের একাংশ ভেঙে পড়েছে, যা দুর্গের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। 

    রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এএসআই-এর

    জয়সলমের পুরসভার কমিশনার লাজপাল সিং বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ একটি দল নিয়ে দুর্গে (Jaisalmer Fort) পৌঁছেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার দু’পাশে আটকে দিয়েছে। অন্যদিকে, আরও বড় দুর্ঘটনা এড়াতে একটি দলকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করেছে পুরসভা। এই দুর্গের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এএসআই-এর উপর ছিল। তাদেরকে ধসের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এই দুর্গটি অনেক পুরনো, সেইসঙ্গে জনবসতিপূর্ণ। প্রবল বৃষ্টির সময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।”

    বিশেষ দল পরিদর্শন করবে

    এএসআই রাজস্থান বিভাগের একজন আধিকারিক বলেন, “উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটি উচ্চপর্যায়ের দল পরিদর্শন করবে। আমরা দুর্গের (Jaisalmer Fort) ক্ষয়ক্ষতি মেরামত এবং যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করব।”

    স্থানীয় বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    স্থানীয় দুর্গ (Jaisalmer Fort) বিশেষজ্ঞ চন্দন ভাটি বলেন, “এএসআই-কে সোনার কেল্লায় এই ধরনের ক্ষতি সম্পর্কে আগেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা উপেক্ষা করেছে। গত কয়েক দিনে এই দুর্গে বেশ কিছু ছোটখাট ক্ষতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। আমরা বহুবার এএসআই-কে অনুরোধ করেছি। এমনকী, কেল্লার ঐতিহ্য রক্ষায় একাধিক স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উদাসীন ছিল। আবারও বলছি দুর্গের দেওয়ালগুলি খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে, যা অবিলম্বে সংস্কার করা দরকার, নয় তো আরও বড় বিপদ ঘটবে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    ১১৫৬ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল দুর্গ

    রাজস্থানের এই দুর্গ (Jaisalmer Fort) বিশ্বের খুব কম জীবন্ত দুর্গগুলির মধ্যে অন্যতম একটি। এটি রাজস্থানের দ্বিতীয় প্রাচীনতম দুর্গ। দুর্গটি ১৫০০ ফুট (৪৬০ মিটার) দীর্ঘ এবং ৭৫০ ফুট (২৩০ মিটার) চওড়া এবং এটি একটি পাহাড়ের উপর নির্মিত, যা পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চলের তুলনায় ২৫০ ফুট (৭৬ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত। দুর্গে রয়েছে একটি ১৫ ফুট (৪.৬ মিটার) দৈর্ঘ্যের প্রাচীর, যা দুর্গের বাইরের বলয়কে ধরে রেখেছে। আনুমানিক ১১৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজা রাওয়াল জয়সওয়াল নির্মাণ করেন এই দুর্গ। এরপর তাঁর নামানুসারে এটির নামকরণ করা হয়েছে। মুসলমান পাঠান, মুঘল ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার গৌরব গাথা এই দুর্গ বহন করছে। দুর্গের বিশাল দেওয়ালগুলি হলুদ বেলেপাথরের তৈরি। দিনের বেলায় এই দেওয়াল সিংহের রঙের মতো ছোপ ছোপ দেখায়। সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে মধু-সোনা হয়ে যায় এবং তা হলুদ মরুভূমিতে মিশে যায়। এটি সোনার কেল্লা, সোনার দুর্গ বা স্বর্ণ দুর্গ নামেও পরিচিত। রাজস্থানের অন্য পাঁচটি দুর্গের মতো জয়সলমেরের এই দূর্গটি পার্বত্য দুর্গেরই অংশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UAE weather: ফের অতি বৃষ্টিতে জলে ডুবল বিমানবন্দর! মরুদেশ দুবাইতে বাতিল বহু ফ্লাইট

    UAE weather: ফের অতি বৃষ্টিতে জলে ডুবল বিমানবন্দর! মরুদেশ দুবাইতে বাতিল বহু ফ্লাইট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনার দুই সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই আবারও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (UAE) ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাত (UAE weather) হলো। টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার অনেক আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল (Flights cancelled in Dubai) করা হয়েছে। অতিবৃষ্টির জেরে ভেসে যাচ্ছে একের পর এক শহর। বন্যার তোড়ে রাস্তা ডুবে গিয়েছে। ফলে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর দুবাইতে বাতিল হল বহু বিমান। জানা গেছে প্রায় ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিমান। 

    বাড়িতেই থাকার অনুরোধ প্রশাসনের

    ইতিমধ্যেই অরেঞ্জ এলার্ট জারি (UAE weather) হয়েছে একাধিক এলাকায়। ফলে দুবাই (Dubai) ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অন্যান্য শহরগুলিতেও বাসিন্দাদের নিজেদের বাড়িতেই থাকার অনুরোধ করেছে প্রশাসন। এই আবহে ওয়ার্ক ফ্রম হোম নীতি গ্রহণ করেছে বহু সংস্থা। স্কুলগুলি অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। 

    তৈরি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (UAE weather) 

    জানা গেছে বুধবার ভোররাত থেকেই বজ্রবিদ্যুৎসহ তুমুল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ফলে একটানা ঝড় বৃষ্টির (UAE weather) প্রভাবে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। তবে সরকার জানিয়েছেন যে কোন রকমের জরুরি অবস্থার মোকাবিলার জন্য তৈরি আছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এছাড়াও সবসময় দেশের (Dubai) পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে দুবাই পুলিশ ও ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজির (NCM) টিম। 

    আরও পড়ুন: ভোটবঙ্গে ফের শহরে প্রধান নরেন্দ্র মোদি! রাত্রিবাস রাজভবনে

    মরু দেশে হঠাৎ কেন এত বৃষ্টিপাত? 

    দেশের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, গত ৭৫ বছরে এত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়নি। শুষ্ক জলবায়ু ও গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের জন্য পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ উপসাগরীয় দেশগুলি। তবে সেই মরুদেশেই দেখা দিয়েছে বন্যা। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, মরু দেশে (Dubai) হঠাৎ কেন এত বৃষ্টিপাত? এর জন্য ‘ক্লাউড সিডিং’ কে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবহাওয়া বিভাগ দাবি করেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের (UAE weather) কারণে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের (Flights cancelled in Dubai) মধ্যে পড়েছে দুবাই।

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল রেকর্ড ভাঙা ভারী বৃষ্টিপাতে তলিয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE)। যেখানে মরু দেশটিতে এক বছরের গড় বৃষ্টিপাত হয় ৯৪ মিলিমিটার, সেখানে দুদিনে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৫৯ দশমিক ৫ মিলিমিটার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অতি বর্ষণে নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা! ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক ধস, ব্যাহত যান চলাচল

    Birbhum: অতি বর্ষণে নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা! ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক ধস, ব্যাহত যান চলাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বীরভূমের (Birbhum) ব্রাহ্মণী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নলহাটি দু নম্বর ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে তৈরি হয়েছে বন্যার আশঙ্কা। অপর দিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নেমেছে ধস, ভগ্নপ্রায় পুঠিমারী পল্টন ব্রিজ। ব্যাঘাত ঘটছে যানবাহন চলাচলে। সাধারণ মানুষ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার। 

    নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত আটটা নাগাদ নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের বারুনি ঘাটায় বৃষ্টির জলে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ে প্রসাদপুর গ্রামে। অন্যদিকে বৈধরা জলাধার থেকে গতকাল শনিবার বিকেলে ১৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে নলহাটির দুই নম্বর ব্লকের মোট চারটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল রাত্রে খবর পেয়ে জেলাশাসক বিধান রায়, রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, রামপুরহাট মহকুমা শাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য যান। অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে বহু এলাকা বর্তমানে জলমগ্ন।

    মুর্শিদাবাদে জাতীয় সড়কে ধস

    বীরভূমের (Birbhum) পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের পুঠিমারী পল্টন ব্রিজের সড়কে লাগাতার বৃষ্টির ফলে ভয়াবহ ধস দেখা দিয়েছে। ডাকবাংলা থেকে পাকুর যাওয়ার একমাত্র রাস্তা ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর বৃষ্টির ফলে সড়কে ধস। বিঘ্নিত যান চলাচল। সমস্যায় পড়েছে বড় গাড়ি থেকে শুরু করে সব ধরনের যানবাহন। ধসকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য ৩৪ নং জাতীয় সড়ক বেয়ে নতুন ডাকবাংলা থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে গিয়েছে ১০৬ নং জাতীয় সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকার পর, এক বছর আগেই রাস্তাটি সংস্কার হয়। কিন্তু বর্ষা আসলেই বারংবার ধসের কবলে পড়ে পল্টন ব্রিজের এই সড়ক। এই সড়ক দিয়ে দৈনন্দিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ধসের কারণে রাস্তায় ছোট গাড়ি থেকে বড় গাড়ি কোনোটাই এখন সাহস নিয়ে পারাপার হতে পারছে না। সড়কের ১৫০ মিটার রাস্তায় ধসের কবলে এবং ৪ থেকে ৫ হাত গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। এদিকে পল্টন ব্রিজের রাস্তায় ধস নামার ফলে আশেপাশের প্রায় দশটি পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    বীরভূমের জেলাশাসককে (Birbhum) জানানোর মত সমস্যার বিষয়টি নিয়ে সামশেরগঞ্জের বিডিও সুজিতচন্দ্র লোধকে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত সংস্কারের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণে ধস জাতীয় সড়কে, গাড়ি পড়ল তিস্তায়, বিপাকে পর্যটকরা

    North Bengal: উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণে ধস জাতীয় সড়কে, গাড়ি পড়ল তিস্তায়, বিপাকে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির কারণে বেহাল উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জনজীবন। দার্জিলিংয়ে শ্বেতিঝোরার কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বৃষ্টির কারণে নেমেছে ব্যাপক ধস। ব্যাহত হয়ে পড়েছে যান চলাচল। রাস্তা ভেঙে গাড়ি গিয়ে পড়েছে তিস্তা নদীতে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম বা কালিম্পং যেতে, ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গাড়ির গতিপথ। উল্লেখ্য গত দুই দিন ধরে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর বেশ কিছু জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে। উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরাও।

    ধসে বেহাল জনজীবন (North Bengal)

    নিন্মচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও (North Bengal) হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত। আর এই বৃষ্টির কারণে দার্জিলিংয়ে ব্যাপক ধস নেমেছে। শনিবার রাত থেকেই এই বৃষ্টিপাত চলছে। দার্জিলিংয়ের রম্ভী থানার লোহাপুরের কাছে শ্বেতিঝোরায় জাতীয় সড়কে ধসের কারণে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। রাস্তায় ধস এবং গর্ত দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সিকিম থেকে শিলিগুড়িতে আসা সব গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য পথে। রাস্তায় চলা বড় গাড়ি, ট্রাকগুলিকে কালিম্পং হয়ে লাভা এবং করোনেশন ব্রিজ ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ে যেতে ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি মালদা, ধূপগুড়িতেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমে গেছে। অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

    আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে (North Bengal) দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার সহ আট জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। সেই সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিম আবহাওয়া দফতরের নির্দেশক গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় একই রকম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগামী ২৪ ঘণ্টা পরেই কমার সম্ভাবনা রয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: প্রবল বর্ষণে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত, জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা

    North Bengal: প্রবল বর্ষণে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত, জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে তেমন বৃষ্টি না হলেও উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতে বেহাল সাধারণ জনজীবন। গোটা উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলে চাষের জমি, বাড়িঘর প্লাবিত। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিঙে আগামী দুই থেকে তিনদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। পাহাড় থেকে সমতল, উত্তরের বেশ কিছু  জেলায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।

    কোচবিহার

    কোচবিহারের (North Bengal) তোর্সা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জলে প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে। তুফানগঞ্জ, বালাভূত অঞ্চলর অনেক মানুষের বাড়িঘর অধিক বৃষ্টিপাতে জলামগ্ন হয়ে পড়েছে। মেখলিগঞ্জে ক্ষেতের জমি, সৌরসেচ প্রকল্প, বৈদ্যুতিক ল্যাম্প ঝাউকুঠি নদীর জলে ডুবে গেছে।

    আলিপুরদুয়ার

    আলিপুরদুয়ারের (North Bengal) মেচপাড়া এলাকয় জলমগ্ন হয়ে আটকে পড়েছেন অনেক মানুষ। উদ্ধার কাজের জন্য সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, বায়ুসেনা একযোগে কাজ শুরু করেছে। বাঙরি নদীর জল ঢুকে ভেসে গেছে অঙ্গনঅওাড়ির এক কেন্দ্র। বৃষ্টির জলের স্তর এবং স্রোত এতটাই প্রবল ছিল যে লালো নাগাসিয়া নামক এক বৃদ্ধার রাস্তা পার হতে গিয়ে মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গেছে।

    জলপাইগুড়ি

    জলপাইগুড়ির (North Bengal) বানারহাটে সবথেকে অধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও মালবাজার, হাসিমারায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়। অপর দিকে তিস্তা, জলঢাকা, ডায়না নদীর জল বিপদ সঙ্কেতের উপর দিয়ে বইছে। অধিকাংশ নদীর জল ঢুকে পড়ছে আশেপাশের গ্রামে। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য শুকনো খাবার এবং রান্না করে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্গতদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার্যত অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

    পাশাপাশি পাহাড় অঞ্চলের ভূটান, সিকিম, দার্জিলিং (North Bengal) সর্বত্র ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। শিলিগুড়ি পুরনিগমের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে গেছে। ফুলেশ্বরী, জোড়াপানি, সাহু নদীতে জলের স্তর অনেক বেড়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই বর্ষণ আগামী আরও ২ দিন হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share