Tag: Hemant Soren

Hemant Soren

  • Hemant Soren: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

    Hemant Soren: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) একদিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত দিল স্পেশাল পিএমএলএ আদালত। বুধবারই টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন হেমন্ত। পরে তোলা হয় আদালতে। সেখানেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    দশ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল ইডি

    যদিও হেমন্তকে দশ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল ইডি। ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে সওয়াল করেছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল রাজীব রঞ্জন। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতাকে (হেমন্ত) বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। পুরো বিষয়টিই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে এটা একটা ষড়যন্ত্র। পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। যখন তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছিল, তখনই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এটা অবৈধ।”

    বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেল

    প্রসঙ্গত, টানা (Hemant Soren) সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। তার আগে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেমন্ত। গ্রেফতারির আঁচ পেয়েই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। হেমন্তকে পাঠানো হয়েছে বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে। আদালত থেকে যখন তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন হেমন্ত সোরেন জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁর অনুগামীরা। হেমন্ত ছিলেন মহাগটবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গ্রেফতার হতেই হেমন্তের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল হায়দরাবাদে। এদিন রাতেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হায়দ্রাবাদে। ঘোড়া কেনাবেচা রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুুন: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ঝাড়খণ্ডে গঠিত হয়েছিল মহাগটবন্ধন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ছাড়াও ওই জোটে রয়েছে কংগ্রেস, আরজেডি এবং এনসিপি। ঝাড়খণ্ড বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৮১। শাসক জোটের পক্ষে রয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে হেমন্তের দলের বিধায়কের সংখ্যা ২৯। বাকি কুড়িজনের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, বাম এবং আরজেডির বিধায়ক।  বিজেপি-বিরোধী শিবিরের দাবি, বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করতেই এসব করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির দাবি, যা হয়েছে, তা আইন মেনেই (Hemant Soren)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে হেমন্ত সোরেন

    Hemant Soren: ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে হেমন্ত সোরেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বৃহস্পতিবার সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হেমন্ত। হেমন্তের হয়ে লড়ছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, শীর্ষ আদালত হেমন্তের আবেদন গ্রহণ করেছে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হবে আবেদনের। তবে রাঁচি হাইকোর্টকে এড়িয়ে হেমন্ত কেন সটান সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন, সে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

    ভুয়ো নথির মাধ্যমে জমি কেনাবেচা

    হেমন্তের (Hemant Soren) বিরুদ্ধে সেনার জমি ভুয়ো নথির মাধ্যমে কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এই দুর্নীতি মামলার অধিকাংশ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সব বেআইনি আর্থিক লেনদেনের হদিশও মিলেছে। ইডির হাতে এ সংক্রান্ত সব তথ্যপ্রমাণ এসেছে। বেআইনিভাবে কেনা জমিগুলির ওপর হেমন্তের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগ রয়েছে। সে সংক্রান্ত নথিও ইডির হাতে এসেছে।

    বাজেয়াপ্ত বহুমূল্যের বাড়ি

    হেমন্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে আগে ছ’  বার চিঠি দিয়েছিল ইডি। প্রতিবারই নানা অছিলায় হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। সপ্তমবার তলব করার পরে হাজিরা দেন হেমন্ত। টানা জেরার পর এদিন রাতেই করা হয় গ্রেফতার। ২৯ জানুয়ারি হেমন্তের দিল্লির বাসভবনেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁকে না পেয়ে বহুমূল্য বাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের টানা জেরায় যেসব উত্তর দেন হেমন্ত, তাতে নানা অসঙ্গতি মিলেছে। এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত প্রেম প্রকাশ, অমিত আগরওয়াল এবং তৎকালীন ডিসি ছবি রঞ্জনের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ পেয়েছে ইডি। বেআইনি খননের ক্ষেত্রেও তদন্ত চলাকালীন হেমন্তের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় মধ্যরাতে পুজো হিন্দু পক্ষের

    এদিনই যে তিনি গ্রেফতার হচ্ছেন, তা আগেই আঁচ করে ফেলেছিলেন ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী (Hemant Soren)। অনুগামীদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “ইডি আমাকে আজ গ্রেফতার করতে এসেছে। সারাদিন আমায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ওরা আমায় পরিকল্পনামাফিক গ্রেফতার করবে। এমন একটি মামলায় আমায় গ্রেফতার করা হচ্ছে, যার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি। ওরা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Champai Soren: ইডি হেফাজতে হেমন্ত, নতুন মুখ্যমন্ত্রী ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’ চম্পাই সোরেন! জানেন কে ইনি?

    Champai Soren: ইডি হেফাজতে হেমন্ত, নতুন মুখ্যমন্ত্রী ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’ চম্পাই সোরেন! জানেন কে ইনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ঠিক চললে, ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন চম্পাই সোরেন। অন্তত এখনও পর্যন্ত এমনটাই খবর। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে বুধবার রাতে হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে হেমন্ত ইস্তফা দিতেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়করা মন্ত্রিসভার প্রবীণ মন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত করেন। ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রিসভায় পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন চম্পাই (Champai Soren)। তার সঙ্গেই তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং পিছিয়ে পড়া অংশের উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীও তিনি। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (Jharkhand Mukti Morcha) ভাইস প্রেসিডেন্ট।

    কে এই চম্পাই সোরেন

    ১৯৫৬ সালের নভেম্বরে ঝাড়খণ্ডের সেরিকেলা-খারসাওয়ান জেলায় জিলিনগোড়া (Jilinggora) গ্রামে জন্ম চম্পাই সোরেনের। কৃষক পরিবারের সন্তান চম্পাইয়ের পদবী সোরেন হলেও তিনি শিবু সোরেনের পরিবারের কেউ নন। বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ডকে আলাদা রাজ্য করার যে আন্দোলন তাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল এই চম্পাই সোরেনের। ঝাড়খণ্ড আন্দোলনে  চম্পাইয়ের ভূমিকা এতটাই দাপুটে ও উগ্র ছিল যে তাঁকে ঝাড়খণ্ডের বাঘ (Jharkhand Tiger) বলা হয়। ২০০৫ সালে বিজেপির লক্ষ্ণণ টুডুকে হারিয়ে প্রথম জয় পেয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে সেরিকেলা (Serikela Assembly) বিধানসভা থেকেই জিতেছেন। দলের প্রবীণ বিধায়ক ও বহুদিনের লড়াকু নেতার উপরই আস্থা রাখছে জেএমএম।

    আরও পড়ুন: ইডির হাতে গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন

    কেন মুখ্যমন্ত্রী নয় কল্পনা

    লালু-রাবড়ী মডেল বাস্তবায়িত হল না ঝাড়খণ্ডে। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন না হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন। জেএমএম সূত্রের খবর, ঝাড়়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন চম্পাই সোরেন। যদিও এখনও রাজ্যপাল তাঁকে ডাকেননি। সূত্রের দাবি, চার দলীয় বিধায়কের আপত্তিতেই নিজের স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেননি হেমন্ত। সেই ‘বিদ্রোহী’ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন হেমন্তেরই বৌদি তথা জেএমএম বিধায়ক সীতা সোরেন। দুমকা জেলার জামা কেন্দ্রের তিন বারের বিধায়ক সীতা জেএমএম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রয়াত দুর্গা সোরেনের স্ত্রী। হেমন্ত সক্রিয় রাজনীতিতে আসার আগে দুর্গাই ছিলেন শিবুর রাজনৈতিক সহকারী। বিধানসভাতেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে দুর্গার মৃত্যুর পরে সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছিলেন সীতা। রাজনীতিতে আসা ইস্তক বহুবার হেমন্তের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। মন্ত্রী না করায় দীর্ঘ দিন ধরেই হেমন্ত গোষ্ঠীর উপর ক্ষুব্ধ সীতা। দলীয় সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন প্রভাবশালী বিধায়ক চামরা লিন্ডাও। মূলত সীতার আপত্তিতেই বনবাস কল্পনার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Hemant Soren: বিদ্রোহ হেমন্তের পরিবারে, কল্পনাকে মুখ্যমন্ত্রী চান না জেএমএমের সিংহভাগ বিধায়ক!

    Hemant Soren: বিদ্রোহ হেমন্তের পরিবারে, কল্পনাকে মুখ্যমন্ত্রী চান না জেএমএমের সিংহভাগ বিধায়ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির প্রশ্নবাণের মুখে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। রাঁচিতে জমি কেনাবেচায় আর্থিক অনিয়ম ও নথি জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সপ্তমবারের জন্য তলব করা হয়েছিল হেমন্তকে। এর আগে ছ’ বার সমন পেয়েও হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। বুধবার দিলেন হাজিরা।

    সাদা কাগজে সই!

    ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাঁর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়করা। যদি হেমন্তকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে তাঁর স্ত্রীকে যাতে বিদ্রোহের মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য দলীয় বিধায়কদের সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, স্ত্রী কল্পনা এবং মন্ত্রী চম্পাই সোরেনের মধ্যে কোনও একজন যাতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা।

    বিজেপি সাংসদের দাবি

    তবে হেমন্তের (Hemant Soren) পরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কল্পনার বসাটা নিছক কেক ওয়াক হবে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের দাবি, কল্পনা মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছে হেমন্তের দলের অন্দরে। তিনি জানান, ২৯ জন বিধায়কের মধ্যে ১৮ জনই চান না মুখ্যমন্ত্রীর তখতে বসুন কল্পনা। তিনি বলেন, “জেএমএমের ১৮ জন বিধায়ক বসন্ত সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে দেখতে চান।” দুমকার বিধায়ক বসন্ত হেমন্তের ভাই। ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার আরও একজন। তিনি হলেন হেমন্তের বড় দাদা প্রয়াত দুর্গা সোরেনের স্ত্রী সীতা।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    ঝাড়খণ্ড বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৮১। শাসক জোটের পক্ষে রয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে হেমন্তের দলের বিধায়কের সংখ্যা ২৯। বাকি কুড়িজনের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, বাম এবং আরজেডির বিধায়ক। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হেমন্তের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৩৫ জন। বাকিরা সীতার পাশে রয়েছেন বলে খবর। সীতা বলেন, “আমি সোরেন পরিবারের বড় বউমা। আমার প্রয়াত স্বামী দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়খণ্ডকে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। আমি হেমন্তকে তাঁর উত্তরাধিকার বলে মনে করি, অন্য কিছু নয়।” তিনি বলেন, “গুরুজি (শিবু সোরেন) এবং আমার স্বামীর জল-জঙ্গল-জমিনের স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”

    সীতার বক্তব্যের নির্যাস, মুখ্যমন্ত্রীর (Hemant Soren) পদের দাবিদার তিনিই। আর যদি তা হয়, তাহলে বনবাসে যেতে হবে সীতাকে নয়, কল্পনাকে! এদিকে, বাংলার মতো ঝাড়খণ্ডেও ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সে রাজ্যের পুলিশ। রাঁচির পুলিশ সুপার চন্দন সিনহা বলেন, ইডি আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। তাই দায়ের হয়েছে এফআইআর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Hemant Soren: গ্রেফতারির আশঙ্কা! আজ ইডির সামনে হেমন্ত, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কি স্ত্রী কল্পনা সোরেন?

    Hemant Soren: গ্রেফতারির আশঙ্কা! আজ ইডির সামনে হেমন্ত, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কি স্ত্রী কল্পনা সোরেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Jharkhand CM) কুর্সিতে বসতে পারেন হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) স্ত্রী কল্পনা। আজ, বুধবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন ইডির মুখোমুখি হতে পারেন। যদি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে ঝাড়খণ্ডের স্টিয়ারিং দেওয়া হতে পারে কল্পনা সোরেনকে। আগেই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেছিলেন, হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হলে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে তাঁর স্ত্রী কল্পনাকে (Kalpana Soren)। যদিও সে সময় এই বক্তব্য উড়িয়ে দেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।

    ইডির সামনে হেমন্ত

    আর্থিক তছরুপের মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) নাম জড়ায়। তাঁকে বিগত কয়েকমাস ধরে ১০ বার সমন পাঠানো হয়। একবারও তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেননি। তাঁর দিল্লির বাসভবনে অভিযান চালিয়ে ৩৬ লাখ টাকা নগদ এবং দু’টি বিএমডব্লিউ গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  কিন্তু হেমন্তের দেখা মেলেনি। আজ ইডির অফিসে হাজিরা দিতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, আজ তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। তবে আজ হেমন্ত সোরেন ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়া পর কেন্দ্রীয় এজেন্সি কোনও বড়সড় পদক্ষেপ করবে কিনা সে নিয়েও জল্পনা জোরালো হচ্ছে।  

    কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে

    হেমন্তের (Hemant Soren) যদি জেল হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন। কয়েক দশক আগে বিহারে লালু প্রসাদ যাদব নিজের স্ত্রী রাবরি দেবীকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন। এবার সেই পথেই নাকি হাঁটতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। কল্পনা সোরেন (Kalpana Soren) বিধায়ক নন। যদি এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয় যে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য শপথ নিতে হবে, তাহলে শপথ নেওয়ার মাস ছয়েকের মধ্যে তাঁকে কোনও না কোনও উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হতে হবে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেন, সরফরাজের গান্ডে কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে বিধায়ক হতে পারেন হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনের আগে রাজ্যসভার ১১ সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করলেন ধনখড়

    কল্পনা সোরেনের পরিচয়

    ১৯৭৬ সালে রাঁচিতে জন্ম কল্পনা সোরেনের (Kalpana Soren)। আদতে তিনি ওডিশার ময়ূরভঞ্জের মেয়ে। ব্যবসায়ী পরিবারে বড় হওয়া কল্পনার ঝুলিতে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। এমবিএ-ও করেছেন তিনি। ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি হেমন্ত সোরেনকে বিয়ে করেন। হেমন্ত (Hemant Soren) ও কল্পনার দুই সন্তান রয়েছে নিখিল এবং অংশ। জানা গেছে, অর্গানিক ফার্মিংয়ের সঙ্গে যুক্ত কল্পনা। একটি স্কুলও চালান তিনি। তিনটি কমার্শিয়াল বিল্ডিংয়ের মালিকানা রয়েছে তাঁর নামে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডির হানা, গ্রেফতার হবেন সোরেন?

    Hemant Soren: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডির হানা, গ্রেফতার হবেন সোরেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর (Hemant Soren) বাড়িতে ইডির হানা। শনিবার সকালে রাঁচির কাঁকের রোডে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যান ইডির তিন আধিকারিক। জানা গিয়েছে, আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচবার তলব করেছিল ইডি। কোনওবারই ইডির দফতরে হাজিরা দেননি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত। সেই কারণে এদিন ইডি হানা দেয় হেমন্তর সরকারি বাসভবনে।

    আর্থিক তছরুপ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ

    সূত্রের খবর, রাঁচিতে জমি কেনাবেচায় যে আর্থিক তছরুপ হয়েছিল, সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সোরেনকে। গত ডিসেম্বরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল পঞ্চমবারের জন্য। সেবারও সশরীরে হাজিরা দেননি তিনি। এরপর ১৩ জানুয়ারি তাঁকে চিঠি দিয়ে বলা হয় তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। ১৬-২০ জানুয়ারি যেন সময় দেন তিনি। এর পরেই পাল্টা চিঠিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Hemant Soren) জানিয়ে দেন, ২০ জানুয়ারি সরকারি বাসভবনে থাকবেন তিনি। সেই মতো এদিন কাঁকের রোডে সোরেনের বাসভবনে পৌঁছান ইডির তিন আধিকারিক।

    সোরেন অনুগামীদের বিক্ষোভ

    এদিন ইডির আধিকারিকরা সোরেনের বাসভবনে পৌঁছতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা। তবে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন প্রস্তুত হয়েই এসেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তাই বিক্ষোভের জল গড়ায়নি বেশি দূর। প্রসঙ্গত, বেআইনি জমি কেলেঙ্কারি ও অর্থ পাচার মামলায় শেষবারের মতো সমন জারির পর সোরেনের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছিল ইডি। এরই পাল্টা হিসেবে ১০ জানুয়ারি সরকারের সব দফতরে কড়া নির্দেশিকা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে নজরুলগীতির ভিডিও পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর!

    সরকারের সব আধিকারিক ও কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, ইডির আধিকারিকদের প্রশ্নের জবাব যেন দেওয়া না হয়। ইডি কোনও নথি চাইলেও, তা যেন দেওয়া না হয় বলেও জারি করা হয়েছিল নির্দেশিকা। এনিয়ে ইডির সঙ্গে ঝাড়খণ্ড সরকারের সংঘাত চরমে ওঠে। তার পর এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হানা দেয় ইডি। ওই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ধৃতদের মধ্যে একজন আবার ২০১১ ব্যাচের আইএএস অফিসার। তিনি ঝাড়খণ্ডের সমাজকল্যাণ বিভাগের পরিচালক ও রাঁচির ডেপুটি কমিশনার হিসেবে কাজ করেছিলেন। এবার কি তবে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর (Hemant Soren) পালা? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: ‘ছোট ভাই’ সাংমাকে  মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর অভিনন্দন জানালেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    Hemant Soren: ‘ছোট ভাই’ সাংমাকে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর অভিনন্দন জানালেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে আঞ্চলিক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। শুরু থেকেই মেঘালয়ে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে এনপিপিকে সমর্থন করে গেরুয়া শিবির। পরে আরও দুটি আঞ্চলিক দলের সমর্থন পেয়ে যায় কনরাড সাংমার দল। আজকে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে দ্বিতীয়বার শপথ নিলেন কনরাড সাংমা। এই বিশেষ দিনে তাঁকে অভিনন্দন জানালেন ‘দাদা’ হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। দিনটিকে ‘আনন্দের দিন’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে শপথ নেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

    ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এই নেতাও শিলংয়ে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) বলেন, “এটি একটি আনন্দের দিন। আমিও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি, সাংমা পরিবারের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। একজন ছোট ভাই যখন শপথ নেয় তখন আপনি আনন্দের কথা কল্পনা করতে পারেন। আমি তাকে শুভকামনা জানাই।” 

    এদিন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রধান কনরাড সাংমা শিলংয়ে (Hemant Soren) দ্বিতীয় মেয়াদে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তিনি বলেন, “রাজ্যের উন্নয়নের জন্য আমরা গত পাঁচ বছরে যে ভিত্তি স্থাপন করেছি তার ওপর আমরা কাজ করে যাব। আমরা যুব সমাজ ও কর্মসংস্থানকে গুরুত্ব দিচ্ছি। সামগ্রিক দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল মানুষের কাছে পৌঁছেছে।”

    শিলংয়ের রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Hemant Soren) এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে আজ শপথ নিলেন কনরাড সাংমা। জানা গিয়েছে, কনরাড সাংমার উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে নিয়েছেন প্রিস্টন তিনসোং এবং স্নিয়াভালাং ধর। পাশাপাশি বিজেপির আলেকজান্ডার লাল্লু হেক, ইউডিপির পল লিংদো এবং কিরমেন শাইলা, এইচএসপিডিপির শাকলিয়ার ওয়াজ্রি মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন আজ।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত বেরোতেই গোবরজল ছিটিয়ে জেল চত্বর ‘শুদ্ধিকরণ’ আসানসোলে, আবীর খেলে উদযাপন বিজেপির

    ফল প্রকাশের আগেই অবশ্য কনরাড সাংমা গুয়াহাটি গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে নৈশভোজ সেরে এসেছিলেন। জল্পনা তখন থেকেই ছিল। এরপর ফল প্রকাশ হতেই ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায় এনপিপি। মাঝে কংগ্রেস ও তৃণমূল ইউডিপিকে সঙ্গে নিয়ে সব ছোট দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা করেছিল। তবে সেই সব চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Hemant Soren: খনি দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী, ইডি দফতরে তলব হেমন্ত সোরেনকে

    Hemant Soren: খনি দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী, ইডি দফতরে তলব হেমন্ত সোরেনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে খনি দুর্নীতি মামলায় (Illegal Mining Case) সরাসরি ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ED)। আগামীকাল অর্থাৎ ৩ নভেম্বর রাঁচি শহরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট দফতরে সকাল ১১:৩০ মিনিটের মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে হেমন্তকে। ইতিমধ্যেই সমন পাঠানো হয়েছে তাঁকে।

    এর আগেই ঝাড়খন্ডে বেআইনি খনি খাদান ও আর্থিক তছরুপের মামলায় নাম জড়িয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর (Hemant Soren)। অভিযোগ ছিল নিয়ম ভেঙে নিজের নামে খনির লিজ নিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। আর এই ঘটনা ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর আসনও খোয়াতে বসেছিলেন তিনি। তবে কোনওমতে আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ বাঁচান সোরেন। কিন্তু প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর নজরে ছিলেন তিনি। আর এবারে সরাসরি তাঁকে তলবও করা হল।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ওয়াক আউট, ঝাড়খণ্ডে আস্থাভোটে জয়ী হেমন্ত সোরেন

    এর আগে হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত পঙ্কজ মিশ্রকে এই মামলায় গ্রেফতার করেছিল ইডি। পঙ্কজের থেকেই হেমন্ত সোরেনের সই করা কতগুলি চেক এবং পাসবই পেয়েছেন বলে জানিয়েছে ইডি। এরপরেই গত ১৯ জুলাই বেআইনি আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গত মার্চ মাসে ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জ জেলায় পঙ্কজ মিশ্র ও তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের হয়। আর এরপরই তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। আবার পঙ্কজ মিশ্রের পাশাপাশি তাঁর দুই সহকারী বাচ্চু যাদব ও প্রেম প্রকাশের নামও উল্লেখ করা হয়েছে এই মামলায়। গত ৪ ও ২৫ অগাস্ট ওই দুই অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করে ইডি। বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই রয়েছেন অভিযুক্তরা।

    ইডি সূত্রে খবর, তদন্ত চলাকালীন, ইডি ভারত জুড়ে ৪৭টি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। এর জেরে ৫.৩৪ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তাছাড়া একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৩.৩২ কোটি টাকার হদিশ পান তদন্তকারীরা। সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়। এছাড়া একটি MV Infralink-III নামক ছোট জাহাজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পাঁচটি স্টোন ক্রাশার, দুটি হাইভা ট্রাক ছাড়াও অপরাধমূলক নথিপত্র এবং দুটি একে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। আর এই আবহেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে। ফলে আগামীকাল হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) ইডির তলবে সাড়া দেবেন কিনা সেটিই এখন দেখার।

  • Jharkhand Political Crisis: বিজেপির ওয়াক আউট, ঝাড়খণ্ডে আস্থাভোটে জয়ী হেমন্ত সোরেন

    Jharkhand Political Crisis: বিজেপির ওয়াক আউট, ঝাড়খণ্ডে আস্থাভোটে জয়ী হেমন্ত সোরেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত একমাস ধরে টালমাটাল চলার পর সোমবার আস্থাভোটে জয়ী হলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৮টি। এদিন আস্থাভোটের আগেই বিজেপি বিধায়করা ওয়াক আউট করে। বিজেপির শরিকদল AJSU এর দুই নির্দল বিধায়কও ‘ওয়াকআউট’ করেন বিধানসভা থেকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের অভিযোগ, বিজেপি (BJP) ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে।

    এদিন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের স্লোগান ও চিৎকারের মাঝেই সোরেন জানিয়েছেন, ‘বিরোধীরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। কিন্তু আমরা আমাদের শক্তি দেখাব।’ প্রসঙ্গত, ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) একক বৃহত্তম দল। তাদের অধিকারের রয়েছে মোট ৩০টি আসন। কংগ্রেসের কাছে আছে ১৮ এবং আরজেডির রয়েছে একজন বিধায়ক। এদিকে বিজেপির হাতে রয়েছে ২৬ জন বিধায়ক। ম্যাজিক ফিগার ৪১-এর থেকে অনেকটাই বেশি ছিল জোটের আসন সংখ্যা। এদিন আস্থাভোটে গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে তাই কোনও অসুবিধা হয়নি মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের।

    আরও পড়ুন: দেশ কোনও সাহায্য করেনি, ৩২ বছর পর পাকিস্তান জেল থেকে ফিরে জানালেন ভারতীয় গুপ্তচর

    হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ‘অফিস অফ প্রফিট’-এর অভিযোগ উঠেছে। এই মামলায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। এই রিপোর্টে হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে কমিশন। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন সোরেনকে অযোগ্য বলে রাজ্যপাল বেইসের কাছে রিপোর্ট জমা করে। এর পরই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সোরেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতিমুক্ত সরকারের দাবি জানায় বিজেপি। বিরোধী দল বিজেপি দাবি করে, খনির ইজারা দিয়ে নির্বাচনী নিয়ম ভেঙেছেন হেমন্ত। তাই খারিজ করা হোক তাঁর বিধায়ক পদ। জেএমএম পাল্টা অভিযোগ করে, অসময়ের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যের শাসক জোটের বিধায়কদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jharkhand Politics: পদত্যাগ করছেন না হেমন্ত সোরেন! রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানাল ঝাড়খণ্ডের শাসকজোট

    Jharkhand Politics: পদত্যাগ করছেন না হেমন্ত সোরেন! রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানাল ঝাড়খণ্ডের শাসকজোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না হেমন্ত সোরেন (Hemanta Soren)। বৃহস্পতিবার রাতে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ঝাড়খন্ডের (Jharkhand) শাসকজোট। খনি মামলার জেরে বর্তমানে রাজ্যের নেতৃত্বে থাকাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে হেমন্ত সোরেনের। মুখ্যমন্ত্রী সহ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেসের জোট সরকারকে একহাত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের অফিস থেকে তথ্য ফাঁস করা হচ্ছে বলে রাজ্যপাল রমেশ বাইসকে চিঠি দিল ইউপিএ (UPA)। জোট সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টায় মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন ইউপিএ নেতারা।

    বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজ্যপাল রমেশ বাইসের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করে ইউপিএ জোটের বিধায়কদের প্রতিনিধি দল। তবে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন  সেই দলে ছিলেন না বলেই খবর। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, সোরেনের ইস্তফা দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বৈঠকের পর রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি বান্ধু তিরকে  জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিচ্ছেন না। রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন আর দু’দিনের মধ্যে পরিস্থিতি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাঁর কাছে আমরা জানতে চেয়েছি কী করে কিছু বিশেষ তথ্য এভাবে ফাঁস হয়ে গেল। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর অফিস থেকে কোনও খবর বাইরে যায়নি।”

    আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে কাঠগড়ায় হেমন্ত সোরেন, বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ

    প্রসঙ্গত, খনি দুর্নীতি মামলায় হেমন্ত সোরেনকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট পেশ করার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতিমুক্ত সরকারের দাবি জানায় বিজেপি। ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম বিধায়ক ৩০ জন। এছাড়াও কংগ্রেসের ১৮ বিধায়ক ও একজন আরজেডি বিধায়ক রয়েছেন সরকারে। ইতিমধ্যেই বিজেপি দাবি করেছে, হেমন্ত সোরেনের উচিত নৈতিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া। এখনই বিধানসভা ভেঙে ৮১টি কেন্দ্রেই নির্বাচন হোক। 

    অন্যদিকে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ঝাড়খণ্ডে পুরনো পেনশন স্কিম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ৫ সেপ্টেম্বর একদিনের জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা  ভাবা হয়েছে। সূত্রের খবর, হেমন্ত সোরেনের সরকার আস্থা ভোট আনার কথা ভাবছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
LinkedIn
Share